হলে গিয়ে



‘মাইন্ড সিজ হোয়াট ইট ওয়ান্টস টু সি’ হতে পারে, কিন্তু সত্যি সত্যিই আমার আর অর্চিষ্মানের মধ্যে মিল খুব বেশি। অমিলও যে নেই তা নয়। প্রচুর আছে। একজন বেগুন বলতে অজ্ঞান, অন্যজন দুচোখে দেখতে পারে না, একজন সারাদিন এন ডি টি ভি আর নিউজলন্ড্রি, অন্যজনের ব্রেকিং আর নিউজ শব্দদুটো পরপর শুনলে প্যালপিটেশন হয়। একজনের আনুগত্য আজীবন, অন্যজন মনে করে কবে ভালো শিল্প ফলিয়েছিলাম তা একজনের বাকি জীবন বাজে বকার লাইসেন্স হতে পারে না। 

কিন্তু আমার এও মনে হয় যে এই অমিলগুলো খুব একটা ম্যাটার করে না। দৈনিক মেনু থেকে বেগুন বাদ পড়লেও পুষ্টি কিছু টের পাওয়ার মতো কম পড়ে না, টিভি দেখার কমন সময়টুকুতে সংগীত বাংলা কিংবা সি আই ডি দেখলে জেনারেল নলেজে তেমন কিছু তফাৎ হয় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কত বিষ উগরোলো তা নিয়ে চা খেতে খেতে টুকটাক তর্ক চলতে পারে, তার বেশি সম্পর্কে আঁচড় পড়ে না।  

কিন্তু যে বিষয়গুলোতে আঁচড় পড়লেও পড়তে পারত (ইন ফ্যাক্ট পড়তই, আমার বিশ্বাস) সেগুলোতে আমাদের প্রায় আনক্যানি মিল। মাসমাইনের কতখানি কোনদিকে যাবে, রাতে ডালভাততরকারির ফাঁদে পড়তে হবে নাকি ম্যাগিই যথেষ্ট,  জিনসের ছেঁদাটা পাঞ্জাবীর আড়ালে না হয় থাকল আর ক’দিন কিন্তু ইন্টারনেট ঢিলে হতে দেওয়া চলবে না, এই সব মরণবাঁচন সিদ্ধান্তে আমি আর অর্চিষ্মান সবসময়েই একমত। আর সে জন্যই অর্চিষ্মানের সঙ্গে সহাবস্থান বড় আরামের। 

ইদানীং সে আরামে একটি ছোট কাঁটা টের পাচ্ছি। কাঁটা বলা বাড়াবাড়ি, বরং কাঁকর বললে ঠিক হয়। সেটা হচ্ছে সিনেমা দেখা। বাড়ি বসে সিনেমা দেখা নয়, কারণ প্রতি রাতেই আমরা অনলাইন কিছু না কিছু দেখি, গোটা বা খণ্ড, তাতে রুটি তরকারির স্বাদ ডবল হয়ে যায়। 

আমার অসুবিধে হয় হলে গিয়ে সিনেমা দেখায়। এবং অসুবিধেটা নতুন। হলে গিয়ে সিনেমা আমি অন্যান্য সুস্থস্বাভাবিক মানুষের মতোই অনেক দেখেছি এবং কিচ্ছু অসুবিধে টের পাইনি।

ক্লাস ফাইভে মাখলার দীপক সিনেমাহলে গিয়ে চার্লি চ্যাপলিন দেখার কথাটাই মনে পড়ছে, তার পেছনে আর স্মৃতি এগোচ্ছে না। আমি সিনেমা দেখেছিলাম, হলের সিটে বাসা বাঁধা ছারপোকা আমাকে দেখেছিল, দেখে এত পছন্দ হয়েছিল যে আমার খয়েরি রঙের টিউনিকের সেলাইয়ের ভেতর চেপে আমার বাড়ি পর্যন্ত বাড়িতে এসেছিল। তার পর কী হয়েছিল আমার মনে নেই, তবে মা নিশ্চয় ভোলেননি। 

