পুজো
যতখানি ডিসাস্ট্রাস ভাবে শুরু হওয়া সম্ভব ততখানিই হল। ষষ্ঠীর সকালেই সি আর পার্ক ঘিরে দিল্লি পুলিসের হলুদ ব্যারিকেড, অটোভাইসাব আসতে নিলেন ঝাড়া কুড়ি মিনিট। আঠেরো মিনিটের মাথায় রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আমি আবিষ্কার করলাম শাড়ির সঙ্গে পাম্পশু পরে বেরিয়ে পড়েছি। দৌড়ে ঘরে গিয়ে চটি পরে আসতে যাব, দেখি হাতে ভুল চাবি। অর্থাৎ আমি লকড আউট। অর্চিষ্মানকে ফোন করলাম, ও বলল ওর ট্যাক্সি নাকি “অনেএএএএক” দূর চলে গেছে।
শুক্রবার এথনিক ড্রেস ডে-তে অনেকদিন পর শাড়ি পরে সেই কথাটাই ভাবলাম, প্রত্যেকবার শাড়ি পরার পর যেটা ভাবি। কেন যে আরও ঘন ঘন পরি না। পরার আগে মনে হয় অনেক ঝামেলা। একটা তো নয়, তিনটে পোশাক। তার ওপর বারো হাত ফ্যাব্রিক। এমনি যেটা পরে অফিস যাই সেটাও কিন্তু থ্রি পিস। টপ, বটম, ওড়না। আসলে অভ্যেসটাই চলে গেছে।
পরতে হাঙ্গামার অজুহাতও দেওয়া যাবে না। শাড়ি আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে পরতে পারি। নাইন থেকে টুয়েলভ শাড়ি আমার স্কুল ইউনিফর্ম ছিল। এই তথ্যটা যখন দিই টিমের জুনিয়ররা এমন মুখ করে যেন আমি সেই যুগের লোক যে যুগে লোকে দোয়াতে হাঁসের পালক ডুবিয়ে লিখত আর বলদে টানা গাড়ি চড়ে এদিক ওদিক যেত।
আর চাঁদে পা রাখতে নিল আর্মস্ট্রং-এর নির্ঘাত আরও শতাব্দীকয়েক দেরি?
বেলা চারটে নাগাদ অফিসের একতলার চাতালে সাজাগোজা চেহারায় গ্রুপ ফোটো ছবি তোলার পরই সবাই টাটা বাইবাই করে বেরিয়ে পড়ল, সবারই বাড়ি ফেরার তাড়া। জানতাম আমার কপালে দুঃখ আছে। যাঁরাই শুনলেন আমার গন্তব্য সি আর পার্ক, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বুকিং ক্যান্সেল করলেন। অন্যসময় ওঁদের দিয়ে বুকিং ক্যান্সেল করানো টাফির ল্যাজ সোজা করার মতোই ব্যাপার, কিন্তু সেদিন ওঁদের আগ্রহ দেখার মতো। শেষজনকে আমি শুরুতেই বললাম যে আমার কিন্তু সি আর পার্কে যেতে হবে, যাবেন কি না আগেভাগে বলে দিন। ভাইসাব ভারি অবাক হলেন, কেন যাব না ম্যাডাম। জরুর যায়েঙ্গে।
তখনই আন্দাজ করছিলাম, পরে সন্দেহভঞ্জন হল। ভদ্রলোক সি আর পার্কের এই ক'দিনের গোলযোগ সম্পর্কে অবহিত নন।
একই অভিজ্ঞতা হল তার পরের দিনেও। মজনু কা টিলা থেকে ফিরতে গিয়ে। মজনু কা টিলা আমাদের দুজনের প্রিয় জায়গা। একে তো ভালো ভালো খাওয়ার দোকান, আরও পছন্দের কারণ জায়গাটা এতই দূরে যে বাড়ি থেকে যাতায়াতটা লং ড্রাইভে যাওয়ার হিসেবে ফেলা যায়।
অবশ্য যত দূর ভাব দেখাচ্ছি জায়গাটা তত দূরও নয়।
পারসেপশন ম্যাপিং বলে একটা ব্যাপার আছে। নজরুল ইসলাম যে জীবনানন্দের থেকে বয়সে ছোট আর বিদ্যাসাগর যে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের সমসাময়িক (দুটো উদাহরণই সোনাদা-র সিনেমা থেকে সংগৃহীত) আমাদের যে তাজ্ঝিমমাজ্ঝিম লেগে যায় সেটা ঘটে আমাদের মাথার ম্যাপিংটার সঙ্গে তথ্যগুলো খাপ খায় না বলে। সেই রকম আমাদের মাথায় দূরত্বের পারসেপশনও অনেকক্ষেত্রেই বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন। বাসরাস্তায় চলাচল করা লোকেদের কাছে একটা আস্ত নদী পেরিয়ে, একটা লাল অট্টালিকার ভেতর ঢুকে - যার ওপারে রাস্তা নেই, শুধুই রেললাইন — ভয় হয় সাতটা সমুদ্রই পার করে ফেললাম বোধহয়। অর্চিষ্মান যেমন এতদিন ভেবেছিল, রিষড়া থেকে নাকতলা পঞ্চাশষাট কিলোমিটারের কম হবে না। আমাদের মজনু কা টিলার দূরত্বের মাপটাও ওই গোছের। আসলে রাস্তা মোটে একুশ কিলোমিটার, কাঁটায় কাঁটায় বাড়ি থেকে অর্চিষ্মানের অফিসের সমান দূর।
মজনু কা টিলার বুসান কোরিয়ান রেস্টোর্যান্টে খাওয়ার আমার বহুদিনের শখ। ভালো রেটিং, জোম্যাটো গোল্ডে ওয়ান প্লাস ওয়ান ইন ফুডের সুব্যবস্থা। অবশ্য যেতে আসতে যা খরচ লাগবে তাতে ওই ফ্রি একখানা পদের দাম কাটাকুটি হয়ে যাবে, কিন্তু শখের সপক্ষে যুক্তি জোগাড় করার জন্য সবই কাজে লাগানো চলে।
বুসানের সাজগোজ ভারি সুন্দর। বুসানের অর্ধেক মতো বসার জায়গায় স্বাভাবিক চেয়ার টেবিল, আর অর্ধেকটা জুড়ে অপেক্ষাকৃত সাবেকি মাটিতে বসে নিচু টেবিলে খাওয়ার ব্যবস্থা। একেবারে মাটিতে নয়। এঁরা একটা মজার জিনিস করেছেন, চেয়ারের পায়াগুলো খুলে নিয়ে বাকি সিট আর পিঠটা রেখে দিয়েছেন, যাতে হেলান দেওয়ায় সুবিধে হয়েছে। ভিড় থাকা সত্ত্বেও আমরা জানালার পাশে ওইরকম একটা টেবিলেই জায়গা পেয়েছিলাম। দূরে হাইওয়ের টিমটিম আলো আর আকাশের গায়ে চাপ চাপ জঙ্গলের ছায়া দেখতে দেখতে আমরা খেলাম কিমবাপ, বিবিমবাপ, বার বি কিউ পর্ক খেলাম।
অষ্টমী কাটল টোটাল আলসেমো করে। দুজনেরই কাজ ছিল। কাজ করলাম, হইচইতে স্টোনম্যান সিরিজ দেখলাম। রাতে পিৎজা আনানো হয়েছিল। ডেলিভারি ভদ্রলোক অলকনন্দার মোড় থেকে আর এগোতে না পেরে এস ও এস পাঠালেন, অর্চিষ্মান গিয়ে নিয়ে এল। ফিরে বলল, বাপ রে বাপ রে বাপ। ভাগ্যিস বেরোইনি।
তখনই জানতাম বেরোতে হলে নবমীর সকালেই বেরোতে হবে, রাতে চান্স নেওয়া যাবে না।
সকালে বেরিয়ে দেখলাম। এ পাড়া ও পাড়ার ঠাকুর। প্যান্ডেলে চেনা লোক। দুপুরে খেলাম কনট প্লেসের কোয়ালিটিতে। কলকাতার কোয়ালিটিতে একসঙ্গে খাওয়ার ইচ্ছে আমাদের বহুদিনের, যদ্দিন না হচ্ছে দিল্লির কোয়ালিটিই সই। মেনু অতি সাদাসিধে। কালা খাট্টা আর জলজিরার ড্রিংক, পাপড়ি চাট আর মাটন শিক। ছোলে ভাটুরে আর পেঁয়াজের পুরভরা কুলচা। এর পর পনীর লবাবদার না ভুরজি, কোনটা অর্ডার করা হবে সেই নিয়ে দোনোমোনো চলছিল, কী ভাগ্যিস কোনওটাই করিনি, কারণ অর্ধেক ভাটুরে আর অর্ধেক কুলচা ফেলে রেখেই হাত তুলে দিতে হল।
তাছাড়া পারসি কুলফির জন্যও তো জায়গা রাখতে হল। কাজু কাটলির আকারে কেটে পরিবেশন করা পারসি কুলফি। জগতের যা কিছু ভালো সব ওই একখানা রুইতনের মধ্যে পোরা আছে। এক চামচ মুখে পুরলেই পুষে রাখা সব রাগ ক্ষোভ গলে যায়, সবাইকে ক্ষমা করে দিতে ইচ্ছে করে।
এমন পেট ভরেছিল যে গোটা রাস্তা পেরিয়ে ট্যাক্সি থেকে নেমে সিঁড়ি বেয়ে উঠে তিনটে দরজার চাবি ঘুরিয়ে ঘরের বিছানা পর্যন্ত পৌঁছতে পারব কি না সন্দেহ হচ্ছিল।
কোনওমতে ধরাচূড়া ছেড়ে বাড়ির জামা পরে খাটে পড়ে যাওয়ার অপেক্ষা। ওটাকে ঘুম না বলে জ্ঞান হারানো বলাই ভালো।
জ্ঞান ফিরতে দেখি পর্দার ওপারে আলো পালাই পালাই। তারপর শুরু হল, কী গো চা করবে না? বলে একে অপরকে ঠেলাঠেলির পালা, জেতাহারায় কিছু এসে যায় না, চেষ্টা করাটাই অনেক। তারপর আধোঅন্ধকার ঘরে দুজনে বসে চায়ে চুমুক দেওয়া, নীরবে, কারণ ঘুমের খোঁয়াড়ি তখনও কাটেনি।
জীবনের অনেক সুখের ভিড়ে এই সুখটা যেন ভুলে না যাই, ঠাকুর।
বাইরে থেকে যেটুকু আওয়াজ আসছিল তাতেই টের পাচ্ছিলাম কী ঘটছে, তবু নবমী নিশির ডাক বলে কথা। বেশি পুজো দেখা গেল না, বি ব্লকের ঠাকুরখানা গেট থেকে দেখা যাচ্ছিল, দেখলাম। কে ব্লকের লাইন দেখে আর ঠাকুর দেখার সাহস জোগাড় করতে পারলাম না। মেলাগ্রাউন্ড, প্রশ্নই নেই। খানদুয়েক বাড়ির পুজো দেখলাম। এক বাড়িতে ছোট মঞ্চ করে বাড়ির লোকেরাই গানবাজনা করছিলেন, বেশ ভালো লাগল।
তবে ঠাকুর দেখা ছাড়াও তো অনেক কিছু দেখার থাকে, সেগুলো দেখা হল। এমন ভিড়ও তো আবার এক বছর পর হবে। কে জানে কেমন থাকি তখন। সানগ্লাস পরা শিশু, নতুন নাগরা পরা সর্দারজি, ফুচকাওয়ালাকে ঘিরে কাকিমা-গ্যাং, উৎসবের দিনে অচেনা লোকের হাতে চড় খাওয়া বেচারা মাতাল, দেখার জিনিসের অভাব নেই।
দশমীর সকালে গেলাম জোকার দেখতে। সিনেমাটা অর্চিষ্মানের ভালো আর আমার খুব ভালো লেগেছে। সিনেমা দেখে বেরিয়ে দুজনে বাহরিসনসের বুকশপের ক্যাফেতে বসে কফি আর গ্রিল্ড মাশরুম স্যান্ডউইচ খেতে খেতে গল্প হল।
রামাশিসবাবু অটো নিয়ে এলেন বাড়ি পৌঁছে দিতে। মোড় ঘুরে সি আর পার্কে ঢোকা মাত্র বুক ধক করে উঠল। অথচ আকাশ তো একইরকম নীল, মেঘ তো একইরকমের ফুরফুরে, বাতাস তো একইরকমের মোলায়েম। কাল ঠিক যেমন ছিল, আগামীকাল অবিকল যেমন থাকবে। তবু কী একটা সুস্পষ্ট বদল ঘটেছে। সবাই কি বদলটা টের পায়? নাকি ফাঁকা মণ্ডপে একলা প্রদীপ জ্বলতে একবার যারা দেখে ফেলেছে তাদেরই যত দুঃখবিলাস?
রামাশিসবাবু বললেন, ভাবুন, কাল এইসব জায়গা কী ছিল, আজ কী হয়েছে।
আমরা বললাম, রে আপনি এসেছিলেন নাকি?
এসেছিলেন বৈকি। ওখলা থেকে, বাচ্চাদের নিয়ে। অটো সুস্থানে পার্ক করে হেঁটে হেঁটে ঘুরেছেন রাত আটটা থেকে সাড়ে বারোটা।
জিজ্ঞাসা করলাম, ভালো করে খাওয়াদাওয়া করেছেন তো? মাথা নাড়লেন, ম্যায় বাহার কা খানা নহি খাতা। আতংকিত হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, বাচ্চারা? রামাশিসবাবু হাসলেন। খুব খায়া। মটর কা ঘুগনি, রোল, চাউমিন, আইসক্রিম। যাক। কে ব্লকের পাশ দিয়ে আসতে আসতে বললেন, এই প্যান্ডেলে ওঁরা ঢুকতে পারেননি। আমরা বললাম, হাই ফাইভ, আমরাও লাইন দেখে চম্পট দিয়েছি। ভেবেছিলেন সব ঠাকুর দেখে এসে শেষ চেষ্টা করবেন, কিন্তু ফিরতি পথে রাত প'নে একটাতেও যে কে সেই। ততক্ষণে বাচ্চাদের ছোট ছোট পা ব্যথা হয়ে গেছে, চাউমিন আর রোলের ঘুম জড়িয়ে আসছে চোখে, বিচক্ষণতা দেখিয়ে তারাই নাকি বলেছে, পাপা অব ঘর চলো, অগলে সাল দেখেঙ্গে।
*****
অগলে সাল যতদিন না আসে, আপনারা আমার বুকভরা প্রীতি শুভেচ্ছা নমস্কার কোলাকুলি জানবেন। শুভ বিজয়া।
osadharon bhalo laglo.. besh pujoy berano hoyeche mone holo.. aarekbar porbo - aarekbar bhalo lagbe.
ReplyDeleteramashishbabur chele meyeder beranor golpota best..
bhalo thakben
Indrani
আমারও ওদের বেড়ানোর গল্পটাই বেস্ট লেগেছে, ইন্দ্রাণী। নিজের বেড়ানোর থেকেও বেশি। আপনিও ভালো থাকবেন, আমার শুভেচ্ছা জানবেন।
Deleteশুভ বিজয়া কুন্তলাদিদি :)
ReplyDeleteশুভ বিজয়া, সূচনা।
DeleteSubho Bijoya Kuntala. :)
ReplyDeleteLekhata pore mon ta furfure hoye gyalo. Asha kori Agle Saal Ramashishbabur bachhara CR Park er thakur dekhte parbe :)
আমারও সেই রকমই কামনা, অরিজিত। আপনি ও আপনার প্রিয়জনেরা আমার প্রীতিশুভেচ্ছা জানবেন।
DeleteAgey jokhon MKT jetaam, tokhon dokaangulor kono shoukhinotar lesh mantro chhilo na.
ReplyDeleteBohukal jawa hoyni, ichhe korchhe jete.
Nabamir din Kashmiri Gate pujo dekhte giye mone hochhilo ekbaar ghure ashbo kina, kintu pete jaiga chhilo na
এখন ওখানে বেশ কয়েকটা শৌখিন দোকান গজিয়েছে, অর্পণ। সেই গ্রাঞ্জি লুকটা দ্রুত কমে আসছে। একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার আগে একবার ঘুরে এসো। শুভ বিজয়ার শুভেচ্ছা রইল সবার জন্য।
Deleteশুভ বিজয়া কুন্তলা :)
ReplyDeleteশুভ বিজয়ার অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা তোমাকেও, চুপকথা।
DeleteProtyek baar sari porar somoy-er bhabna ta mile gyalo. Majhe majhei bhabi sudhui sari porle kemon hoy. Prothom koyek ghonta uchhingre bhab ta chole giye ekta besh shanto singdho ghor er modhye thaki. Koyek ghonta por aanchol er safetypin aar kuchi r hottogol e sob tai gol bedhe jay. Tarpor jotno kore sari khule almari te tule agami koyek mash er jonno tata kore di.
ReplyDeleteMajnu Ka Tila amar o khub pochonder jayga. Tumi ghono ghono Hauz Khas jao, HK Social e gyacho ki? Abantor e ullekh shunini tai bolchi. Ekdom upor tola tar theke darun view paoa jay, sheet kaal e sunset er somoy gele durdanto. Zomato te chobi gulo ache, but I am sure tumi gechoi.
Oi choto choto paa thakur dekhe dekhe byatha hoye geche sunei nostalgia dha kore dhuke porlo. Aha, koto thakur i na dekhechi paa byatha kore kore. Pa byatha korleo je mone aram hoy, seta tokhon malum hoyechilo. Ekhon to soyar ghor theke rannaghor gelei paa byatha matha tule daray, tai sara kolkata tohol na dileo chole jay.
Bijoyar onek onek subhechha and kolakuli. Asche bochor abar hobe!
অনেক শুভেচ্ছা আর কোলাকুলি রইল আমার তরফ থেকেও, সুমনা। শাড়িই পরব খালি এ ভাবনাটা আমারও এসেছে, অনেককে দেখেছি ভীষণ সুন্দর সুন্দর শাড়ি পরতে, কিন্তু ভয়ানক মেন্টেন্যান্সের ঝামেলায় পড়ার ভয়ে সে সদিচ্ছা ত্যাগ দিয়েছি।
Deleteআমরা একসময় খুব ঘনঘন হজখাস মার্কেটে যেতে ভালোবাসতাম ঠিকই, কিন্তু বছরদুয়েক জায়গাটার চরিত্রে সামান্য পরিবর্তন লক্ষ করার পর থেকে অনেক কমিয়ে দিয়েছি, প্রায় যাইই না। বছরের শুরুতে তিন্নি-সায়ক-ইরাকে নিয়ে লামা কিচেনে যাওয়া হয়েছিল, ব্যস। হজ খাস সোশ্যালে আমাদের যাওয়া হয়নি কখনও। সবসময়েই মনে হয়েছে ইয়ং ক্রাউডের বাড়াবাড়ি থাকবে নিশ্চয় (আমার বয়স বাড়ার পর থেকে কচিকাঁচাদের একটা সময়সীমার বেশি নিতে পারি না, লজ্জার সঙ্গে স্বীকার করছি), কাজেই এড়িয়ে গেছি। তবে গিয়ে দেখা যেতেই পারে। দেখি একবার অ্যাটেম্পট নেব।
Bijoyar subhechchha aapnake ebong appnar paribarer sokolke.
ReplyDeleteAapnader pujor golpo pore khub balo laaglo. Aamrao ebar 12 bochchor por Kolkatar pujo dekhlam. Amar chheler jibone prothombar. Pandel er line aar manusher bhir, sararaat khaoar dokaner bir dekhe amar chhele abak hoye gechhe.
C R Park e ekhon jerokom bhir hoi amar chhotobelai (maane 30 bochhor aage) erokom chhilo na. Gharoa pujo hoto tokhon. Ekhon to mone hoi Kolkatar pujor moto bhir.
শুভ বিজয়ার অনেক প্রীতিভালোবাসা আপনাকে আর আপনার প্রিয়জনদেরও, সুস্মিতা। এ বছরের পুজো ভালো কেটেছে তার মানে। ব্যাপারটা কিন্তু অবাক হওয়ার মতোই, তাই না? পাঁচ দিন ধরে (কলকাতায় আরও বেশিদিন নিশ্চয়) এই অস্বাভাবিক এনার্জি বজায় রাখা?
Deleteসি আর পার্ককে কলকাতা বলাটা বাড়াবাড়ি হবে অবশ্যই, তবে যেহেতু অনেক ছোট জায়গা জুড়ে অনেকগুলো পুজো হয়, ঠেলাঠেলির ফিলিংটা আসে। আপনার ছোটবেলা সি আর পার্কে কেটেছিল বুঝি?
Satti aage ei energy er byapare kichhu mone hoto na. Proti pujoi sararaat thakur dekhtam.Aajkaal bhable hritkompon hoi....boyos hoye gechhe aar ki!!!
DeleteHaan koekta bochhor .... 86 theke 89. E Block e thaktam.
ওহ, আচ্ছা আচ্ছা। হৃদকম্পন আর বয়স বাড়ার পয়েন্টে হায়েস্ট ফাইভ।
DeleteShubho bijoya Kuntala, tomra sobai bhalo theko... onek shubhechha. - Ichhadana
ReplyDeleteআপনারাও ভালো থাকবেন, ইচ্ছাডানা। পুজো ভালো কেটেছে আশা করি? বিজয়ার শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জানবেন আমার।
Deleteআপনাকেও শুভ বিজয়ার অনেক অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আমি ২০০৭ সালের পর আবার এ বছর দেশের পুজো দেখলাম, তাও আবার খোদ পশ্চিমবাংলায়, সুতরাং "পুজো কেমন কাটল?" এ প্রশ্নটা অবান্তর। তৃতীয়া থেকে ষষ্ঠী কলকাতায় আর সল্ট লেকে ঠাকুর দেখেছি, আর সপ্তমীর সকাল থেকে হুগলিতে। পাড়ার পুজোতেই ছিলাম বেশিরভাগ সময়টাই। ওই যেখানে ৪-৫ ঘন্টা লাইন দিয়ে ঠাকুর দেখতে হয় সেখানগুলোয় যাইনি। এখন লোকের বাড়ি ঘুরে ঘুরে প্রণাম করা আর নিমকি-ঘুগনি-মিষ্টি খাওয়ার পালা।
ReplyDeleteপুজো দেখার থেকেও ওই নিমকি ঘুগনির প্রতি লোভ দিলাম বেশি। লাইন দিয়ে ঠাকুর না দেখায় হায়েস্ট ফাইভ। সত্যি বলতে কি আমার তো ছোট ছোট টিউবলাইট-জ্বালা পুজো প্যান্ডেল দেখতে বেশি ভালো লাগে। আমার আপনার পাড়ায় যে গুলো হয়। ওই সব প্যান্ডেলের মাদুর্গা অ্যান্ড কোং-কে আমি খুব ভক্তিভরে প্রণাম করি। দামি প্যান্ডেলে ঝাড়লন্ঠন দেখতে গিয়ে প্রণামট্রনাম ভুলে মেরে দিই।
Deleteবিজয়ার শুভেচ্ছা আপনাদের সবাইকে আর অনেক ভালোবাসা শাল্মলীকে।
আমার মেয়ের পনেরো মাস বয়েস। হাঁটতে পারেনা এখনো ভালো করে, অথচ তাকে বাইকে বা গাড়িতে তুলতে পারা যাচ্ছেনা। সে হেঁটে হেঁটেই ঠাকুর দেখবে, পারলে হাত ছাড়িয়ে। প্যান্ডেলের সামনে চারপেয়েদের প্রতি অপার আকর্ষণ। তার উত্তেজনার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে গত বারো বছরের অলস পুজোর অভ্যাস এবারের একটা সপ্তমীর সন্ধ্যেতেই শেষ।
ReplyDeleteবিজয়ার অনেক শুভেচ্ছা নেবেন।
কেয়া বাত, এই তো চাই। আহা, নতুন জুতো হয়েছে যে পুজোয়, সেটা পরে না হাঁটলে, স্রেফ গাড়ি বা কোলে চড়ে বেড়ালে তো গোটাটাই মাটি। তাছাড়া এত বড় একটা উৎসব বেধেছে, এত সেজেগুজে খানিকটা বড় বড়ও তো লাগছে নিজেকে। সাইজে না হলেও, মনে মনে।
Deleteপুজো খুব ভালো কেটেছে বোঝাই যাচ্ছে, বৈজয়ন্তী। সবার জন্য রইল আমার শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা।
শুভ বিজয়া কুন্তলাদি। আমার পুজো কোলকাতায় আর গ্রামের বাড়ি ঘুরেই কেটেছে। দশমীর পর থেকে এই লক্ষ্মীপুজো অব্দি মনটা কি ভয়ানক খারাপ থাকতো ছোটবেলায়! কি ভাগ্যিস বড় হয়ে গেছি...এখন সারা বছরেই নানান কারনে এমন মন বিঘ্নিত থাকে, আলাদা করে এই দশমীর পরের ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কষ্ট বুকে বাজে না।
ReplyDeleteহাহা, এইটা ভালো বলেছ, প্রদীপ্ত। মন তো চটকেই আছে সর্বক্ষণ, মাদুর্গা চলে যাওয়ার কষ্ট আর নতুন করে কী বাজবে। তোমার পুজোর লেখা পড়লাম ব্লগে, ভারি ভালো লাগল। শুভ বিজয়া।
Delete