আমার শীত, আমাদের শীত




লোকে বলে প্রথম প্রেমের নাকি সবই স্পেশাল হয়, তাকে নাকি অন্য কোনও প্রেম দিয়ে রিপ্লেস করা যায় না,  তার প্রতি দুর্বলতা নাকি চিরকাল থেকে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার সে রকম কিছু মনে হয় না। প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় সব প্রেমই স্পেশাল, সবেরই কিছু না কিছু চিরকাল মনে থাকে। অবশ্য স্মৃতিতে ভালো নাকি মন্দের অংশটুকু বেশি হবে তা নির্ভর করে কে কাকে ছেড়েছে তার ওপর। যাই হোক, প্রেম সম্পর্কে থিওরি দেওয়ার জন্য এই পোস্টের অবতারণা নয়, বরং আমার প্রথম প্রেমিকের দেওয়া একটা থিওরির প্রাসঙ্গিকতা বিষয়েই পোস্ট। 

আমার প্রথম প্রেমিক ভালো ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনচেতাও ছিলেন। তাঁর আর একটা ভালো ব্যাপার ছিল কাঁধ ছাপানো পনিটেল, কিন্তু সেটা এই পোস্টে প্রাসঙ্গিক নয়। প্রথম দুটো গুণ অবলম্বন করে তিনি ছোট বয়স থেকে (বা যে বয়সে বাঙালি ছেলেদের ছোট মনে করা হয়) তাঁর থেকে ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতেন। টাকার বিনিময়ে। সোজা কথায় টিউশানি। আমার সেই প্রথম প্রেমিক আমাকে বলেছিলেন যে টিউশানি করতে করতে একটা অতি অদ্ভুত জিনিস তিনি লক্ষ করেছেন। 

‘না না, হাসিস না, এটা আমি সিরিয়াসলি খেয়াল করেছি। প্রতি বছর ছাত্ররা আগের বছরের থেকে বেশি গাধা হয়ে যাচ্ছে। তাহলে ভাব একেকটা জেনারেশনে ছাত্রদের কোয়ালিটি কত ফল করে। আমার এক স্যার যে বলতেন তাঁদের আমলে ছাত্ররা আমাদের থেকে পঁচিশগুণ বেশি বুদ্ধিমান ছিল, কথাটা ভুল নয় তাহলে।’

নিজেদের আমলের অনেক কিছু নিয়েই লোকের নস্ট্যালজিয়া থাকে। ছাত্রদের বুদ্ধি তার একটা নমুনামাত্র। আমার বাবা, আমার ধারণা আরও অনেকের বাবা, নিজেদের জেনারেশনের নিয়মানুবর্তিতা এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে নস্ট্যালজিক। আমার মা দাবি করেন পাগলের কোয়ালিটি তো নিশ্চিতভাবে পড়েছে। আমার ছোটবেলায় এক পাগলের উৎপাত প্রত্যক্ষ করেছিলাম, আমাদের স্কুলের মেয়েদের যাতায়াতের পথে সে কিছু না পরে দাঁড়িয়ে থাকত। দিনসাতেক এই রকম চলার পর পাড়ার ছেলেরা তাকে উৎখাত করে। শুনে আমার মা মাথা নেড়ে বলেছিলেন তাঁদের স্কুল যাওয়ার পথে যে পাগল বসে থাকতেন তিনি ছাত্রীদের দেখলেই, ‘অ্যাই, ইশকুলে যে যাচ্ছ, অকারেন্স বানান কর দেখি?’ হেঁকে উঠতেন। ছোট মেয়েরা ভয় পেয়ে দৌড়লে মাথা নেড়ে বলতেন, ‘আমাদের আমলে কত ভালো ইংরিজি পড়ান হত। তোমরা কিস্যু শিখছ না।’

