তিরিশ লাগবে না, দশেই হয়ে যাবে



ঘর গুছনো স্পেশালিস্ট মারি কোন্ডোর নাম আপনারা শুনে থাকতে পারেন। দু’হাজার চোদ্দ সালে ওঁর জাপানি বইয়ের আমেরিকান সংস্করণ ‘দ্য লাইফ চেঞ্জিং ম্যাজিক অফ টাইডিয়িং আপ’ প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ‘কোনমারি’ অর্গানাইজেশন মেথড আন্তর্জাতিক ঝড়ে পরিণত হয়। বইটি বিশ্বের শক্তিশালী ভাষাগুলিতে অনুবাদ হয়, মারি সেলিব্রিটি হন, খ্যাতি হয়, টাকা হয়, লস অ্যাঞ্জেলিসে বাড়ি হয়, সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে শো-ও হয়েছে। 

নেটফ্লিক্সে শো শুরু হওয়ার পর কোন্ডো বিতর্কের মুখে পড়েছেন। সেলিব্রিটি হলে বিতর্কও হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু ঘর গুছনো নিয়ে টুইটারে কতই বা গা গরম করা সম্ভব তাই মারি কোন্ডো এতদিন বিতর্ক এড়িয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু আর পারলেন না। নেটফ্লিক্সের শো-তে বলে বসলেন, যদি জমাতেই হয়, তিরিশটির বেশি বই বাড়িতে জমানো উচিত না। 

আর যায় কোথায়। লোকে বল্লম নিয়ে লাফিয়ে পড়েছে। এটা আগেও খেয়াল করে দেখেছি। অতি বড় মিনিম্যালিস্ট, জামাকাপড়, গয়নাগাঁটি, বাড়িগাড়ি কেনা না নিয়ে গর্ব করেন তিনিও ডাইনেবাঁয়ে বই কিনতে থাকেন এবং তাতেও গর্বের অন্ত বোধ করেন না। কেনারও দরকার নেই। যেনতেনপ্রকারেণ জমাতে পারলেই হল। বাকি সব শিল্পকর্মের থেকে বইয়ের চিরদিন আলাদা স্টেটাস। লোকে ছবি, নাটক, সিনেমা, ছবি প্রদর্শনী, আবৃত্তি, সব সুড়সুড় করে টিকিট কেটে দেখতে রাজি থাকে খালি বইয়ের বেলা, ‘পি ডি এফ হবে দাদা?’ না হলে দক্ষযজ্ঞ। কিছুদিন আগে ‘ওশেনঅফপিডিএফ’ বলে একটি সাইট নিয়ে রক্তগঙ্গা বইবার উপক্রম হয়েছিল। সাইটটি সার্থকনামা, তারা সত্যিই জালি বইয়ের মহাসমুদ্র ফেঁদে বসেছিল। বিখ্যাত সব বই, পুরস্কার পাওয়া, পুরনো, আধাপুরনো, নতুন, এমনকি রিলিজ করার সপ্তাহ শেষ হতে না হতে নিখুঁত পি ডি এফ বার করে দিচ্ছিল। লেখকরা একজোট হয়ে সাইটটি লাটে তোলার ব্যবস্থা দেখেন এবং সফল হন। ব্যস। সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম। বই পড়া মানুষের জন্মগত অধিকার, সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করার সাহস হয় কী করে? তাও আবার বইয়ের মতো এমন মহৎ জিনিস উৎপাদন করে, বাজারে বেচে, পেট চালানোর সাহস করা যমের অরুচি লেখকদের? প্রতিবাদটা ইন্টারনেটে বলে ঘটনা লেখকদের ডেথ থ্রেট (লেখিকা হলে রেপ ফাউ) দেওয়া পর্যন্ত অবধি গড়িয়েছিল। 

বই পড়ার অধিকার নিয়ে লোকের যত উৎসাহ, বই পড়া নিয়ে অর্ধেকও যদি থাকত। 

পোস্ট লম্বা করার আগে মারি কোন্ডোর মেথডটা আপনাদের বলা দরকার। আমি কী করে জানলাম? কারণ আমি ওঁর বইটির বেআইনি পি ডি এফ পড়েছি। কোনমারি মেথডের এক লাইনের সংজ্ঞা হচ্ছে অকাজের জিনিস টান মেরে ফেলে দেওয়া। কিন্তু কোন জিনিসটা কাজের আর কোন জিনিসটা অকাজের কে ঠিক করবে? আমার মনে হতে পারে আমার পেনদানিতে এইমুহূর্তে যে পনেরোটা পেন, যার তেরোটায় কালি নেই, তারা সকলেই কাজের। বা এই মুহূর্তে কাজের নয়, কিন্তু কোনও সময় কাজে লাগতেও পারে। আমি এমন লোককে চিনি যিনি দরকারের সময় সেফটিপিন বার করে দিয়ে বলেন, তবে? এই যে বল ফেলে দাও দাও কাজে লাগল তো? গত পনেরো বছর ধরে ব্যবহার হওয়া সব ডাবর হানির খালি শিশি ধুয়ে রাখছি বলে যে আপত্তি করছ, কোনদিন দেখবে ওইগুলোও কাজে লাগবে।

মারি কোন্ডো তাই কাজটাজের ধার ঘেঁষেননি। উনি জিনিস রাখা না-রাখা বিচারের অন্য কষ্টিপাথর বার করেছেন। বাড়ির সব জিনিস হাতে নিন। চোখের কাছে তুলে ধরুন। মনে ‘জয় স্পার্ক’ করছে কি? করলে রাখুন। না রাখলে ফেলুন। ওই যে মোজা, গোড়ালির কাছটা ছিঁড়তে শুরু করছে, ওটা হাতে নিন। নিন, নিন। হ্যাঁ এইবার দেখুন মোজাটা আপনার মনে আনন্দের বান ডাকছে কি না। মোজা, পেন, পুরোন খবরের কাগজ, বিয়ের শাড়ি, ফেয়ারওয়েলের ঘড়ি, অ্যামেরিকার কাজিনের দেওয়া সেন্ট সবেরই পরীক্ষার এক পাসমার্ক। জয় স্পার্ক করা। 

মোজাটোজা পর্যন্ত লোকে শুনতে রাজি ছিল। কিন্তু মারি কোন্ডো বোকার মতো বইয়ের দিকে নজর দিতে গেছেন। তিরিশটার বেশি বই কোনও মানুষের মনে জয় স্পার্ক করে কি না সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। উনি বোঝেননি বই জিনিস নয়, বই ইমেজ। মোজার সঙ্গে তাকে গোলানো চলে না। বই জয় স্পার্ক করুক না করুক, ইমেজ চকাচক স্পার্ক করে। 

আপাতত চতুর্দিকে নানা লিস্ট বেরোচ্ছে, সরি মারি কোন্ডো, আমার বইয়ের দিকে বুরি নজর দেওয়া অ্যালাউ করব না। সকলেই মনে জয় স্পার্ক করা বইয়ের লিস্ট দিচ্ছে। লিস্টে আইটেম তিরিশের অনেক বেশি।

আমিই বা বাদ থাকি কেন। 

কিন্তু লিস্ট বানাতে গিয়ে দেখছি তিরিশটার অনেক কম বইই আমার মনে আনন্দ ঝলকায়। গোটাদশেকেই সেরে দেওয়া যাচ্ছে। বুককেসের বাকি বই ফেলে দিতে আমার কষ্ট হবে, কিন্তু এগুলো ফেলতে সিরিয়াস, সিরিয়াস কষ্ট হবে। মনে রাখতে হবে, এখানে শ্রেষ্ঠ বইয়ের কথা জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে না, কোন বই পড়লে মোক্ষলাভ হবে এবং না পড়লে আমি নিজেকে সিরিয়াস পাঠক হিসেবে প্রমাণ করতে পারবেন না তার খতিয়ান এখানে দেওয়ার দরকার নেই। এখানে সেই সব বইয়ের কথাই বলা হয়েছে যার আমার জীবনে ব্যক্তিগত প্রভাব রয়েছে। সে বই বিখ্যাত হতে পারে, নাও পারে। পুরস্কার পাওয়া কিংবা পপুলার হওয়া কিছুই ম্যাটার করবে না, শুধু আমার মনে তার জয় স্পার্ক করার ক্ষমতা থাকতে হবে। 

কয়েকটা ডিসক্লেমার। 

এক, এখানে এমন কয়েকটা বইয়ের কথা বলা আছে, লিস্ট পড়লেই আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে কোন বই, যেগুলো আমার কেন, কারওর মনেই ‘জয়’ স্পার্ক করবে না। উল্টে গভীর ডিপ্রেশনে ঠেলে দিতে পারে। কিন্তু আওয়ার সুইটেস্ট সংস আর...হ্যানাত্যানা। না হলে দেবদাস কেউ একবারের বেশি দেড়বার পড়তে বসত না।

দুই, লিস্টে সমগ্রর উল্লেখ দেখে চিটিং মনে হতে পারে। কিন্তু সেই সব সমগ্র বইগুলোই আমি রেখেছি যেগুলো আমি প্রথম থেকেই সমগ্র হিসেবে পড়েছি।

তিন, সত্যজিৎ রায় আর আগাথা ক্রিস্টির কোনও বই এখানে নেই। তার গৌণ কারণ হচ্ছে, ওই দুজনের লেখার হার্ড কপি আমার কাছে বেশি নেই। সত্যজিৎ বা আগাথার বই আমি যতবার পড়েছি, লাইব্রেরি থেকে নিয়েই পড়েছি। (এখন বেআইনি পি ডি এফ গুগল ড্রাইভে সেভ করা আছে।) বছর ছয়েক আগে পর্যন্ত তো একটাও ছিল না। অর্চিষ্মানের হার্ডকপির শখ তাই ওর কল্যাণে বাড়িতে কয়েকটা সিংগল শঙ্কু আর সিংগল ফেলুদা - বাদশাহী আংটি, সোনার কেল্লা, হত্যাপুরী জড়ো হয়েছে।

মূল কারণ হচ্ছে আমি সেগুলোর একটারও নাম করিনি, কারণ সত্যজিৎ বা আগাথা ক্রিস্টির আলাদা আলাদা লেখা বা সমগ্রেরও নাম এ লিস্টে করার মানে হয় না। ওঁরা যা লিখেছেন, কম ভালো বেশি ভালো নির্বিশেষে, সবই আমার মনে অপার আনন্দ ঝলকায়। যতবার পড়ি, যতবার বিবিসি কিংবা রেডিও মিরচিতে অডিওবুক কিংবা নাটক শুনি, এমনকি জাস্ট গল্পগুলোর কথা মনে পড়ে আমি খুশি হয়ে গেছি এও ঘটেছে। কাজেই ওঁরা বাদ।

*****

১। পথের পাঁচালীঃ এই উপন্যাসটি, আরও অসংখ্য বাঙালির মতো আমারও প্রাণের উপন্যাস, কিন্তু আমি বইটা ওই উপন্যাসটি প্রিয় বলে রাখব না। রাখব ওই বিশেষ কপিটির জন্য। আমার মা এই বইটি যখন আমার জন্য কিনে এনেছিলেন তখন আমার ‘পশুর ছড়া’ বইয়ের বেড়ালের ছবিতে ম্যাও ম্যাও বলে থাবড়া মারার স্টেজ। বাড়ির প্র্যাকটিকাল সদস্যরা বলেছিলেন, এ দিয়া অহন অইবটা কী? পড়তে তো পারব না। আমার মা এমনিতে নরম মাটি কিন্তু কিন্তু কিছু কিছু ব্যাপারে, যার মধ্যে আমি পড়ি, গ্র্যানাইট। একটুও না ঘাবড়ে বলেছিলেন, বড় হয়ে পড়বে। এই বই উদ্ধারের জন্য আমি স্কুটি চালিয়ে তিন স্টেশন উজিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি গিয়েছিলাম। তারা বই নিয়ে গিয়ে ক্ষান্ত দেয়নি, নীল কালি দিয়ে নিজেদের নামও লিখে রেখেছিল পাতায়। সেই নাম আমি হোয়াইট আউট দিয়ে ঢেকেছি এবং আমার মনের একজায়গায় সেই হোয়াইট আউটের ছোপের সমান একটা ব্ল্যাক হোল তৈরি হয়েছে, আমার সেই আত্মীয়দের প্রতি। বাড়িতে আগুন লাগলে আমি একহাতে অর্চিষ্মান আর আরেক হাতে এই বইটা নিয়ে দৌড়ব।

২। বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডঃ গোলাপি ফিনফিনে মলাট দেওয়া সংস্করণ। নো ছবি। সিরিয়াস বিজনেস। এই বইটা থাকবে জয় উদ্রেক করে বলে নয়, থাকবে কারণ এই বইটা না থাকলে কোন বই থাকবে কোনটা যাবে এই গোটা ঝামেলাটারই উদ্রেক হত না বলে। তাছাড়া বইটা আমার হিরোর লেখা।

৩। সুকুমার সমগ্রঃ জয়। বিশুদ্ধ জয়। 

৪। উপেন্দ্রকিশোর সমগ্রঃ এই ধরণের গ্র্যান্ড মন্তব্য করার পক্ষপাতী আমি নই তবু করছি; আমার মনে হয় সবথেকে আন্ডাররেটেড ‘রায়’ হচ্ছেন ইনি। রূপকথা থেকে পুরাণ থেকে হাসির গল্প থেকে শিক্ষামূলক - এই রেঞ্জে এমন সাবলীল বিচরণ রায়বাড়ির আর কেউ তো ছেড়েই দিলাম, বাংলাভাষার অন্যান্য কোনও লেখকও করেছেন বলে আমার জানা নেই। তাছাড়া রিফ্লেক্স প্রকাশনীর বাঁধানো মলাটে বরের সাজে বাঘমামার ছবিখানা আমার প্রিয়। 

৫। পরশুরাম সমগ্রঃ এই বইটা আমার বুককেসে কেন থাকবে আমি বলতেই পারি কিন্তু সৈয়দ মুজতবা আলী যখন বলেই গেছেন তখন আমার মুখ বন্ধ রাখাই সমীচীন। আলীসাহেব এই বইয়ের লেখককে বলেছিলেন, যদি আপনার সব লেখা কখনও হারিয়ে যায় আমাকে বলবেন আমি স্মৃতি থেকে সব বলে দেব। আরেকজায়গায় লিখেছিলেন, আমি বিশ্বের কয়েকটি ভাষার সাহিত্য মোটামুটি ভালো করে পড়েছি, সেই জ্ঞান দিয়ে বলতে পারি, পৃথিবীর যে কোনও ভাষায় লিখলে রাজশেখর বসু গ্রেটেস্টদের মধ্যে পরিগণিত হতেন।

৬। অক্ষয় মালবেরিঃ এই বইটার রিভিউ অবান্তরে লিখব ভেবেছি অনেকবার। পারিনি। হৃদয়ের প্রতিটি কোষে সুতো বেঁধে যদি কেউ টান মারে, তা হলে যেমন লাগে, এই বইটা পড়তে পড়তে সে রকম লেগেছিল। প্রতিবারই লাগে। কবি না হলে এমন গদ্য যে লেখা যায় না, তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

৭। বেল জারঃ এই বইটা রাখার সিদ্ধান্তটা একটু অদ্ভুত কারণ সম্ভবতঃ এই বইটা আমি আর কোনওদিন পড়ব না।  একবার পড়ে আমার যা হাল হয়েছিল, দ্বিতীয়বার ও জিনিসের মুখোমুখি দাঁড়ানোর সাহস আমার নেই। তবু নেব। কিন্তু ওই যে গোড়াতেই বললাম, বই পড়ার আনন্দ সবসময় আনন্দে হয় না; হৃদয় মুচড়ে ব্যথা দিলেও, দম বন্ধ করে মারার উপক্রম করাটাও একরকম আনন্দ দেয়; বেল জার সেই জন্য থাকবে।

৮। ক্যালভিন অ্যান্ড হবসঃ আমাদের বাড়িতে দুটো আছে, দুটোই থাকবে, কারণ এই বইদুটো আমার অর্চিষ্মানের সঙ্গে প্রেমের শুরুর দিকের কথা মনে পড়ায়। 

৯। দ্য কনফেডেরাসি অফ ডান্সেসঃ এই বইখানা পড়ার আগে পরে হাতে গোনা কিছু ইউনিক বই পড়েছি, কিন্তু এই বইটা জাস্ট ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। মনে হয়েছিল এই রকমটা আর কোথাও পড়িনি। তাছাড়া এই বইটার হয়ে ওঠার গল্পেও একটা রোম্যান্টিকতা আছে। বইটা লিখে রেখে লেখক আত্মহত্যা করেছিলেন। সে ঘটনার কিছু বছর পর লেখকের মা পাণ্ডুলিপি খুঁজে পেয়ে প্রকাশকদের দোরে দোরে ঘুরতে শুরু করেন এবং অবশেষে মৃত পুত্রের লেখা ছাপাতে সক্ষম হন। প্রকাশিত হওয়ার পর বইটি মডার্ন ক্লাসিকে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি। না নিলে অন্যায় তো হতই, বিশ্বসাহিত্যের ক্ষতি হত বলেও আমার বিশ্বাস।

১০। নির্বাচিত ত্রৈলোক্যনাথঃ এঁর লেখা  লাইব্রেরি থেকে নিয়ে, পত্রপত্রিকায়, সিলেবাসে বিচ্ছিন্নভাবে পড়েছিলাম। দু’হাজার চোদ্দর বইমেলায় চর্যাপদর স্টলে বইটা দেখে সারা মেলা ঘুরে আবার ফিরে গিয়ে কিনেছিলাম। এই বইটা থাকবে, কারণ এই বইটার মতো সত্যিই আর কিছু পড়িনি। যতদিন বাঁচব পড়ব কি না সন্দেহ আছে।

বোনাস বইঃ  টু কিল আ মকিং বার্ডঃ এটা জয়টয়-এর জন্য নয়, অ্যাটিকাস ফিঞ্চের জন্য থাকবে।



Comments

  1. মারি কোন্ডো নিয়ে চারিদিকে হৈচৈ চলছে, দু একটা এপিসোড দেখেও ফেলেছি। ভদ্রমহিলার বিসনেস সেন্স এর তারিফ করতেই হয়, সবার জানা জিনিষকে নতুন প্যাকেজিং এ প্রেসেন্ট করে বিশ্বজয়।
    তুমি কন মারি মেথড কে দুর্ধর্ষ টুইস্ট দিলে! এবং তোমার ১ নম্বর বই আমার ও ১ নম্বর, তাতে আরো আনন্দ হলো। দু নম্বরে প্রথম প্রতিশ্রুতি থাকবে অবশ্য।
    "অতি বড় মিনিম্যালিস্ট, জামাকাপড়, গয়নাগাঁটি, বাড়িগাড়ি কেনা না নিয়ে গর্ব করেন তিনিও ডাইনেবাঁয়ে বই কিনতে থাকেন এবং তাতেও গর্বের অন্ত বোধ করেন না। " - এইরে, আমি তো এই দোষে দোষী :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. এই দোষে অনেকেই দোষী, কাকলি, কাজেই ঘাবড়ানোর কিছু নেই।

      Delete
  2. 1 theke r 5 no ebong 10 no e ekmot. bakigulo porini. Pore felte hobe. PDF er bapar ta thik e bolechen, pirated boi pora r cinema dekhar ovves hoe geche pakapaki. ektu guilty feeling hoi kintu kiptemi charte eccha korena. R barnaporichoy e lekhok apnar hero sune khub valo laglo, ei bishoy e hi five. Asole bangladesh er sob meyer e ei ekjon common hero thaka uchit.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ সুহানি, হিরো হওয়ার জন্য ওঁর থেকে যোগ্য লোক পাওয়া শক্ত।

      Delete
  3. Akahay Mulberry porini, sudhu porini kano, naam to sunini. Bhagyis likhlen. Porer bar kolkata giye i kine felbo. Baki bangla boigulo te ami sompurno ekmot. Kintu apnar list e kono kobitar boi nei ? Amar list hole er songe rabindranath er kobita, ar bhibhutivhusan er chotogolpo thakto.

    ReplyDelete
    Replies
    1. অক্ষয় মালবেরি অবশ্যই পড়বেন, ঘনাদা। ঠকবেন না, গ্যারান্টি। কবিতা আমি খুবই কম পড়েছি আসলে।

      Delete
  4. Ami to 10 ta bolte parbo na.. tate amar ghor jotoi purono boi te bojhai hok.. jodio amar stock nogonno.. mary condo er episode dekhechi.. ekdom e oi jamakapor ke thank you bole paat korte parbo na.. haha.. ami nijer process e ghor gochano ba porishkar koratei satisfied..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও তাই মত, ঊর্মি। পরিষ্কার যদি করতেই হয়, নিজের পদ্ধতিতেই করা ভালো। তাছাড়া কোনমারি ভয়ানক পরিশ্রমের মেথড, শখ করে কেন কেউ অত খাটতে যাবে ভগবান জানেন।

      Delete
  5. আমি আগেও বলেছি "আমার বই" বলতে কি বোঝায় সেই ব্যাপারটা খুব স্পষ্ট নয়, কারণ আমার দাদুর এবং আমার বাবার কেনা সমস্ত বইকেই আমি নিজের বলে মনে করি। তবে আপনার তালিকার সঙ্গে নিঃসন্দেহে উপেন্দ্রকিশোর আর সুকুমার মিলবে, টু কিল এ মকিংবার্ড-ও। উপেন্দ্রকিশোরের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন, আমি অক্ষরে অক্ষরে মানি, এবং সেই সঙ্গে এটাও মানি যে নন-ননসেন্স লেখার ব্যাপারে সুকুমারও ভয়ানক আন্ডাররেটেড। এই যে আমার আজ এরকম সবজান্তা দুলিরামের মতন অবস্থা, আর চারপাশে সবাইকে জ্ঞান দিতে গিয়ে গাল খাই, এর জন্য অনেকটাই সুকুমার দায়ী। আমার তালিকায় সেরা সন্দেশ আর প্রথম প্রতিশ্রুতি বই দুটো থাকবে, য়াকভ পেরেলম্যানের লেখা "ফিজিক্স ক্যান বি ফান" বইটাও থাকবে। আরণ্যক আর চাঁদের পাহাড় এই দুটোর জন্য বিভূতি রচনাবলিটাও...

    এ জন্মে আমার আর মিনিমালিস্ট হওয়া হলনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. চিন্তা করবেন না, মিলিম্যালিজমের ট্রেন্ড এ বছরেই লাটে উঠবে, বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। প্রথম প্রতিশ্রুতিটা অ্যাকচুয়ালি আমারও লিস্টে রাখা উচিত ছিল। তবে হার্ড কপি নেই বলেই বোধহয় ভুলে গেছি। ও বইয়ের হার্ড কপি না রাখার ভুলটাও শোধরাতে হবে। থ্যাংক ইউ, সুগত।

      Delete
  6. Ami kothay arekta boi er almari kenar taal e achhi, r Mary Kondo ina boi fele dite bolchhen??!!

    KI KANDO!!!

    In fact, joto din jachhe, boi er byapare maximalist hoye porchhi...eta bhalo ki kharap, ke jane!

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাতেই তো গোলযোগ বেধেছে, অরিজিত। সব্বাই মারমুখো।

      Delete
  7. ami minimalist to na e, boi er byapare eroi na. tomar list e aro kota add kori, Sharadindu r oitihasik somogro, Robin Cook er Fever (boi hisebe khub ekta bhalo na, kintu text book er cutting edge biology diyeo je thriller lekha jay, seta prothom bolbar jonya), Nabanita Debsen er Truckbahone Mcmahone, Hans Christian Anderson er Roopkotha, dhut konta chhere konta rakhi. Aro prochur sob mone porchhey. List banano teo minimalist hote parlam na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আজকাল কাউন্টার অ্যাটাক হিসেবে ম্যাক্সিমালিস্ট মাঝেমাঝেই এদিকসেদিক ঝাণ্ডা নাড়ছেন, চুপকথা, কাজেই চিন্তা নেই।

      Delete
  8. এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে এই ব্লগ খুঁজে পেলাম। আর খুলে দেখি, না, মনি মুক্তো ঠিক না, অনেকটা মায়ের ভাঁড়ার ঘরের মত। একটা আটপৌরে গন্ধ, অথচ বেশ মন ছুঁয়ে যাওয়া লেখা।

    এই অধম এক অর্বাচীন কিশোর। পড়তে ভালোবাসি, কিছু অখাদ্য লেখা ও লিখি।
    আপনার লেখা পড়ে ফ্যান হয়ে গেলাম। মেল আইডি কি পাওয়া যায়, পেলে আলাপচারিতায় বাধা থাকত না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ঋচিক। অবান্তর ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল। আমার মেল আই ডি নিচে দিলাম।

      abantorprolaap@gmail.com

      Delete

Post a Comment