বেডসাইড ল্যাম্প



আমার স্বপ্নের বাড়ির সামনে একটা ছোট বাগান থাকবে, একটা বারান্দা থাকবে, আর থাকবে একটা ছাদ। আমার একান্ত নিজস্ব ছাদ। প্রতিবেশীদের নিয়ে আমি সেই ছাদে পনেরোই অগস্ট বা পয়লা জানুয়ারি মাংসভাতের ফিস্ট জমাতে পারি, কিন্তু তাছাড়া সে ছাদে আমার অধিকার অবিসংবাদিত। সে ছাদের দড়িতে কেবল আমারই ভেজা জিন্‌স্‌ শুকোবে। রাতে তারাভরা আকাশের তলায় কেবল আমিই মাদুর পেতে শোব।

বাড়ির ভেতরটা কেমন হবে সেই নিয়ে আমার বেশি মাথাব্যথা নেই। বসারঘর, শোবারঘর, রান্নাঘর, বাথরুম। সব বাড়িরই যেমন হয়। আমি আর অর্চিষ্মান মাঝে মাঝে ঘরের দেওয়ালে কী ঝোলানো হবে সেই নিয়ে তর্কবিতর্ক করি। আদিবাসী মুখোশ না গণেশ পাইনের কপি। তর্কের সময় আমি এমন ভাব দেখাই যেন আমার জীবনমরণ দেওয়ালের আর্টের ওপর নির্ভর করছে, কিন্তু আপনাদের চুপিচুপি বলে রাখছি, ওতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না। অর্চিষ্মানের যা প্রাণে চায় তাই ঝোলাতে পারে।

আমার শুধু একটি তুচ্ছ জিনিসের লোভ আছে। বেডসাইড ল্যাম্প। এ যাবৎ আমি যে ক’টা বাড়িতে থেকেছি, কোনওটাতেই বেডসাইড ল্যাম্প ছিল না। কেন কে জানে। এমন কিছু মহার্ঘ জিনিস নয়। খাটের পাশে একটা মাপমতো টুল আর একটা টেবিলল্যাম্প হলেই হয়ে যায়। এমনও নয় যে টাকায় কুলোচ্ছে না। কতশত বড়বড় খরচ করে ফেলি। একটা কম্পিউটার খারাপ হতে না হতে দৌড়ে আরেকটা কম্পিউটার কিনে আনি। টুল আর টেবিলল্যাম্প কিনতেও হবে না। দুটো জিনিসই বাড়িতে অলরেডি পড়ে পড়ে পচছে। তবু আমার আর সময় করে বেডসাইড ল্যাম্পের ব্যবস্থা করে ওঠা হয় না।

কিন্তু যখনই কোনও হোটেলে চেক ইন করি, আর ঘরে ঢুকেই উদাসীন সাদা বিছানার পাশে বেডসাইড ল্যাম্পের ওপর চোখ পড়ে যায়, আমার মনে একইসঙ্গে উল্লাস আর দুঃখ উথলে ওঠে। সামনের ক’টাদিনের বেডসাইড ল্যাম্পের বিলাসের জন্য উল্লাস, আর নিজের বাড়িতে এ জিনিস না থাকার দুঃখ।

রাইনব্রাইটবাখে যে হোটেলটায় আমরা গত তিনদিন ছিলাম সেটা সম্পর্কে শুরুতে আমার মনে মিশ্র অনুভূতি কাজ করছিল। হোটেলের পেছনে সবুজ বাগান, করিডোরের কোণে কোণে সাদা কুরুশের টেবিলক্লথ ঢাকা কলকাকাটা কাঠের টেবিল, তার ওপর কারুকার্য করা প্লেটে তাজা ফলের সম্ভার। ঘরের ভেতরেও দিব্যি বসার সোফা, ছোট্ট রাইটিং ডেস্ক, ধবধবে সাদা বিছানা, ঝকঝকে বাথরুম। খুশিমনে বিছানায় চিৎপাত হয়ে পড়ে, করিডর থেকে তুলে আনা টুকটুকে আপেলে কামড় দিয়ে যেই না ল্যাপটপ খুলেছি, সব ভালোলাগা নিমেষে হাওয়া হয়ে গেল। ইন্টারনেট ভয়ানক স্লো।

ইউটিউবে ভিডিও দেখার আশা তো ছেড়েই দিলাম, সে স্পিডে জি-মেলের পাতাটুকুও ভালো করে আপলোড হয় না। মেজাজ টং হয়ে গেল। অমন মিষ্টি রসালো আপেলখানা, মনে হল থু থু করে ফেলে দিই। বিশ্বের সঙ্গে যদি যোগাযোগই না করতে পারি, আপেল ধুয়ে কি জল খাব?

সারাদিন ক্লাস করে কেটে গেল। মিটাগ আর কাফে-পাউস গুলোও দাঁত কামড়ে এর-ওর সঙ্গে স্মলটক করে কাটিয়ে দিলাম। ক্লাসের শেষে প্রাণবন্ত সহকর্মীদের পাল্লায় পড়ে টেবিল-সকার চ্যাম্পিয়নশিপ খেলা হল। আমি বুদ্ধি খাটিয়ে ভীষণ খারাপ খেলে প্রথম রাউন্ডেই ধরাশায়ী হয়ে গেলাম, যাতে সারা চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে খেলার পরিশ্রম না করতে হয়। কিন্তু খেলায় ভয়ানক মজা হয়েছিল। দেখা গেল ব্রাজিলের লোকেরা টেবিলেও ফুটবলটা বাকিদের থেকে ভালো খেলে। ঘণ্টা তিনেক ধরে লাফিয়েঝাঁপিয়ে, চেঁচিয়ে গলা ভেঙে যখন ঘরে ফিরলাম তখন ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি মোটে দশটা বাজে।

মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল। ঘুম আসতে দেরি আছে অন্তত ঘণ্টা দেড়েক। এতখানি সময় আমি কী করে কাটাব? কম্পিউটারটাই যে ঠুঁটো হয়ে রয়েছে। একবার সত্যি সত্যি ভাবলাম সেটা ঘাড়ে করে বেরিয়ে পড়ি। একতলা, দোতলা, তিনতলা, ছাদ---ঘুরে ঘুরে দেখি কোথাও সিগন্যাল বেটার পাওয়া যাচ্ছে কি না। তাহলে না হয় সেখানেই গুটিসুটি মেরে শুয়ে রাত কাটিয়ে দেওয়া যাবে।

হতাশ হয়ে বিছানার ওপর যেই না হাতপা ছড়িয়ে যেই না ধপাস্‌ করে বডি ফেলেছি, ডানহাতের ধাক্কা লেগে খটাস্‌ করে বেডসাইড ল্যাম্পটা জ্বলে উঠল। শান্ত হলুদ আলোর বৃত্ত ছড়িয়ে পড়ল সারা ঘরে। পুকুরে ঢিল পড়া ঢেউয়ের মতো। কী সুন্দর। আলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে ইন্টারনেট-হীনতার দুঃখ মুহূর্তের জন্য ভুলে গেলাম। ইস্‌, এমন ভালো একটা জিনিস আমার বাড়িতে নেই কেন। নিজেকেই নিজে প্রতিশ্রুতি দিলাম, এবার বাড়ি ফিরে গিয়ে আর কিছু করি না করি, একটা বেডসাইড ল্যাম্পের ব্যবস্থা করবই।

আলোর দিকে মুগ্ধনয়নে চেয়ে থাকতে থাকতেই মাথায় এল। ইন্টারনেট নেই তো কী হয়েছে, অন্য আরেকভাবেও তো টাইমপাস করা যায়। গল্পের বই সঙ্গে আনিনি, কিন্তু আরেকরকম বই তো রয়েছে আমার ব্যাগে।

খাট থেকে উঠে ব্যাগ থেকে ফোল্ডারটা বার করলাম। বৃহস্পতিবার থেকে যে লেকচারগুলো হবে, অতি যত্ন করে তাতিয়ানা সেগুলোর প্রিন্টআউট নিয়ে ফোল্ডার বানিয়ে দিয়েছে। অন্যমনস্কভাবে গল্পের বইয়ের বদলে যখন সেগুলো ব্যাগে পুরে নিয়েছিলাম তখনই জানতাম নেওয়াই সার হচ্ছে। যেটুকু সময় পাব, সেটুকু ইউটিউব দেখেই কেটে যাবে। ফোল্ডারের দিকে তাকানোর সময় হবে না আমার।

বালিশটা আরেকবার ফাঁপিয়ে নিয়ে, লেপটা বুক পর্যন্ত টেনে নিয়ে বিছানার ওপর চিৎ হয়ে পড়লাম। আর্টিক্‌ল্‌টা দিব্যি। মাথার মধ্যে পয়েন্ট নোট করে নিচ্ছিলাম। কোথায় কোথায় আমি লেখকের সঙ্গে একমত নই। অল্প খুলে রাখা জানালাটা দিয়ে অল্প অল্প মিষ্টি ঠাণ্ডা হাওয়া ঢুকছিল। রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে একটাদু’টো রাতজাগা পাখি হঠাৎ হঠাৎ ডেকে উঠছিল। কখন যে চোখ ঘুমে জড়িয়ে এসেছে টেরই পাইনি।

খোলা জানালা দিয়ে এসে পড়া ভোরের আলোয় চোখ মেললাম। কী ভালো ঘুমিয়েছি। অন্যান্য রাতে যেমন হয়, বুকের ওপর চলন্ত ল্যাপটপের ছ্যাঁকায় ঘুম ছিঁড়েখুঁড়ে যায়, দুঃস্বপ্ন দেখি অবান্তরের কোডিং গোলমাল হয়ে গেছে, যাই লিখছি সব মুছে গিয়ে কেবল AbCdEfGh, সে সব কিচ্ছু হয়নি। 

হাত বাড়িয়ে বেডসাইড ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিলাম। জানালার আলো বেচারাকে অলরেডি গোহারা হারিয়ে দিতে শুরু করেছে। ওর জন্যই তো পড়া হল, ঘুম হল। ইন্টারনেট ছাড়াও যে এতখানি সময় বেঁচেবর্তে থাকা যায়, সে অবিশ্বাস্য সত্যটা প্রমাণ হল। শরীরে মনে একটা অদ্ভুত তাজা ভাব টের পাচ্ছিলাম। একটা রাতের টানা গভীর ঘুম এতখানি তফাৎ করে দিয়ে পারে, ভাবা যায় না। খুব আফসোস হচ্ছিল জানেন। আজ যদি ফুটবল খেলা হত তাহলে আর কাউকে আমার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছিল না।   
   

Comments

  1. লেখিকার জয় হোক।তবেএই ব্লগটা পড়া এবার ছাড়তে হবে অন্য কারণে। আমার প্রায় সব পছন্দের ব্যাপারগুলো নিয়ে একের পর এক স্নিগ্ধ মধুর সব লেখা বেরুবে আর আমি বিতিকিচ্ছিরি ভাবে আরে এটা তো আমারও এই সব বলে চেঁচাবো, এ আর সহ্য হচ্ছে না। বেডসাইডল্যাম্প আর টেবিল ল্যাম্প আমার অন্যতম ভাল লাগার জায়গা ।শুধুমাত্র এই আলোগুলো দিয়ে পুরো ঘরের পরিবেশ চমৎকারভাবে বদলে দেওয়া যায়। বেডসাইডল্যাম্প এখন দেওয়ালেও সুন্দর করে লাগানো যায় ।
    "আমার স্বপ্নের বাড়ির সামনে একটা ছোট বাগান থাকবে, একটা বারান্দা থাকবে, আর থাকবে একটা ছাদ।"
    এটা বোধহয় আমার স্বপ্নই থেকে যাবে । ধুস্‌ মনটা খারাপ হয়ে গেল
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আমার স্বপ্নই কি পূর্ণ হবে নাকি মিঠু? বাগানওয়ালা বাড়ি, লটারি যা জিতলে এ জন্মে হওয়ার চান্স নেই। কিন্তু তা বলে স্বপ্নের পোলাওয়ে বেশি করে ঘি ঢালতে ক্ষতি কী?

      আলো দিয়ে ঘরের পরিবেশ বদলে দেওয়ার ব্যাপারটার সঙ্গে আমি একেবারে একমত। দেওয়ালের বেডসাইড ল্যাম্পের কথা জানতাম না তো। তবে আমরা তো ভাড়াবাড়িতে থাকি, সেখানে আবার দেওয়ালে কিছু করতে যাওয়া মুশকিল আছে।

      Delete
  2. Bedside lamp, in fact holud alor lamp, amar bheeshon priyo. Amar dillir baritey khaat nei, TV nei, kintu lamp achhe gota tinek.

    Ghortake toh sundor lagei, tubelight nibhiye shudhu lamp jalale ar kono dhulo moyla dekhte pawa jay na. Chairer pechhone pore thaka bhije towale, ba bookshelfer neecher jhul. :D

    Ar ami purono botoler bhetor tuni bulb pureo jalai. Tateo bhari sundor ekta effect hoy. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা বিম্ববতী, তুমি তো খুব আর্টিস্টিক মেয়ে দেখছি। সাধু সাধু। ধুলোময়লার ব্যাপারটা বেড়ে বলেছ কিন্তু।

      Delete
  3. Bah..table lamp ta amar o khub pochonder tobe ghor e sobai mile jompes adda cholche r ghor er koner lamp tar sakhhi hoye ache etai besh lage. amar abar ghumonor somoy ektu o alo pochondo hoyna. bhalo lekha.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ রাখী। আমারও ঘুমোনোর সময় আলো ভালো লাগে না, কিন্তু বই নিয়ে শুতে গেলে আবার উঠে দেওয়ালে সুইচ নেভাতে যেতে গায়ে জ্বর আসে। তার থেকে বেশ হাতের কাছে সুইচ থাকবে, টুকুস করে টিপে উল্টোদিক ফিরে ঘুমিয়ে পড়ব, এইটা বেশ।

      Delete
  4. Bedside Lamp-er amar-o khub priyo...kintu ektao nei...keno jani na...tomar lekha ta pore icche-ta abar chagar diye uthlo. r chad...Barrackpur-er bari chara-r par r chad nei jibon-e ekhano porjonto. ekshamay jano oi chad-i amar ghar bari shab kichu chilo...tha tha dupurer rode o ami chade....nishut rat-er brishti-teo ami chade....nijer shathe shab katha amar chade boshei hoto...bari-r chad ta amar jiboner shab kichur shakkhi.
    ekta icche ache...shomudrer dhare ekta chad r bagawala ekta chotto bari...barir bhetor-ta ami dekhte pai na kintu bagan r chad theke shamudror shamne boshe ami kibhabe shamay katabo ta amar kache spashto.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা কী সুন্দর ইচ্ছে দেবশ্রী। আমি আশীর্বাদ করছি, তোমার হবে।

      Delete
    2. amaro debasri'r moto ekta samudrer pashe bari chai. aar pahar er pasheo ekta...seta jeno jharna'r dhare hoy!
      tahole chhad e boshe samuder dheu ba jhorna'r jol shob dekha shona jabe!

      Delete
    3. সেকি? এত কম ইচ্ছে হলে চলবে কী করে শম্পা?

      Delete
  5. Bedside Lamp-er byaparateteo Rishratuto mil pelam . Infact holud ronger narom alor protii amar ekta pokhyopatitto achhe, ar onek bhebe chinte kdin agei ekta bedside lamp kine nie gechhi amar office para theke, tar age poryonto jekhanei dekhtam afsoshe bhugtam.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ, আপনি তাহলে এখন নতুন বেডসাইড ল্যাম্পের মালকিন ইচ্ছাডানা? খুব ভালো।

      Delete
  6. amar erom ichchha chhilo kina ami nijeo jantam na... pore mone hochche, hain, ei narom alo ghum ghum ar galper boi - ei to shudhu cheyechhi jibone - jodi morbar age keu amar sesh ichchhe jigyesh kore, tai bolbo - akta halka holde sobuj shade ola lamper aloy bichhanay bose duto balish niye deyale tthesh diye kono akta bhalo bangla uponyas porte portei jano... :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. বালাই ষাট, এত অল্প বয়সে মরার কথা কেন মনস্বিতা। আমি তোমাকে আশীর্বাদ করছি, যেন তুমি একশো বছর বয়সে, নাতিনাতনি পরিবৃত হয়ে, সোনার খাটের পাশে সোনার বেডসাইড ল্যাম্পের আলোয়, খালি চোখে গল্পের বই পড়তে পার।

      Delete
    2. serechhe, akhoni chokher power -6. Aksho bachhor boyose ota -600 hobe. hobei. jatoi ashirbad dao. :P

      Delete
    3. ওহ্‌ তোমারও হাই পাওয়ার মনস্বিতা।

      Delete
  7. Chad jinishta amar kache boro nostalgic janento..amar onek memories ache chad ghire..tao abar bibhinno barir onek rokom chad nia..khub kak bhorer shanto chad...gongone roder ghuri oranor chad..nijhum dupurer brishti bheja chad..poronto bikeler cricket khelar chad..abcha aloy sondhe nama golper chad..sitol patir tara gona rater chad..koto kichu bhir kore elo just ekta line pore..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছাদপ্রিয়তা মিলে গেছে দেখে খুব খুশি হলাম সৌমেশ। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  8. ফ্ল্যাটে খুব মন দিয়ে বেডরুমে আসবাবপত্র বানাচ্ছি। সব থেকে মন দিযে, বেড সাইড টেবিল।

    গৃহপ্রবেশ তো করতেই হবে - পড়ুন ও পড়ান :) http://chup-kotha.blogspot.in/2013/07/blog-post_24.html

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বাঃ, নতুন বেডসাইড টেবিল, নতুন ব্লগ। কেয়া বাৎ অনির্বাণ।

      Delete
  9. Biyer pore that's the first thing I did ... ekta cardborad carton box er opor ekta cane er lamp rakhlaam ... ar aayesh kore boi portaam. Ekhono oi lamp ta r warm aalo khub bhalo lage. Choto belaye gorom kaal e chaad e shuye narkel gaacher patar opashe chaand dekhte khub bhalo lagto.
    Tomar nischoi ekta shundor bari hobe dekho ... :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ছাদ, নারকেল গাছ, চাঁদ। এর থেকে বেটার কম্বিনেশন আর কিছু হয় বল শর্মিলা? তুমি যে আমার বাড়ি হওয়ার শুভেচ্ছা জানালে, আমার মন ভরে গেল। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  10. swapner barite ami kichudin gie thakte chai :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. নিশ্চয়, খোলা আমন্ত্রণ রইল।

      Delete

Post a Comment