এ মাসের বই/ ডিসেম্বর ২০১৬ঃ বইয়ের বোঝা



এই পোস্টটা লিখতে যে এত দেরি হল সে অপরাধ পুরোটা আমার নয়। আমি লিখতে শুরু করেছিলাম অনেকদিন আগেই। ‘ডিসেম্বর মাসের বই’ নামের একটা ফাইল অবান্তর-এর ‘ওয়ার্ক ইন প্রোগ্রেস’ ফোল্ডারে রাখাও ছিল। আমি নিজে রেখেছিলাম। গোটা ডিসেম্বর মাস ধরে যতবার ওই ফোল্ডারে ঢুকছিলাম, চোখে পড়ছিল। জানুয়ারি মাসের শুরুতে একদিন দেখলাম ফাইলটা নেই। আমি বেশি মাথা ঘামালাম না। সাতদিন বাদে যখন জানুয়ারি মাসের বইয়ের ফাইল খুলে ফোল্ডারে সেভ করা হল তখন আরেকবার ডিসেম্বরের হারানো পোস্টের কথা মনে পড়ল। এবারে আমি আরেকটু সময় নিয়ে (দু’মিনিট) খুঁজলাম এবং আবারও খুঁজে না পেয়ে বেরিয়ে এলাম। ভাবলাম, কোথায় আর যাবে। উবে তো আর যায়নি। আছে নিশ্চয় এখানেই আমার চোখে পড়ছে না।

জানুয়ারির অর্ধেক যখন চলে গেল তখন আমার টনক নড়ল। আমি নির্দিষ্ট ফোল্ডারে ঢুকে ডিসেম্বর মাসের বইয়ের পোস্ট খুঁজলাম,আঁতিপাঁতি করে, পেলাম না। সে ফোল্ডার থেকে বেরিয়ে এসে অন্য ফোল্ডারে ঢুকলাম, খুঁজলাম, সেখানেও নেই। পোস্টটা সত্যিই উবে গেছে।

কাজেই আবার নতুন করে লিখতে হচ্ছে। ভাগ্যিস ডিসেম্বর মাসে বেশি বই পড়িনি (তার মধ্যে একটা আবার নভেম্বর মাসের)। যে দুটো বইয়ের কথা লিখতে যাচ্ছি তাদের নিয়ে বলার কথা আমার অনেক ছিল, কিন্তু এখন লেখার সময় নেই। তাই কম করেই লিখছি। কেন যেন মনে হচ্ছে সেটা শাপে বরই হবে।

***** 

তবে বইয়ের কথায় যাওয়ার আগে অন্য একটা কথা বলি। শিল্পকর্ম ব্যাপারটাই সাবজেক্টিভ, একই জিনিস একজনের ভালো একজনের খারাপ লাগতে পারে, কথাটা সেটা নয়। কথাটা হচ্ছে কোনও শিল্পকর্ম খারাপ লাগলে আমরা যে ভাবে খারাপ লাগাটা প্রকাশ করি তার প্রকারভেদটা। আরও পরিষ্কার করে বললে, শিল্পকর্মভেদে (নাকি শিল্পীভেদেই বলা উচিত) আমার মতো হিপোক্রিটদের খারাপ লাগা প্রকাশ করার ধরণটা।

যেমন সেদিন টিভিতে ‘বসতির মেয়ে রাধা’ হচ্ছিল। খেতে খেতে দেখছিলাম আর কী করে এত খারাপ সিনেমা বানায় লোকে ভেবে ভেবে আশ্চর্য হচ্ছিলাম। মিনিট দশেক পর আর থাকা গেল না, চ্যানেল চেঞ্জ করতে হল। ওই চ্যানেলেই যদি ‘কোমল গান্ধার’ চলত, তখনও আমি খানিকক্ষণ দেখার পর চ্যানেল চেঞ্জ করতাম এবং যুক্তি হিসেবে বলতাম, নিশ্চয় খুব ভালো জিনিসই হচ্ছে, আমিই নিশ্চয় বুঝতে পারছি না। 

কমলকুমারের বাংলা পড়েও “এটা কী, বস্‌?” বলার সাহস আমার হয় না, কারণ যাঁরা কমলকুমারকে বাংলা সাহিত্যের দিকপাল আখ্যা দিয়েছেন তাঁদের বিদ্যাবুদ্ধি সম্পর্কে আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। এবং তাঁরা যে বাংলা গদ্য আমার থেকে ভালো বোঝেন সে নিয়েও সংশয় নেই। 

অর্থাৎ আমার কোনকিছু ভালো লাগা না লাগার (বা সেটা প্রকাশ্যে স্বীকার করা না করার) একটা বিরাট অংশ পরের মুখে ঝাল খাওয়া। যাঁদের আমি সে বিষয়ে আমার থেকে বেশি জ্ঞানী এবং বুদ্ধিমান মনে করি, তাঁদের মত আমার নিজস্ব মতের থেকে বেশি ন্যায্য মনে করি। 

এবং এটা করা যে একেবারে অযৌক্তিকও নয় সেটাও আমি মানি। আমি নিজে আমির খানের আলাপ পাঁচ মিনিট শুনে “ওরে বন্ধ কর, বন্ধ কর, বন্ধ কর’ বলে লোককে কান চেপে দৌড়ে পালাতে দেখেছি। অথচ আমি দৃঢ়নিশ্চিত, আমির খানের আলাপ অতি ভালো জিনিস, এবং যে সেটার স্বাদগ্রহণ করতে পারছে না সে বুঝতে পারছে না বলেই করছে না। মার্গসংগীতের সঙ্গে তার পরিচয় নেই, তাই অমৃত গরল ঠেকছে। 

কাজেই আমার ভালো না লাগা বেশিরভাগ শিল্পকর্মই যে আমি বুঝতে পারছি না বলেই ভালো লাগছে না সেটা মেনে নিতে আমার কোনও অসুবিধে নেই। আমার খচখচানিটা শুধু একটা জায়গায়। ‘বসতির মেয়ে রাধা’-ও যে আমি না বুঝতে পারি সেটা আমার কখনও মাথায় আসে না কেন। 

এত কথা বললাম শুধু এই কারণে যে নিচে যে দুটো বইয়ের কথা বলব, তাদের কোনওটাই আমি বুঝিনি।

*****

The Secret History/ Donna Tartt

উৎস গুগল ইমেজেস

না টার্টের বিখ্যাত আত্মপ্রকাশকারী উপন্যাস ‘দ্য সিক্রেট হিস্টরি’ শুরু হয় গল্পের বক্তা রিচার্ড পাপেন-এর স্বীকারোক্তি দিয়ে। সে ও তার চার বন্ধু মিলে তাদের দলের ষষ্ঠ বন্ধুকে খুন করেছে। পরের পাঁচশো চুয়াল্লিশ পাতা ধরে এই খুনের ব্যাকস্টোরি উন্মোচিত হয়। অর্থাৎ চিরাচরিত হুডানইটের বদলে, হোয়াইডানইট। 

বিশ্বসাহিত্যে আনলাইকেবল চরিত্র সৃষ্টির প্রতিযোগিতায় ফার্স্ট প্রাইজ যদি আয়ান র‍্যান্ড জেতেন, ডনা টার্ট বেশি পেছনে থাকবেন না। প্রথমে প্রোটাগনিস্ট রিচার্ড পাপেনের কথা ধরা যাক। ক্যালিফোর্নিয়ার পিয়ানো (কাল্পনিক) নামের একটি অখ্যাত ছোট শহরের একটি নিম্নমধ্যবিত্ত এবং অসুখী পরিবারের ছেলে রিচার্ড। রিচার্ড পাপেনের চরিত্র সম্পর্কে দু’লাইন গল্পের শুরুতে তার নিজের মুখেই বলিয়ে নিয়েছেন। 

Does such a thing as ‘the fatal flaw,’ that showy dark crack running down the middle of a life, exist outside literature? I used to think it didn’t. Now I think it does. And I think that mine is this: a morbid longing for the picturesque at all costs.

স্রেফ নিজের ‘আনপিকচারেস্ক’ জীবন থেকে পালাতেই রিচার্ড ভারমন্ট রাজ্যের হ্যাম্পডেন কলেজে পড়তে যায়। প্রথমে সে গিয়েছিল ডাক্তারি পড়তে, তারপর বদলে সাহিত্য, তারপর রিচার্ডের নজরে পড়ে গ্রিক সাহিত্যের ছাত্রের একটি দলের দিকে। চারটি ছেলে ও একটি মেয়ে। প্রত্যেকেই ধনী ঘরের। তাদের সাজপোশাক, আচারব্যবহার বাস্তব থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন, প্রত্যেকেই নিজেদের ছাড়া আর কারও সঙ্গে মেশার প্রয়োজন মনে করে না। আমাদের রিচার্ড তাদের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং এই বড়লোক, উন্নাসিক দলটিতে নিজের নাম লেখানোর অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ থেকেই একরকম, নিজের ক্লাস ছেড়ে গ্রিক সাহিত্যের ক্লাসে ভর্তি হয়। 

তারপর গল্প শুরু হয়। গল্প অর্থাৎ খুনের ব্যাকস্টোরি উন্মোচন। 

দ্য সিক্রেট হিষ্ট্রি ডনা টার্ট-এর প্রথম উপন্যাস। কিন্তু আর পাঁচজন বিখ্যাত লেখকের আর পাঁচটা প্রথম উপন্যাসের থেকে আলাদা। বিখ্যাত প্রকাশনী অ্যালবার্ট নফ ‘সিক্রেট হিস্ট্রি’ ছাপে। অন্যান্য আত্মপ্রকাশকারী উপন্যাস যেখানে প্রথম সংস্করণ দশ হাজার কপি ছাপা হয় সেখানে সিক্রেট হিস্ট্রি ছাপা হয়েছিল পঁচাত্তর হাজার কপি। বই কেউ পড়ার আগেই নক্ষত্র হয়ে গিয়েছিলেন ডনা টার্ট। বই ছাপা হয়ে বেরোনোর পর সে ইমেজ আরও ঝকঝকে হয়েছে। 

আমি অবশ্য সিক্রেট হিস্ট্রি দিয়ে ডনা টার্ট শুরু করিনি। আমি প্রথম পড়েছিলাম গোল্ড ফিঞ্চ। গোল্ড ফিঞ্চ পড়ে আমার ওঁর লেখা সম্পর্কে যে ধারণা হয়েছিল, দুঃখের বিষয়, সিক্রেট হিস্ট্রি পড়ার পর সে ধারণাটা আরও জোরালো হয়েছে। 

সেটা হচ্ছে ডনা টার্ট আমার জন্য নন। যদিও ডনা টার্ট কেন এত জনপ্রিয় এবং সমালোচকরা কেন ওঁকে নিয়ে এত উচ্ছ্বসিত সেটা বোঝা শক্ত নয়। ইদানীংকালে সফল, বাজারি উপন্যাসের যে ধারা, যে চলন, প্লট পয়েন্ট যে যে জায়গায় রাখার “নিয়ম”, গদ্য ভালো হওয়ার জন্য যা যা টিপস অ্যান্ড ট্রিকস (যেমন, ঝরঝরে, গতিময় ইত্যাদি) সব যেন ধরে ধরে ভাঙতে ভাঙতে গেছেন লেখক। প্লটের বাঁধুনির প্রতি শুধু মনোযোগ খরচ করেননি তা নয় (কেন খুন সেটা উন্মোচন হয়ে গেছে দুই তৃতীয়াংশেই, তারপরও গল্প চলতে থাকে, কী উদ্দেশ্যে আমি ঠিক নিশ্চিত নই) লেখার ক্ষেত্রে লেখার ক্ষেত্রে ম্যাক্সিমালিজম বলে যদি কিছু থাকে তাহলে তার সাধনায় যেন বসেছেন লেখক। প্রতিটি কথা, প্রতিটি কথোপকথন, অকিঞ্চিৎকর কথোপকথন লিখে গেছেন মনের আনন্দে। 

অনেকেই বলেছেন, এটা লেখকের ইচ্ছাকৃত। আধুনিক ‘কমপ্যাক্ট’ নভেলের বদলে উনি অনুসরণ করেছেন ভিক্টোরিয়ান নভেলের চলন, যখন পাঠকরা বই আকারে সেগুলো পড়ত না, পড়ত ধারাবাহিকের চেহারায়। কাজেই প্লটের সংবদ্ধতার থেকে চরিত্রদের সঙ্গে সময় কাটানোটাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তাহলে বলতে হবে, প্রায় সাড়ে পাঁচশো পাতা ধরে সিক্রেট হিস্ট্রি-র চরিত্রদের সঙ্গে সময় কাটিয়েও আমি তাদের সকলের সম্পর্কে সমান অবগত হতে পারিনি। দ্বিতীয় সারির চরিত্রদের কথা যদি ছেড়েও দিই (যেমন, গ্রিক সাহিত্যের মাস্টারমশাই জুলিয়ান), গল্পের প্রধান ছয় চরিত্র, ছয় বন্ধুর মধ্যে মোটে তিনটি চরিত্র সম্বন্ধে আমাদের তবু সামান্য কিছু ধারণা জন্মায় তারা হল রিচার্ড, চার্লস আর ‘বানি’ ওরফে এডমন্ড। বাকি তিন প্রধান চরিত্র, ক্যামিলা, চার্লস এবং ফ্রান্সিস ছায়া হয়েই থেকে যায়। 

ডনা টার্টের দুটো উপন্যাস পড়ে আরও একটা জিনিস আমার নজরে পড়েছে, তা হল, কোনও একটা বাহ্যিক থিমের প্রতি লেখকের ‘অবসেশন’। গোল্ড ফিঞ্চ-এ ছিল আর্ট, সিক্রেট হিস্ট্রি-তে সাহিত্যের ইতিহাস। কী অসামান্য জ্ঞানের প্রকাশ রেখে গেছেন লেখক ছত্রে ছত্রে, এবং এ বই লিখতে তাঁকে কত পড়াশোনা করতে হয়েছে, ভাবা যায় না। সেগুলোর যথাযথ মর্যাদা যে করতে পারলাম না, সে জন্য সত্যি বলছি আমার আফসোস আছে, কিন্তু এও সত্যি যে আমার আর ধৈর্য থাকছিল না। 


Tenth of December/ George Saunders




উৎস গুগল ইমেজেস

২০১৩য় জর্জ সন্ডার্স-এর ছোটগল্প সংকলন টেনথ অফ ডিসেম্বর প্রকাশিত হওয়ার পর নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছিল, দ্য বেস্ট বুক ইউ উইল রিড দিস ইয়ার। দ্য টাইমস সন্ডার্সের মধ্যে “অরওয়েল অফ দ্য মিলেনিয়াম” হয়ে ওঠার ছায়া দেখেছে। লেখক জেডি স্মিথ বলেছেন মার্ক টোয়েনের পর অ্যামেরিকায় এই রকম স্যাটায়ারিস্ট আর জন্মায়নি। 

দশটি ছোটগল্প নিয়ে তৈরি টেনথ ডিসেম্বর। এক পাতার গল্প থেকে শুরু করে কুড়ি-পঁচিশ পাতার গল্পও আছে। মাসখানেক আগে পড়েছি, একটি গল্পও আমার মনে নেই। (এটা একটু অতিকথন হল বোধহয়, কারণ এখন এক মিনিট থেমে ভাবতে গিয়ে একটা গল্পের আবছায়া মনে পড়ছে।) জর্জ সন্ডার্স-এর লেখার একটা অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে পাঠককে একেবারে গল্পের মাঝখানে ফেলে দেওয়া। তারপর তাকে সাঁতরে তীরে ওঠার জন্য হাঁকপাঁক করতে দেখা। কে যে বলছে, কী যে বলছে, কেনই যে বলছে, এ সব আপনাকে ‘ফিগার আউট’ করতে হবে, কোনও সূত্র ছাড়াই। জর্জ সন্ডার্সের স্টাইলের ভক্তেরা এটাকে গুণ বলেই ধরেন। কারণ সন্ডার্স পাঠককে বোকা ধরে নিচ্ছেন না, পাঠকের বুদ্ধির ওপর সন্ডার্সের আস্থা আছে, তিনি চামচে করে পাঠককে গল্প গিলিয়ে দেওয়ায় বিশ্বাসী নন। তাঁর গল্পের রসাস্বাদন করতে গেলে পাঠককে পরিশ্রম করতে হবে। 

 আমি পরিশ্রম করেছিলাম, বিশ্বাস করুন, কিন্তু পারিশ্রমিক এতই কম জুটল যে পড়তা পোষালো না। বই মুড়ে রাখার পর থেকে যত সময় যাচ্ছে গল্পগুলো তত ফিকে হয়ে আসছে, জ্বলজ্বলে হয়ে থাকছে শুধু লেখকের চাতুরী। 



Comments

  1. Darun laglo post ta. Goldfinch boita ami haate niye dekhechhi, kintu kiram jeno legechhilo, tai r pora hoyni. Ei boitao ekbar ontoto haat e niye dekhbo tahole...
    Kamalkumar Majumdar somporke ami apnar songe ekmot. Onekbar chesta korechhi, r protibar i khanto hoyechhi. :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অরিজিত। গোল্ড ফিঞ্চ আমার শুরুতে খুবই ভালো লাগছিল অ্যাকচুয়ালি, টার্টের বর্ণনা চমৎকার, সবকিছু যেন চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম, কিন্তু তারপর গল্প সেই যে গড়াতে শুরু করল... আপনি পড়ে দেখতে পারেন।

      Delete
  2. Ore baba. Goldfinch je ki kharap legechhilo bola jay na. Last 100 patar agei roney bhongo diyechhilam. Tumi je sahos kore onyo boitao pore felechho, etey khubi impressed holam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. মহিলা লিখতে যে কত ভালোবাসেন বোঝা যায়, কোনও কারণ ছাড়াই পাতার পর পাতা লিখে যান। সিক্রেট হিস্ট্রি পড়ার পেছনে আমার সাহসের থেকেও বইটা যে ফ্রি-তে পাওয়া যাচ্ছে সেই ফ্যাক্টরটা বেশি কাজ করেছে, বিম্ববতী।

      Delete
  3. পরের মুখে ঝাল খাওয়ার ব্যাপারটা একদম ঠিক বলেছো। কোনো বই পড়ে ভালো লাগলে পড়তে পড়তেই বইটার রিভিউ খুজতে শুরু করি, অণ্য জ্ঞাণীগুণীদেরও বইটা ভালো লেগেছে তো! কিনতু তাহলে কি ভালো খারাপ বলে সত্যিই কিছু নেই? শুধু ভালো লাগা অথবা খারাপ লাগারই বিভিন্ন স্তর? স্টোনার শেষ করেছি, জীবনের সার কথাটা বলতে যে অনেক মোটা বই লেখার দরকার নেই তার প্রমাণ এটা। দুঃখের যদিও, ততোটা লাগেনি পরের দিকে। কারণ লেখকের মুখের এই কথাগুলোই আমারও মনে হয়েছিলো, "A lot of people who have read the novel think that Stoner had such a sad and bad life. I think he had a very good life. He had a better life than most people do, certainly. He was doing what he wanted to do, he had some feeling for what he was doing, he had some sense of the importance of the job he was doing" etc. শুধু তাই নয়, উনি সত্যিকারের ভালোবাসাও পেয়েছিলেন, যত ক্ষণস্থায়ী হোক না কেন, কজন সেটাই বা পায়!
    এরপর লিস্টে আছে A girl is a half formed thing, দেখা যাক দাঁত ফোটাতে পারি কিনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে পারবেন তো বটেই, অমিতা। পড়ে ফেলুন, ভালোখারাপ যাই লাগুক না কেন, জানার অপেক্ষায় থাকলাম। স্টোনার সম্পর্কে আপনার এই মন্তব্যটা "জীবনের সার কথাটা বলতে যে অনেক মোটা বই লেখার দরকার নেই তার প্রমাণ এটা।" মনে রেখে দিলাম।

      Delete
  4. গোল্ড ফিঞ্চ সম্পর্কে উৎসাহিত হয়ে ইন্টারনেটে পড়ে দেখলাম সবথেকে উচু স্তরের সমালোচকরা কিন্তু এটাকে পাতে দেবার যোগ্য মনে করেননি। পড়েছো নিশ্চয় তবু শেয়ার করলাম - http://www.oregonlive.com/books/index.ssf/2014/12/why_the_backlash_against_donna.html
    http://www.newyorker.com/magazine/2013/10/21/the-new-curiosity-shop

    ReplyDelete

Post a Comment