অরুণাচল ভবন
সেদিন আমাকে একজন দু’নম্বর মার্কেটের
একটা দোকান চেনানোর চেষ্টা করলেন, দোকানের নাম দিয়ে, দোকানির চেহারা দিয়ে, সেই দোকানের এবং আশেপাশের
দোকানের লোকেশন দিয়ে, আমি কিছুতেই চিনতে পারলাম না। আড়াই বছর
এ পাড়ায় থাকা এবং এই বাজারে সকাল সন্ধ্যে বাজার করার পরেও আমি সব দোকান চিনি না।
ঘুরিয়েফিরিয়ে তিনচারটে দোকানেই যাওয়া হয়, সেগুলোই চিনি।
দৈনিক যাওয়া হয় ঝালমুড়ির(আমার জন্য) আর দাদুর চপ কাটলেটের দোকানে (অর্চিষ্মানের
জন্য)। এছাড়া সপ্তাহে দু’বার মুদির দোকানে, মাসে দুবার দেশ কিনতে খবরের কাগজের দোকান আর বছরে একবার দর্জির দোকান।
ব্যস।
ওঃ, আর ওষুধের দোকানেও যাওয়া হয়
বেশ ঘনঘন, ঝালমুড়ি আর
চপের দোকানের পরেই। (দু’রকম দোকানের কার্য কারণের কোনও
সম্পর্ক আছে কি না কে জানে।) বেশ অনেকদিন ধরে যাচ্ছি, চেনাশোনা
হয়ে গেছে। তাইওঁরা যখন এ ক্যাবিনেট ও ক্যাবিনেট থেকে আমার ওষুধ পাড়াপাড়ি করেন,
সে সময়টা আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে না থেকে স্মল টক করার চেষ্টা করি। কী
গরম, কী ঠান্ডা, কী জ্যাম। গতকালও
গেছিলাম। আমার বিল টাইপ করতে করতে ছেলেটা বলে উঠল, “লাইট
জ্বালিয়ে দে।” আর অমনি সুযোগ পেয়ে বলে উঠলাম, “কেমন ঝপ করে অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে এখন বলুন দেখি? এই
একসপ্তাহ আগেও এই সময় কেমন ফ্যাটফেটে আলো থাকত। ঠাণ্ডাটা একেবারে রাতারাতি এল।
ছেলেটা বলল, “ঠাণ্ডা তাড়াতাড়ি এল কি? গরমটা
যেতে এত দেরি করল সেটা বলুন। তাই ঠাণ্ডাটা ঝপ করে এল মনে হচ্ছে।”
গরম সবসমযেই এই রকম করে। যাচ্ছি
যাচ্ছি করে গ্যাঁট হয়ে বসে থাকে। প্রতিবারই সেপ্টেম্বর মাসের পনেরো তারিখে অফিসে
এসি-র ভেন্টের তলায় হাত নেড়ে নেড়ে ভাবি, “মালটা আছে না ভোগে গেছে?” প্রতি বছরই আশা ছেড়ে দিই।
এ বছর আর ঠাণ্ডা পড়ল না। তারপর হঠাৎ একদিন সকালে উঠে
ঘড়িতে সাড়ে পাঁচটা বাজতে চলল, অথচ জানালার বাইরে ঘুটঘুটে
অন্ধকার। প্রথমটা ধাঁধা লাগে, মেঘ করেছে বলে ভুল হয়, তারপর মগজ ডিগবাজি খেয়ে হাততালি দিয়ে বলে, “এসসসসে
গেছে!”
এ বছরও এসে গেছে। অফিস যাওয়ার
পথে অটোর হাওয়া বলছে, দুপুরে বিস্কুট কিনতে বেরোলে পিঠের ওপরের রোদ্দুর বলছে, সন্ধ্যে ছটা বাজতে না বাজতে দু’নম্বর মার্কেটের
ঝলমলানো লালহলুদ আলোরা বলছে। এসে গেছে এসে গেছে এসে গেছে!
আমরাও কোমর বেঁধে রেডিই ছিলাম, ঝাঁপিয়ে পড়েছি।
সকালদুপুর সন্ধ্যে, যেখানে যতটুকু মিষ্টি রোদ্দুর পাওয়া
যাচ্ছে, চেটেপুটে নেওয়ার চেষ্টা করছি। উইকএন্ডগুলোর
সদ্ব্যবহার তো করছিই কিন্তু শুধু তাতে মন ভরছে না।
লাঞ্চডেটে বেরোনোর জন্য এর থেকে
ভালো ছুতো আর কী হতে পারে?
কিন্তু ইদানীং সে ব্যাপারে
কয়েকটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে সব রাজ্যের ক্যান্টিনে আমাদের এখনও যাওয়া হয়নি, তাদের
অনেকগুলোতেই (জম্মু কাশ্মীর, বিহার ইত্যাদি) প্রবেশ
সংরক্ষিত। খেতে গিয়ে ফিরে আসার বিলাসিতা আমাদের করলে
চলবে না, কাজেই আগেভাগে জেনে নিতে হবে। আমাদের পছন্দের
শর্টলিস্টে চারটি রাজ্যের নাম উঠেছিল। পছন্দের নিম্নগামী অর্ডারে তারা যথাক্রমে
নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, সিকিম ও গুজরাট।
নাগাল্যান্ড ভবনে ফোন করলাম।
ওপাশের ভদ্রলোক আমার ‘আপনাদের ক্যান্টিনে আপনাদের রাজ্যের খানা খেতে চাই’ আবদার
শুনে অত্যন্ত ভদ্রভাবে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপ কাঁহাসে কৌন বোল
রহে হো?” যদিও শুরুতেই আমি আমার নামধাম বলেছিলাম, তবু আবার বললাম। ভদ্রলোক ভদ্রতার মাত্রাটা আরও একটু চড়িয়ে বললেন, “সরি ম্যাডাম, আজকাল হামলোগ সির্ফ ভি আই পি কো সার্ভ
কর রহে হ্যায়।”
অর্চিষ্মান শুনে সান্ত্বনা তো
দিলই না, উল্টে জিভ দিয়ে
ছিক ছিক শব্দ করে, মাথা নেড়ে বলল, “কুন্তলা,
কবে যে তুমি ভি আই পি হবে।”
সুখের কথা শর্টলিস্ট বেয়ে বেশি
নিচে নামতে হল না। অরুণাচল প্রদেশের ক্যান্টিনে ফোন করে জানতে পারলাম যে আমাদের
মতো নশ্বর লোকেদের জন্য এখনও তাঁদের ক্যান্টিনের দরজা খোলা। এইটুকু বলেই ভদ্রমহিলা
ফোন রাখার উপক্রম করছিলেন, আমি হাঁ হাঁ করে থামালাম।
প্রবেশাধিকারটাই স্টেট
ক্যান্টিনের একমাত্র সমস্যা নয়। অনেক রাজ্যের ক্যান্টিনে, বিশেষ করে উত্তরপূর্বের
ক্যান্টিনগুলোয়, স্থানীয় খাবারের বদলে রেগুলার খাবারদাবার
পরিবেশন করা হয়। মানে ধরুন উত্তরের রাজ্যের ক্যান্টিনে খেতে গিয়ে আপনি দেখলেন কেবল
পুরিসবজি আর বাটার চিকেনের ছড়াছড়ি, আর উত্তরপূর্বের
ক্যান্টিনে গিয়ে দেখলেন মেনুতে খালি চিলি চিকেন আর মাঞ্চুরিয়ান। সে দুর্ঘটনা
এড়ানোর জন্য আমি জিজ্ঞাসা করলাম, “আপনাদের ক্যান্টিনে আশা
করি অরুণাচলি খাবার পাওয়া যাবে?” শুনে ভদ্রমহিলা জানালেন সে
তো পাওয়া যাবেই, তারপর গলায় বেশ গর্ব ফুটিয়ে বললেন যে তাঁদের
ক্যান্টিনে বিবিধ চাইনিজ খাবারও পাওয়া যায়, চাইলে আমরা
সেগুলোও অর্ডার করতে পারি।
ডেটের দিনক্ষণ স্থির হয়ে গেল।
মঙ্গলবার, উনত্রিশে
সেপ্টেম্বর, দুপুর একটার সময় কৌটিল্য মার্গে অরুণাচল ভবনের
সামনে মিট করা হবে। সকাল সকাল একটা সেমিনার ছিল। সেমিনারের শেষে লাঞ্চও ছিল। সেটা
মিস হল, কিন্তু তাতে আমার আফসোস
নেই। সেই পাস্তা স্যালাড আর বেবি নান আর গোস্ত দোঁপেয়াজা আর মেথি চিকেন আর ডেট
প্যানকেক। খেয়ে খেয়ে মুখে চড়া পড়ে গেছে। আফসোস হল চায়ের সঙ্গে চিজ স্টিকস আর
কুড়কুড়ে ফ্রেঞ্চ হার্টস বিস্কুট মিস হয়ে গেল বলে। পাছে অরুণাচল ভবনে ভালো করে খেতে
না পারি সেজন্য সেগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে রইলাম। সেমিনার শেষে বেরিয়ে যখন অটো ধরে
কৌটিল্য মার্গের দিকে রওনা দিয়েছি তখন খিদের চোটে পেটে ডজনখানেক ছুঁচো ডনবৈঠক
দিচ্ছে।
অটো চলল। সফদরজং সমাধি পেরিয়ে, এয়ারফোর্সের
গলফ কোর্সের পাশ দিয়ে। ঝকঝকে মসৃণ ফুটপাথ ধরে দুয়েকটা ঝরা পাতাও ঠোক্কর খেতে খেতে
চলল অটোর সঙ্গে সঙ্গে। এয়ারফোর্সের বাগানের বড় বড় গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে সামনের
কাঁচে ঝলমল করতে লাগল রোদ্দুর। মিনিট সাতেক পর রাস্তার পাশে অরুণাচল ভাবল লেখা
বোর্ডের সামনে নেমে দেখি অর্চিষ্মান অলরেডি পৌঁছে গেছে। গেটের পাশে সিকিউরিটির
কাঠের ঘরের কাউন্টারে রাখা জাবদা খাতে দড়ি বাঁধা নীল কালির রেনল্ডস দিয়ে নিজেদের
নামধাম লিখে ঢুকে পড়লাম।
বেসরকারি জিনিসপত্রের যেটা
অসুবিধে, প্যাকেজিং যত
চকচকে ভেতরের জিনিস তত ভালো নয়, সরকারি ব্যাপারের অসুবিধেটা
ঠিক তার উল্টো। যে সব খাবার খাওয়ার জন্য আমরা স্টেট ক্যান্টিনে হত্যে দিয়ে ফিরি,
সে সব খাবারের বেশিরভাগই দিল্লির বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যায়।
জোম্যাটোতে ‘রিজিওনাল ফেভারিটস’ নামের
কালেকশনে সে সব খাবার দোকানের নাম আছে। গুণগত মানের তুলনা করলে অনেক স্টেট ভবন
ক্যান্টিনের খাবারই সে সব দোকানের খাবারের সঙ্গে পাল্লা দেবে। দামের তুলনার কথা তো
ছেড়েই দিলাম। স্টেট ভবনের ক্যান্টিনে অনেক সময় বিল দেখে বিশ্বাস হয় না। বার বার
যোগ করে দেখতে হয় যে সব আইটেম ধরা হয়েছে নাকি অর্ধেক বাদ গেছে।
কিন্তু যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টায়
এসব দোকানের তুলনায় স্টেট ক্যান্টিন গোল্লা পাবে সেটা হচ্ছে সাজসজ্জা। সাজসজ্জা
বলতে কিন্তু আমি বহিরঙ্গের চাকচিক্যের বা প্যাকেজিং-এর কথা বলছি না। সামান্য
পরিচ্ছন্নতা, সেটুকুও সরকারি
ভবনের লোকেরা পালন করে উঠতে পারেন না কেন আমি বুঝতে পারি না। অরুণাচল ভবনের কথায়
ধরুন। ক্যান্টিনে ঢোকার পথ হচ্ছে বাথরুমের দরজার পাশ দিয়ে নর্দমা পেরিয়ে। তাও সে
পথটার মুখে গাদাগুচ্ছের মোটরসাইকেল দাঁড় করানো আছে। বেসিন যথারীতি নোংরা।
