আপনি যদি সি আই ডি-র ভিলেন হন



১। দুষ্কর্ম করতে যাওয়ার আগে ফলস দাড়ি লাগিয়ে নিন। বা অলরেডি থাকলে, কামিয়ে নিন। দাড়ি থাকা না-থাকার ওপর দয়ার হাতের চড়থাপ্পড় খাওয়া (আপনি মহিলা হলে সেই এপিসোডে উপস্থিত মহিলা অফিসারের) না-খাওয়া নির্ভর করবে না, কিন্তু সি আই ডি টিমের সবথেকে খতরনাক সদস্যের চোখে ধুলো দিলেও দিতে পারেন। 

না, দয়া সি আই ডি টিমের সবথেকে খতরনাক সদস্য নয়। দড়াম দড়াম দরজা ভাঙা ছাড়া আর কোনও কাজের নয় দয়া। আমার ফেভারিট অফিসার অভিজিৎও নয়। ফ্রেডরিক তো আছে খালি কমেডি করতে। এ সি পি প্রদ্যুমন্‌ও "কুছ তো গড়বড় হ্যায়" জাতীয় কিছু জরাজীর্ণ ম্যানারিজম ছাড়া মোটের ওপর আলংকারিক। ডক্টর সালুংখের যত কেরামতি ল্যাবে, তিনি আপনার পিছু ধাওয়া করতে বেরোবেন না। টিমের নারীসদস্যদের সম্পর্কে আপনাকে সতর্ক করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। তাতে ক্ষতি নেই কিছু কারণ তাঁরা নির্বিষ। 

যার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আপনাকে দাড়িসংক্রান্ত পরামর্শটা দিলাম, একদিক থেকে দেখলে তিনি সি আই ডি টিমের সদস্যই নন। তিনি পাঞ্জাবীপরিহিত, চশমাশোভিত নিরীহ একজন আর্টিস্ট। ডাক পাওয়া মাত্র ঝোলা, ঝোলার ভেতর খাতা পেন্সিল নিয়ে হাজির হবেন আর প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ শুনে আপনার এমন ছবি এঁকে দেবেন, ক্যানভাসকে মনে হবে আপনার বাথরুমের আয়না। কাজেই সতর্ক হোন। অপারেশনে নামার আগে নিজের আসল চেহারা লুকোন। দাড়ি যোগ অথবা বিয়োগ করুন। 

২। চেক করে নিন আপনার পোশাকআশাক লটবহরের মধ্যে কোনও ইউনিক জিনিস আছে কি না। আপনি এমন জুতো পরে নেই যা বৃহন্‌মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আওতায় একমাত্র একটি দোকানেই কিনতে পাওয়া যায়। এমন হাতুড়ি কারও মাথায় মারছেন না যেটা একটি কামারশালার একজন ওস্তাদ কামারই বানাতে পারেন। এমন ইনজেকশন ফোটাতে যাচ্ছেন না যা শহরের একটিমাত্র কেমিস্টের দোকানে ছ'মাস আগে থেকে অর্ডার না দিলে পাওয়া যায় না। আপনি যে রকম আনাড়ি, ফোটাতে গিয়ে অর্ধেক সূচ ভিকটিমের শরীরের ভেতর রয়ে যাবে। মনে রাখবেন এখানে প্রতিপক্ষ আপনার লোকাল থানার ঘুষ খাওয়া পুলিশ নয়, সি আই ডি। ওই ভগ্নাংশের লেজ ধরে গোটা সিরিঞ্জের সোর্স খুঁজে বার করতে তাঁদের পনেরো মিনিটের বেশি লাগবে না। কারণ সি আই ডি-র অফিসাররা আর কিছু পারুন না পারুন, দোকানে দোকানে গিয়ে জেরা করতে সিদ্ধহস্ত। দোকানের সংখ্যা যত বাড়বে আপনার ধরা পড়ার সম্ভাবনা তত কমবে। কাজেই পাড়ার ওষুধের দোকান থেকে পাঁচটাকা পিস ডিজপোজেবল সিরিঞ্জ কিনে ব্যবহার করুন। বাটার জুতো পরে ব্যাংকডাকাতি করতে যান। জিমি চু বিয়েবাড়ির জন্য তোলা থাক। 