আমার ঠাকুমা বলতেন তাঁর সময়ের খাবারদাবার এখন আর নেই কারণ সবেতেই সার আর জীবাণুনাশক আর ভেজাল। সে স্বাদও নেই কারণ কাঠের আগুনও নেই। সেদিন একজন বললেন, বাংলা গদ্য আর পড়েন না, কারণ পড়ার মতো কিছু লেখা হচ্ছে না। উনি আমার আমলের কিংবা আমার থেকে বছর দুই পাঁচ পুরোন আমলেরই হবেন। তাতেই এই। আমার বাবা যে ‘দেশ’ পড়া ছেড়েছেন তা নিয়ে আর তাঁকে দুষলে চলবে না।

লোকে দাবি করে সুরে যারা গাইতে পারতেন আগেই গেয়ে চলে গেছেন। যারা তুলি ধরে সোজা টান দিতে পারতেন তাঁরাও হাওয়া। বাংলাভাষায় কথা বলার লোকও আর নেই। এই শেষের কথাটা অবশ্য আমি নিজে বিশ্বাস করি। আমিও বুড়ো হয়েছি তো। একসময় যাঁদের খুব খারাপ লাগত বলে দাবি করতাম, যেমন শিলাজিৎ, আজকাল তাঁদের প্রতি রীতিমত আত্মার টান অনুভব করি। কারণ তাঁরা আমার মাতৃভাষায় কথা বলেন। শিলাজিতের পরের প্রজন্মের সেলিব্রিটিরা আর সেই ভাষায় কথা বলেন না। তাঁরা সেই ভাষাটার একটা পরিবর্তিত রূপে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার দিতে বসে বলেন, ‘ফর রিল্যাক্সেশন, লাইক, ইউ নো, ডগিকে নিয়ে এভরি মর্নিং ওয়াকে যাই।’ তাঁদের ভাষায় আমি আমার ভাষার টুকরোটাকরা ঝিলিক দেখতে পাই কিন্তু রিল্যাক্স করে শুনতে পারি না। এদিকে সম্প্রতি টিভিতে শিলাজিৎ মনোজদের অদ্ভুত বাড়ির শুটিং-এর মজার গল্প করছিলেন, সম্পূর্ণ আমার আমলের বাংলা ভাষায়। আমি পুরোটা বুঝতে পারলাম আর আমার খুব হাসি পেল আর শিলাজিৎকে আরেকটু বেশি পছন্দ হল।

আমাদের আমলের বাংলা ভাষাটা সত্যিই আর নেই। তবে সে নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই। ভাষা নদীর মতো, গত আটত্রিশ বছরে সে নদী অনেক বাঁক নিয়েছে, অনেক শাখানদী ছেড়েছে, অনেক উপনদী জুটিয়েছে, সে দিয়ে অনেক মড়া ভেসে গেছে, অনেক পরিশোধন প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ভেসেছে এবং এসবের পর যে চেহারাটা নিয়েছে সেটার সঙ্গে আমার মাতৃভাষার, অন্তত কথ্য চেহারাটার, মিল অল্পই। 

