একটা ছোট্ট গল্প


যখন অবান্তর শুরু করেছিলাম, বা বলা ভালো শুরু হয়েছিল নিজে নিজেই, তখন তো কোনও স্পষ্ট ধারণা ছিল না যে ব্যাপারটা কী দাঁড়াতে চলেছে, অনেকটাই এর দেখে তার দেখে এগোনো। একজনের দেখে দেখে লে-আউট খানিকটা টুকলাম তো আরেকজনের দেখে দেখে গ্যাজেট অ্যাড করলাম। এই ভাবে কুড়িয়েবাড়িয়ে যে সব জিনিসপত্র জোগাড় হয়েছিল সেগুলোর কয়েকটা টিকে গেছে, কয়েকটা আপনা থেকেই বিদেয় হয়েছে।

অবান্তরের আদ্যিকালের পাঠকরা হয়ত মনে করতে পারবেন, অবান্তরে একসময় ট্যাগ/লেবেল ব্যাপারটা ছিল। প্রতিটি পোস্টের নিচে লেখা থাকত, এইটা ‘বাজে গল্প’, এইটা ‘আমাদের আমলে’ সব কী ভালো ছিল সেই নিয়ে ‘কাঁদুনি’, এইটা ‘নিন্দেমন্দ’ ব্লগের ডানদিকে সেই সব লেবেলের একটা লম্বা তালিকা থাকত যেটা দেখা বোঝা যেত আমি ক’টা বাজে গল্প লিখেছি, ক’টাতেই বা কাঁদুনি গেয়েছি, ক’খানা পোস্টেই বা পরনিন্দার বান ডেকেছি। অচিরেই বুঝতে পারলাম যে অবান্তরের সব গল্পই আসলে বাজে তাই আর বেকার বাছাবাছির চক্করে না গিয়ে গোটা ব্যাপারটাকেই উড়িয়ে দেওয়া হল

সেই ট্যাগ বা লেবেলের ভিড়ে একটা লেবেল ছিল ‘বেঁটে বজ্জাত’। আমি ভেবেছিলাম বাচ্চা এত ভালোবাসি যখন, অবান্তরে নিশ্চয় বাচ্চা নিয়ে অনেক গল্প থাকবে। সেগুলোকে ওই লেবেলের খোপে রাখা যাবে বেশ। কিন্তু দু’বছরে বাচ্চা নিয়ে মোটে তিনটে পোস্ট জমার পর সন্দেহ হল, কী জানি অত ভালোও বোধহয় বাসিনা। তারপর তো ট্যাগের পাটই চুকে গেল।

এত গৌরচন্দ্রিকার ঠেলায় নিশ্চয় বুঝেছেন যে আজ আপনাদের যে গল্পটা শোনাতে চলেছি তার মুখ্য চরিত্রে রয়েছে একটি বেঁটে বজ্জাত। গল্পটা আমার এবং আমার মায়ের ভীষণ প্রিয়। এতই প্রিয় যে গল্পটায় পার্শ্বচরিত্রে আরও যারা অভিনয় করেছিলেন তাঁদের রাস্তাঘাটে দেখলেই আমরা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসি।

“মনে আছে মা?”

“নেই আবার?”

গল্প গল্প করছি বটে কিন্তু ঘটনাটা আদ্যোপান্ত সত্যি। সালটা ধরুন এই দুহাজার দুই কি তিন হবে, মাসটা মনে নেই, দিনটাও না, কিন্তু সময়টা সন্ধ্যে নামার বেশ খানিক পরে। আমাদের বাড়ির সামনের রাস্তাটা অন্ধকার। আর গোটা রাস্তার মধ্যে আমাদের বাড়ির সামনেটুকু আমগাছের ছায়া পড়ে একেবারে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে আছে।

এমন সময় আমাদের সামনের গ্রিলে ঠং ঠং করে শব্দ হল। তার কিছুদিন আগেই অবশ্য বাড়িতে কলিং বেলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, কিন্তু সে বেলের সুইচ দিনের বেলাতেই কেউ দেখতে পায় না, রাতের কথা তো ছেড়েই দিন। অবশ্য দেখতে পেয়েও লাভ হয়না বিশেষ। যারা আসেন তাঁরা খটাখট দু’বার বেল বাজিয়ে, ঠং ঠং করে গ্রিল নাড়িয়ে, “মেজদা/ বৌদি/ মাসিমা, আছেন না কি?” চেঁচান। কোনো একটা ডাকের উত্তরের অপেক্ষা না করেই। সবরকম ভাবেই আসার ঘোষণা করে দেওয়া হল, এইবার যেটা কাজে লাগে আরকি।

যাই হোক। সেদিন সন্ধ্যেবেলা আমাদের বাড়িতে ঠং ঠং করে গ্রিল বাজল আর পরক্ষণেই একটা গম্ভীর গলা বলে উঠল, “মেজদা আছেন?”

