সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট # ৪ স্টেয়িং ফ্রেন্ডস



ধরা যত শক্ত, ছাড়া তত সোজা। মোটে পাঁচদিন সাদা পাতায় টাইপ করায় ফাঁকি পড়েছে, এখন আর কিছুতেই ভেবে পাচ্ছিনা কী লিখব। কী লিখতে আমার ভালো লাগবে, কী লিখলে আপনাদের মনে ধরবে। পিঠের তলায় বালিশ গুঁজে পা মেলে ল্যাপটপ কোলে করে হাঁ করে জানালার দিকে তাকিয়ে আছি। এদিকে বৃহস্পতিবার রাত ভোর হতে চলেছে। এ সপ্তাহের সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট পোস্টের একটি শব্দও লেখা হয়নি।

সিরিয়াল মোনোগ্যামিস্ট পোস্ট লেখা শুরুর পর থেকে একটা অদ্ভুত ব্যাপার খেয়াল করছি জানেন। একটা সাপ্তাহিক উপসর্গ। শুক্র থেকে বুধ দিব্যি স্বাভাবিক, বৃহস্পতিবার লাঞ্চের পর থেকেই শুরু হয়। আমি কিছুতেই ভেবে পাইনা যে কারো প্রেমে কী সমস্যা থাকতে পারে। প্রেম তো মহান, পবিত্র, সর্বভোগান্তির উপশম। সে আবার ভোগাবে কী? খুঁতো প্রেম খুঁজতে খুঁজতে আমার রীতিমতো কালঘাম ছুটে যায়, ইন্ডাস্ট্রি ক্ল্যাসিফিকেশন কোড সব একের ঘাড়ে আরেকটা চেপে ঘণ্ট পেকে যায়, তবু প্রেম বলতেই আমার খালি একের পর এক সাকসেস স্টোরি মনে পড়ে। ক্লাস এইট থেকে প্রেম করে বিয়ে করে এখন বাচ্চার পাড়ায় নাচের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করছে টাইপস।

বান্টি সাহায্য করার সদুদ্দেশ্য নিয়ে বলল, “নিজের গ্যাঁড়াকলগুলোর কথা লিখে দাও না। মাসছয়েক আর মেটিরিয়াল নিয়ে ভাবতে হবে না। নামধাম বদল করে এর ওর ঘাড়ে চাপিয়ে দাও লিখে।” আমি বললাম, “যাঃ তা হয় নাকি। অথেনটিসিটি বলে একটা ব্যাপার নেই?” বান্টি বলল, “থাকলে সেই ধুয়ে জল খাওগে, আমার কাছে ঘ্যানঘ্যান করতে এস না।” বলে হাসি হাসি মুখে চ্যাট করতে লাগল। আমি মনের দুঃখে আবার একবার ইনবক্স রিফ্রেশ করতে গেলাম। বলা তো যায় না, যদি কোনো আর্জেন্ট মেল এসে বসে থাকে।

ভাগ্যিস গেলাম। ত-এর মেল এসেছে। ত আমার কলেজ জীবনের কোচিং ক্লাসের বন্ধু। গত বারো বছরে একমাত্র ওর সাথেই যোগাযোগটা ছেঁড়া ছেঁড়া টিকে আছে। মাঝে মাঝে ছ’সাত মাস কোনো খবর থাকেনা। কিন্তু তার পরে একটা মেল এসেই যায়। মনটা খুশি হয়ে গেল। তাড়াতাড়ি মেলটার উত্তর দিতে গিয়ে “আরে আরে কী খবর” পর্যন্ত লিখেই কি-বোর্ডের ওপর আমার আঙুল থমকে দাঁড়াল।

ত-এর নববৈবাহিক জীবনে একটা কী যেন ঝামেলা হয়েছিল না? গত বছর? বিজয়ার মেলটাতে লিখেছিল? মনে পড়া মাত্র আমার শরীরে মনে একটা ভয়ানক উদ্দীপনা জেগে উঠল। আমি ইনবক্সের লক্ষ লক্ষ ফরওয়ার্ড, কুপন, সেলের নোটিস, ডিসকাউন্ট অফার, রাজনৈতিক প্রোপ্যাগ্যান্ডার জঞ্জাল হাঁটকে ত-এর ওই মেলটা খুঁজতে লেগে গেলাম।

তিন মিনিট আর খান পাঁচেক “ধুত্তেরিকা”র পর সে মেল বেরিয়েও পড়ল।    

“ইউরেকা” বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে টাইপ শুরু করতে যাব, বান্টি বলল, “ছি ছি, কী সব পাবলিক। পুরনো বন্ধুর প্রতি একটা লয়্যালটি নেই? মেল করে আগে ওর অনুমতি চাও তারপর লিখো।” কথাটা ঠিকই বলেছে অবশ্য। নতুন মেলের উত্তর তো এমনিতেই দিতে হত, তখন অনুমতিটাও চেয়ে নেওয়া যাবে। বুঝিয়ে বললে বুঝবে নিশ্চয়। সমস্যাটা নিশ্চয় আরও অনেকের হয়। তাদের অনেকের নামও নিশ্চয় ত দিয়ে শুরু। সেইসব ত-দের অনেকেই নিশ্চয় বারো বছর আগে শহরতলির কোচিং ক্লাসে যেত। সপ্তাহে দুবার। এসব ভেবেটেবে, বরের সঙ্গে শলাপরামর্শ করে, ত নিশ্চয় “কুছ পরোয়া নেই, লিখে দে” বলে মেল করবে। সে মেল পেলেই আমি পোস্ট লিখতে শুরু করব। অক্ষত বিবেকে।

টেবিলঘড়ির মিনিটের কাঁটাটা খট করে একটা আওয়াজ করে বারোটার দাগটায় পৌঁছল। শুক্রবার পড়ে গেছে।

আমি টাইপ করতে শুরু করলাম। বন্ধুত্বের লয়্যালটির ব্যাপারটা পরে হ্যান্ডল করা যাবে’খন। ওসব ব্যাপার অত সহজ সাদাকালো তো নয়। অনেক রকম সূক্ষ্ম প্যাঁচপয়জার আছে। সেসব বান্টির কচি মাথায় ঢুকবে না।

সমস্যাঃ লেটস স্টে ফ্রেন্ডস।

ত-এর জীবনের প্রথম প্রেমটা হয়েছিল কলেজ থেকে সদ্য সদ্য বেরনোর পর। তখন আমি অলরেডি পাড়াছাড়া। খবরটা মুখ থেকে মুখে ঘুরতে কানে এসেছিল। নাকি দুরন্ত ঘূর্ণির মতো প্রেম হয়েছে ত-এর। প্রেমিক দেখতে কন্দর্প, প্রতিভায় তার কাঞ্চননগরের ছুরির ধার, বিশ্বের প্রথম পাঁচটি অর্থনীতির বিভাগের একটি তাকে স-ফান্ডিং ডাক পাঠিয়েছে। স্যারেরা বলছেন অমর্ত্য সেনের পর যদি কেউ হয় তবে এই হবে।

শুনে সত্যি বলছি অবাক হয়েছিলাম। অল্প একটু বুকজ্বালাও হয়েছিল। ত-কে এতদিন এতকাছ থেকে দেখছি অসাধারণ তো কিছু চোখে পড়েনি। সেই সাধারণ গলায় এমন গজমোতির মালা দুলল কেমন করে? কপাল আর কাকে বলে।

তারপর আমার গলায় গজমোতি, জলবিছুটি কতরকমের মালা দুলল, সেগুলোকে টেনে ছাড়াতে ছাড়াতে হাঁকপাঁক করতে করতে সবে যখন একটু দম ফেলেছি ই-মেলে ত-এর বিয়ের নেমন্তন্ন এসে হাজির।

একি? পাত্রের জায়গায় এ কার নাম? হবু অমর্ত্য সেনের নাম কই?

ওই বিয়ের নেমন্তন্নের সূত্র ধরেই ত-এর সাথে বন্ধুত্বটা নতুন করে দানা বাঁধল আমার। ই-মেলে, চ্যাটে নানারকম গল্প হত। বিয়ের বাজার। শ্বশুর-শাশুড়ি। বরের চাকরি। একদিন আমি সাহস করে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম, “হ্যাঁরে তোর সেই মেগাস্টার প্রেমিকের কী হল?”

শুনলাম মেগাস্টার প্রেমিকের মোহে নাকি এত মেয়ে লুটোপুটি খেত যে তাদের কারও মনে আঘাত না দিয়ে, মিষ্টি করে 'না' বলতে গিয়েই হবু অমর্ত্য নানারকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দিনের পর দিন গোপন এস এম এস আর হঠাৎ হঠাৎ ফিসফিসানি ফোন সইতে না পেরে ত এসপার ওসপার দাবি করে। তখন প্রেমিক বলেন যে অসাধারণ লোকদের নাকি সমাজের সাধারণ নিয়মকানুন দিয়ে বিচার করতে যাওয়াটাই বালখিল্যতা। তাঁর সাথে প্রেম করতে গেলে এইসব সিকি-আধুলি প্রেম প্রেম ব্যাপারগুলো মানিয়ে নিতে হবে।

ত “বুঝেছি” বলে ফোন নামিয়ে রেখে ভারত ম্যাট্রিমনিতে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনমাসের মধ্যে একটি সর্বগুণান্বিত পাত্র জোগাড় করে ফেলে। বিয়েটা মহাসমারোহে হয়ে যায়। ত পাটায়া থেকে ওর মধুচন্দ্রিমার ছবি সব বন্ধুকে ফরওয়ার্ড করেছিল। ত-এর বরকে ভারি ভালোমানুষ দেখতে।

মাসতিনেক পর ত-এর ইনবক্সে একটা মেল আসে। মেগাস্টার প্রেমিক সন্ধিপত্র পাঠিয়েছেন। কী হবে তিক্ততা রেখে? দুজনেই যখন প্রাপ্তবয়স্ক? দুজনের কাছে প্রেমের সংজ্ঞা আলাদা হতে পারে, মন বা মত না মিলতে পারে কিন্তু তাই বলে সারাজীবন রাগ করে থাকার তো মানে হয় না, তাই না? বিশেষ করে একসময় যখন তারা একসঙ্গে একটা সুন্দর সময় কাটিয়েছে?

