প্রেমহীন পুজো



আমি এ বছর নীল আকাশ দেখিনি, সাদা মেঘ দেখিনি, শিউলিফুল দেখিনি, কাশফুলও দেখিনি। কাশফুল জীবনে কমই দেখেছি, ক্বচিৎকদাচিৎ ট্রেনের কামরার জানালা দিয়ে। ময়লামতো ঝাড়ুর মতো দেখতে, সিনেমার দুধসাদা কাশফুলের মতো নয়।

বেরসিকেরা বলবেন, সত্যি হলে তবে তো দেখবে। দুধের মতো কাশফুল, দিঘির মতো আকাশ, তুলোর মতো মেঘ - সব পাখি পড়ে পড়ে আমাদের কল্পনায় ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্যালেন্ডারে সেপ্টেম্বরের সতেরো তারিখ পেরোলে যে নাক যে পুজো পুজো গন্ধ পায়, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলা শুনলে গলার ভেতর যে দলা পাকায় সে সবও আসলে তৈরি করা আবেগ, সোশ্যাল কন্সট্রাক্টস।

আমি বলছি না। কারণ আমি বেরসিক নই। কারণ আমার গলার ভেতর সত্যি সত্যি দলা পাকায়। বিশেষ করে মামাতো বোন যখন দিদি দূরে আছে শুনতে পাবে কি না পাবে না ভেবে হোইয়াটসঅ্যাপে মহালয়ার ফাইল আপলোড করে পাঠায় তখন তো পাকায়ই।

কিন্তু এটা মানতে হবে, পুজোর টেল-টেল সাইন হিসেবে আকাশ, মেঘ, কাশফুলের থেকে ঢের বেশি কার্যকরী বাঁশ, ত্রিপল, মূর্তি, মাইকের ত্রাহি গান। জুতোর অ্যাড, শাড়ির অ্যাড, ডিসটেম্পারের অ্যাড, নারকেল তেলের অ্যাড। সেগুলোও আমাদের কল্পনার পুজো গড়ায় মোক্ষম অবদান রাখে। সে সব অ্যাডে তর্পণের গঙ্গার ব্যাকগ্রাউন্ডে সর্বদা অরগ্যানিক কুসুমের কালারের সূর্য ওঠে। অ্যাডের গঙ্গায় দু'হাত দূর দিয়ে গিঁট বাঁধা প্লাস্টিকের ভেতর কে জানে কী ভেসে যায় না। অ্যাডের বনেদি বাড়িতে শরিকি খেয়োখেয়ি নেই, অ্যাডের শাশুড়ির অস্টিওপোরোসিস নেই, বউমার ভার্টিগো নেই, অ্যাডের পিতৃতন্ত্র তসরের ধুতিপাঞ্জাবী আর প্রশ্রয়মাখা হাসি পরে মই ধরে থাকে, আর মায়ের জাত তরতরিয়ে মই বেয়ে উঠে উমার মুখে কুড়িটাকা পিস জলভরা ঠুসে দেয়। চকচকে ঢাকির সদাহাস্যমুখ, যেন অসমবণ্টিত সম্পদের এই নির্লজ্জ প্রদর্শনে তার গা রিরি জ্বলছে না। জ্বলবেই বা কেন, গোটা বাংলা ব্যান্ডের টিম যখন একই পংক্তিতে দাঁড়িয়ে ঢাক বাজাচ্ছে?

চন্দ্রিলের ঢাক বাজানোর অ্যাডটা প্রথম যে বার দেখেছিলাম, বুকের ভেতর কেমন করেছিল। চন্দ্রিলকে দেখে বুকের ভেতর কেমন করার ইতিহাস অনেকদিনের। কিন্তু সে বারেরটা অন্যরকম ছিল। তারপর শুনেছিলাম বব ডিলানও ভিক্টোরিয়া'স সিক্রেটের র‍্যাম্পে হেঁটেছিলেন। বেঁচে থাকাটাই হচ্ছে আসল দশচক্র। কে যে কখন কী করে বসে কোনও গ্যারান্টি নেই।

কাশফুল তর্পণ সিঁদুরখেলা সবের থেকে বেশি যে কন্সট্রাক্টটা এই পুজোর বাজারে চলে, সেটা হচ্ছে প্রেমের। কমন স্ক্রিপ্ট। যার যাকে পছন্দ হচ্ছে, পাঁচদিন তাকাতাকি করে, বিজয়ায় তার সঙ্গেই প্রেম হয়ে যাচ্ছে।  হ্যাপিলি এভার আফটার। আর যাদেরই হোক এদের ব্রেক আপ, পরকীয়া হবে না, গ্যারান্টি।

শুধু অ্যাড নয়, পুজোয় প্রেমের প্রতাপ চতুর্দিকে। চ্যানেলে চ্যানেলে প্রথম ব্রেক থেকে ফিরে আসার পরের সেগমেন্টের অবধারিত নাম "পুজোর প্রেম। সে সেগমেন্টে ইন্টারভিউ দিতে আসা সেলিব্রিটিরা যাঁর যাঁর পুজোর প্রেমের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।

এইসব অ্যাড, সেগমেন্ট ইত্যাদি জনমানসে একটা ন্যারেটিভের জন্ম দেয় যে পুজোর সিলেবাসে প্রেম কম্পালসারি।

ন্যারেটিভটা সত্যি নয়। প্রেমহীন পুজো, কোভিড নাইনটিনের মতোই বাস্তব। যুগে যুগে প্রচুর লোকে প্রেমহীন পুজো কাটায়। তাদের যে শুধু প্রেম হয় না তাই নয়, বছর বছর তাদের বন্ধ্রুর কাছে প্রেমের প্রস্তাব পৌঁছে দিতে হয়। সে যাতনার কথা যে জানে, সে জানে।

আমাকে দিয়ে যাঁরা প্রস্তাব পাঠাতেন তাঁরা যে আমাকে প্রস্তাবের যোগ্য মনে করেননি সেই সৌভাগ্যকে স্বীকৃতি দিতে আমি এখন কালীপুজোর দিন দক্ষিণেশ্বরে লাইন দিতে রাজি আছি। কিন্তু এখনটা তখন নয়। ওই বয়সে প্রেম বা প্রেমিকের কোয়ালিটি নিয়ে মাথা ঘামানোর বুদ্ধি কার থাকে জানি না, আমার ছিল না। এখন গজিয়েছে বলেই ভাবতে ভালোবাসি। হতে পারে কপালজোরে একখানা প্রেম জুটে গেছে বলে, হতে পারে না জুটলে এখনও বোকামির পালা ফুরোত না।

পোস্টটা পাবলিশ করতে যাব, এমন সময় একটা কবিতা চোখে পড়ে গেল। কবিদের এড়িয়ে চলি বলে চট করে কবিতা চোখে পড়ে না, কিন্তু বাংলাদেশে কবি এড়ানো সোজা নয় বলে মাঝেমাঝেই কবিরা, তাঁদের কবিতাসহ, পথের মাঝে এসে পড়েন।

এসেই যখন পড়লেন, আমি কবিতাখানা পড়েই ফেললাম। বিষয় পুজোসংক্রান্ত নস্ট্যালজিয়া। এই সিজনে আর কী নিয়েই বা কবিতা লেখা হবে। অভিনবত্বটা হচ্ছে - কাশ নয়, মেঘ নয়, ঠাকুরদেখা নয় - নস্ট্যালজিয়ার বিষয় মেয়েদের খোলা পিঠে ফুল ছুঁড়ে বেড়ানো।

সে কবিতার নিচে অ্যাপ্রিশিয়েশনের ধাক্কাধাক্কি দেখলে সন্দেহ হবে বাংলাদেশের যাবতীয় পুরুষ জীবনে দুর্গাঠাকুরের পায়ে ফুল ছোঁড়েননি, সবাই সামনের কোনও এক মহিলার পিঠ, যেটা মোটামুটি মনে ধরে, টিপ করে ছুঁড়েছেন। নস্ট্যালজিক আকুতি দেখলে সন্দেহ হবে এখনও চান্স পেলে ছুঁড়ে দেখতে রাজি আছেন।

সত্যি বলছি, এই মহিলা টিপ করে অঞ্জলির ফুল ছোঁড়ার ব্যাপারটা আমি সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, অ্যাডের কনস্ট্রাক্ট ভেবেছিলাম। এক ঘর/প্যান্ডেল লোকের মধ্যে এ ওর গায়ে ফুল ছুঁড়ছে, ও এক ঘর/প্যান্ডেল লোকের মধ্যে এর দিকে প্রশ্রয়ের ভঙ্গিতে তাকাচ্ছে, এ জিনিস আমি কেবল অ্যাডেই ঘটতে দেখেছি এবং অ্যাডের বাইরে কোথাও ঘটতে দেখিনি। আমার পিঠে কেউ কোনওদিন ফুল ছোঁড়েনি। সে সমস্যাটা আমার পিঠজনিত যদি ধরেও নিই, অন্য কাউকে অন্য কারও পিঠে কখনও ফুল ছুঁড়তে দেখিনি।

কিন্তু আমি দেখিনি বলেই যে ঘটনাটা ঘটেনি সে রকম দাবি আমি করছি না। কই আমার তো গরম লাগছে না কাজেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং সর্বৈব গুল, কই আমাদের ফ্যামিলির যাবতীয় মেয়েকে তো স্কুলে যেতে অ্যালাউ করা হয়েছে কাজেই যার ফ্যামিলিতেই থাকুক আমার ফ্যামিলিতে লিঙ্গবৈষম্য নেই, এই লজিকে যারা তর্ক চালায় আমার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য তাদের মতো না হওয়া। কাজেই আমার পিঠে কেউ গাঁদাফুল টিপ করেনি বা কাউকে কারও পিঠে গাঁদাফুল টিপ করতে দেখিনি বলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে এ ঘটনা ঘটেনি এবং 'এককালে কত পিঠে কত ফুল ছুঁড়েছি' নির্ঘোষ সম্ভবতঃ অনেকাংশে মাঝবয়সী অতৃপ্তিজনিত কল্পনা, এই রকম মন্তব্য আমি ফস করে করে বসতে চাই না।

সার্ভেতে বেরোলাম। হ্যাঁ গো, তুমি বা তোমার বন্ধুরা অষ্টমীর অঞ্জলির ফুল মেয়েদের খোলা পিঠে ছুঁড়তে? স্যাম্পল জল খাচ্ছিল, বিষম খেল। কেশে, মাথায় থাবড়া মেরে, চেয়ারে বসে, চোখ কপালে তুলে, মুখ হাঁ করে শ্বাস নিয়ে ছেড়ে, বোতল টেবিলে নামিয়ে দুই হাত জড়ো করে বলল, না বস্। ছুঁড়ে যে দেখা যেতে পারে সেই সম্ভাবনাও মাথায় আসেনি, অন গড ফাদার মাদার।

অনেকে বলতে পারেন, স্যাম্পল সাইজ বাড়াবাড়ি রকমের ছোট। স্যাম্পলের সত্যবাদিতা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সে সব মাথায় রেখেই বলছি, আমার মন বলছে, যতই কবিতা লেখা হোক, অধিকাংশ ছেলেরাই আসলে পুজোর বাজারে মেয়েদের পিঠে ফুল ছুঁড়ে বেড়ায়নি, বা বেড়ালেও মাঝবয়সে এসে সেই নিয়ে বুক বাজানোর আত্মবিশ্বাস জোগাড় করতে পারেনি।

এই বিতিকিচ্ছিরি পুজোর বাজারে এইসব সান্ত্বনা দিয়েই যথাসম্ভব মন ভালো রাখার চেষ্টা করছি।


Comments

  1. Hya...pujo related odhikangsho byapaar tai amaar social construct mone hoy... Karonta hoyto amaaro same...kintu shotyi anjali( je kaale ditam) debaar shomoy karor khola pith dekhini...phul chhora to durer kotha..
    Saraswati pujo teo as such prochondo prem e habudubu kheyechilam bole mone pore na

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছ, অর্পণ। সরস্বতী পুজোকে ভারতীয় ভ্যালেনটাইন ডে বানানোর লড়াইয়ের প্রাণপণ, দেখলেও ক্লান্ত লাগে।

      Delete
  2. Ei nobyo-swabhabik jibone durgapujor modhye pujor gondho makhano lekhatir jonyo dhonyobaad. Sharodiya r hardik shubhechchha apnake, apnar paribar ke ebong amader ekanto aponjon Abantor ke.
    Anjali dite giye phool chhorachhuri r byaparta pore khub haasi pelo. Amar jiboneo aami orokom cinematic experience er sakkhi hoini --- na nijer khetre na onyoder khetre. Premer khetreo proti pujoi notun notun prem sristi hote dekhini. Haan karor notun prem hoto ba karon bhalolaaga prem e rupantorito hoto. Tabe phool chhorar ghotona kothao dekhiyoni, karo kaachhe shuniyo ni. Amar to mone pore prochondo bhire thasa mondope prai dombondho hote hote anjaqli debar kotha. Karon tar ektu porei sandhipujo sshuru hobe aar ki. Udyoktara prochondo taara lagachche proti batch e. Okhane okholapithe phool chhora r moto romantic paribesh thakto bole mone hoina....

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনাকে আর আপনার বাড়ির সবাইকেও আমার এই অদ্ভুত পুজোর আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা, প্রীতি জানাই, সুস্মিতা। ভীষণ ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যত পারা যায় আনন্দ করুন।

      এই প্রতি পুজোয় নতুন নতুন প্রেম সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারটা আমাকেও ভাবিয়েছে। ভেবেছিলাম লিখব, কিন্তু আপনি যে প্রসঙ্গটা তুললেন, সে জন্য থ্যাংক ইউ। তার মানে একবছরের মধ্যে প্রেম হয়ে, তেতো হয়ে, কেটে গেছে এবং লোকজন বিন্দুমাত্র না দমে পরের বছর নবোদ্যমে ফুল ছুঁড়ছে। এত এনার্জি কল্পনা করেই আমি ক্লান্ত বোধ করছি। আপনার প্যান্ডেলের পরিবেশের বর্ণনাটাও মোক্ষমস্য মোক্ষম। ওর মধ্যে ফুল ছোঁড়া তো দূর, প্রেমভাব জাগার চান্সই পাবে না। আমার তো মনে আছে অনেক প্যান্ডেলে ফুল ঠাকুরের পায়েও ছুঁড়তে অ্যালাউ করত না। একটা সেকেন্ড ঝুড়িতে কালেক্ট করে নিয়ে যেত। পরের খেপের অঞ্জলিতে রিসাইকল করত কি না কে জানে।

      Delete
    2. Ekdam tai. Proti bochhor notun prem byaparta besh shanghatik... aar oi anjalir phool jhurite fela eta ekdam satti. Aar anekta chhotobelai dekhechhi lokjoner aim thakto kar ful Madurga r paaye chhulo. Tarpor to ekdam jhuri te anjali. Recycled hobar highest sambhabona aachhe.
      Jaihok, anek bochhor por deshe firlam. Shunlam Mumbai te khub hoihoi kore pujo hoi. Kintu protyokkho korte parlam na. Ei somoye jotota bhalo thaka sombhob tai thakchhi. Apnarao bhalo aar nirapode thakben.

      Delete
  3. Onubad khub bhalo hoyechhe Kuntala. Father Brown amar khub i priyo.

    Phool chhora-chhuri -r kotha ami age ekbar podechi Tonmoy (orthaat Bongpen)-er kolome. Byaktigoto bhabe to kokhono experience korini. Ami shomosto pujo katiyechhi Poshchim Bonger baire. Kaajei amake ar ekta sample point hishebe dhore nile, apnar geographical coverage baadbe!! Ar ekjon jyamon likhechhen, oi dombondho poribesh, tar opor abar beshir bhaag jaigate udyokta-ra jhudi niye eshe collect kore niye jaan: ei to dekhechhi.

    Jaakge, bhalo laaglo lekha pode. Take care.
    iti
    Shuteertho

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুতীর্থ। আপনার প্রশংসা সবসময় আনন্দ দেয়।

      আমার সার্ভেতে নাম লেখানোর জন্য এক্সট্রা থ্যাংক ইউ। আপনি খুব ভালো থাকবেন, বাড়ির সবাইকে নিয়ে এই উদ্ভট পুজোর বছরে যথাসম্ভব আনন্দ করবেন এই কামনা করি। বিজয়ার শুভেচ্ছা কাল জানাব।

      Delete
  4. কি যে অসাধারণ তোমার লেখা ...
    ¨অ্যাডের গঙ্গায় দু'হাত দূর দিয়ে গিঁট বাঁধা প্লাস্টিকের ভেতর কে জানে কী ভেসে যায় না। অ্যাডের বনেদি বাড়িতে শরিকি খেয়োখেয়ি নেই, অ্যাডের শাশুড়ির অস্টিওপোরোসিস নেই, বউমার ভার্টিগো নেই....¨
    সার্ভে করার আইডিয়া তা দিব্বি। যত সব অদ্ভূত নস্টালজিয়া - ঠিক বলেছো :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. অদ্ভুত খুব একটা নয়, কাকলি। প্রত্যাশিতই। কোনটা কিউট আর কোনটা সমস্যাজনক সে নিয়ে কিছু লোকের ধন্দ কিছুতেই কাটতে চায় না। যাই হোক, সময় দিতে হবে।

      Delete
  5. Ei lekhata ekebare line by line erokom e mone hoy amar.. sudhu ektai difference ami sada kashful dekhechi kashful er jongol e dhukechi bola jay.. baki prem, pithe ful ar advertisement .. haha.. ekdom perfect bolecho...

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই ফাইভ আর বিজয়ার কোলাকুলি, ঊর্মি। খুব খুব ভালো থাকিস।

      Delete
  6. পরের পুজো খুব ভাল কাটবে, দেখবেন। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানালাম

    ReplyDelete
    Replies
    1. যারা জোর গলায় ভালো চাইতে পারে তাদের আমি চিরকাল পছন্দ করি, ঋতম। তোমাকে আর তোমার সমস্ত প্রিয়জনদের আমার অন্তরের শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানালাম।

      Delete

Post a Comment