মার্চ মাসের বই/ ৩ (শেষ)




A Necessary Evil/Abir Mukherjee
(Sam Wyndham, #2)




আবীর মুখার্জির স্যাম উইন্ডহ্যাম সিরিজের প্রথম গল্প 'আ রাইজিং ম্যান' আমি পড়েছিলাম বেশ ক’বছর আগে এবং অবান্তরে রিভিউও লিখেছিলাম। প্রতিক্রিয়া মাঝারি ছিল, পাঁচে সম্ভবত তিন দিয়েছিলাম, কাজেই সিরিজের পরের গল্পটা পড়ার তাগিদ অনুভব করিনি। অনেকদিন পরে সিরিজের দু’নম্বর উপন্যাসটি হাতে এল। আমি অতিরিক্ত উৎসাহ না দেখিয়েই পড়তে শুরু করলাম এবং প্রসন্নরূপে বিস্মিত হলাম।

গল্পের শুরু উনিশশো বিশের দশকের কলকাতা শহরে। ব্রিটিশ সরকার তৎকালীন স্বাধীন রাজ্যের রাজাদের একটা কনসর্টিয়াম মতো ডেকেছেন, উপস্থিত আছেন লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিস অফিসার স্যাম উইন্ডহ্যাম আর উইন্ডহ্যামের ছায়াসঙ্গী সার্জেন্ট সুরেন্দ্রনাথ “সারেন্ডার-নট” ব্যানার্জি। মিটিং-এ সম্বলপুর রাজ্যের যুবরাজ অধীর সাইও এসেছেন যিনি আবার সারেন্ডার-নটের হ্যারো ইউনিভার্সিটির চেনা। ওই হট্টমেলার মধ্যেই যুবরাজ উইন্ডহ্যাম আর সারেন্ডার-নটকে জানান তাঁকে কে বা কারা হুমকি চিঠি পাঠাচ্ছে।< >ব্যাপারটা আনঅফিশিয়ালি তলিয়ে দেখতে যুবরাজেরই গাড়িতে চড়ে দুই পুলিস অফিসার যখন যুবরাজের হোটেলের পথে তখন ফাঁকা রাস্তার ওপর দুম করে একটি লোক এসে গাড়ির সামনে পড়ে এবং যুবরাজকে গুলি করে পালায়। যুবরাজ মারা যান। 

শুরু হয় রাজনীতির খেলা। যুবরাজের খুনের তদন্ত করতে দিতে রাজি নয় রাজদেওয়ান, হীরের খনিওয়ালা বড়লোক রাজ্যের দেওয়ানকে চটাতে রাজি নয় ব্রিটিশ সরকার, অথচ চোখের সামনে বন্ধুকে খুন হতে দেখে ইস্তক সারেন্ডার নট ম্রিয়মাণ, স্যাম উইন্ডহ্যামও ব্যাপারটার শেষ না দেখে ছাড়তে রাজি নন। নানারকম ছলচাতুরি করে দুজনে সম্বলপুরে উপস্থিত হন এবং রহস্য ঘন থেকে ঘনতর হয়। সেখানে রয়েছে রাজা, রাজার এক দুই তিন রানি, সিংহাসনের একাধিক দাবিদার, রাজপরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া এক রহস্যময় বন্দী, সন্দেহজনক দেওয়ান, অতিভক্ত বডিগার্ড ইত্যাদি।

মোটে দ্বিতীয় উপন্যাসে, তাতেই আবীর মুখার্জির ভাষা, গল্প বলা হইহই করে উন্নতি করেছে মনে হয়। ব্যাকস্টোরির বোঝা ঝেড়ে ফেলে ক্যাপ্টেন উইন্ডহ্যাম স্মার্ট, সাবলীল। কলকাতা তাঁর ধাতে সয়ে এসেছে, যখনতখন কল্লোলিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন না। সারেন্ডার-নটের সঙ্গে সম্পর্কে বেশ বন্ধুত্বের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে, দুজনে শহরে একই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন, ডিপার্টমেন্টের কারও কারও ভুরু-তোলা উপেক্ষা করে। যদিও সারেন্ডার-নট বসের সঙ্গে বন্ধুর থেকে অধস্তনের মতোই ব্যবহার করেন বেশি। এটা সারেন্ডার-নটের দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে। ওটা হচ্ছে আত্ম-সংরক্ষণ, অত্যন্ত কাজের গুণ। 

