ডিভিশন অফ লেবার



ইকনমিক্সের একেবারে গোড়ার দিকের থিওরি হচ্ছে শ্রমবিভাজন। একটা কাজকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন লোকের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া। মডার্ন টাইম্‌স্‌ সিনেমার সেই দৃশ্যটা মনে আছে? মনে নেই? আচ্ছা দাঁড়ান মনে করিয়ে দিচ্ছি।

 

পরীক্ষায় দেখা গেছে এই ব্যবস্থায় কাজ দ্রুত হয়, একটা ছোট্ট কাজ ক্রমাগত করতে করতে শ্রমিকের দক্ষতা বাড়ে, কাজটা ভালো হয়। খণ্ড খণ্ড কাজ ভালো হতে হতে গোটা কাজটাই ভালো হয়। সেটার চাহিদা বাড়ে, যোগান বাড়ে...

“...পুঁজিবাদীর মুনাফাটাও দিব্যি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে।”

বান্টি পুঁজিবাদীদের দু’চক্ষে দেখতে পারে না। যত নষ্টের গোড়া যে ওরাই সে নিয়ে ওর কোনও সন্দেহ নেই। আমার আবার জন্ম-সন্দেহবাতিক। কিছু নিয়েই আমি নিঃসন্দেহ হতে পারি না। এই যেমন শ্রমবিভাজনের কথাই ধরা যাক। বড় বড় অফিসকাছারি কারখানা পর্যন্ত যেতে হয়নি, ডিভিশন অফ লেবারের জ্বলজ্বলে উদাহরণ আমি প্রথম দেখেছিলাম আমার বাড়িতেই। রান্নাঘরে। রান্না করতেন মা, রান্নার জন্য চালডাল তেলনুন মাছমাংস তরিতরকারি বাজার থেকে কিনে আনতেন বাবা।

বাজার আর রান্নার যুগলবন্দী ভালোই হত। প্রতিদিন ন’টায় কলকাতা ‘ক’-এ ‘গানে গানে’ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখের সামনে গরম ভাতের থালা এসে পড়ত। শাক বা তেতো, ডাল, তরকারি, মাছের ঝোল। আমার জন্য এসবের ওপর আবার একবাটি গাজরসেদ্ধ। ইনফ্লেশনের থেকেও বেশি জোরে দৌড়তে থাকা চশমার পাওয়ারের মুখে লাগাম পরানোর অক্ষম চেষ্টা।

কিন্তু তাই বলে সিস্টেম নিখুঁত ছিল না। টিমওয়ার্ক কথাটা শুনতে যতটা ভালো, কাজে করা ততটাই হাঙ্গামার। মাস্টারশেফের টিম কম্পিটিশনের এপিসোডগুলো দেখলেই সেটা বোঝা যায়। কী ড্রামা বাপরে। আমাদের বাড়িতে মাস্টারশেফ স্তরের ড্রামা হত না অবশ্য, কিন্তু একেবারেই হত না বললে মিথ্যে বলা হবে। আর সেই ড্রামার দায় কার, এই নিয়ে দু’পক্ষেরই জোরাল মতামত ছিল।

মা বলতেন, কার আবার, তোর বাবার। বাজারে গেলে নাকি বাবার মাথার ঠিক থাকে না। সুন্দর হাতের লেখায় যত্ন করে মা ফর্দ লিখে দিতেন। সে ফর্দ নিয়েই আরেকটা ব্লগপোস্ট লেখা যায়। এমনি সময়ে সর্ষের তেল বলেন, কিন্তু ফর্দ লেখার সময় মা সারাজীবন ‘সঃ তৈল’ লিখে এলেন কেন ভগবানই জানেন। সঃ তৈল, শুঃ লংকা গুঁড়া---মায়ের বাজারের লিস্ট লেখার বাংলা ভাষাটা মনসামঙ্গলের যুগে আটকা পড়ে আছে।

যাই হোক, মায়ের অভিযোগ ছিল এত নিখুঁত করে লিস্ট লিখে দিয়েও কাজের কাজ কিছু হয় না। ইদানীং শপ্যাহলিজম বলে একটা রোগ বেরিয়েছে, আমার বাবা বহুদিন ধরে এই রোগে ভুগে আসছেন। তবে ব্র্যান্ডেড জামাকাপড়পারফিউমের বদলে বাবার নেমেসিস হচ্ছে টাটকা তরিতরকারি। বাজারে গিয়ে বাবা লাল টুকটুকে মাকুর মতো মোচা দেখতেন, পুঁইডাটার সতেজ সবুজ গুচ্ছ দেখতেন, আর বুকপকেটে রাখা লিস্টের স্মৃতি তাঁর মাথা থেকে ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যেত। এর ওপর বিষফোঁড়ার মতো ছিল বাড়ির লোকদের খিদের পরিমাপ সম্পর্কে বাবার অজ্ঞতা। মা বলতেন, আমাদের বাড়ির চার সদস্যের জন্য বাবা দৈনিক আটজনের মতো বাজার করেন। বাবা বলতেন, তিনি অসহায়। মোচা দেখলেই তাঁর আলু দেওয়া মাখোমাখো মোচার ঘণ্টর কথা মনে পড়ে। আর গজগজ করার আগে পুঁইডাটার কোয়ালিটিটা যদি মা একটু নজর করে দেখতেন, তাহলেই তিনি বুঝতে পারতেন যে ওই দামে এই কোয়ালিটির শাক বাজারে ফেলে রেখে আসা যায় না। সেটা জাস্ট একটা ক্রাইম।

আমার বাবা কী রান্না হবে সেই ভেবে বাজার করতেন, আমার মা বাজারের ঝুড়িতে কী পচে যাচ্ছে সেই দেখে রান্না করতেন। মা বলতেন, সাধারণ মানুষের পক্ষে বাবার বাজারের সঙ্গে তাল রেখে রান্না করা সম্ভব নয়। বাবা বলতেন, খুব সম্ভব। চাই খালি সিস্টেম আর প্ল্যানিং। এ বাড়িতে দুটোর একটাও নেই বলেই যত সমস্যা।

আমার সমস্যাটা হচ্ছে, বাবামা দুজনের সমস্যাই আমি পেয়েছি। বাজারে গিয়ে কত কিছু দেখে লোভ হয়। টপাটপ ঝুড়িতে তুলে ফেলি। মোটা মোটা সসেজ, কুম্ভকর্ণের মাথার সাইজের তরমুজ, নিত্যনতুন ভ্যারাইটির বিস্কুট। বাড়ি ফিরে আলস্য আক্রমণ করে, তরমুজ কাটার যুদ্ধের কথা ভাবলেই কান্না পায়। নিজেকে থ্যাংক ইউ দিই, ভাগ্যিস বুদ্ধি করে বিস্কুট কিনে এনেছিলাম। খাটের ওপর আরাম করে বসে বিস্কুট খাই আর ইউটিউবে রান্না দেখি। সসেজ অ্যান্ড পেপারস্‌ স্যান্ডউইচ। ওয়াটারমেলন স্যালাড উইথ ফেটা চীজ।

খেলা-খেলা ছেড়ে যখন সত্যিকারের সংসার হবে, ডিভিশন অফ লেবারের সমস্যা আমাদেরও ভোগাবে নিশ্চয়। কীভাবে সেটার মোকাবিলা করা যেতে পারে ভেবেছ? কোনও চটজলদি স্ট্র্যাটেজি মাথায় আসছে? এইসব প্রশ্ন করতে স্কাইপের ও’দিক থেকে অর্চিষ্মান কান চুলকোতে চুলকোতে বলল, ভাবার আবার কী আছে। হাতের কাছেই একটা সহজসরল স্ট্র্যাটেজি গড়াগড়ি খাচ্ছে তো।

আমি উৎসাহিত হয়ে বললাম, খাচ্ছে বুঝি? শুনি শুনি কী।

অর্চিষ্মান হাই তুলে বলল, প্রথমেই ভাবো আসল সমস্যাটা কী। ডিভিশন অফ লেবার তো? সেটা কাটিয়ে দিলেই হয়। তুমিই বাজার করবে, তুমিই রান্না করবে। ব্যস্‌, খেলখতম।

আমি এমন গাধা, আরেকটু হলেই ঘাড় নেড়ে রাজি হয়ে যাচ্ছিলাম। লাস্ট মোমেন্টে সম্বিৎ ফিরল। চোখ কপালে তুলে বললাম, ইয়ার্কি নাকি? রাখো তোমার স্ট্র্যাটেজি। বাবামা ঠিকই করতেন। একলা খেটে মরার থেকে রোজ অফিসটাইমে ঝগড়া করা ঢের ভালো।

অর্চিষ্মান মুচকি হেসে বলল, আমারও তাই মত।

*****

সসেজ অ্যান্ড পেপারস্‌ স্যান্ডউইচ


কী কী লাগবে

মাপমতো তেল। দু’বার লাগবে। একবার সসেজ রান্নার জন্য, আরেকবার পেপারস্‌ রান্নার জন্য। অলিভ অয়েল হলে ভালো। দিশি সাদা তেল কিংবা সঃ তৈল হলেও ক্ষতি নেই।

এক কোয়া রসুন। আমি গোটা রাখি কারণ রান্না হয়ে গেলে সেটা তুলে ফেলতে সুবিধে হয়। আপনার যদি রসুনে আপত্তি না থাকে তাহলে কুচিয়ে নিতে পারেন।

পেঁয়াজ। চাঁদের মতো করে কাটা। বড় পেঁয়াজ হলে আধখানাই যথেষ্ট।

পেপারস্‌, অর্থাৎ ক্যাপসিকাম। চাঁদের মতো করে কাটা। আমি আধখানা লাল ক্যাপসিকাম, আধখানা সবুজ ক্যাপসিকাম, আধখানা হলুদ ক্যাপসিকাম ব্যবহার করেছিলাম। আপনি এর যে কোনও পারমুটেশন কম্বিনেশন ব্যবহার করতে পারেন। পুরো লাল, পুরো হলুদ, পুরো লাল, হাফ লাল-হাফ সবুজ, হাফ সবুজ-হাফ হলুদ, দুই তৃতীয়াংশ লাল-এক তৃতীয়াংশ সবুজ, এক তৃতীয়াংশ হলুদ-দুই তৃতীয়াংশ সবুজ...ইত্যাদি প্রভৃতি।

একখানা সসেজ। আমি পর্ক সসেজ ব্যবহার করেছি, আপনি যা খুশি করতে পারেন। রেসিপির ব্যাপারে শেষ কথা সবসময় নিজে বলবেন।

পাঁউরুটি। লম্বাটে রোল হলে ভালো। তাহলে পুরো ব্যাপারটা কনস্ট্রাক্ট করতে সুবিধে হবে। আর স্যান্ডউইচ একেবারে ন্যাতানো হলেও ভালো লাগবে না। চিবোতে গেলে টাকরায় সেঁটে গিয়ে জঘন্য ব্যাপার হবে। নিতান্তই নরম পাঁউরুটি দিয়ে কাজ চালাতে হলে সেঁকে নেবেন।  

নুন, গোলমরিচ। ঝাল ভালোবাসলে একটা কাঁচালংকা কুচো করে দিতে পারেন। 

কী ভাবে রাঁধবেন

প্রথমেই সসেজের ব্যাপারটা সেরে নিন। মনে রাখবেন সসেজ কতখানি রান্না করতে হবে সেটা নির্ভর করে ব্যাপারটা প্রি-কুকড্‌ না কাঁচা তার ওপর। সসপ্যান গরম হতে তাতে তেল দিয়ে সসেজ ছাড়ুন। পাত্র ঠিক মতো গরম হলে ছ্যাঁক আওয়াজ হবে। ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সসেজের চারদিকে বেশ করে বাদামী রং ধরিয়ে নিন। প্রি-কুকড্‌ সসেজ হলে এতেই হয়ে যাবে। তখন সেটা তুলে রাখুন। আর যদি র’সসেজ কেনেন, তাহলে এর পরেও খানিকটা কাজ বাকি থাকবে। প্যানে হাফ ইঞ্চি মতো জল ঢালুন। ঢাকা দিন। বেশ করে স্টিম হতে দিন। জল শুকিয়ে এলে বুঝবেন সসেজ রেডি। তখন তুলে রাখুন।

এবার ওই একই পাত্রে আরেকটু তেল দিন। রসুন ছেড়ে দিন। আঁচ কমিয়ে নেবেন, যাতে ছাড়া মাত্র রসুন পুড়ে ঝামা না হয়ে যায়। রসুনে বাদামি রং ধরা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

এবার কেটে রাখা পেঁয়াজ আর রংবেরঙের ক্যাপসিকাম, কাঁচালংকা কুচি দিয়ে দিন। নুন গোলমরিচ দিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ঢাকা দিয়ে রান্না করলে তাড়াতাড়ি হবে, না দিলেও এমন কিছু অনন্তকাল লাগবে না। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কী রকম ক্যাপসিকাম খেতে আপনি পছন্দ করেন। কচকচে নাকি নেতিয়ে পড়া। বেশিরভাগ মানুষই এই দুইয়ের মধ্যবর্তী অবস্থা পছন্দ করে। আপনার পছন্দমতো অবস্থায় তাদের নিয়ে যান। 


ব্যস্‌, হয়ে এসেছে। আর মিনিট পাঁচেক বাদেই খেতে বসতে পারবেন। রান্না করে রাখা সসেজ পাত্রে ফেরৎ পাঠান। পেঁয়াজ-ক্যাপসিকামের সঙ্গে একটু মিলতেমিশতে দিন। যদি ঠাণ্ডা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে এইবেলা আবার গরম হওয়ার সুযোগ পাবে। নুন-গোলমরিচ চাখুন।


পাঁউরুটি দু’ফালি করুন। অ্যালটন ব্রাউনের কাছে আমি শিখেছি, ভালো স্যান্ডউইচের গোড়ার কথা হচ্ছে তার স্থাপত্য। আপনি স্যান্ডউইচে কামড় বসাচ্ছেন আর মুখের ভেতর যাওয়ার বদলে জিনিসপত্র স্যান্ডউইচের চারদিক থেকে বেরিয়ে প্লেটের ওপর পড়ে যাচ্ছে---এর থেকে মাথাগরমের আর কিছু হয় না। কাজেই আঙুল দিয়ে পাঁউরুটির ভেতর বেশ একটা খালের মত বানান। খাল কাটতে গিয়ে যেটুকু পাঁউরুটি বেরিয়ে এল, খুব বিবেকদংশন হলে সেটা শুধু শুধু চিবিয়ে খেয়ে নিন, না হলে ছুঁড়ে ফেলে দিন। এবার একদিকের খালে সসেজ শুইয়ে, অন্য খালে পেঁয়াজ-ক্যাপসিকামের মিশ্রণ যতখানি ইচ্ছে করে নিয়ে স্যান্ডউইচ মুড়ে ফেলুন।



খান।

যাঁরা কার্ব-কন্ট্রোল করছেন তাঁদের জন্য বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পাঁউরুটি বাদ দিলেও এ জিনিসটা খেতে চমৎকার। সেক্ষেত্রে ফোনে মায়ের জেরার মুখে পড়লে ‘সসেজ অ্যান্ড পেপারস্‌ স্যান্ডউইচ’ খেলাম না বলে, ‘সসেজ অ্যান্ড পেপারস্‌’ খেলাম বলতে হবে।



Comments

  1. asamanya chaobi o lekha,ami na kheyei bole dicchi eta just durdanto hobe :-) ...amader bariteo rojakar bajar nie sanghatik jhamela chole,baba ekidine chingri,kankra ar mocha bajar kore juddhojayer moto mukh kore bari firche..eta amar anek robbarer smriti..tarpore seta nie je ki poriman jhamela suru hoto se na dekhle biwas kara sambhab na!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ তিন্নি। আমার বাবাও ওইরকমই করত।

      Delete
  2. Replies
    1. ধন্যবাদ দেবশ্রী।

      Delete
  3. বাড়ির গল্প । প্রথমে মা বাবার তারপর আমার । লেটেস্ট হল এখন আমার বাড়িতে শ্রমবিভাজন নেই । কাজেই গাধার জীবন চলছে । স্যাড !একেবারে ফুড ব্লগারদের মত লিখছ । কেয়াবাৎ !
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ মিঠু। শ্রমবিভাজন না থাকার কিছু সুবিধে আছে অবশ্য...নাক গলানোর ব্যাপারও কম। যদি পরিস্থিতি পাল্টানোর আশা না থাকে, তাহলে এই পজিটিভ দিকটার কথা ভেবে খুশি হয়ে থাকো এই কামনা করি।

      Delete
  4. 'মডার্ন টাইম্‌স্‌' ta amar top listed cinema r modhye. Ar ei recipe ta mark kore rakhlam, besh jhamelahin, ar chotpot toiri kore phela jabe bole mone hochhe :-).
    Chhobigulo darun lobhonio hoechhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. মডার্ন টাইমসঃ হাই ফাইভ ইচ্ছাডানা। আর উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
    2. arekta kotha likhte bhule gelam, ei bajar kora ar ranna korar dandhota bodhoi ghar ghar ki kahani, chhotobelai nijer barite dekhtam, sosurbariteo ekii galpo shuni

      Delete
    3. আমারও বাপেরবাড়ি শ্বশুরবাড়ির এ বিষয়ে মিল আছে শুনেছি ইচ্ছাডানা।

      Delete
  5. বাহ । এই তো । কোথাও ধনেপাতা নেই। খুব খুশি হলাম ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, থ্যাংক ইউ সোমনাথ।

      Delete
    2. যাক, আরেকজন ধনেপাতা পছন্দ করেনা জেনে ভালো লাগলো।

      Delete
    3. না লিখে পারছি না । ধনেপাতা আমারও না পসন্দ্‌ ।
      মিঠু

      Delete
    4. তোমরা সবাই অদ্ভুতের চূড়ান্ত।

      Delete
  6. Assembly line bhaablei Modern Times'er shaathey inevitably eTaa'o mon'e porey. :) http://www.youtube.com/watch?v=8NPzLBSBzPI

    ReplyDelete
    Replies
    1. জাস্ট দুর্দান্ত, সুজয়িতা। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  7. আহা বেচারা বাবা। ঠিক আমার বাবার মত। বাজার করে এসে বকুনি খায়, আম্‌তা আম্‌তা করে কিন্তু শুধরায় না। অবশ্য এইরকম বাজার সামলাতে গিয়ে মা-এরই বেচারা হবার কথা। তবে কিনা আমি হলাম একমাত্র মেয়ে, তাই বাবার দিক টেনে কথা বলা অভ্যাস হয়ে গেছে।
    তোমার মায়ের ফর্দটাও দেখতে চাই। সারা জীবন এলোমেলোভাবে দিন কাটিয়ে গেলাম বলে গুছিয়ে সংসার করা মহিলাদের প্রতি আমি ভীষণ ঈর্ষান্বিত ও বেশ হীনমন্যতায় ভুগে থাকি।(ফর্দ লিখে বাজার করাটা আমার কাছে গুছানো সংসারের লক্ষণ)। তাই তোমার মাকে দেখে একবার চেষ্টা করতে চাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ধুর মালবিকা, শুনলেন তো ফর্দে কিছু কাজ হয় না। ওসব চেষ্টা করার থেকে ডাংগুলি খেলা ভালো।

      আপনার সঙ্গে আমার একমাত্র মেয়ের পার্টটা মিলেছে, কিন্তু একমাত্র মেয়ে হওয়ার যে এফেক্টটার কথা লিখেছেন, সেটা একেবারেই মেলেনি।

      Delete
  8. ও, একটা কথা। সোমনাথের ধনেপাতায় কি খুব allergy?

    ReplyDelete
  9. Porte porte bhishon hashi pelo. bhishon shotyi kotha; sandwich er sthapotyo.
    Ar oi khaler byaparta besh interesting. :)

    Amar chhele bari phirle, jiggesh kora hoy, ki kheyechhe. Eta otar shathe, majhemajhei bole, "messy sandwich." Keno messy sandwich bujhechho to? :D

    Meghbalika

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছেলে স্কুলে যাচ্ছে বুঝি? বড় হয়ে গেল তো দেবিকা। মেসি-র ব্যাপারটা ঠিকই বলেছে কিন্তু।

      Delete
    2. School mane, oi daycare. Shotyii boro hoye gelo. :) Blog e chhobi diyechhi, dekho, shomoy kore.

      Meghbalika

      Delete
    3. দেখলাম দেখলাম। কী মিষ্টি দেখতে হয়েছে ছেলে দেবিকা। তোমার কোলে বসে যে ছবিটা তোলা, সেটা দুর্দান্ত। তাছাড়া খেলনা ছুরি দিয়ে স্যালাড কাটতে পারে জেনে চমৎকৃত হলাম। খুব ভালো হচ্ছে শিক্ষাদীক্ষা, চালিয়ে যাও।

      Delete
  10. ঠিক কন্টেক্সট না হলেও জিজ্ঞেস করেই ফেলি, তুমি কি খুব ডাংগুলি খেলতে? ওঃ, ডাংগুলি, পিট্টুর বল হাতে সাঁ সাঁ করে দৌড়ানো, চু-কিৎকিৎ - এসব অনার্য খেলাগুলির মধ্যেই তো আমার ছেলেবেলা ধরা রয়েছে। একটা লাইনেই তুমি সেই ফ্লেভারটা ফিরিয়ে দিলে। তুমি কি সত্যিই আমার ছোটবেলা?

    ReplyDelete
    Replies
    1. না মালবিকা, আমি কক্ষনো খেলিনি। কিন্তু আমার মা খুব খেলতেন শুনেছি। এত শুনেছি, যে মনে হয় নিজেই খেলতাম বুঝি।

      Delete

Post a Comment