৩। তাছাড়া ওই সব দোকানে কিছু কর্মচারী থাকবেন যিনি পরশু সকালে কী খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মনে করতে পারবেন না কিন্তু ছ'মাস আগে আপনি কী রঙের জামা পরে ছুরি কিনতে এসেছিলেন অব্যর্থ বলে দেবেন। ছুরি পছন্দ করা আর টাকা দেওয়ার মাঝখানে আপনার যে একটা ফোন এসেছিল আর আপনি যে উল্টোদিকের লোকটার সঙ্গে খুনের প্ল্যান ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন সেটাও উনি শুনেছেন এবং ভার্বাটিম বলতে পারবেন। আপনার কোমরের জন্মদাগের অবিকল বর্ণনা দিতে পারবেন যা শুনে সি আই ডি-র বিপজ্জনক সদস্যটি আপনার ছবি এঁকে দেবেন। যা দেখে আপনাকে ধরতে সি আই ডি-র পাঁচ মিনিটের বেশি লাগবে না। 

অতএব এক, ক্রাইমসংক্রান্ত যে কোনও কাজে যাওয়ার সময় নকল দাড়িগোঁফ লাগান। দুই, ফোনে চিলচিৎকার করে কথা বলার অভ্যেসটা পাল্টান।

৪। ক্রাইম সিনের সর্বত্র ডি এন এ ছড়িয়ে আসবেন না। কাউকে গুলি করে মারলেন আর আপনার মাথার দু'গাছি চুল তাঁর মুঠোর মধ্যে রয়ে গেল, এমন যেন না হয়।  আগেও বলেছি, এ আপনার লোকাল থানা না। এটা সি আই ডি। এঁদের নিজস্ব ফরেনসিক ল্যাবরেটরি আছে, সে ল্যাবে ডক্টর সালুংখে আর তাঁর স্যাঙাৎ ডক্টর তরিকা আছেন, আর আছে কোটি কোটি টেস্ট টিউব। ডক্টর সালুংখে সে রকম একটা টিউব থেকে লাল রঙের রহস্যময় তরল অন্য টিউবে ঢালতেই সেটা নীল রঙের হয়ে যাবে, সারা ল্যাব ধোঁয়ায় ধোঁয়াক্কার। ধোঁয়া কেটে গেলে আপনার বাড়ির ঠিকানা আর ডি এন ম্যাচ চোখের সামনে জ্বলজ্বল করবে।

৫। আপনি দুষ্কর্ম সাধন করার পর কোনও একজন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন র‍্যান্ডম নাগরিক এ সি পি প্রদ্যুমনের মোবাইলে ফোন করে খবর দেবেন। এর পর শুরু হবে পিছু ধাওয়া। ক্বচিৎকদাচিৎ রেলস্টেশন, ভিড় রাস্তায় চেজ সিকোয়েন্স হবে। বছরের নির্দিষ্ট সময় এপিসোড সম্প্রচার হলে গরবা বা ডান্ডিয়া ডান্স পার্টিও হতে পারে। তবে ডান্স ক্লাব বা পাবের পসিবিলিটি সবথেকে হাই। আপনি হয় ও সব গোলমেলে জায়গায় যাওয়া বন্ধ করুন নয় চোখকান খোলা রাখুন। প্রথমে খেয়াল করুন, কাউকে দেখেই ফলস দাড়ি পরে ঘুরছে মনে হচ্ছে কি না। আপনি ওভারকনফিডেন্ট হয়ে দাড়ি না লাগিয়ে বা না কামিয়ে ব্যাংকডাকাতি করে এসেছেন বলে সি আই ডি অফিসাররাও তাই করবেন না। লক্ষ করুন, রেলস্টেশনে কেউ অতি অভিনয় করে নিজেকে কুলি প্রমাণ করার চেষ্টা করছে কি না, পাবে কোনও মহিলা নাচতে নাচতে সন্দেহজনক রকম গায়ে পড়ছেন কি না। ওঁরা সি আই ডি। (আপনি নারী হলে পুরুষ সি আই ডি-রা গায়ে পড়বেন।) বারটেন্ডারের দিকে তাকান, গ্লাস মুছতে মুছতে ক্রমাগত একা একা ঠোঁট নেড়ে চলেছেন? গ্যারান্টি সি আই ডি। সি আই ডি-কে চেনার একটা সুবিধে হচ্ছে, ওঁরা সবে মিলি করি কাজে বিশ্বাসী, সকলেই একই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকবেন কিংবা একই ফ্লোরে, সম্ভবতঃ একে অপরের সঙ্গেই নাচবেন। কথা বলতে বলতে বারটেন্ডার কানে হাতে ছোঁয়ালেন? চট করে চোখ বুলিয়ে নিন, নৃত্যরত মহিলা এবং বাকি ফলস দাড়িরাও ওই মুহূর্তে কানে হাত দিয়েছেন কি না। দিলে বুঝবেন কানে লাগানো আছে সিক্রেট ফোন। এঁরা সবাই সি আই ডি।