নেসেসারি ইভিল-এর সমস্যাটা ধরা পড়ে গল্প মাঝপথে পৌঁছনোর পর। চরিত্ররা সম্বলপুরে পৌঁছনোর পর। চরিত্রের অভাব ছিল না, আগেই বলেছি। রিপ্রেজেন্টেশনেরও অভাব রাখেননি লেখক। রাজ্যশাসন থেকে গোয়েন্দাগিরি থেকে বিপ্লব সব যে পুরুষরাই দশভুজা হয়ে সামলাচ্ছিল না, এটা মনে রাখার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। সমস্যাটা হচ্ছে প্লটিং-এর। আ ম্যান রাইজিং-এও এই সমস্যাটা ছিল, নেসেসারি ইভিল-এও আছে। কিন্তু সব রহস্য শেষ সিনে গিয়ে সমাধান হওয়ার প্রবণতা আগের গল্পেও ছিল, এখানেও আছে। দুয়েকটা ক্লু যা ইতিউতি ছড়ানো থাকে সেগুলো দেখে হয় আপনি গোড়াতেই বুঝে যাবেন কী হতে চলেছে, নয়তো বোঝার তাগিদ অনুভব করবেন না। এটার একটা চান্স থেকে যায় বেশিরভাগ ঐতিহাসিক গোয়েন্দা গল্পেই। রিসেন্ট পাস্টে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক গল্প পড়লাম, মারাত্মক ইন্টারেস্টিং সেটিং, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে মধ্যযুগের ইউরোপ। এটার একটা সুবিধে হচ্ছে, অনেক (বেশিরভাগও হতে পারে) সেটিং-এর ব্যাপ্তিতেই মুগ্ধ হয়ে যান, গল্পের এবং লেখার গরু কোনদিকে দৌড়চ্ছে সে ব্যাপারে আশ্চর্য ক্ষমাঘেন্না বজায় রাখেন। সেটিংটা মারকাটারি, রিসার্চ মচৎকার। এর ওপর যদি আবার সাহিত্যগুণসম্পন্ন গল্পের খাঁই থাকে তাহলে বাড়াবাড়ি।

আবীর মুখার্জির লেখায় অবশ্য সাহিত্যগুণ আছে যথেষ্টই। প্লট নিয়ে অত মাথাব্যথা না থাকলে আর ঐতিহাসিক সেটিং-এ সুলিখিত গোয়েন্দা উপন্যাসে রুচি থাকে স্যাম উইন্ডহ্যাম সিরিজ নেড়েচেড়ে দেখতে পারেন।




Murder at the Margins/ Marshall Jevons
(Henry Spearman, #1)




টিফিনটাইমে নিচের ক্যাফেতে বসে গলাকাটা দামের চা খাওয়ার বদভ্যেস হয়েছে আজকাল। এই ছুতোয় সিট ছেড়ে ওঠা যায়, আর চোখের সামনে মুখের বদলও খারাপ লাগে না। অবশ্য ক্যাফেতেও একই লোকেরা যায়, কিন্তু 
তাও একটু তো বদল হল। টিফিনে ক্যাফেটেরিয়ায় যাওয়ার অসুবিধেও আছে। লিফটে যে সহকর্মীর সঙ্গে দোকা পড়ে গেলে অস্ফুট ‘হাই’ বলে যে যার ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকি, ক্যাফেতে তিনিই মারাত্মক আলাপী। আগে বোকার মতো চারচেয়ার ওয়ালা টেবিলে বসতাম ছড়িয়ে বসব বলে, অফিসের দুই কিংবা তিনের ঝাঁক বেঁধে যারা খেতে আসত, 'ক্যান উই জয়েন?' বলে এসে বাকি চেয়ার টেনে ধপাধপ বসে পড়ত। এই অনুমতি চাওয়ার মানে কী কে জানে। সেই থেকে চার ছেড়ে দুইয়ের টেবিলে বসা ধরেছি। তাতেও রক্ষা পাইনি, তিনজন চারের টেবিলে বসে আমাকে হেঁকেডেকে তাদের টেবিলে পাকড়াও করে নিয়ে গেছে। এখন যতক্ষণ থাকি ঘাড় নিচু করে থাকি, যাতে চেনা চোখে চোখ না পড়ে।  

সেদিন পড়ে গেল। জানতাম কী ঘটতে চলেছে, ঘটলও। মে আই? অফ কোর্স।এমন সোৎসাহে বললাম যে নকল কোনও সন্দেহই রইল না। চেনা লোক উল্টোদিকের চেয়ারে বসলেন, বসেই জিজ্ঞাসা করলেন, হোয়াট আর ইউ রিডিং?

ইনি যে পাঠক প্রকৃতির আগেই লক্ষ করেছি। অফিসে কাজ কম থাকলে আঙুলে একটা বই গুঁজে গম্ভীর মুখে ঘোরাঘুরি করেন, প্যান্ট্রিতে কফি গোলেন। নব্বই শতাংশ সময়ে বইটি উর্দু শায়েরির ইংরিজি অনুবাদ কিংবা নন-ফিকশন হয়ে থাকে। গলা খাঁকারি দিয়ে এদিকওদিক দেখে বললাম, ইয়ে, মার্ডার মিস্ট্রি। আমাকে অবাক করে তাঁর মুখে আলো ফুটে উঠল। বললেন, তুমি কি জান আমাদের মার্জিন্যাল থিওরির ওপর একটা মার্ডার মিস্ট্রি লেখা হয়েছে? 

তাই বুঝি? এটা জানা ছিল না তো? দারুণ ব্যাপার, আপনি পড়েছেন? 

এইবার উনি গলা খাঁকারি দিয়ে বললেন, না মানে পড়ার সময়ই পাচ্ছি না, তুমি পড়ে বোলো তো কেমন লাগে। আমি সফট কপি পাঠিয়ে দেব।

ডেস্কে ফিরে দেখি মেলবক্সে অ্যাটাচমেন্ট অলরেডি উপস্থিত। 

লেখকের নাম মার্শাল জেভনস দেখে সন্দেহ হয়েছিল। গার্জেনদের অনেক রকম স্বপ্ন থাকতে দেখেছি সন্তানদের কেরিয়ার নিয়ে, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং, এমনকি সন্তান ফুটবলার কিংবা সাঁতারুও বানাতে চাইতে দেখেছি ছেলেমেয়েদের, কিন্তু বাচ্চা বড় হয়ে ইকনমিস্ট হবে এ রকমটি কাউকে চাইতে দেখিনি। ওটা হতে চাওয়াটা বাকি অনেককিছু না হতে পারার থেকে জাত হয়। কিন্তু এই বইয়ের লেখকের অভিভাবক অন্যরকম মনে হচ্ছে। না হলে অ্যালফ্রেড মার্শাল আর উইলিয়াম জেভনস-এর নাম পাঞ্চ করে সন্তানের নাম দেবেন কেন? অচিরেই ভুল ভাঙল। ও নাম অভিভাবক রাখেননি, লেখকদ্বয় নিজেরাই নিজেদের দিয়েছেন। উইলিয়াম ব্রেইট (স্যান অ্যানটোনিওর ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির ইকনমিক্সের অধ্যাপক) এবং কেনেথ এলজিংগা (ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার ইকনমিক্সের অধ্যাপক) যুগলে মার্শাল জেভনস নামে গোয়েন্দাকাহিনী লেখেন। তাঁদের সিরিজের গোয়েন্দার নাম হেনরি স্পিয়ারম্যান। ইনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক, বিষয়, ঠিকই ধরেছেন, অর্থনীতি। হেনরি স্পিয়ারম্যান সিরিজের প্রথম উপন্যাস মার্ডার ইন দ্য মার্জিন ছাপা হয়ে বেরিয়েছিল উনিশশো আটাত্তর সালে। উনিশশো পঁচাশিতে বেরোয় ‘আ ফ্যাটাল ইকুইলিব্রিয়াম’,  পঁচানব্বইতে ‘আ ডেডলি ইনডিফারেন্স’ এবং সর্বশেষে দু’হাজার চোদ্দতে ‘দ্য মিস্ট্রি অফ দ্য ইনভিজিবল হ্যান্ড’। 

মার্ডার ইন দ্য মার্জিনের গল্পের ছাঁদ একেবারে আগাথা ক্রিস্টির প্লট থেকে উঠে এসেছে। একটি ক্যারিবিয়ান দ্বীপে (যেখানে ঢোকা বেরোনোর অবাধ উপায় নেই) ছুটি কাটাতে গিয়েছেন প্রফেসর স্পিয়ারম্যান আর প্রফেসরের স্ত্রী পিজ। সেখানে আরও হাজির হয়েছেন হার্ভার্ডের থিওলজির অধ্যাপক প্রফেসর ডাইক (ইনি নিও-ক্ল্যাসিকাল ইকনমিক্সের ঘোর বিরোধী), একজন খিটখিটে জেনারেল, একজন বিকট ধ্যানধারণা পোষণ করা বিচারপতি যিনি রাজনীতিতে নেমেছেন বা নামতে চলেছেন, বিচারকের বড়লোক এবং না-বনিবনা হওয়া ফ্যাশনেবল স্ত্রী, একজন রহস্যময়ী একা মহিলা, বর্ণবৈষম্যের বিরোধিতা করা একদল অ্যাক্টিভিস্ট, এবং হঠাৎ উদয় হওয়া একজন নামধামহীন লোক।

সব মিলিয়ে একেবারে ক্রিস্টির দুনিয়া।।

আমার তাতে আপত্তি নেই, বলা বাহুল্য। অনেকরকম রহস্য গল্প নিয়মিত পড়ে থাকলেও, এই কোজি মিস্ট্রির দুনিয়াটাই আমি সবথেকে বেশি পছন্দ করি। অবশ্য আগাথা ক্রিস্টির লেখাকে কোজি বলা যায় কি না সে নিয়ে বিতর্ক চলছে, তবু অধুনা জনপ্রিয় নোয়ার ঘরানার তুলনায় ক্রিস্টি যে ফুরফুরে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্লট, চরিত্রচিত্রণ, কোনখানটা কতখানি কখন পাঠককে দেখিয়ে কতখানি ঢাকা এই সবে দক্ষতাকে আগাথা ক্রিস্টি শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছেন এবং এই পারাই তাঁকে গোয়েন্দালেখকদের মধ্যে অমর করেছে, কিন্তু আমার মতে ক্রিস্টি সবথেকে ভালো পেরেছেন পাঠককে ওই দুনিয়াটায় নিয়ে যেতে। 

অবশেষে দ্বীপে খুন শুরু হয়। প্রথমেই খুন হন খিটখিটে জেনারেল, স্পিয়ারম্যান সে বিষয়ে মাথা ঘামাতে না ঘামাতেই আরও একটা খুন।

হেনরি স্পিয়ারম্যানের রহস্য সমাধানের ভিত্তি হচ্ছে গোল-ম্যাক্সিমাইজিং বিহেভিয়ার। যখনই কোনও মানুষ এই বিহেভিয়ার থেকে বিচ্যুত হয়, তখনই বুঝতে হবে গোলমাল। র‍্যাশনালিটি স্পিয়ারম্যানের মূল মন্ত্র। আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ, প্রতিটি চয়েস, র‍্যাশনালিটি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়, বিশ্বাস করেন স্পিয়ারম্যান। এবং এই তত্ত্ব খাটিয়ে তিনি প্রত্যেকবার রহস্যের সমাধান করেন। ছোটখাটো, টাকমাথা, নিও ক্ল্যাসিকাল ইকনমিক্সের ধ্বজাধারী হেনরি স্পিয়ারম্যানের চরিত্রের অনুপ্রেরণা মিল্টন ফ্রিডম্যান কি না সে নিয়ে জলঘোলা করেছে অনেকেই কিন্তু সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

অ্যামেরিকার বহু ইকনমিক্সের ওয়ান ও ওয়ান কোর্সে নাকি ‘মার্ডার অ্যাট দ্য মার্জিন’ বিনোদনমূলক পাঠ হিসেবে পড়ানো হয়। ইকনমিক্স না শেখা গেলেও, ইকনমিক্সের প্রতি আগ্রহ যে জাগতে পারে এ বই পড়ে, সেটা বিশ্বাস করা যায়। তরতরে ভঙ্গি, ঝরঝরে ভাষা। পরের বইগুলোও পড়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। 

*****

আপনারা কেউ ইন্টারেস্টিং কোনও বই পড়লেন কি রিসেন্টলি? পড়লে জানাবেন। আমি ক'দিনের জন্য দিল্লির গরম থেকে পালাচ্ছি। সম্ভবতঃ সোম কিংবা মঙ্গলবার দেখা হবে আবার। না হলে বুধবার তো হবেই। ততদিন ভালো থাকবেন। টা টা বাই বাই, আবার যেন দেখা পাই।




Comments

  1. Khub bhalo laglo Reviewgulo pore. Prothom boita porar agroho hochchhe.
    Er modhye amio Murder mystry porchhi. Malice /Keigo Higashino -er lekha. Porte paren jadi na pora thake. Amar khubi bhalo lagchhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ম্যালিস পড়েছি, সায়ন। ডিভোশন অফ সাস্পেক্ট এক্স বলে ওঁর আরেকটা বই আছে সেটাও পড়েছি, তবে আর কিছু না।

      Delete
    2. Aachha. Apnar chhobi dekhlam Delhi Bangla Boimelay Liriqal er stalle, Sumeru Mukhopadhyayer album e. Ki ki boi nilen? :)

      Delete
    3. খুবই লজ্জার সঙ্গে জানাচ্ছি, সায়ন, কোনও বইই নিইনি। আসলে বাংলা বই যা যা কেনার ইচ্ছে ছিল কলকাতা বইমেলা থেকেই নিয়ে এসেছিলাম। যদিও তিন চারটে বই চোখে লেগেছে কাল, দেখি, সংযম প্র্যাকটিস না করতে পারলে অনলাইন অর্ডার করব।

      Delete
  2. আপনার রিভিউগুলোর আপেক্ষায় থাকি। আবীর মুখার্জি লিস্ট এ আছেন বেশ কিছুদিন থেকেই। পড়তে হবে।
    আমি পড়লাম Child 44 by Tom Rob Smith। বেশ ভাল লাগল। না পড়ে থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ। নিশ্চয় খুঁজে দেখব।

      Delete
  3. দু'খানা বই-ই 'পাঠ্যতালিকায়' তুললাম।
    আমি সর্বগ্রাসী পাঠক। বইমেলার সময় কেনা কিছু ভালো, কিছু চরম ঝুল বই পড়লাম সম্প্রতি। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে গেল এই দুটো বই:
    ১. কার্ল জিমার-এর 'She Has Her Mother's Laugh': হেরেডিটি নিয়ে চর্চার ইতিহাস, ভূগোল, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি মাস্টারক্লাস নন-ফিকশন।
    ২. সৌমিত্র বিশ্বাস-এর লেখা 'ভাষা কুহকিনী': ৪৫৫ পাতার এই বইটির হাইপ থেকে মনে হয়েছিল, সিন্ধু-সরস্বতী সভ্যতার পতনের কারণ এবং তার উত্তরাধিকার নিয়ে একটা জম্পেশ থ্রিলার পাব। যা পেলাম তা পড়ে চরম হতাশ বললেও কম বলা হয়। ভাবতে পারেন, বইয়ের প্রথম ১৪৭ পাতা জুড়ে আছে আর্যদের আক্রমণে ওই সভ্যতার শহরগুলো ধ্বংস হওয়ার কথা, এই পুরো থিওরিটা যে পলিটিক্যাল প্রোপাগান্ডা ছিল, তা প্রমাণ হওয়ার এতদিন পরেও?! বইটাকে পাঁচে এক দিয়েছি তাতে গৌতম কর্মকারের আঁকা প্রচুর ছবির জন্য।

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথম বইটা খুঁজব, ঋজু। ঐতিহাসিক থ্রিলার শুনলেই আমার আজকাল সন্দেহ হয়।

      Delete
  4. Bah, duto boii besh interesting laglo, hater kachhe pele pore felte hobe dekchhi. :) Abir Mukherjee er naam shunleo, lekha porini.
    Recently pora boiyer modhye Jo Nesbo er The Snowman bhalo legechhe, best tan tan ekta thriller. Prothombar er jonyo Nesbo porlam, bhaloi laglo.
    Tobe idaning purono lekha firey porchhi abar, aar suru korechi Bibhutibhushan er golpo diye. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, বড় ভালো জিনিস দিয়ে শুরু করেছেন, অরিজিত।

      Delete
  5. সামান্য কুন্ঠিত মুখে জানাতে চাই - একটি বেশ পুরনো বই - খুশবন্ত সিং এর 'দিল্লি' | আমি এর আগে ট্রেন টু পাকিস্তান পড়ে খুব খুশি হয়েছিলাম - এতটাই যে দু চার জনকে বই টা কিনে দিয়েছিলাম পড়ার জন্যে | কিন্তু দিল্লি এখনো অব্দি অসামান্য এবং অবিশ্বাস্য ভালো লাগছে | আপনারা পড়ে থাকলে ইগনোর করুন |

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি তো পড়িনি, কাজেই ইগনোর করার প্রশ্নই ওঠে না। দিল্লি পড়ব অতি অবশ্য। সন্ধান দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

      Delete
    2. ট্রেন টু পাকিস্তান? আর আমি মার্ডার ইন মার্জিনের সফ্ট কপি চাই - সম্ভব ?

      Delete
    3. ইমেইল লিখে দিন, পাঠিয়ে দিচ্ছি।

      Delete

Post a Comment