পরশু সন্ধ্যেবেলা



বাকি সবাই যেটা করে, নিজে সে কাজটা না করার ইচ্ছে সবারই জীবনে কখনও না কখনও হয়। আমার এ’রকম প্রথম যে ইচ্ছেটা (বা অনিচ্ছে বলাই উচিত হবে বোধহয়) এখন মনে করতে পারি সেটা হল যে আমি কোনওদিন বিয়ে করব না। স্কুলের মাঝামাঝি নাগাদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তারপর হরমোনের তাগিদে বিয়েতে নিমরাজি হলেও মন বলল, সেটল বাবা করছি না কিছুতেই। ঘুরে ঘুরে বেড়াব সারা পৃথিবী। আজ আইসল্যান্ড তো কাল কেপটাউন তো পরশু মালসেজঘাট।

শেষে যখন ফুটো প্যারাশুট গুটিয়ে দিল্লিতে এসে নামতে হল তখনও আমার শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়নি। বুক ফুলিয়ে বললাম, জীবনে আর যা-ই করি না কেন, সি আর পার্কের ওই বাঙালি ঘেটোতে ঢুকছি না কিছুতেই। (তখনও যত্রতত্র ‘ঘেটো’ জাতীয় শব্দপ্রয়োগের রাজনৈতিক অসুবিধেটা হৃদয়ঙ্গম হয়নি।) ল্যাজ গুটিয়ে ‘সুরভি টেম্পু সার্বিস’ লেখা গাড়িতে চড়ে গুটি গুটি সি আর পার্কে এসে ঢুকেছি তাও হয়ে গেল ছ’বছর। এখন সি আর পার্ক ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার কথা হলে বুক ধড়াস ধড়াসও করে।

যদিও আমি জানি থাকার জন্য সি আর পার্ক অতি খারাপ জায়গা। তার প্রধান কারণটা এর অবস্থান। সি আর পার্কে যে দিক দিয়েই ঢুকতে যান না কেন জ্যামে আপনাকে পড়তে হবেই। আশেপাশে মেট্রো স্টেশনের মেলা বসে গেলেও সেগুলো সবক’টা সি আর পার্ক থেকে দু’কিলোমিটার দূরেই হবে, অটো চড়ে হাত গন্ধ করা থেকে মুক্তি নেই।

কিন্তু এগুলো সি আর পার্কের নিয়ন্ত্রণের বাইরের বিষয়, কাজেই এ নিয়ে তাকে তুলোধোনা করাটা ভালো দেখায় না। কিন্তু ভেতরের সুযোগসুবিধের দায়িত্ব কে নেবে? চারটের একটা মার্কেটেও হাওয়াই চটি পাওয়া যায় না। বাসনকোসনের দোকান? নেই। প্রেশারকুকারের দোকান? নেই। সেদিন অর্চিষ্মানের ব্যাগের জিপ সারাতে গেলাম, সেও শুনি নাকি কালকাজীতে গিয়ে সারাতে হবে। তবে সি আর পার্কে আছে কী? মোড়ে মোড়ে দুর্গন্ধময় মাছের বাজার, আর বাজারের জায়গা বেদখল করে তৈরি গুচ্ছ গুচ্ছ কালী আর শনিমন্দির। 

আমাদের রক্ত এমন ঠাণ্ডা হয়ে গেছে যে আমরা এতেই কাজ চালিয়ে নিচ্ছি। এসব অসুবিধেকে অসুবিধেই মনে করছি না। নেহেরু প্লেসের ফ্লাইওভার থেকে ডানদিকে বেঁকে বাঁদিকে ঢুকে গেলেই যে বাংলাভাষায় নিজেদের মনের ভাব প্রকাশ করা যাবে, সেই স্বস্তিটাকেই জীবনের মোক্ষ বলে চোখ বুজে বসে আছি।

মাঝে মাঝে শুধু সে বোজা চোখের ভেতরেও গুঁড়ো গুঁড়ো বালির মতো কী সব যেন ঢুকে পড়ে সত্যিটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। বেশ ক’মাস আগে অফিস থেকে ফেরার পথে রুটি কেনার জন্য ‘মা তারা’-র সামনে হত্যে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, এমন সময় এরকম দুটি বালুকণা, থুড়ি, মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল।

অবশ্য আকারআকৃতিতে তারা প্রায় বালুকণারই সমান। একজন ছেলে, একজন মেয়ে। দু’জনেরই সেই বয়স যখন শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় একফোঁটা অতিরিক্ত বডি ফ্যাট থাকে না। এদিকওদিক তাকানোর ভঙ্গি দেখে বোঝা যাচ্ছিল তল্লাটে তারা নতুন। এটাও বোঝা যাচ্ছিল যে নিজেদের মধ্যে পরিচয়ও তাদের এমন কিছু পুরোনো হয়নি। এও স্পষ্ট যে দু তরফেই আলাপটা এগোনোর ইচ্ছে আছে। সি আর পার্কের ওই অফিসফেরতা ঘেমো ক্লান্ত মাঝবয়সী ভিড়ে নতুন প্রেমের ছোঁয়া এতই অন্যরকম যে আমরা সকলেই তাদের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে দেখছিলাম। এতগুলো দৃষ্টির ফাঁদে পড়ে ছেলেমেয়েদুটোর নাভিশ্বাস।

অবশেষে আর সহ্য না করতে পেরে তারা তাড়াতাড়ি জিজ্ঞাসা করল, এখানে কফির দোকান আছে?

কফির দোকান? লোকজন এমন আকাশ থেকে পড়ল যেন বাজারে কফির দোকান আশা করার মতো অযৌক্তিক কথা তারা এর আগে জন্মে শোনেনি। অবশেষে একজন হাত তুলে একদিকে দেখিয়ে বললেন, ওই দিকে একটা চায়ের দোকান আছে, কফি পাওয়া যাবে কি না বলতে পারছি না।

বেচারারা প্রাণ নিয়ে সেদিকে পালাল।

আমাদের রুটি এসে গিয়েছিল। আমরাও পালালাম বাড়ির দিকে। পালাতে পালাতে আলোচনা করতে লাগলাম চায়ের দোকানটা দেখে ছেলেমেয়েদুটোর প্রতিক্রিয়া কী হবে।

হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে থেকে উঠলে ফুটপাথের ওপর যে জাল দেওয়া বাসগুমটিগুলো থাকে, যার ভেতর একজন (তাতেই গুমটি দৈর্ঘ্যেপ্রস্থে সম্পূর্ণ ভরে যায়) কন্ডাকটর মেজাজ টং করে বসে থাকেন, সেই আয়তনের একটা ঘর। তার ভেতর বসে আছেন দোকানের থেকেও দুঃস্থ এবং শীর্ণ চেহারার একজন বৃদ্ধ। তাঁর অবশ্য মেজাজ ঠাণ্ডা। কারণ মেজাজ খারাপ করতে যে এনার্জিটুকু দরকার সেটাও ভদ্রলোকের নেই। দোকানের সামনে কাঠের বেঞ্চ, একের পাশে আরেকজন বসলে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। সন্ধ্যেবেলা পাশের শনিমন্দিরে কানের পর্দা ফাটিয়ে পুজোআর্চা চলে। শুঁড়তোলা ইমপোর্টেড লেদার শু খুলে রেখে ভক্তরা গদগদ মুখে জোড়হস্তে লাইন দেন।

সি আর পার্কে একটা পদস্থ কফির দোকান নেই। সি আর পার্কে একটা ভদ্রস্থ প্রেম করার জায়গা নেই।

কী যে লজ্জা হয়েছিল আমার। লজ্জা, মনখারাপ সব।

সেদিন কী কারণে অফিস থেকে আগে ফিরে এসেছি, বেল শুনে দরজা খুললাম। পিঠ থেকে ব্যাগ না নামিয়েই অর্চিষ্মান বলল, এখানে একটা নতুন সিসিডি খুলেছে, দেখেছ?

আমি মুখ ভেচকে বললাম, কালকাজীতে আর ক’টা সিসিডি লাগবে?

আরে কালকাজীতে না, আমাদের তিনটে বাড়ি পর।


পরদিন আমিও দেখলাম। ঝকঝকে নতুন দোকান। উদ্বোধনের উদযাপন হিসেবে রংবেরঙের বেলুন টাঙানো হয়েছে। যে জায়গাটায় খুলেছে সেখানে গত তিন বছরে তিনটে ‘ডেলিভারি ওনলি’ রেস্টোর‍্যান্ট খুলে বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা ঠিক করলাম, দ্রুত যাওয়া দরকার। গায়ে নতুনের গন্ধ থাকতে থাকতেই। বেলুনটেলুন খুলে নেওয়ার আগেই।


শনিবার যাওয়া হল। আমি নিলাম ক্ল্যাসিক লেমোনেড, অর্চিষ্মান নিল কুল ব্লু। আর কোকো ফ্যান্টাসি আর ম্যাংগো শট। লেমোনেড যেমন খেতে হয় তেমনই খেতে, কুল ব্লু-টাও দিব্যি সুস্বাদু। ম্যাংগো শট কেমন খেতে জানি না, অর্চিষ্মান দাবি করছে ভালো। কোকো ফ্যান্টাসি হচ্ছে একটা তিনকোণা চকোলেট কেকের টুকরো। আমরা তার সঙ্গে আইসক্রিম আর চকোলেট সস কোনওটাই চাই না বলাতেও দেখলাম ওঁরা চকোলেট সস দিয়েছেন, এবং বেশ বেশি পরিমাণেই দিয়েছেন। মুখে দিয়ে বুঝলাম, কেন ওঁরা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। আসল ব্যাপারটা বেশ শুকনো, চকোলেট সস না দিলে খেতে অসুবিধে হত।


যাই হোক, ভালো কেক খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে সিসিডি-তে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। কফি শপে ইন ফ্যাক্ট কোনও খাবার খেতেই যাওয়া উচিত না। কফি শপে যাওয়া উচিত শুধু গল্প করতে আর লোক দেখতে। আমরাও দেখলাম। সি আর পার্কের একদল কচিকাঁচা গোল হয়ে বসে উচ্চকণ্ঠে নিজের নিজের বাবামায়ের নিন্দে করছিল। আরেকটা টেবিলে বসে ছিল একজোড়া বাবা আর ছেলে, আরেক টেবিলে তিনজনের একটা দল। একজনের হাতে ক্রেপ ব্যান্ডেজ। কিছুক্ষণ পর যখন তিনজনেই উঠে দাঁড়াল আর একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করল তখন বুঝলাম বিজনেস মিটিং চলছিল।

এটা আগেও খেয়াল করেছি, বাড়ির থেকে কফি শপের গল্পের চরিত্র, বিষয়, তাল, লয়, সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়। বাড়ির গল্পে যে সব সত্যি চাপা পড়ে থাকে, টেবিলের দুপাশে মুখোমুখি বসলে তারা সব হুড়হুড়িয়ে বেরিয়ে আসে। এতদিন একসঙ্গে আছি, অথচ ধুনোর গন্ধের প্রতি কার কী মনোভাব জানতাম না। সেদিন কফি খেতে খেতে জানা গেল। আমার ভালো লাগে, অর্চিষ্মানের বমি পায়। চিন্তার ব্যাপারটা হচ্ছে, বাড়ির এত কাছে কফির দোকানটা খুলেছে যখন ঘন ঘন না গিয়ে তো উপায় নেই। আর যতবার যাব ততবার কেঁচো খুঁড়তে আরও কী কী সাপ বেরোবে কে জানে।



Comments

  1. Amar coffee khaoya apatoto baron. Post ta pore Mon khusi korte holo. Tomar kurti ta rong khub misti, bhalo lagche

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে কী? বারণ কেন প্রিয়াঙ্কা? অবশ্য এই গরমে কফি বাদ দেওয়াই ভালো। জামাটা আমারও ভালো লাগে বেশ।

      Delete
    2. Doctor er baron. Tobe mone hoe mas 2/3 pore khete debe.

      Delete
  2. Khub majar lekha, toke darun lagche :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, তিন্নি, আস্তে বল।

      Delete
  3. ওই ম্যাঙ্গো শটটা দারুণ খেতে, আর বেলজিয়ান চকোশট তার থেকেও ভালো খেতে। কুন্তলা দি,কয়েকদিন ধরে কিছু শারীরিক আর মানসিক কারণে প্রায়দিনই রাতে ঘুম আসেনা, জেগে জেগে কড়িকাঠ গোনার চেয়ে অবান্তর পড়া ভালো ভেবেটেবে পড়তে শুরু করলাম এবং ম্যারাথন লেভেলে পড়ে ২০১২- এ অবান্তরের প্রথম বাংলায় লেখা পোস্ট অব্দি পড়ে ফেলেছি (আহা! পরীক্ষার আগে যদি এমন পড়াশোনা করতুম!!!)।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সর্বনাশ, করেছ কী, শাল্মলী? যাই হোক করে ফেলেছই যখন আর তো আফসোস করে লাভ নেই। যে সব কারণ তোমাকে রাত জাগিয়ে রেখেছে সেগুলো সত্বর দূরীভূত হোক এই কামনা করি। সিসিডিতে বেলজিয়ান চকোশট আছে বুঝি? পরের বার এটা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। সাজেশনের জন্য প্রভূত ধন্যবাদ।

      Delete
  4. পোস্টগুলো এত ইন্টারেস্টিং, ছাড়তেই পারলুম না...

    ReplyDelete
  5. Tomar ei hasi mukh ta dekhle sotti mon bhalo hoye jaye.

    CCD niye blog, tao abar ato bhalo lekha, e shudhu tumii parbe Kuntala di.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে থ্যাংক ইউ, কুহেলি।

      Delete
  6. খুবই ভালো খবর দিলেন। মাছ মিষ্টি কিনে ক্লান্ত হয়ে পড়ার পর একটু গলা ভেজানো যাবে। নইলে অ্যাদ্দিন সি আর পার্কে খাবার বলতে ছিল ফুচকা, মিষ্টি, রোল/চপ/ডিমের ডেভিল, পাঁঠার ঘুগনি, ব্যাস।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ দেবাশিস, কেউ অম্বলে ভুগতে চাইলে বেশি কষ্ট না করে তাকে সি আর পার্কে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। তবে এই দোকানটা কিন্তু এক আর দুই, দুটো মার্কেটের থেকেই এ-এ-একটু দূর। আপনারা গুগল ম্যাপ দেখে চলে আসবেন।

      Delete
  7. Tor barir charpashe Mach er bajar Shune mon ta kemon dome gechilo.....aar mondir Shune aaro...coffe shop taa kemon banchiye dilo...dillee gele Tor satge oi coffee shop taay bosei oenk adda debo...tui ki kore emon obikol ekrokom roye gechis re ???

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এক কোথায়, সাহানা। কত চুল পেকে গেছে তো। তাছাড়া বিবেকটায় ভয়ংকর তুবড়ে গেছে, বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছে না, তাই।

      তুই এলে ওই কফি শপে বসে সত্যি অনেক গল্প করব।

      Delete
  8. baah.. daarun post... aamaar coffee shop bhokti ektu kom.. tao khub bhalo laglo.. aamaar beshi bhalo laglo aapnaar change hoye jawa icche gulo.. aamio dekhechi jei aami boli - omuk kichutei korbo na.. kichu din ba bochor pore kaan mule thik setai kori aami.. :)

    aapnaar review kora 3te boi porlaam ei obdhi.. mr mercedes.. the little stranger.. aar ekhon porchi.. the alienist.. sob kota khub bhalo.. aarekta boi porlam.. cut like wound by anita nair.. aapni porechen?.. aamaar bhalo legeche.. police procedural..

    bhalo thekben...

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. না, আমি অনিতা নায়ারের কোনও বইই পড়িনি ইন্দ্রাণী। এই বইটার কথা মনে করে রাখলাম, পেলে পড়ব'খন। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  9. onekdin pore tomar chobi.. besh sundor.. lekhatao besh mojar.. sotti sahana dir sathe ekmot.. barir kache shoni mondirer ghonta baja ki je chaper jinis.. CCD bhalo kaj koreche ekta..

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ঊর্মি, যেখানে দোকানটা খুলেছে সেই জায়গা/স্পটটা একটু ভয়ের। কত খাবার দোকান ঠিক ওইখানে এল আর গেল। তাই এই দোকানটার ভবিতব্য নিয়েও ভয়ে ভয়ে আছি। তবে ধরে নেওয়া যায় যে সিসিডির পুঁজি তাদের থেকে বেশি কাজেই ওরা জায়গাটার বদনাম বদলে দিতে পারবে। দেখা যাক।

      Delete
  10. অন্বেষা সেনগুপ্তMay 24, 2016 at 4:50 PM

    আহা, আপনারও বিয়ে না করার ইচ্ছে ছিল বুঝি ? আমারও ছিল| এমনকি, এই প্রায়-চৌত্রিশ বয়েসেও আমি সকালে উঠে টিফিন গোছাচ্ছি আর রাতে খাবার টেবিলে রুটি সার্ভ করছি, এটা কল্পনা করতে হাড় হিম হয়ে আসে, অতএব 'সেটল' করা হয়নি ... হা হা ;)

    'ভালো কেক খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে সিসিডি-তে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। কফি শপে ইন ফ্যাক্ট কোনও খাবার খেতেই যাওয়া উচিত না। কফি শপে যাওয়া উচিত শুধু গল্প করতে আর লোক দেখতে। '
    হাই ফাইভ, হাই ফাইভ| সিসিডির কেকগুলো একেবারে রদ্দি, কিন্তু কফিটা বেশ (বারিস্তারটা আরও ভালো)| আমাদের ক্যাম্পাসেও এক পিস সিসিডি আছে, তাতে বেজায় সস্তায় কফি পাওয়া যায় (ক্যাপুচিনো চল্লিশ টাকা, ভাবুন ;)) আর আমরা এক কাপ কফি নিয়ে দুঘন্টা ধরে চেপে বসে লোকজনের শ্রাদ্ধ করি | হেহে|

    ReplyDelete
  11. অন্বেষা সেনগুপ্তMay 24, 2016 at 6:39 PM

    *ছিল না

    ReplyDelete
    Replies
    1. অ্যাঁ, মোটে চল্লিশ টাকা? স্বর্গ তো অন্বেষা। সেটল করা কোনও অর্থেই কোনও কাজের কথা নয়, কাজেই যেমনি আছেন চালিয়ে যান।

      Delete

Post a Comment