রোসাং সোল ফুড



দিল্লিতে গরম পড়েছে। অফিসে অফিসে কাজের ধুম। উৎপাদনশীলতা আকাশ ছুঁয়েছে। সকাল ন’টা বাজতে না বাজতে সবাই সিটে, এসির তলায়। পাঁচটা সাতাশ বাজলে যারা কম্পিউটারের ঝাঁপ ফেলত তারা সাড়ে ছ’টায় জানালার বাইরের চোখধাঁধানো আলোর দিকে তাকিয়ে শিউরে উঠছে। বলছে, আরও খানিকটা কাজ সেরে নিই এইবেলা। একের পর এক রেকর্ড ভাঙছে। ওয়ার্মেস্ট মনডে ইন ফর্টি ইয়ারস। হটেস্ট ওয়েনস্‌ডে ইন থার্টি। মেয়েরা জিনস ত্যাগ দিয়ে ফিরে গেছে চিকনের কুর্তি আর সুতির ঢিলে সালওয়ারে। ছেলেদের সহ্যশক্তি দেখে তাদের চোখ কপালে। ওরা এখনও ট্রাউজার চালাচ্ছে কোন ভরসায়? পাজামা/ধুতি দোষ করল কীসে? সন্ধ্যেবেলা প্রতিদিন ঝড় উঠছে। নিষ্ফলা ঝড়। অটোভাইসাবকে নেহরু প্লেসের জ্যাম এড়িয়ে জি. কে. ওয়ান ধরার পরামর্শ দিয়ে মুখ বন্ধ করতেই দাঁতের সারি জুড়ে কিচকিচে ধুলো। গোটা শহরটা চাপা পড়ে গেছে খটখটে শুকনো ধুলোর তলায়। অটোর কাঁচে দুফোঁটা জল পড়ল? নাকি মূলচন্দের মোড়ে মরীচিকা দেখছি?

আমার দেহটাই শুধু পড়ে আছে দিল্লিতে। গরমে ভাজাভাজা হচ্ছে, লু-তে পুড়ছে, ধুলোয় মাখামাখি হচ্ছে, এয়ারকন্ডিশনড অফিস থেকে বেরিয়ে ব্লাস্ট ফার্নেস অটো আর ব্লাস্ট ফার্নেস অটো থেকে বেরিয়ে এয়ারকন্ডিশনড অফিসের কনফিউশনে হেঁচেকেশে সারা হচ্ছে। আমার মন পালিয়েছে অন্য কোথাও। আমি জানি না কোথায়। তবে নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়ার যে ট্র্যাভেল ম্যাপটা বুকমার্ক করে রেখেছিলাম সেটাকেও খুঁজে পাচ্ছি না যখন তখন ধরে নেওয়া যায় ওদিকটাতেই গেছে। শুনেছি ওদিকটায় এখনও অনেক সবুজ, ভেজা হাওয়া ধুলোদের ধমকে মাটিতে মিশিয়ে রাখে, হঠা একেকটা ঝোড়ো হাওয়ায় শার্টের গোটানো হাতা থেকে বেরিয়ে থাকা চামড়ায় কাঁটা দেয়। ঢালু ছাদওয়ালা কাঠের বাংলোর বারান্দায় সাবেকি ডিজাইনের গামবাট চেয়ারটেবিলে বসে লোকে চা খায় আর যতদূর চোখ যায় ততদূর ছড়ানো চাবাগানের সবুজের দিকে তাকিয়ে চোখের ব্যায়াম করে।

মনের পিছুপিছু এখন আমার সেখানে দৌড় লাগানোর উপায় নেই, তাই ভাবলাম সান্ত্বনা হিসেবে শরীরটাকে ওদিককার একটা কোনও দোকানে খাবার খাইয়ে আনি। অসম আর মেঘালয়ের খাবার চেখে দেখেছি আগেই। বাকি আছে অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা আর সিকিম। কোন রাজ্যের ভবনে যাব সে ডিসিশন নিতে হিমশিম। এমন সময় একটা দোকানের খবর পাওয়া গেল যেখানে গেলে আটটা রাজ্যেরই খাবার পাওয়া যাবে। বাছবিচারের ঝামেলা নেই।

