পুরোনো অবান্তরঃ মিনি মিত্তিরের প্রেম



অবান্তরের শুরুর দিকের একটা বিরাট অংশ লেখা হয়েছিল বাংলা ভাষায় কিন্তু ইংরিজি হরফে। সেগুলো পড়তে যে অসুবিধে হচ্ছে সে অভিযোগ আসছিল আমার কাছে বহুদিন ধরেই। জবাবে আমি সত্যি কথাটাই বলছিলাম। বলছিলাম যে এখন ওই সব লেখার হরফ বসে বসে বাংলা করার ধৈর্য আমার নেই। তার থেকে নতুন লেখা নিয়ে মারামারি করব সেও ভি আচ্ছা।

তবু নিজের মনই খুটখুট করত কেমন। তাছাড়াও পুরোনো লেখা পড়তে গিয়ে আঁতকে ওঠার ব্যাপার তো ছিলই। তাই আমি এক ঢিলে দুই পাখি মারব মনস্থ করেছি। লেখাগুলো খানিকটা সারাইও হবে, বাংলাও।

নতুন পাঠকরা, যাঁরা এই লেখাগুলো পড়েননি, তাঁরা যদি পড়েন এবং তাঁদের যদি পড়ে ভালো লাগে তবে সেটা উপরি পাওনা।

পুরোনো অবান্তরের প্রথম পোস্ট 'মিনি মিত্তিরের প্রেম'। বেরিয়েছিল দু'হাজার এগারো সালের পয়লা অগস্ট, 'মিনি মিত্তির' নামে। পোস্টটার কথা মনে পড়িয়ে দেওয়ার জন্য শম্পাকে অকুণ্ঠ ধন্যবাদ। এটাকে অবান্তরের প্রথম 'বানানো গল্প' বলা যেতে পারে।  

*****


মিনি মিত্তিরের বয়স মোটে এক। ওর নামটা যে বিশেষ সুবিধের রাখা হয়নি সেটা অবশ্য মিনি এখনই বুঝতে পারে। শুধু নাম কেন, নাকটা মায়ের মতো না হয়ে বাবার মতো আর গায়ের রংটা বাবার মতো না হয়ে মায়ের মতো হলে যে আখেরে কাজে দিত সে সবও মিনি এখনই ভালোই বোঝে।

এগুলোকে নিয়তিনির্বন্ধ বলে মেনে নিতে মিনির আপত্তি নেই, কিন্তু জন্মদিনে একগাদা ভূত খাওয়ানোর ব্যাপারটা মিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। আর লোক খাওয়াবি খাওয়া, তাদের মনোরঞ্জনের জন্য সারা সন্ধ্যে মিনিকে একটা ভয়ংকর কুটকুটে জামা পরিয়ে বসিয়ে রাখাটা কী রকম বিবেচনার পরিচয়, সেটা মিনি সিরিয়াসলি জানতে ইচ্ছুক।

চটেমটে মিনি অসহযোগের রাস্তা ধরল। ভগবান দয়ালু লোক, বাকশক্তি এখনও দেননি বটে, কিন্তু গলায় জোর ঠেসে দিয়েছেন। গত এক বছরের অভিজ্ঞতায় মিনি জেনেও ফেলেছে, চেঁচানো আসলে কথা বলার থেকে অনেক বেশি কার্যকরী।

কাজেই মিনি চেঁচালো। প্রাণপণ। চেনা, অচেনা, হাফচেনা যে কেউ ওকে কোলে নেওয়ার উপক্রম করলেই বা ওর মোটা মোটা নরম গালের দিকে আঙুল বাড়াচ্ছে দেখলেই। যতক্ষণ না সামনের লোকটা ‘ওরে বাবা! ঠিক আছে ঠিক আছে!’ বলে ছিটকে যাচ্ছে। মিনির কানে এসেছে মায়ের আড়ালে কেউ কেউ, ‘কী ছিঁচকাঁদুনে মেয়ে হয়েছে রিমলির, বাব্বা’ বলে মুখ বেঁকিয়েছে, কিন্তু ও সব গায়ে মাখেনি মিনি। লোকের সব কথায় কান দিতে গেলে আর জীবনে চলতে হচ্ছে না।

হলের ওদিকটায় খাবার দেওয়া শুরু হতেই ভিড় পাতলা। এতক্ষণ যারা মিনিকে চটকানোর জন্য ঠেলাঠেলি করছিল তারা এখন আলুটিক্কি চাটের লাইনে ঠেলাঠেলি করতে ছুটেছে। বাঁচা গেছে। মিনি হাঁফ ছাড়ল। এদিকওদিক ঘাড় ঘুরিয়ে মাকে খোঁজার চেষ্টা করল। পেল না। কেউ যাতে লজ্জা করে না খায় সেই তদারকি করতে গেছেন বোধ হয়।

কী করা যায় ভাবতে ভাবতে এদিকওদিক তাকালো মিনি। টেবিলের ওপর একগাদা উপহার। থালাবাটি, জামাকাপড় আরও কী সব আবোলতাবোল। একটাও পাতে দেওয়ার মতো না। বীতশ্রদ্ধ হয়ে মিনি শেষমেশ ওর জামার বুকের কাছে যে অর্থহীন গোলাপি সিল্কের বো-টা লাগানো আছে সেটার একটা কোণা ধরে টানতে শুরু করল। মুহূর্তের মধ্যে ফরফর করে বো অর্ধেক খুলে হাতে। মা ভয়ানক রাগ করবেন, কিন্তু মিনি নিরুপায়। টাইমপাস করতে হবে তো?

টানতে টানতে পুরো বো-টাই যখন প্রায় খুলে এসেছে আর মিনি ভাবছে, ইস এরা জামায় আরেকখানা বো দেয়নি কেন, তক্ষুনি মায়ের উচ্ছ্বসিত গলা কানে এল মিনির। মিনি মুখ তুলে তাকাল, আর তাকাতেই ওর ছোট্ট বুকটা ধড়াস করে উঠল।

জিতু! অনির্বাণ ও তমিস্রা বসুর একমাত্র পুত্র জীমূতবাহন, ওরফে জিতু, বাবামায়ের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকছে।

জিতু সত্যিকারের স্কুলে যায় আর মিনিরা ওদের বাড়ি বেড়াতে গেলে স্পাইডারম্যান বাইক চেপে মিনিকে ইমপ্রেস করতে চায় না। শেষের অত্যাচারটা থেকে বাঁচতে আজকাল ঘোষজেঠুদের বাড়িতে যাওয়ার আগে প্রত্যেকবার প্রবল কান্নাকাটি বাধায় মিনি, কিন্তু মাবাবা হিন্ট বুঝলে তো।

জিতুকে প্রথম কবে দেখেছিল মনে নেই মিনির, কিন্তু জিতু যেদিন তমিস্রামাসির চাপাচাপিতে নিজের ছোট্ট গিটারটায় ‘আলো আমার আলো’ বাজিয়ে শুনিয়েছিল চার লাইন, সেদিন যে মিনি জিতুর দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিল না সেইটা স্পষ্ট মনে আছে মিনির।

তারপরও অনেকবার জিতুদের বাড়ি গেছে ওরা। প্রত্যেকবার মিনির আফসোস হয়েছে। ইস, মা আরও ভালো দেখে একটা জামা পরালেন না কেন? সেই যে গোলাপি রঙের জামাটা কেনা হল আগের মাসেই? আর এই লাল জুতোটাই বা কী রকম? মিনি কি আর লাল জুতো পরার মতো ছোট আছে?

জিতুর প্রতি টান সেই থেকে ক্রমশ বেড়েছে মিনির, কিন্তু জিতুর দিক থেকে কোনওরকম সাড়াশব্দই নেই। অত হট্টগোলের মধ্যে বসেও হঠাৎ মনটন ভয়ানক খারাপ হয়ে যায় মিনির। ফোঁসফোঁস করে নিঃশ্বাস পড়ে। নিচের ঠোঁটটা ঠেলে বেরোতে চায়। মা কোথায় গেলেন? কাদের কাছে গেলেন? এমন কষ্টের সময় মেয়ের থেকে মায়ের পর আপন হল?

চোখের জলের বাঁধ সবে ভাঙে ভাঙে, গলা দিয়ে ভ্যাঁ প্রায় বেরোয় বেরোয় এমন সময় মিনি দেখল মাসিমেসোকে নিয়ে মা ওর দিকেই আসছেন। জিতুও আসছে সঙ্গে সঙ্গে। জিতুর হাতে রঙিন কাগজ মোড়া একটা ইয়াবড় বাক্স।

আতঙ্কিত মিনি ঘাড় ঘুরিয়ে প্রাণপণে একটা সুবিধেজনক কোল খুঁজতে লাগল, যেটায় চেপে পালানো যায়। বৃথা আশা। আলু টিক্কি চাট এখন তুঙ্গে।

