কুইজঃ আমি কোথায়? (উত্তর প্রকাশিত)



বহুদিন বেড়াতে যাওয়া হয়নি বলেই বোধহয় সর্বক্ষণ বেড়াতে যাওয়ার কথা মাথায় ঘুরছে। সারাদিন বসে বসে ভাবছি কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়। আর নয়তো ভাবছি কোথায় কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সে সব জায়গা সম্পর্কে শোনা গল্প, ছোট ছোট ঘটনা, সব সিনেমার মতো মাথায় ঘুরছে। কখন যে কীসে যে ট্রিগার করবে বোঝা যাচ্ছে না। গত সপ্তাহে দিল্লিতে দু’দিন ঝড়বৃষ্টি হয়ে বাতাস ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। ট্যাক্সিতে বসে এসি বন্ধ করতে বলে জানালা নামালেই মনে হচ্ছে পাহাড়ের পথে চলেছি, ন্যাট জিও-তে মুষকো হরিণ দেখে ভাবছি বাড়ির পাশের করবেট এখনও অধরা রয়ে গেল, গ্যাসের সামনে দাঁড়িয়ে সসপ্যানে ফুটন্ত জলে চামচ মেপে চা পাতা ঢালতে গিয়ে মনে পড়ে যাচ্ছে মাজুলির চারিআলির মোড়ের বটের তলার বিজেপির পোস্টারের নিচে বসে চায়ে চুমুক দেওয়ার কথা। 

কুইজেও যে তার ছাপ পড়বে তাতে আর আশ্চর্য কী। নিচে সাতটা জায়গা/ দ্রষ্টব্যের বর্ণনা রইল। সাতখানাই পশ্চিমবঙ্গে, সাত জায়গাতেই আমি গেছি। জায়গাগুলোকে চিহ্নিত করার দায়িত্ব আপনাদের। 

খেলা চলবে সামনের চব্বিশ ঘণ্টা ধরে।  উত্তর বেরোবে সোমবার সন্ধ্যে সাতটায়। ততক্ষণ আমি কমেন্ট পাহারা দেব। 

অল দ্য বেস্ট। 

*****


১। আঠেরোশো ঊনত্রিশের নয়ই অগস্ট। ভিতপূজো চলছে। কর্নেল ম্যাকলয়েডের নেমন্তন্ন পেয়ে বাংলা বিহার ওডিশার রাজা হুমায়ুন (এঁর সঙ্গে আকবরের কোনও সম্পর্ক নেই) এসেছেন ভিত্তিস্থাপন করতে। ভিত এত গভীর খোঁড়া হয়েছে যে রাজামশাইকে মই বেয়ে নামতে হল ভিতের প্রথম পাথর পুঁততে। গর্তের চারদিকে ভিড় করে এত লোক দাঁড়িয়ে ছিল, রাজামশাই গর্তের নিচে পৌঁছে, অক্সিজেনের অভাবেই হোক, কিংবা ভয়েই হোক, অজ্ঞান হয়ে গেলেন। 

আমি অবশ্য অজ্ঞান হয়ে যাইনি, কিন্তু হেঁটে হেঁটে পা ব্যথা হয়ে গিয়েছিল মনে আছে। অবশ্য তখন আমার পায়ের বয়স কম ছিল। হেঁটেই চলেছি হেঁটেই চলেছি, বাড়ি আর ফুরোয় না। আর ফুরোয় না বাড়ির দরজা। ডাইনে দরজা, বাঁয়ে দরজা, সামনে দরজা, পেছনে দরজা। বাবা আর আমি গুনতে শুরু করেছিলাম, অচিরেই ক্ষান্ত দিতে হয়েছিল। পরে জেনেছিলাম বাড়ির যত দরজা তার নব্বই শতাংশই নাকি নকল। 

২। ইংরেজ আর ফরাসিদের পাশাপাশি পর্তুগিজরাও যে একসময় পশ্চিমবঙ্গে এসে বাসা বেঁধেছিল তার অন্যতম সাক্ষ্য এই দ্রষ্টব্যটি। ষোড়শো শতাব্দীর শেষ বছরে বানানো সম্পূর্ণ হয়, তার বছর তিরিশ পর মুরদের আক্রমণ ঘটে এবং এটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সেই ধ্বংসস্তুপের ওপরেই তৈরি হয় আবার নতুন অবয়ব। হুগলী জেলায় যাদের বাড়ি তারা এই জায়গায় যায়নি এটা বিশ্বাস করা যায় না। আমিও গেছি। একাধিক বার। বাবামায়ের সঙ্গে, স্কুলের দিদিভাই আর বন্ধুদের সঙ্গে। বাবামায়ের সঙ্গে যাওয়ার স্মৃতি উবে গেছে, খালি মনে আছে সাদা টপের ওপর মেরুন টিউনিক আর মাথায় লাল ফিতে বেঁধে আমরা লাইন দিয়ে মহা ভক্তিভরে মোমবাতি জ্বালছি। 

৩। এই জায়গাটাতেও আমি একাধিকবার গেছি। বাবামায়ের সঙ্গে, স্কুলের সঙ্গে। সাধারণত ধর্মস্থান আমাকে খুব একটা টানে না, কিন্তু এই মন্দিরটা আমার অন্যতম প্রিয় বেড়াতে যাওয়ার জায়গা ছিল ছোটবেলায়। সবুজ মাঠ, পুকুর, এই সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন মন্দিরপ্রাঙ্গণ। সে স্মৃতি শুধুই আমার কল্পনা কি না সেটা চেক করার জন্য গুগল খুললাম। তাতে দেখি মাঠ পুকুর নিয়ে কোনও কথা নেই, উল্টে কত কেরামতি করে যে মন্দির বানানো হয়েছে, তার পাঁচটা তলা যে তান্ত্রিক মতে মানবদেহের পাঁচ পদার্থ ইড়া, পিঙ্গলা, বজ্রাক্ষ, সুষুম্না আর চিত্রিণী-র অনুকরণে তৈরি, আর তেরোটি মিনারের মাথায় প্রস্ফুটিত পদ্মফুল যে কীসের প্রতীক সেই সব ব্যাখ্যা করতেই ব্যস্ত সবাই। আর নীল রঙের নিমকাঠের মূর্তির অভিনবত্বের কথাও ভুললে চলবে না। 

মানছি, এ সবই চমৎকার। কিন্তু এসব তোলা থাক গবেষক আর তাত্ত্বিক আর তথ্যবিদ্‌দের জন্য, আমার চোখে আঁকা থাক শুধু সবুজ মাঠের ছবি। 

৪। মা তখন উত্তরবঙ্গের দিকে পোস্টেড ছিলেন। আমি কোথাও একটা ছিলাম। কোথায় ছিলাম সেটা ইম্পরট্যান্ট নয়, যেখানেই থাকি খুব খারাপ ছিলাম। আমাকে কীভাবে ভালো রাখবেন সেই ভেবে ভেবে মায়ের অলরেডি কম ওজন আরও কমে যাচ্ছিল। ছুটিতে মায়ের কাছে গিয়েছিলাম। মা সারাদিন অফিস করতেন, বিকেলে আমাকে নিয়ে এধারওধার বেড়াতে যেতেন, ফিরে এসে নানারকম ভালো ভালো রান্না করতেন, আমি সে সব দেখে “ভালোই, তবে বোরিং” বলে মুখ ব্যাজার করলে মার্কেটের একমাত্র এসি, চাইনিজ দোকানে খাওয়াতে নিয়ে যেতেন। শনিরবিবার এইসব ছোটখাটো বিনোদনে আমার মন ভরবে না এই আশংকায় দূরে বেড়াতে যাওয়া হত। সে রকমই এক শনিবার সকালে আমরা ট্রেনবাসে চেপে এই দ্রষ্টব্যের শহরে এসে পৌঁছেছিলাম। শহরে আরও অনেক দেখার জিনিস আছে, সেসব দেখে যখন এখানে এসেছি, তখন আকাশ মেঘে ভারি। টুপটাপ জলের ফোঁটা পড়ছে। লম্বা রাস্তা বেয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি একখানা বাজখাঁই রাজপ্রাসাদের দিকে। রাজা ভয়ানক বিলিতি মেজাজের ছিলেন, তাই মিস্তিরিদের আদেশ দেওয়া হয়েছিল রাজবাড়ি দেখতেশুনতে যেন বাকিংহ্যাম প্যালেসের মতো হয়। সেইরকমই উত্তরদক্ষিণে ছড়ানো দোতলা ইটের কাঠামো, ছাওয়া বারান্দা। সামনে গাড়িবারান্দা পেরিয়ে দরবার হল, রেনেসাঁস স্থাপত্য টুকে তৈরি। 

এ বাড়ির এক শ্বশুরমশাই আমাদের ব্রাহ্মসমাজের মাথা ছিলেন (তাঁর নাম বলতে পারলে হাততালি), আর এক উত্তরাধিকারী পরবর্তী কালে লোকসভা ভোটে ২৪৬,৫১৬-এর মধ্যে ১৯২,৯০৯ টি ভোট পেয়ে (আটাত্তর শতাংশের সামান্য বেশি) গিনেস বুকে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন (এঁর নাম বলতে পারলে এক্সট্রা হাততালি)।

৫। ক্লাস সেভেন। সেই প্রথম বোধহয় বাবামা ছাড়া বাড়ির বাইরে রাত্রিযাপন। একটুও ভয় লাগেনি, একটুও মন খারাপ হয়নি। তবে একটু বড় ট্রিপ বলেই হয়তো দিদিভাইরা নিজেরা পুরো দায়িত্ব নিতে ভরসা পাননি, খানিকটা আউটসোর্স করেছিলেন। তাছাড়া সামান্য পাহাড়ে চড়ার ব্যাপারও ছিল, যে জন্য বিশেষজ্ঞের উপস্থিতি দরকার ছিল। বিশেষজ্ঞের ভূমিকা পালন করতে এসেছিলেন একদল ভ্রমণবিলাসী দাদা। তাতে সুবিধে খুবই হয়েছিল। দাদারা ও পাহাড়ে অনেকবার উঠেছেন, আমাদের সোজা রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অসুবিধে যেটা হয়েছিল যে তাঁদের উপস্থিতিতে আমাদের কয়েকজন দিদির হৃদয়ে ভয়ানক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছিল। 

যাই হোক, হৃদয়ের কথা থাক, পাহাড়ের কথা হোক। মহেন্দ্র পর্বত বা পূর্বঘাটের একটি অংশ এ পাহাড়। জীবজন্তুর ফসিল, প্রস্তরযুগের যন্ত্রপাতি পাওয়া গেছে এ পাহাড় থেকে। পাহাড়ের গায়ে আদিম মানুষের লেখাও নাকি আছে। দক্ষিণ পশ্চিমবঙ্গে থেকে যদি কেউ রক ক্লাইম্বিং করতে চায় তাহলে এই পাহাড়ে তাকে ঘোরাঘুরি করতেই হবে। 

৬। পাহাড়ে রেললাইন পাতা সোজা কথা নয়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে সে কাজই হচ্ছিল। এমন সময় যেখানটায় গিয়ে আটকে গেল রেল লাইন, সেখানে সামনে নেমেছে একশো চল্লিশ ফুটের খাড়া উতরাই। ট্রেন, সে রিয়েলই হোক বা টয়, সে উতরাই বেয়ে নামতে পারবে না। সাহেব ইঞ্জিনিয়ার মাথা ঘামিয়ে ঘামিয়ে অবশেষে হার মানলেন। মেমসাহেবকে ফোন করে বললেন, “ডার্লিং, আমার দ্বারা আর হচ্ছে না। আমি দেশে ফিরছি।” মেমসাহেব ওই ঠাণ্ডা কুয়াশার দেশে একা বসে বোরের হদ্দ হচ্ছিলেন, খুব খুশি হয়ে বললেন, “ভেরি গুড হানি, কাম ব্যাক।”

কাম ব্যাক! সাহেবের মাথায় চড়াক করে বিদ্যুৎ খেলে গেল। “ওক্কে ডার্লিং, বি রাইট ব্যাক” বলে ফোন রেখে তিনি দৌড়ে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়লেন ড্রয়িং খাতার ওপর। এগোতে অসুবিধে হচ্ছে যখন, পিছিয়ে আসলে কেমন হয়? ড্রয়িং খাতায় ফস ফস করে এঁকে চললেন সাহেব। পিছিয়ে এসে, একটা গেরো পেঁচিয়ে, আবার এগোলেন। প্রকৃতি হার মানল মানুষের শয়তানি বুদ্ধির কাছে। 

সাহেবের মাথা থেকে বেরোনো গেরোর মাঝখানে দাঁড়িয়ে যখন গল্প শুনছি তখন চারপাশে শোঁ শোঁ করে ঠাণ্ডা হাওয়া বইছে। একটু আগে গাড়ি করে যে রাস্তাটা দিয়ে যাচ্ছিলাম, সেটা নিচে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। ওই রাস্তা ধরে আসতে আসতে গাঁইগুঁই করছিলাম আর বলছিলাম, “পাহাড়ে যাচ্ছি অথচ একটু ঠাণ্ডা নেই, এ কেমন বিশ্রী ব্যাপার।”* অথচ যেই না এখানে উঠে এসেছি, এমন ঠাণ্ডা হাওয়া বইতে শুরু করল, যে দৌড়ে নেমে গিয়ে নিচ থেকে গাড়ি থেকে সোয়েটার বার করে পড়ে আসতে হল সবাইকে। ছোটমামা তো মাফলারও পেঁচালেন। সার্থকনামা জায়গা।

*বোনাস কুইজঃ 

“আপনি কি বায়ু পরিবর্তনের জন্য এসেছেন?”
“তা বটে। তবে বায়ুর অভাবটাই যেন লক্ষ্য করছি বেশি। পাহাড়ে ঠাণ্ডাটা আর একটু বেশি এক্সপেক্ট করে লোকে।”

কোন গল্পের লাইন? (হিন্টঃ গল্পটা যে শহরে ঘটছে, আমরাও সেই শহরেই বেড়াতে যাচ্ছিলাম।)

৭। এ জায়গায় যাওয়ার বিপক্ষে যুক্তিঃ অষ্টপ্রহর সংকীর্তনে কান ঝালাপালা, ভোর চারটেয় দরজার কড়া নেড়ে রূঢ়স্বরে “হরে কৃষ্ণ” বলে ঘুম ভাঙানো, বাবামায়ের ভক্তিস্রোতে ভেসে গিয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ন্যাড়া মাথায় টিকি রেখে বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে বড় হওয়ার করুণ পরিণতি প্রত্যক্ষ করা। (অফ কোর্স, এখানে আমার প্রেজুডিস স্পষ্ট। আমি যে চালকলাবাঁধা বিদ্যের পেছনে ছুটেছি, সেখানেও আমার নিজস্ব ইচ্ছের কথা কেউ জানতে চায়নি। মাবাবার সিদ্ধান্তই শেষ কথা হয়েছে। এবং অন্য অনেক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমার বড় হওয়াটাও একই রকম করুণ মনে হতে পারে।)  গুচ্ছ গুচ্ছ মন্দির, মন্দিরে মন্দিরে নিমগাছ, সে সবক’টা নিমগাছের তলাকেই মহাপুরুষের জন্মস্থল বলে চালানোর বুজরুকি।

এ জায়গায় যাওয়ার সপক্ষে যুক্তিঃ গঙ্গার ধূসরের জলঙ্গীর শ্যাওলা সবুজে মিশে যেতে দেখা। দূরে ক্ষেতের ওপারে সূর্যাস্ত, সূর্যাস্তের আলোয় লাইন দিয়ে বাড়ি ফিরে চলা মোষের শান্ত গম্ভীর মুখ। ক্লাস ফাইভের বাংলা ক্লাসে ‘সাম্প্রতিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা’ রচনায় সে মোষের মিছিল বর্ণনা করার সময় ‘অপসৃয়মান’ বিশেষণ ব্যবহার করে খাতায় ইয়াব্বড় ‘রাইট’ পেয়েছিলাম মনে আছে। চক্র না পদ্ম, কোন হোস্টেল ভুলে গেছি, তার ছাদে দাঁড়িয়ে নারকেল গাছের মাথায় ঝড় নামতে দেখেছিলাম, সে ছবি এখনও যখনতখন চোখ বন্ধ না করেই দেখতে পাই। 

কিন্তু সবথেকে বেশি যে কারণটার জন্য যেতে চাই, সেটা ওপরের কারণগুলোর মতো কাব্যিক নয় একটুও। শেষরাতে ‘হরে কৃষ্ণ’ বলে ঘুম ভাঙিয়ে চলে যাওয়ার পর আমরা উঠে নিচে আরতি দেখতে যাব বলে তৈরি হচ্ছিলাম। করিডরের কমন বাথরুমে কে ঢুকে বসেছিল, মা বার বার গিয়ে ফিরে আসছিলেন। শেষমেশ বাবা বললেন, “হরে কৃষ্ণ” বলে নক করে দেখেছ? 

আমি জানি আপনারা, "ম্যাগো কী ভয়ানক পি জে" বলে মুখ বেঁকাচ্ছেন, কিন্তু ওই পরিস্থিতিতে আমাদের সে কথা মনে হয়নি। ওই শেষরাতে ঘরের বিছানায় গড়াগড়ি খেয়ে আমরা তিনজন এত হেসেছিলাম, এত হেসেছিলাম, পেট ব্যথা হয়ে গিয়েছিল। আরও অনেকবার অনেক মজার কথা বলেছেন আমার বাবা, মায়ের কাণ্ড দেখে আমরা দুজন ‘ধরণী দ্বিধা হও' হয়েছি (পুরী হোটেলের লিফটে), আউলিতে খোলা রোপওয়ে চড়ে যেতে যেতে নার্ভাসনেস চাপতে পাল্লা দিয়ে হেসেছি, কিন্তু ওই শেষরাতের সম্মিলিত অট্টহাস্যের স্মৃতি এখনও জ্বলজ্বল করছে। অর্চিষ্মানের সঙ্গে গিয়ে সেরকম কিছু হাসি জমিয়ে আনার শখ আমার খুব। 

*****


উত্তর

১। হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, মুর্শিদাবাদ
২। ব্যান্ডেল চার্চ, ব্যান্ডেল
৩। হংসেশ্বরী মন্দির, বাঁশবেড়িয়া
৪। কোচবিহার প্রাসাদ, হাততালি প্রশ্নঃ ব্রহ্মানন্দ কেশব চন্দ্র সেন, এক্সট্রা হাততালির প্রশ্নঃ রাজমাতা গায়ত্রী দেবী
৫। শুশুনিয়া পাহাড়, বাঁকুড়া। এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলেছেন অযোধ্যা পাহাড়। আমার প্রশ্নে এমন কোনও হিন্ট ছিল না, যা দেখে অযোধ্যা শুশুনিয়ার ফারাক বোঝা যায়, কাজেই আমি অযোধ্যা পাহাড়কেও ঠিক উত্তর হিসেবে গুনছি।  
৬। বাতাসিয়া লুপ, দার্জিলিং, বোনাস কুইজঃ ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি
৭। ইস্কন মন্দির, মায়াপুর



Comments

  1. 1. হাজারদুয়ারি প্যালেস, মুর্শিদাবাদ
    2. ব্যান্ডেল চার্চ
    3. হংসেশ্বরী মন্দির, বাঁশবেড়িয়া
    4. কোচবিহার প্যালেস
    5. অযোধ্যা পাহাড় (আন্দাজে ঢিল মারলাম)
    6. দার্জিলিং
    7. মায়াপুর

    ~~ সৌগত সেনগুপ্ত

    ReplyDelete
    Replies
    1. আন্দাজ চমৎকার হয়েছে, সৌগত। আমি মনে মনে শুশুনিয়া পাহাড় ভেবেছিলাম, কিন্তু অযোধ্যা পাহাড়ের থেকে তাকে আলাদা করার জন্য কোনও ক্লু ছিল না, কাজেই আপনি শুধু ফার্স্ট নন, একশোয় একশো পেয়ে ফার্স্ট। অনেক অনেক অভিনন্দন। আর থ্যাংক ইউ তো থাকলই।

      Delete
    2. আসলে শুশুনিয়া অযোধ্যা কোনোটাই যাইনি, তাই একটু ঘেঁটে গেছে আরকি। ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি থেকে দার্জিলিং বুঝলাম, যদিও বাতাসিয়া লুপ যাইনি কখনও। দার্জিলিং যাই 1989তে তখন প্রায় ধ্বংসস্তুপ, টয়ট্রেনও বন্ধ ছিল। মায়াপুরের হরেকৃষ্ণ বলে ঘুম ভাঙ্গানোটা মনে আছে, সঙ্গে সুস্বাদু নিরামিষ খাবারও মনে আছে। আপনি আরো অনেক অনেক নতুন নতুন যায়গায় বেড়াতে যান আর অবান্তরে সেগুলোর বর্ণনা পড়ে আমরা মানসভ্রমণ করি।

      Delete
    3. ইস, আরেকবার টয় ট্রেনে চেপে দার্জিলিং যান, সৌগত। আপনার আমার বেড়াতে যাওয়ার গল্প পড়তে ভালো লাগে জেনে দারুণ খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  2. 1> Hajarduari
    2> Bandel Church
    3> Hangseshwari Mandir, Banshberia
    4> Kochbehar Palace. (Bonus: Keshab Sen and Gayatri Devi)
    5> Ayodhya Pahar
    6> Batasia Loop (Bonus not sure....batik babu?)
    7> Mayapur

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে অর্পণ, চমৎকার পারফরম্যান্স। কনগ্র্যাচুলেশনস। ছ'নম্বরের বোনাসটা ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি। তবে ক্লুটা অপ্রতুল, আমিও মানছি। খেলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  3. 1.HAJARDUARI
    2.BANDEL CHURCH
    3.HANSHESWARI MANDIR
    4.KOOCH BEHAR,KESHAB CHANDRA SEN,GAYATRI DEVI
    5.SHUSHUNIA PAHAR
    6.BATASIA LOOP,DARJEELING JOMJOMAT
    7.MAYAPUR DHAM

    Hint gulo khub khub interesting bhabe likhecho goenda di..puro pagla

    prosenjit

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা প্রসেনজিৎ, আমাকে গোয়েন্দা অভিধা দিয়ে আমার মন জিতে নইলে যে। খেলা তো চমৎকার হয়েছে। একেবারে একশোয় একশো। থ্যাংক ইউ আর অভিনন্দন, দুটোই যত খুশি নিও।

      Delete
    2. 2 to clue chamtkar chilo.
      hansweshori mandir e tumi likhecho ekadhik bar gecho SCHOOL er sathe.....darun clue...TAHOLE hote pare hoogly elakay mandir..

      aar batasia loop e likhecho naam er sathe mil,thanda BATAS...darun clue ta..bhari moja peyechi quiz ta khele

      ess bonus e feludar goendagiri tao je Darjeeling e bhulei mere diechi..eh he..

      Delete
    3. বাঃ বাঃ, তোমার রহস্য সমাধানের প্রতিভা দেখে আমি মুগ্ধ, প্রসেনজিৎ।

      Delete
    4. hat tumi bahut chat dao...tumi danger acho

      Delete
    5. এ বাবা, আমি একেবারেই চাটিনি তোমাকে, প্রসেনজিৎ। আমি ওপরের মন্তব্যটা নিরীহ রসিকতা করে লিখেছি, প্রমিস।

      Delete
    6. arehh..cool..ami shibu girir janyo prachur chat khai...no chap..

      Delete
  4. ১. হাজারদুয়ারি
    ২. ব্যাণ্ডেল চার্চ
    ৩.
    ৪. কুচবিহার রাজবাড়ি
    ৫. অযোধ্যা পাহাড়?
    ৬. দাজ্জিলিং দাজ্জিলিং, এখনো অব্দি কেউ নিয়ে গেলনা।
    ৭. মায়াপুর?

    ReplyDelete
    Replies
    1. যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে...একলাই দার্জিলিং চল রে, শাল্মলী। দার্জিলিং যাওয়া হচ্ছে বাঙালির সাংস্কৃতিক অস্তিত্ব সম্পূর্ণ করার একটা অন্যতম শর্ত, এটা পূরণ করতে আর দেরি করবেন না।

      যাই হোক, উপদেশের পালা শেষ, এবার অভিনন্দন। দারুণ, দারুণ খেলেছেন। হংসেশ্বরীটা না জানা থাকলে শক্ত, সত্যি।

      Delete
    2. আবার আপনিটা কোত্থেকে এল?? হংসেশ্বরী মন্দিরের নাম শুনেছি কেবল, অন্য কোন তথ্য জানা ছিলনা।

      Delete
    3. এ হে, আপনি-টা আগে ছিল না বুঝি? সরি সরি, গুলিয়ে গেছে। আবার তুমি তে ফেরৎ গেলাম।

      Delete
  5. 1.Hazarduari Mushidabad. 1 bar gechi.
    2.bandel church. 2 bar gechi.
    3.hansheswari mandir.Bansberia. 3 bar gechi. school theke ekbar.
    4.Cooch bihar rajbari, keshab chandra sen. 2012 e gelam. 1 bar. extra haat tali ta ar pelam na.. :(
    5.eita ektu tricky ache.. mone hocche bankurar susunia hote pare.. kintu memory bolche tomader batch school theke Puruliar mathaburu gechile.. tai na? mathaburu jaini. susunia hole gechi 2 bar.
    6.batasia loop. Darjeeling jomjomat? 3 times.
    7.Mayapur iskon temple. 2 bar. oder dupure khawa ta khub bhalo.. ota temple noy palace to.. ami ekbar sri krishna ke snan korano dekhechilam.. ekta bishal stage e uthe ekta futo futo bishal size er thala diye shower er moto doodh dhalche .. ar sob lokjoner ki hoi hoi.. ki bhojokoto se bapar ... ar Hare krishna niye hasi bolcho?.. jara Iskon er bhokto serokom ek bondhur bari ache.. tara Namoskar er jaygay bole hare krishna, phone dhore bole hare krishna, cheler biyer malabodol hole hare krishna dhwani, sindur porano hole hare krishna dhwani dey.. emon ki sei bondhur reception e hare krishna hare krishna kore or baba didi jamaibabu sobaike nachte dekhechi.. bhabo tumi ki korte sesob dekhe..

    ReplyDelete
    Replies
    1. তোর স্মৃতিশক্তিকে পেন্নাম, ঊর্মি। মাঠাবুরু যাওয়া হয়েছিল বটে, কিন্তু ওই ট্রিপে আমি যাইনি। আমি গিয়েছিলাম শুশুনিয়া, তার মানে তোর সঙ্গেই গিয়েছিলাম। মনে আছে, কী মজা হয়েছিল? রাতে সুদীপ্তাদিদিভাইয়ের সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম, তুই ছিলি সে দলে? কে যেন ওই ঘোর রাতে প্যাঁ প্যাঁ করে হারমোনিয়াম বাজিয়ে রবীন্দ্রসংগীত প্র্যাকটিস করছিল।

      হ্যাঁ হ্যাঁ, হ্যালোর জায়গায় হরে কৃষ্ণ বলেন ভক্তরা এটা আমি জানি। তবে বিয়েবাড়িতে সেই বলে নাচানাচিটা একটু আনকমন বলতেই হচ্ছে।

      বাকি সব উত্তর তো চমৎকার দিয়েছিস। অভিনন্দন নে ঝুড়ি ঝুড়ি। আর থ্যাংক ইউটা নতুন করে আর দিলাম না।

      Delete
  6. 7. Mayapur - Nabanita

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে নবনীতা, থ্যাংক ইউ। বাকিগুলোও চেষ্টা করলে ঠিক পারতেন আমি নিশ্চিত।

      Delete

  7. ১) হাজারদুয়ারী
    ২)ব্যান্ডেল চার্চ
    ৩)হংসেশ্বরী মন্দির
    ৪)কুচবিহার রাজবাড়ি
    ৫)অযোধ্যা পাহাড়
    ৬) আর চুরি করতে পারলাম না
    ৭) মায়াপুর
    ১,৩,৫,৭---জানতাম
    বাকি গেস করে গুগল থেকে মেলালাম।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আরে চুরি আবার কী, প্রিয়াঙ্কা। ভারি তো খেলা। তবু তোমার সততা দেখে আমি মুগ্ধ। খেলার জন্য অনেক অনেক থ্যাংক ইউ .

      Delete
  8. হাজার দুয়ারি
    চন্দননগর
    কংকালী মন্দির কী???? মনে হয় না।
    কুচবিহার
    শুশুনিয়া বা বিহারীনাথ বোধহয়
    বাতাসিয়া লুপ, ঘুম, ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি
    -শুভরূপ

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভরূপ, ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি বোনাসটা প্রায় কেউই পারেনি, আপনি ধরে ফেলেছেন দেখছি। অভিনন্দন। কিন্তু যে ব্যাপারটা সবথেকে ইন্টারেস্টিং সেটা হচ্ছে কংকালী মন্দিরের ব্যাপারটা। আপনি কী করে বুঝলেন যে আমি কংকালীপীঠ-এর ক্লু দিতে দিতেও দিইনি? এ তো টেলিপ্যাথির চোদ্দপুরুষ!

      খেলার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  9. 1. Hazarduari
    2. Bandel Church
    3. Hangseswari Mandir
    4. Cooch Behar Palace; Bonus : 1 - Keshub Chandra Sen, Bonus : 2 - Gayatri Devi
    5. Susunia Pahar
    6. Ghum
    7. Mayapur

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে বা, একশোয় নিরানব্বই তো কৌশিক। ওই ঘুমের ব্যাপারটা কান ঘেঁষে বেরোলো। কিন্তু সেটা ইগনোর না করলেই আশ্চর্য। খেলার জন্য আর এত ভালো খেলার জন্য থ্যাংক ইউ আর অভিনন্দন।

      Delete
  10. Neeche jegulo parlam

    1.Hajarduari
    2. Bandel Church
    4. Coochbihar Raj bari
    5. Ayodhya Pahar
    6. Batasia Loop
    7. Mayapur?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মচৎকার পারফরম্যান্স, রুণা। অসংখ্য অভিনন্দন।

      Delete
  11. পশ্চিমবঙ্গের ভূগোল এবং ইতিহাসে আমি খুব কাঁচা। তবু চেষ্টা করে দেখি -

    ১ অনেক দরজা, তার অধিকাংশই নকল - হাজারদুয়ারি প্যালেস
    ২ হুগলী জেলা, ইংরেজ ফরাসি - চন্দননগর। মোমবাতি জ্বালিয়েছেন তার মানে গির্জা। চন্দননগরে একটা গির্জা থাকা অস্বাভাবিক নয়
    ৩ আন্দাজে বলছি, বেলুড়মঠ কি?
    ৪ পশ্চিমবঙ্গে বিলিতি মেজাজের রাজা? ডেফিনিটলি কুচবিহারের মহারাজ। সেই রাজা নিশ্চয় একটা প্রাসাদ বানিয়েছিলেন। ব্রাহ্ম সমাজের মাথা মানেই কেশব সেন। দেবেন ঠাকুরের সঙ্গে বোধহয় কুচবিহারের লিঙ্ক নেই। এই বাড়িরই মেয়ে ছিলেন মহারানী গায়ত্রী দেবী। সেকেন্ড উত্তরটা কি এটাই?
    ৫ বহু বছর আগে বলেছিলেন যে একবার স্কুল ট্রিপে শুশুনিয়া পাহাড় গিয়েছিলেন। আমার উত্তর সেটাই
    ৬ বোনাস কুইজের উত্তরঃ ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি। আমার উত্তর বাতাসিয়া লুপ
    ৭ হরে কৃষ্ণ মানেই মায়াপুরের ইসকন মন্দির। ঠিক বলেছি?

    ReplyDelete
    Replies
    1. দেবাশিস, আপনি অসাধারণ মেথডের সঙ্গে খেলেছেন, এবং চমৎকার খেলেছেন। অসংখ্য অভিনন্দন। ওই গির্জার উত্তরটা আমি ধর্তব্যের মধ্যেই ধরতাম না, কিন্তু ধরছি কারণ আপনি আমার দেজা ভু ঘটিয়েছেন। আপনার মেথড ওখানে ফেল করেছে, কারণ আপনি প্রশ্নটা ঠিক করে পড়েননি। আমিও কোনওদিন প্রশ্নপত্র ঠিক করে পড়তাম না। হাই ফাইভ।

      Delete
    2. বুঝেছি, আপনি পর্তুগিজ সংক্রান্ত ক্লুটা নিয়ে বলছেন।
      কিন্তু চন্দননগরে পর্তুগিজরা যায়নি আর ব্যান্ডেলে গিয়েছিল, এটা আজই জানতে পারলাম। স্কুলে মন দিয়ে পড়াশোনা করিনি কিনা!

      Delete
  12. ১। হাজারদুয়ারী - সেভেন-এ পড়ার সময় গেছিলাম। আর সেই ক্যামেরার রিল্ টা নাকি জ্বলে গেছিল, ওয়াশ করা যায়নযাই যতবার মুর্শিদাবাদ-এর গল্প হয়, সেই রিল জ্বলে যাওয়ার দুঃখটা নতুন করে বেজে ওঠে, আর আমি সেই এয়ারলাইন ফ্রক পড়া মেয়েটার বাবামার মাঝে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে হাজারদুয়ারীর মাঠে ফট তোলার স্মৃতিটায় ডুবে যাই।

    ২। ব্যান্ডেল চার্চ- কবে প্রথম গেছি মনে নেই, শেষ বার গেছি ২০১০-এ কলেজের বন্ধুদের সাথে, চারচ-এর গল্প মনে নেই, গঙ্গার ধারে বসে হাসাহাসিটা দিব্য মনে আছে। আর মনে আছে অটোর সিটে পিছনে ৪ জন বসতে পারার অপারগতা জানানোতে অটো-চালকের খ্যাঁকখ্যাঁকে হাসিটা "কলকাতার লোকেরা একটু মোটা হয় কিনা"

    ৩। হংসেশ্বরী মন্দির- মাঠ-পুকুর আর রিশড়ার বালিকার অনেকবার যাওয়ার গল্প শুনেই চিনে ফেল্রলাম,তারপর ঈড়া, পিঙ্গলা দেখে ঘাবড়ে গেলাম (ঈড়া, পিঙ্গলা জানা ছিল না, কমেন্ট লেখার আগে, গুগল করলাম কনফারম করতে) । ভিতর টা মনে নেই, তবে নারায়ণ সান্যাল-এর হংসেশ্বরী আজও আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। ভিতরের গল্পটা না জানলে হয়ত হংসেশ্বরী মন্দির আমার কাছে আর পাঁচটা মন্দির হয়েই থাকত।

    ৪। কোচবিহার রাজবাড়ী। দেখা হয়নি আমার :(
    কেশব চন্দ্র সেন- জার ১৪ বছরের মেয়ের বিয়ে নিয়ে ব্রাহ্ম সমাজ তোল পাড়িয়ে গেছিল।
    গায়ত্রী দেবী - রেকর্ডের ব্যাপারটা জানা ছিল না, গায়ত্রী দেবীর উইকি পেজ দেখে মিলিয়ে নিলাম। ওটা না মিল্লে, বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার নাম দিয়ে খুজতাম :P

    ৫। শুশুনিয়া পাহাড়ঃ (অযোধ্যা পাহাড় নয় তো?? এই পাহাড় কিন্তু আমার দেখা!) দেখেছি, কিন্তু চড়া হয়নি। কখনো যাব তো নিশ্চয়।

    ৬।আমি অত ফেলুদা-খোর নই তবে মনে হচ্ছে দার্জিলিং জমজমাট।

    ৭। মায়াপুর - সেই সেভেনের হাজারদুয়ারীর ট্যুর এই গেছিলাম, টিকি বেঁধে ভোর ৪তেয় আরতিতে হাজিরা দেওয়া বাচ্চাদের দেখে মটেও দুখু পাই না, দুঃখ পেয়েছিলাম ঐ ওরা নিত্যদিন কেক, কুকিস আর বিশাল লাড্ডু প্রসাদ গুলো গলাধঃকরণ করে ভেবে। যদিও আমি তেমন পেটুক নয়, আর তেমন হিংসুক-ও নই, তবু ঐ প্রসাদী লাড্ডুটা কেন যেন আজো মুখে লেগে আছে; পরবতী কালে ব্যাঙ্গালোর থাকার সময় ইস্কন গেছি, আরো দু-তিন জায়গায় ইস্কন মন্দিরে লাড্ডু খেয়েছি, তবূও সে লাড্ডূ তো তেমন গৌরী বানায়নি!!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে চমৎকার চমৎকার। অসাধারণ পারফরম্যান্স। হাজারদুয়ারির মাঠের ছবিটা আমিও স্পষ্ট দেখতে পেলাম যে। মফস্বলি অটোওয়ালার গায়ের ঝাল ঝাড়ায় কিছু মনে করেননি আশা করি। নেক্সট বার মায়াপুর গেলে অবশ্য করে লাড্ডু খেয়ে আসব। সাজেশনের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

      Delete
  13. Khub high chance ami ram dhyaran dhyarabo but quiz e participate korte amar khub anondo hoy.
    1. Hajarduari, murshidabad.
    2. Bandel church! Eta ami gechi.
    3. nah parbo na
    4. Coochbihar r palace ki? ami jaini jodio. extra hattatli, talei hoyeche. tumi ektu khub bhalo bole dilei khushi.
    5. Ajodhya pahar? ami gechi kintu rock climbing korini.
    6. Batasia loop, Darjeeling.
    7. Mayapur. Akbar gechilam. moteo bhalo lageni.

    p.s. tumi amar blog porecho? shune amar anondo ar hridkompo dutoi holo. Amartya Sen amar Develeopment Economics r project check korle jerom feeling hobe serom.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বেচারা অমর্ত্য সেন।

      খুব ভালো তো বলতেই হবে, কুহেলি। কারণ সত্যিই তুমি খুব ভালো খেলেছ। অভিনন্দন আর ধন্যবাদ, দুটোই জেনো।

      Delete
  14. অন্বেষা সেনগুপ্তMay 30, 2016 at 4:38 PM

    ১. হাজারদুয়ারী?
    ২.
    ৩.
    ৪.
    ৫. অযোধ্যা পাহাড়| শুশুনিয়াও হতে পারে মনে হচ্ছে|
    ৬. প্রথমে ভাবলাম গ্যাংটক, তারপরে টয়ট্রেন পড়ে মনে হল দার্জিলিং|
    ৭.মায়াপুর?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মায়াপুরই বটে, অন্বেষা। প্রত্যেকটা টিপই লক্ষ্যভেদ করেছে। অভিনন্দন।

      Delete
  15. ১। হাজারদুয়ারি - মুর্শিদাবাদ
    ২। ব্যান্ডেল চার্চ
    ৩। হংসেশ্বরী মন্দির - বাঁশবেড়িয়া
    ৪। কোচবিহার রাজবাড়ি
    ৫। অযোধ্যা পাহাড় - বাঘমুন্ডি, পুরুলিয়া
    ৬। বাতাসিয়া লুপ - দার্জিলিং (ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি)
    ৭। মায়াপুর

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওস্তাদের মার শেষ রাতে দেখা যাচ্ছে, সোমনাথ। বোনাসটোনাস শুদ্ধু সব ঠিক উত্তর। অসংখ্য অভিনন্দন আর অগুন্তি ধন্যবাদ।

      Delete
  16. আমি বেড়িয়ে ফিরলাম তাই বেড়ানোর ক্যুইজ মিস হয়ে গেছে, আমি আবার উত্তর লেখা থাকলে উত্তত না পরে পারি না :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, আমিও, প্রদীপ্ত। হাই ফাইভ। কোথায় বেড়ালে? পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।

      Delete
    2. :) হাই ফাইভ, নিউ মেক্সিকো , এবং আরো কয়েকটা জায়গা , লম্বা ড্রাইভ করলাম :) , পোস্ট দেওয়া স্বত্বর উচিত কিন্তু হচ্ছে কি :( -PB

      Delete
    3. আরে দারুণ ব্যাপার তো, তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, সময়সুযোগ করে পোস্ট লিখো, এই আমি পড়ব বলে বসে রইলাম।

      Delete

Post a Comment