রোসাং সোল ফুডের মেনুতে অরুণাচল, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও সিকিম – সব রাজ্যের খাবার পাওয়া যায়। রোসাং সোল ফুড (বার বার এত বড় নামটা লেখার কারণ রোসাং নামের আরও একটা রেস্টোর‍্যান্ট আছে সফদরজং-এ। সেই রোসাং-এর এই রোসাং-এর সঙ্গে কোনও সম্পর্ক আছে কি না আমি জানি না।) খুঁজে পাওয়া খুব সোজা। সি আর পার্কের দিক থেকে আসলে আই. আই. টি. ফ্লাইওভারের তলা দিয়ে ডানদিকে বেঁকে অরবিন্দ মার্গ ধরে সোজা চলতে চলতেই বাঁদিকে গ্রিন পার্ক। সেখানে কুখ্যাত উপহার সিনেমাহলের ভাঙাচোরা বাড়িটা এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সে বাড়ির দিকে মুখ করে দাঁড়ালে বাঁদিকেই রোসাং সোল ফুড। বড় বড় করে নাম লেখা দোকান। হারানোর সম্ভাবনা শূন্য।

জোম্যাটোয় রোসাং সোল ফুডের প্রচুর রেটিং, প্রচুর প্রশংসা। নিন্দেও আছে খানকতক। তবু আমার অবশ্য সন্দেহ ছিল না যে খাবার আমাদের ভালোই লাগবে। কারণ উত্তরপূর্ব ভারতের খাবার আমার ভালো লাগে। একটাদুটো ব্যতিক্রম বাদ দিলে ওদের সব খাবারই চোখে জল আনা ঝাল। আর পর্ক। রাজকীয় পর্ক। খারাপ লাগার কোনও কারণই নেই।

আঁটটা রাজ্যের খাবার এক মেনুতে আঁটানোর সমস্যা হল যে অর্ডার করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখন অবশ্য জোম্যাটোতে মেনুটেনু সব আগেভাগেই দেখতে পাওয়া যায় তাই একটা আন্দাজই ছিল কী কী অর্ডার করব। ড্রিংকসের অংশটুকু সোজা। ওয়ান ফ্রেশ লাইম সোডা (সুইট) ফর হিম, ওয়ান ফ্রেশ লাইম সোডা (সল্টি) ফর হার। সঙ্গে স্টার্টার হিসেবে মিজোরামের Bwangsa Kan


ব্যাপারটা দেখতে আমাদের বেগুনির মতো। কিন্তু বেগুনের বদলে বেসনের খোলার ভেতর রয়েছে মাংসের চটপটি। তাছাড়া বেগুনির মতো নরমও নয়। ছুরিকাঁটা দিয়ে কাটতে বেশ গায়ে জোর লাগে। তার থেকে এদিকওদিক তাকিয়ে টুক করে হাতে দিয়ে তুলে কামড় বসানো সোজা। সঙ্গে ছিল একটি লাল ও একটি ঘোর বাদামিবর্ণ চাটনি। উপস্থিতিতে মাংসের বেগুনির থেকে তারা কোনও অংশে কম যায় না। গোটা ভোজে এটাই অর্চিষ্মানের ফেভারিট ডিশ।


মেন কোর্সে আমরা নিলাম মেঘালয়ের Jaddoh আর মণিপুরের Voksa Meh টাকনা দেওয়ার জন্য সঙ্গে নেওয়া হল শুকনো মাছের চাটনি। Jaddoh আমরা আগেও খেয়েছি। শিলঙে। এবার অন্যকিছু নেওয়া যেত, কিন্তু নস্ট্যালজিয়ার মুখ চেয়ে আমরা আবার Jaddoh-ই অর্ডার করলাম। Jaddoh কে খাসি পলান্ন বলা যেতে পারে। তবে অন্নটা আমাদের বাসমতীর মত শহুরে নয়, বন্য। বেঁটেখাটো। আমাদের ভাতের মতো ঝরঝরেও নয়, বরং সুশির স্টিকি রাইসের সঙ্গে তার সাদৃশ্য বেশি। রাগীরাগী মুখ করে নাদুসনুদুস পর্কের টুকরোগুলোকে গার্ড দিচ্ছে।


দ্বিতীয় মেনকোর্স Voksa Meh। মণিপুরের খাবার। রোসাং সোল ফুডের মেনুতে Voksa Meh-র বিবরণ দেওয়া আছে মিট উইথ মণিপুরী হার্বস। ইন্টোরনেটে একজায়গায় দেখলাম মিট উইথ ব্যাম্বু শুট। সে হার্বই হোক বা ব্যাম্বু শুট, পর্কের কাছে সবাই ম্লান। এত নরম, এত স্বাদু মাংস আমি শেষ কবে খেয়েছি মনে নেই।


এই হল গিয়ে রিভার ফিশ চাটনি। বেসিক্যালি শুঁটকি মাছ গুঁড়ো। নোনতা, কুড়কুড়ে। সামান্য আঁশটে গন্ধ পদটাকে একটা আলাদা উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আমি বলছি না, আমি ছাড়া আমাদের বাড়িতে আরেকজন যে থাকে, যে কিনা শুঁটকির নাম শুনলে নাক কুঁচকোয়, সে বলেছে।


খাওয়া চলাকালীন বুঝিনি, খাওয়া শেষের পর বুঝতে পারলাম কী পরিমাণ খেয়ে ফেলেছি। তাও Jaddoh-র বাটি পুরো শেষ করতে পারিনি বলে মেরি দুঃখীমুখ করলেন। বললেন, “আই হ্যাভ আ ব্যাড ফিলিং।” আমরা ঝাঁপিয়ে পড়ে বোঝানোর চেষ্টা করলাম যে খাবার শেষ করতে না পারাটা আমাদের বাঙালি রুগ্ন পেটের দোষ (আমার বাবা হলে বলতেন, স্বভাবের) রান্নার নয়। সত্যিসত্যিই এত ভালো রান্না চট করে পাওয়া যায় না।

ফেরার পথে রিং রোডের ফ্লাইওভারের ওপর যখন দাঁড়িয়ে আছি তখন দিল্লির একটাও গাছের একটাও পাতা নড়ছে না। লাখ লাখ এসি গাড়ি আমাদের অসহায় অটোটাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ফুটন্ত লাভার মতো ভাপ ছাড়ছে। আমরা চুপ করে অটোর ভেতর বসে আছি, হাত পা নাড়ানোর ক্ষমতা নেই। ফুড কোমা বোধহয় ওকেই বলে। শরীরের মধ্যে কোথাও একটা চেতনা টিমটিম করছে কারণ টের পাচ্ছি আর দু’মিনিটের মধ্যে জ্যাম না ছাড়লে জ্যান্ত সেদ্ধ হয়ে যাওয়া থেকে আমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। এমন সময় হঠাৎ চোখের সামনে থেকে দিল্লিটিল্লি সব হাওয়া, আমি ঢালু ছাদওয়ালা বাংলোর বারান্দার কড়িকাঠ থেকে বাঁধানো দোলনায় চড়ে দুলছি। আমার চোখে সবুজ, গায়ে ঠাণ্ডা হাওয়া, চোখে সবুজ, মনে শান্তি।