বাবা টিভি থেকে চোখ না সরিয়েই বললেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ তারক, আছি আছি। সোনা, টেবিলের ওপর খবরের কাগজের বিল আর টাকাটা রাখা আছে, নিয়ে আয় তো শিগগির।”

তারক ছিলেন আমাদের খবরের কাগজের ডিলার। স্টেশনের কাছে তারকের বইপত্র, ম্যাগাজিনের ছোট দোকান ছিল, এখনও আছেসেখানে রোজ শেষরাতে ছোটখাট মেলা বসে যায়।  হাজার হাজার অল্পবয়সি ছোকরা, হাজার হাজার সাইকেল নিয়ে ভিড় করে। ফার্স্ট ট্রেনে বান্ডিল বান্ডিল খবরের কাগজ আসে, সেগুলো মাটিতে ছড়িয়ে পেতে ব্যস্ত হাতে ভাগবাঁটোয়ারা হতে থাকে। তারপর ভাগ হওয়া কাগজের বোঝা নিয়ে সাইকেলবাহিনী পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণে ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে টিং টিং ঘণ্টি বাজাতে বাজাতে প্রবল বেগে ধেয়ে যায়। এরপর শুধু বাড়ির সামনে থেমে হ্যান্ডেলে আটকানো ঝুড়ি থেকে কাগজ টেনে বার করে, পাকিয়ে, টিপ করে বাড়ির ভেতর ছুঁড়ে দেওয়া। অব্যর্থ টিপ, তীরের মতো গতি। একবার মর্নিং ওয়াকের নামে বাগানে আলতো পায়চারি করার সময় কাগজের কক্ষপথে আমার নাক ঢুকে পড়ায় মিনিটখানেকের জন্য চারদিক অন্ধকার দেখেছিলাম মনে আছে।

যাই হোক, টাকা নিয়ে এসে গ্রিলের তালা খুলে দিতে তারকবাবু হাসিমুখে ঘরে ঢুকে এলেন। বাবু বলাটা নেহাতই বাড়াবাড়ি যদিও। তখন তারকের বয়স কত হবে, এই এখনকার আমারই মতো, একত্রিশ বত্রিশ। বাবার হাত থেকে টাকা নিয়ে, মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে, “কী বৌদি, আপনাকে দেখি না যে ক’দিন, শেওড়াফুলি ধরছেন না নাকি আজকাল?” বলে তারক খেজুরে আলাপ করতে লাগল।

মিনিট পাঁচেক কাটার পর হঠাৎ শুনি বাইরের অন্ধকার থেকে একটা মিহি আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

ভালো করে কান পাততেই শোনা গেল কে যেন বলছে, “বাবা, বাবা, ও বাবা।”

আমরা একে অপরের দিকে চাইতেই তারক তাড়াতাড়ি বলল, “ও কিছু না, আমার ছেলেকে বাইরে সাইকেলে বসিয়ে রেখে এসেছি কি না, তাই ডাকাডাকি করছে।”

মা বাবা আকাশ থেকে পড়লেন।

“সাইকেলে বসিয়ে এসেছ মানে? কতটুকু ছেলে?”

জানা গেল বাড়িতে হুজ্জুতি করছিল বলে স্ত্রীর মিনতিতে তারক তার তিন বছরের ছেলেকে সাইকেলে চাপিয়ে টাকা আদায়ে বেরিয়েছিল। কিন্তু প্রত্যেকবার ছেলেকে সাইকেল থেকে নামাও রে, বাড়ির ভেতর আনো রে, জুতো খোলাও রে, পরাও রে, আবার সাইকেলে চড়াও রে---এত সব ঝামেলা পরিহার করার জন্য সে সাইকেল সহ ছেলেকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে প্রত্যেক বাড়িতে ঢুকছে এবং নিজের কাজ সারছে।

ছেলেটি হীরের টুকরো বলতে হবে। বাবার এমত আচরণে ট্যাঁ ফো করেনি (কিংবা হয়ত ট্যাঁ ফো করা চলবে না এই শর্তেই বেড়াতে বার করা হয়েছে, সেটাও হতে পারে)। কিন্তু আমাদের অক্টোপাসের মতো ডালপালা ছড়ানো ঝুপসি আমগাছের তলায় বসে বেচারার সাহসে টান পড়ে গেছে। সাইকেলের ক্যারিয়ারে বন্দী হয়ে বসে বেশি নড়াচড়াও করতে পারছে না, নড়লেই পতন অব্যর্থ। তার ওপর হাফপ্যান্ট পরা পায়ে মশার আক্রমণ। সব মিলিয়ে বেচারা একেবারে নাচার হয়ে পড়েছে।

অগত্যা মিহিগলায় বাবাকে তাড়া দেওয়া ছাড়া উপায় কী?

মা তারকের দিকে বজ্রদৃষ্টি হেনে ছুটে বারান্দায় বেরিয়ে এলেন। “ছি ছি ছি, কাণ্ড দেখেছ? এইটুকু ছেলেকে অন্ধকারের মধ্যে বসিয়ে রেখে, আহারে, এস বাবা ঘরে এস...”

বাবা মাথা নেড়ে বললেন, “সত্যি তারক, তুমিও যেমন, ছেলেকে ঘরের ভেতর নিয়ে আসবে তো।”

তারক লজ্জা লজ্জা মুখে ব্যস্ত হয়ে বলতে লাগল, “আরে না না আমি তো এক্ষুনি চলে যাচ্ছি, কিচ্ছু হবে না...”

এদিকে এত চেঁচামেচি শুনে তারকপুত্রের গলায় একটু জোর এল। আমার মায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সে অন্ধকার থেকে চেঁচিয়ে বলল, “সাইকেল থেকে নামতে পারছি না তো। কী করে যাব?”

মা বললেন, “এই তো বাবা তোমাকে নিয়ে আসবেন। চলে এস।”

আমগাছের তলার গলার আওয়াজ ক্রমশই উৎসাহী হয়ে উঠতে থাকল। বাবার আদেশ অমান্য করে সাইকেল থেকে নেমে অচেনা লোকের বাড়িতে ঢোকাটা কতখানি জাস্টিফায়েড হবে জানার জন্য প্রশ্ন এল, “তোমাদের বাড়িতে ক্রিম বিস্কুট আছে?”

মা একেবারে অভিভূত হয়ে পড়ে বললেন, “আছে বাবা আছে, তুমি এস শিগগির।”

ততক্ষণে আমাদের বারান্দায় বেশ একটা ভিড় জমে গেছে। আমি, বাবা, মা, তারক। শিশুকণ্ঠের আওয়াজ শুনে ঠাকুমাও, “দেখি কে আইসে” বলে খচমচিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। হঠাৎ এত লোক এসে পড়ায় তারক ভয়ানক বিব্রত হয়ে পড়ল। ছেলেকে এক ধমক দিয়ে পায়ে জুতো গলাতে গলাতে বলল, “আর বিস্কুট খেতে হবে না, এই তো আমি এসে গেছি, বাড়ি চল। মা বসে আছে।”

ঘটনাপ্রবাহ দেখে বারান্দার এবং আমগাছের তলার, দুপক্ষের জনতাই বেশ হতাশ হয়ে পড়ল। মা বললেন, “কী আর করা যাবে বাবা, আজ তো হল না, তুমি কিন্তু আমাদের বাড়িতে অবশ্য করে এস একদিন বাবার সঙ্গে। কেমন?”

তারক সাইকেলের প্যাডেলে চাপ দিতে দিতে নিচু গলায় ছেলেকে ভদ্রতার পাঠ দেওয়ার চেষ্টা করল। “বল, আসব। তোমরাও আমাদের বাড়িতে যেয়ো। বল।”

বাধ্য ছেলে চেঁচিয়ে বলল, “তোমরা আমাদের বাড়িতে যেয়ো। আমিও তোমাদের বাড়িতে আসব।”

ততক্ষণে তারক প্যাডেলে চাপ দিয়েছে। দু’সেকেন্ড চুপ করে থেকে শেষ ধোঁয়াশাটা কাটানোর জন্য তারকের ছেলে জিজ্ঞাসা করল, “মা’কে নিয়ে আসব তো?”

তারক “অ্যাই, এসব বলতে নেই” বলে ধমকে উঠতে না উঠতেই বারান্দা থেকে আমরা হইহই করে উঠলাম। “নিশ্চয় নিশ্চয়।” মা ভয়ানক অপ্রস্তুত হয়ে তাঁর নেমন্তন্নের অপটুতা ঢাকতে বার বার বলতে লাগলেন, “মা, বাবা, বাড়ির সব্বাইকে নিয়ে আসবে বাবা...”

ওদিক থেকে তীক্ষ্ণ শিশুকণ্ঠের “টা টা” চলন্ত সাইকেলের সঙ্গে দূরে যেতে যেতে মিলিয়ে গেল।

ভীষণ ছোট্ট পাঁচ মিনিটের একটা ঘটনা। আমি এখনও ভুলতে পারিনি। এখনও পারিনি যখন এ জীবনে পারার আশাও নেই। তাতে আফসোসও নেই অবশ্য। এটা আমার খুব ভালোলাগার একটা স্মৃতি। তারকের ছেলের আর কোনও দিন আসা হয়নি আমাদের বাড়িতে। ছেলেটার মুখটাও দেখিনি। কিন্তু ওর গলাটা আমার মাথার ভেতর গেঁথে আছে।


Comments

  1. এই ব্যোম গল্পটা তুমি এতদিন বাজারে ছাড়োনি! নেক্সট বার বাড়ি গিয়ে তারকের ছেলের সাথে দেখা করে, বাড়িতে ডেকে এনে চাড্ডি 'কিরিম' বিস্কুট খাইয়ে এর প্রায়শ্চিত্ত করবে বলে দিচ্ছি। আর যারা খবরের কাগজ আসার আগে ঘুম থেকে উঠে পরে, তাদের ওরকমই হয়। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওঃ এটা বুঝি আমাকে খোঁচা দেওয়া হল আবির? আর্লি টু বেড, আর্লি টু রাইজ শোনোনি?

      Delete
  2. আমার দিদা তাঁর ছয় নাতিকে একসাথে বলতেন শিশুপাল। নারায়ণের চার হাতে শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম আছে, গদাটা নাকি আমাদের ছজনের জন্য। তবে বাচ্চাটা ক্রিম বিস্কুট পেল না বেচারা!

    তবে বাচ্চাটাকে বাড়িতে ডেকে আনাটা বোধহয় ভাল হবে না। ২০০২ কি ২০০৩ এ তারকের ছেলে তিন বছরের ছিল, তার মানে এখন বারো কি তেরো। এখন ওর আস্তে আস্তে গলা ভেঙে যাচ্ছে, কে জানে হয়তো বা সিগারেট কি রজনীগন্ধা ধরেছে, রাস্তা দিয়ে সুন্দর মেয়ে হেঁটে গেলে হয়তো ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায়। আর ডেফিনিটলি এখন অপরিচিত লোকের বাড়িতে এসে ক্রিম বিস্কুট খেতে লজ্জা পাবে।
    স্মৃতিটুকুই ভালো, বুঝলেন!

    ReplyDelete
    Replies
    1. অ্যাঁ! বারো বছরে রজনীগন্ধা! কী সাঙ্ঘাতিক। ছ-ছ'খানা নাতি? আপনারা বাড়িতে কী দক্ষযজ্ঞ বাধিয়ে রাখতেন সেটা আন্দাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে না।

      তবে একটা বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে একমত দেবাশিস। স্মৃতিটুকুই ভালো।

      Delete
  3. :D :D

    Bechara. Cream bishkoot khana ekhono paona achhe. Kono maney hoy?

    p.s. Shubho bijoya, Kuntala di! :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. শুভ বিজয়া শুভ বিজয়া বিম্ববতী।

      Delete
  4. issh...amaro cream biskoot khete ichhe korlo.
    tobe tomar thakurma'r response ta pore amader barir daduder katha mone pore gelo....baire ekti awaaj jodi holo, sange sange dadu-brindo "ki hoise, ke aise, ken aise, kyada koilo" bibhinno surey emon jure diten je baire hottogol apnathekei theme
    jeto :))

    ReplyDelete
    Replies
    1. এ মা, এইটা মিলল না শম্পা। আমার ক্রিম বিস্কুট একদম ভালো লাগে না। ক্রিমের জায়গায় চকলেট হলে, যেমন ধরো বরবোন বিস্কুট, খেতে পারি। ঠাকুমা দাদুরা কী হট্টগোল করতে পারেন না? আর দোষ যত পড়ে ছোটদের ঘাড়ে।

      Delete
    2. creme biskoot ta na aami chaa e dubiye dubiye khai.

      asholey kono biskoot e aami chaa e na dubiye khete pari na boley (aar sophisticated company te naki seta chole na karon amar biskoot khawa ta shudhu chha te shesh hoyna....lyajor hisebe biskoot er ekta tukro chaa e porey gole jabe ebong aami seta anek karjokolap kore baar kore khabo shei part tao achey) tai aami in general barite na thakle biskoot khai na :(((

      Delete
    3. শম্পা, আমি জানি না কী বলব। আমি যদিও মাঝে মাঝে চায়ে না ডুবিয়েও বিস্কুট খাই, কিন্তু ডুবিয়েও খাই, এবং ডুবিয়ে খেতে গিয়ে যদি বিস্কুট কাপের মধ্যে পড়ে যায় তবে আমাকে সেটা বার করতেই হয়। সোজা আঙুল ডুবিয়ে/চামচ দিয়ে খুঁচিয়ে/সিঙ্কে চা ফেলে দিয়ে...হোয়াটেভার, আই ডোন্ট কেয়ার। সে আমি যতই অগস্ট কম্প্যানিতে থাকি না কেন।

      হাই ফাইভ।

      Delete
  5. Replies
    1. ভালো না? আমার তো দুর্দান্ত লাগে।

      Delete
  6. amar ekhane duto goppo bolte ichhe korechey ek) dronputra ashwatthama'r goppo: "A" jakhon choto, takhon dekhto je or bandhu ra doodh khay...aar jiggesh korle ora doodh er emon barnona dito jeta shune A'r mon kharap hoto. ek din or maa ke bolatey, droner stri (je abar kripa'r bon kripi chilo) jol er ektu moida gule den....seta kheye o maa ke boley...o doodh je eto bhalo aami jantam na tow!!

    arekta goppo amar bandhabi'r 5 bochar er bichchu chele'r jake ekbar 1/2 day aami baby sitting korechilam. jakhon bikel hoye gechey takey aar rakha jachhe na tow aamra ekta restaurant e niye gelam. okhane sabai serious aar besh chup chaap dekhe o ektu shanto holo. tarpor jakhon wine elo (waiter ke aami agei chokh tipe diyechialm tai oke ektu pomegranate juice with jol diyechilo kintu wine glass e) takhon besh anande boroder moto sip korte laglo. pore ratre or maa jakhon eshechey oke nitey takhon aami ranna ghor theke shunte parchi or katha...maa aami wine kheyechi, aneeeek ta kheyechi...shampa maashi dilo, ota ektu juice aar ektu wine er moto khete!

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহাহাহা শম্পা, তারপর তোমার বান্ধবী তোমার সত্যনাশ করেননি? বেবিসিটিং করাটা কিন্তু বেশ ভয়ের কাজ। মানে আমার শুনলেই ভয় লাগে কেন জানি।

      কিন্তু তোমার অশ্বত্থামার গল্পটা শুনে আমারও একটা গল্প বলতে ইচ্ছে করছে, না বললে পেট ফেটে যাবে। একটা ইঁদুর-মায়ের পেটের ভেতর একটা ইঁদুরছানা জন্মাবে বলে বড় হচ্ছিল। সে পেটের ভেতর থেকেই মায়ের সঙ্গে নানারকম গল্পগাছা করত। বাইরের পৃথিবীটা সম্পর্কে নানারকম খোঁজখবর নিত। মা-ইঁদুর ছানা-ইঁদুরকে নানারকম গল্প বলতেন। বলতেন পৃথিবীটা কত্ত বড়। ছানা-ইঁদুর জিজ্ঞাসা করত, "মা মা পৃথিবীটা কি তোমার এই পেটের মধ্যেটার থেকেও বড়?" মা হেসে বলতেন, "আরও অনেএএএএক বড়।" ছানা-ইঁদুরের আর তর সইত না, কখন সে এই বিশাল পৃথিবীটা দেখতে পাবে।

      তারপর অবশেষে একদিন সে ভূমিষ্ঠ হল। হয়ে, একটুক্ষণ চোখ পিটপিট করেই সে ইঁদুরের গর্তটার দিকে তাকিয়ে দেখল, আর বলল, "ওরে বাবা পৃথিবীটা এত বড় নাকি!"

      Delete
  7. hahahhhaha.....darooon! daroon!!!

    ReplyDelete
  8. I've a story something like this. But I cant write like you. I can narrate that to you. If you wish, you may write that in some of your writing. Mail me if you wanna know about it.

    ReplyDelete
    Replies
    1. নিশ্চয় নিশ্চয় বিভাবসু। কিন্তু আপনার মেল তো আমি জানি না, আপনিই বরং আমাকে আপনার গল্পটা মেল করে দিন না। আমার মেল আই ডি হল গিয়ে abantorprolaap@gmail.com

      Delete

Post a Comment