গত ছ'মাস ধরে যে কাজটা আমার করা হয়ে উঠছে না




এ বছরের মার্চ না এপ্রিল থেকে খেয়াল নেই, মান্থলি টু ডু লিস্টে একটা কাজের কথা লিখছি, মাসের শেষে সেটা অ-টিক রয়ে যাচ্ছে এবং পরের মাসের শুরুতে আমি আবার যত্ন করে সে কাজটা লিস্টে লিখছি। সেপ্টেম্বরের মান্থলি টু ডু লিস্টেও লিখলাম। 

হাতঘড়ি সারাই। রিপেয়ারিং রিস্টওয়াচ। (দুই ভাষাতেই লিখেছি কোনও না কোনও মাসে, ভাষার জন্য যেন কাজটা আটকে না যায় নিশ্চিত হতে।) দুটো ঘড়ি। একটা নিজে থেকেই থেমে গেছে, অন্যটার ব্যান্ড ছিঁড়ে গেছে। প্রথমে বাড়িতে রেখেছিলাম শনিরবিবার দু'নম্বর মার্কেটে ঘড়ি সারানোর দোকানে নিয়ে যাব বলে। মাসদুয়েক কাটার পর অফিসের ব্যাগে পুরেছি। যে দোকান থেকে মাঝেসাঝেই সম্পূর্ণ অদরকারে সেলো গ্রিপার কিনতে যাই, তার সামনে একজন ঘড়ি সারানোর ছোট্ট ড্রয়ার নিয়ে বসে থাকেন, বসে বসে কাগজ পড়েন। তিনমাস কেটে গেছে। এর মধ্যে ওই দোকানে গেছি অন্তত পাঁচবার। ঘড়ি যেমনকার তেমন ব্যাগে পড়ে আছে।

*****

আমরা খালি মানুষের মরে যাওয়া নিয়ে মাথা ঘামাই, কিন্তু আমাদের জীবৎকালে কত অপ্রাণিবাচক জিনিস মরে যায়। এই যেমন ধরুন গত তিরিশ বছরে দু'টাকার নোট মরে গেছে, ক্যাসেট মরে গেছে, ফ্লপি মরে গেছে, অ্যান্টেনা মরে গেছে (ভারতীয় আর বাংলাদেশী চ্যানেল ধরার, দুটোই), ক্রেডলের ওপর রিসিভার রাখা সাড়ে তিন কেজি ফোনসেট মরে গেছে, বাসে পিচবোর্ডের শক্ত টিকিট মরে গেছে, উত্তল স্ক্রিন টিভির মরে গেছে, সে স্ক্রিনে চিত্রহার মরে গেছে।

এ সবের মৃত্যুতে আমি খুব যে বিচলিত হয়েছি তা নয় (ল্যান্ডফোনের মরে যাওয়াটা ছাড়া, কারণ ওটার জায়গায় যেটা এসেছে সেটাই কল্কি অবতার, অ্যান্টি-ক্রাইস্ট, অ্যাপোক্যালিপ্স।)

কিন্তু এই একটা জিনিসের মৃত্যুর সম্ভাবনা আমার বুক কাঁপাচ্ছে।  রিস্টওয়াচ। হাতঘড়ি। এর পর থেকে থেকে ঘড়িই বলব, ট্যাঁকঘড়ি কিংবা দেওয়ালঘড়ির কথা যে বলা হচ্ছে না সে আপনারা বুঝতে পারবেন। 

ঘড়ির প্রতি ফ্যাসিনেশন কবে জন্মালো মনে নেই। কেন জন্মালো আন্দাজ করতে পারি। জ্ঞান হওয়া ইস্তক সোয়া ন'টা থেকে সাড়ে ন'টার মধ্যে প্রতিদিন ম্যাজিক দেখতাম। একটাই ম্যাজিক। রোজ একই রকম রোমহর্ষক।  মা ইস্তিরি করা শাড়ি পরছেন। প্রতিটি কুঁচি, প্রতিটি প্লিট, সমান। চুল আঁচড়াচ্ছেন। খোঁপা বাঁধছেন। অন্যসময়ের মতো হাতখোঁপা না, রাবারব্যান্ড (তখন গার্ডার বলতাম) পেঁচানো সুরক্ষিত খোঁপা। এইবার মা হলদে আপেলের মতো কৌটোটা খুলে মুখে পাফ বোলাবেন। আয়নার কোণে সাঁটা মেরুন টিপ চলে যাবে মায়ের কপালে। আঙুলে আংটি গলবে। এইবার মা চিরুনির পাশে শুইয়ে থাকা সরু ঘড়িটা তুলে নিয়ে কবজিতে পেঁচাবেন। এইবার...এইবার... সরু সোনালি পাতের শেকলের দুই প্রান্ত একে অপরের কাছাকাছি চলে গেছে, খুট করে সেই শব্দটা আর... ছিল মা, হয়ে গেল মিসেস ব্যানার্জি।

একটা ঘড়ির স্বপ্ন ছিল আমার। আশা ছিল না। পৈতে হবে না, কাজেই উপহার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, আর মাবাবার যদিও নিজেদের ঘড়ি আছে, তাঁরা সেগুলো আমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে পরে রোজ অফিস যান, আমাকে দেবেন না। 

কারণ চিত্রহার আর ঘড়ি -  চরিত্রগঠনের পরিপন্থী।

দুঃখ আরও বেশি কারণ ততদিনে (ক্লাস এইট) আমার অনেক ক্লাসমেটেরই নিজস্ব ঘড়ি পাওয়া হয়ে গেছে। অর্চিষ্মানের তো ক্লাস থ্রি-ট্রিতেই ছিল শুনেছি। অ্যামেরিকার দাদু কোনও একবছর এনে দিয়েছিলেন। ক্যাসিও কোম্পানির। সে ঘড়ি প্রাপ্তির উত্তেজনার আঁচ অর্চিষ্মান এখনও নির্ভুল মনে করতে পারে। সে ঘড়ি সময় দেখাত কি না, দেখালেও কেমন দেখাত সেটা ওর মনে নেই, 'ঘড়ি যখন দেখাত নিশ্চয়' গোছের উদাসীনতা নিয়ে জানায় আমাকে, কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে সে ঘড়িতে স্টপওয়াচ ছিল। স্টপওয়াচ! স্টপওয়াচ থাকলে নর্ম্যাল সময় দেখার দরকারটাই বা কি? 

আমার চোদ্দপুরুষের কেউ কখনও অ্যামেরিকায় থাকত না, কিন্তু বাড়িতেই থাকতেন সেজকাকু। সেজকাকুর অনেক কাজের মধ্যে একটা ছিল আমাকে মাটি করা।  আমাকে পুজোয় কাকু ইচ্ছে হলে তিনটে জামা কিনে দিলেন, সাইকেল কিনে দিয়ে পেছন পেছন দৌড়ে সে সাইকেল চালাতে শিখিয়েছিলেন, আমি যখন রীতিমত বড়, ক্লাস ফোর, দু'হাতে তুলে ধরে ভিড়ের মাথার ওপর দিয়ে নেতাজি ইনডোরের গ্রিনরুমের কাঁচের আড়ালে জাকির হুসেনকে দেখিয়েছিলেন। সেই কাকুই যে আমাকে প্রথম ঘড়ি কিনে দেবেন এতে আশ্চর্য হওয়াই আশ্চর্যের। 

অতএব ক্লাস এইটে আমার প্রথম ঘড়ি হল। অত সাধের জিনিস মনে রাখাই উচিত ছিল, কিন্তু সেই প্রথম ঘড়ির চেহারা আমার বিন্দুমাত্র মনে নেই। খালি মনে আছে মায়ের ঘড়ির মতো ধাতব নয়, চামড়ার ব্যান্ড, হাতে পরে বাঁ হাতের কবজি উল্টে দেখলাম দুটো কাঁটা নিঃশব্দে ঘুরছে, আর ওই মুহূর্তের আগের সোনার থেকে   পরের সোনা আলাদা হয়ে গেল।

বাবামা খুশি হননি। কাকুকে কিছু বলতে পারতেন না বলে হজম করেছিলেন। মন খুঁতখুঁত ছিল। অন্ততঃ মায়ের ছিল। কীসে গেল সেটা মা আমাকে বলেছিলেন অনেকদিন পর। কাকু আমাকে ঘড়ি কিনে দেওয়ার পরপরই একদিন লোকাল ট্রেনে আজকালকার ছেলেমেয়েদের গোল্লায় যাওয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আজকালকার সব বাচ্চারই যে হাতে ঘড়ি সেদিকে কথা ঘুরতেই মায়ের কান খাড়া।  এই সব বিলাসব্যসনই যে জেনারেশনটাকে শেষ করবে এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হতেই মাও জোরে জোরে মাথা নাড়লেন। আর তক্ষুনি, মায়েদের আগের জেনারেশনের একজন বলে উঠলেন, তোদের বয়সে তোদের মায়েদের ক'টা ঘড়ি ছিল? 

ঘড়ি? মা হাসবেন না কাঁদবেন ভেবে পেলেন না। আমার উদ্বাস্তু দিদিমার পয়সার ব্যাগ পর্যন্ত ছিল না। ক'টা খুচরো পয়সা আর দুয়েকটা ময়লা দু'টাকা পাঁচটাকার নোট আঁচলে বেঁধে বাজার, ছেলেমেয়ের স্কুল, ডাক্তারখানা, ওষুধের দোকান। 

সেদিন সারাদিন মা নিজের ঘড়িটার দিকে তাকাতে পারেননি। আর সেদিনই আমার ক্লাস এইটে ঘড়ির মালিক হওয়া নিয়ে সব দ্বন্দ্ব ঘুচে গিয়েছিল।

*****

পৈতেয় ঘড়ি না পাওয়ার বঞ্চনা মিটে গিয়ে উপচে পড়েছে বিয়েতে। কত যে ঘড়ি পেয়েছি। একলা ঘড়ি, দোকলা ঘড়ি। 

জীবনে ওই স্টপওয়াচওয়ালা ক্যাসিও ঘড়ির কয়েকটা বছর ছাড়া অর্চিষ্মান কোনওদিন ঘড়ি পরেনি, পরবেও না, কাজেই দোকলা ঘড়িগুলোর অর্ধেক এমনিতেই মাটি। সেই সব সেটের অর্ধেক ঘড়ি প্লাস একলা ঘড়ি মিলিয়ে গোটা কুড়ি ঘড়ি আমি বিয়েতে পেয়েছি, যা আমার একার পক্ষে পরে ওঠা অসম্ভব। ঘড়ির মতো এমন একটা কাজের উপহার অপচয় করতে বাধ্য হয়ে একটাই লাভ হয়েছে। হাড়ে হাড়ে বুঝেছি, যতই রসিকতা করি না কেন বিয়ের বেস্ট উপহার বেডকভার। বিয়েতে পাওয়া সব বেডকভার আমি এখনও ব্যবহার করে উঠতে পারিনি, অচিরেই পারব। প্রত্যেকটি বেডকভার কাজে লাগবে। সবক'টা ঘড়ি আমি চাইলেও কাজে লাগাতে পারব না। যদি না ভয়ানক মেথডিক্যাল হয়ে কুড়িখানা ঘড়ি রোটেশনে পরতে শুরু করি। আমি গত সাড়ে তিন বছর ধরে চুলে একটাই ক্লিপ লাগিয়ে অফিস যাই,  ঘড়ির ব্যাপারে অত উদ্যোগ যে দেখাব না সেটা বলার জন্য নস্ত্রাদামুস হওয়ার দরকার নেই। 
খালি রিংকুপিসির দেওয়া লাল ব্যান্ডের ঘড়িটা আর মায়ের দেওয়া একটা ঘড়ি, মিলিয়েমিশিয়ে পরি।

পরতাম। 

মানতে চাই না চাই, গত ছ'মাস আমার ঘড়ি ছাড়া চলে গেছে। কারণ কবজি ঘোরানোর থেকেও সোজা হচ্ছে হাতে ধরে থাকা আলোকিত স্ক্রিনটার ওপরে ডানদিকের ওপরের কোণায় তাকিয়ে সময় দেখে নেওয়া। 

হয়তো মেনে নেওয়ার সময় এসেছে, হাতঘড়ি ব্যাপারটার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। স্রেফ নস্ট্যালজিয়ার মুখ চেয়ে রাখা।

*****

সেপ্টেম্বরের লিস্টের আর একটি আইটেমেও আঁচড় পড়ুক না পড়ুক, ব্যাংকের ঝামেলাটা সামলানো যাক না যাক, দিল্লি বইমেলা যাওয়া হোক না হোক, ঘড়ি সারানোর আইটেমটায় টিক না মেরে আমি থামছি না।


Comments

  1. ক্যাসেট মরে গেছে
    cassette er ekta alada aabhijatyo chilo kintu.

    তখন গার্ডার বলতাম..tukro kothay purono samay ta chole ase mone.

    যতই রসিকতা করি না কেন বিয়ের বেস্ট উপহার বেডকভার

    ekdom perfect kotha

    হাতঘড়ি ব্যাপারটার আর কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই।
    oi fashion aar ki.samay dekha ta secondary.

    bhalo laglo lekhata

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, প্রসেনজিৎ।

      Delete
  2. অনেক কান্নাকাটি আর ক্লাস থ্রির রেজাল্ট ভালো হওয়ায় বাবা মা আমাকে প্রথম ঘড়ি কিনে দিয়েছিলেন অনেক গুলো condition দিয়ে| যার মধ্যে একটা ছিল যে আত্মীয়েরা ঘড়ি পরলে ছেলেমেয়েরা গোল্লায় যাবে মনে করতেন তাঁদের বাড়িতে ঘড়ি পরে যাওয়া চলবে না| এখন আমি নিজেই আর ঘড়ি পরি না ,পরলেও অনভ্যাসে ভুলেই যাই কব্জিতে ঘড়িটা বাঁধা |

    লেখাটা তো দারুন ই, কিন্তু মণি থেকে মিসেস ব্যানার্জি হয়ে ওঠার ম্যাজিকটা বেস্ট :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোমার বাবামা খুবই কনসিডারেট ছিলেন বলতে হবে, ময়ূরী, আমার বাবামা তো নিজেরা শাসন করেই কূল পেতেন না, আত্মীয়স্বজনের কথা ভাবতে গেলেই হয়েছিল। মায়ের ডাকনামটা তোমার মনে আছে শুনলে মা খুবই খুশি হবেন।

      Delete
  3. amar prothom ghori chilo PU bandwala 150 takar ghori parar Debnath Opticals theke kine ana. Ghori niye fascination tarpor dine dine bereche. akhon Guess ar Fastrack e ese poucheche seta.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা, তুমি তো ঘড়ি নিয়ে সিরিয়াস দেখছি, কুহেলি। অবশ্য ঘড়ি ভালো জিনিস।

      Delete
  4. খুট করে সেই শব্দটা আর... ছিল মা, হয়ে গেল মিসেস ব্যানার্জি।

    ম্যাজিক যেন দেখতে পেলাম চোখের সামনে... অ সা ধা র ণ"

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, চন্দ্রচূড়।

      Delete
  5. বৈজয়ন্তীSeptember 5, 2018 at 7:01 PM

    হাতঘড়ি বেঁচে আছে। মনে হয় থাকবেও। তবে সময় দেখার জন্য নয়। কুল এক্সেসরি হিসেবে, অনুষ্ঠানবাড়িতে হাতের গয়না হিসেবে।

    ReplyDelete
  6. সুনীল বাবুর লেখা পড়ে সেই যে ঘড়ি পড়া ছারলাম আর পড়া হয়নি, আবার আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে এবার ঘড়ি পড়লে কেমন হয়? ভালো লাগলো লেখাটা।

    ReplyDelete
  7. ta thik noye....amar ma daktar ar pulse dekha r jonne haat ghori besh kaaj e deye. :) ei bochorer jonmodin e ghori chilo wishlist e....

    ReplyDelete
  8. ki bhalo laaglo pore...ghori amar o boro priyo. kintu haatghorir proyojoniyota bodhhoi sattite serokom nei aar aajkaal. amar khub bhalo laage haatghori....

    Prothom paragraph er jonyo hi-five...arekta byapar ekhonkar diner bachchara bodhhoi janei na...amader barite amar chhotobelai hoto...hothat kore barir samne rickshaw/taxi theke atmiyo ra namten aar tarpor dinkoek theke jeten. ekhon to ph kore, mail lihe, address share kore...aasa---

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। ঘড়ি আমারও ভালো লাগে। আর লোকজনের বাড়ি যাতায়াতের ব্যাপারটা গত কয়েক দশকে এমন আমূল বদলে গেছে, অবিশ্বাস্য।

      Delete
  9. Bah, khub sundor lekhata!
    Ami prothom ghori pai bhaifotay, amar cheye 6 masher boro mastuto didi or jomano poysha diye kine diyechhilo, oi class 5-6 hobe.
    tobe Madhyamik porikkhar din sokalbela baba ekta ghori ene diyechhilen, seta mone acche. ei duto ghorii onekdin amar kachhe chhilo. In fact, babar dewa ghorita ei kodin age obdio porechhi.
    Onek purono ghotona mone pore gyalo. Ei lekhatar jonyo dhonyobad Kuntala. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনি তো ভাগ্য করে মাসতুতো দিদি আর বাবা পেয়েছেন দেখছি। পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর দিনের বদলে পরীক্ষা শুরুর দিন সকালবেলা উপহার দেওয়ার আইডিয়াটা চমৎকার এবং অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত।

      Delete
  10. আমার আবার ঘড়ি দারুণ প্রিয়। গোটা চারেক ঘড়ি আমি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরি, অফিসে, আড্ডায়, বেড়ানোয়। কাজে লাগে তেমন না তবে ওই আর কি ফর্মাল প্যান্টে বেল্টের মতো। না থাকলে খালি লাগে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা ঠিক বলেছ, প্রদীপ্ত। না থাকলে খালি লাগার ব্যাপারটা।

      Delete

Post a Comment