জয়পুর ১
কামরার এদিকে দুটো সিটের সারি। ওদিকে তিনটের। আমাদের সিট ওদিকটায়। তিরিশ একত্রিশ। বত্রিশে অন্য কেউ বসবে। একত্রিশে আমি। তিরিশের জানালায় অর্চিষ্মান। ওর জন্য উইন্ডোসিট প্রেফারেন্স দিয়েছিলাম। অর্চিষ্মান শিভ্যালরাস হাত ছড়িয়ে আমাকে জানালার দিকে চালিত করল। বললাম, সিরিয়াসলি? অর্চিষ্মান মুখ এক্সট্রা উদাস করল। আর কী। অ্যাকসেপ্ট করলাম বটে কিন্তু মনে মনে স্থির করলাম যে ফেরার পথে করব না (করিওনি)। ফেরার পথেও ওর উইন্ডোসিট, আমার উইন্ডোর পাশের। যদিও ফেরার পথে সন্ধে হয়ে যাবে, জানালা দিয়ে বেশিক্ষণ দেখা যাবে না। সকালে গোটা রাস্তাটাই দেখা যাবে। টোটাল সাম্যবাদ হবে না। নিজেকে সান্ত্বনা দিলাম। ইন্টেনশনটাই আসল।
ল্যাপটপ মেললাম। যেন যত জমা কাজ নেক্সট সাড়ে চারঘণ্টায় শেষ করে ফেলব। শতাব্দীতে প্লাগ পয়েন্ট নর্ম্যালি দেওয়ালে থাকে, নেই। অর্চিষ্মান বলল, দেখ সিটের নিচে আছে হয়তো। অর্চিষ্মান ল্যাপটপ বার করল। নিজের ব্যাকপ্যাক তুলল বাংকে। তোমারটা তুলব? তোলাই যায়, কিন্তু নিজেকে চিনি, তোলার পরমুহূর্ত থেকে মনে হবে ওটা ভেতরে রয়ে গেল, সেটা বার করা হল না। এক্ষুনি বার না করলে প্রাণ বেরিয়ে যাবে। তার থেকে পায়ের কাছে থাক।
আমি ফস করে নামিয়ে ফেলেছি, অর্চিষ্মান সামনের সিটে সাঁটা ট্রে নামাতে ঘেমে যাচ্ছে।। হাত লাগালাম। নতুন সিট, নতুন ট্রে। টাইট। কামরাটা নতুন মনে হয়। শতাব্দীর চেয়ারকার এত চকচকে দেখিনি সাধারণত। নিউ দিল্লি-আজমের শতাব্দী। সকাল ছ’টা দশে এন ডি এল এস ছেড়ে বেলা দশটা পঞ্চাশে জয়পুর জংশন।
অনেকদিন ধরে চাপানউতোর চলছে। একটা কোথাও গেলে হয়, বলছে একজন। অন্যজন উত্তর দিচ্ছে , বল কোথায় যাবে? আমার কোনও জায়গাতেই অসুবিধে নেই। উল্টোজন হার মানবে কেন, তারও কোথাও একটা গেলেই হয়। প্রত্যেকবার এই জায়গায় এসে স্টেলমেট। সেদিন অন্যরকম হল কারণ সেদিন আমি অন্যদিনের থেকে বেশি বোর হচ্ছিলাম। অর্চিষ্মান বলে জীবনের একটা বিষয়ে ও আমার থেকে ডিরেক্ট ইন্সপিরেশন পেয়েছে। ওর কোটি কোটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের একটার বায়ো নাকি অবান্তরের বায়ো থেকে টোকা। বোরড। এই একটা শব্দ আমাকে যত ট্রুথফুলি বর্ণনা করে, আর কোনও শব্দ করে না। চানখাওয়া লেভেলের গতানুগতিক সিদ্ধান্ত ছাড়া, আমার জীবনের সমস্ত সিদ্ধান্তের পেছনে এই একটি বিষয় দায়ী। বোরডম। যে সিদ্ধান্ত যত বেশি বোর হয়ে নেওয়া, জীবনে তার প্রভাব তত তীব্র।
সেদিন থার্ড ওয়েভের দোতলায় বসে মাঝারি লেভেলের বোর হচ্ছিলাম। কিচ্ছু কাজ হচ্ছিল না। উল্টোদিকে বসে অর্চিষ্মান এত বেশি কাজ করে ফেলছিল যে টেনশনের চোটে আমার আরও কম কাজ হচ্ছিল। ব্রাউজারে দিল্লি টু জয়পুর বাই বাস টাইপ করলাম। অর্চিষ্মান টাইপ করতে করতে বলল, আহা, বাই বাস আবার কেন, বাই ট্রেন ক্ষতি কী করল।
ক্ষতি কিছুই না, বৃথা পরিশ্রম। যেতে হলে দু'তিনদিনের মধ্যে যাব, শতাব্দীর চেয়ারকারের টিকিট এত ঘনাঘন পাওয়া যায় নাকি? গেল। যাওয়ার টিকিট। আসার টিকিট। সব কনফার্মড। আর টি ডি সি-র রুম ফাঁকা। বুক করে ফেললাম। পরশু বাদে তরশু রওনা। বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়ে দুপুরে পৌঁছব। বৃহস্পতিবার হাফ দিন ফুল রাত, শুক্রবার ফুল দিন ফুল রাত, শনিবার ফুল দিন কাটিয়ে সন্ধের শতাব্দীতে ব্যাক।
জয়পুর অর্চিষ্মানের প্রথম, আমার তৃতীয়বার। এমন একটা জায়গা বাছলেই হত যেখানে দুজনেই প্রথম। আমি অবশ্য প্রথমকে অত গুরুত্ব দিই না। লোকে প্রথম প্রেম প্রথম প্রেম করে হেদিয়ে মরে, আমার মাথায় ঢোকে না। প্রেমিক রিপিট না হলে সব প্রেমই প্রথম প্রেম। বাবামায়ের তত্ত্বাবধানে গরমের ছুটিতে আঠেরো দিন ধরে বাসে চড়ে রাজস্থানে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়ানোর ট্রিপে জয়পুর এসেছিলাম। আবার সারারাত না ঘুমিয়ে একপাল নেশাখোরের সঙ্গে পাঁচমিনিটের প্ল্যানিং-এ বেরিয়েও জয়পুর এসেছি। দুটো জয়পুরের কোনও মিল থাকা সম্ভব?
অর্চিষ্মানের সঙ্গে বেড়ানো জয়পুরও প্রথমবার জয়পুর বেড়ানোই হবে। ভোর পাঁচটায় উবার ডেকে দিল্লির রাতের রাস্তা পার হয়ে এসে এন ডি এল এস। দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝাটাই নর্ম। যেমন কোনও শিশুই শৈশবের মর্ম বোঝে না, যেমন দ্বিতীয় তৃতীয় চতুর্থ প্রেমে পৌঁছে প্রথম প্রেমের প্রতি আকুলতা বাড়ে (যাঁরা আগেপরের গুনতিতে বিশ্বাসী তাঁদের)। দিল্লির রাতের রাস্তারা আলাদা। রিয়েলটাইম নস্ট্যালজিয়ায় ভোগানোর আশ্চর্য প্রতিভা এদের। ট্যাক্সির কাচ বা অটোর ফোঁকর দিয়ে দৌড়ে যায় হলুদ আলোজ্বলা অলৌকিক রাস্তারা, ফাঁকা ফ্লাইওভার, বড় বড় নিশ্চুপ গাছেদের মাথা ছাপিয়ে ওল্ড ফোর্টের দলাপাকানো ছায়া। বুক ঢিপঢিপ করে। ভয়ে নয়, শোকে। গেল গেল, যা যা ভালোলাগার, ভালোবাসার সব গেল। সব চলে যাচ্ছে। আর কোনওদিন ফিরে না আসার জন্য।
নিউদিল্লি আজমের শতাব্দীর প্ল্যাটফর্ম দশ। টোটাল ষোলোটা প্ল্যাটফর্ম কাজেই পাহাড়গঞ্জ দিয়ে ঢোকাও যা, আজমেরী গেট দিয়েও তাই। আজমেরী গেট বাছি। পাহাড়গঞ্জ ইজ টু মাচ। রিয়েল ইন্ডিয়া খুঁজতে বেরোনো মাসের পর মাস চান না করা হিপি ফরেনার ছাড়া ও জিনিসের মধ্যে কেউ যেচে পড়ে না। আজমেরী গেট সে তুলনায় কণ্বমুনির আশ্রম। কুলিভাইসাবদের ভিড় থেকে উড়ে আসা 'ম্যাডাম কুলি লাগেগা?'র উত্তরে 'নেহি ভাইসাব' বলতে বলতে এগোই। ছড়ানো চত্বরে চাদরমুড়ি দিয়ে টান টান শোয়া ঘুমন্ত মানুষ। কনভেয়ার বেল্টে ব্যাগপত্র চাপিয়ে ডিটেক্টরের গেট গলি। দুজনের দুটো ল্যাপটপওয়ালা ব্যাকপ্যাক আর বাবার কাছ থেকে গাপ করে আনা কক্স অ্যান্ড কিংস-এর হাতব্যাগ, যার অর্ধেক ফাঁকা। দুজনের আড়াইদিনের ভ্রমণের জন্য ওর বেশি লটবহর হয় না। ডিটেক্টর গ্যাঁ শব্দ করে, কনভেয়ারের টিভিতে চোখ রাখা পুলিসভাইসাব হাই তুলে আড়মোড়া ভাঙেন। একেকসময় মনে হয় একটা বোমা জোগাড় করে ব্যাগে রাখি, জাস্ট দেখার জন্য কেউ ধরে কি না। মা যেমন রেগুলারলি ভাবতেন ভিড় বাসে একদিন পকেট মেরে দেখবেন কী হয়। মা পকেট মারেননি। আমিও বোমা জোগাড়ে নামছি না।
ওভারব্রিজের আলোজ্বলা বোর্ডে ট্রেনের নাম দেখে প্ল্যাটফর্মে নেমে দেখি ট্রেন অলরেডি দাঁড়িয়ে। সাদা রং-এর চকচকে গা। কামরার ভেতর উজালা সাদা আলো। টাইম আছে মিনিট পঁচিশ। স্টল থেকে চা কিনল অর্চিষ্মান। বিনা শক্করওয়ালা নেহি মিলেগা জেনে আমি মুখ ব্যাজার করলাম। অর্চিষ্মান ফ্যান্টার বোতল দেখলে নিজেকে সামলাতে পারে না, সেটা একটা নেওয়া হল আর একটা চিপসের প্যাকেট। সেটাকে সামনের সিটের পকেটে ঢোকানোর আগে চোখের সামনে তুলে ধরে সবে থেমে থেমে উচ্চারণ করেছি 'টমেটো সালসা', অর্চিষ্মান বলছে, কী পছন্দ নয় তো? ব্যথিত এবং আকাশ থেকে পতিত এক্সপ্রেশন পাঞ্চ করে বলছি, এমন ভাব করছ যেন আমি তোমার কোনও পছন্দই এনডোর্স করি না? অর্চিষ্মান বলছে, কর নাই তো। দশটার মধ্যে সাড়ে ন'টাই অপছন্দ কর।
এইসব দাম্পত্য প্লেজেন্ট্রি বিনিময় চলতে চলতে বেঁটেখাটো, গোলগাল ভদ্রলোক কামরার ওই প্রান্তের দরজা দিয়ে উঠে সমস্ত ফাঁকা সিটের সারি পেরিয়ে আমাদের সিটের পাশে এসে দাঁড়ালেন। হাতে চামড়ার কেজো ব্যাগ। মুখ অল্প হাঁ। ভুরু কুঁচকে সিটের নম্বর পড়ছেন। আমার প্রতিটি রক্তবিন্দু, প্রতিটি নিউরন প্রেডিক্ট করতে পারছে ভদ্রলোক এক্ষুনি কী বলে উঠবেন।
এক্সকিউজ মি, আপলোগোকা নম্বর কেয়া হ্যায়?
উল্লাস চেপে বলছি, থার্টি অ্যান্ড থার্টি ওয়ান।
ভদ্রলোকের কনফিউশন ঘনতর হল। দিস ইজ সি ইলেভেন, রাইট?
বিলকুল। হাঁটু নাচাচ্ছি।
লোকে সিট খুঁজে পাচ্ছে না, এর ওর কাছে গিয়ে 'আপনি আমার সিটে বসেছেন' বলে চমকাচ্ছে, এমন সময় দিখাইয়ে টিকিট, বলে প্রায় টিকিট, অনেকসময় ফোনও, হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে ভুল ধরিয়ে দেওয়াটা আমার ট্রেনে বা প্লেনের ফেভারিট টাইমপাস। দিশাভ্রষ্ট লোকজনকে সঠিক পথে চালনা করার থেকে কিক কম আছে। সাধে কি গুরুগিরি এত পপুলার প্রফেশন।
ইয়ে চণ্ডীগড় যা রহি হ্যায় না? ভদ্রলোক মরিয়া।
চোখেমুখে বিস্ময় ও আতংকের ককটেল ফোটালাম। কী বলছেন, এটা তো আজমের যাচ্ছে। জয়পুর হয়ে।
ভদ্রলোক দ্বিতীয় শব্দ না করে ব্যাগ তুলে দরজার দিকে ছুটলেন। গুড জব ওয়েল ডান বলে নিজের পিঠ চাপড়ে ফোনে অবান্তরের ড্যাশবোর্ড আবারও রিফ্রেশ করে দেখছি ভিউ বাড়ল কি না, অর্চিষ্মানও দেখি সিট ছেড়ে উঠে ভদ্রলোকের পেছন পেছন ছুটেছে। তিরিশ সেকেন্ড পর অর্চিষ্মান ছুটতে ছুটতে ফিরল। ভদ্রলোক অর্চিষ্মানের পেছন পেছন। দুলকি চালে, মুচকি হেসে।
হ্যাঁচকা দিয়ে ব্যাগ নামাচ্ছে অর্চিষ্মান। এটা চণ্ডীগড়। ওটা জয়পুর।
প্ল্যাটফর্মের ওপাশের লাইনে একটা নোংরামতো ট্রেন কখন এসে দাঁড়িয়েছে। পাওয়ার কর্ড, ল্যাপটপ গুটিয়ে নামে এ ট্রেনে এসে ওঠা মাত্র ওদিকের ট্রেন ছেড়ে বেরিয়ে গেল। চোখা এঞ্জিন চোখ মেরে নিজেকে চিনিয়ে দিয়ে গেল। বন্দে ভারত। এটা যে শতাব্দী তাতে সন্দেহ নেই। চেয়ারের ঢাকনার অরিজিন্যাল প্রিন্ট শিবের বাবাও ফিগার আউট করতে পারবে না, প্লাগপয়েন্ট দেওয়ালে ড্যাবড্যাব করছে, আলোর সাদায় সে তেজ নাই শিং নাই ল্যাজ নাই।
কার ভুলে এ জিনিস হল সে স্লিপারি স্লোপে না নামার বুদ্ধি দশ বছরে জোগাড় হয়েছে। এ রকম টুকটাক ভুলই বেঁচে থাকার প্যাকেজ ডিল ভঙ্গিতে সিটে সেটল হলাম। আগেপিছের সিট ধীরে ধীরে ভরে উঠতে লাগল। ভাগ্যিস ভদ্রলোক এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় কেই বা আর চণ্ডীগড় যাচ্ছে। হতেই পারত আমাদের সিটে কেউ এল না। টিটি না আসা পর্যন্ত জানতেই পারতাম না জয়পুরের বদলে চণ্ডীগড় চলেছি।
ট্রেন ছাড়ল। চা এল। চুমুক দিয়ে অর্চিষ্মান বলল, চণ্ডীগড় চলে গেলে কী হত বল দেখি? চোখ গোল গোল করে মাথা নেড়ে আতংকের ভঙ্গি করলাম। মনে মনে ভাবলাম, কী আর হত। অবান্তরের পোস্টের শিরোনাম জয়পুরের বদলে চণ্ডীগড় ভ্রমণবৃত্তান্ত রাখতে হত।
বাবামায়ের তত্ত্বাবধানে গরমের ছুটিতে আঠেরো দিন ধরে বাসে চড়ে রাজস্থানে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেড়ানোর ট্রিপে জয়পুর এসেছিলাম। আবার সারারাত না ঘুমিয়ে একপাল নেশাখোরের সঙ্গে পাঁচমিনিটের প্ল্যানিং-এ বেরিয়েও জয়পুর এসেছি। দুটো জয়পুরের কোনও মিল থাকা সম্ভব?
ReplyDeleteAlmost ditto debaar moto experience. sudhu goromer bodole pujor chhuti.
bhul train-e eto confidently uthte ekta onno rokom moner jor chai. shabaash
😀 আসলে চল্লিশ পেরোলে বোঝা যায় যে একেবারে মরে না গেলে এভরিথিং ইজ অলরাইট। আর মরাও তো ঠেকানো যাবে না। জয়পুর চণ্ডীগড় চুলচেরাচিরি মিনিংলেস।
DeleteBhul train e othar obiggota to bhoyaboho!!!
ReplyDeleteভয়াবহ হতে পারত, সায়ন। কান ঘেঁষে বেরিয়েছে।
Deleteওরে বাবা কুন্তলা- ভুল ট্রেনে উঠে পড়েছিলে! 😀
ReplyDeleteআর বলবেন না, অমিতা।
Deleteবেশ এক্সসাইটিং বেপার। তবে ভুল ট্রেনে উঠে ঘুরে আসার অভিজ্ঞতা কিন্তু একটুর জন্যে মিস হয়ে গেলো। এটা তো আর প্ল্যান করে করা যায় না !
ReplyDeleteসেটাই তো রাজর্ষি। জীবনে যা-ই হয়, অন্য কিছু একটা মিস হয় যায়।
Deletebaah darun byapar hoto kintu Chandigarh chole gele!!! khub bhalo kore ghurun Jaipur.
ReplyDeleteআমিও সেটাই ভাবছিলাম, সুস্মিতা। জয়পুর ঘোরা শেষ। এখন আবার পুনর্দিল্লি ভব।
Deleteএকটা একটা বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা হত বটে। তবে যাই হয়েছে ভালোই হয়েছে। দিনের শেষে আজকাল মনে হয় আনন্দ পাওয়াটাই শেষ কথা।
ReplyDelete-প্রদীপ্ত
একদম, প্রদীপ্ত। সেই জন্যই ওই মোমেন্টটাকে টেনশনের বদলে ফুর্তির রাখাই প্রেফার করেছি।
Delete