৬। বন্ধু কম রাখুন। ও বালাই না রাখলেই বেস্ট, নিতান্ত একাকীত্বে ভুগলে বড়জোর দুয়েকজন বুদ্ধিমান বন্ধু রাখলেও রাখতে পারেন। এটা জীবনের জেনারেল টিপস হিসেবে মানুন। ক্রাইম করে সি আই ডি-র হাত থেকে বাঁচার উচ্চাশা পোষণ করলে মহামন্ত্র করে বুকে ঝোলান। চায়ের দোকানে, গ্যারেজে, বিস্কুটের গুঁড়োর মতো বন্ধু ছড়িয়ে রেখে আসবেন না যাতে স্রেফ তাদের কলার চেপে ধরে ন'টায় শুরু করে সি আই ডি ন'টা আটান্নয় আপনার কাছে পৌঁছে যেতে পারে। 

৭। সি আই ডি হয় আপনার কাজের জায়গায় পৌছবে নয় সোজা বাড়িতে। কাজের জায়গা হলে আপনি বেছে বেছে সেইদিন কামাই করতে পারেন। তাতে সুবিধে হবে না। তাহলে বাকিদের পরীক্ষা করার আগেই সি আই ডি নিশ্চিত হয়ে যাবে যে আপনিই খুনি/পকেটমার/ডাকাত। আর কোনও প্রমাণ লাগবে না, আপনার অনুপস্থিতিই আপনার দুষ্কর্মের সাক্ষ্য দেবে। 

যদি সাহস দেখিয়ে অফিসে আসেন তাহলে নিম্নলিখিত ঘটনাপরম্পরার জন্য তৈরি থাকুন। আপনাদের সবাইকে লাইন দিয়ে দাঁড় করানো হবে এবং একধার থেকে সি আই ডি অফিসারেরা সবার হাতের তেলো পরীক্ষা করতে শুরু করবেন। অকুস্থলে নাকি ভোটারদের আঙুলে ছাপ মারার জন্য এক টিন রঙের বাক্স রাখা ছিল, আপাতত সেটা ঢাকনা খোলা অবস্থায় মাটিতে গড়াগড়ি যাচ্ছে। এ থেকে দুটো ব্যাপারে শিক্ষা নিন। এক, অকুস্থলে রঙের টিন ডাই করা দেখলে তাতে শখ করে হাত ডুবিয়ে আসবেন না, দুই, এ ধরণের শখের কেস হিস্ট্রি থেকে থাকলে গ্লাভস পরুন। না থাকলেও পরা অভ্যেস করুন।

৮। সত্যি বলছি, পরিস্থিতি যদি এই পর্যায়ে এসে পৌঁছয় তাহলে আপনার বাঁচার পথ বন্ধ বললেই চলে। শুরুতে দাড়ির ব্যাপারটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। যাকগে যা হওয়ার হয়েছে, একটাই অনুরোধ, যদি এ রকম পর্যায় আসেই তাহলে দয়া করে দিকবিদিকশূন্য হয়ে দৌড়তে শুরু করবেন না। কোনও লাভ হবে না। দয়া আপনার থেকে জোরে দৌড়োয়। 

*****

এখন আর টিপস দিয়ে লাভ নেই, তবু ধরা পড়ার পর কী কী হতে পারে জানা থাকলে শক কম লাগতে পারে তাই বলছি। 

আপনি একটা চড় খাবেন। পুরুষ হলে সম্ভবতঃ দয়ার হাতে, নারী হলে সেই এপিসোডে যে মহিলা অফিসার ডিউটিতে আছেন তাঁর হাতে। এই চড় পৃথিবীর আর কোনও চড়ের মতো নয়। চড় না বলে একে টেলিপোর্টার বলাই ভালো। চড় শুরু হতে পারে পৃথিবীর (ওয়েল, বৃহন্‌মুম্বাই মিউনিসিপ্যালিটি কর্পোরেশনের) যে কোনও জায়গায় কিন্তু শেষ হবে সি আই ডি-র অফিসে। আপনি একটি চেয়ারে বসে থাকবেন, চড়ের ইমপ্যাক্টে আপনার মুখ থুবড়ে পড়ে থাকবে একটা টেবিলের ওপর আর আপনাকে ঘিরে পা ফাঁক করে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে সি আই ডি-র গোটা টিম।

আপনি খেয়াল করেছেন কি না জানি না, এখনও পর্যন্ত যা যা হয়েছে, তার মধ্যে কোথাও প্রমাণের ব্যাপার নেই। হ্যাঁ সাক্ষীরা আপনাকে দেখেছে, খতরনাক শিল্পী আপনার ছবি এঁকেছেন, স্মৃতিধর দোকানদার আপনার জামার রং চিনেছেন। তাতে কী প্রমাণ হয়? সাক্ষীর চোখ খারাপ, খতরনাক শিল্পীর আর ওই স্মৃতিধর দোকানদারের আপনার প্রতি ক্ষার ছিল। 'আপনি লাস্টে দৌড়োলেন কেন?' কেউ জানতে চাইলে বলবেন সকালে এক্সারসাইজ হয়নি তাই দৌড়েছেন, একটা কাজের কথা মনে পড়ে গেছিল তাই দৌড়েছেন। 

দৌড়নো মানুষের জন্মগত অধিকার তাই দৌড়েছেন। 

এ সি পি প্রদ্যুমন্‌ প্রতি এপিসোডের শেষে নিজেই আগ বাড়িয়ে ফাঁসির নিদান দিলে কী হবে, দেশে আইনআদালত বলে একটা ব্যাপার আছে। যেখানে আপনি গ্লাভস না পরা সত্ত্বেও, গোঁফদাড়ির ব্যাপারে চরম অমনোযোগিতা দেখানো সত্ত্বেও, সি আই ডি-র সব সাক্ষ্যপ্রমাণ বা যাকে ওঁরা সাক্ষ্যপ্রমাণ বলে দাবি করবেন, ফুৎকারে উড়িয়ে দিতে কোনও জজ দেড়বার ভাববেন না। পাসমার্কস পেয়ে পাস করা উকিলের কেস জিতে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসতে পাঁচের জায়গায় ছ'মিনিট লাগবে না।

যদি না আপনি চড় খেয়ে গলগলিয়ে সব স্বীকার করতে শুরু না করেন। আপনার মোটিভ অপরচুনিটি আরও হ্যানাত্যানা যা সব সি আই ডি-র খুঁজে বার করা উচিত ছিল কিন্তু করতে গিয়ে আপাদমস্তক ব্যর্থ হয়েছেন, সে সব গল্প প্লেটে সাজিয়ে সি আই ডি-র হাতে তুলে না দেন।

যদি নিতান্তই দেন, দয়া করে, আমাদের মুখ চেয়ে অন্তত ইন্টারেস্টিং গল্প বলবেন। কে কবে আপনার মায়ের গলা টিপেছিল, কার বাবা আপনার বাবার বিজনেস লাটে তুলেছিল, কে আপনার বিজ্ঞানী বাবার রুলটানা খাতা থেকে পরমাণুবোমার পাঁচপাতা ফর্মুলা ছিঁড়ে নিয়ে গিয়েছিল, সেই থেকে আপনার বাবা রকিং চেয়ারে বসে বিড়বিড় বকেন আর রুলটানা খাতা দেখলেই কুচিকুচি করে হাওয়ায় ওড়ান - এই সব বস্তাপচা প্রতিশোধের গল্প বলবেন না প্লিজ। এগুলো দেখে দেখে শুনে শুনে চোখকান হেজে গেছে।

*****

(বা আপনার যদি ওই গল্পগুলোই বলার ইচ্ছে করে তো ওগুলোই বলবেন। কারও তোয়াক্কা করবেন না। আপনি যতই মাথামুণ্ডুহীন গল্প বলুন না কেন, যত বোকামোই করুন না কেন, আমার এত খেটেখুটে লেখা উপদেশামৃত এককান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেককান দিয়ে বার করুন না কেন, একটা কথা আমি আপনাকে দিতে পারি, আপনার গল্পটা যে এপিসোডে দেখাবে সেটা আমি দেখব। সম্ভবতঃ দেখে ফেলেছি। আবার দেখালে আবারও দেখব। বাড়িতে থাকলে তো বাড়ির টিভিতেই দেখব, বাড়ির বদলে আসমুদ্রহিমাচল যেখানেই থাকি, সমুদ্রের জলে ঝাঁপিয়ে তিনপোঁচ ট্যানড হয়ে, 'আর কোনওদিন চড়ব না' কান মুলতে মুলতে পাহাড় থেকে নেমে, ঘন জঙ্গলে বাঘ দেখতে গিয়ে বাঁদরের চাঁটি খেয়ে ঘরে ফিরে সরকারি গেস্টহাউসের বিংশ শতাব্দীতে কেনা টিভির কোনও চ্যানেলে যদি সি আই ডি চলে, দেখব। কেউ আটকাতে পারবে না।)


Comments

  1. "ল্যাবে ডক্টর সালুংখে আর তাঁর স্যাঙাৎ ডক্টর তরিকা আছেন, আর আছে কোটি কোটি টেস্ট টিউব। ডক্টর সালুংখে সে রকম একটা টিউব থেকে লাল রঙের রহস্যময় তরল অন্য টিউবে ঢালতেই সেটা নীল রঙের হয়ে যাবে, সারা ল্যাব ধোঁয়ায় ধোঁয়াক্কার। ধোঁয়া কেটে গেলে আপনার বাড়ির ঠিকানা আর ডি এন ম্যাচ চোখের সামনে জ্বলজ্বল করবে।"
    এটা সত্যি দেখায়? আর ঐ রুল্টানা খাতায় পরমাণু বোমার ফর্মুলা? মি ঘত !!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওই রকমই দেখায়, ঋতম। একটু হয়তো এদিকওদিক।

      Delete
  2. এত গাঁজা দিয়েও কী করে এত বছর চলে ব্যাপারটা, এটাই রহস্য |

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার মতো দর্শকদের জন্য, আই গেস।

      Delete
  3. সকাল সকাল এই যে মন টা ভালো করে দিলে কুন্তলাদিদি। এই জন্য ই অবান্তরে নতুন পোস্টের জন্য অপেক্ষা করা সার্থক।

    ReplyDelete
  4. উদভ্রান্ত সেই আদিম যুগে, যখন রিমোট কবজায় আনতে না পেরে আমি গোঁজ হয়ে তেনার পাশেই বসে পড়তাম, তখন এই পৈশাচিক প্রোগ্রামের কিয়দংশ দেখার দুর্ভাগ্য হয়েছিল বটে। 'প্রাইম সাসপেক্ট', 'ক্র্যাকার', ইত্যাদি দেখার পর এই জিনিস... আমি পালিয়ে বেঁচেছিলাম। এখনও লোকে এটার কথা বললে কেমন একটা ভয় আর বিবমিষা মিশ্রিত অনুভূতি পেটের মধ্যে গুড়গুড়িয়ে ওঠে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি যে প্রতিক্রিয়াটা বর্ণনা করলেন ঋজু, ওটা আমার খবরের চ্যানেল দেখলে হয়। সি এই ডি দেখলে আরাম ছাড়া আর কিছুই হয় না।

      Delete
    2. Ei khoborer channel er byapare apnar sathe ekmot....

      Delete
    3. হাই ফাইভ, সুস্মিতা।

      Delete
    4. Amar 10 bochhorer chheleo apnake hi five debe ei byapare....

      Delete
    5. হ্যাঁ, এ ব্যাপারে অবশ্য আমিও একমত যে খবরের তুলনায় এটি শিশু। আমি খবর দেখা ছেড়ে দিয়েছি আজ বহু বছর ধরেই। যেটুকু জানার, এমনকি যা না-জানার, তাও গুষ্টির অ্যাপ অনবরত জানিয়েই যায়।

      Delete
    6. সুস্মিতা, ওকেও আমার তরফ থেকে হাই ফাইভ।

      ঋজু, খবর দেখার সঙ্গে আয়ু কমা নিয়ে রিসার্চ হওয়া উচিত। পজিটিভ এবং সিগনিফিক্যান্ট রেজাল্ট বেরোবে বলে আমার মত।

      Delete
  5. Darun laglo pore. Anek besh koek bochhor asambhob sincerely dekhtam. Apni asadharon likhechhen....ekebare mile gelo....ekhon majhe majhe dekhle mone hoi eta diner por din oto seriously dekhtam.....

    ReplyDelete
    Replies
    1. সি আই ডি তো শিশু, সুস্মিতা, একসময় হোল ফ্যামিলি বসে মহাভারত দেখা হত। সেটার রি-রান টিভিতে কখনও ভুলক্রমে দেখে ফেললে জীবনের ওই কটা ঘন্টার জন্য যা আফসোস হয়। খুব কম সময় তো নয়, প্রতি সপ্তাহে এক ঘন্টা, ভাবুন।

      Delete
    2. Ekdom.... aar Ramayan ki mone aachhe??? Seta dekhle ekebarei Lalmohan babur bhashai kodopirine(?) khete hobe...

