ঘুম



আমার আর আমার মায়ের অগুন্তি পচা ‘ইনসাইড’ রসিকতার মধ্যে একটা হচ্ছে এইটা। শুনলে মনে হতে পারে রসিকতাটার মধ্যে হাসির থেকে করুণরসের ভাগটাই বেশি, কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না। যে কোনও একটা রস হলেই হল।

এখনকার ছোটদের জীবনে কী জানি না, আমাদের আমলের ছোটদের জীবনে আহারনিদ্রার পরেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল মাধ্যমিক আর উচ্চমাধ্যমিক। বাড়িতে পাড়ায় আত্মীয়সভায়, যারই মুখোমুখি হতাম না কেন সকলেই মুচকি হেসে বলত, কী, এবারই তো? আমি বিনীত ঘাড় নেড়ে জানাতাম, আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, এইবারই। আর দেরি নেই। বলির সময় আগত হয়েছে।

কোথায় যেন পড়েছিলাম দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কোনও এক দেশে বোর্ডের পরীক্ষার দিনগুলোতে রাস্তাঘাটে লোকের ঢল নামে। পরীক্ষার্থীদের আসাযাওয়ার পথের দুপাশে লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়ে, হাততালি দিয়ে, ঝালর দুলিয়ে, পায়রা উড়িয়ে পরীক্ষার্থীদের উৎসাহ দেন, শুভকামনা জানান।

আমাদের দেশেও পরের ছেলের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক দেওয়া নিয়ে লোকের উৎসাহ আছে, তবে উৎসাহের চেহারাটা একটু অন্যরকম। ওসব ঝালর দুলোনো ফাঁপা উৎসাহদান আমাদের পোষায় না। আমাদের ধরণটা অনেক বেশি কেজো। পরীক্ষার্থীদের সুবিধের জন্য আমরা গাড়িঘোড়া থামিয়ে দিই, কাজকর্ম কুরবানি দিয়ে রাস্তার ধারে জটলা করে বসে থাকি। মাথায় ফিতে, পায়ে কেডসওয়ালা পরীক্ষার্থী আর পরীক্ষার্থীর গার্জেন ঘর্মাক্ত মুখে এদিকওদিক তাকাতে তাকাতে চলেছে দেখলেই চেঁচিয়ে বলি, এই যে মামণি, এই যে মাসিমা, সোজা গিয়ে ডানদিকে চলে যান, আপনাদের সিট পড়েছে ওখানেই।

স্মৃতির নিয়ম মেনেই বোধহয় এখন সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়লে খারাপ লাগে না। বিশেষ করে টেস্টের পরের সময়টুকুর কথা। এমনকি টেস্টের নম্বরগুলো, যেগুলো দেখে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়েছিল, সেগুলোর কথা মনে পড়লেও হাসি পায়। হলঘরের সামনের চিলতে জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আছি আমি আর সাহানা। নিচু গলায় শপথগ্রহণ চলছে। এবার আমরা মন দিয়ে পড়ব। আমাদের ভালো করতেই হবে। নিজেদের জন্য তো বটেই, আরও বেশি করে বাবামায়ের জন্য। দিদিভাইদের জন্য।

সেই শুরু হল। স্কুলের পাট চুকিয়ে বাড়িতে বসে খাওয়াদাওয়াঘুমোনো আর বাকি সময়টুকু তেড়ে মুখস্থ। সকালে অঙ্ক, দুপুরে ইতিহাস, রাতে ঢুলতে ঢুলতে অ্যাডিশনাল। মা মুখস্থ করছিলেন না ঠিকই, তবে তার থেকে কমও কিছু করছিলেন না। আমি তো শুধু পড়েই দুনিয়া উদ্ধার করছিলাম, মা বাড়ি অফিস সব সামলে এসে রাত জেগে টেবিলের ধারে আমার সঙ্গে বসে থাকছিলেন চোখ লাল করে। পাহারা দেবেন বলে নয়, আমার কষ্টটা যাতে একটু কম হয় সেই জন্য।

এই সময়েই রসিকতাটার সূত্রপাত হয়েছিল নিশ্চয়। শনিরবিবার বিকেলের ব্রেকে ছাদে বসে চা খেতে খেতে, আকাশবাতাস দেখতে দেখতে আমরা সোনালী ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতাম। এই মার্চ মাসের মাঝখানটা পেরোলেই ব্যস। তার পরেই হাতে হাওয়াই চটি গলিয়ে ছুটি ছুটি চেঁচাতে চেঁচাতে দু’চোখ যেদিকে যায় ছুটে যাওয়া যাবে, যত খুশি ডিগবাজি খাওয়া যাবে, সারাদিন সারারাত ধরে গল্পের বইয়ের ওপর উপুড় হয়ে থাকা যাবে। কেব্‌ল্‌ চ্যানেলে সারাদুপুর হিন্দি সিনেমা দেখলেই বা আটকাচ্ছে কে?

কিন্তু আমাদের মন ভরত না। এত কৃচ্ছ্রসাধনের প্রতিদান কিনা কেব্‌ল্‌ টিভি? এ যেন শাহরুখের সঙ্গে মোমবাতি ডিনারের প্রতিশ্রুতিসমৃদ্ধ কুপন স্ক্র্যাচ করে পাঁচটাকার আংকল চিপস বেরোনো। এ যেন কষে সেন্ট মেখে বিয়েবাড়ি গিয়ে ভেজিটারিয়ান মেনু আবিষ্কার।

আমার মনে নেই ঠিক কী হয়েছিল, তবে কল্পনা করলে এই দৃশ্যটা দেখতে পাই। মা আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন। ভেবেই চলেছেন। মাধ্যমিকের পরের ছুটির মর্যাদা রাখতে পারে এমন কোনও আরাম আছে কি না। ভাবতে ভাবতে হঠাৎ মায়ের চোখ জ্বলজ্বল, মুখ ঝলমল।

পেয়ে গেছেন, পেয়ে গেছেন। মা উত্তর খুঁজে পেয়ে গেছেন। আমার আর তর সয় না। পরীক্ষার পর কী করব মা আমরা?

ঘুমোবি সোনা?

এই জন্যই মা মহীয়সী, আমি এলেবেলে। এই সহজ উত্তরটা আমার মাথায় আসেনি? অফ কোর্স। ঘুম। সর্বরোগশোকতাপহর ঘুম। গোল্লায় যাক কেব্‌ল্‌ টিভি আর হিন্দি সিনেমা। গরমের দুপুরবেলায় পর্দা পাটে পাটে টেনে দিয়ে নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোব আমরা। আমি সারাসপ্তাহ, মা শনিরবি। বইপত্রের ছায়াটুকুও চোখের সামনে থেকে দূর করে দিয়ে, আত্মীয়স্বজন পাড়াপড়শিদের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়ে, তামাম দুনিয়াকে কাঁচকলা দেখিয়ে আমরা ঘুমোব, পরম শান্তির ঘুম।

পরীক্ষার পর আমি মাকে ফেলে লাফ দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মুকুটমণিপুর বেড়াতে গেলাম, মা আমাকে ফেলে লাফ দিয়ে অফিস গেলেন। গত তিনমাসে যে সব আত্মীয়স্বজন আমাদের না দেখে মৃতপ্রায় হয়েছিলেন আমরা তাঁদের বাড়ি গেলাম, আমরা যাঁদের না দেখে আধমরা হয়েছিলাম তাঁরা আমাদের বাড়ি এলেন। এসে একগাদা লুচিমাংসমিষ্টি খেয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালেতে হাত মুছতে মুছতে অমরীশ পুরীর মতো একখানা হাসি দিয়ে বললেন, মাধ্যমিক? আরে ছো। ধরে নাও এই সবে সাক্ষর হলে। আসল খেলা তো এইবার শুরু হবে। উচ্চমাধ্যমিক। সায়েন্স নিচ্ছ তো? না হলে কিন্তু জীবনভর নির্জলা উপবাস। এই সাবধান করে দিলাম, পরে দোষ দিও না বাবা। 

আমি আর মা একে অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস চাপলাম শুধু। একলা হওয়ার সুযোগ এলে একে অপরকে সান্ত্বনা দিলাম, কুছ পরোয়া নেই। উচ্চমাধ্যমিকও তো শেষ হবে একদিন, তখন আমরা ঘুম কাকে বলে দেখিয়ে দেব।

পরীক্ষার পর ঘুমিয়েছিলাম নিশ্চয়, কিন্তু বাকি আর পাঁচটা ঘুমের থেকে তার মহিমা আলাদা করে বুঝতে পারিনি কখনও। যে রকম ঘুম আমরা কল্পনা করেছিলাম। কী কল্পনা করেছিলাম সেটা জিজ্ঞাসা করলেও যে খুব একটা বলতে পারব তেমন নয়। শুধু এটুকু জানি যতটা আরাম হবে মনে ভেবেছিলাম ততটা হয়নি কখনওই। উচ্চমাধ্যমিকের পর পার্ট ওয়ান এসেছিল, পার্ট ওয়ানের পর পার্ট টু। এসেছিল এবং নিয়ম করে চলেও গিয়েছিল। মিথ্যে বলব না, যাওয়ার সময় ছুটি দিয়ে গিয়েছিল যার যার সাধ্যমতো।

সে ছুটি হাতের আঙুলের ফাঁক দিয়ে কোথায় যে গড়িয়ে গেল ভগবানই জানেন। মা আর মেয়ে শুধু দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম আরেকটা পরীক্ষা এসে গেছে, আমাদের ঘুমোনোটাই শুধু হয়নি।

এখন বুঝে গেছি আমাদের স্বপ্নের ঘুম স্বপ্নই থেকে যাবে সারাজীবন। তাই আর অপেক্ষাটা নেই, রসিকতাটা রয়ে গেছে। চারপাশ থেকে মেশিনগানের গুলির মতো ছুটে আসা ডেডলাইনের ভেতর দিয়ে প্রাণ হাতে এঁকেবেঁকে ছুটতে ছুটতে কখনওসখনও মাকে ফোন করে সেই কবেকার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করানো। আমাদের সেই বরাদ্দ ঘুমটার কথা ভোলোনি তো মা? মা হাসেন। বলেন, পাগল। সেই আশাতেই তো দিন কাটছে।

তবু মাঝে মাঝে একএকটা ফ্রেঞ্চ লিভ আসে। কাজের ছুতো করে কাজ থেকে ছুটি। কাজ কিছুই হয় না, ফাঁকতালে একটা দিন বাড়িতে থাকা হয়। আচমকা সব রুটিনছাড়া। বেটাইমে স্নান, বেটাইমে খাওয়া। পাঁউরুটি দিয়ে মাছের ঝোল। খেয়ে দেখেছেন? অমৃত। খেয়েদেয়ে বিছানাভর্তি ছড়ানোছেটানো কাজের অছিলার ভেতর অল্প একটু জায়গা করে নিয়ে আধশোয়া। বেশি না, এই দশ মিনিট। তার বেশি সময় কোথায়, কাজ আছে না বুঝি? দশ মিনিটের জায়গায় ঝাড়া দু’ঘন্টা পার করে যখন উঠবেন তখন দেখবেন জানালা পাহারা দেওয়া কঞ্চির চিক ভেদ করে আলো আর প্রায় আসছেই না। একসেকেন্ডের জন্য সন্ধ্যে আর ভোরে গুলিয়ে যাবে। তারপরেই আবার সব পরিষ্কার।

মাথা ঝিমঝিম, গলা শুকনো, বুক জুড়ে বিষাদ আসন পেতে বসে বসে, এমন সময় এসে পথ আটকে দাঁড়াবে সেই কবেকার পুরোনো বস্তাপচা রসিকতা। ঘুম! সেই আশৈশব স্বপ্নের ঘুম। যখন তার পথ চেয়ে দু’চোখ ব্যথা করে ফেলেছিলাম তখন সে আসেনি, এতদিনে হয়তো তার আসার সময় হয়েছে। যেমনতেমন একটা সোমবারের দুপুরবেলায়, অনাহূতের মতো এসে বলা নেই কওয়া নেই আমার দু’চোখে চড়াও হচ্ছে।

বিষাদটিষাদ চলে গিয়ে মন ভালো হয়ে যায় হঠাৎ। দড়ি টেনে চিকের পর্দা তুলতে তুলতে ভাবি মা’কে একটা ফোন করব নাকি। করে বলব, মা আমার ভাগের ঘুমটা আমি ঘুমিয়ে নিচ্ছি, তুমি তোমারটা ঘুমিয়ে নাও মা। আমার অপেক্ষায় চোখ লাল করে জেগে বসে থেক না আর।

    

Comments

  1. Hoyechhilo ki, ami ekbar akkhorik awrthei naake shorsher tel diye ghumobar cheshta korechhilam, nidrakawrshoner ei tawthakothito awmogh upayyti niye amar koutuhawler seemaporiseema chhilo na. Kintu ghum asa duure thak, nak o mogojer bhetorta bemalum hijibiji hoye gyalo, bhoyonkor regey gelam. Fi dupur ekta hnotka dnarrkaak pnachiley bosey khobordari korte asto, taake emon bhenche dilam, je bechara bhorrke giye kuhoo korte shudhu baki rekhechhilo. Kara je eheno baaje kawtha rawtayy je naake tel diye ghumole naki sotyiy kumbhokawrner mawto ghumono jayy....

    ReplyDelete
    Replies
    1. sanbandyo, আপনি প্রকৃত বৈজ্ঞানিক দেখতে পাচ্ছি। আমি এতদিন তলিয়ে ভেবেই দেখিনি ব্যাপারটা, সবাই বলে আমিও বলে যাচ্ছি। এখন আপনার কমেন্ট পড়ে ব্যাপারটা কল্পনা করার চেষ্টা করতে গিয়ে বুঝছি সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমোনোর কপোলকল্পনাটা কতবড় জোচ্চুরি। রান্নাঘরে মা কড়ায় সর্ষের তেল ঢাললে তিনটে ঘর পেরিয়ে আমি হাঁচতে শুরু করি, সেই তেল যদি ডিরেক্ট নাকে অ্যাপ্লাই করা হয় তাহলে তো পরিণতি বোঝাই যাচ্ছে।

      বাংলাভাষার এত বড় একটা জোচ্চুরি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. Ki chomotkar lekha. onek purono kotha mone korie dile Kuntala...
    "Ghum" ... amaro khub priyo sabdo ar obossoi priyo kaj . ekta lomba ghumer porei sob problem er solution asbe... ei bhabi :-) .

    ReplyDelete
    Replies
    1. বান্টি বলে সত্যি সত্যি আসেও নাকি, সমাধান, ইচ্ছাডানা। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি।

      Delete
  3. Amar sobtheke pochhonder line eta:

    এ যেন কষে সেন্ট মেখে বিয়েবাড়ি গিয়ে ভেজিটারিয়ান মেনু আবিষ্কার।

    Etay eksho shotangsho agree kori. Amar songe eirom ekbaar hoechhilo. Knathaler biriyani khete hoechhilo. Ki bhoyonkor obhigyota ki bolbo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা রে বিম্ববতী। আমার এখানেই আপত্তি। নিরামিষ খাওয়াবি খাওয়া, সসম্মানে খাওয়া। সেটাকে আমিষের সিংহচর্ম পরিয়ে পরিবেশন করলে বেচারার যে আরও বেশি অপমান হয় সেটা বোঝে না। কাঁঠালের বিরিয়ানির বদলে এঁচোড়ের তরকারি করলে তবু খানিকটা বাঁচত।

      Delete
    2. কাঁঠালের বিরিয়ানি?? সেটা আবার কি জিনিস??? নটেশাকের ক্যাশমেমোর মতন শোনালো।

      Delete
    3. হাহা, সিরিয়াসলি, অরিজিত।

      Delete
  4. satii madhyamik parikhhar pore chuti pabo eta bhabar modhye ja ananda chilo,se puran hok na hok,parbarti sab chuti tar kache mlan..amar ma asche ajke ..bhalomondo khabo,ei ashay bose achi :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. সত্যি রে তিন্নি, মাঝে মাঝে মনে হয় ওই ছুটিটা পাওয়ার জন্য আমি আরেকবার মাধ্যমিক দিতে পারি।

      আর কি, মায়ের হাতের রান্না খাও আর আমি এদিকে হিংসেয় জ্বলেপুড়ে মরি।

      Delete
  5. Darun Kuntala! Tobe chupi chupi ekta kotha bole ni. Amar quotar ghumta ekhono baki achhey!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আর বাকি রেখ না রুণা, এইবার আস্তে আস্তে হক্কের ঘুম ঘুমিয়ে নেওয়া শুরু কর। একবারে ভালো করে ঘুমোব ভাবলে আর হবেই না, দেখছ তো।

      Delete
  6. বড্ড ভাল, ছোটবেলার অনেক কথা মনে পড়ে গেল। :)
    ঘুমের ব্যাপারে একটা কথাই বলতে পারি, পরীক্ষার আগে প্রচুর ঘুম পেত, আটটার আগে ঘুম ভাঙতনা। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হলেই দেখতাম ছটায় ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে আছি, শত চেষ্টাতেও আর ঘুম পেতনা। :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. সবই গভীর সাইকোলজি, বুঝলেন কি না অরিজিত। ডেডলাইন যত এগোয়, ক্যান্ডি ক্রাশের ভূত আমাকে তত বেশি চেপে ধরে। এখন ফাইট করাও ছেড়ে দিয়েছি।

      Delete
    2. আপনিও ক্যান্ডি ক্রাশ খেলেন? বাঃ, অসাধারণ। :) :)

      Delete
    3. খেলি না, নেশাগ্রস্তের মতো আচরণ করি।

      Delete
    4. amar oo arijit babu r moton e hoto..porikkar age pora r boi mathar niche rekhe ghum (osmosis hoye poragulo mathay dhukbe ei chesta y) ..porikka r por saradin rat golper boi mukh ee ghum er dofa rofa.

      Delete
    5. আমরা সবাই একই গোয়ালের বাছুর প্রিয়াঙ্কা।

      Delete
  7. se dukkher kotha ar ki bolbo!!!! madhyamik diye bondhur barite king solomon er mine er moto abiskar korechilam byomkesh somogro!!! seta porte tana 24 ghontar ghum gelo. ar vabte giye gota chutir!!! jodion pore set valoi legechilo...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ভালো তো হয়েইছিল। তার পরিণতি হিসেবেই তো আপনি সেদিন ব্যোমকেশ কুইজে অত ভালো রেজাল্ট করলেন।

      Delete
  8. সে তো আমরা সবাই ঘুমোবো শেষমেষ, টানা লম্বা নিরবিচ্ছিন্ন শান্তির ঘুম, একটু একটু না হয় বাদই থেকে গেল একটু একটু করে... ভয়ের কি আছে? সেই ঘুম, তোমার মায়ের কথা মতো "সেই আশাতেই তো দিন কাটছে।" তোমার আমার সবার...

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা, ওসব বিচ্ছিরি ঘুমের কথা থাক। আমার মা মাঝে মাঝে খুব দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ওইসব হাবিজাবি কথা পাড়ার চেষ্টা করেন, আমি ভেটো দিয়ে রেখেছি। শনিরবিবার দুপুরের অস্থায়ী ঘুম বাকি আছে এখনও অনেক, আগে সেগুলো ঘুমিয়ে নিই, তারপর দেখা যাবে।

      Delete
    2. Ghum theke jege na uthle ghum ta'r mawja bujhbo ki kore?

      Delete
    3. সর্বনাশ, এ তো মেটাফিজিক্যাল লেভেলের প্রশ্ন টিনা।

      Delete
  9. madhyamik porikkhar porer ghum er akutir katha bishesh mone nei.. jeta mone ache seta hochhe chle hoar por bohu ( I mean bohuu) nidrahin ratre ghumer janyo se ki akuli bukuli.. bhor pnachtay chele jei aghore ghumolo.. amar tokhon uthe office jaoar torjor suru,, se bhable ekhono bhoy lage, jodio sei chele ekhon pray kuri hote chollo :) tomra sob bachha bole se byaparta janona ekhono..

    ReplyDelete
    Replies
    1. কাকলি, পোস্টপার্টাম ঘূমের আকালের কথা আমি আগেও শুনেছি। সে নাকি মারাত্মক। সে জিনিস তো চেখে দেখিনি এখনও।

      Delete
  10. আপনার সঙ্গে আমার কত কিছু ভাবনাচিন্তা মেলে সে কথা লিখে আর বৃথা বাক্যব্যয় করে কাজ নেই, বরং এই ঘুম সংক্রান্ত একটা ঘটনা বলি। আমরা এলাহাবাদে থাকতে মাঝে মাঝে বেনারস চলে যেতাম, কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই, মাকে একটু বিশ্রাম দিতে হয়ত। প্রথমবার একটু ঘোরা হয়েছিল, পরের বার থেকে আমাদের রুটিনটা হত খানিকটা এরকম। সকাল ৬টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে চাপা, ৯টায় বেনারসে নেমে কিছু একটা জলখাবার খেয়ে দশাশ্বমেধ বোর্ডিং হাউসে চেক ইন করে ঘুম। সেই ঘুম ভাঙিয়ে দুপুরে গরম গরম গরম ভাত দিত। সেটা খেয়ে আবার ঘুম। বিকেলে উঠে একটু বেরিয়ে ঘাটে গিয়ে বসতাম, হয়ত আরতি দেখতাম, তারপর আবার হোটেলে ফিরে ঘুম, বা অন্তত আধা-ঘুমন্ত অবস্থায় কিছুক্ষণ কাটানো। তারপর রাতের খাবার দিত। বললে বিশ্বাস করবেননা, সেটা খেয়ে আমরা আবার ঘুমোতাম। এত ঘুম যে মানুষ ঘুমোতে পারে আমার ধারনাই হতনা নিজের অভিজ্ঞতা না থাকলে। তেমন ঘুম যে কতদিন ঘুমোইনি!

    এই গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ সেরে ঘুমনোর ব্যাপারটা নিশ্চয়ই অনেকেই করে, কারণ হিন্দিতে একটা কথা আছে "ঘোড়ে বেচকর সোনা"। ঘোড়া বিক্রি করাটা খুব মাথাব্যাথার কাজ কিনা জানিনা, কিন্তু তারপর যে লোকে নিশ্চিন্ত হয়ে অঘোরে ঘুমোয় সেটা বোঝা যাচ্ছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা কি দিনের পর দিন চলতো .... ?

      Delete
    2. চালাতে পারলে মন্দ হতনা, কিন্তু আমাদের স্কুল, বাবার অফিস সবই তো ছিল। আমরা দ্বিতীয় দিন ভোরে উঠে বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিতাম, তারপর জলখাবার খেয়ে একটু ঘাটে এদিক-সেদিক ঘুরে, চাইলে আরেকটু ঘুমিয়ে উঠে, দুপুরে ভাত খেয়ে গোছ গাছ করে রওনা হয়ে যেতাম। বিকেল-সন্ধ্যের মধ্যে বাড়ি।

      Delete
    3. ইস, আমিও কাশী যাব। আমিও কাশী গিয়ে পেয়ারা খাব। আমিও পেয়ারা খেয়ে ঘুমোব। ঘুম ভেঙে পেয়ারা, পেয়ারা খেয়ে ঘুম, ঘুম ভেঙে পেয়ারা...

      কী ভালো বেড়ানো, সুগত। আমার মাথায় একটা আইডিয়া এসে গেল। স্লিপ ট্রিপ। এখন শুধু অর্চিষ্মানকে রাজি করালেই হবে। ভালো দেখে একটা জায়গায় গিয়ে হোটেলবন্দী হয়ে ঘুমোব গোটা উইকএন্ড। ভাবতেই শিহরণ হচ্ছে।

      Delete
    4. joy forever er beranota darun...sunei mone hacche eta kara uchit :)

      Delete
    5. Sotyi eta khub enjoyable hoy. Chena jaiga bole beranor chaap ta thakena, tai ghumta bhalo hoy. Refreshing weekend. Apnara dujonei kore dekhte paren.

      Delete
    6. আমার তো খুব ইচ্ছে করি। দেখা যাক হয়ে ওঠে কি না।

      Delete
  11. হোস্টেলে এ থাকার সময় লাস্ট year এ আমরা সিঙ্গেল রুম পেয়েছিলাম, কিন্তু আমার রুম-এ আরো দুই বন্ধু তাদের বেড নিয়ে চলে এসেছিল .... পরীক্ষার আগে জমিয়ে পড়াশোনার নাম-এ আড্ডা দিতে সুবিধা হবে বলে.
    আমি চিরকাল তাড়াতাড়ি শুয়ে সকাল সকাল ওঠার চেষ্টা করি .. আর ওরা অনেক রাত অবধি পরে দেরী করে ঘুম থেকে ওঠে ! আরো বেশি করে পরার জন্য আমি ৫ টা তে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যাই .. ঘুম থেকে উঠে আলো জ্বালিয়ে শীতের ভোরে কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়তে পড়তে আবার ঘুমিয়ে পরার সে যে কি আমেজ , যে না পেয়েছে ..তাকে বলে বোঝানো যাবে না !!
    এই ব্যাপারটা দিন কতক চলার পর দুই বন্ধুই যাপরনাই প্রতিবাদ জানালো ! বেচারারা অনেক দেরী পর্যন্ত্য পরে শুতে যায় আর আমি খানিক পর এই আলো জ্বালিয়ে পড়তে বসে নিশ্চিন্তে ঘুমাই .. ব্যাপারটা ওদের পক্ষে বিরক্তির চরম সীমায় পৌছে একদিন রাতে বেশ কথা কাটাকাটি হলো .. সেই রাতেই শুতে যাবার আগে আমি প্রতিজ্ঞা করলাম - আর নয় .. কাল পৃথিবী রসাতলে যাক .... আমি ভোরে উঠে পড়তে বসে আর ঘুমাবো না !
    যথা সময় এ অ্যালার্ম বাজলো ... চোখে মুখে জল দিয়ে শুরু করলাম প্রবল মনোযোগ দিয়ে পড়া .. পড়ে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই ... চ্যাপ্টার শেষ হলো নতুন চ্যাপ্টার ধরলাম, একসময় সেই চ্যাপ্টার ও শেষ হলো ... আফসোস হতে থাকলো .. কেন রোজ সকাল এ উঠে পড়ি না ? এরকম কয়েক দিন পড়লে topper হওয়া কে আটকায় ? আরো একটা চ্যাপ্টার শেষ হলো ... এবার মনটা কেমন কু গাইতে থাকলো .. অন্তত ঘন্টা তিনেক পড়েছি....ঘড়িতে প্রায় আট টা বাজতে চলল .. বাইরে একটু ও আলো নেই .. সারা হোস্টেল ও কেমন নিঝুম ... হলো টা কি .. ঘড়ির দিকে একবার .. আর বাইরে আর একবার তাকিয়ে .. চিমটি কাটলাম নিজেকে .. জেগেই আছি তো? হুমম .. বেশ লাগলো .... তারপর কি মনে হতেই লাফিয়ে বিছানা থেকে নেমে ...টেবিল এর ওপর থেকে হাত ঘড়ি নিয়ে দেখি .. ও হরি .. এ ঘড়ি যে বলে সবে ৫ টা বাজে .. বাকি দুটো ঘড়ি ও যে তাই এ বলছে .... একটু সময় নিয়ে রজত এর কম্বল টেনে এক ধাক্কা ... ঘুম চোখে উঠে তার কি বিচ্ছিরি হাসি ... প্ল্যান যে সাকসেসফুল ... আমি ও তখন বেকুব বনে হাসছি ... হাসির পালা থামিয়ে শেষে অ্যালার্ম ঘড়ি কে আবার ৩ ঘন্টা পিছিয়ে .. শুয়ে পড়লাম, রজত তখন ও হাসছে ... শোয়ার আগে ঘড়ির কাটা ৩ ঘন্টা পিছিয়ে দিয়ে আমাকে বোকা বানাতে পেরেছে বলে !

    ReplyDelete
    Replies
    1. "শোয়ার আগে ঘড়ির কাটা ৩ ঘন্টা এগিয়ে দিয়ে .." হবে :)

      Delete
    2. প্রথমে হাই ফাইভের ব্যাপারটা সেরে নিই।

      আমি চিরকাল তাড়াতাড়ি শুয়ে সকাল সকাল ওঠার চেষ্টা করি---হাই ফাইভ

      আমি ৫ টা তে অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমাতে যাই .. ঘুম থেকে উঠে আলো জ্বালিয়ে শীতের ভোরে কম্বল মুড়ি দিয়ে পড়তে পড়তে আবার ঘুমিয়ে পরার সে যে কি আমেজ , যে না পেয়েছে ..তাকে বলে বোঝানো যাবে না !! -----হাই ফাইভ

      এবার কাজের কথায় আসি। আপনার বন্ধুরা তো সাংঘাতিক। সেই যে অ্যাডের সেই গানটার মতো 'হর এক ফ্রেন্ড কা*না হোতা হ্যায়'। রজতবাবুর বুদ্ধির প্রশংসা না করে পারছি না।

      দারুণ গল্প, আত্মদীপ। এ রকম গল্প আবারও শোনার অপেক্ষায় রইলাম।

      Delete
    3. Oh.. ki je bhalo laglo shune je r o lok jon achhe jara taratari ghumiye bhore othar pokhopati.... ami sei doler eknistho bhokto... kintu aajkal to sabbai ke e shuni tara naki rat 3 tei ghumote jai....

      Delete
    4. হাত মেলাও গোবেচারা, আমার তো সাড়ে তিনটে থেকে ঘুম চটতে শুরু করে। আর সাড়ে ন'টার পরে ফোন করলে পাওয়া যাবে না। অর্চিষ্মান ফোন তুলে বলে দেবে, 'কুন্তলা? সে তো ঘুমোচ্ছে।'

      Delete
  12. অসাধারণ লাগল। এই একটা মিষ্টি ঘুমের জন্য যে কতদিন থেকে হা পিত্যেশ করে বসে আছি।

    You have hit the nail on the head!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, তথাগত।

      Delete
  13. ইয়ে মানে আমিও তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যেতে খুবই পছন্দ করি, তবে ঘুম থেকে ওঠাটা দেরিতে হলেই ভালো হয় আর কি!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা অদিতি, বুঝেছি, তুমি ঘুমের প্রকৃত সমঝদার।

      Delete
  14. emon ekta dine ghumer golpota porlaam!! shono, kal sokale meeting e htat amar boss amar idea shune anonder chote ajke amake presentation dite bollen sokal 9tay..ami to kal sokal 11ta theke slide banachchi archik er moto slide e "kutir shilpo" na korle amar sesh hoyna, raat 10 ta nagadsesh kore bhablam ..ebar shutei hobe...hotat modir interview !! hostel er TV room e gyat hoye boshe 12 ta bajiye dilam!!! abar buk dhukpuni..ki hobe ar ebar paper ta dekhi? notun lab e prothom presentation!! madhyamik er moto ek rate amar last 2 masher beshi gobeshona kore, sombhabyo sob proshneruttor khuje shute gechi, 3.45a.m.!! amar room mate je kina sob somoy amar ghum ke shroddha janiyealarm dey na..aj sokal 5 tay ekta baajkhaii alrm diye rekhechilo..uthlam, snan korlam elam ghumiye porlam, 6.30 uthlam ready holam ghumiye porlam 8.30 uthlam chul achre lab e gelam..amar sadher coffee ta khaoa holo na!! presentation dite dite chokhe sorshe ful...tarpor theke bishwash koro, saradin shudhu ekta kothai mone hochche, ektu ghumote debe keu!!! nischit jani, giye thik shobo, ar whats app e pin ping, facebook e "candy crush" korte giye chotke jabe, kintu kal shonibaaar!!! behbe eto anondo hochche, loker date e jaoar age hoy ar amar anondo hochche kal amibikel 5 tay uthbo...ager soptaher record chilo dupur duto...karon amar ghum pay i na....rate....

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেলেঙ্কারি। যাই হোক, প্রেজেন্টেশন যে ভালোয় ভালোয় কেটেছে এইটাই সুখের কথা। আশা করি তুই আজ দারুণ মন দিয়ে ঘুমোচ্ছিস পারমিতা।

      Delete
  15. Darun laglo...
    EXACTLY oi ghum er khonje Himalaya chole jabo bhabchilam....shetao holo na...
    http://hiji-biji-chhorar-moja.blogspot.nl/2014/05/blog-post_8.html
    ;-)

    amake lakh taka dileo ami aar ucchhomadhomik e firbo na!!!
    ;-)
    keep writing...

    ReplyDelete
    Replies
    1. নাঃ উচ্চমাধ্যমিকে আমিও ফিরব না, তবে মাধ্যমিকে ফিরতে পারি। আপনার ছড়াটি পড়লাম দয়িতা, খুব ভালো লাগল।

      Delete
  16. Madhyamik er dingulor kotha mone koria dilen...Test er porer dupur bela guloy porte bose seki ghum peto...r porikhhar pore sob ghum udhao...

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই ফাইভ, যথারীতি।

      Delete

Post a Comment