আমাদের সময় ঘোরানো ডায়ালের ফোন ছিল এখন নেই, আমাদের সময় লোকে বিনয় কাকে বলে জানত এখন জানে না, এ সব ছাড়িয়ে অনেকে দাবি করেন জীবনের আস্ত আস্ত অংশই আজকাল হাওয়া হয়ে গেছে। ইন্টারনেটে ঘুরলে নাইনটিজ কিংবা এইটিজ দশকের প্রতিভূ হিসেবে নমিক্সটেপ, ক্যাসেট, কমপ্ল্যানের ঝাপসা বিজ্ঞাপনে শাহিদ কাপুর - আয়েষা টাকিয়ার ছবি সম্বলিত নানা লিস্ট বেরোয়। কাজ ফাঁকি মারার জন্য আমি এই সব পোস্টের কমেন্ট পড়ি মাঝে মাঝে। কমেন্টে এসে কেউ কেউ মাথা চাপড়ান নব্বইয়ের দশকের পর যারা বড় হয়েছে তারা কেউ শৈশব কাকে বলে জানবে না। কেউ কেউ আরও স্পেসিফিক হন। পঁচানব্বইয়ে যাঁদের পাঁচ বছর বয়স ছিল তারাই শেষ নিজেদের শৈশবকে শৈশব বলে দাবি করতে পারে, তার পর আর নয়। এইটিজ-এর লিস্টের নিচে এই একই দাবি। পঁচাশি সালে যাঁদের বয়স সাড়ে সাত ছিল তাঁরাই শেষ শৈশবের অধিকারী তার পর থেকে বাজারে যে সব শৈশব বেরিয়েছে সব ফেক। আমি এঁদের কাউকে আশাহত করতে চাই না কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে আপনার শৈশবে যদি দুই দুই চার মাইল হেঁটে স্কুলে যাওয়াআসা না থেকে থাকে কিংবা স্কুলের মাস্টারমশাইরা জুলপিতে ওপরদিকে টান না দিয়ে কিংবা দুই আঙুলের মধ্যে উডপেনসিল রেখে আঙুল মুচড়ে শাস্তি যদি না দিতেন তাহলে আপনাদের শৈশবটাও আদ্যন্ত ফেক। আমার ঠাকুরদা বলে গেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই, বাকি সব হারিয়ে যাওয়া ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে লোকে যতটা উত্তেজিত হয় তার থেকে বেশি হয় শৈশব হারানো নিয়ে। এই থিমের একটা চমৎকার সিনেমা দেখলাম কিছুদিন আগে, নাম ‘হামি’। এঁরা চুরি যাওয়া শৈশব নিয়ে শুধু আফসোস না করে একজন চোরকেও খুঁজে বার করেছেন। সিসিটিভি। ‘হামি’ বানানেওয়ালাদের শৈশবে স্কুলটা স্কুলের মতো ছিল। জেলখানার মতো সেখানে করিডরে করিডরে সিসিটিভি ছিল না। আশ্চর্যজনকভাবে, পিডোফাইলও ছিল না। যেই না স্কুলে স্কুলে সিসিটিভি লাগান হয়েছে পিলপিল করে চতুর্দিক থেকে পিডোফাইল বেরোতে শুরু করেছে। এর পরেও লোকে দাবি করছে যে স্কুলে স্কুলে সিসিটিভি লাগানো হোক। ‘হামি’কর্তৃপক্ষ স্পিচলেস। 

আগেও অবান্তরে বলেছি বোধহয় যে অফিসের লিফটে কিংবা প্যান্ট্রিতে আমি আবহাওয়া এবং একমাত্র আবহাওয়া নিয়েই কথা বলতে স্বচ্ছন্দ। না হলে এ বছর কত ইনক্রিমেন্ট হয়েছে কিংবা সেম কাস্টে বিয়ে হয়েছে কি না এই সব বিষয়ের খপ্পরে পড়ার আশংকা থাকে। তাছাড়া ওয়েদার নিয়ে কথা বললে চট করে ঐকমত্যে পৌঁছনো যায়, সেটাও একটা প্লাস পয়েন্ট। গরমকালে সকলেরই গরম লাগে, বর্ষাকালে ছাতা না নিয়ে বেরোলে সকলেই ভিজে যায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শীতকালে বিষয় হিসেবে ওয়েদার নিজের অ্যাডভান্টেজ আর রক্ষা করতে পারছে না। একজনকে সেদিন বললাম, ‘কী ঠাণ্ডা পড়েছে না?’ তিনি বললেন, ‘কই এই তো আমি হাফ সোয়েটার পরে ঘুরছি। আগের মাস পর্যন্ত ঠাণ্ডা জলে স্নান করতাম। ঠাণ্ডা পড়ত আমাদের সময়।’ 