সঙ্গে সঙ্গে অটোটা চলতে শুরু করল আর আমার এমন সুন্দর হ্যালুসিনেশনটাও ভেঙে খানখান হয়ে গেল। বাড়ি এসে জুতো ছেড়েই ল্যাপটপের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে আমি আরেকখানা নর্থ ইস্টের ম্যাপ ডাউনলোড করে সেটাকে ব্যাকগ্রাউন্ড বানিয়ে ফেললাম। এখন যখনই গরম সহ্যসীমা ছাড়াচ্ছে সেটার দিকে তাকিয়ে বসে থাকছি। দেখছি সবুজ বন আর ধূসর পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে কেমন সুন্দর এঁকেবেঁকে চলেছে নীল ব্রহ্মপুত্র। চমৎকার কাজ দিচ্ছে।

*****

Rosang Soul Food
S-20, Ground Floor, Near Uphaar Cinema, Block A, Green Park Extension, Green Park, New Delhi, Delhi 110016
Phone 084479 63810



Comments

  1. Kolkatateo khub garom porechhe... tomar durdanto barnonai khabarer swad grohon ar tar songe sobuj pahar bhromon ..mone mone ... AHA !!!
    chhobi gulo darun hoechhe... plate er khabar jeno amar samne uthe esechhe...

    ReplyDelete
    Replies
    1. গরমটা আর জাস্ট . . ., কিন্তু সবে মে, সামনের ছ'টা মাস এই গরমে ভ্যাপসাতে হবে ভাবলেই কান্না পাচ্ছে, ইচ্ছাডানা। খাবারের ছবি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। খাবারগুলো খেতেও ভালো ছিল খুব।

      Delete
  2. Ki lobhoniyo lekha! Amar khabar jaygar listi te jog holo. Amra toh ei goromer thelay diner bela bari theke beronoi bondho kore diyechhi. Shudhu goto maashe rastay kuriye pawa beral chhana ke khete dewar jonyo bikel nagad bari phiri. Noile raat 9tar agey bodh hoy apish theke berotam na. :(

    Khabar dabar sob poche jachche. Tai sokalbikel shudhu fol ar bishkoot khachchi ar taratari shobar ghorer AC te giye dhukchhi. Eibarey ekbar paharey dhnu na marlei noy. :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. নতুন বেড়ালছানা! অভিনন্দন অভিনন্দন, বিম্ববতী। কী নাম রাখলে? দেখতে কেমন? শান্ত না বদমাইশ?

      পাহাড়ে পালাতে হবে, ঠিকই বলেছ। না হলে বিপদ।

      Delete
    2. Haha. Beraler naam Pnuti. Khub chhoto kina. Pnutimachher moton. Tai. :P

      Delete
    3. মাছের নামে বেড়ালের নাম? এটা একটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার করেছ, বিম্ববতী। যাই হোক, নামটা খুব সুন্দর হয়েছে।

      Delete
  3. Pune 28 degrees. Raatre 16. Sharadin thanda hawa. Panchgani'r theke o thanda. Je ba jara jekhanei gorom e koshto pacche ami taader bolchi Pune chole esho.
    Tomake o bolchi Kuntala. Delhi'r gorom ke kaachkola dekhiye kodin ekhane aram kore jao. :-)

    Jaddoh ta ki oi Anglo Indian Pish pash er moton? Ami mutton diye korechi ... bhalo hoye.
    Ami eyi winter Delhi jaboi ... tomar eyi khawar post guli amake aro determined kore toley.
    Oh hyan ... Panchgani'r post ta kore felechi ... finally!

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমি জানি না তোমার পুনের বিবরণ পড়ে হিংসেয় জ্বলব, নাকি আমি আধমরা হলেও পৃথিবীর কোনও জায়গায় যে লোকে সুখে আছে সেই ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলব, সেই ভাবছি, শর্মিলা। পিশপ্যাশ আমি খাইনি, যদিও নাম শুনে খাওয়ার ইচ্ছে আছে খুব, কাজেই মিল আছে কি না বলতে পারব না।

      তোমার পোস্ট পড়ে মাথা ঠাণ্ডা করতে চললাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
    2. Aha re ... comment ta publish korar porei kheyal holo ektu bara bari hoye gelo ki?
      Kintu nemontonno ta mon praan theke.
      Khub shiggiri tomar ekta North East er trip houk etai kamona korchi.

      Delete
    3. Done Kuntala. Teen te blog e interlink kore diyechi.
      Kothaye janabo bujhte parlam na, tai ekhane likhlam.

      Delete
    4. আরে, শর্মিলা, তুমি দীর্ঘসূত্রিতায় একেবারেই ভোগো না দেখা যাচ্ছে। চটপট সমস্যার সমাধান করে ফেলেছ। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  4. ছবি দেখে জিভে জল .... :) তোমার এই পোস্ট গুলো আমার সেই লোকজন কে পড়াতে ইচ্ছে করে যারা ট্রাভেল এজেন্ট এর সাথে বেড়াতে যাওয়া পছন্দ করে কারণ বেড়াতে গিয়ে বাঙালি খাবার খেতে পাবে তাই। নৈনিতাল যাবার সময় একটা পাকা গ্রুপ যাচ্ছিল তারা বলছিল সাউথ ইন্ডিয়া , রাজস্থান এসব যেতে গেলে ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়া যাওয়া সম্ভব না শুধু মাত্র মাছের ঝোল ভাত খাবার জন্য .. এদের আমার একদম ভালো লাগেনা। .. আমি খুব সাহসী খাদ্য রসিক নই ঝাল ও খেতে পারিনা বিশেষ, কিন্তু তোমার এইগুলো পড়ে আমি খুব inspired হই। .. জোম্যাটো দেখে আজকাল অনেক জায়গায় খেতে যাচ্ছি .... :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, ঊর্মি, এটা শুধু বাঙালি না রে, গোটা ভারতের লোকেরই বৈশিষ্ট্য। বাঙালিরা বাইরে গিয়ে মাছের ঝোল খোঁজে, আর ভারতীয়রা সুটকেসে মুড়ি গুড় তেঁতুলের পেস্ট ইত্যাদি টেনে টেনে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়।

      তোকে ইনসপায়ার করতে পেরেছি জেনে সিনিয়র হিসেবে বেশ গর্ববোধ হচ্ছে। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  5. আহা, প্যাচপ্যাচে গরমের মধ্যে আপনার এই লেখাটা যেন এক ঝলক ঠান্ডা বাতাস, আর ছবিগুলো দুই ফোঁটা বৃষ্টির জল। :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, অরিজিত।

      Delete
  6. Tomar lekhata darun.. r chhobi gulo o sundor.. new york e ekhono sweater pore ghurte hochhey.. tai amra gorom porar opekkhay bose achhi..

    Tomar khabarer photo gulo dekhe awesome laglo.. kheteo ichhey korchhey.. kintu internet e recipe pelam na.. Ogotya deshe fera obdhi wait korte hobe r ki.. :(

    ReplyDelete
    Replies
    1. ইন্টারনেটে খাবারগুলোর নাম দিলে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, চুপকথা। হয় উচ্চারণগূলো আলাদা রকম ভাবে লেখা আছে নয় আদৌ নেই। আমিও খুঁজেছিলাম।

      তোমাদের আবহাওয়াকে খুব হিংসে করলাম। লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে খুশি। থ্যাংক ইউ।

      Delete
    2. Hingshe amio tomay ektu ektu korchhi.. ami jake bole adopantyo tropical manush... thanda r cheye gorom dher beshi priyo.. sekhane may mashe swaeter porar na insaafi ta poshachhey na.

      Delete
    3. যাক, হিংসে হিংসে কাটাকুটি হয়ে গেল।

      Delete
  7. Kunti , kolkata teo marattok gorom... Tar modhye bristir nei kono dekha.. khabar gulo sotti e khub sundor.. dekhte toh sundor , tai khete je sundor hobei etate kono sondehoi nei ... Kodin er janye pala... Akkebare shillong kimba kashmir....

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি রে ভট্টা, আর পারা যাচ্ছে না। কবে বৃষ্টি নামবে?

      Delete
  8. chomotkar jive jol ana sob khabar, kdin kolkatay giye theke erokom kichu destination set kore dao, giyeo hana dite pari jate :)---Pradipta

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, তুমি দিল্লি ঘুরে যেও, প্রদীপ্তা, ডিসেম্বরে যদি আসো তাহলে গরমের কষ্টও পাবে না।

      Delete
  9. সত্যি কি গরম কি গরম । এবারে বোধহয় পাগল হয়ে যাব । ফুটন্ত জল , ফুটন্ত হাওয়া আর আমার টপ ফ্লোর ।
    আমি তো তোমার দেখানো অনেক জায়গা ট্রাই করেছি । এটাও করব কোন সময় । ফে বু তে দি । তোমার উল্লেখও করি । যেমন ত্রিবেণী চায়ের দোকান
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. রোসাং ট্রাই করে দেখো, মিঠু, মনে হয় ভালো লাগবে। আমারও বেশ কিছুদিন ধরে আবার ত্রিবেণীতে যেতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু এই গরমে সাহস হচ্ছে না।

      Delete
  10. eto garame sudhu pantabhat khawa uchit ! eto rang chang-e khabar khacchish keno?ar khacchish kha ,esab chabi dekhie lov dekhanor ki mane ..bombay te ektao north east er khabarer dokan nei..natun parar sabtheke kaydar dokaner naam Sasural ! bhab sudhu!! nijeder ektao chabi nei keno?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সসুরাল! কেন? উইকএন্ডে আরাম করার জন্যও সসুরালে ছুটতে হলে তো বিপদ। খাবারের ভালো ভালো ছবির পাশে আমার এই পেন্তিখেঁচি মুখের ছবি দিতে লজ্জা পেলাম বলে আর দিলাম না।

      Delete
    2. Bombay-te khabar option khub limited. Mostly multi-cuisine! Bandra side e tobu kichu specialty restaurant achhey.

      Delete
  11. Shu(n)tki machher chatni chara sob bhalo! Gorom kal ta koto boro ar seet ta koto chhoto na, Kuntala! Tarpor abar chele-meyer groomer chhuti! Amar mejaj o Dillir gorormer moto hoye achhey! Tobe ami June peroliye bhabte thaki goromta mere enechi!

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে তো সব ভালো জিনিসেরই নিয়ম, রুণা। বড্ড কম।

      Delete
  12. Replies
    1. apnar chobi tolar hat tio darun...aro kichu beranor chobio dekhalm. Ki camera use koren? ( curiosityheke jiges korchi..color tone gulo kub pochndo hoeche..tai )

      Delete
    2. আরে থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ, অনিরুদ্ধ। আমি ক্যানন ৬০০ডি ব্যবহার করি।

      Delete
  13. দিন কয়েক আগে অবান্তর - এর সন্ধান পেয়ে পড়া শুরু করেছি এবং অচিরেই প্রেমে পড়েছি। এরকম জিভে জল আনা বর্ণনা, আর সঙ্গে ছবি - মানে সব মিলিয়ে ব্যাপার টা একদম যাচ্ছেতাই টাইপের ভালো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, থ্যাংক ইউ, শাল্মলী। অবান্তরে স্বাগত। আশা করি প্রেম চিরস্থায়ী হোক।

      Delete
  14. esob lobhoniyo khabar dekhe khub lobh dilam.. ...
    r edikpane ektu gorom hole borte jetam :( goromkal erom expiry date nie ase eta khub koshtodayok jerokom deshe winter eki kayday chole..ami prothom prothom bhabtam loke summer niye eto adikhyeta keno kore ekhane , ekhon haare haare ter pachhi .. Bratati.

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এটা ঠিক ব্রততী। রোদ আর গরমের ব্যাপারটাও নদীর এপারওপারের মতোই।

      Delete

Post a Comment