কমফর্ট ইন দ্য টাইম অফ করোনা/ ২



অর্চিষ্মান রোজ জানতে চায়, কী দেখছ, কী শুনছ, কী খাচ্ছ। খাওয়ার কথা আর কী বলব, ডালভাত খেতে খেতে পেটে চড়া পড়ার জোগাড়। ম্যাগি খাওয়া নিয়ে অত বুক বাজালাম, দোকানে ম্যাগি হাওয়া। বলে কি না ইপ্পি আছে, দেব? আমি দুঃখিত, যে ব্র্যান্ডের কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রোডাক্টের একটা নাম রাখার কষ্ট করতে পারেননি, স্রেফ ধ্বনিসূচক অব্যয় দিয়ে কাজ সেরেছেন, আমি  (এখনই) তাঁদের পৃষ্ঠপোষক হতে রাজি নই। অবস্থা আরও সঙ্গিন হলে দেখা যাবে।

খাওয়ার কথা যা বলার আগের পোস্টে বলেছি, দেখাশোনা নিয়ে আজ বলব। দেখার থেকে শোনা (কোনও কোনও সময় পড়ার থেকেও) অনেক বেশি আরামদায়ক, গত কয়েকবছরে বুঝেছি। অনেকেই যে বুঝেছেন (বা অলরেডি বুঝেই ছিলেন) তার প্রমাণ বিশ্বজোড়া শ্রুতিশিল্পের হইহই উত্থান। ব্লগ পড়া, ভ্লগ দেখা সব ভুলে এখন লোকে পডকাস্ট শুনছে হামলে পড়ে। অডিবলের অ্যাড শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা।

কারণও আছে। প্রতিটা ইন্দ্রিয় একই সঙ্গে আটকা রাখার দায় থেকে মুক্তি। শুনতে শুনতে খেলুন, ছবি আঁকুন, চোখ বন্ধ করে ঘুমোতে চাইলে ঘুমোতেও পারেন।

মজা পেয়ে গিয়ে আমি প্রায় আর কিছুই দেখছি না। শুনছি দেদার। শুনতে শুনতে খেলছি, লিখছি, ঘুমোচ্ছি। আর আগের পোস্টে যেমন বললাম, নতুনের থেকে পুরোনো আমাকে বেশি আরাম দেয়, আমার শোনাতেও পুরোনোর পাল্লা ভারি। বিশেষ করে পুরোনো রেডিও। রেডিও বলতে আক্ষরিক রেডিওর কথা বলছি না, সে জিনিস আর কোথায় পাব, কিন্তু পুরোনো রেডিওর প্রচুর অনুষ্ঠান আজকাল ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। রেডিও না বলে সেগুলোকে অডিও বলাই উচিত হবে। ঘরঘরে কিন্তু দিব্যি সুস্পষ্ট রেকর্ডিং। শুধু পোশাকআশাক, ভাষা একেলেসেকেলে হয় না, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বুদ্ধিবৃত্তি, তাকানো, ঘাড় ঘোরানো, শ্বাস নেওয়া - ছাড়া, গলার আওয়াজেরও একাল সেকাল হয়। নাটুকে অভিনয় - যা দেখলে অভিনয় বোঝা যায়, চোখে আঙুল দিয়ে নিজেকে রিয়েলিস্টিক প্রমাণ করে না - চুম্বকের মতো টেনে রাখে।

আমি যা শুনছি, বেশিরভাগই (ওয়েল, সবই) ক্রাইম-সম্পর্কিত। পুরোনো ক্রাইমে বুঁদ হয়ে আছি। ক্রাইমেরও প্রকারভেদ আছে। প্রথম রকম হচ্ছে রেডিওর নাটক। রেডিওর জন্য লেখা, রেডিওর জন্য অভিনয় করা। পল টেম্পল সিরিজ, যার কথা অবান্তরে লিখেছি আগে, সেটা এই গোত্রের। বহুদিন পর আগাথা ক্রিস্টির একটা নাটক শুনলাম, বাটার ইন আ লর্ডলি ডিশ, ছোট্টর মধ্যে মচৎকার।

তবে নাটকের থেকে অন্যরকমের ক্রাইম অডিওতে আমার আগ্রহ বেশি, যেগুলো কী না গোয়েন্দাসাহিত্যের রূপান্তর।