কিছুদিন আগে আমার সামনে সামনে দু’জন সহকর্মী হাঁটছিলেন। একজন জীবনে প্রথমবার মুম্বইয়ের বাইরে পা এবং পড়বি তো পড় দিল্লির নভেম্বরে। স্বভাবতঃই তাঁর খুব ঠাণ্ডা লাগছে। যিনি তাঁর পাশে পাশে হাটছিলেন তিনি প্রথমজনের ঠাণ্ডা লাগাকে নস্যাৎ করে দিয়ে বললেন, ‘আর ভাই, এ কী দেখছ, ঠাণ্ডা পড়েছিল টু থাউজ্যান্ড সেভেনটিনের জানুয়ারিতে। যে বছর আমি প্রথম দিল্লিতে এসেছিলাম।’ বাঁক ঘুরতে গিয়ে তাঁরা পেছনে ঘাপটি মেরে চলা আমাকে আবিষ্কার করে ফেললেন এবং সাক্ষী মানলেন। 'টু থাউজ্যান্ড সেভেনটিনের ডিসেম্বর দিল্লির লাস্ট লিজেন্ডারি উইন্টার কি না?’ হাতজোড় করলাম। এই সব ব্যাপারে আমার স্মৃতি অতি অকৃতজ্ঞ। আমাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কারওরই পক্ষ অবলম্বন করা হল না। আশা করলাম শীতসংক্রান্ত সমর্থন না পেয়ে কেউই চটবেন না।

কাগজে লিখেছে কত বছরের মধ্যে যেন পরশু দিল্লিতে কোল্ডেস্ট ডে ছিল। ভাবলাম আজ নিশ্চয় সকলেরই ঠাণ্ডা লাগবে। ভেবে প্যান্ট্রিতে দাঁড়িয়ে কফিতে চিনি গুলতে গুলতে বললাম, ‘আজ কী ঠাণ্ডা, তাই না?’ অমনি একজন বয়স্ক সহকর্মী বললেন, ‘এই একদিনের ঠাণ্ডায় কেয়া হোগা? বচপন মে তো রামলীলা দেখতে পাঠানোর সময়ও মা সোয়েটার না পরিয়ে ছাড়তেন না। কী সব শীতকাল ছিল আহা।’ আমি তাঁর সঙ্গে সঙ্গে চুক চুক করলাম বটে কিন্তু আমার আরেকটা কথাও মনে পড়ে গেল। আমার মাও আমাকে কালীপুজোর পর থেকে বউটুপি না পরিয়ে রাস্তায় বের করতেন না। নিজে যদিও হাফসোয়েটারও পরতেন না। নভেম্বর মাসে আমার গায়ে লেপ চাপা দিতেন এবং নিজে কাঁথা গায়ে দিয়ে ফুরফুরে হয়ে ঘুমোতেন। হতে পারে আমার সহকর্মীদের শৈশবে সত্যিই শীত বেশি পড়ত। কিন্তু ছেলেমেয়েদের কখন সোয়েটার টুপি পরাতে হবে সেই সম্পর্কে তাঁদের আমলের মায়েদর সিদ্ধান্তের বিশ্বাসযোগ্যতা যতখানি কম ছিল, আমাদের আমলেও ততখানিই কম ছিল। ওই একটা জিনিসের এই আমলেও বিশেষ উন্নতি হয়েছে বলে মনে হয় না। আমার মা যেমন এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর যুগেও দাবি করেন এ বছরের মতো শীত আর আগে কখনও পড়েনি আর সেই জন্যই আগের বছরগুলোতে না পরলেও এ বছর আমার অবশ্য করে বউটুপি পরা শুরু করা উচিত।


Comments

  1. Replies
    1. থ্যাংক ইউ, তিন্নি।

      Delete
  2. Aajkal to sobai phone Matha guje thake kotha kom bole eta niye amar kono doubt nei..obsyo kane kichu guje rakhar upokaritao kom no I abhik



    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ, আমি তো অনেকসময় কিছু না শুনলেও কানে ইয়ারফোন গুঁজে রাখি, অভীক।

      Delete
  3. Eirokom to amaro mone hoy.. age sheet porto.. komola lebu mishti chilo.. nolen gurer gondho onek bhalo chilo.. sereche.. buri holam naki.. haha.. tumi je abar sahos kore shibaprasad er cinema dekhecho tar ek khana review diyo parle..:)

    ReplyDelete
    Replies
    1. রিভিউ দিলে খালি নিন্দেই করতে হত। তাছাড়া দেখার সময় একবার ব্লাডপ্রেশার বেড়েছিল, রিভিউ লেখার সময় আরও একবার সব মনে করে ব্লাডপ্রেশার বাড়াতে হত, সেই সব ভেবে আর লিখলাম না।

      Delete
  4. বউটুপি ? ETA ki monkey tupi r Bangla, na onyo kichu?

    ReplyDelete
    Replies
    1. Btw, haami cinema jara baniyeche tader ekta lifetime achievement type kichu diye aro cinema banano theke nirosto korte parle bhalo hoto

      Delete
    2. এইটা হচ্ছে বউটুপি, শিবেন্দু।

      https://www.youtube.com/watch?v=tb5GvWshYn0

      হামি তো চমৎকার রিভিউ পেয়েছে সর্বত্র। সকলেই বলেছেন শৈশবের এসেন্স এমন সার্থকভাবে কম সিনেমাতেই ধরা পড়েছে। কাজেই ওঁরা আমারআপনার মুখে ছাই দিয়ে আরও অনেক কিছু অ্যাচিভ করবেন, চিন্তা নেই।

      Delete
  5. তোমার ব্লগের আসলে ঠোঁটের কোনে একটা হাসি বেশীর ভাগ গদ্যেই খেলে যায় ...এই মজাটা আগের জেনারেশনেও ছিলো আর আমাদের জেনারেশনেও আছে দেখে স্বস্তি বোধ করছি ।
    ভারী ভালো লাগ্লো :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, প্রদীপ্ত।

      Delete
  6. মোটামুটিভাবে একমত। আর এখন technology এসে গিয়ে সমস্ত প্রজন্মের সব হিসেব ঘে৺টে দিয়েছে। ব‍্যাপার যে কোনদিকে গড়াচ্ছে জানিনা।

    ReplyDelete
    Replies
    1. দিক না জানলেও সঙ্গে সঙ্গে গড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় নেই। সবাই মিলে তাই যাই চলুন।

      Delete
  7. Daarun laglo..

    bangla bola niye chinta amaro bereche.. aami probasi bangali kintu bangla medium school e porechi.. chirokal bangla ke khub "taken for granted" korechi.. aar golper boi chara banglar exposure o kom chilo.. ekhon buro boyese bhaijhike bangla sekhanor nijer akulota dekhe nijei obak hocchi.. ekhon bangla onek kichui oto bhalo na holeo beshi bhalo lage.. jodio nije ekta sentence je tinte language jani, sob mishiye pheli ekhono..

    Desh er byapare apnar babar sathe ekmot.. chotobelay desh pora allow chilo na.. tarpor jokhon boro hoye porte gelam (onek late e) tokhon kichutei taal millo na..

    bou tupi ta ki? sei je ekrokom scarf (maane aami oi term tai shunechi) hoto, chibuker tolay bnadha jeto?

    aamaar maa sheetkal e lep baar korte chaiten na mote.. bishesh kore kolkatay asar por theke.. :)

    Mumbai er loker delhi giye ki hoyeche bhebe haschi.. aamaar genuinely aar ektao sweater shawl kicchu nei..

    aamaar kothai likhe phellam beshi.. khub resonate korlo lekhata.. khub bhalo laglo

    khub bhalo thakun

    Indrani

    ReplyDelete
    Replies
    1. বউটুপিকে একেবারে যথার্থ চিহ্নিত করেছেন, ইন্দ্রাণী। ওই চিবুকের তলায় গেরো বাঁধা জিনিসটিই। আপনার কথাই তো লিখবেন, আমার কথা তো আমি পোস্টেই লিখেছি। কমেন্টটা আপনার কথা লেখারই জায়গা। কাজেই বিন্দুমাত্র সংকোচ করবেন না।

      লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment