সাপ্তাহিকী








You're the sort of person who, on principle, no longer expects anything of anything. There are plenty, younger than you or less young, who live in  the  expectation  of  extraordinary  experiences:  from  books,  from  people,  from  journeys, from events, from what tomorrow has in store. But not you. You know that the best you can expect is to avoid the worst. This is the conclusion you have reached, in your personal life and also in general matters, even international affairs. What about books? Well, precisely because you have denied it in every other field, you believe you may still grant yourself legitimately this youthful pleasure of expectation in a carefully circumscribed  area  like  the  field  of  books,  where  you  can  be  lucky  or  unlucky,  but  the  risk  of disappointment isn't serious.
                                                  --- Italo Calvino, If On A Winter’s Night A Traveller

আমার মাকে যারা দেখেছেন, সাক্ষাতে কিংবা এই অবান্তরের ছবিছাবাতেও, তাঁরা জানেন আমার মা খুবই রোগাপ্যাংলা মানুষ। এ নিয়ে মায়ের ভয়ানক দুঃখ। মায়ের ধারণা রাস্তাঘাটে মাকে যে কেউ রেয়াত করে না, ধাক্কা মেরে সরি বলে না, দোকানে গিয়ে একটু ওপরের তাকের শাড়ি নামাতে বললে অন্য দিকে তাকিয়ে দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে বলে, “ওটার অনেক দাম”, এ সবের মূলে হচ্ছে মায়ের পাঁচ ফুট দু’ইঞ্চি আর সাতচল্লিশ কেজির (এখন দুটোই কমে পাঁচ ফুট আর চুয়াল্লিশ কেজি হয়ে গেছে) চেহারা। আমি অনেকবার মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে যারা এরকম অসভ্যতা করে তারা অসভ্য বলেই করে, মা রোগা বলে করে না, কিন্তু সে কথা মা কিছুতেই বিশ্বাস করবেন না। মা বলেন, "সে কারা কেমন আমার জেনে কী লাভ, তাদের তো আমি বদলাতে পারব না, তার থেকে নিজেকে খাইয়েটাইয়ে মোটাসোটা করে ‘রেসপেক্টেবল লুকিং’ করে ফেলাই সুবিধে।" আর ফোনের ওপার থেকে আমার প্রতি অর্থপূর্ণ নীরবতা নিক্ষেপ করেন।

সে যাই হোক, বেশ ক’বছর আগে মায়ের একজন ভয়ানক কাছের লোক গিয়েছিলেন মায়ের অফিসে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। লিফট থেকে নেমে একটা বাঁক ঘুরেই তিনি দেখলেন করিডরের ওমাথা থেকে বগলে একতাড়া ফাইল চেপে ধরে মা তাঁর দিকেই হেঁটে হেঁটে আসছেন। টেলিফোন ভবনের লম্বা করিডরের ওপাশে মা’কে অসম্ভব ছোট্ট আর দুর্বল আর অসহায় দেখাচ্ছে। মা কাছে আসতেই তিনি বললেন, “চেহারাটা কী বানাইছস্‌ মণি, অ্যাঁ?” মণি দুঃখ পেয়ে চুপ করে রইল। তিনি তাড়াতাড়ি বললেন, “আচ্ছা, আচ্ছা, চেহারা না হয় নাই, বংশের ধারা পাইছস্‌, কিন্তু একটু হাতটাত ফুলায়াটুলায়া হাঁটার ভঙ্গি করলে পারস্‌ তো, অ্যাট লিস্ট?” বলে দু’হাত দু'পাশে ছড়িয়ে দেখিয়ে দিলেন কেমন করে মায়ের হাঁটা উচিত।

সেই থেকে দেখা হলেই “মা একটু হাত ফুলায়া হেঁটে দেখাও” কিংবা ফোনে “মা হাত ফুলায়া হাঁটছ তো?” ইত্যাদি বলে আমাদের মামেয়ের হাহাহিহি চলছে। কিন্তু কাল নেটে ঘুরতে ঘুরতে এমন একটা জিনিস চোখে পড়ল যে আমার হাসিটাসি সব উবে গেল। টু প্রোজেক্ট পাওয়ার, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “Keep your limbs away from your body.” (টুইটে দেওয়া নিউ ইয়র্ক টাইমসের লিংকে ক্লিক করুন।) অর্থাৎ কি না সোজা বাংলাভাষায়, হাতটাত ফুলায়াটুলায়া হাঁটুন। গুরুজনরা সব বিষয়ে সর্বক্ষণ ঠিক কথা বলেন, ব্যাপারটা কী ফ্রাস্ট্রেটিং না?

সব ক্ষারই ক্ষারক, কিন্তু সব ক্ষারক ক্ষার নয়। সব ল্যাটিনোই হিসপ্যানিক কিন্তু সব হিসপ্যানিক ল্যাটিনো. . . না না, দাঁড়ান, সব হিসপ্যানিকই ল্যাটিনো কিন্তু . . . উঁহু, ব্যাপারটা অত সোজা নয়। আবার কঠিনও নয়। বিশেষ করে কমিকস এঁকে বুঝিয়ে দিলে তো নয়ই।


পেপসির নাম যদি ‘ডিসপেপসিয়া’ হত আর ইয়াহু-র নাম ‘Yet Another Hierarchical Officious Oracle? (ছবির ওপর ক্লিক করে সাইজ বাড়িয়ে নিন।)

রাউন্ড ট্রিপ, তবে দিল্লি-কলকাতা-দিল্লি নয়, একটু অন্যরকমের রাউন্ড ট্রিপের টিকিট কাটার টিপস অ্যান্ড ট্রিকস্‌ জেনে নিন।

যাঁরা কফি খেতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য সুখবর। যাঁরা চুমু খেতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্যও সুখবর। যাঁরা কফি আর চুমু দুটোই খেতে ভালোবাসেন তাঁদের জন্য তো আর কথাই নেই।


স্বর্গের সিঁড়ি। (লিংক ১, লিংক ২)

পপুলার ওপিনিয়ন। শুনেই বিপদের আঁচ পাচ্ছেন না? এবার স্বচক্ষে দেখে নিন।

এটা যদিও অ্যামেরিকানদের পক্ষে পড়া বেশি জরুরি, তবু আমরা পড়লেও ক্ষতি নেই।

Is it really in there? In your belly?  Right now? I hope you are not joking. 



Comments

  1. বাহ্ , এই ডমিনোস রেকর্ডটা তো জানা ছিল না |
    স্বর্গের সিঁড়ি দেখে ফেলেছি আগেই :D
    এরকম কফি লিডে শুধু কফির শখটাই ঠিকমত মিটতে পারে :P
    মুম্বাইয়ের ক্যাবগুলো খুব সুন্দর তো .. দেখে মনে হচ্ছে বসলেই শিল্পগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে | তার চেয়ে দেখতেই সুন্দর লাগছে | কলকাতার গ্রীন ট্যাক্সিও কিন্তু বেশ সুন্দর |
    গানটা বেশ ভালই লাগলো | :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, হংসরাজ। এত মন দিয়ে সাপ্তাহিকী পড়ার জন্য।

      Delete
    2. আমার প্রিয় আনন্দবাজার পত্রিকার চেয়ে ঢের ভালো ভালো খবর ছাপানো হয় এই সাপ্তাহিকীতে কুন্তলা দিদিভাই :D

      Delete
    3. হাহা, আরে এ সব বোলো না হংসরাজ, সবাই হাসবে।

      Delete
    4. লেখিকা নিজেই যদি এ কথায় হাসে তাহলে তাল মেলাতে হবে বৈকি :D

      Delete
  2. Kamon achho Kuntala? Onekdin por tomar lekha porlam..khub bhalo lgalo....amio onekdin por abar blog korte shuru korechhi.... amar arekti meye hoechhe...tai khub bastota...:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অভিনন্দন, অভিনন্দন, কমলিকা। সত্যি, অনেকদিন পর কথা হল।

      Delete
  3. Ramanujan comes automatically after reading 'A Mathematician's Apology'. After this try to read the autobiography of Bertrand Russel. - Gautam Banerji.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ও, ওটা আগে পড়েছি। যিনি হার্ডির বইটা পড়তে বলেছিলেন/দিয়েছিলেন, তিনিই রামানুজনের বইটা পড়ার পরামর্শ দিলেন।

      Delete

Post a Comment