এ মাসের বই। মে ২০১৬ (১)



দেরির দেরি বলে কিছু হয় না। ব্যান্ডেল যদি দেরি করে আসে, রাইটটাইমে আসা বা কম লেট করে আসা বর্ধমানকে সবসময় অগ্রাধিকার দেওয়া হয় ব্যান্ডেল লোকালের লোকজন যদি গরমে, টেনশনে ঘামতে ঘামতে দল বেঁধে স্টেশনমাস্টারের ঘরে চড়াও হয়ে জানতে চায়, আমাদের অফিস লেট হল যে? তখন দার্শনিক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, দেরির আবার দেরি কীসের?

যেমন আমি বলছি। এপ্রিল মাসের বইয়ের প্রথম পর্বটা ছাপা হয়েছিল দ্বিতীয় পর্ব হয়নি। এদিকে মে মাস শেষ মে মাসে পড়া বইয়েরা লাইনে দাঁড়িয়ে বার বার কবজি উল্টে ঘড়ি দেখছে, কবে তাদের নিয়ে কথা বলব আমি আমিও উত্তেজনায় ফুটছি তাদের নিয়ে কথা বলব বলে কারণ এই রেঞ্জের বই আমি এর আগে কোনও মাসে পড়েছি বলে মনে পড়ছে না অখ্যাত থেকে বিখ্যাত, রদ্দি টু লাইফ-চেঞ্জিং, স্বাভাবিক থেকে মাথামুণ্ডুহীন এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় কিস্তির বইয়েরাও চমকার ছিল, কিন্তু এতদিন অপেক্ষা করে তাদের মহিমা অলরেডি খানিকটা ম্লান হয়ে গেছে, তাদের ফেলে রাখার গ্লানি আমাকে আর ততখানি কুরে কুরে খাচ্ছে না। তাছাড়া, দেরির আবার দেরি কী? যাদের লেট হয়েছে তারা অপেক্ষা করুক, যারা টাইমে এসেছে, তারা আগে যাক।

*****

The Door/ Magda Szabo

উৎস গুগল ইমেজেস

Once, just once in my life, not in the cerebral anaemia of sleep but in reality, a door did stand before me. That door opened. It was opened by someone who defended her solitude and impotent misery so fiercely that she would have kept that door shut through a flaming roof crackled over her head. I alone had the power to make her open that lock. In turning the key she put more trust in me than she ever did in God, and in that fateful moment I believed I was godlike - all-wise, judicious, benevolent and rational. We were both wrong: she who put her faith in me, and I who thought too well of myself.

এই লেখাটা অবশ্য ভার্জিনিয়া উলফ-এর উদ্ধৃতি দিয়েও শুরু করা যেত ‘আ রুম অফ ওয়ানস ওন’- এ যেখানে উলফ শেক্সপিয়ারের বোনের কথা বলছেন,
I told you in the course of this paper that Shakespeare had a sister; but do not look for her in Sir Sidney Lee’s life of the poet. She died young—alas, she never wrote a word. She lies buried where the omnibuses now stop, opposite the Elephant and Castle. Now my belief is that this poet who never wrote a word and was buried at the cross–roads still lives. She lives in you and in me, and in many other women who are not here to–night, for they are washing up the dishes and putting the children to bed.

দ্য ডোর-এর বক্তা, ম্যাগডা নামের এক লেখক (জাবো নিজে বলেছেন দ্য ডোর হচ্ছেthinly veiled personal history) বুদাপেস্ট-এর একটি পাড়ার একটি বাড়িতে উঠে আসেন ম্যাগডা এবং ম্যাগডার স্বামী, যিনিও বুদ্ধিজীবী, যিনিও লেখক তাঁদের আগের বাড়ির তুলনায় নতুন বাড়ি আয়তনে বেশ বড় ম্যাগডার লেখকজীবন তখন শক্ত সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে গত দশ বছরে এক ইঞ্চিও এগোয়নি তাঁর কেরিয়ার এবং ম্যাগডা বুঝতে পাছেন, এই অবস্থায় যদি তাঁকে বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণে মনোনিবেশ করতে হয় তাহলে সামনের দশ বছরেও পরিস্থিতি পাল্টানোর সম্ভাবনা শূন্য তাঁর কপালে শেক্সপিয়ারের বোন হয়ে থেকে যাওয়া নাচছে ম্যাগডার স্বামী লাইব্রেরিতে গিয়ে লেখা শুরু করলেন, ম্যাগডা বেরোলেন কাজের লোক খুঁজতে 

পাড়ার লোকে পরামর্শ দিল, এমারেন্স-এর কাছে যেতে বয়স্ক মহিলা গায়ে অসীম শক্তি, কাজের প্রতি অপার নিষ্ঠা, চরিত্রে অগাধ দৃঢ়তা সবাই এমারেন্সকে চেয়ে পায় না, এমারেন্স যাকে মনোনীত করে তার সংসার এমারেন্স-এর ছোঁয়ায় সোনার হয়ে ওঠে এছাড়াও এমারেন্স-এর আরও নানারকম বিশেষত্ব আছে এমারেন্স-এর ফ্ল্যাটের ভেতর ঢোকেনি কেউ কখনও শত্রুমিত্র নির্বিশেষে সকলকেই এমারেন্স বারান্দায় বসিয়ে আপ্যায়ন করে বিদায় করে। লেখক ভয়ে ভয়ে এমারেন্স-এর কাছে গেলেন। এমারেন্স চুপ করে শুনল কিছুদিন পর জানাল, সে কাজ করতে রাজি শুরু হল পরবর্তী কুড়ি বছরের একটি দীর্ঘ, গভীর, বিক্ষুব্ধ, বিপ্রতীপ, স্নেহময় একটি জটিল সম্পর্কের

সম্পর্ক মূলত লেখক এবং এমারেন্স-এর কিন্তু এর পাশাপাশি গল্পে আরও কিছু চরিত্র এসেছে তাদের মধ্যে প্রধান ভায়োলা নামের একটি কুকুর নিউ ইয়র্ক টাইমস যাকে যথার্থেইa truly great literary dog"-এর শিরোপা দিয়েছে আর আছেন লেখকের স্বামী পাড়ার আরও কয়েকটি মানুষ কিন্তু গল্পের মূলে আছে দুই নারী, ম্যাগডা আর এমারেন্স একজন বিশ্বাসী, বুদ্ধিজীবী, মৃদুস্বভাব। অন্যজন অ্যান্টিচার্চ, অ্যান্টি বুদ্ধিজীবী, প্রখর ব্যক্তিত্বসম্পন্নএমারেন্সের জীবনের যে ছবিটুকু ক্রমে ক্রমে আমাদের সামনে ভেসে ওঠে, যতটুকু এমারেন্স ম্যাগডার (এবং পাঠকের) কাছে স্বেচ্ছায় উন্মুক্ত করে  তাতে তার প্রতি ভক্তিতে না হলেও সমীহে মাথা নুয়ে আসে এমারেন্স-এর জীবন যেন ক্ষতি, বিনাশ, ধ্বংস, হতাশা, বঞ্চনার এক বিরামহীন মিছিল

ক্ষতি, যন্ত্রণা, বেশিরভাগ মানুষকেই ভেঙে ফেলে, কিন্তু এমারেন্সকে তা আরও শক্তিশালী করেছে। শক্তিশালী, একরোখা, অনমনীয়। হোয়াটেভার ডাজ নট কিল ইউ ওনলি মেকস ইউ স্ট্রংগার। কথাটা যেন এমারেন্সকে দেখেই বলেছে কেউ। ক্রমাগত আঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে যেতে অবশ্য আরেকটা খারাপ জিনিসও ঘটে। আঘাত সম্পর্কে আড়টা ভেঙে যায়। যত নির্বিকারে আঘাত নিতে শেখে, তত নির্বিচারে আঘাত করতেও শিখে যায় মানুষ। বুঝে যায় কে তার থেকে সবল কে দুর্বল। কার থেকে পালিয়ে বাঁচতে হবে, কাকে আঘাত করলে কোনও প্রত্যাঘাত আসবে না। 

এমারেন্স ব্যতিক্রম নয়। যে কোনও মাপকাঠিতে মাপা হোক না কেন, ম্যাগডা এমারেন্সের থেকে অনেক অনেক বেশি প্রিভিলেজড, অনেক ক্ষমতাশালী। এমারেন্স সেটা জানে। কিন্তু এমারেন্স এও জানে যে ব্যক্তিত্বের বিচারে ম্যাগডা এমারেন্সের সামনে দাঁড়াতে পারবে না। তাই এমারেন্স ক্রমাগত ম্যাগডাকে আঘাত করতে থাকে। ম্যাগডার বিশ্বাস, ম্যাগডার পেশা, প্যাশন, সাধনা, প্রাপ্তিকে ক্রমাগত হিংস্র তাচ্ছিল্য করে যায়। ম্যাগডা কখনও কোনও প্রতিবাদ করে না। এবং এমারেন্স ওইরকম আচরণ চালিয়ে যায়। ম্যাগডার প্রতি এমারেন্সের যা যা অভিযোগ সে সবগুলোই ম্যাগডার স্বামীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু এমারেন্সের মুখ থেকে আমরা কখনও ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে একটি কথাও বেরোতে দেখি না। বরং বোঝা যায় এমারেন্স তাঁকে বেশ সমীহ করে। কারণ এমারেন্স জানে ভদ্রলোক এমারেন্সের ধার ধারেন না। আর ম্যাগডা, কী করে এমারেন্সকে তুষ্ট করবে, খুশি রাখবে সে চেষ্টায় সদাব্যস্ত (সেটা ম্যাগডার ভীরু চরিত্রের কারণে হতে পারে, বা  হতে পারে যে ম্যাগডা জানে এমারেন্সকে চটালে ম্যাগডা শেক্সপিয়ারের বোনে রূপান্তরিত হবেন, কাজেই...)

যাই হোক, এসব আমার ব্যক্তিগত মত। অসমশক্তির দুটি মানুষকে দুদিকে দাঁড়িয়ে সম্পর্কের দড়িটানাটানি করতে দেখতে আমার অসম্ভব অস্বস্তি হয়, আবার এও সত্যি অস্বস্তিকর কিছু না থাকলে গল্প জমে না। তাছাড়া ম্যাগডা জাবো সম্পর্কটাকে অসম মনে করেননি। তিনি লিখেছেন, I know now, what I didn’t then, that affection can’t always be expressed in calm, orderly, articulate ways; and that one cannot prescribe the form it should take for anyone else.” 

দ্য ডোর আমার অসম্ভব ভালো লেগেছে। শুধু আমার নয়, আরও অনেকেরই ভালো লেগেছে। ভালো লাগার মতোই বই দ্য ডোর। হাঙ্গেরিতে বইটার প্রথম প্রকাশ হয় উনিশশো সাতাশিতে। আট বছর বাদে প্রথম ইংরিজি অনুবাদ হয়, প্রাইজ পেতে পেতে লেগে যায় আরও দশ বছর। এরপর আন্তর্জাতিক পাঠকেরা ধীরে ধীরে দ্য ডোর-এর নাম জানতে শুরু করেন। আর এখন তো নিউইয়র্ক টাইমস-এর বার্ষিক বেস্ট বুকস-এর তালিকার শীর্ষে নাম উঠেছে ম্যাগডা জাবোর মাস্টারপিসের।    

*****

Casual Vacancy/ J. K. Rowling

উৎস গুগল ইমেজেস

ক্যাজুয়াল ভেকেন্সিপ্রকাশ পেয়েছিল দুহাজার বারো সালে তার পর বেরোনো জে কে রোলিং/ রবার্ট গ্যালব্রেথ-এর তিন তিনটে বই আমি পড়ে ফেলেছি হ্যাঁ, সেগুলো ছাপ্পা মারা গোয়েন্দা গল্প, তাই পড়ার আগ্রহ বেশি ছিল, কিন্তু তা বলেক্যাজুয়াল ভেকেন্সিযে কেন পড়িনি ভগবানই জানেন।

অ্যাকচুয়ালি আমিও জানি। বইটির নেতিবাচক রিভিউ ডিস্যাপয়েন্টিং’, “নট ব্যাড বাট নো মাস্টারপিস”, “জে কে রোলিং লিখেছে বলে পড়তে পার, না হলে কাটিয়ে দাও...”

জে কে রোলিং-এর প্রতি আমার জে ফ্যানগার্ল-ভঙ্গি, সেটা এখনের তুলনায় অন্তত চারগুণ ছিল দু'হাজার বারোয়। হ্যারি পটার তখনও স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। এমন সময় "ডিস্যাপয়েন্টিং" কিছু পড়ে আমি সে স্মৃতি ম্লান করতে চাইনি আমি। কাজেই ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি থেকে দূরে ছিলাম। কী ভুলই না করেছিলাম অবশেষে সেই ভুল সংশোধন হল

আগাথা ক্রিস্টি দাবি করেছিলেন ওঁর যত বেস্ট আইডিয়া আসে বাসন মাজতে মাজতে আর জে কে রোলিং-এর বলেছেন ওঁর আইডিয়া আসার জন্য চলন্ত যানবাহন অত্যন্ত কার্যকরী। হ্যারি পটারের আইডিয়া এসেছিল ট্রেনে চেপে যেতে যেতে। আর প্লেনে চড়ে অ্যামেরিকা যেতে যেতে রোলিং-এর মাথায় এসেছিল দুটো শব্দলোক্যাল ইলেকশন আর সেই লোক্যাল ইলেকশনকে ঘিরেই তিনি বুনে ফেললেন ‘ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি’ গল্প শুরু হচ্ছে ব্যারি ফেয়ারব্রাদারের আকস্মিক মৃত্যু দিয়ে সেই মৃত্যুর ফলে আঞ্চলিক কমিটির একটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে। সৃষ্টি হয়ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি ভেকেন্সি পূরণের জন্য নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সকলের আলমারি থেকে একে একে কংকাল বেরোতে থাকে

