মর্নিং ডাস নট শো দ্য ডে। নেভার এভার।



দুর্ঘটনা সেটাকেই বলা যায় যেটার ঘটমানতা সম্পর্কে আগে থেকে আঁচ পাওয়া যায় না। অর্থা না পড়ে পরীক্ষায় ফেল করলে সেটা দুর্ঘটনা নয়, কিছুই না পড়ে গিয়ে সব প্রশ্ন কমন পেয়ে যাওয়াটাই বরং দুর্ঘটনা।

কাজেই এই ঘটনাটাকে কোনওভাবেই দুর্ঘটনা বলে চালানো যাবে না। শনিবার রাতে যখন ল্যাপটপটাকে মেঝেতে নামিয়ে রাখছিলাম তখনই জানতাম নামানোর জায়গাটা ঠিক বাছছি না, ঘুম থেকে উঠে মেঝের ঠিক ওইখানটাতেই আমি পা দেব। তবুও ওখানেই নামিয়ে রাখলাম। ভোরবেলা অ্যালার্ম বাজলো। আমি উঠে প্রত্যাশামতো ঠিক সেইখানটাতেই পা ফেললাম যেখানটায় ল্যাপটপটা আছে।

যে কোনও রকম গোলমালেই আমার স্ট্যান্ডার্ড প্রতিক্রিয়াটা হল ঘটনাস্থল থেকে যথাসম্ভব দ্রুত পিঠটান দেওয়া। বিশেষত সে গোলমালের সঙ্গে যদি আমার কার্য-কারণঘটিত কোনওরকম সম্পর্ক থেকে থাকে। এক্ষেত্রেও সেটাই করলাম। দৌড়ে গিয়ে অর্চিষ্মানকে ধাক্কা মেরে বললাম, 'দেখো দেখো আমার ল্যাপটপ কেমন হয়ে গেছে।'

বেচারা ধড়মড় করে উঠে সব কিছু দেখেটেখে বলল, 'কী করে হল?'

আবার আমার স্ট্যান্ডার্ড প্রতিক্রিয়া। 'আমি জানি না।'

শুনে অর্চিষ্মান ঘুমঘুম চোখে আমাকে যে লুকটা দিল সেটা দুশো পার সেন্ট অবিশ্বাস আর তিনশো পার সেন্ট নিরুচ্চার ‘বস্‌স্‌স্‌স্‌স্‌স্‌...’ মেশানো।

আমি কাঁদোকাঁদো হয়ে বললাম, ‘আমি তো খুব আলতো করে পা-টা ফেলেছিলাম, এই এইরকম আলতো করে, আর আমার ওজন তো মোটে ___ কেজি, তাতে ল্যাপটপ ভেঙে যায় নাকি? তাহলে আর এত দাম দিয়ে ল্যাপটপ কেনার মানেটা কী?

অনেক চেষ্টা করেও চোখে দু’ফোঁটা জল আনতে পারলাম না। ভাগ্যিস অভিনয়ের লাইনে যাইনি।

অর্চিষ্মানের ঘুম ততক্ষণে পুরো ছুটে গেছে। নিজের ল্যাপটপটা আমার দিকে ঠেলে দিয়ে বলল, ‘টাইপ করো। আই স্টেপড অন মাই ল্যাপটপ স্ক্রিন।’ টাইপ করলাম। ঠিক মনে হচ্ছিল যেন ইস্কুলে বসে খাতা ভর্তি করে, ‘আর কখনও দিদিভাই ক্লাসে না থাকলে কথা বলব না’ গোছের মুচলেকা লিখছি। তবে সে ভাবটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। এন্টার মারতেই স্ক্রিনে যে দৃশ্যটা ফুটে উঠল তাতে আমার দুঃখটুঃখ গিল্টমিল্ট (অর্চিষ্মানের মতে আগাপাশতলা নকল) উড়ে গিয়ে যেটা পড়ে রইল সেটা শুধু বিস্ময়।

কোটি কোটি লোক রাতে ঘুমোনোর সময় ল্যাপটপ মেঝেতে নামিয়ে রাখে এবং কোটি কোটি লোক সকালবেলা ঘূম থেকে উঠে ঠিক ল্যাপটপের ওপরেই ল্যান্ড করে। যারা করে না তারাই বরং সংখ্যালঘু। কোটি কোটি ফোরাম রয়েছে 'স্টেপিং অন মাই ল্যাপটপ’-এর সমস্যা নিয়ে। সে ফোরামে কোটিকোটি লোক এসে কেঁদে পড়ছে, কোটি কোটি লোক এসে বলছে, ‘হে হে, ইন দ্য ইয়ার অমুক, আমারও ঠিক এইরকমটিই হয়েছিল, মাই কনডোলেনসেস, হে হে হে’, আর কোটি কোটি লোক এসে বকে দিচ্ছে। বলছে, ‘আগেই বলেছিলাম। যেমন কর্ম তেমনি ফল, এখন বোঝো ঠ্যালা।’

অনেক খুঁজে শেষে একজনকে পাওয়া গেল যে বলছে ‘যাকগে, যা হওয়ার তা হয়ে গেছে, সে নিয়ে ভেবে আর লাভ নেই। এখন কী করণীয় সেটাই ভাবার।' ভদ্রলোক মহামহোপাধ্যায় লোক, করণীয় কাজের একটা লিস্টিও দিয়েছেন দেখলাম। মনিটর রিপ্লেসমেন্ট ইত্যাদি প্রভৃতি। আমার ল্যাপটপের নামধাম টাইপ করে তার মনিটর বদলাতে কত খরচ পড়বে খোঁজ নিতেই, আবার দুঃখ। দুঃখও নয়, হার্ট অ্যাটাক।

এ মাসের বাজেটের ঘুড়ির লাটাইটা কোনওমতে বাগে এনেছিলাম, চোখের সামনে দেখতে পেলাম সে ঘুড়ি ভোঁকাট্টা হয়ে ভোর ছ’টার আকাশের আবছা নীলে উড়ে উড়ে বহুদূরে মিলিয়ে যাচ্ছে।

একটু বেলা বাড়লে অমলেট-টোস্ট খেয়ে ল্যাপটপ ঘাড়ে বেরিয়ে পড়লাম। গন্তব্য নেহরু প্লেস, দিল্লির লোকদের প্রযুক্তিগত যে কোনও ঝামেলা মেটানোর সুপ্রিমকোর্ট। ঝাঁঝাঁ রোদ্দুরে চোখ ঝলসে যাচ্ছিল। এপ্রিলের শুরুতেই এই, জুন মাসে যে কী হবে। নেহরু প্লেসে এসে সার্ভিস সেন্টারের খোঁজ নিয়ে জানলাম আজ সানডে হ্যায় না, ইসি লিয়ে সার্ভিস সেন্টার বনধ্‌ হ্যায়, সোমবার আনা পড়েগা।

রোদ্দুরে হাঁটতে কষ্ট হচ্ছিল বলে একটা চায়ের দোকানের পাশে দাঁড়ালাম। চা নিলাম দুটো। চাওয়ালা বুদ্ধি করে প্রাইম লোকেশন বেছেছে, মাথার ওপর কী জানি একটা মস্ত গাছ বেশ অনেকটা জায়গা জুড়ে ছায়া দিচ্ছে। পাতা দুলিয়ে দুলিয়ে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা হাওয়াও দিচ্ছে সঙ্গে ফাউ। সে হাওয়া সহযোগে চায়ে চুমুক দিতে দিতে আমরা পরবর্তী কর্মপদ্ধতি পর্যালোচনা করতে লাগলাম।

বোঝাই যাচ্ছে ল্যাপটপ-পরিস্থিতির আশু কিছু মীমাংসা হবে না। অতঃকিম? মা থাকলে বলতেন বাড়ি গিয়ে স্নান করে খেয়েদেয়ে পড়তে বসতে, কিন্তু আমরা কিনা নতুন যুগের মানুষ, বাড়ি যাওয়ার কথায় আমাদের কান্না পায়। তাছাড়া আরেকটাও ব্যাপার কাজ করছিল মাথার মধ্যে। বিষ যেমন বিষকে কাটে, একটা প্রেম ছাড়াতে যেমন আরেকটা প্রেমের দরকার হয়, তেমনই একটা টাকাখরচের দুঃখ ভোলাতে লাগে আরেকটা টাকাখরচ।

গাছের তলায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে আমরা দেখলাম উল্টোদিকে নেহরু প্লেস মেট্রো স্টেশনের লাগোয়া মস্ত মল, সারা গায়ে বিজ্ঞাপন সেঁটে ঝকঝক করছে।

‘চল, আজ বাইরে খাবে?’

চায়ের কাপ ছুঁড়ে ফেলে আমরা ছুট লাগালাম। সে কী দৌড়। রাস্তার এ পারে ফ্রিজে রাখা ডাল ভাত আলুপটল টমেটোর চাটনির মরণফাঁদ, ওপারে হাতে চকচকে ছুরি বাগিয়ে আমাদের পথ চেয়ে বসে আছেন ধপধপে সাদা টুপিওয়ালা শেফ, পৌঁছলেই ঘচাং করে আমাদের গলা কেটে প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশন করবেন, উইথ ল্যাম্ব ইন মাসাম্মান কারি অ্যান্ড টেণ্ডারলয়েন স্টেক অ্যান্ড ম্যাশড পটেটো। মরতেই যদি হয় তাহলে আলুপটলের ঝোলে ডুবে মরার থেকে স্টেক চাপা পড়ে মরা ঢের ভালো। কাজেই আমরা প্রাণ হাতে করে ছুটে এসে দোকানে ঢুকে জিভ বার করে হাঁপাতে লাগলাম।  

তারপর ঠাণ্ডা ঘরে বসে পা দুলিয়ে দুলিয়ে ডায়েট কোকে চুমুক দিতে দিতে, পরিবেশকদের সঙ্গে ইংরিজিতে বাক্যালাপ করতে করতে আমাদের দিনের চেহারাটা ক্রমশ বদলাতে শুরু করল। ইংরিজিতে বাক্যালাপের ব্যাপারটা ভীষণ ইন্টারেস্টিং লাগে আমার। দু’পক্ষেরই দাঁত ভেঙে যাচ্ছে, অথচ কেউই জমি ছাড়বে না। ছোটবেলায় একটা উক্তি শুনতাম মায়ের মুখে, উৎসটুৎস জানি না। ‘মরিব মরিব, কৌশল করি মরিব’। দামি শপিং মলের দামি দোকানে খেতে গেলে আমার ঠিক এই অনুভূতিটা হয়। ‘মরিব মরিব, ইংরিজি বলিয়া মরিব’। যাই হোক, আমাদের ইংরিজি ওঁরা বুঝতে পারছিলেন, ওঁদের ইংরিজি আমরা বুঝতে পারছিলাম কাজেই নালিশের অবকাশ নেই। মাঝখানে একবার মাসাম্মান আর থাই রেড কারি নিয়ে সামান্য গোলযোগের উপক্রম হয়েছিল তবে তাতে ইংরিজির কোনও দোষ ছিল না। খেতে খেতে আর আড়চোখে পাশের টেবিলের লোকদের থালা পরীক্ষা করতে করতে আমাদের মন দারুণ ভালো হয়ে গেল। দরকারের থেকে অনেক বেশি খেয়ে ও টাকা খরচ করে যখন অটো চেপে বাড়ি ফিরছিলাম তখন ওই প্রাণঘাতী রোদও আর তেমন গায়ে লাগছিল না।

‘ল্যাপটপের ওপর নৃত্য করে’ (এদিকে বাড়িতে আমার বদনাম, আমি নাকি রং চড়িয়ে ছাড়া কথা বলতে পারি না) যে দিনটা শুরু হয়েছিল, সেটা শেষমেশ দারুণ আনন্দে কাটল। এর পরেও যাঁরা দাবি করেন মর্নিং শোস্‌ দ্য ডে, তাঁদের আমার আর কিছু বলার নেই।


Comments

  1. হে হে, দারুণ। :)
    সবই তো বুঝলুম, কিন্তু ল্যাপটপটার বর্তমান স্টেটাস কি?
    আর মর্নিং যে কখনোই ডে শো করে না, সেটাও আমি জানি, নইলে সকালবেলার মিঠে রোদ বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাঁদিফাটানো আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হত না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ল্যাপটপের স্ট্যাটাস এখনও কেতরে আছে। অফিসে একটা মারাত্মক আরামদায়ক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, নেক্সট তিনদিনে ল্যাপটপের দিকে তাকানোর সময় হবে বলে মনে হচ্ছে না অরিজিত। তবে একটা বাড়তি ল্যাপটপ বেরিয়েছে আলমারি থেকে। আমি ইমপ্রেসড। আমার আলমারি থেকে এতদিন বাড়তি বোরোলিনই বেরোতো শুধু গুচ্ছ গুচ্ছ, এখন দেখছি ল্যাপটপও বেরোচ্ছে।

      Delete
  2. jak diner seshta bhaloi holo je etai darun. ar Laptop er ki holo seshmesh?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ল্যাপটপ এখনও কেতরে আছে ইচ্ছাডানা। জঘন্য ব্যাপার।

      Delete
  3. laptop nischio sere sure asbe..amar jedin kumbhokorner moton ghum +dorja hat kore khola r karone laptop ta churi gelo..ami oo erokom guchhco khanek kheye esechilam baire theke (food therapy bole jake )

    ReplyDelete
    Replies
    1. হোয়াট! তোমার ঘুমন্ত নাকের সামনে দিয়ে ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে গেছে? কী সাহসী চোর! ফুড থেরাপি খুবই কাজের জিনিস প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  4. uff!! prothom 2 paragraph r chobi dekhe amar je ki bedom hasi peyeche apnake ki bolbo...
    amar somobedona apnar sathe roilo...
    lekha jeno bondho na hoy laptoper ojuhate...seta jeno kheyal thake... :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেখেছেন সৌমেশ, আপনি হাসছেন, আর আমি এদিকে কেঁদে কূল পাচ্ছি না। লেখা বন্ধ করার আমার ইচ্ছে তো নেই, এখন দেখা যাক।

      Delete
  5. আউটকামঃ ড্যামেজড লিকুইড ক্রিস্ট্যাল ডিসপ্লে অফ ল্যাপটপ স্ক্রিন
    রিজনঃ
    কুন্তলা ব্যানার্জিঃ স্টেপড অন ল্যাপটপ
    দেবাশিস চৌধুরীঃ
    ১ পাঞ্চড দ্য ল্যাপটপ ডিউরিং আরগুমেন্ট উইথ ওয়াইফ
    ২ ওয়াইফ পাঞ্চড দ্য ল্যাপটপ হোয়েন শি লস্ট ফাইভ মাহজং গেমস ইন অ্যা রো

    আর নেহরু প্লেসে গিয়ে কি ওহ ক্যালকাটায় না খেয়ে ফিরতে আছে? লাঞ্চ বুফে থাকে তো, সাড়ে আটশো টাকা পার হেড। ওসব ছেড়ে থাইফাই খেলে কি আর ল্যাপটপ রিপেয়ার হবে? অভিমান করে মুখ ফিরিয়ে থাকে যদি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা, আপনাদের কত্তাগিন্নি দুজনেরই তো ল্যাপটপের ওপর রাগ দেখানোর অভ্যেস আছে দেখছি। সাংঘাতিক। আরে ওহ ক্যালকাটা তখনও খোলেনি তো। আর আমরা দু'বেলা মাতারা খাই, বাংলা খাবার খেয়ে খেয়ে মুখ পচে গেছে, তাই বিলিতি খানা খাওয়ার ইচ্ছে ছিল আরকি।

      Delete
    2. Ma taraaaaa???? Tumi ki du nombor bajarer kachhe thako? Amio thaktam aar ma taray khetam.packet theke puch kore patla musur daal dhaltam 😊

      Delete
    3. হাহাহা ডাল ঢালার বর্ণনাটি লাখ টাকার দিয়েছ। আমিও পুচ করে ডাল ঢালি, মাঝেসাঝে মাটন কারি উইথ আলু। আমরা এ তল্লাটেই থাকি।

      Delete
  6. Tahole all is well that ends well. :-)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, তা বটে শর্মিলা।

      Delete
  7. আমার বাবার এক বন্ধু, যাঁর ওজন খুব কম করে ধরলেও আপনার দ্বিগুন হবে, তাঁর ল্যাপটপের ওপর শরীরের পুরো ওজন দিয়ে দু পা রেখে দাঁড়িয়েছিলেন। ফল: কিচ্ছু না। তোশিবা ল্যাপটপের বিজ্ঞাপন হিসেবে এই সত্যি ঘটনাটাকে ব্যবহার করা যেতেই পারে। তবে আপনার প্রতি আমার সহানুভূতি রইলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, পরের ল্যাপটপটা কী কিনব সেটা স্থির করে ফেললাম। আপনি সিরিয়াসলি উপকারী বন্ধু, সুগত।

      Delete
  8. Amar ek American bondhur haat theke iPhone pore screen ta churmar hoye gechhilo (jakhonkar katha bolchhi takhon iPhone $100-e paoa jeto na) tar instant protikriya chhilo oops time to upgrade to 3G! Tumi serakom bhabte parbe ki tahole ektu santona Pete paro. Having said that, sedin Tuktuk amar iPad-er nich theke or nursery rhymes-er boita tante gie (ami nisna ipad pore jabe bola satteo) jantor tir ekti pash gelo. Atoeb tomar kashto ta bujhte parchhi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. টুকটুকের মধ্যে এই যে একটা বেশ স্বাধীনচেতা মনোভাব গড়ে উঠছে এই দেখে আমি খুশি হয়ে যাচ্ছি রুচিরা। অ্যামেরিকান বন্ধুটি তো বেশ। কিন্তু আমি যা হাড়কেপ্পন, আমার পক্ষে অত দিলদরিয়া হওয়া মুশকিল।

      Delete
  9. কথা টা শুনে আমার বেদম রাগ হয়ে গেল |

    কি আশ্চর্য্য ? কোনো কান্ডজ্ঞান নেই? কোনো দায়বদ্ধতা নেই? আবার এক জন নয় .. দুজন ই সমান ... আমার ঠাকুমার কথায় "য্যামন দ্যাবা ত্যামন দ্যাবি" .. কোথায় ল্যাপটপ এর ওপর দাড়িয়ে সাত সকাল এ অতো দামী ল্যাপটপ টার সোজা কথায় পিন্ডি চটকানো হলো ... দু চার ঘা দিতে যদি ভয় করে একটু রাগ তো দেখানো যায় .. না তা না করে ... আর কে কে এক ভুল করেছে সেসব দেখিয়ে শান্ত করার চেষ্টা ! তারপর আবার অমন ভুরি ভোজ | অবান্তর এর কথা কোনো খেয়াল ই নেই কারোর ! বলি আমরা কতদিন হা পিত্যেশ করে বসে থাকব?

    কিন্তু যখন শেষ এ পরলাম আর একটা ল্যাপটপ পাওয়া গেছে ... রাগ টা কমল ... মনে হলো আহা রে ... বেচারি ... না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছে !! কিন্তু পুরনো ল্যাপটপ টা তো ঠিক গুছিয়ে রেখেছে !!

    The show will go on !!!

    ReplyDelete
  10. 'য্যামন দ্যাবা ত্যামন দ্যাবি' হাই ফাইভ আত্মদীপ। আমার ঠাকুমা এর সঙ্গে আরও একটা কথা বলেন 'মিলাইয়ারে মেলে' মানে মিলিয়ে মিলিয়েই বিয়ে/বন্ধুত্ব ইত্যাদি হয় আরকি। যাই হোক, আপনার রাগ কমেছে জেনে স্বস্তি পেলাম। রাগ করবেন না, নিজেরই শরীর খারাপ হবে।

    শো না চললে আবার আমার শরীর খারাপ হয়ে যায়, কাজেই সেটা চলবে তবে একটু ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে চলতে পারে, প্লিজ মাইন্ড করবেন না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Ekdom e na ... show cholbe ei ashwash thaklei holo :)
      -- Atmodip

      Delete
  11. ল্যাপটপের ওপর দিয়ে গেছে, আপনার পায়ে যে চোট লাগেনি এটাই পজিটিভ দিক। আমার ক্ষেত্রে স্থান কাল এক ছিল, পাত্র টা ল্যাপটপের বদলে কাঁচের গ্লাস ছিল, বাকিটা বলার মত নয়। এবারে ট্যাব ব্যবহার শুরু করতে পারেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেলেংকারি। রক্তারক্তি হয়েছিল নিশ্চয়? জঘন্য। হ্যাঁ, নতুন টেকনোলোজিকে আর ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলেই মনে হচ্ছে।

      Delete
  12. হাসছি না। মাইরি বলছি। যন্তরটা কোলে চেপে চেপে বেশ একখানা আদুরে নাম বাগিয়েছে। 'ল্যাপটপ'। কি আস্কারা দেখুন নামের মধ্যে। শোধ তোলার জন্য আপনি ওর কোলে চেপেছেন, বেশ করেছেন। একদম 'পাটকেল' পন্থা। :P

    ReplyDelete
  13. হাসছি না। মাইরি বলছি। যন্তরটা কোলে চেপে চেপে বেশ একখানা আদুরে নাম বাগিয়েছে। 'ল্যাপটপ'। কি আস্কারা দেখুন নামের মধ্যে। শোধ তোলার জন্য আপনি ওর কোলে চেপেছেন, বেশ করেছেন। একদম 'পাটকেল' পন্থা। :P

    ReplyDelete
  14. ইস! কায়দা মারতে গিয়ে ছড়িয়ে ফেললাম। দুবার চলে গেল কমেন্ট টা। দুঃখিত।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে দুঃখের কিছু নেই শঙ্খদীপ। নতুন ব্লগ দেখে খুব উত্তেজিত হলাম। 'উদোর পিণ্ডি' উদোর মতই চিরযৌবন লাভ করুক, এই আশীর্বাদ করলাম।

      Delete
    2. অনেক ধন্যবাদ :)

      Delete
  15. Prochondo haanschi ami tomar dourer kotha pore. Aamio na thik emni doour lagai. Aage aamar bor baire khete bhalobasto na kintu ekhon taakeo dole bhiriye niyechi.
    Tobe ektu sabdhabe thako. Ei kodin aage paaye chot pele ekhon aabar laptop er opor daariye porcho.
    Khub bhalo hoye jodi laptop ta kache na rakho shoyar somoye.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে সে রকমই তো হওয়া উচিত নীলাঞ্জনা। ল্যাপটপ শাট ডাউন করে গুছিয়ে রেখে ঘুমোতে যাওয়া উচিত। সে রকম করে আর কবেই বা যাই। বুকের ওপর নিয়েই ঘুমিয়ে পড়ি অর্ধেক দিন।

      Delete
  16. sudhui haschi tor kando karkhana porhe...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি কাঁদছি যদিও।

      Delete
  17. Replies
    1. থ্যাংক ইউ দয়িতা।

      Delete
  18. Tor kando karkarkhana pore asambhob moja lagchhe re .. Kuntala...

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বৈশালী যে, কী খবর, কেমন আছিস?

      Delete
    2. Khub bhalo acchi re ... Koyekdin aage Sahana tor Blog -r khabor dilo .... Tarpor theke aaro bhalo aachi .... Darun likhechis ...

      Delete

Post a Comment