আলোকচিত্রী চোখ






ঘটনাটা ঘটল নদী পেরোতে গিয়ে। এই যে ওপরের নদীটার ছবি দেখছেন, এই নদীটা। নদীটার নাম মোসেল, এরই পাশে প্রাচীন শহর Trier-এর অবস্থান। আমার বাঁধা সিট ড্রাইভারের ঠিক পেছনেই, তাই বাসের বাকিদের সবার আগে আমিই দেখেছিলাম সবুজ গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঘন নীলের আভাস। দেখতে না দেখতেই বাস হুড়মুড়িয়ে ব্রিজের ওপর উঠে পড়ল, ওপাশের জানালা থেকে অ্যালফন্‌স্‌ বলল, “লুক লুক”, আশপাশপেছনের সিট থেকে বিস্ময়মিশ্রিত “ওয়াও” ধ্বনি উঠল, আর আমি কোনওমতে কোলের ওপর রাখা ক্যামেরাটা চোখের কাছে তুলে নিয়ে খচাৎ খচাৎ শাটার টিপে গেলাম, সেকেন্ডে তিনবার।


বাস ব্রিজ থেকে নেমে পড়ল, সবাই জানালার পাশে হুমড়ি খেয়ে পড়া অবস্থা থেকে যে যার সিটে ফিরে গেল, আমি ক্যামেরা চোখ থেকে নামিয়ে ছোট্ট তিনকোণা প্লে বাটন টিপে আমার শিল্পকর্ম মুগ্ধনয়নে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম, আর তক্ষুনি ঘটনাটা ঘটল।

আমার মনে পড়ে গেল যে নদীটা আসলে আমি চোখে দেখিনি। দেখিনি মানে, এই তো এল সি ডি মনিটরের তিন ইঞ্চি পরিসরে জুম ইন জুম আউট করে নদীর ছবি দেখছি, চাইলে বাকি জীবনটা ধরে প্রতিদিন সকালবিকেল ঘুরিয়েফিরিয়ে দেখতে পারি, কিন্তু নিজের চোখে দেখার যে চান্সটা পাওয়া গিয়েছিল জীবনে মাত্র একবার, সেটা চলে গেছে, আমার দেখা না হতেই। এই যে নদীর ধারে জঙ্গল, জঙ্গলের মধ্যে পুতুলের গ্রামের মতো বসতি, বসতির বেড়া ডিঙিয়ে জলের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়া পাহাড়ের ছায়া---এই ছবিটা আমার রেটিনার মধ্যে দিয়ে, লক্ষ লক্ষ স্নায়ুতন্ত্রের ঘাড়ে চাপিয়ে ব্রেনের পেছনে গুপ্তকুঠুরিতে জমা করে রাখার যে সুযোগ এসেছিল, সেটা আমি হেলায় হারিয়েছি। ব্রেনের বদলে এ ছবি এবার জমা হবে আমার পিকচার ফোল্ডারে, আরও হাজারদশেক ছবির সঙ্গে। কোনও এক বর্ষার বিকেলে নস্ট্যালজিক হয়ে সে ফোল্ডার খুলে নদীর ছবি দেখতে বসার সম্ভাবনা, আমার আবার এ পথে বেড়াতে এসে সশরীরে নদী দেখার সম্ভাবনার এককোটি ভাগের এক ভাগ।

ক'দিন ধরে ভাবছিলাম ফোটো তোলাটা আরও ভালো করে শিখব। এত সুন্দর সুন্দর জায়গা, মানুষজন, বাড়িঘরদোর দেখার সুযোগ পাচ্ছি, সে সবের প্রমাণ রাখার দরকার যেমন আছে, তাদের প্রতি সুবিচারের দায়ও আছে। বাস থেকে নেমে দূর পাহাড়ের কোলে রোদঝলমল উপত্যকার দিকে তাকিয়ে আনন্দে দম বন্ধ হয়ে আসে, অথচ ছবিতে সে আনন্দের ছিটেফোঁটাও ধরা পড়ে না। অতখানি আকাশ যে দেখলাম চোখের সামনে, ফ্রেমের ভেতর সে এতটুকু হয়ে ধরা দেয়। কালার টেম্পারেচার নির্লজ্জের মতো বাড়িয়েও নীলসবুজের সেই কন্ট্রাস্টটা ধরতে পারি না, বাস থেকে নেমেই যেটা চোখ প্রায় অন্ধ করে দিয়েছিল।

নির্ঘাৎ লেন্সের দোষ। যতই হোক, কিট লেন্স। রিভিউতে পই পই করে লিখেছিল, কিট লেন্সের বদলে এমন কোনও একটা লেন্স কিনতে যাতে ওয়াইড অ্যাংগল আর টেলিফোটো জুম দুটোই অফার করে। শুনিনি। “এতেই হাত পাকিয়ে নিই” মনে করে কিট লেন্স ঘাড়ে করে বাড়ি চলে এসেছি, এখন চলছে তার শাস্তিভোগের পালা।

ছবি তুলতে পারি আর না পারি, পদস্থ লেন্স থাক আর না থাক, সেই দু’হাজার ছয়ের ডিসেম্বর থেকে ছবি তুলে আসছি আমি। একটা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট ক্যামেরা কিনে মাঠে নেমেছিলাম। খাচ্ছিদাচ্ছি ঘুরছিফিরছি, আড্ডা মারছি, কোক জিরো খাচ্ছি আর পকেট থেকে ক্যামেরা বার করে ছবি তুলে রাখছি। গুনেগেঁথে সুখের মুহূর্ত জমা করে রাখছি, পাছে ভুলে যাই। সে ছবি দেখা হয়নি বহুদিন। হয়নি বললে মনে হয় যেন সময়ের অভাব, আসলে ঘটনাটা তা নয়। ইচ্ছে করেই দেখি না। একলা ঘরে বসে ফোল্ডারের হাসি, আড্ডা, বাঁধভাঙা উল্লাসের ছবি যখনই নেড়েচেড়ে দেখি, মুখ আপনা থেকে হাসিহাসি হয়ে উঠব উঠব করে অমনি মাথার ভেতর আরেকটা ছবির অ্যালবাম খুলে যায়।

এই দ্বিতীয় অ্যালবামের ছবিগুলো আমি তুলিনি, আমার চোখ তুলেছে। ব্রেনের সঙ্গে যোগসাজশ করে। কে জানে কখন। আমি যখন নিজের মনে খাচ্ছিলামদাচ্ছিলাম উঠছিলামবসছিলাম, ঘর অন্ধকার করে বিছানায় শুয়েছিলাম, তখন। ভিডিও রেকর্ডিং-ও আছে। ভীষণ ঠাণ্ডা একটা রাস্তা দিয়ে হাঁটছি, বাসস্টপে ফোন কানে নিয়ে বসে আছি। সে কথোপকথনের প্রতিটি শব্দ এই মুহূর্তের থেকেও স্পষ্ট।

গত সপ্তাহের স্টাডি ট্রিপে একদিন দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছিল। অ্যালিসিয়ার সঙ্গে একটাই ছাতা শেয়ার করে, দুজনেই ভিজতে ভিজতে রাস্তার ধারের একটা ঘুপচি পিৎজার দোকানে দৌড়ে ঢুকেছিলাম। অভিজ্ঞ ফুডিদের দেওয়া নানারকম বিখ্যাত দোকানের সাজেসশন ছিল পকেটে চিরকুটে লেখা, কিন্তু খিদে আর বৃষ্টির যুগ্ম অ্যাটাকে সে চিরকুটের দিকে তাকানোর সুযোগ ছিল না। পাঁচ ফুট বাই সাত ফুট দোকানের কাঠের বেঞ্চিতে বসে, আপাদমস্তক অচেনা ভাষায় লেখা মেনুকার্ড অতিকষ্টে উদ্ধার করে অ্যালিসিয়া অর্ডার দিল পিৎজা নেপোলি, আমি নিলাম Croque Monsieur (খক্‌ মঁসিয়)। বেসিক্যালি ফ্রেঞ্চ গ্রিল্‌ড্‌ হ্যাম অ্যান্ড চিজ স্যান্ডউইচ। সাদা প্লেটের ওপর শুয়ে থাকা বাদামি মুচমুচে পাঁউরুটির ভেতর নরম গোলাপি হ্যাম, আর গলন্ত লাভার মতো চিজ আর বেশেমেল সস্‌---। খাব কি, প্রাণ ভরে ছবিই তুলেছিলাম প্রথম দশ মিনিট ধরে।

এখন যতবার সে ছবির দিকে তাকাচ্ছি, খালি চোখে ভেসে উঠছে মাথার ওপর নামকাওয়াস্তে ছাতা, ছাতার শিক থেকে কনকনে ঠাণ্ডা বৃষ্টির জল শার্টের বাঁদিকের হাতা বেয়ে গড়িয়ে নামছে, পাথরপাতা পথের ওপর দিয়ে আমি আর অ্যালিসিয়া হাসতে হাসতে হাফ ছুটছি হাফ হাঁটছি।

মানতেই হবে, আমার চোখের ছবি তোলার উৎসাহ আমার থেকেও বেশি। সবথেকে অন্যায় কথাটা হচ্ছে, ওয়াইড অ্যাংগল লেন্স ছাড়াই সে আমার থেকে ভালো ছবি তুলছে। পোস্টপ্রসেসিং ছাড়াই সে ছবির কালার টেম্পারেচার নিখুঁত, এক্সপোজার পারফেক্ট, ডেপথ্‌ অফ ফিল্ড লা-জবাব। সবথেকে বড় সুবিধে হচ্ছে, ও ছবি সঞ্চয় করতে গেলে ল্যাপটপের মহার্ঘ স্পেস নষ্ট করতে হয় না। বাকি আর পাঁচটা স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়েমড়িয়ে ওরা থেকে যেতে পারে আমরণ। ও ছবি দেখতে গেলে কম্পিউটারে চার্জ থাকার দরকার নেই, যখনতখন যেখানেসেখানে একটুখানি একলা সময় বার করে, “কই দেখাও তোমার ছবি” হুকুম করলেই চোখ মহানন্দে পা ছড়িয়ে তার অ্যালবাম খুলে বসে।

ওর উৎসাহ দেখে ভাবছি, নিজে না শিখে ওকেই বরং ছবি তোলাটা ভালো করে শেখাই। মনে মনে যতই কিট লেন্সের ঘাড়ে দোষ চাপাই না কেন, নিজের দৌড় আমার জানা হয়ে গেছে।

Comments

  1. lekhata eto bhalo laglo, thik ei kothatai Deolo theke pherar poth e bhebechhilam, chokh ja dekhlo tar chhnite photao camera bondi korte parlam na, oi ekla somoi e tar upor nirbhor kora chhara upai koi? :-) tobe chhobi bhalo tolar sekhar chesta te tumi kintu darun chhobi tulchho. tomar kothai ar chhobite prithibir oi konata ekhon khub chena lage :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিক বলেছেন ইচ্ছাডানা, যে কাজটা যে বেটার করতে পারে সে কাজটা তাকেই করতে দেওয়া উচিত না কি? আপনার আমার পচা ছবি দেখতে ভালো লাগে শুনে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ। আমারও আপনাদের ছবি দেখাতে খুব ভালো লাগে।

      Delete
  2. ছবি তুমি ভালই তোল ।
    কিন্তু ঈশ্বরের সৃষ্টির সঙ্গে কি পাল্লা দেওয়া যায় Boss?ওই মাথার ভেতর,মনের ভেতরের অ্যালবাম টা ?
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বলে কথা।

      Delete
    2. উফফ্‌ - কি প্রচণ্ড সূক্ষ্ম চাট!

      Delete
  3. কী সহজ করে একটা জটিল সত্যি কথা বলে দিলে হে৷ এটা ঠিক, কিছু দেখতে পেলেই সটান ক্যামেরা বেরিয়ে পড়ে ব্যাগ থেকে, তার পর ক্যামেরার সেটিং ঠিক করা, অ্যাঙ্গেল এবং ফ্রেম ভাবা, দরকার হলে লেন্স বদলানো - এইরকম হাজারো অকারণ জটিলতায় ব্যস্ত হয়ে পড়ি৷ খালি দুচোখ দিয়ে, মন ভরে দৃশ্যটা দেখতেই খেয়াল থাকে না৷ ওই জন্যে কত জায়গা, কত রাস্তাঘাট স্রেফ ভুলে গিয়েছি৷ তোমার লেখা পড়ে ভয় হচ্ছে, এখন চেষ্টা করলেও তাদের মনে পড়বে না বোধহয়৷

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার তো মোসেল নদীর কথা মনেই পড়বে না শীর্ষ। এ আফসোস আমার জীবনে যাবে না।

      Delete
  4. Ami khub bichchhiri chhobi tuli. Tai ei problem ta amar kokhono hoy na. :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বিম্ববতী, মোটামুটি সুশ্রী একটা ক্যামেরা থাকলে বিশ্রী ছবি তোলা বেশ কঠিন কাজ।

      Delete
  5. Mon camerar shathe ki ar palla deoya jai.tobe camera diye chobi tumi bhalo tolo.....Kintu tar thekeo bhalo tomar lekha diye toiri chobi.....

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ রণিতা।

      Delete
  6. Tomar chakri ta ki boss? Kibhabe paoa jai emon chakri?

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা রুচিরা, খুবই সামান্য চাকরি। অতি অল্প আয়াসেই পাওয়া যায়।

      Delete
  7. চোখ ক্যামেরা হিসেবে খুব ভাল সন্দেহ নেই, কিন্তু zoom বা ম্যাক্রো করতে পারে না, সেরকম ভাবলে লং এক্সপোজার, মাল্টিপ্ল এক্সপোজার- কিস্যু করতে পারে না।
    তবু, তাতেও ক্যামেরা না কিনে কাটানো যেত, যদি স্মৃতির বদলে হার্ড-ডিস্ক থাকতো- ব্রেনের পোচ্চুর গোলমাল- মনে তো রাখতে পারেই না, তার ওপর মনে রাখলেও গুলিয়ে দেয়...

    ReplyDelete
    Replies
    1. "পোচ্চুর গোলমাল"-এর জায়গাটায় একেবারে একমত সুনন্দ।

      Delete
  8. আমি ২০০৬ এর জানুয়ারী থেকে ছবি তুলছি, কাজেই এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা সামান্য বেশি। তাই আমি এখানে কিছু বলতে চাই।

    প্রথমত, যে বলেছে ওয়াইড থেকে টেলি একটা লেন্স কিনতে, সে লেন্স সম্বন্ধে কিচ্ছু জানেনা, তার কথা শুনবেননা। ওতে লেন্স পাল্টাতে হয়না ঠিকই, কিন্তু ছবির কোয়ালিটি বেশ খারাপ হয়। উল্টে বরং সবথেকে ভালো ছবি তুলতে হলে প্রাইম লেন্স কেনা উচিত, অর্থাত কিনা যে লেন্স আদৌ জুম্ই হয়না।
    দ্বিতীয়ত, সুনন্দবাবু ঠিক বলেছেন, আমাদের স্মৃতিশক্তির সমস্যা হল, ইচ্ছেমতন ডিটেল মনে রাখে, আর ইচ্ছেমতন বাদ দিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, কোনো ডিটেল পছন্দ না হলে সেটাকে পাল্টে নিতেও পিছপা হয়না আমাদের ব্রেন। অগত্যা ওই "unromantic" কামেরার শরনাপন্ন হওয়া ছাড়া উপায় কি?

    তৃতীয়ত, আপনি যে কথাটা লিখেছেন সেটা আমারও অনেকবার মনে হয়েছে --- এই যে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর সূর্যোদয়, নৌকোয় চেপে নায়াগ্রা'র নিচে চলে যাওয়া, টাইমস স্কোয়ারের আলো, এর কতখানি আমি সত্যি সত্যি দেখেছি, আর কতটা ক্যামেরার মধ্যে দিয়ে দেখে নষ্ট করেছি? কিন্তু এতদিন ছবি তুলে এখন আমার মনে হয় যে আমাদের পঞ্চেন্দ্রিয়ের একটা আলাদা জায়গা আছে, আর ক্যামেরারও একটা আলাদা জায়গা আছে। দুটোর মধ্যে একটা ব্যালেন্স রাখাটা জরুরি। এর কোনো একটা যথেষ্ট নয়। রাতের টাইমস স্কোয়ার কি জিনিস সেটা কোনো ছবির ক্ষমতা নেই প্রকাশ করার। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন এর বিশেষত্বই হলো ফটো তলার ব্যর্থতা। নায়াগ্রার এলবামে চরম জলে ভেজা মুহুর্তগুলোর ছবির অনুপস্থিতিটাই সবথেকে জোরালো স্মৃতি। সেই অনুভূতিগুলোকে কোনদিন ক্যামেরা ধরতে পারবেনা। কিন্তু তাও, সেই বিশালতা, সেই তান্ডব, সেই মায়াবী আলোর ঝিলিমিলির কতটা আপনি ক্যামেরায় ধরতে পারছেন, সেটাই আলোকচিত্রী হিসেবে আপনার চ্যালেঞ্জ। ৩০%? ৫০%? ৮০%? সংখ্যাটা যাই হোক না কেন, সেটা ১০০ হবেনা কোনও দিন। যদি ১০০ হয়ে যায় তাহলে বলব সে জায়গাটা চোখ দিয়ে না দেখলেও চলে, ক্যামেরাই যথেষ্ট। আর তা না হলে... আপনি তো ১০০% টা অনুভব করেই ফেলেছেন, নাহলে বুঝলেন কিকরে যে ছবিতে সবটা আসেনি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. অকাট্য যুক্তি, সুগত। আসলে একটা দৃশ্য তো শুধু আমরা চোখ দিয়ে দেখি না, বাকি চারটে ইন্দ্রিয়ও সমান ভাবে সক্রিয় থাকে। নায়াগ্রার কথাই ভাবুন, একটা বিরাট ঝাপটা এসে যখন ভিজিয়ে দিচ্ছে, তখন যে নৌকোশুদ্ধু সবাই উল্লাসে চিৎকার করে উঠছে, বা যখন অশ্বক্ষুরের অনেকটা ভেতর চলে গেছে নৌকোটা, তখন বিস্ময়, ঘোর এসব ছাপিয়েও যে একটা ভয়, যে আর না আর না, এবার পিছু ফেরা যাক---সেই ভয়টা বেচারা ক্যামেরা ক্যাপচার করবেই বা কী করে। সেজন্যই ছবি দেখলে আধাখ্যাঁচড়া লাগে আর কি।

      Delete

Post a Comment