দেখতে দেখতে মাসিরা একেবারে মিনির সামনে এসে পড়লেন। মুখ নিচু করে কোনওমতে হাত দিয়ে খোলা বো-টা গোছানোর চেষ্টা করল মিনি। ইস, কেন যে একদণ্ড চুপ করে বসতে পারে না মিনি? নিজেকে মায়ের থেকেও মোটা গলা করে বকতে ইচ্ছে হল মিনির।

জিতু এখন একেবারে মিনির মুখোমুখি। জিতুর বাক্সশুদ্ধু জিতুর হাত মিনির দিকে প্রসারিত। তমিস্রামাসির গলা। ‘আহা, ওকে প্যাকেটটা খুলে দেখা জিতু? অতটুকু মেয়ে কি ধরতে পারে?’ জিতু খচরমচর করে প্যাকেট খুলে বাক্সের ভেতর থেকে গোলাপি রঙের ডোরা দ্য এক্সপ্লোরার গিটার বার করে মিনির কোলের ওপর রাখল। মা চেঁচিয়ে উঠলেন। ‘ও মা! কী সুন্দর গিটার? জিতুকে থ্যাংক ইউ বলেছ মিনি? . . . কী সুন্দর জামা পরেছিস রে জিতু? . . . চল চল তমিস্রা, চল অনির্বাণদা, খাবে চল . . .

মাসিমেসো আর মা আলু টিক্কি টেবিলের দিকে হাঁটা লাগালেন। জিতুও গেল, কিন্তু দু’সেকেন্ড পর। যাওয়ার আগে মিনির ডানগালে আলতো করে নিজের বাঁ হাতটা একবার ছুঁইয়েই পেছন ফিরে মাবাবার পেছন পেছন ছুট লাগালেন শ্রীমান জীমূতবাহন।

কোলের ওপর গোলাপি গিটার নিয়ে স্থির হয়ে বসে রইল মিনি। কানের কাছে হট্টগোল মিলিয়ে এল, চোখের সামনে লোকের ভিড় আবছা হয়ে এল। জীবনের প্রথম জন্মদিনে, জীবনে প্রথমবার প্রেমে পড়ল মিনি মিত্তির।   

       

Comments

  1. অবান্তরের পুরোনো পাঠককুল, কল্পনা করতে পারি, এই গল্পটা দিয়েই অবান্তরের সাথে/ কুন্তলার সাথে জব্বর প্রেমের বন্ধনে গ্রথিত হয়েছিলেন। আজ নতুন পাঠকরাও, শম্পার কল্যাণে, সেই একই বাঁধনে ধরা পড়লেন। আমার সাথে তাঁরাও নিশ্চয় মিনি মিত্তিরের প্রেমকে দীর্ঘজীবী হবার আশীর্বাদ করলেন। তবে এতদিনে সেই প্রেমবন্ধন ফাঁস হয়ে দাঁড়ালো কিনা কেই বা বলবে? আমরা কিন্তু মহানন্দে আছি। শুভমস্তু।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, অবান্তরের প্রেমের ফাঁদে পড়েও আনন্দে আছেন জেনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম মালবিকা। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। প্রেমও করছি এদিকে আনন্দও হচ্ছে না, সে বড় কষ্টের ব্যাপার।

      Delete
  2. Khub bhalo kaaj shuru korechho. Ogulo sotti para jeto na. Galpota daarun legechhe.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ চন্দ্রচূড়। বড্ড বোরিং কাজ, কিন্তু তাও করব ঠিক করেছি। দেখা যাক পারি কি না।

      Delete
  3. Eta to shei Mughal-e-Azam colour-e release korar moto hoye gelo.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহা, তোমার কমেন্ট পড়ে আমাদের বাড়িতে সবাই খুব মজা পেয়েছে সোমনাথ। আমার অবশ্য মজার সঙ্গে সঙ্গে ছোট করে একটু দীর্ঘশ্বাসও পড়েছে। কোথায় মুঘল-এ-আজম আর কোথায় অবান্তর।

      Delete
  4. ki mitti ,ki mitti.....ki sundor kore puchku gulor moner kotha bolle tumi..ami o ektu ektu kore aajkal bujhi..:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে সুমনা, আমি নিশ্চিত তুমি আমার থেকে অনেক অনেক অনেক বেশি বোঝ। আমার তো ওই একটুখানি গাল টিপে যা বোঝা। গল্পটা তোমার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগল।

      Delete
  5. মিনি মিত্তির কে প্রচন্ড চটকাই মটকাই করতে ইচ্ছে করছে !

    ReplyDelete
    Replies
    1. খবরদার চটকাবেন না কাকলি, মিনি একেবারে চেঁচিয়ে ছাদ ভেঙে ফেলবে।

      Delete
  6. গতকাল এই পোস্টটা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বলে আমি সেটা কালই পড়ে নিয়েছিলাম। আর টেলিপ্যাথি দেখুন, আমিও ভাবছিলাম এটাকে বাংলা হরফে লেখা যায় কি না।
    ভালো লাগল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. টেলিপ্যাথিতে আমি ভয়ানক বিশ্বাস করি দেবাশিস। দেখুন কেমন কাজে লেগে গেল।

      Delete
  7. darun laglo :)- tinni

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, তিন্নি।

      Delete
  8. Eitar ekta sequel likhtei hobe tomay. Minir prem ta sheshmesh daralo kina jaante hobe na? :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওরে বাবা বিম্ববতী, ম্যাট্রিক্স রিলোডেড আর ম্যাট্রিক্স রেভলিউশনস দেখার পর থেকে আমার সিকোয়েল শব্দটার ওপরেই ভয় ধরে গেছে।

      Delete
    2. রিলোডেড দেখার পরেও যে আপনি রেভলিউশনস দেখার সাহস দেখিয়েছেন এতেই তো আপনাকে পেন্নাম করতে ইচ্ছে করছে। আমি তো দেখতেই পারিনি।

      Delete
    3. ঠিকই বলেছেন সুগত। আমি নিজেই নিজেকে চমকে দিয়েছিলাম, সিনেমাটা গোটা বসে দেখার পর।

      Delete
  9. Ki sweet golpota! Sottei Abantorere preme porar moto golpo!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, রুণা। মিনির প্রেম দাঁড়াক আর না দাঁড়াক, অবান্তর আর তোমার প্রেম দাঁড়িয়ে যাক, মনেপ্রাণে চাইছি।

      Delete
  10. Abantor ke khnuje pabar por onek purono post porechhi, kintu eta miss hoe gechhilo.... DARUUN jake bole... :-) ... uff Mini Mittir ekkebare superb

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।

      Delete
  11. ami jokhon prothom Abantor pora shuru korechhilam eita tar du tin diner modheye e beriyechhilo... bola bahulyo ami Abantorer sathe bondhutto korte deri kori ni....
    r ekhon to ami ekjon "Mini Mittir" er maa..je ekhon hamaguri dite sikhe dhora ke shora gyan korchhe.... :)
    khub bhalo laglo abar...
    -Gobechara.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হামা দিতে শিখে গেছে? বাঃ আর চিন্তা নেই, এই নিজের পায়ে দাঁড়ালো বলে। অভিনন্দন, গোবেচারা।

      Delete
  12. মিনি একদিন দেশের দশের মুখ উজ্জ্বল করবে কিন্তু। এইরকম ব্যক্তিত্বময়ী, দৃঢ়চেতা প্লাস কোমলহৃদয়া শিশুমহিলাটিকে অনেক আদর, আর অবান্তরকে অনেক ভালোবাসা। রাকা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, মিনির সাইজ ছোট হলে কী হবে, পারসোন্যালিটি প্রচুর। তোমার আদরভালোবাসার জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাকা।

      Delete
  13. এটা আগেও পড়েছি, আবার পড়লাম। বাংলা হরফে অনেক বেশি মিনির কাছে আসা গেল।

    আর তখন কমেন্ট করতে পারিনি, কারণ ২০১০ ও ২০১১ এর পোষ্ট এর পেজ গুলো ব্রাওজারে সেভ্ করাছিল, আর অফলাইনে পড়েছিলাম। এখন কমেন্ট করতে পেরে বেশ মিনি হতে ইচ্ছা করছে। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমারও মাঝে মাঝে মিনি হতে ইচ্ছে করে অনুজিৎ। বিশেষ করে যখন ডেডলাইন ঘাড়ের ওপর এসে যায়।

      Delete
  14. আগে পড়ি নি, এখন পড়লাম, আর বেশ গলে জ-ল হয়ে গেলাম। (নাঃ, আমার জীবনে কোনো জীমূতবাহনের কথা মনে পড়ছে না, যদিও কুটকুটে জামার কথা খুবই মনে আছে।)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কুটকুটে জামার কামড় থেকে আমরা কেউ বাঁচিনি মনে হয়, অদিতি।

      Delete
  15. কুটকুটে জামার কথা আমারও খুব মনে পড়ে, এই তো সোমবারে একটা কুটকুটে জামা পড়ে ক্লাসে গেলাম (উপায় ছিল না)। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. কেউ ক্লাসে যায় শুনলেই আমার মুখ থেকে আপনি প্রশ্ন বেরিয়ে আসে, 'কোন ক্লাস?' আশা করি রাগ করবে না, অনুজিৎ।

      Delete
  16. Mini Mittir khubi mitti!! Golpo ta porey mon ta khub hasi-khushi hoye gelo. Thank you! :-)
    -Ramyani.

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড রম্যাণি। কিন্তু তুমি যে আমাকে তোমার ভালোলাগাটার কথা জানালে সে জন্য আমার তোমাকে থ্যাংক ইউ বলা উচিত।

      Delete
  17. Walt Disney er dibbi roilo, Jitu er dak nam kintu mickie hottei hobe!!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহা, তা বটে তা বটে, অর্ণব।

      Delete
  18. Replies
    1. তুমি মনে পড়িয়ে দিলে, শম্পা।

      Delete
  19. দারুণ দারুণ দারুণ
    মিঠু

    ReplyDelete
  20. bah ei idea ta darun.. sotyi roman horofe bangla pore sukh hoyna. golpo tar oi kutkute jama r feel ta akdom 100% akhono poshto mone ache, tobe ashoishob (amonki akhono) ami jimutbahon der besh bhoyer chokhe dekhtam :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. জিতুদের দেখলে এক সময় আমারও ভয় লাগত স্বাগতা। এখন আর লাগে না। তার একটা কারণ হতে পারে পৃথিবীর বেশির ভাগ জিতুরাই আমার তুলনায় বয়সে বড্ড ছোট হয়ে গেছে।

      Delete
  21. আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, এ লেখাটা অসম্ভব সুন্দর। একটা এক বছর বয়েসের মানুষের চোখ দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখা সহজ নয়। আপনি সেটা অনায়াসে করেছেন।

    ReplyDelete
  22. এইটা দারুণ ভালো কাজ হয়েছে.. আমি অনেক পর থেকে পড়তে শুরু করেছি.. কিন্তু পুরনো গুলো পড়তে গিয়ে অসুবিধা হয়.. বাংলা গল্প ইংলিশ এ পড়ার মজা নেই... আর এবার বাচ্চাগুলো ভুলভাল কাজ করতে দেখলে বুঝে নেব টাইমপাস করছে.. :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, ঊর্মি।

      Delete
  23. না না একটুও রাগ করিনি। ওটা কে ক্লাস বলা ছাড়া উপায় নায়; স্কুল বা কলেজ হলে বলতাম স্কুলে বা কলেজে গিয়েছিলাম, আসলে ওখানে ক্লাস ছাড়া আর কিচ্ছু হয়না। :D
    আর হ্যাঁ, সেদিন জীবন বিজ্ঞান ক্লাস ছিল। :)

    ReplyDelete
  24. খুব কিউট গল্পটা। :)

    ReplyDelete
  25. etateo surname mittir..nah..OCD..puro..felu OCD

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এটা অব্যর্থ ডায়াগনসিস করেছেন।

      Delete
  26. আপনার ব্লগের হাত ধরেই আমার ইলেকট্রনিক মিডিয়ামে বাংলা লেখা পড়ার শুরু। অর্কুটে নামমাত্র অস্তিত্ব ছিল আমার। সে অর্থে 'অবান্তর প্রলাপ' আমার পোস্ট-অর্কুট, প্রি-ফেসবুক টোয়াইলাইট জোন।

    এই কথাটা কখনও বলে ওঠা হয়নি, আজ কথা-প্রসঙ্গে রোশনি আর একবার এই গল্পের লিংকটা পাঠাতে আবার পড়ে ফেললাম, এবং তার পর থেকেই মনে হচ্ছে, এই অ্যাপ্রিসিয়েশনটা আপনার ব্লগের মন্তব্যবাক্সে পৌঁছে দেওয়া দরকার।

    ReplyDelete
    Replies
    1. উদয়াদিত্য, আপনার কমেন্ট পড়ে মন খারাপ আর ভালো একই সঙ্গে হল। এতদিন ধরে আপনি অবান্তরকে চেনেন সে জন্য মন ভালো আর অবান্তর কত বুড়ো হয়েছে উপলব্ধি করে মন খারাপ।

      ভালো থাকবেন। খুব ভালো লাগল সত্যি। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment