Posts

Showing posts from April, 2012

শনিবারের বারবেলা

Image
হ্যালো হ্যালো হ্যালো। কেমন আছেন সবাই? দুদিন কী করলেন? কত মজা করলেন? অবান্তরকে মিস করলেন কি? আমার উইকএন্ড ভালো কেটেছে। ঘুরে বেড়িয়ে, সিনেমা দেখে, বিবিমবাপ খেয়ে। কোরিয়ানরা ভারি ভালো রান্না করে কিন্তু। শনিবার দুপুরে শহরের রাস্তায় বেড়াতে বেরিয়েছিলাম। বেড়ানো মানে অনির্দেশ্য ঘোরাঘুরি। একটা রাস্তা ধরে নাকবরাবর হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ সঙ্গের লোকের কনুই টেনে ধরে, “চলো এই গলিটায় কী আছে দেখে আসি” বলে গলির ভেতর বেমালুম ঢুকে পড়া। সে গলি পছন্দ না হলে আবার অন্য গলি। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যথা হয়ে গেলে কফির দোকান আছে, গলির গোলকধাঁধায় খেই হারিয়ে গেলে আছেন হেল্পফুল পথচারী কিংবা পুলিশকাকু। এই করে টাইমপাস যতক্ষণ না বিকেলের শো-এর সময় হয়ে যায়। তখন একবালতি পপকর্ণ আর একগামলা কোক নিয়ে বসে 3 D তে জ্যাক আর রোজের প্রেম। জানি হাস্যকর, তবু যতবার দেখি, শেষদিকটা কীরকম কান্না কান্না পেয়ে যায়। অবশ্য কান্নার আর দোষ কী। জাহাজ ডুবছে, গরিব লোকেদের তালাবন্ধ করে রেখে খুন করা হচ্ছে, বাবামাকে হারিয়ে ফেলা বাচ্চা চেঁচিয়ে কাঁদছে, প্রেমিকাকে বাঁচাতে প্রেমিক মরে যাচ্ছে---কাঁদবেন না মানে? আপনার ঘাড় কাঁদবে। এত

সাপ্তাহিকী

Image
এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং-এর চূড়ো থেকে পৃথিবীটাকে দেখতে কেমন লাগে?  ঠিক এইরকম । এমারজেন্সি।   ". . . overdoing email can be as detrimental to your IQ as smoking weed."  ইয়ার্কি নয়, সিরিয়াসলি।   যেসব আবিষ্কার না হলে মানবসভ্যতা এক ইঞ্চি এগোতে পারত না। বিজ্ঞানের কথাই উঠল যখন তখন মাছ বনাম মাধ্যাকর্ষণের লড়াইয়ে কে জিতল জেনে নিন। শুধু হাই তোলা সংক্রামক কে বলে? যদি আপনি আমার মতো হন, আর আপনারও যদি জামাকাপড়ের তুলনায় হাওয়াই চটি বেশি হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে এই  লিংকটায় অবশ্যই ক্লিক করবেন। আলো দিয়ে আঁকা। আপনাদের কথা জানিনা, আমি DJ Dave -এর ভয়ানক ফ্যান হয়ে গেছি। তাই এসপ্তাহেও তাঁর গান রইল। গানও বলতে পারেন, জ্ঞানও। ঠিক আছে তবে, এসপ্তাহের মতো আসি? সোমবার আবার দেখা হবে। আপনারা সবাই ভালো হয়ে থাকবেন, বাবা মায়ের কথা শুনে চলবেন, সিগারেট কম খাবেন। টা টা। একদম ওপরের ভূতুড়ে ছবিটা তুলেছেন Jamie . যেখানে সেখানে নয়, খোদ প্যারিসের ফ্যাশন সপ্তাহে।

বোরিং বুধবার

বুধবার আমার সারা সপ্তাহের সবথেকে বিশ্রী-লাগা দিন। বিশ্রী অ্যান্ড বোরিং। তার প্রধান কারণ হল দিনটার অবস্থান। এই মাঝামাঝি ব্যাপারটাই আমার জঘন্য লাগে। সে দিনই হোক, কিংবা অন্য কিছু। যেমন ধরুন টকঝাল চানাচুর, কিংবা কাঁচামিঠে আম। আমি সোমবার সকালের নির্মমতা বুঝি, শুক্রবার বিকেলের বাঁধনছাড়া আনন্দও। কিন্তু বুধবার আমার মাথায় ঢোকে না। আর বেছে বেছে বুধবারেই আমার সাথে যত খারাপ জিনিসপত্র ঘটে। মায়ের সাথে মনকষাকষি, বসের সাথে বাকবিতণ্ডা। জঘন্য। এতদিন বাদে মনে নেই যদিও, কিন্তু আমি নিশ্চিত আমার পার্ট ওয়ানের রেজাল্টটাও বুধবার বেরিয়েছিল। নির্ঘাত। বুঝতেই পারছেন, বুধবারে আমার অবান্তরে ফেঁদে বসার মত বাজে গল্পেরও টানাটানি। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বলার মতো কিছুই ঘটেনি। কিন্তু গত সপ্তাহে একটা ঘটনা ঘটেছিল, যেটা আপনাদের বলা হয়নি। গল্পটার একটা শিক্ষামূলক দিকও আছে, যেটা আপনাদের কাজে লাগবে। আপনারা কি অফিসে গিয়েই বন্যার মতো কাজ শুরু করে দেন? সে করলে করতেই পারেন, কিন্তু আমি করিনা। পারিনা বলা ভালো। দিনের কাজ শুরু করার আগে আমার ওয়ার্ম আপ করতে লাগে। ইন ফ্যাক্ট আমার সারাদিনের একটা বড় অংশ বেরিয়ে যায় এই ওয়ার্

শীঘ্রই আসিতেছে!

Image
আমাদের ছোটবেলায় আনন্দবাজারে একটা বিভাগ বেরত। কবে বেরত, তার কী নাম ছিল কিচ্ছু মনে নেই, খালি মনে আছে বিভাগটায় নানারকম বিকল্প পেশার সুলুকসন্ধান দেওয়া হত। মানে ছেলে জয়েন্ট না পেলে বাঙালি বাবামায়েদের সামনে আর কী কী রাস্তা খোলা আছে, সেই ব্যাপারে খোঁজখবর আরকি। তাতে একদিন বেরিয়েছিল, কী করে সীমিত পুঁজিতে লাভজনক মাশরুম চাষ শুরু করা যায়, এমনকি চাইলে নিজের বাড়ির ছাদেই। সেটা পড়ে ভয়ানক উত্তেজিত হয়ে আমি যেই না ঘোষণা করেছি যে বড় হয়ে মাশরুম চাষি হব, বাড়িতে বেড়াতে আসা একজন বয়স্ক আত্মীয় আমাকে ধমকে দিয়ে বলেছিলেন, ওসব “ধড়িবাজি” না করে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে। বুঝুন ব্যাপার। সাসটেইনেবল, স্মল স্কেল লোকাল ফার্মিং, বলে কিনা ধড়িবাজি। অবশ্য বয়স্ক আত্মীয়কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এককালে শুনেছি ছেলেদের কাছে বড় হয়ে জজ ম্যাজিস্ট্রেট বা “দুষ্টু উকিল” ছাড়া আর কিছু হওয়ার রাস্তা খোলা থাকত না। তখনও মেয়েদের স্বর্ণযুগ চলছে, তাদের অত কিছু হওয়াহওয়ির দায় নেই। একটা বয়স পর্যন্ত পুতুল খেল, তারপর বাচ্চা বানাও। পিসফুল। আমাদের সময়ে এল জয়েন্ট। কিন্তু ততদিনে মেয়েদেরও কপাল পুড়েছে। বাবামায়েরা তাদের

Nothing good gets away.

Image
ছবি গুগল ইমেজেস থেকে New York November 10, 1958 Dear Thom: We had your letter this morning. I will answer it from my point of view and of course Elaine will from hers. First — if you are in love — that’s a good thing — that’s about the best thing that can happen to anyone. Don’t let anyone make it small or light to you. Second — There are several kinds of love. One is a selfish, mean, grasping, egotistical thing which uses love for self-importance. This is the ugly and crippling kind. The other is an outpouring of everything good in you — of kindness and consideration and respect — not only the social respect of manners but the greater respect which is recognition of another person as unique and valuable. The first kind can make you sick and small and weak but the second can release in you strength, and courage and goodness and even wisdom you didn’t know you had. You say this is not puppy love. If you feel so deeply — of course it isn’t puppy love. But I don’t thi

দ্বিতীয় রিপুর প্রত্যাবর্তন ও ফিজিওথেরাপি

Image
নমস্কার, হাউ ডু’ইয়ুডু, কী খবর? কেমন কাটল উইকএন্ড? ঘুমটুম কেমন হল? খাওয়াদাওয়া কেমন হল? মনের সব ইচ্ছেটিচ্ছে পূরণ হল তো? নাকি বাকি রয়ে গেল কিছু কিছু? বাকি থাকলেই ভালো, পরের উইকএন্ডটার জন্য অপেক্ষার কারণ থাকবে। আমার খবর ভা লো য় মন্দয় মেশামিশি। ভা লো খবরটাই আগে দিই আপনাদের। আমার ঠাকুমা অবশেষে উঠে বসেছেন। মানে এখনো এদিক থেকে একটু ঠেলা ওদিক থেকে একটু হেঁইয়ো টান দিতে হচ্ছে, কিন্তু চারদিকে “এই এই গেল গেল ...ধর ধর …দেখে দেখে…এ-ই-ই-ই তো…” রব তুলে, প্রবল নড়বড় করতে করতে ঠাকুমা খাটের ওপর সোজা হয়ে উঠে বসতে পারছেন। আজ থেকে একমাস আগে যেটা অকল্পনীয় ছিল । শুধু বসছেনই না, উঠে বসে মুখের সামনে চামচে করা ধরা নরম খিচুড়ি আর বেগুনভাজা খাচ্ছেন, মমতার রাজত্ব কেমন চলছে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আমি পলিটিক্সের প দেখলে ছুটে পালাই বলে কী, আমার ঠাকুমার মতো রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিত্ব আমি খুব কমই দেখেছি। আশা করা যাচ্ছে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠাকুমা নিজে নিজে হেঁটে বারান্দায় গিয়ে নিজের বাঁধা চেয়ারটায় বসে আশেপাশের কার বাড়িতে কী হচ্ছে সে নিয়ে গোয়েন্দাগিরি ফের চালু করতে পারবেন। বারান্দায় এ ক’মাসে খেলিয

সাপ্তাহিকী

Image
Stickman! এ কটি অনবদ্য ব্লগের  যাত্রা শেষ হল এ সপ্তাহে। সত্যি নাকি? মাকে জিজ্ঞেস করতে হবে তো। প্লেনে চাপার অভিজ্ঞতা। সামান্য অন্য পারস্পেক্টিভ থেকে। গাছে চড়ার আগে মাথায় রাখবেন। ' সবজান্তা ঠাকুমা। সবশেষে এ সপ্তাহের গান। যোগা প্যান্টস পরে অরগ্যানিক কেল স্যালাড খেতে খেতে শুনলে বেশি আনন্দ পাবেন। একদম ওপরে ডেজো হফম্যানের তোলা ছবিতে ক্যাসিয়াস ক্লে-র (তখনও মহম্মদ আলি হননি) বজ্রঘুষির আঘাতে কুপোকাত হচ্ছেন, কারা আবার, বিটলস। এ সপ্তাহের মতো নটেগাছ মুড়োল অবান্তরের। সোমবার আবার দেখা হবে, ততদিন আপনারা সবাই ভালো হয়ে থাকবেন। টা টা।

Genetics 101

Image
Photo by   René Maltête

Moments of Happiness

Joanna Goddard- এর ঝকঝকে ব্লগ,  A Cup of Jo   থেকে ঘুরতে ঘুরতে আমি এই লেখাটায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। হয়ে জানলাম মুনস্টার একজন আধুনিক সুইডিশ গোয়েন্দার সহকারী পুলিশম্যান। যেহেতু মুনস্টার নিজেও আধুনিক পুলিশ, তাই সে চোরডাকাত খুনিদের পিছু ধাওয়া করার ফাঁকে ফাঁকে সুখ দুঃখ প্রেম ভালোবাসা মনখারাপ নিয়ে মাথা ঘামায়। মোটা দাগের পাবলিকরা যখন রবিবার সকালে টিভি খুলে বসে হাঁ করে মহাভারত দেখে আর লুচি খায়, তখন সে বসে বসে ভাবে, সুখ কাকে বলে? ব্লিস বলে আদৌ কিছু হয় কি? ভাবতে ভাবতে মুনস্টার পাশের ঘর থেকে তার বাচ্চা ছেলেমেয়ের হাসির আওয়াজ শোনে, খোলা দরজার ফাঁক দিয়ে বউকে দেখে, নিশ্চিন্তে বসে কফিতে চুমুক দিতে দিতে মন দিয়ে খবরের পাতা উল্টোচ্ছে। অমনি মুনস্টারের কাছে সুখের মানে পরিষ্কার হয়ে যায়। Münster “suddenly felt pain creeping up upon him: a chilling fear, but also a realization, that this moment must pass. This second of absolute and perfect happiness—one of the ten to twelve that comprised a whole life, and was possibly even the meaning of it.” আমিও যেহেতু নিজেকে আধুনিক বলে চালাতে ভালবা

অপ্রিয় সত্যি

Image
"' . . . if you trust in yourself . . .' 'Yes?' ' . . . and believe in your dreams . . .' 'Yes?' ' . . . and follow your star . . . ' Miss Tick went on. 'Yes?' ' . . . You'll still get beaten by people who spent their time working hard and learning things and weren't so lazy. Goodbye.'" -Terry Pratchett in The Wee Free Men উৎস

বাবার মেয়ে

Image
বড় হয়ে কী হব সে নিয়ে ছোটবেলায় বিস্তর প্রশ্নের মুখোমুখি সবাইকেই হতে হয়। প্রশ্নটা আমার খুবই শক্ত লাগত। আমি কখনই জানতাম না বড় হয়ে আমি কী হব, কাজেই হাসিমুখে চুপ করে থাকতাম। আর লোকে ভাবত সোনা কী শান্ত আর লাজুক। কিন্তু তাঁরা যদি একটু বুদ্ধি খাটিয়ে কী হতে চাইয়ের বদলে কী হতে চাইনা সেটা জিজ্ঞেস করতেন, তাহলেই আমি এক মিনিটও না ভেবে, একটুও লজ্জা না পেয়ে উত্তরটা বলে দিতে পারতাম। যে আমি মরে গেলেও অফিসে কাজ করতে চাইনা। আমার কাছে অফিস মানে তখন ছিল লজঝড়ে লিফটে চেপে সাততলার ওপরে উঠে খোপখোপ চেম্বার, সারি সারি ডেস্ক, ক্যাঁচক্যাঁচে সিলিং ফ্যান, ফাইল ওগরানো লোহার গোদরেজ আলমারি। যেরকম অফিসে আমার মা বাবা চাকরি করতে যেতেন। তবে সবার ছোটবেলা একরকম হয় না। অনেকের দেখেছি একেবারে উল্টোটা হয়। “আমাদের তো বাড়িসুদ্ধু সবাই ডাক্তার/ইঞ্জিনিয়ার”---অনেক বন্ধুকে খুব গর্বিত হেসে বলতে শুনেছি। আজকাল এর সাথে আরেকটা পেশাও যোগ হয়েছে। ফিল্মস্টারের ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে সবাই ফিল্মস্টার হয়। আমি বাজি রেখে বলতে পারি বেবি বি-কে কেউ কখনো বড় হয়ে কী হতে চাও জিজ্ঞেস করে উত্যক্ত করবেনা। লিখতে লিখতে একেবারে উল্টো

ইনসেনটিভ! ইনসেনটিভ!

Image
সেই কবে থেকে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে ইকনমিস্টদের মুখে রক্ত উঠে গেলো, এতোদিনে বিশ্বাস হলো তো?

একা থাকার পেছনে

কিছুদিন আগে নিউ ইয়র্ক টাইম্‌স-এ একটা লেখা বেরিয়েছিলো। একা থাকা নিয়ে। আরো দুচারটে লেখা চোখে পড়লো এদিক সেদিক, ওই একই বিষয়ে । প্রতিটি লেখাতেই বলছে একা থাকা লোকের সংখ্যা, আরো ঠিক করে বললে, ইচ্ছে করে একা থাকা লোকের সংখ্যা নাকি সারা বিশ্বে দিনে দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। আমি ভয়ানক আগ্রহ নিয়ে বিস্তর সময় নষ্ট করে লেখাগুলো পড়লাম কারণ আমাকে নিয়ে তো বেশি লেখালিখি হয়না, যা হয় লোভীর মতো চেটেপুটে পড়ি। কিন্তু পড়ে আমি সত্যি বলছি, হতাশ। যে যে কারণে লোকে একা একা থাকতে চায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা, তার সাথে আমার কারণগুলো বেশিরভাগই মেলেনি। কেউ বেশি ঘুমোবে বলে, কেউ একা একা গান গাইবে বলে, কেউ আরও বেশি করে ক্রিয়েটিভ হবে বলে নাকি একা থাকে। আমি এগুলোর একটাও চাইনা। সে না হয় হলো, যেটা নিয়ে আমার সবথেকে আপত্তি, বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন--- এককালে যা ভাবা হতো যে একাবোকা হয়ে থাকলে পাড়ার লোকে ডাকখোঁজ করবে না, শেষটা দরজার বাইরে মাদার ডেয়ারির প্যাকেট জমতে দেখে হিন্দু সৎকার সমিতিকে ফোন করবে---ঘটনাটা নাকি সেরকম একেবারেই নয়। লোকের সাথে হ্যাং আউট করার ইচ্ছে থাকলেই বরং আপনার বেশি করে একা থাকা উচিত। সংসার ক

সাপ্তাহিকী

Image
একেই কি বলে সভ্যতা? হিংসে হিংসে, সব হিংসে । আর আপনি ভাবছিলেন কিনা ডায়েটিং করে আর দৌড়ে রোগা হবেন? কাঁটা দিয়ে আঁটা ঘর-আঠা দিয়ে সেঁটে সুতো দিয়ে বেঁধে রাখে থুতু দিয়ে চেটে। ভর দিতে ভয় হয় ঘর বুঝি পড়ে খক খক কাশি দিলে ঠক ঠক নড়ে। হাহা, ম্যাকবুক। আর সবশেষে এই গানটা রইলো। একটাই উপদেশ, ভিডিওটা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে বিপদে পড়বেন না যেন। আপনাদের সপ্তাহান্ত খুব ভালো কাটুক। পরের সপ্তাহে আবার দেখা হবে। টা টা।  *একেবারে ওপরের ছবিটা আব্রাহাম অরটেলিয়াসের তৈরি পৃথিবীর মানচিত্রের। ১৫৭০ সালের ।

ভালো বই ভালো ছবি

Image
JNU তে গিয়ে দেখলাম ক্যাম্পাস একটাই কিন্তু ইউনিভার্সিটি আসলে দুটো। তাদের ক্লাসরুম আলাদা, সিলেবাস আলাদা, পরীক্ষা আর গ্রেডেশনের সিস্টেম আলাদা, শিক্ষক আলাদা। সবই যখন আলাদা তখন আর ছাত্রছাত্রীই বা এক হয় কেন, তারাও আলাদা। একদল ছাত্রছাত্রী সকালবেলা উঠে দুধপাউরুটি খেয়ে গাধার মতো মোট বইতে বইতে ক্লাসে যায়, বিকেলে লাইব্রেরি যায়, রাত্তিরে ঘুমোতে যায়। অন্য ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের অত ঝামেলা নেই, ইচ্ছে হলো ক্লাসে গেলাম, হলোনা গেলাম না গোছের ব্যাপার। তাদের মূল শিক্ষাদীক্ষাটা হয় সন্ধ্যের দিকে ধাবায় বসে। বেশির ভাগ ক্লাস সিনিয়ররা নেন, তবে সহপাঠীরাও শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে যখন তখন। এখানে বিষয়ের বৈচিত্র্যও অন্য দলের থেকে অনেক বেশি। প্রেম, পরনিন্দা, আন্তর্জাতিক রাজনীতি থেকে শুরু করে সিনেমা, তর্ক, ইকনমিক্স। আমি এই ভালো ইউনিভার্সিটিটার ছাত্রী ছিলাম। আমার বেশ মনে আছে, প্রথমদিনের তর্কের ক্লাসটার কথা। দাদা বললেন, ভালো আর মন্দ বলে নাকি কিছু হয়না। কিংবা সংস্কৃতি অপসংস্কৃতি। সবটাই পারসপেকটিভ। সাদা কালো বলে কিছু নেই, রিয়্যালিটি আসলে একটা গ্রে এরিয়া। যেটা বুঝতে গেলে মিনিমাম একটা গ্

ঘুরে দাঁড়ানোর মরীচিকা

Image
এই ক’দিন আগে যে বইটা পড়ে উঠলাম, ‘সাঁঝবাতির রূপকথারা’, সে বইটা নিয়ে বলতে চাইলে অনেক কথা বলা যায়। যেমন ধরুন, কী অপরূপ ভাষা, কী অদ্ভুত শব্দচয়ন, কথার ওপর কথা সাজিয়ে কী নিটোল একটা ছবি এঁকে চলা, পদ্যলিখিয়েরা যে গদ্যলিখিয়েদের থেকে ঢের ভালো গদ্য লেখেন সেটার আরও একবার হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু সেসব বলবো বলে আমি আজ অবান্তরে আসিনি। যেটা বলতে এসেছি সেটা হচ্ছে, এই বইটাতেও দেখলাম প্রেমে দাগা খাওয়ার পর  একজন  ভয়ানক খেটেখুটে, দিবারাত্র পরিশ্রম করে, রাতজেগে পড়ে, দুর্দান্ত রেজাল্ট করে ফেললো। স্রেফ ছেলেটিকে ভুলবে বলে। প্রেমে পড়ার আগে, আর প্রেম ভাঙার পরে, মেয়েটি যেন দুটি সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ। আগে সে কল্পনাপ্রবণ, রোম্যান্টিক, হয়তো খানিকটা ছেলেমানুষই। আর পরে সে-ই মেয়েই দুনিয়াদার, নিজের ভালো নিজে বোঝা, পরিশ্রমী, একবগগা, নিজলক্ষ্যে স্থির, অচঞ্চল।    ইকনমিকসে যাকে বলে স্ট্রাকচারাল ব্রেক---একটা ঘটনা, একটা দুঃখ, একটা হৃদয়ভঙ্গ, মানুষের জীবনে শুনেছি সেরকম একটা ব্রেক এনে দিতে পারে। শুধু সাঁঝবাতির জীবনে নয়, আরও অনেকের জীবনে এরকম হয় পড়েছি। দেখেছি, শুনেছি। একটা বক্তৃ

ভালো গোয়েন্দা মন্দ গোয়েন্দা

Image
কেমন আছেন? কেমন কাটলো আপনাদের সপ্তাহান্ত? কী কী খেলেন? কোথায় কোথায় ঘুরলেন? কী কী সিনেমা দেখলেন? আমার উইকএন্ড যেমন কাটার কথা ছিলো তেমনি কেটেছে। শুয়ে বসে, মাথা চুলকে, কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে বস, কিচ্ছু ভেবে না পেয়ে। পিসফুল। কুলকাল। এক গত শুক্রবার রাত্তিরে FFC তে L.A. Confidential দেখানো নিয়ে বান্টির সাথে কিঞ্চিৎ গলাবাজি বাদ দিলে।  L.A. Confidential -এর দোষটা কী? না “ একে হলিউড, তায় গোয়েন্দাগিরি। ” গোয়েন্দা গল্পের প্রতি লোকজনের এই অসীম অবজ্ঞাটা আমি সিরিয়াসলি বুঝে উঠতে পারিনা। গোয়েন্দা সিনেমা নাকি সিনেমাই নয়, গোয়েন্দা গল্প নাকি সাহিত্যই না।  " ইন ফ্যাক্ট, ওটা সাহিত্যের নামে কলঙ্ক।"              সে হতে পারে, কিন্তু আমার গোয়েন্দা সিনেমা দেখতে ভালোলাগে, গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালোলাগে। এতোটাই ভালোলাগে যে আমি আমার ইমেজ, সমাজ, সংসার, পুলিস---কিচ্ছুর তোয়াক্কা না করে বিকেলবেলা মিলেনিয়াম পার্কে বসে তার গলা জড়িয়ে তাকে চুমু খেতে পারি। শুধু আমি কেন, আমার ধারণা অনেকেই পারে।  গোয়েন্দাগল্পের মধ্যেই এই ব্যাপারটা আছে যে, চরম অবহেলা, লাঞ্ছনা, অপমান সয়েও সে