      Delete
    3. যা বলেছেন।

      Delete
  6. হাহাহা , আমি দারুণ মজা পেলাম ।সিয়াইডি এক সময়ে দেখেছি , ফের দেখতে হবে মনে হচ্ছে :D এমন নির্মল আনন্দ কোথাইই বা মেলে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমার তো তাই মত, প্রদীপ্ত।

      Delete
  7. khub mojar hoeche lekhata,khub bhalo laglo..

    ওটা আমার খবরের চ্যানেল দেখলে হয়...ki mil go..

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই ফাইভ, প্রসেনজিৎ।

      Delete
  8. বৈজয়ন্তীJuly 23, 2018 at 12:27 PM

    -চোর ভাগতে ভাগতে ইস রুমমে ঘুসা, দরওয়াজেকে বাহার গার্ডস খড়েথে, ঔর চোর গায়ব হোগায়া..
    ইস্কা মতলব ক্যা হো সকতা হ্যায় সমঝে?
    -ক্যা স্যার?
    -চোর খিড়কী সে নিকল গয়া

    ReplyDelete
    Replies
    1. চমৎকার, বৈজয়ন্তী। পৃথিবীতে এমন সিরিয়াল খুব কমই আছে চার লাইন ডায়লগ শুনে যার নাম অব্যর্থ বলে দেওয়া যায়।

      Delete
  9. Etodin comnt kora hoyni.. khub haslam .. darun hoyeche.. tumi cid dekho regular biswas korbo na.. btw posto dekhlam 3 te khep e.. soumitra chatterjee er upor ja rag holo.. kothay chilen sonar kellar nayak.. ekhon ei khitkhite buro korchen.. nijer chele ke ja banate perechen tate nije khusi non abar baba howar jogyota niye boro boro dialog..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমি রেগুলারলি সি আই ডি দেখি, ঊর্মি।

      Delete
    2. oporer conversation e commnet korar osobhyota ta korei fellam..

      posto complete dekhechen,eta ekta achivement...
      aar "haami" dekhar eechcha nei nischoi..

      dharmabatar dharmabatar guruji guruji..offf..jhalapala case baba re

      prosenjit

      Delete
    3. নাঃ, হামি দেখার উদ্যোগটা করছি না, আমাদের নেক্সট লক্ষ্য এখন বিদায় ব্যোমকেশ।

      Delete
  10. Aajkaal onekdin wait korte hochhe. Tar karon nishchoi CID na?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে রকম হলে তো বেঁচেই যেতাম, অর্পণ, স্যাডলি সেটা নয়। রিয়েল লাইফ বাগড়া দিচ্ছে।

      Delete
  11. ore baba, kiii mojar!! eti dekhar soubhagyo holo na , big miss ..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইউটিউবে আছে, কাকলি। আর তাড়াহুড়ো না করলেও চলবে। সি আই ডি বহুদিন ধরে চলছে, আরও বহুদিন ধরে চলবে। যদি বুক বেঁধে দেখার সাহস করই, তাহলে আমি বলব কলকাতা সি আই ডি বলে একটা ব্যাপার হত (খাঁটি জিনিস, ভেজাল টুকলি নয়), গোটাটা মাতৃভাষায় বলে ইমপ্যাক্ট আরও বেশি, খুঁজে দেখতে পার, ইউটিউবে পেয়ে যাবে।

      Delete
  12. Lekhata na, ghyama hoyechhe Kuntala.
    Apni eto religiously CID follow koren dekhe amio bochhor 2-ek age theke suru korechhi CID dekha, youtube theke, ekkebare Season 1, Episode 1 theke :) :)

    Tobe ebhabe ja bornona ta dilen, tate kore gota CID team apnar opor jarpornai khushi hoben.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাকে একজন বলেছে, সে একেবারে সি আই ডি প্রোডাকশন টিমের ঘরের লোকের কাছ থেকে শুনেছে যে একবার নাকি সি আই ডি-র প্লট, মেক আপ ইত্যাদি ভালো করার চেষ্টা করা হয়েছিল। টি আর পি হইহই করে নেমে যাওয়াতে ওঁরা আবার ফলস দাড়িতে ফিরে গেছেন এবং জনতা খুশি হয়েছে।

      Delete
  13. অনেক মজা পেলাম দেখে ।
    থ্যাংকস ।

    ReplyDelete

Post a Comment