ছোটবেলায় এত কমবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ হয়েছে, যে প্রায় প্রত্যেকটি যাওয়াই স্পষ্ট মনে আছে। হল ছিল না বলে যাওয়া হত না তেমন নয়। যাওয়া হত না কারণ আমার বাবামা বিশ্বাস করতেন (এখনও করেন) সিনেমা দেখতে অ্যালাউ করা আর মেয়ের হাতপা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়ার একই ব্যাপার। রিষড়ার হলের নাম ছিল জয়ন্তী। জয়ন্তীর পাড়াতেই ছিল বিধান কলেজ। রসিকতা চালু ছিল যে বিধান কলেজের ক্লাসগুলো আসলে হয় সব জয়ন্তীতে। শেওড়াফুলিতে ছিল উদয়ন, সেখানে আমি ফার্স্ট ইয়ারের পরীক্ষা চলাকালীন বাবামায়ের সঙ্গে লগান দেখতে গিয়েছিলাম। শ্রীরামপুরের ছিল মানসী। পিসির সঙ্গে দোতলার সিটে বসে দেখেছিলাম পারমিতার একদিন। তখন ভাষাদিবস অনেক কম লোকে পালন করত কিন্তু হলের নামগুলো সব বাংলায় ছিল। একটাই নন-বাংলা নাম মনে পড়ছে, কোন্নগরের চলচ্চিত্রম্‌। এখানে দেখেছিলাম বাবার সঙ্গে জুরাসিক পার্ক। কোন জামাটা পরে গিয়েছিলাম সেটাও মনে আছে। এই সব হলের বেশিরভাগই আর নেই। মানসী নেই, চলচ্চিত্রমও নেই বোধহয়। শুধু স্টপেজগুলোর নাম হলের নামে রয়ে গেছে। 

হলে গিয়ে সিনেমা দেখার ফ্রিকোয়েন্সি বলার মতো বাড়ল কলেজে উঠে। বেথুনের সামনে থেকে ট্যাক্সি নেওয়া হত লাইটহাউসে যাওয়ার জন্য, ড্রাইভার বাদ দিয়ে ন’জন। ভাগ্যিস তখন ট্যাক্সিগুলো অ্যামবাসাডর মডেলের হত। দরজা খুলে প্রথম দুজন পড়ে যেত, তারপর বাকিরা স্বাভাবিক ভাবে নামত। মাঝে মাঝে বাসেও যেতাম, কিন্তু তাতে কিছু বদমেজাজি মাঝবয়সীরা বিরক্তি প্রকাশ করতেন মনে আছে। তাঁদের মতে আমরা নাকি দরকারের থেকে বেশি কথা বলতাম আর দরকারের থেকে অনেক বেশি হাসতাম। একজন বলেছিলেন, উফ যেন মাছের বাজার। কলেজে ওঠার পর দেখা সিনেমার চরিত্রও বদলেছিল। এতদিনের শিশুশিক্ষামূলকের বদলে প্রকাশ্য চুম্বন। টইটম্বুর ফুটবল স্টেডিয়ামের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ড্রু ব্যারিমোরের চুম্বনকৌমার্য ভঙ্গ করছেন হিরো। তাঁর নাম মনে নেই।

আমাদের কলেজের কাছে হল ছিল প্রচুর। চিত্রা, মিত্রা, রাধা, আরও যেন কী সব। ওই চিত্রা মিত্রার মধ্যে কোনও একটাতে আমি পাঁচ টাকার টিকিটে সিনেমা দেখেছি।  সেকেন্ড রো-তে বসে হাম সাথ সাথ হ্যায়। এখন মনে হয় পাঁচ টাকার  মুখ চেয়েও ওই অত্যাচার সহ্য করার কোনও মানে ছিল না।

আমার দিল্লির হলে দেখা প্রথম সিনেমাও কিছু কম অত্যাচার ছিল না। চাণক্য হল, জিস্‌ম্‌। বেরিয়ে হলের পাশের স্টলে মারাত্মক ভালো মোমো খেতে না পেলে ও দুঃখ ভোলা শক্ত হত। অর্চিষ্মানের সঙ্গে দেখেছিলাম ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ, পাশে নতুন প্রেম না থাকলে ও জিনিস পুরো বসে দেখতে পারতাম না। 

বসে দেখা যায় না এরকম সিনেমা আমি গুচ্ছের দেখেছি কিন্তু উঠে এসেছি মোটে দু’বার। দু’বারই দিল্লিতে। প্রথমবার দেখতে গিয়েছিলাম লক্ষ্য। একে হৃতিক রোশন, তায় অ্যাড ব্লকের বারান্দাটা নাকি স্পষ্ট দেখা গেছে, উৎসাহ ছিল যথেষ্ট। হলে গিয়ে বসেছি, ট্রেলর দেখাচ্ছে তো দেখাচ্ছেই। তারপর একটা সিনেমার ট্রেলর শুরু হল, নির্ঘাত দারুণ ভালো সিনেমা, কারণ তিনখানা নাম। গর্ব, প্রাইড অ্যান্ড অনার। আমরা বলাবলি করছি, খুবই ইনোভেটিভ ট্রেলর বানিয়েছে কিন্তু, ক্রেডিটসও দেখিয়ে দিচ্ছে। তারপর মনে পড়ল যে আজ শুক্রবার। কথা খরচ করতে হয়নি, আধো অন্ধকারে একে অপরের মুখের দিকে দৃষ্টিপাতই যথেষ্ট ছিল। হল থেকে বেরিয়ে খানিকটা হেঁটে এম ব্লকের বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছনোর পর সেই যে হাসতে শুরু করেছিলাম, হোস্টেলে পৌঁছনোর আগে তা থামেনি।

দু’নম্বর সিনেমা যেটার মাঝপথে আমি হল থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম সেটা হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতির থেকে খারাপ সিনেমা আমি হলে গিয়ে দেখিনি এ হতে পারে না। অন্যগুলোর ক্ষেত্রে সাহস কিংবা মোটিভেশন জোগাড় করতে পারিনি তাই বেরোয়নি। 

দুটো বেরোনোর মধ্যে একটাই তফাৎ, প্রথমটা আমি যার সঙ্গে বেরিয়ে এসেছিলাম সেও আমার সঙ্গে বেরিয়ে এসেছিল, দ্বিতীয়টার ক্ষেত্রে বেরিয়েছিলাম আমি একা। আমার সঙ্গীদের কনভিন্স করাতে না পেরে যে এই সিনেমা দেখার থেকে বাইরে বেরিয়ে হাওয়া খাওয়া বেটার। 

এ সব সিচুয়েশনে একা একা সিনেমা দেখতে যাওয়ার উপযোগিতাগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। একা একা সিনেমাও আমি এই দিল্লিতেই প্রথম দেখতে গেছি। কেউ আমার সঙ্গে যেতে রাজি হয়নি বলে নাকি একা যাব বলেই, সেটা এখন আর মনে নেই, কিন্তু সিনেমাটা মনে আছে, বিইং সাইরাস। শুক্রবার রাতের শো, পি ভি আর প্রিয়া। সিনেমাটা আমার এত ভালো লেগেছিল যে শনিবার সকালের শো-তে আমি আবার সিনেমাটা দেখতে যাই, ওই একই হলে, এবারেও একা। 

এই একা একা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাই আমাকে একটা খুব গুরুতর তথ্যের জোগান দেয়। সেটা হচ্ছে যে পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজই একা করা, দোকা, তেকা কিংবা দল পাকিয়ে করার থেকে, অনেক অনেক বেশি মজার। সিনেমা দেখা, আইসক্রিম, ফুচকা, মিষ্টির দোকানে ঢুকে রাবড়ি খাওয়া, পার্কে যাওয়া, হাঁটতে বেরোনো, এই সব কাজই একা করার মজা অন্যের সঙ্গে করার মজার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, এবং কোনও অংশে কম নয়।

এবং এই মজার প্রথম স্বাদ আমাকে সিনেমা হলই চাখিয়েছিল। 

তবু আমার এখন সিনেমা হলে যেতে ভালো লাগে না। এদিকে আবার অর্চিষ্মান হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে ভীষণ ভালোবাসে। অর্চিষ্মানের সঙ্গে সময় কাটাতে আমার এত ভালো লাগে, তবুও ওর সঙ্গে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে হবে ভাবলে আমার অল্প অল্প কান্না পায়। আলোকিত পর্দার মোহ আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমাকে টেনে রাখতে পারে না। যতক্ষণ পপকর্ন চলে ততক্ষণ তবু একরকম, পপকর্ন ফুরোলে কেবলই মন উঠি উঠি করে, আর কে কথায় কথা বলছে, কার ফোনের রিং টোন কেমন, কে ক্রমাগত আমার সিটের পেছনে লাথি মেরে চলেছে, এ সবই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। তখন শুধু মাঝে মাঝে হাতঘড়ি চশমার সঙ্গে ঠেকিয়ে সময় দেখা আর নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া, কী ভাগ্যিস আজকাল সিনেমাগুলো আর তিন ঘণ্টার হয় না। 


Comments

  1. বহুদিন পরে আপনার ব্লগে কমেন্ট করতে এলাম, কমেন্ট না করলেও প্রতিটা পোস্ট আমি পড়ে থাকি, রোজ সকালে অফিসে এসে বুকমার্ক খুলে একবার দেখে নেওয়া আমার অবশ্য কর্তব্যের মধ্যে পরে|

    প্রথমবার সিনেমা দেখতে যাওয়া এক পিসেমশাইয়ের ভাইঝিদের সঙ্গে বেহালার পুষ্পশ্র্রী সিনেমা হলে| বাবা মা কে না জানিয়েই| “কারণ সিনেমা দেখতে অ্যালাউ করা আর মেয়ের হাতপা বেঁধে জলে ফেলে দেওয়ার একই ব্যাপার”– বাবামায়ের এই ধারণার সঙ্গে হাইয়েস্ট ফাইভ| সিনেমার নাম ছিল কালপুরুষ যদিও সেটা সমরেশ মজুমদারের লেখা নয়| পরে গ্লোবে টাইটানিক দেখে নিয়মিত সিনেমা দেখার শুরু|

    আমার কলেজ ছিল বিদ্যাসাগর ডে, ফলে মিত্রা, মিনার, দর্পনা, রাধা, টকি শো হাউস-এর দুপুরের শো বাঁধা ছিল| দু-চারবার নিউ এম্পায়ার, এলিট, লাইটহাউস আর প্যারাডাইসেও গেছি| ২০০০-২০০৩এর মধ্যে এসব হল ভালোই চলত, এখন অবশ্য বেশ কয়েকটা বন্ধ হয়ে গেছে| আমাদের আর একটা ভয় ছিল, “কোই দেখ লেগা” সিন্ড্রোম! ফলে কলকাতার হলে না গিয়ে শিয়ালদা বা হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে শহরতলির হলে সিনেমা দেখতে যেতাম, সময়ও কাটত আবার টিকিটের খরচও কম ছিল| তখন যা সিনেমা আসত তাই দেখতাম, বাংলা হিন্দি ডাবিং কিছু বাদ দিতাম না| এখন মাঝে মাঝে সোনি ম্যাক্স কিংবা জী বাংলা সিনেমায় সেসব মনিমুক্তো যখন দেখায় মনে পরে এই সিনেমা দেখেছিলাম, নাম চরিত্র সব ভুলে গেছি|

    কলেজ শেষে কর্মজীবনে প্রবেশ করে সিনেমা দেখার রুচি পাল্টে যায়, ঘরে বসে সিনেমা দেখা সহজ হয়ে যায়| ফলে সিনেমা হলে যাওয়া কমে যায়| যেসব সিনেমা এখনি ইউটিউবে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সেসব একা একাই হলে দেখতে গেছি| একা একা সিনেমা দেখার মজা যে দলবেঁধে যাওয়ার থেকে কিছু কম না সেটা আমি আপনার সঙ্গে সম্পুর্ন একমত| তবে আমি আজ পর্যন্ত কোনো সিনেমা দেখতে গিয়ে মাঝপথে হল ছেড়ে উঠে যাইনি| সেন্ট পার্সেন্ট কোডোপাইরিন মার্কা সিনেমাও শেষ পর্যন্ত দেখে বেরিয়েছি|

    হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে ইচ্ছে না করাটা খুব দুঃখজনক| যদি সম্ভব হয় মাল্টিপ্লেক্সের বদলে সিঙ্গেল স্ক্রীনের সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে পারেন, যদি ইচ্ছেটা ফেরত আসে|

    ভালো থাকবেন আর অনেক অনেক সিনেমা দেখবেন|
    -সৌগত

    ReplyDelete
    Replies
    1. সৌগত, খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্য পেয়ে। আপনার সিনেমা দেখার উৎসাহ দেখে সত্যিই মুগ্ধ হচ্ছি। শহর থেকে শহরতলিতে সিনেমা দেখতে আসা! লোকে খুব দরকারেও এ জার্নি অ্যাভয়েড করে, আর আপনি কিনা শখে!

      বাই দ্য ওয়ে, আপনার কলেজ আমার অনেকগুলো মনে রাখা জিনিসের সাক্ষী। আমার পার্ট ওয়ানের সিট পড়েছিল বিদ্যাসাগরে। আমার প্রথম প্রেমিকের কলেজও ছিল বিদ্যাসাগর।

      কোডোপাইরিনের রেফারেন্সটা মন ভরিয়ে দিল। আপনিও খুব ভালো থাকবেন। অবান্তরের প্রতি আপনার ভালোবাসা অক্ষুণ্ণ হোক এই কামনা করি।

      Delete
  2. Boddo nostalgic post. :)
    New Empire er khachar kothata mone pore gyalo, amader somoye (1999-2002) ticket er daam chhilo 7 taka....koto je cinema dekhechhi bondhuder saathe class kete, tar iyotta nei. tokhon cinema dekhata gouno chhilo, class er berajal bhanga r bondhuder sathe addatai chhilo mukhyo.
    Being Cyrus amaro khub pochhonder cinema, high Ten!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই টেন, অরিজিত। আপনি আমার এক্কেবারে সমসাময়িক। একেবারে বছর মেপে।

      Delete
  3. bah darun lekha dile...mon ta bhore gelo..onek purano kotha mone pore gelo..khub bhalo laglo

    ami eka eka dekhte gechilam class 7 e hindi james bond..goldeneye..bharoti bole ekta hall chilo...paratei.oi 7 taka front row.
    tarpor besh kobar new empire ar globe e gechi...rumble in the Bronx,batman and robin...khub e kom takay eta ekta darun entertainment chilo..

    majhe hall e jawa puro bandho chilo..last koek bachar besh bhalo bhalo bangla cinema hochche..ekhon bari gelei cinema jai e..niyom kore...amar o hevy lage hall e cinema dekhte.Indira hall ar basusree hall paratei..khub bhalo lage,daam eo soshta..
    shosurbari elakay..sonali hall.chamipon hall..60 taka...bishal porda...sei mone ache bolechilam..eogoler chokh dekhlam..

    multiplex thik bhalo lage na..golakata daam..ar sei bishal porda feeling ta pai na..

    tumi thik e bolecho..khub sundor sundor bangla naam hoto hall gulor..

    bajirao mastani,gangstar(bangla) majhpothe paliye esechi..

    bah bah tumi bidhan saranir hall gulo plus dharmotola hall gulo te besh moja korecho..besh besh..

    prosenjit

    ReplyDelete
  4. are boss hat melao,eka eka cinema dekha jata mojar..ami last 2/3 bachar korchi..

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাত মেলালাম, প্রসেনজিৎ। মাল্টিপ্লেক্স আমারও ভালো লাগে না। অসভ্যের মতো টাকা খরচ হয়। তোমার কাছ থেকে অনেকগুলো সুন্দর নামের হলের নাম জানলাম। থ্যাংক ইউ। বিধান সরণী একসময় খুব ঘুরেছি।

      Delete
    2. hoyto tumi dekhecho...ekbar porechilam kono ekti article e..bidhan saranir e ekti hall nie...bathroom/toilet/loo er badole banglay lekha thakto..KOLGHOR..naam ta khub sundor na

      Delete
    3. সত্যি সুন্দর, প্রসেনজিৎ। এটা কোন হল জানার আগ্রহ রইল।

      Delete
  5. "পৃথিবীর বেশির ভাগ কাজই একা করা, দোকা, তেকা কিংবা দল পাকিয়ে করার থেকে, অনেক অনেক বেশি মজার। " আমি একেবারে একমত !
    আপনি রাজনীতি দেখেই এই করছেন, আমি হলে বসে ব্যাং ব্যাং (!!!!!) পুরো দেখেছি, মাইন্ড ইউ| এটা ফ্রী| রীতিমত টিকিট কেটে রামগোপাল ভার্মা কি আগ দেখতে গেছি, তবে ওটা আর পুরো দেখে উঠতে পারিনি ;)

    ReplyDelete
    Replies
    1. রামগোপাল, সিরিয়াসলি, একটা রহস্যজনক ব্যাপার, অন্বেষা।

      Delete
  6. Jaa taa post Kuntala .. sab theke priyo bishoy .. Cinema .... joto baaje cinema -i hok .. kono din maajhpathe beriye ashini .. bandhu der pallay pore .. Metro te 2nd Row te boshe Josh dekhechilam ... aar jaak baba .. 15 takar beshi khorcha kori ni eta bhebechilam .. :D .. aaj porjonto ekta matro cinema eka dekhechi .. Kolkata Inox e .. Harry potter and the Prisoner's of Azkaban ...
    College toh First day first show naa dekhle jibon i britha hoto ... ekhon youtube/netflix -i better laage .. wait kori jotodin na movie ta online e legally available hochhe .. biroktikor laagle at least forward kore kore toh dekhte parbo .. eta bhebe i khushi hoye jai ..

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ ভাই বৈশালী, বাড়িতে ছেঁড়াময়লা জামা পরে বিছানায় কাত হয়ে সিনেমা দেখার যে আনন্দ, কোনও বড় স্ক্রিনের ক্ষমতা নেই তাকে পাল্লা দেয়।

      Delete
  7. Ami obosho cinema hall e giye cinema dekhte khub i pochondo kori. Soubhagyo boshoto Jism, Hum Sath Sath Hai, by Rajneeti kono tai ami kokhono dekhini. Amar bhagyo bhalo. Tobe ekla cinema dekhte jawar kono utsaho pai na. Ei byapare ami ekmot noi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি হলে গিয়ে আরও অনেক ভালো ভালো সিনেমা দেখুন, ঘনাদা, এই কামনা করি।

      Delete
  8. khub khub darun post hoyeche.. khub bhalo laglo

    aamio hall e giye cinema dekhar dhoirjo hariye pelechi.. oboshyo khub kom cinemar pokkhei 500+300 taka usul kora sombhob.. je cinemagulo jabo bhabi o, segulo o jeye otha hoy na.. aamaar oboshyo aarekta technical somosya aache.. subtitle chara ingriji cinema dekhte bhalo lage na.. jani subs porte kichuta monojog jai, kintu sob dialogue bujhte na parar bhoy onek beshi haunt kore..

    aami aapnar ekla activity r sathe sompurno ekmot... high five.. aami mote duto cinema eka dekhechi.. mitr (Chennai e).. aar kapoor and sons.. dutoi besh bhalo legechilo.. aar uthe esechi matro ekta cinema theke.. Grahan (jackie Shroff, Manisha Koirala).. karoke convince korte hoini.. halftime porcorn kinte beriye ekebaare auto dhore neya hoyechilo..

    best memory bhul cinema dekhte jawar.. Nagina bole Sridevir je moha okhadyo cinemata aache, seta eksomoy mone hoyechilo je na dekhle jibon britha hoye jabe.. aamaar maa baba o cinema dekhanor biruddhe chilen khub e.. tai pray maas khanek dorbaar korar por (bhaggish tokhon cinema gulo onekdin thakto), maa niye giyechilo.. duto pashapashi hall chilo jamshedpur e.. ek e compound e.. amra bhultay ticket kete dhuke porechilam.. jokhon black & white e dilip kumar, dev anand er ciname ta shuru holo tokhono aamaar 10 minit legechilo bhul bujhte.. tarpor aami hall e bose bhnya bhnya kore knedechilam aar khub choto o chilam na.. maa prochondo embarassed hoyechilo.. aar aser paser lokjon amake bojhacchilo je ei cinematao khub kharap noi.. amar choto bhai puro ghnete giye hnaa hoye gechilo.. aami just handle korte parchilam je eto effort er por bhul cinema dekhte asa hoyeche aar mone hoyechilo ei jibon e toh nagina dekhai hobe na.. baari ese maa ki bolechilo jani na, dudin porei sobaike bapi "nagina" dekhate gechilo.. dekhar por oboshyo bapir chokh laal hoye gechilo, tobe bokuni khaini.. :) :) aamaar bhai ekhono hese khoon hoy eta mone koriye..

    onek baaje boklam :) khub bhalo thakben...

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাজে মোটেই বকেননি, ইন্দ্রাণী। বরং খুব মন ভালো করা কমেন্ট লিখেছেন। আপনার ভুল সিনেমা দেখতে যাওয়ার গল্পটা বাঁধিয়ে রাখার মতো। সত্যি, এত হাতে পায়ে ধরে সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি শ্রীদেবীর বদলে দিলীপকুমার বেরোয়, কান্না পাওয়ারই কথা। আপনার ভাইয়ের মতো আমিও হাসছি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  9. এটা মেলেনি। আমি হলে সিনেমা দেখতে বেশ ভালোবাসি। আবার মিলেছেও, কারণ পৌলমী হলে গিয়ে সিনেমা দেখা মোটেই পছন্দ করেনা। আমার যখন বছর দুয়েক বয়স তখন আমার বাবা মা নাকি আমায় নিয়ে কিং কং দেখতে গিয়েছিল। শোনা যায়, আমি ভয়ে সারাক্ষণ পর্দার দিকে পিছন করে মায়ের গায়ে মুখ গুঁজে থেকেছিলাম। কিন্তু আশ্চর্য্যের ব্যাপার, এবং হয়ত বিশ্বাসযোগ্য নয় কথাটা, আমার দুয়েকটা দৃশ্য আবছা মনে ছিল যেগুলো আমি পরে মিলিয়ে নিতে পেরেছিলাম। তবে সিনেমা দেখার ব্যাপারে আপনার আর আমার বাবা মায়ের মতামত একই রকম ছিল, তাই পরবর্তী জীবনে আমার খুব একটা সিনেমা দেখা হয়ে ওঠেনি। আমি সিনেমা হলে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে একবার লিখেওছিলাম। তবে ইদানিং বড় টিভি কেনার পর টিভিতে সিনেমা দেখতেও ভালোই লাগে।

    আমি হলে ঢুকে সিনেমা দেখা শুরু করার পরে একবারই উঠে বেরিয়ে এসেছিলাম। সিনেমাটার নাম হাউসফুল ২। জাজ করবেননা, পয়সা দিয়ে ঢুকিনি। কিন্তু মিনিট দশেক দেখে ফ্রীতেও নেওয়া গেলনা ব্যাপারটা, বেরিয়ে আসতে বাধ্য হলাম। সাম্প্রতিককালের মধ্যে সবথেকে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলব হলে গিয়ে অপু ট্রিলজি দেখাটা। ওয়াশিংটন ডিসিতে। এক ঘর সাহেব-মেমেদের মাঝখানে বসে বাংলা সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাটা সত্যি খুব ভাল লেগেছিল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. পৌলমীকে আমার তরফ থেকে হাই ফাইভ জানাবেন, সুগত। আরে আমি আপনাকে জাজ করব কী, আমি গো গোয়া গন পয়সা দিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। আপনার পথের পাঁচালী দেখার পোস্টটার কথা মনে আছে।

      Delete
  10. Dipak cinema amar chotobelar ekta mone rakhar jinis.. gechi khub e kom.. karon amar bariteo ek e motamot chilo.. sudhu jete aste ki cinema elo seta dekhtam.. bari theke hall ta 7-8 mins dure chilo..roj "cinema bhengeche" manei ek gada lok jeto ar bujhe jetam bikel 5 ta ba raat 8 ta baje.. robibar robibar tali khola ar eet kholar lokjon dol bhendhe barir samne diye cinema dekhte jeto.. dipak er pash diye gobor er gondho ola school jawar shortcut goli chilo.. pasher barir dida pisi ra pray e jeto hindi cinema dekhte.. ar chilo amar barir kakadadu jini Rajasree pictures e chakri korten. maine pyar kiya.. hum aapke hain kaun.. etc.. release korle amader barite bola hoto "Kakader boi" beriyeche.. hum aapke hain kaun ami barir songe giye Dipak e bose dekhechilam mone ache.. oi charlie chaplin tumi ar ami ek sathei giyechilam nischoi.. mone ache film ta majhkhane gole gechilo na ki jeno hoyechilo.. jai hok.. Dipak hall ta ekhon puro jongol ar bhanga bari hoye geche.. Uttarparar ekjon promoter kine niyeche.. okhane apartments hobe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোর মনে আছে ওই চার্লি চ্যাপলিন, ঊর্মি! কী মজা, আমার কত ছোটবেলার স্মৃতির একজন অংশীদার আছে এখনও।

      "কাকাদের বই" শব্দবন্ধটা দারুণ কিন্তু। আমার দৃঢ় ধারণা, ওই রাস্তায় গেলে আমি আর চিনতেই পারব না জায়গাটাকে। এই ভয়ে আমি স্কুলে যাওয়াও ছেড়েছি বহুদিন।

      Delete

Post a Comment