এইগুলো যদি অগ্রাহ্য যদি করতে
পারেন তাহলে বাকিটুকু সবটাই ভালো। অরুণাচল প্রদেশের ক্যান্টিনের মেনুর সাইজ
অন্যান্য অনেক স্টেট ক্যান্টিনের তুলনায় বেশ খেলানো। চাইনিজ খাবারও যেমন আছে, অরুণাচলি
খাবারের পদও আছে বেশ অনেকরকম। সে সব পদ আলাদা আলাদা ভাবেও আপনি অর্ডার করতে পারেন,
আবার থালি হিসেবেও অর্ডার করতে পারেন। আমরা হ্যাপা কমাতে থালিই নিলাম।
আমি নিলাম ফিশ থালি। অর্চিষ্মান নিল মাটন থালি। আর থালির বাড়তি এক প্লেট পর্ক রিব
ফ্রাইও নেওয়া হল।
ফিশ আর মাটন ছাড়া আমাদের দুজনের
থালির কমন পদগুলো ছিল ভাত, ডাল, সয়াবিনের তরকারি, সেদ্ধ
ফুলকপি আর বিন, পাঁপড়, পেঁয়াজের ফালি,
কাঁচালংকা আর সেভেন আপ।
আর ছিল এই আচারটি। সেদিনের
লাঞ্চের ষ্টার।
আচার মুখে দিয়েই আমরা এমন মুগ্ধ
হয়ে গেলাম যে পরিবেশককে ডেকে জিজ্ঞাসা করতে হল যে জিনিসটা কী দিয়ে বানানো হয়েছে। ধনিয়া,
পুদিনা . . . অর মচ্ছি। কী মচ্ছি সেটা আমরা আর জিজ্ঞাসা করিনি
কিন্তু সে যে অত্যন্ত স্বাদু মচ্ছি তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
ভাত ডাল সয়াবিনের তরকারি খুব
ভালো রান্না হলে যেমন খেতে হয় তেমন খেতে। সেদ্ধ সবজিও আশানুরূপ। তবে অর্চিষ্মান আর
আমার দুজনেরই সবজির থেকেও ভালো লাগে সবজির সঙ্গে আসা ঝালঝাল, নোনতা নোনতা
পাতলা ঝোলটা। শীতটা যখন আরেকটু বেশি পড়বে, তখন এ ঝোলের স্বাদ
খুলবে আরও।
মাছ মাংসের ঝোলও চমৎকার খেতে
ছিল। ওদিকের লোকজন একটু ঝাল বেশি খায়, কাজেই অর্চিষ্মানকে ঘনঘন জল খেতে হচ্ছিল। এত কিছু খেয়ে আমাদের পেট যখন ভরে
গেছে তখন আমরা পর্ক বেলি ফ্রাইয়ের দিকে হাত বাড়ালাম।
অরুণাচলি ডেজার্ট কিছু পাওয়া
যায় কি না দেখার সাধ ছিল আমাদের, তবে সাধ্য ছিল না আর। কাজেই বিল মিটিয়ে বেরিয়ে পড়া গেল। গেটের মুখে
দাঁড়িয়ে থাকা ভদ্রমহিলাকে ঢোকার সময়েই বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল, তাঁর সঙ্গে একটা ছবি তুলে আমরা দুজন দুটো অটোয় উঠে পড়লাম।
apurbo :) dui mahilai besh sundari ..ami ar hiseb rakhte parchi na dilli gie ki ki korbo !
ReplyDeleteদিল্লিতে সত্যিই করার জিনিসের অভাব নেই, তিন্নি। একবার এসে পড়লে সারাজীবনের মত নিশ্চিন্তি।
Deletedec e dudiner janyo jachhi.. India gate, jantar mantar, Rashtrapati bhavan egulo 3 bochor agei dekhechi, echara aboshyo drostyobe ki ektu bolbe somoy pele? Lodi gardens , lotus temple egulo ki recommended? delhir anyotomo akorshon aboshyo tumi :) kintu bhoy nei, tomay jalabona, tobe tomar lekhatei delhi ki anyobhabe chinechi.
Deleteএইরে কাকলি, রেকো চাইলেই আমি বিপদে পড়ে যাই, আমার যা ভালো লাগে, তা যদি তোমার ভালো ভালো না লাগে? তবু তুমি যে আমাকে ভরসা করে দিল্লির দ্রষ্টব্য জায়গার নাম জানতে চেয়েছ সে জন্য আমি আহ্লাদিত। থ্যাংক ইউ।
Deleteতুমি কি হুমায়ুন'স টুম্ব দেখেছ? ওটা আমার খুব প্রিয় জায়গা। সমাধিটাও দেখার মতো, আশপাশের বাগান এবং আরও বিভিন্ন যে ইমারৎ আছে সেগুলোও চমৎকার। না গিয়ে থাকলে যেতে পার। হুমায়ুনের সমাধি দেখতে যাওয়ার একটা বোনাস হচ্ছে ঘোরাঘুরি শেষ করে অটো চেপে কাছের নিজামুদ্দিন দরগায় চলে যাওয়া যায়। মিনিট দশেক ম্যাক্স। দরগা দেখতে ইচ্ছে হলে দেখবে, না হলে করিমস-এ খেয়ে বাড়ি চলে আসবে। এই করিমস-টা জামা মসজিদের করিমস-এরই ভায়রাভাই, তবে ঢের বেশি পরিষ্কার আর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত।
কিন্তু তুমি যদি এসি-টেসির অত পরোয়া না কর, তাহলে ওই দরগার পাড়াতেই গালিবের কাবাবের দোকান আছে, চমৎকার। কাঠের বেঞ্চি, স্টিলের প্লেট, স্বর্গীয় কাবাব। ম্যাপট্যাপ দেখার দরকার হবে না, লোককে জিজ্ঞাসা করবে, দেখিয়ে দেবে। তবু আমি দুটো দোকানেরই নামধাম দিয়ে দিচ্ছি। তুমি শুধু দোকানগুলো কখন খোলা থাকে সেটা একটু খেয়াল করে যেয়ো। (আমি এসব বুদ্ধি দিলাম তুমি এবং তোমার ভ্রমণসঙ্গীরা মাংসাশী ধরে নিয়ে, যদি তা না হয় তাহলে দুঃখিত।)
https://www.zomato.com/ncr/karims-nizamuddin-new-delhi
https://www.zomato.com/ncr/ghalib-kabab-corner-nizamuddin-new-delhi
লোদি গার্ডেনও খুব ভালো জায়গা। সুন্দর সাজানো বাগান, ভাঙাচোরা বাড়িঘর। তবে আমার কাছে হুমায়ুনের সমাধির থেকে কম নম্বর পাবে। লোদি গার্ডেনের আরেকটা সুবিধে হল, এখান থেকেও নিজামুদ্দিন দরগা খুব কাছে, কাজেই ওপরের প্যারাগ্রাফের গোটাটাই লোদি গার্ডেনে গেলেও অ্যাপ্লিকেবল।
লোটাস টেম্পল আমি ছোটবেলায় একবার বাবামার সঙ্গে গিয়েছিলাম, পরে আর কখনও যাওয়ার ইচ্ছে হয়নি। কোনও বিরাগ নেই। কেন যেন মনে হয় এখন আর অত ইন্টারেস্টিং লাগবে না। তবে ব্যাপারটা দেখতে সুন্দর এবং অভিনব। লোটাস টেম্পলের আরেকটা অসুবিধে আমার মতে ব্যাপারটার লোকেশন। দিল্লির যে জায়গাটা গমগমে, তার থেকে একটু দূরে লোটাস টেম্পল। এবার তোমার ইচ্ছে।
ডিসেম্বরে আশা করি দিল্লির আবহাওয়া চমৎকার থাকবে আর তোমার বেশি কষ্ট হবে না। তুমি আসছ দিল্লি ঘুরতে তাতে আমারই এক্সাইটেড লাগছে। খুব ভালো ঘোরা হোক তোমার। আরও কিছু জানার থাকলে লিখো অবশ্যই, (যদিও সে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা আমার নাও থাকতে পারে, তবুও।)
ব্যাস, লিস্ট ফাইনাল - হুমাযুনস টুম্ব আর করিম'স - অনেক অনেক thank you ! তোমার হুমাযুনস টুম্ব এর ওপর লেখাটা একবার revise করে নিলাম এই সুযোগে! কি যে বল - বাঙালি নিরামিষাশী - oxymoron হয়ে যাবে :)
Deleteবাঃ বাঃ ভেরি গুড, কাকলি। কেমন ঘুরলে অবশ্য করে জানিও কিন্তু।
Deleteonyo state canteen gulor tulonay uchhas ta ektu kom.. tahole e ki repeat telecast theke bad porlo?
ReplyDeleteআরে না না, চুপকথা। খুব ভালো লেগেছিল, উচ্ছ্বাসের অভাবটা নিতান্তই লেখার দোষে।
Deletedarun laglo. ar sesher chhobita durdanto.
ReplyDeleteহাহা, থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা।
DeleteEbaba..arunachol er canteen er contact ta dite bhule gecho mone hochhe..tate parle somoy kore obossoi ekbar ghure ebong kheye asben lekha nei keno!!
ReplyDeleteআরে নানা ভুলিনি, হংসরাজ। আসলে গুগলের জমানায় ঠিকানা বার করা এত সহজ যে কাজটা এড়িয়ে গেলাম।
Deleteবেসরকারি জিনিসপত্রের যেটা অসুবিধে, প্যাকেজিং যত চকচকে ভেতরের জিনিস তত ভালো নয়, সরকারি ব্যাপারের অসুবিধেটা ঠিক তার উল্টো। ----- সরকারি-বেসরকারির এই তফাতটা সম্পর্কে আমি এক্কেবারে একশো কুড়ি শতাংশ একমত আপনার সাথে | প্রমাণ স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া, এখন অবশ্য অফিসগুলো দেখতে অনেকটাই ভদ্রস্থ হয়েছে | তবে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনস সাবালক হবে না আর, আশা করে লাভ নেই ;) |
ReplyDeleteএকমত অন্বেষা। তবু আমার কেন যেন 'বাইরে চকচকে ভেতর ফাঁপা'র থেকে 'বাইরে মলিন ভেতরে তাও কিছু আছে' টা প্রেফারেবল লাগে। স্টেট ব্যাংকের প্রচুর প্রচুর অসুবিধে। কিছুদিন আগেই এটিএম কার্ড হারিয়েছিল, সে অভিজ্ঞতার কথা মনে করলে এখনও ঘেমে যাই। তবুও নেক্সট অ্যাকাউন্টটাও এস বি আই-এই খুলব।
DeleteAmi na, ami na! SBI er opor sob bokti shrodha hariyechhi. Cheque book diteo paisa nei!
Deleteওহ, তাই বুঝি?
DeleteBhor-er dike ar khub rattire-i ektu thanda porechhe; Diner belai, mane dupure kintu bhaloi gorom. Belata obossyo chhoto hoye geche. Kichhu din age obdhio 7ta obdhi aalo thakto..
ReplyDeleteহাহা এটা ঠিকই বলেছ, রণদীপ। দুপুরবেলাটা এখনও একই রকমের ঝাঁঝালো রয়েছে। তবে দ্রুত পরিস্থিতি পাল্টাবে আশা করছি।
Deleteaccha state canteen na hole ki eta promotional piece bola jabe?Jodi jai, ami boli tumi ebar state er baire pa felo, bhishon balanced lekha.
ReplyDeleter dwitiyo proshno, macher achar ta loose kinte pawa jabe?-Rahul
ধন্যবাদ, রাহুল। মাছের আচার কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে তো জানি না, উত্তরপূর্ব ভারতের হস্ত কিংবা কুটিরশিল্পের দোকানে পাওয়া যেতে পারে।
DeletePlease Gujarat Bhavane jeo na! Oto kharap pradeshik khabar ar sudhu Maharashtrer hoy!
ReplyDeleteতাই নাকি, রুণা? আমি তো খুব ভালো ভালো রিভিউ পড়ছি গুজরাট ভবনের।
DeleteChobi ta khub sundor... Tui bodlasni akdom.... Entrance ta nongra hole bhokti uthe jai amar... Ar basin toh ami jani as usual nongrai hoi... Majhari maner besorkaritei hoi toh sorkari te toh hobei.... Tobe tora kheyechis khub bhalo... Tobe onnyanyo state canteen er moton jibhe jol ana type noi bodh hoi... Tai na ???
ReplyDelete