যে ভুলগুলো ঠিক বলে জানতাম



চিনের মহান প্রাচীর। যতই মহান হোক না কেন, মহাকাশ থেকে একে দেখা যায় না। ছবির উৎস গুগল ইমেজেস।


জটায়ু মধ্যবয়সে পৌঁছে জেনেছিলেন উটের পাকস্থলীতে জল থাকে না, আর আমি মধ্যবয়সে পৌঁছে জানলাম যে কৃচ্ছ্রসাধন কথাটায় একটা র-ফলা আছে। তাও জানতাম না, যদি না অবান্তরের একজন উপকারী বন্ধু Sanbandyo গরজ করে জানাতেন। জেনে প্রথমটা আমার নিতান্ত অবিশ্বাস হয়েছিল। কৃচ্ছ্রসাধন বলে কি না আমার ফেভারিট আর্ট অফ লিভিং আর সেই শব্দটাই কি না আমি জানি না? দিলাম মোলায়েম করে মুহ্‌-তোড় জবাব লিখে।

কিন্তু মনটা খুঁতখুঁত করতে লাগল। অফিসে ছিলাম, হাতের কাছে অভিধান ছিল না। মাকে ফোন করে হুকুম করলাম, ‘শিগগিরি কৃচ্ছ্রসাধন বানান চেক করে গেট ব্যাক টু মি, অ্যাসাপ্‌।” মা মিনিটখানেকের মধ্যে ফোন করে জানালেন Sanbandyo ঠিক, কুন্তলাবন্দ্যো ভুল। আমি ততক্ষণে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছি। কিন্তু মচকাতে তখনও মন সরছে না। বললাম, ‘কী সব আজেবাজে অভিধান নিয়ে বাড়ি ভর্তি করে রেখেছ, বাংলা টু ইংরিজিটা দেখ একবার। অ্যান্ড গেট ব্যাক টু মি, অ্যাসাপ।’ মা গেট ব্যাক করে জানালেন কথাটা ‘কৃছ-রো-সাধন’ই, ‘কৃছ-ছো-সাধন’ নয়।

শতখন্ড হয়ে ছিটকে পড়া হৃদয় কোনওমতে জোড়াতালি লাগিয়ে, তড়িঘড়ি মুহ্‌-তোড় জবাব মুছে Sanbandyo-র পায়ে ধরে ক্ষমা চাইছি, এমন সময় একজন অনলাইনে টোকা মেরে বললেন, “আই স’ হোয়াট ইউ ডিড লাস্ট সামার জাস্ট নাউ। হাহাহাহাহাহাহাহা।’

জঘন্য।

যাই হোক, তেরোতে হয়নি তেত্রিশেই সই। বেটার লেট দ্যান নেভার। কিন্তু শেখাটা যাতে বালুকাবেলায় আঙুলের আঁক হয়ে রয়ে না যায়, কাঁচা কংক্রিটে কঞ্চি দিয়ে লেখা সালতারিখের মতো চিরস্থায়ী হয়ে বিরাজ করে সেইজন্য আমি কৃছ-রো-সাধন নিয়ে একটা গোটা পোস্ট লিখব ঠিক করেছি। মানে ঠিক কৃছ-রো-সাধন নিয়ে নয়, কৃছ-রো-সাধন জাতীয় আরও কিছু জিনিস যা আমি ধেড়ে বয়স পর্যন্ত ভুল জানতাম, সেই সব নিয়ে। আমার আশা এই পোস্ট পড়ে উদ্দীপিত হয়ে আপনারাও আপনাদের ভুল-জানার ঝুলি খুলে ধরবেন। খুঁজে দেখলে ঝুলি ঝেড়ে একটা-দুটো ভুল নিশ্চয় বেরোবে। বেরোবে না?

১. ভূজ নয়, ভুজঃ দশভুজার মতো দশাসই একটা শব্দে যে দীর্ঘ-র বদলে হ্রস্ব উ ব্যবহার হবে সেটা কল্পনা করা শক্ত কি না বলুন? আর দশভুজা যদি দীর্ঘ-উ হয় তাহলে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, পঞ্চভুজ এবং অতিভুজেরই বা দীর্ঘ-উ হতে বাধা কোথায়? খুব সম্প্রতি ভুল ধরা পড়েছে (আবারও একজন ধরে দিয়েছেন, বেসিক্যালি) এবং ধরা পড়ার পর বেশ কয়েকঘণ্টা আমি মুহ্যমান হয়ে ছিলাম। হওয়াই স্বাভাবিক।

২. ওম পুরী, অমরিশ পুরীর ভাই নন। এটাও আন্দাজ করা শক্ত। দুজনেরই ভয়েসই ব্যারিটোন, দুজনের গালেই ব্রণচিহ্ন। ওম আর অমরিশের অম, সেও বেশ কাছাকাছি। তার ওপর পদবীতুতো মিল। দুজনের মধ্যে কোনও কো-রিলেশন নেই বুঝব কী করে বলুন তো? অথচ সব শুনে বান্টি এমন জোরে পাড়া কাঁপিয়ে হাসল যেন মনে হবে পাগল ছাড়া আর কারও মাথায় এসব যুক্তি আসবে না।

৩. চিনের প্রাচীর একমাত্র ম্যান-মেড জিনিস নয়, যেটা মহাকাশ থেকে দেখা যায়। তার মানে এই নয় যে অন্য কোনও ম্যান-মেড জিনিস মহাকাশ থেকে দেখা যায়, সত্যিটা হচ্ছে চিনের প্রাচীর মোটেই মহাকাশ থেকে দেখা যায় না। আমি বলছি না, মহাকাশ নিয়ে শেষ কথা বলার দায়িত্ব যারা নিয়েছে, সেই নাসা বলছে।

৪. বেঁটে লোকেরা প্রতিভাবান হতে পারে, কিন্তু তার প্রমাণ এই নয় যে নেপোলিয়ন বেঁটে ছিলেন। কারণ নেপোলিয়ন আদৌ বেঁটে ছিলেন না। নেপোলিয়নের হাইট নিয়ে কথাবার্তা শুরুই হয়েছিল তাঁর মৃত্যুর পর। ডাক্তারেরা নেপোলিয়নের অটোপ্সি রিপোর্টে লিখেছিলেন সম্রাটের উচ্চতা পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি, যেটা বেশ বেঁটের দিকেই। সেই থেকে নেপোলিয়ন La Petit Corporal নামে খ্যাত হয়েছেন। কিন্তু এখন সবাই বলছে, ফ্রেঞ্চ মাপের একক তখন ব্রিটিশ বা এখনকার আন্তর্জাতিক মাপের এককের থেকে আলাদা ছিল আর এখনকার মাপে নেপোলিয়ন ছিলেন পাঁচ সাত, যেটাকে আর যাই হোক বেঁটে বলা যায় না।

৫. মেরি শেলির বিখ্যাত দানবের নাম ফ্র্যাংকেনস্টাইন নয়। দানব যিনি তৈরি করেছিলেন তাঁর নাম ফ্র্যাংকেনস্টাইন। লোকে (এবং আমি এতদিন) যাকে ফ্র্যাংকেনস্টাইন বলে সে হচ্ছে আসলে ফ্র্যাংকেনস্টাইন’স মনস্টার। এ থেকে আমার একটাই শিক্ষা পাওয়ার আছে, এবার পরের মুখে ঝাল খাওয়া বন্ধ করে ক্ল্যাসিক নভেলগুলো নিজে চোখে পড়ে ফেলার সময় হয়েছে। অনেক তো বয়স হল।


Comments

  1. অশেষ ধন্যবাদ। ২ আর ৫ টা অবশ্য জানা ছিল। আমি আরও দুটো বলি?

    ওরা রুটি খেতে পায় না তো কেক খায় না কেন - এরকম কোনও কথা ফ্রান্সের কোনও রানি কোনদিন বলেননি
    বাইবেলে নিষিদ্ধ ফলের পরিচয় কোথাও দেওয়া হয়নি - আপেল বেচারিকে এমনিই বদনাম করা হয়েছে

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভাবুন, যে কথাটা একটা লোক বলেইনি কেবল সেই কথা বলার অপরাধে তাকে ধরে গিলোটিনে তুলে দিল, সাধে কি আমি বিপ্লবীদের দুচক্ষে দেখতে পারি না? আপেলের ব্যাপারটাও দারুণ ইন্টারেস্টিং কিন্তু দেবাশিস। হঠাৎ আপেল কেন, আম নয় কেন, লিচু নয় কেন, আনারসই বা নয় কেন?

      Delete
    2. amar theory holo je adam babaji was bhery alosh.....tai lichu, anaros, peyara ityadi khete holey seti eve kei chariye kete kute dite hoto. agotta appel :)

      Delete
    3. হাহাহা, ভালো থিওরি শম্পা। এবং খুব কনভিন্সিংও বটে।

      Delete
  2. মনস্টারের ফ্রাঙ্কেস্টাইন হতে বাধা কোথায়? সৃষ্টি তো অনেক সময়েই স্রষ্টার নামে পরিচিত হয়েই থাকে। এছাড়াও কত রকমের নামকরণ হয়। একজন একটা গানই বারবার গাইত বলে আমরা গানের প্রথম লাইনটাকেই তার নাম বানিয়ে দিয়েছিলাম।
    কৃচ্ছ্র আর কৃচ্ছ, যাই বলো না কেন, কষ্ট তো হবেই। ছাড়ান তো নেই।

    ReplyDelete
  3. ২নংটা আমিও তোমার মতই জানতাম। তবে আমি যেন দেখেছি, বানানটা অমরীশ। আসলে এটা তো অম্বরীশের অপভ্রংশ, তাই না?
    নেপোলিওনকে লম্বা করে দিয়ে তুমি আমার অনেকদিনের মনোবেদনা ঘুচিয়ে দিলে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. অমরিশ বানানটা নিয়ে আমারও সন্দেহ ছিল মালবিকা, ধরিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ফ্র্যাংকেনস্টাইন বলা যাবে না কেন, যেতেই পারে। কিন্তু আমার এতদিন ধারণা ছিল দানোটাকে ওই নামেই ডাকতেন দানোর মালিক। কৃচ্ছ্র নিয়ে আর বলবেন না, দেখলেন তো কী ভোগান ভোগালো।

      Delete
  4. সর্বসমক্ষে বানানের কথা তুলে আর নিজেকে লজ্জা দেবনা, কারণ প্রবাসে থাকার ফলে আমার বাংলা বানান সম্পর্কে তেমন কোনো ধারনাই জন্মায়নি। দুঃখের বিষয় হলো হিন্দি বানান সম্পর্কেও ধারণা জন্মায়নি। আমি বাংলা লিখি গুগলের ভরসায়। গুগল যে বানানটা লিখল সেটা ঠিক হলে ভাল, না হলে হাটে হাঁড়ি ভাঙবে। কখনও গুগলের বানান দেখে সন্দেহ হলে সে শব্দটা সযত্নে এড়িয়ে যাই।

    আপনার বলা তথ্যের মধ্যে নেপোলিয়ন বেঁটে ছিলেননা সেটা জেনে বেশ খানিকটা দুঃখই পেলাম, কারণ আমি নিজে বেঁটে, ভাবতাম যাক, নেপোলিয়নও যখন বেঁটে ছিলেন তখন আর লজ্জার কি আছে। এখন দেখছি এই ব্যাপার। জঘন্য।

    বাকি তথ্যগুলো জানতাম।

    ছোটবেলা থেকে জানা তথ্যের মধ্যে একটা হল (যেটা নিয়ে আপনার সঙ্গে আগেও আলোচনা হয়েছে) দুরদর্শনের সংবাদ পাঠিকা মিনু অভিনেত্রী ছায়াদেবির মেয়ে। পরে জানলাম সেটা ভুল। আরেকটা যেটা অনেকদিন আগেই ভুল ভেঙ্গেছে সেটা হল ষাঁড়েরা লাল রং দেখলে তাড়া করেনা। ইন ফ্যাক্ট ওরা রং আদৌ দ্যাখেইনা। তারপর ধরুন হায়নারা আসলে বেশিরভাগ সময়ে শিকার ধরে খায়, আর সিংহের তাদের মারা খাবার কেড়ে খায়। এরকম আরো অনেক অনেক আছে, যেগুলো লিখতে বসলে ফুরোবেনা। তবে সবথেকে দুঃখ পেয়েছি কি জেনে জানেন? আমার ছোটবেলা থেকে অসম্ভব সমীহ করে আসা একটা প্রাণী, জুরাসিক পার্কের নায়ক টিরানোসরাস রেক্স আসলে পালকে ঢাকা ছিল! ভাবতে পারছেন, ব্যাপারটা কতটা হাস্যকর হয়ে দাঁড়াল? এইজন্যই বলে Ignorance is bliss.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইগনোরেন্স যে ব্লিস এ নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ কোনওকালেই ছিল না। কিন্তু সিংহ হায়েনার শিকার কেড়ে খায়টা নিউজ। মানুষ, পশু, সবরকম রাজারই দেখছি প্রজার খাবার কেড়ে খাওয়ার অভ্যেস, জঘন্য। বেঁটে বলে কিছু ঘাবড়াবেন না, নেপোলিয়নের থেকে ঢের ভালো উদাহরণ আমাদের বিদ্যাসাগরমশাই আছেন তো, কাজেই নো চিন্তা, ডু ফুর্তি। ষাঁড় তাড়ার ব্যাপারটা আমি জানতাম, ওরা রেগে যায় আসলে মাটাডরের মারমুখী ভঙ্গি দেখে। টিরানোসরাসের তথ্যটা সত্যিই হার্টব্রেকিং।

      Delete
    2. bakigulo motamuti jana chilo, kintu T-Rex er palok????? ishhh ebar theke to Jurassic Park dekhle hasi pabe :(

      Delete
  5. Dui nombor ta jantam...kintu recently etao janlam je Amrish Puri K.L. Saigal er mamato bhai :)

    arekta addition to your list: Guru Dutt bangali non, konkani...naam Vasant kumar, title padukone. kintu kolkatay boro hoyechen boley bangla janten...ebong bangali hisebe porichoy o diten.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বোঝো। ভাইই যদি হবেন তাহলে মামাতোর বদলে সহোদর, আর সায়গলবাবুর বদলে ওম পুরীবাবুর ভাই হতে দোষ কী ছিল? খালি আমাকে বোকা প্রমাণ করার ষড়যন্ত্র ছাড়া এ সব আর কিছু না, আমি বলছি তোমাকে শম্পা। এই রে, আমি তো জানতাম গুরু দত্ত পাঞ্জাবী। কী ঝামেলা।

      Delete
  6. Replies
    1. আরে হেসে আর লজ্জা দেবেন না। আবারও অনেক ধন্যবাদ। এবার থেকে ভুল দেখলেই ক্যাঁক করে ধরবেন, ঢালাও লাইসেন্স দিয়ে রাখলাম।

      Delete
  7. Replies
    1. আরে তুমিও প্রনাউনসিয়েশন বলতে নাকি? হাহাহাহোহোহোহিহিহি। সরি, হাসার লোভ সামলাতে পারলাম না, কারণ এটা আমি অনেকদিন থেকে জানতাম, এবং আমার চেনা অনেকেই জানত না (এখনও জানে না).....

      Delete
  8. Tanuja ebong Nutan somporke bon hon...ami jantam Sadhna r Nutan. sedin noboborsher ofc adday jana gelo beparta..

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেখেছেন। আপনিই জীবনের শিক্ষা নিয়ে বলছিলেন না একদিন সৌমেশ? জীবন আরও একটা জরুরি জিনিস কেমন আড্ডা মারতে মারতে শিখিয়ে দিল।

      Delete
  9. Eki. T-Rex er kothata jene ekdom bhenge porlam. :( Ar chhoto theke je jinishta sobcheye beshi bhul jantam seta hochche ingreji shobder uchcharon. Naw bochhor boyesh obdhi "huge" ke "hug" (rhymes with bug) uchcharon kortam. "Islet" ke uchcharon kortam "is" (rhymes with kiss), followed by "let". "Facade" uchcharon kortam "faked" (rhymes with naked).

    Ekhon oisob bhable shiure uthi. :/

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ইংরিজি উচ্চারণ নিয়ে বসলে আমার ভুল ঠিক করতে করতে রাত কাবার হয়ে যাবে। আমি এখনও অন্যমনস্ক হলেই বানজি- জাম্পিং কে বাঙ্গি-জাম্পিং, বাঙ্গি-জাম্পিং বলতে থাকি। ভগবানই জানেন কেন। তবে যে জাম্পিংই হোক, আমি ওটা করতে যাচ্ছি না, এইটুকুই সান্ত্বনা।

      Delete
    2. ami eta jenechi...kya super cool hain hum dekhte giye..okhane ekti songlap...mere uncle bunji ke badle sirf ganji pehen ke kud gaye...etao oprangsik..sorry...baje bokar lobh samlate pari na

      Delete
  10. :-( 'কৃচ্ছ্রসাধন কথাটায় একটা র-ফলা আছে ' - eta amio jantam na . obosso ami je kono bhasari banan-e sanghatik knacha , kintu seta je ei poryai ta janar por kal thekei boro mushre porechhi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. 'নেপোলিয়ন ছিলেন পাঁচ সাত' - etao jana chhilona.

      Delete
    2. আরে বানান ব্যাপারটা ভগবান পৃথিবীতে পাঠিয়েছেনই ভুল হওয়ার জন্য। কাজেই মুষড়োবেন না ইচ্ছাডানা। আর নেপোলিয়নের বেঁটে বদনামটা খুবই স্যাড। ভদ্রলোক জ্যান্তও নেই যে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা করে তাদের ঠাণ্ডা করে দেবেন।

      Delete
  11. খাসা লিখেছেন। নেপোলিয়ান এবং চীনের প্রাচীর নিয়ে ভুলটা আমারও ছিল, ক-দিয়ে ওই খটোমটো বানানটা নিয়ে অবশ্য মাথা ঘামাইনি কোনোদিন। বাকিগুলো জানতাম অবশ্য। তবে আমি অনেকদিন পর্যন্ত জানতাম যে ভানু ব্যানার্জি সৌমিত্র ব্যানার্জির বাবা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেকি, ভানু সৌমিত্রের বাবা নন! অবশ্য দুজন সৌমিত্র আছেন, একজনের মুখ লম্বাটে আরেকজনের গোল। দুজনেরই মাথার চুল কার্তিকঠাকুরের মতো। আমি সিরিয়াসলি জানতাম গোল মুখ এবং কার্তিকঠাকুর চুল কম্বিনেশন ভদ্রলোক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেলে।

      Delete
  12. হ্যাঁ, ওই যিনি বাংলা ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করতেন, সেই “গোল মুখো, কার্তিক ঠাকুরের মতন মাথার চুলওলা” সৌমিত্র ব্যানার্জি! উনি গত হবার পরে ভুলটা ভেঙ্গেছিল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেখেছেন, এটাও ভুল জানতাম।

      Delete
    2. shudhu kholnayak..ees..amar unake troyee te darun legeche..jana ojanar pothe cholechi...debosree roy..kotha hoechilo..ei re abar oprasongik..nah baje bokata komate hobe

      Delete
  13. Darun darun ...... specially 'চিনের প্রাচীর একমাত্র ম্যান-মেড জিনিস নয়, যেটা মহাকাশ থেকে দেখা যায়।" eta to schooler boi-teo lekha thkto ........
    apnar blog aj theke pora suru korlam ..... khub bhalo laglo .....

    ReplyDelete
    Replies
    1. স্কুলের বইতে অনেক ভুলভালই লেখা থাকে সরসিজ। অবান্তরে সুস্বাগতম। আশা করি আরও অনেকদিন অবান্তর আপনার মন ভোলাবে। মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
    2. samay pele, amar ei blog-ta porar janno amontron roilo ........ http://emonjodisattihoyaha.blogspot.ca/

      Delete
    3. নিশ্চয় নিশ্চয়, সরসিজ।

      Delete
  14. এত রকমের ভুল নিয়ে যখন কথা হল, গোড়ার গলদটা শুধরে দিলে বোধহয় ভুল হবে না। ফেলুদা লালমোহনবাবুকে ভুল বলেছিল - ওই উটের কুঁজে জমানো চর্বি অক্সিডাইজ করে জল তৈরি করার ব্যাপারটা। যদিও আগে জীববিজ্ঞানীরা সেরকমই জানতেন। কিন্তু পরের গবেষণা বলছে, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম ঘটে না। পরিবেশগত কারণে উটের শরীরে এমন বেশ কিছু অভিযোজন ঘটেছে, যার দৌলতে উট বাস্তবিকই, জটায়ুর ভাষায়, পাকস্থলীতে জল নিয়ে মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল ..... :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. জানতাম, এ সব হচ্ছে বাঙালি-বিরোধী ষড়যন্ত্র। আমাদের ভুল প্রমাণ করার জন্য উটের পাকস্থলীতেও জল পুরে ছাড়বে। জঘন্য। কিন্তু ভালো জিনিস জানালেন শীর্ষ। থ্যাঙ্ক ইউ।

      Delete
  15. "আর মুখ ধুয়ে চোখে চেয়ে থেকেছি"।
    "Uske nana ki taarif mumkin nahin."

    Etc.

    ReplyDelete
  16. yang si kiang nodi..aar hoang ho nodi....asole ho ba kiang manei nodi...tar mane nodi gulor naam asole Yangzi river...aar hoang river.....

    ReplyDelete

Post a Comment