একরকমকে ঠিক রূপান্তর বলা যাবে না, কারণ সেটা প্লেন রিডিং পড়া। অর্থাৎ বইয়ে যা লেখা আছে সেটা অবিকল রিডিং পড়ে যাওয়া। শুনে মনে হতে পারে, বাপরে কী বোরিং, কিন্তু অতটা নাও হতে পারে। পড়ার ওপর নির্ভর করে। যেমন ধরুন সানডে সাসপেন্স। চকচকে অভিনয়, ঝকঝকে প্রযোজনা। সানডে সাসপেন্স-এও এই রিডিং পড়াই হয়, অনেকে মিলে। কিন্তু সেটা আর যাই হোক বোরিং যে নয়, মীরের অতি বড় হেটারও স্বীকার করবে। বেশ অনেকে মিলে আসর জমিয়ে বসে একরকম নাটকই হল। রিডিং পড়া অন্য আরেকটা উদ্দেশ্যও সাধন করে, যেটা পরে বলছি।

আমি অবশ্য সানডে সাসপেন্স শুনছি না। অর্চিষ্মানও নাকি শুনছে না। বিরহে লোকের প্রেম নানাভাবে আত্মপ্রকাশ করে, আমাদের করেছে কমন বিনোদন বাদ পড়ায়। সানডে সাসপেন্স, হইচই - যে যার কানে গুঁজে নিজের নিজের ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় যারা সেতুর মতো কাজ করত - সেগুলো কেউই আলাদা আলাদা শুনছি না। যে কোনও বিনোদনই আসলে একটা পারিপার্শ্বিকের অঙ্গ। কাজেই ওগুলো আপাতত স্থগিত আছে।

তবে সানডে সাসপেন্স-এ আমাদের বাছবিচার আছে। গল্পের নামে কোনও রকম কবর বা প্রেত বা আত্মা থাকলে অর্চিষ্মান সেটা শোনার বিরোধী। আমি সামনে হাসি কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে আমারও ওগুলো বিশেষ পদের লাগে না। তার ওপর সানডে সাসপেন্সের আবার ধরে আনতে বলে বেঁধে আনার ব্যাপার আছে। মীর এমন উদারায় গলা নিয়ে যাবেন আর ব্যাকগ্রাউন্ডে এমন  ভৌতিক বাজনা বাজবে যে আরামের বদলে গায়ের সমস্ত রোম খাড়া করে চোখ টিপে বন্ধ করে শুয়ে থাকতে হবে। কোনও দরকার নেই।

আমাদের পছন্দ লো-স্টেক, ফিল গুড গোয়েন্দাগল্প। ফেলুদা ব্যোমকেশ। আমাদের সবথেকে বেশি আরাম দেয় গ্যাংটকে গণ্ডগোল। চমৎকার গল্প, চমৎকার অভিনয়, আর ডায়লগ। ড্যাং না ক্যাং না গ্যাং? আজকালকার পানওয়ালাদের কান মুলে শোনাতে হয়, শোন্‌, ওয়ার্ডপ্লে আর রসবোধ কাকে বলে। আমার ভালো লাগে হত্যাপুরীও। অর্চিষ্মান খালি ঝামেলা পাকায় সত্যান্বেষী চালাও বলে। ওই যে সেই গল্পটা যেখানে ব্যোমকেশ প্রথম বাংলার আকাশে উদয় হচ্ছে। অর্চিষ্মানের মত হচ্ছে ওই গল্পটায় মেসবাড়ির আবহাওয়ার যেমন সুন্দর আঁচ পাওয়া যায়, আর কোত্থাও পাওয়া যায় না।

অডিওর মধ্যে নাটক বা নাট্যরূপের সুবিধে হচ্ছে পেশাদার অভিনেতারা অভিনয় করেন বলে ব্যাপারটা চনমনে হয়, আর আপনি যদি গল্পটা শুনতে আগ্রহী হন তাহলে নাট্যরূপের সংক্ষিপ্ত রূপান্তর সে ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে। যেমন ধরা যাক, ডরোথি সেয়ার্সের দ্য নাইন টেলরস, রিডিং পড়া শুনতে সাড়ে দশ ঘণ্টা লাগবে, সে জায়গায় নাট্যরূপ আপনি সাড়ে তিন ঘণ্টায় শেষ করতে পারেন।

ডরোথি সেয়ার্সের লর্ড পিটার উইমসি সিরিজের নাট্যরূপ চমৎকার। বিশেষ করে যেগুলোতে ইয়ান কারমাইকেল, উইমসি-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ইয়ান কারমাইকেল, লর্ড পিটার উইমসির চরিত্রে টিভি এবং রেডিও দুই জায়গাতেই অভিনয় করেছেন। কারমাইকেল সম্ভবত গল্পের উইমসির তুলনায় একটু বয়স্ক আর তাঁর চাপল্যও একটু বেশির দিকে। সেদিক থেকে বরং এডওয়ার্ড পেথারব্রিজ “লর্ড”-এর ভূমিকায় বেশি মানানসই। কিন্তু আমি প্রথমে কারমাইকেলকেই উইমসি-র ভূমিকায় দেখেছিলাম/শুনেছিলাম বলে আমার কারমাইকেলকে দেখলেই উইমসি আর উইমসি পড়লেই কারমাইকেলের চেহারা মনে পড়ে। একটা জিনিস কাল আবিষ্কার করলাম। ডরোথি সেয়ার্স গল্পগুলো লিখেছিলেন বিংশ শতাব্দীর শুরুতে। সেটার চিত্ররূপ দেওয়া হয়েছে বিংশ শতাব্দীর শেষ চতুর্থাংশের গোড়ায় এসে। আর এখনও সেই চিত্ররূপ আপলোড হওয়া মাত্র, দলে দলে লোক হামলে পড়ে দেখছে। কালজয়ী একেই বলে। সেয়ার্স যখন গল্পগুলো লিখেছিলেন তখন টেলিফোনে খবর চালাচালি করতে পারাটাকেই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ গণ্য করা হত। এখন পাঁচ বছরের বাচ্চাও ফেশিয়াল রিকনস্ট্রাকশনের মানে বোঝে। তাতে আরামের তফাৎ? কিস্যু না।

গল্প শোনার আরেকটা সুবিধে হচ্ছে পড়তে গেলে যত খুঁত চোখে পড়ুক না কেন, শুনতে গেলে অত কিছু কানে লাগে না। এর সবথেকে বড় উদাহরণ হচ্ছে, শার্লক হোমস। হোমসের গল্পের আমার মতে দুটোই মাস্টারস্ট্রোকঃ এক, হোমস-এর চরিত্র, দুই, লন্ডনের বর্ণনা। সেই আমিও হাঁ করে সারাদিন শার্লক হোমস শুনতে বা দেখতে পারি। সানডে সাসপেন্স-এর শার্লক হোমসের বাংলা রূপান্তরগুলোও দিব্যি। তবে হোমসের সব গল্পের মধ্যে আমার পছন্দ হচ্ছে হাউন্ড অফ দ্য বাস্কারভিলস। এবং পছন্দের অন্যতম কারণে বাস্কারভিলের দৈর্ঘ্য। গল্প রিডিং পড়ার আরেকটা যে সুবিধের কথা বলছিলাম, সেটা এই দৈর্ঘ্যজনিত। গল্পের শুরুতে হাউন্ডের প্রথম ঘেউউউউউ শুনে যদি আপনি ঘুমোতে যান, প্রবল সম্ভাবনা লাস্ট চ্যাপ্টারের হাউন্ডের ঘেউউউ-এ সকালে ঘুম ভাঙার।

আমার ধারণা মিতিনমাসি বা দীপকাকু, যেগুলো বেরোনোমাত্র পড়া এবং পড়ামাত্র গালি দেওয়া আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেগুলোকেও কেউ গল্প বলে শোনালে দিব্যি লাগবে।

আমার কমফর্টের লিস্ট এঁরা সকলেই যে যার নিজস্ব মহিমায় আলো করে আছেন। কিন্তু একেবারে ওপরের জায়গাটা যার জন্য আমি রেখে দিয়েছি, এঁরা কেউই নন। কেন রেখেছি তার কোনও কারণ নেই। যে কোনও ফেভারিটের যা কারণ, সম্ভবত সেটাই। একচোখোমি।

আমি আজকাল প্রায় রোজই, সপ্তাহে মিনিমাম পাঁচবার তো বটেই, ‘মিস্টেরিয়াস অ্যাফেয়ারস অ্যাট স্টাইলস’ শুনি; আগাথা ক্রিস্টির প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। 

মিস্টেরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস-এর নাট্যরূপ এবং অডিওবুক পাঠ দুই-ই ঘুরিয়েফিরিয়ে শুনি। নাট্যরূপে পোয়্যারোর ভূমিকায় জন মফট অনবদ্য। তাছাড়া ইন্সপেকটর জ্যাপের ভূমিকায় ফিলিপ জ্যাকসন, যিনি টিভিরও জ্যাপ, আছেন। কিন্তু আমার বেশি ভালো লাগে অডিওবুক ভার্শানটা। যেটা পাঠ করেছেন টিভির পোয়্যারো, ডেভিড সুশে। এই উপন্যাসে পাঠকের সামনে প্রথম আসছেন এরক্যুল পোয়্যারো, হেস্টিংস এবং জ্যাপ। তাছাড়াও গল্পে ইংলিশ কান্ট্রিসাইড আছে, ওল্ড হল আছে, প্রেম আছে, ঝগড়া আছে, মিল আছে, ছাড়াছাড়ি আছে। বলতে গিয়ে মনে পড়ল, খুন আছে মোটে একটিমাত্র, তবে প্রথম উপন্যাস বলে ওটুকু নজরআন্দাজ করা যায়।



Comments

  1. Sunday Suspense er horror stories amar sobcheye priyo.. okhane akta golpo achhe, 'Bhog'. Guarantee, ota sunle keu sedin ghumote parbena.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তাই বুঝি? তাহলে সাবধানে শুনতে হবে।

      Delete
  2. শোনার একেবারে অভ্যেস নেই, ড্রাইভিঙের সময়টুকু ছাড়া | সানডে সাসপেন্স কখনো শুনিনি, শুনতে হবে , গ্যাংটকে গন্ডগোল দিয়েই না হয় শুরু করবো | অর্চিষ্মান বাড়িতে নেই মনে হচ্ছিলো, এখন সিওর হলাম | ইশ তবে তো ভারী কষ্ট | কোথাও গিয়ে আটকে পড়েছে বুঝি!

    ReplyDelete
    Replies
    1. কষ্টের থেকেও চিন্তা বেশি, অমিতা। কবে ফিরতে পারবে, কিছুই তো বোঝা যাচ্ছে না। আচ্ছা ফ্যাসাদ। গ্যাংটকে গণ্ডগোল শুনতে পারেন, তবে লম্বা, ধৈর্য না থাকার চান্স আছে। আমার খুব প্রিয়।

      Delete
    2. খুব বুঝতে পারছি, এই অনিশ্চয়তার জন্য আরও বাজে হয়েছে ব্যাপারটা | তবে আশা করি আর বেশিদিন নয় | দুজনে দুই জায়গায় সুস্থ থাকো এই কামনা করি

      Delete
    3. থ্যাংক ইউ, অমিতা। আমিও সেই আশাতেই আছি, হয়তো আর বেশিদিন নয়।

      Delete
  3. Eibar bujhechi keno bhalo lagchena(refer to last post)!! Archisman ar tumi alada lockdown e.��. Seita sottiy koshtokor. Total off topic comment but I think I solved the "opish er jonyo dukkho" r mystery.��
    Wai Wai pele seita kheo.
    Bhalo theke
    BM

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঠিকই সল্ভ করেছেন, বং মম। আরও কান্না পাচ্ছে যখন ভাবছি, এই কে-জানে-ক-মাস লকডাউনে একসঙ্গে থাকলে কী মজা হত। সব অসুবিধে তুড়ি মেরে ওড়াতে পারতাম। কী যেন সব স্টেকেশন বলে, সেইটা হত। দুবেলা একসঙ্গে ম্যাগি খেতাম, কাজের ফাঁকে হইচই দেখতাম। এখন তার বদলে ভিডিও চ্যাটে একজন আরেকজনকে ম্যাগি করতে দেখতে হচ্ছে... জঘন্য।

      ওয়াই ওয়াই দেখব খুঁজে...তবে সৌরভ স্টোরসে সাপ্লাই সবই বাড়ন্ত। আমার এতদিনের ব্রিটানিয়ার লয়্যালটি ভুলে শেষমেশ পার্লে-র ক্রিম ক্র্যাকার খেতে হল।

      Delete
  4. লক ডাউন শুরু হওয়ার দিন ঘন্টা দেড়েক ধরে একটা লিস্ট তৈরি করেছিলাম জানেন।এ সুযোগে কোন কোন বই পড়বো, কোন কোন সিনেমা দেখবো,এমনকি দিনের কখন কোন কার্যটি করবো সেটির রুটিনও প্রস্তুত করেছিলাম।কিন্তু যা ভাবলাম তার একটাও তো হলোই না,বরং দিন দিন আরো আলসে , অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছি।প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন বই শুরু করি কিন্তু একটাকেও শেষ করিনা।বার্গার, sausage এর জন্য মন প্রায় আকুলিবিকুলি করছে প্রতিদিন,কিন্তু তা আর পাচ্ছি কই!হইচই কেবল ব্যোমকেশ আর একেনবাবুর জন্যই দেখা শুরু করেছিলাম।তবে six বলে একটা
    psychological thriller genre -র ওয়েব সিরিজ আছে ওটা বাড়তি পাওয়া,খুব ভালো লেগেছিল,না দেখে থাকলে দেখবেন,ভালো লাগবে বলেই আমার বিশ্বাস।আর সানডে সাসপেন্স এর আমি বিশাল ভক্ত।সব গল্প শুনি।কয়েকটা গল্প সাজেস্ট করলুম,শুনে নিয়ে কেমন লাগলো জানালে আরো খুশি হবো, recommendation দিচ্ছি তো তাই ,গল্পের নাম গুলো english এ লিখে তার পরে mirchi bangla(mirchi bangla ওদের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ,তাই ওই চ্যানেলের সাউন্ড কোয়ালিটিটাই বেস্ট)লিখে ইউটিউবে সার্চ করলে একবারেই পেয়ে যাবেন-
    1.The Oblong Box - Edgar Allan Poe
    2.ভোগ-অভীক সরকার
    3.কাঠের ঘোড়া - সায়ক আমান(গল্পের গোড়া থেকে প্রায় শেষ অবধি টানটান উত্তেজনাময়,কিন্তু শেষটা এসেই প্লট সেটিংটাতে গোলমাল হয়ে গেছে,তবুও মোটের ওপর বেশ ভালো, শুনে দেখবেন।)

    এই তিনটি গল্প শুনে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন,কাউকে কিছু সাজেস্ট করতে গেলেই তার review নিয়ে একটু উৎকণ্ঠায় থাকি।Happy Listening !

    ReplyDelete
    Replies
    1. এত কষ্ট করে এতগুলো রেকমেন্ডেশন দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ক্যাপ্টেন স্পার্ক। আপনার মতামত কী জানি না, কিন্তু হইচই- এর ব্যোমকেশটা জাস্ট পাতে দেওয়া যায় না। অসহ্য খারাপ।

      সিক্স দেখেছি। টানটান, ঠিকই বলেছেন। আর একটা সিরিজ শুরু হয়েছিল, সেই যে হলুদ পাখি না ওই গোছেরই কী একটা নামে, শাশ্বত ট্রাবলড পুলিস অফিসারের ভূমিকায় ছিলেন, সেটা সিজন ওয়ানের পর আর সিজন টু হয়নি। সেই নিয়ে আমরা এখনও মাঝে মাঝে আফসোস করি।

      ভোগ শোনার সাজেশন এই অবান্তরেই আগে অনেক বন্ধুরা দিয়েছেন, সত্যি নাকি ভয়ের। শুনব। অবলং বক্স শুনেছি। সায়ক আমান-এর অন্যান্য গল্প শুনেছি, বেশ গায়ে কাঁটা দেওয়া। তবে কাঠের ঘোড়া শুনেছি কি না মনে পড়ছে না, আমার আবার গল্পের নাম মনে থাকে না। আজই শুনে ঝালিয়ে নেব।

      সাজেশনের জন্য আবারও অনেক ধন্যবাদ। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment