কিছু বলতে গিয়ে



সেদিন একটা নেমন্তন্ন বাড়িতে একটি ছোট মেয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। দেখা হয়েছিল মানে আমিই নির্লজ্জের মতো মুগ্ধনয়নে, হাঁ-বদনে তাকিয়ে তাকিয়ে তাকে দেখছিলাম, সে আমাকে পাত্তাও দিচ্ছিল না। সে কেবল লাল রঙের ঘেরওয়ালা ফ্রক পরে সারাঘর আপনমনে নেচে নেচে বেড়াচ্ছিল আর মাঝে মাঝে নাচ থামিয়ে হাত জোর করে কোমর ঝুঁকিয়ে আধো আধো বচনে বলছিল, “লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেন”। উপস্থিত লেডিস অ্যান্ড জেন্টলমেনেরা তার এমত সম্বোধনে নিদারুণ আমোদিত হচ্ছিলেন আর তার মুখ থেকে আরও কিছু শোনার জন্য হাতেপায়ে ধরছিলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের ছোট বক্তা আর বেশি কিছু বলতে শেখেননি। আমি এই সব দেখছিলাম আর মনে মনে ভাবছিলাম, আয়রনির কী লীলা, হ্যাঁ? যখন লোকে বক্তৃতা শুনবে বলে হাপিত্যেশ করে বসে আছে তখন বক্তা কিছু বলতে চাইছেন না, আর যখন শ্রোতারা ছেড়ে-দে-মা-কেঁদে-বাঁচি তখন বক্তাদের ছুটলে কথা থামায় কে।

বক্তৃতা শোনার অভিজ্ঞতা আমার প্রচুর। অনেক বক্তৃতা শুনেছি, অনেক রকম বক্তৃতা শুনেছি। পুরস্কার বিতরণী সভার অন্ধকারে সহপাঠীদের সঙ্গে হাঁটু ঠেকাঠেকি করে বসে বাংলা বক্তৃতাও যেমন শুনেছি, তেমনি আলোয় ভাসা শব্দপ্রুফ হলে বসে হাইটেক বক্তৃতাও শুনেছি। বক্তা বলছেন কে জানে কোন ভাষায়, আর আমার কানে সেটা তৎক্ষণাৎ ইংরিজিতে অনুবাদ হয়ে যাচ্ছে। ওপরওপর দেখলে দুটো বক্তৃতার মধ্যে ভাষায়, চেহারায়, কৌলীন্যে কোনও মিলই নেই। কিন্তু আসলে দুটোই সমান বোরিং, সমান অদরকারি, সমান অর্থহীন। দুই বক্তৃতার ক্ষেত্রেই যেই মুহূর্তে বক্তা ডিসক্লেমার দেবেন যে তিনি বেশি নয়, অল্প কথায় নিজের মত প্রকাশ করতে চান, আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন---প্রয়োজনের তিনগুণ কথা না বলে তিনি মাইক ছাড়ছেন না।

বক্তৃতা শোনার থেকে খারাপ জিনিস যদি কিছু থেকে থাকে সেটা হচ্ছে বক্তৃতা দেওয়া। সেইজন্যই আমার ব্যাপারটা আরও আশ্চর্যের লাগে। এত খারাপ কাজে এত লোকের এত উৎসাহ আসে কোত্থেকে? স্টেজের ওপর আমি দাঁড়িয়ে আছি, জোড়া জোড়া চোখ বেয়নেটের মতো আমার সর্বাঙ্গে প্যাঁটপ্যাঁট করে বিঁধছে, এমন সময় আমাকে যদি কিছু বলতে বলা হয় তাহলেই আর দেখতে হচ্ছে না। অবশ্য সত্যিটা হচ্ছে আজ পর্যন্ত আমাকে কেউ কিছু বলতে বলেনি, হয় গ্রেড নয় পেটের দায়ে আমি নিজেই যেচে নানারকম কথা বলতে লেগেছি। কেমন বলেছি সে বিষয়ে আর নিজমুখে বলার কিছু নেই, মার্কশিটের গ্রেড জ্বলজ্বল করে তার প্রমাণ দিচ্ছে।

বক্তৃতা দিতে আমার কত খারাপ লাগে তার প্রমাণ হচ্ছে একবার বক্তৃতা দিতে গিয়ে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। অন গড ফাদার মাদার। সেই আমার জীবনের প্রথম বক্তৃতা। মাসখানেক আগে সবে পূর্বা এক্সপ্রেস থেকে নেমেছি, গা থেকে তখনও ভুরভুর করে গার্লস স্কুল + গার্লস্‌ কলেজের গন্ধ ছাড়ছে। প্রথম বাড়ির বাইরে থাকা, প্রথম রাতভর আড্ডা মেরে সূর্যোদয় দেখার উত্তেজনায় থরথর করে কাঁপছি। এমন সময় একদিন ক্লাসে এসে একজন বললেন সামনের সপ্তাহে প্রেজেন্টেশন দিতে হবে। প্রেজেন্টেশন শব্দটার সঙ্গে তখন আমার পরিচয়ের দৌড় হচ্ছে, বিয়ের নেমন্তন্ন পেলে মাবাবা যা ব্যাজার মুখে বাজার থেকে কিনে আনেন, কিংবা আলমারির সঞ্চয় থেকে চালান করেন। এই নতুন রকমের প্রেজেন্টেশনে শুনলাম পয়সাখরচের ব্যাপার নেই। বদলে কিঞ্চিৎ সাহস খরচ করলেই হবে। একটা পেপার পড়ে, তার সারমর্ম ক্লাসশুদ্ধু ছাত্র আর ডিপার্টমেন্টশুদ্ধু মাস্টারমশাইদের সামনে বুঝিয়ে বলতে হবে। নিজের কথায়। না বুঝলে (বুঝলেও) সবাই চোখা চোখা প্রশ্ন করবে, মেজাজ ঠাণ্ডা রেখে সে সব প্রশ্নবাণ সামলাতে হবে।

বলাই বাহুল্য, এই দুঃখের সিনের গোটাটাই অভিনয় হবে ইংরিজি ভাষায়।

আমার সাহসের বলিহারি বলতে হবে খবরটা শোনামাত্র আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাইনি। পরের সপ্তাহের সেই দিনটা পর্যন্ত বহাল তবিয়তে খাচ্ছিলামদাচ্ছিলাম, ঘুরছিলামফিরছিলাম, আড্ডা মারছিলাম, ফাঁকফোকরে সময় পেলে প্রেজেন্টেশন তৈরি করছিলাম।

সে দিনটা আমার এখনও মনে আছে। সোমবার। মার্চ মাস। ক্যাম্পাসের পিচরাস্তার দুপাশের সারিবাঁধা পলাশের বনে সবে বসন্তের কুঁড়ি ধরেছে। সকালবেলা চোখ মেলে প্রথম যে অনুভূতিটা আমার হল---উঁহু, আসন্ন প্রেজেন্টেশনের কথা মনে পড়ে ভয় না, হাতপা ঠাণ্ডা হয়ে ঘাম ছোটা নয়---চোখ মেলেই আমি টের পেলাম আমার ভয়ানক পেট কামড়াচ্ছে।

তখনও আমি ঘাবড়াইনি। বিপদের মুখোমুখি হলে যে আমার পেটব্যথা করবে তাতে অবাক হওয়ার বয়স আমার আর তখন নেই। অনেকদিন একসাথে সংসার করে পেটের চালচলন ততদিনে আমার কণ্ঠস্থ হয়ে গেছে। আমি দাঁতমুখ চেপে বিছানা ছাড়লাম। বক্তৃতার সময় যত এগোতে লাগল আমার পেটব্যথা তত উত্তরোত্তর বাড়তে লাগল। আমি কুঁজো হয়ে হয়ে স্নান করলাম, জামাকাপড় পড়লাম, ব্যাগ গোছালাম, তৈরি করা বক্তৃতার তাড়া কাগজ ব্যাগে পুর...

...জ্ঞান যখন ফিরল তখন অ্যাম্বুলেন্স প্যাঁপ্যাঁ করে সফদরজং হাসপাতালের গেট পেরিয়ে অপারেশন থিয়েটারের দিকে ছুটছে। আমি চিৎপাত হয়ে পড়ে আছি, আমার একদিকে লোপাদি আরেকদিকে সঞ্চারী ভয়ার্ত মুখে বসে আছে। বক্তৃতা সেদিন আমার আর দেওয়া হয়নি। যদিও পরে দিতে হয়েছিল। সাপ্লিমেন্টারি বক্তৃতা।

তিনদিন বাদে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে শুনলাম পেটের ভেতরের গোলমালটা পাকিয়েছিল অনেকদিন থেকেই, সেই যখন ক্লাস নাইনে জীবনবিজ্ঞান বই খুলে বসলেই আমার পেটব্যথা হত, তখন থেকে। এতদিন চুপেচাপে থেকে সেই বাসন্তীপ্রভাতে আত্মপ্রকাশ করেছে। ডাক্তারের বলেছিলেন ভাগ্যিস করেছে, না করলে নাকি আর ঠেকানো যেত না, একটা এসপারওসপার হয়ে যেতে পারত। আমি অবশ্য মনে মনে জানি কিছুই হত না। পেট যেমন থাকার তেমনই থাকত, মাঝেমাঝে একটু কাঁদতকোঁকাত, এই যা। স্রেফ ইংরিজিতে বক্তৃতা দেওয়া থেকে প্রাণ বাঁচাতে অত বড় নাটকটা নামিয়েছিল।

জার্মানি থেকে ছবিটবিশুদ্ধু একটা পেনড্রাইভ আমার ঠিকানায় এসে পৌঁছেছে বলেছিলাম না, সেইখানে ‘কুন্তলা’ নাম লেখা একটা সন্দেহজনক ফোল্ডার খুলে আমার হৃদপিণ্ড ছিটকে বুকের বাইরে চলে আসার জোগাড়। ট্রেনিং-এ লোকজনের কথাবার্তা শুনে আমার মাঝেমাঝে মাথায় রক্ত উঠে যেত। সবারই ধারণা পৃথিবীতে কেবল তারাই ঠিক, কেবল তাদের রাস্তাটাই ঠিক রাস্তা, তাদের সভ্যতাটাই সভ্যতা, বাকি পৃথিবীটা স্রেফ আদিম জঙ্গল---যে জঙ্গলে আমরা নিয়নডারথালরা কচুপাতার স্কার্ট পরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সে রকমই একটা মুহূর্তে খুব তেড়েফুঁড়ে গ্লোবাল সাউথের হয়ে গলা ফাটাচ্ছি, উত্তেজনার চোটে থার্ড পার্সন সিঙ্গুলারের জায়গায় প্লুর‍্যাল হয়ে যাচ্ছে, হ্যাভ হ্যাড গুলিয়ে একশা, অ্যাকসেন্টের কথা আর নাই বা বললাম। যতক্ষণ গলা কাঁপিয়ে হাত ঝাঁকিয়ে চেঁচাচ্ছিলাম ততক্ষণ খেয়াল করিনি, কে বা কারা যেন সব নিজেদের ফোনে ভিডিও তুলে রেখেছে। আমার কুষ্ঠী বিচার করে একজন বলেছিলেন আমার নাকি গুপ্ত শত্রুর অভাব নেই, তাদেরই দু-একপিস যে জার্মানি পর্যন্ত ধাওয়া করেছে কী করে বুঝব বলুন তো?

বক্তৃতা দেওয়ার সম্ভাবনায় নয়, বহুদিন বাদে নিজেকে বক্তৃতা দিতে দেখে আমার পেট কামড়াতে শুরু করল। সেই খণ্ড ভিডিওটুকু দেখতে দেখতে অনেকদিন বাদে সত্যি সত্যি মনে হল, মার্বেলমেঝে দ্বিধা হও, সেঁধিয়ে বাঁচি।

বুঝলাম বয়সটাই যা বেড়েছে, বক্তৃতা দেওয়ার ক্ষমতাটা থেমে আছে সেই মার্চ মাসের সকালটায়। এবার থেকে লোকসমক্ষে যেচে আর কোনওদিন কিছু তো বলবই না, কেউ কিছু বলতে বললে বলব, ‘রক্ষে করুন স্যার, আমার ভীষণ পেটব্যথা করছে।’ 

  

Comments

  1. অবিলম্বে ইউটিউবে পোস্ট করা হোক। তারপর অন্য কথা।

    ReplyDelete
  2. ইকী! অবান্তরেও গুপ্ত শত্রুদের হামলা হল নাকি!

    ReplyDelete
  3. Have almost the same feeling! :( Worst part is, sometimes you are just ordained to these presentations.. 'Group Discussion' is another ‘Monster’.. :( :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা রণদীপ, গ্রুপ ডিসকাশন। আমার কপাল ভালো কখনও ও জিনিসের অংশ হতে হয়নি কিন্তু হলে যে আমি কিছুই বলতে পারতাম না, সে নিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। আমি একটা জঘন্য জিনিস বারদুয়েক করেছি, ব্রেনস্টর্মিং। শুধু গালভরা কথা, কাজের বেলা ঢুঢু।

      Delete
  4. amra tomar boktrita sunte chai chai chai..........

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি তোমাদের বক্তৃতা শোনাতে চাই না রাখী, চাই না, চাই না, চাই না.....

      Delete
  5. Boktrita-ta jodi you tube er doulate shona jai. 'Group Discussion' aro otibo bhison jinish. ami jakhon onek oneeek chhoto chhilam takhon oi chakrir interview te khnutie dekhe jetam kono GD achhe kina . Presentation shunle amaro 'Balika bidyalaya' peter modhye ekhono gurgur kore, janosommokhe ami emnitei kothai kom bolte chai, pachhe amar biddye sob berie ashe, tar upor abar 'presentation' sanghatik jinish.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, ঠিক বলেছেন ইচ্ছাডানা। কথা বললেই হাটে হাড়ি (গুগল চন্দ্রবিন্দু দিতে পারমিশন দিচ্ছে না, কাজেই হাড়ি বানান ভুল) ভাঙে, তায় আবার প্রেজেন্টেশন। আমাকে বেশি ডিসকাস করতে হয়নি চাকরিতে ঢোকার সময়, না গ্রুপে না একাএকা, কাজেই বেচেছি (আবার, নো চন্দ্রবিন্দু, সরি ফর দ্য ইনকনভেনিয়েন্স।)

      Delete
    2. Google er editor e chandrabindu ashena bole amaro bangla post onek somoi oi chandrabindu chharai ashe ar onek somoi edik odik dhar kore jogar kori.esob korte gie dekhlam prochur khatuni tai abar ei hnasjaru tei phire elam.

      Delete
  6. Ore baba. Public speaking ke ami arshola plus makorsha plus sarajeebon niramish khawa plus bangla megaserial plus onko porikkhar cumulative effect thekeo beshi bhoy pai. Jokhon nehat peter daaye presentation ditey hoy, tokhon du rattir ghum hoy na, chokher koney kaali porey jay, jol kheye kheye pet fuley joydhaak. Sey ek bitikichchhiri kando. Tomar sathe tai teebro bhaabey sympathize/empathize korchhi.

    p.s. Ekbaar amakeo onko porikkha ditey giye daktarer kachhe jete hoyechhilo, jano? Sokal theke kichhu na kheye porikkha ditey gechhi. Duto onko korte na kortei matha ghure popato chaw. Ki lojja, ki lojja.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, তুমি দেখছি আমার মতোই মাতঙ্গিনী হাজরা বিম্ববতী। আমার তো সর্বক্ষণ এমনিই পেট গুরগুর করে, এই বুঝি কেউ বকে দিল, তার ওপর একঘর লোকের সামনে উঠে কথা বলতে বললে তো আর রক্ষা নেই। অঙ্ক পরীক্ষা কি আবার দিতে হয়েছিল, নাকি সে যাত্রা ছাড় পেয়েছিলে?

      Delete
  7. Kuntala, tor dukhyo ami morme morme jani ....college e porbar samay akbar elocution competition hoyechilo , sudhindranather Shaswati kabita,4te line.. mike er samne dnarie just pratham lineta .'ekti kathar dwidha tharotharo chure 'bale amari hat pa tharthar korte suru korlo....ufff se ki bhayabaho abhighyata ..gharbharti loker samne amar mukh die ar akta shabdo o beroyni .keno je marte naam diechilam ke jane..je meye gharbharti lok dekhle lej tule palay,taar stage e othar dyusahash keno hoyechilo iswar janen..er age o porer jibone ami jathasambhab baktrita theke dure thakte chesta korechi..ghantar por ghanta hasimukhe bhat sunte raji achi...amke keu gaite boltben na please....

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি, আমাকেও কেউ গাইতে বলবেন না। গাইতে অর্থাৎ বক্তৃতা দিতে। এ মা, কলেজে তুই কবিতা আবৃত্তি করেছিলি বুঝি, কী বাজে মিস করলাম। খুব আফসোস হচ্ছে।

      Delete
    2. tham tui ..tor abar afshosh hocche :( :( ar bolte toh parini ...tar agei toh mukh bandho hoye gechilo...

      Delete
  8. Eita amake Maa ke pore shonate habe. Shonatei habe! Ja hesechi na Kuntala di, kaan dhore je office theke ber kare dey ni, ei anek!

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইস, কান ধরে বার করে দেবে মানে কী? মগের মুলুক নাকি? লেখাটা তোমার এত মজার লেগেছে জেনে আমি ভীষণ খুশি হয়েছি কোয়েল।

      Delete
    2. Khuuub khub bhalo legeche! :)

      Delete
  9. oshadharon ;) kono kotha hobena :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাঙ্ক ইউ থ্যাঙ্ক ইউ, অরিজিৎ।

      Delete
  10. বক্তৃতা sunle amar brigade er dada/didi der kotha mone ase...

    ReplyDelete
  11. emnite o ami temon boktiar khilji noi... tobe 'talk' dite hole 3-4 rater ghum ure jai..

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক আমার দলে এত লোক আছে দেখে বড় ভালো লাগছে। কন্যা কেমন আছে, গোবেচারা?

      Delete
    2. Konya dhire dhire boro hochhe.. :) tobe ami eta bole e nijeke thamai... durjonera bolchhe aajkal ami meyer kotha shuru korle boro soro boktrita na diye thamchhi na.. :D :D

      Delete
  12. tomar experience ta akdom morme morme feel korte parchi, amaro chiro din i ei dosha.. jodio ami choto thekei abritti/extempore/speech ityadi anek diyechi, tobu akhono oi lokjon sob amar dike dyabdebiye takiye ache r alo falo mukher opor focus ei scene tar samne elei gola shukiye jaay, pet gurgur kore ar hritpindo puro rock concert er neshay uttal hoye otha teenager jeno :P tobu amay bodhoy ajibon i boktrita diye jete hbe, bhabo, by choice!!!
    jaihok, sob i to bujhlam, kin2 tomar video ta obilombe chai.. amrao global south somporke kichu ashar bani shunte chai.. eta plz post koro, plz plz plz..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমি মানসচক্ষে দেখতে পাচ্ছি, তুমি খুব ভালো বক্তৃতা দেবে স্বাগতা। ছাত্রছাত্রীরা সবাই মুগ্ধ হয়ে ডক্টর ভট্টাচার্যের লেকচার শুনবে। বাই দ্য যে, তোমাদর স্কুলের প্রাইজ পাওয়ার খবরটা পেলাম, কনগ্র্যচুলেশনস।

      Delete
    2. Thank you thank you kuntala di :) tobe je bolo tumi fb koro i na? ;)

      Delete
    3. আরে সত্যি করি না। মাঝে মাঝে অর্চিষ্মানের ফেসবুক দেখি, তাও ও সামনে থাকলে তবেই, অন প্রিন্সিপল। তখনই তোমার স্কুলের খবরটা পেলাম।

      Delete
  13. Public speaking ke bhoyonkor baajebaasi,kintu peshagawto karone majhemodhyei ditey hoy, ebong tar theke nistar pabar ashu kono sawmbhabonao dekhte pachhi na. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা, আপনি পাবলিক স্পিকিং ভালোই দেবেন, আমি মনে মনে জানি। বাজে বাসলেও। আর নিস্তার পাওয়ার দরকার কী? শোনার মতো কথা বলার লোক তো কমই আছে, চালিয়ে যান।

      Delete

Post a Comment