এ তো গেল প্লট ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি-র থিম হচ্ছে হ্যারি পটারের যা থিম তাই। সেই আদিঅকৃত্রিম ভালো বনাম খারাপ উদার বনাম নীচ। প্রগতিশীলতা বনাম শুদ্ধতাবাদ। বাড়ির সামনে সাদা পাঁচিল দেওয়া ছাঁটা ঘাসের বাগানওয়ালা ছবির মতো জনপদ প্যাগফোর্ড। আর তার ফেশিয়াল করা গালে পাকা ব্রণ হল ফিল্ডস ফিল্ডস-এর দেওয়ালের গ্র্যাফিতি, নোংরা ফুটপাথে ড্রাগ পেডলারদের জটলা, পর্দাহীন জানালার ওপারে ভাঙা সংসারের উদোম চিকার ব্যারি ফেয়ারব্রাদার, কলিন আর টেসা ওয়াল, পরমিন্দার আর বিক্রম জাওয়ান্দা, কে বডেন - এরা হচ্ছে ভালো এরা চায় ফিল্ডস প্যাগফোর্ড-এর অংশ থাকুক। ফিল্ডস্‌-এর পিছিয়ে পড়া বাচ্চারা প্যাগফোর্ডের স্কুলে পড়তে আসুক। তাদের ড্রাগাসক্ত আত্মীয়প্রতিবেশীরা রিহ্যাবিটেশন সেন্টারে চিকিসা নিজের বাড়তি সম্পদের খানিকটা ফিল্ডসের সঙ্গে ভাগ করে নিক।

এর বিপরীতে রয়েছে হাওয়ার্ড আর শার্লি আর মাইলস মলিসন, প্যাগফোর্ডের স্বনিযুক্ত গার্জেন পরিবার পিওরব্লাড উইজার্ডস বর্ন অ্যান্ড ব্রেড ইন প্যাগফোর্ড ফিল্ডসের মাগলদের প্রতি যাদের ঘৃণা আর তাচ্ছিল্যের শেষ নেই। ওদের নিজেদের ঘাড় থেকে নামাতে পারলে এরা বাঁচে। 

আর আছে অ্যান্ড্রু প্রাইস, গাইয়া বডেন, সুখভিন্দর জাওয়ান্দা, স্টুয়ার্টফ্যাটওয়াল এদের আঙুলের ডগায় আছে ইন্টারনেট। এল্ডার ওয়ান্ডের থেকেও যা খতরনাক। নির্বাচনে এদের কোনও অংশ নেইকিন্তু গল্পের মোড় এরাই ঘোরাবে

ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি-প্রতিটি চরিত্রকে ছবির মতো এঁকেছেন রোলিং টিন এজার চরিত্রচিত্রণে তাঁর নতুন করে দক্ষতা প্রমাণ করার নেই, কিন্তু প্যাগফোর্ডের প্রাপ্তবয়স্কদের একেবারে খোলা বইয়ের মতো করে পাঠকদের সামনে ধরেছেন তিনি তাদের শঠতা, অপরাধবোধ, অক্ষমতা, দর্প, সব আয়নার নিজের মুখ দেখার মতো করে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম আমি ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি পড়তে পড়তে সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা মলিসন পরিবারের ফাঁপা দর্প, প্রান্তে ধুঁকতে ধুঁকতে বাঁচা টেরি আর ক্রিস্ট্যাল উইডনের ভেসে থাকার লড়াই - সব সমান দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন জে কে রোলিং আপনাদের পড়া না থাকলে পড়তে পারেন
  
                                                             (দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব দ্রুত আসছে। আসছেই।)


Comments

  1. thank you.. thank you.. ei post tar jonno... aami "the door" siggiri porbo.. aapnar suggest kora boi gulo khub bhalo lagche... casual vacancy aami porechi oboshyo.. bhalo legeche.. oi reviews er chotei naki jani na, aamio onekdin porini... ekbaar koyek pata pore phele rekechilam... tar por khub bhalo laglo... specially oi punjabi teenager meye ti.. khub kriti baba maar slightly neglected meye.... sob cheye mon chnulo oi e...

    ekhon aami porchi sacred games by vikram chandra.. epic boi aar epic size o... ordhek moto pora hoyeche.. khub bhalo lagche ekhono porjonto..

    aapni ki goodreads e aachen?

    bhalo thakben

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ইন্দ্রাণী। ডোর পড়বেন, মনে হয় ভালো লাগবে। ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি সম্পর্কে মত মেলায় খুশি। স্যাক্রেড গেমস ভালো লাগছে? আমি পড়িনি, চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। গুডরিডস-এ একটা অ্যাকাউন্ট আছে অবশ্য আমার, কিন্তু না থাকার মতোই।

      Delete
  2. The Door কে টু রীড লিস্ট এ রাখলাম।
    অন্য টা সমন্ধে শিয়র নই-- কারণ আমি না ডিটেক্টভ গ ল্প পড়ে বুঝতে পারি না ভাল। ছোটো বেলায় বুঝতাম হয়ত--- ফেলুদা পড়েছি। কিন্ত ু এখন কিছুতেই কে খুনী , কি করে বোঝা গেল সেটা মাথায় ঢোকেনা। :(

    The Devotion of Suspect X---- এইটা নাকি সাংঘাতিক ভাল গল্প। শেষ টা ইয় কি করে সব সল্ভ হল বুঝলামই না।

    :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি একেবারেই ডিটেক্টিভ গল্প নয়, প্রিয়াঙ্কা। আমি জে কে রোলিং-এর অন্য তিনটে গোয়েন্দা গল্পের কথা টেনে লিখতে শুরু করেছি বলে বোধহয় তোমার বুঝতে ভুল হয়েছে। ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি একেবারেই সাধারণ ড্রামা।

      দ্য ডোর পড়ে দেখতে পার, ভালো লাগবে মনে হয়।

      Delete
  3. I am so glad you reviewed Casual Vacancy with such positivity. I read the book more than 2 years ago and although the pace was slow to begin with, it picked up pace and ended with a tension one could cut with a knife. Without talking of any spoiler, I will just say that I it was hard to read through the tears. I think, most of the reviews were misplaced, mainly because the reviewers had some preconceived notion about the book, whereas the book took a rather serious turn and was like looking into a mirror. J.K. Rowling made those characters jump out of the book, those people are all around us and I think the reality threw most people.
    I loved the book and your review.I will put The Door in my long list of "to read".
    By the way, I had picked up The Girl on the Train after your review, what a chilling story, unputdownable. I liked it so much better than Gone Girl. The prose of Gone Girl didn't excite me at all, whereas Girl on the Train was written so much better. I think , I prefer British/Irish authors' writing style a little more.
    Looking forward to part 2.

    ReplyDelete
    Replies
    1. রাকা, তোমার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগল। ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি, তোমার মতোই আমারও বেশ ভালো লেগেছে।

      গন গার্ল আর গার্ল অন দ্য ট্রেন-এর তুলানা সম্পর্কেও একমত। একটা চলে যায়, একটা রীতিমত ভালো।

      Delete
  4. Dear Kuntala-debi, I suspect you would not agree with me but please allow me to write my opinion anyway. I did not much like the Harry Potter series. The first three books are good. Then the standard falls and reaches a truly low level in the last book which looks like an action movie. My guess is that it is an influence from the film back into the movie. And the Strike books are somewhat ordinary level crime fiction about the same level as Lee Child, so far. But I consider "casual vacancy" to be really wonderful book. I have lived in UK and I found that this book truly brings UK to life. And it is a very moving book. I was truly distressed at the end. I am glad you like it. I am glad you liked it. In my opinion, this is so far her masterpiece.

    ReplyDelete
    Replies
    1. ঘনাদা, মত না মিললেও কোনও অসুবিধে নেই, তবে মোটের ওপর মিলেছে। সত্যি, হ্যারি পটারের প্রথম দিকের বইগুলোর তুলনায় শেষের দিকেরগুলো দুধভাত। আমি আগে ভেবে দেখিনি, তবে এটা হতেই পারে যে শেষের দিকে রোলিং সিনেমার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়েছিলেন তাই ওই পরিণতি। তবে এটাও সত্যি যে আমার শেষের গল্পগুলোও ভালো লেগেছে (বা প্রথম দিকের গল্পগুলোর ভালোলাগা খারাপলাগাগুলোকে তারা চাপা দিয়েছে।)

      তবে ক্যাজুয়াল ভেকেন্সি যে চমৎকার, সে সম্পর্কে আমাদের মত পুরোটাই মিলেছে।

      Delete

Post a Comment