শবর দাশগুপ্ত



ছোটখাটো চেহারাগোঁফ আছেমাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। চোখের দিকে তাকালে বুক কাঁপে। নেশামুক্তনারীমুক্ত। গীতা পড়েন। এই বাঙালি গোয়েন্দার নাম কী?

ইদানীং আমি বেশ টের পাচ্ছিনিজেকে গোয়েন্দাগল্পের পোকা বলে যতই জাহির করি না কেনআসলে গোয়েন্দাগল্প পড়েছি আমি খুবই কম। ইংরিজি গোয়েন্দাগল্প কেন বেশি পড়িনি সেটার তবু একটা ব্যাখ্যা হয়কিন্তু বাংলাযে ভাষার সাহিত্যে গোয়েন্দা গল্প লেখা চালু হয়েছে স্বাধীনতারও আগে থেকে (প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়পাঁচকড়ি দে)উনিশশো দুই সালে শুধুমাত্র রহস্যগল্পের জার্নাল ছাপা হয়েছে (নন্দন কানন)দিকপাল পণ্ডিতেরা সান্ধ্যসভা (হোমসিয়ানা) খুলে গলাবাজি করেছেনসেই ভাষারআমার মাতৃভাষারগোয়েন্দাগল্প আমি এত কম পড়েছি কেন তার কোনও উত্তর নেই। বাংলা গোয়েন্দাগল্পে আমার দৌড় বলতে ফেলুদা আর ব্যোমকেশতাছাড়া এদিকসেদিক কিরীটীজয়ন্তমানিকমিতিনমাসিদীপকাকু। সেলিব্রিটিভোজী সংস্কৃতির ধুয়োধরা বলে অখ্যাত লেখকদের লেখা গোয়েন্দাগল্প খুঁজে খুঁজে পড়ার চেতনা আমি দেখাতে পারিনি। কিন্তু প্রেমেন্দ্র মিত্রের মতো চেনা লেখকের লেখা পরাশর গোয়েন্দার গল্পও আমি পড়েছি হাস্যকর রকম বুড়ো বয়সে (পরাশর নিয়ে একটা পোস্ট লেখার ইচ্ছে আছে খুব)

কিন্তু তাই বলে বাংলাসাহিত্যের সমসাময়িক সুপারস্টারের সৃষ্ট গোয়েন্দার খবর না রেখে আমি এতগুলো চুল পাকালাম কী করে সেটা একটা রহস্য। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের শবর দাশগুপ্তের কথা বলছি। যার বর্ণনা লেখার শুরুতেই দেওয়া হয়েছে।

সে দোষ স্খালন হয়েছেঅবশেষে আমি শবর দাশগুপ্তকে কবজা করে ফেলেছি। অবশ্য তাঁকে কবজা করা এমন কিছু কৃতিত্বের ব্যাপার নয়। এখনও পর্যন্ত শীর্ষেন্দু তাঁকে নিয়ে লিখেছেন মোটে আটটা গল্প। ঋণ (এই গল্প থেকেই ‘এবার শবর’ সিনেমাটা হয়েছেযেটা দেখে আমি প্রথম শবর দাশগুপ্তের কথা জানতে পারি)আলোয় ছায়ায়সিঁড়ি ভেঙে ভেঙেপ্রজাপতির মৃত্যু পুনর্জন্মপদক্ষেপরূপমারীচঈগলের চোখ। এর মধ্যে ঈগলের চোখ আগে পড়া ছিল। সেটা বাদ দিয়ে বাকি সাতটা গল্প (প্লাস আরও টি থ্রিলার গল্প যা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে) পড়তে আমার সময় লেগেছে একদিনের কম। ‘শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় রহস্য সমগ্রঃ শবর অন্যান্য রহস্যকাহিনি’- ছশো কুড়ি পাতার থানইটের সাইজের বইটা শেষ করে যখন আমি টেবিলের ওপর সেটা ছুঁড়ে দিলাম (আস্তে করে)যাতে বোঝানো যায় যে আমার বইটা শেষ হয়ে গেছেতখন অর্চিষ্মান ল্যাপটপের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে এমন ভাবে আমার দিকে তাকাল যাতে বোঝা গেল যে আমার বই পড়া সংক্রান্ত থিওরিটা নিয়ে ওর মনে আর কোনও সন্দেহ নেই। আমি আসলে বই পড়ি নাপাতা উল্টে উল্টে গল্পটা সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা জন্মিয়েই খেল খতম করি।

থিওরিটা সর্বৈব মিথ্যে। হ্যাঁবাড়াবাড়ি রকম বোরিং গল্পের বইয়ের সঙ্গে আমি ওইরকম ব্যবহার করে থাকি বটেসে জন্য আমার অনুতাপও নেইকিন্তু বেশিরভাগ বইই আমি দাঁড়িকমা সেমিকোলনশুদ্ধু পড়িবলা কথানা বলা ভাবকিচ্ছু বাদ দিই না। শবরের গল্পগুলোও আমি সেইভাবেই পড়েছি। তবুও সেগুলো এত তাড়াতাড়ি কী করে পড়া শেষ হল সেটা বোঝানোর জন্য এই ছবিটাই যথেষ্ট।




যদিও উচিত নয়তবু বাঙালি গোয়েন্দা নিয়ে আলোচনা করতে বসলে ফেলুদা ব্যোমকেশের সঙ্গে তুলনাটা চলেই আসে। এঁদের সঙ্গে শবরের প্রধান তফাৎটা হচ্ছে যে এঁরা বেসরকারিআর শবর ঘোরতর সরকারি। লালবাজার সি আই ডি- উঁচু পোস্টে আছেন। শবরকে সরকারি বানানোর পেছনে শীর্ষেন্দুর যুক্তিটা শুনে নিই।


ব্যোমকেশ বা ফেলুদার কাহিনি দীর্ঘকাল বাঙালি পাঠককে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেতবে প্রাইভেট গোয়েন্দা ব্যাপারটা বাস্তবে প্রায় নেই বলা চলে। অন্তত তাঁরা কোনও খুন বা অপরাধের তদন্ত করার অধিকারী নয়। তারা বন্দুক পিস্তলও যথেচ্ছ ব্যবহার করতে পারে না। তাই আমি যখন আনন্দবাজার সংস্থার শারদীয় পত্রিকাতে লেখার জন্য আহূত হই তখন শবর দাশগুপ্ত নামক একটি গোয়েন্দাকে সৃষ্টি করি।

পুলিশ ব্যাপারটার প্রতি আমার বিতৃষ্ণা আছেপুলিশ গোয়েন্দাকেও আমি বিশেষ সুবিধের চোখে দেখি না। তাছাড়া গোয়েন্দাগিরিকে আমি ভয়ানক সম্মান করিসেটাকে দশটা পাঁচটার ভয়াবহতায় টেনে নামাতে আমার ইচ্ছে করে না। ইন ফ্যাক্ট আমার প্রিয়তম গোয়েন্দা সরকারি তো ননইতার ওপর অপেশাদার। জীবনের একমাত্র শেষ কেসটি ছাড়া জীবনের আর কোনও কেস সমাধান করার জন্য তিনি একটি পয়সাও পাননি।

শবর দাশগুপ্তের মধ্যে অবশ্য ওই চাকুরে ভাবটা একেবারেই নেই। সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে গল্পের রহস্যটা তিনি বেসরকারি দায়িত্বেই সমাধান করেন। তাছাড়া শীর্ষেন্দু শবরকে সরকারি গোয়েন্দা বানানোর পেছনে ওই যে যুক্তিটা দিয়েছেন,ওই যথেচ্ছ বন্দুক পিস্তল ব্যবহারের লাইসেন্সের সহজলভ্যতাসেটাও আমার যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। কারণ শবর দাশগুপ্ত একেবারেই মারকুটে নন। ফেলুদাযে কি না মগজাস্ত্র প্রেফার করেসেও চলন্ত গাড়ি থেকে মুণ্ডু বার করে গুলি চালিয়ে সামনের চলন্ত গাড়ির চাকা ফুটো করে দিয়েছেশবর তাও করেননি। ঋণ-এর শেষ দৃশ্যে একটা চেজ সিকোয়েন্স আছেকিন্তু তাতে ধাবক এবং ধাবিত দুজনেই খালি পায়ে দৌড়েছে।

বন্দুক পিস্তল নয়মগজাস্ত্রও নয়আমার মতে শবরের রহস্য সমাধানের মূল অস্ত্র কথোপকথন। প্রচুর কথা বলেন শবর। সন্দেহভাজনের সঙ্গেআশেপাশের চরিত্রদের সঙ্গে। কথা বলে বলে তাদের পেট থেকে কথা বার করেন। কথা বলা মানে কিন্তু জেরা নয়। লেখক বলছেন, "শবর যখন জেরা করে তখন সেটাকে জেরা বলে মনে হয় না। খুব বন্ধুর মতোই কথা বলে সেসহানুভূতির সঙ্গেকিন্তু আলাপচারিতার ভিতর দিয়েই একটু একটু সত্যের প্রকাশ ঘটে।"

ফেলুদা ব্যোমকেশ এবং পৃথিবীর আরও সব বিখ্যাত গোয়েন্দাদের সঙ্গে শবরের আরেকটা তফাৎ হচ্ছে যে তাঁর কোনও সহকারী নেই (আমার ফেভারিট গোয়েন্দারও নেই অবশ্য) গোয়েন্দার বুদ্ধির প্রমাণ দিতে গিয়ে আর কারও বোকামিকে ক্রাচ হিসেবে ব্যবহার না করার শীর্ষেন্দুর এই সিদ্ধান্তটা আমার ভালো লেগেছে। সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে গল্পে অধস্তন সহকর্মী ঘোষালের সঙ্গে এক দৃশ্যে শবর কেস নিয়ে আলোচনা করছেন বটেকিন্তু ওইটুকুই। আরেকটা বলার মতো ব্যাপার হচ্ছে শবরের সব কেসই কলকাতায়। গোয়েন্দাগল্পের অধিকাংশ লেখকদের উদ্দেশ্য থাকে রহস্য সমাধানের ছুতোয় পাঠককে খানিকটা দেশভ্রমণ করানোর। ফেলুদা গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে হিল্লিদিল্লিলন্ডন করেছেনব্যোমকেশও শরীর সারানোর ছুতোয় বা কেসের বরাত পেয়ে কলকাতা শহরের বাইরে গিয়ে দুষ্কৃতীদমন করেছেনমিতিন মাসির গল্পকে তো আমার অনেক চেনা লোক ভ্রমণ কাহিনী ছাড়া অন্য কিছু বলতে নারাজকিন্তু শবর দাশগুপ্ত খালি কলকাতা পুলিশের খেয়ে কলকাতার দুষ্কৃতী তাড়ান। তাদের তাড়া করেও কখনও কলকাতার বাইরে যান না।

শবর দাশগুপ্তের আরেকটা রহস্যজনক ব্যাপার হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনের অনুপস্থিতি। শীর্ষেন্দু শবরকে রক্তমাংসের মানুষ করতে করতেও যেন করেননি। 

আমি ইচ্ছে করেই শবরকে সবরকম মানুষী দুর্বলতা থেকে মুক্ত করেছি। সে মদ খায় নাধূমপান করে নাকোনও প্রেম ভালবাসা বা পরিবারও নেই।


সে না হয় না থাকলকিন্তু শবরের বাড়িও নেই। আপনার ইচ্ছে করলেও আপনি জানতে পারবেন না শবর বাড়ি গিয়ে কী করেটিভি দেখে?  নাকি গল্পের বই পড়েগোয়েন্দাগল্প পড়েশবরের প্রিয় গোয়েন্দা কেনাকি শবর নিজেকেই পৃথিবীর সবথেকে বড় গোয়েন্দা মনে করেশবর তাঁর পাঠকদের ধরাছোঁয়ানাগালের এতই বাইরে যে আমি তাঁকে যে নিজের মনেও একটু কল্পনা করে নেব তার জো নেই। হ্যাঁমাঝে মাঝে লেখক শবরের গোঁফ বা কটস উলের শার্টের কথা লিখেছেনকিন্তু তাতে আর কতটুকু হয়। একটা লোকের আশপাশবাঁচার ধরণধারণরোজকার অভ্যেসমুদ্রাদোষের ফাঁকফোকর গলে সেই লোকটার মাথার মধ্যে ঢুকতে না পারলে আমি আবার সেই লোকটাকেও আমার মাথার ভেতর জায়গা দিতে পারি না। শবরকেও পারিনি। তাঁকে নিয়ে লেখা আট আটখানা গল্প পড়ে ফেলার পরও শবর আমার কাছে ধোঁয়া ধোঁয়াই রয়ে গেছেন।

তবে আমার চেনা গোয়েন্দাদের সঙ্গে শবরের সবথেকে বেশি অমিলের জায়গাটা হচ্ছে অপরাধ অপরাধীর প্রতি তাঁর মনোভাব। "তার পাথুরে চরিত্রনির্বিকার হাবভাব এবং আবেগহীন আচরণ দেখে বোঝা যায় না যেআসলে লোকটা কতখানি সংবেদনশীল।" খুনের আসামীকে পিছু ধাওয়া করে ধরে ফেলে শবর তাকে জিজ্ঞাসা করেনসে আগে পালায়নি কেন। কিছুতেই কিছু প্রতিক্রিয়া নেই তাঁর। ভয় নাচমক নাঘৃণা নামায়া না। অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া সহকর্মীকে তিনি গীতা পড়তে বলেন। যাতে সে বোঝে "ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্তোত্বিষ্ঠ পরন্তপ।"

দুহাজার পনেরো সালে শবর দাশগুপ্তের এযাব লেখা হওয়া যাবতীয় গল্পের সংকলনে লেখক বলেছেন, “সিরিয়াস লেখার ফাঁকে ফাঁকে আরও কয়েকটি শবর উপাখ্যান লেখার একটা ইচ্ছে আমার আছে।” তাঁর ইচ্ছে পূরণ হোকপাঠক হিসেবে আমার এই কামনা।


Comments

  1. Shobor aamar anyotomo priyo goyenda.......aamar byaktigoto vabe kothopokothon er madhyome rahosyo uddhar darun laage!..
    similar type rahosyo sandhan arekjon kore thakten..Narayan Sanyal er P K Basu........jerar madhyome.........asha kori porechhis.......
    by d way, police er inspector goyenda arekjon royechhen...Nilanjan Chattopadhyay er Rajib Mitra.......mondo noy...chaile try koris........jotodur mone porchhe Rajib Mitra er o kono sangi nei.....
    anyo rokom goyenda porte chaile Sujan Dasgupta er Eken babu try koris.....unusual confused dekhte.....kochkano jama pora, kpite r sabai ke Sir/Madam bole abhyosto!..unio kotha bartar madhyome mainly rahosyo samadhan koren!
    bijnan bhittik rahosyo samadhane Tridib Chattopadhyay er Jogu mama mondo noy......

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে শাশ্বত, থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ। পি কে বসু আর জগুমামার সঙ্গে পরিচয় আছে, কিন্তু বাকি দুজনের নামই জানতাম না। এবার পড়ব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
    2. P.K.Basu banano hoyechhe Earl Stanley Gardner-er Parry Mason-er adole

      Delete
    3. jani kintu tate PK Basu er pathok der khub 1ta khoti hoi na....Narayan Sanyal er bhasha tei boli "jara moumachhir madhu apeksha urnonabho er urna beshi pochhondo koren original bole tara tader pochhondo niyei thakuk" (exact wording noi kintu)..P K Basu porte porte mone hoi na je onake ekhane manachchhe na.bidesher mati te manato! prekshapot/potobhumi tairy te lekhoker munsiyana etotai!

      Delete
    4. হাই ফাইভ, শাশ্বত।

      Delete
  2. ami aktai golpo porechi aj obdi. Rin. bohu jonmo age sharodiya sonkhya te. tai ebar shabar release howar somoy ami besh ket nite perechilam bondhumohole.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এটা কেত নেওয়ার মতোই ব্যাপার, কুহেলি।

      Delete
  3. Shobor porechhi sobkotai, bhalo o legechhey. kintu oi je bolle "dhnoya, dhnoya" r sejonyai living room periye Shobor ekhono bed room e dhukte areni. Adh porichito hoyei theke gechhey.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হুম, সেটাই মুশকিল চুপকথা। বেশি খুলে বললে রহস্য চলে যায় আবার রেখ্রেঢেকে বললে মনে ঢোকে না।

      Delete
  4. amar motamuti legeche , lekhok shoborke hoyto hridoy dourbollo theke mukto korechen , kintu golpo gulo beshir bhag i hridoydourboly niye. siri bhenge bhnnge tobu ektu onyorokom monostotto pawa jay , tobuo ki jeno missing mone hoy sob golpei , ki jenor obhab . Hoyto tomar bola kothatai thik.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার প্রথম লাইনটা একেবারে মোক্ষম। প্রদীপ্ত। সিরিয়াসলি। লোকের রোম্যানটিক/সেক্সুয়াল জীবন যে কত জটিল হতে পারে সেটা জানতে গেলে শীর্ষেন্দু পড়তে হবে।

      Delete
  5. আমি আসলে বই পড়ি না, পাতা উল্টে উল্টে গল্পটা সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা জন্মিয়েই খেল খতম করি।
    -- ওপরের কথাটা আপনার জন্য সর্বৈব মিথ্যে হতে পারে, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ঘোর সত্যি। কিন্তু আমি এহেন পাষণ্ড, আমার এতে কোন অনুতাপও হয়না।
    শবর দাশগুপ্তের গল্প আমি গোটা দুয়েক পড়েছি, ভালোই লেগেছিল। কিন্তু বাকিগুলো খুঁজে পড়ার কোন তাগিদও বোধ করিনি। ক্যারেকটার টা খারাপ নয় যদিও।
    অনেকেই সিডনি শেলডন সায়েবকে পছন্দ করে না, আমিও তাদের মধ্যে একজন। ভদ্রলোক একই গল্প বিভিন্ন নামে লিখে বহু বই ছেপেছেন। কিন্তু সিডনি শেলডন সায়েবের গোয়েন্দারাও এরকমই নির্বিকার এবং আবেগহীন হন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিডনি শেলডন আমি সেই মাস্টার্সের সময় খুব পড়েছিলাম। হোস্টেলের লাইব্রেরিতে ঠেসে ওঁর বই ছিল। এখন বেশি কিছু মনে নেই, খালি মনে আছে হুবই সিনেমার মতো ছিল গল্পগুলো। সেটা অবশ্য স্বাভাবিক। ভদ্রলোক শুনেছি অ্যাওয়ার্ড জেতা চিত্রনাট্যকার ছিলেন।

      Delete
  6. goenda hukokashi r kolkekashi ke poroni? Hukokashi kar bhule gechi kolkekashi shibram er lekha.

    ReplyDelete
    Replies
    1. অল্প পড়েছি, চুপকথা। এঁদের কথাও ভুলেই গিয়েছিলাম। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

      Delete
  7. এই ওয়েবসাইটটা দেখতে পারেন। বেশ কিছু ইনফো আছে।
    http://www.bengalimystery.com
    আমি মন্তব্য করি না বললেই চলে। আমার যা বলার থাকে তা অন্যরা আগেই বলে দেন। তবে আপনার নতুন পোস্টের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। ভালো থাকবেন আর অনেক অনেক পোস্ট চাই। - সৌগত

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সৌগত। সাইটটার খবর আর উৎসাহ, দুটোর জন্যই।

      Delete
  8. bah bah,ei samagra tar kothai bolchilam,kemon laglo bikeler mrityu?jaygay jaygay besh comedy ache na?

    indranath rudra porecho?

    tomar hobe go,,,hobe..ei motka boi ta ek dine??...jio

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিকেলের মৃত্যু ভালো লেগেছে, প্রসেনজিৎ। ইন্দ্রনাথ রুদ্র পড়িনি। এবার পড়ার চেষ্টা করব। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  9. আহ! লালবাজারের গোয়েন্দা শবর দাশগুপ্তকে নিয়ে যে কোন পোস্ট পাবো, ধারনা করিনি। শীর্ষেন্দুর এই চরিত্র আমার অত্যন্ত ফেভারিট। সংলাপের মাধ্যমে পুরো ঘটনাটা তুলে আনার জন্যই বোধহয়। তবে শীর্ষেন্দুর রহস্য গল্পগুলোর মধ্যে সেরা হলো কালো বেড়াল সাদা বেড়াল। শবরের সিনেমাগুলোর নির্মানও ভালো হয়েছে, যদিও আসছে আবার শবর সিনেমায় গোয়েন্দা গল্পটা গৌণ হয়ে গিয়েছিল।

    ভালো থাকবেন :)

    ReplyDelete

Post a Comment