ত প্রথমে ভয়ানক রেগে গিয়েছিল। তারপর ভাবল কথাটা তো একদিক থেকে সত্যিই। যা হওয়ার হয়ে গেছে। ভালোই হয়েছে। স্বামী সংসার নিয়ে ওর এখন ভরন্ত জীবন। ক্ষমার ঔদার্য এখন ও দেখাতেই পারে। ভাবতে ভাবতে ওর প্রথম প্রেমের দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল। তীব্র সুখ আর ভালোলাগায় কানায় কানায় উপচোনো সেই সব দিন। মনটা নরম হয়ে এল ওর। সম্পর্কটা ঠিক করে নিলে কি খুব ভুল হবে?

একটাই খটকা, বর ব্যাপারটা কীভাবে নেবে। নাকি এব্যাপারে বরের কথা ভাবার দরকার নেই, আফটার অল সম্পর্কটা ওরই ছিল, ওই ভেঙেছিল, গড়তে হলে ওর সিদ্ধান্তই শেষ কথা?

কুন্তলার মতেঃ

রবীন্দ্রনাথ না কেউ একজন বলেছিলেন। কী বলেছিলেন অক্ষরে অক্ষরে মনে নেই কিন্তু মোদ্দা কথাটা হচ্ছে---বন্ধুত্বকে প্রেমে উন্নীত করা গেলেও যেতে পারে, প্রেমকে টেনে বন্ধুত্বে নামানো যায় না।

আমি কথাটার সাথে একমত। আমার প্রতিটি নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে, আমার শরীরের প্রতিটি শিরা ধমনী গ্রন্থি রক্তবিন্দু দিয়ে, আমার সমগ্র অস্তিত্ব চেতনা বেঁচে থাকা দিয়ে, একমত।

এবং এই একমত হওয়ার সাথে ত-এর মেগাস্টার প্রেমিকের ত-কে আঘাত দেওয়া না দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। দুজনে মিলে যুক্তি করে প্রেম ভাঙার সিদ্ধান্ত নিলেও আমি বিশ্বাস করিনা তার পরে তাদের মধ্যে কোনোরকম ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার জায়গা থাকে। গড়ে তুলতে চাওয়াটাই ভুল। হাওয়ায় প্রাসাদগড়া।

একটা সম্পর্ককে ভেঙেচুরে অন্য একটা সম্পর্কের চেহারা দেওয়া খুব শক্ত। বিশেষ করে প্রেমের মতো একটা সর্বগ্রাসী সম্পর্ককে। আর যদি প্রাণ পণ করে সে অসম্ভব কাজ করাও হয় নতুন সম্পর্কে সেই পুরনো সম্পর্কের ধ্বংসাবশেষ থাকতে বাধ্য। সবকিছু পেছনে ফেলে এগিয়ে যদি যেতেই হয় তাহলে যে পথটায় চলা হয়নি সেটার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যেমন কেবল সময় নষ্ট, তেমনি সেই পথটাকে বেঁকিয়ে চুরিয়ে জলাজঙ্গল ভেঙে নতুন পথের সাথে মেলাতে চাওয়াটাও নেহাত পণ্ডশ্রম।

কাজেই নো বন্ধুত্ব। নো যোগাযোগ। নো ফেসবুকিং।

আর বরের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য একটা খুব সোজা এক্সারসাইজ আছে। ত নিজের মনে ভাবতে চেষ্টা করুক, বরের পূর্বতন প্যাশনেট প্রেম যদি ফেসবুকে বরকে ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে সম্পর্ক ঝালাতে চায় তাহলে ওর কেমন লাগবে। ওই মেয়েটি ওর বরের জীবনের এমন একটা অংশ যার ওপর ওর কোনো অধিকার নেই---এই সহজ সত্যিটা ও কত সহজে মেনে নিতে পারবে?

উত্তরটা একটুও শক্ত নয়, তাই না?
       

Comments

  1. .. goto soptahe Bongmom-er blog er ekta comment theke ('ami ei ranna-ta korbo, korboi') tomar blog ta khunje pelam, tomar lekha porte khoob bhalo lagche, kirokom pa mure boshe jhal muri khete khete golpo koraar tone e lekho tumi, chotobelaar shuktara-anandamela-r din gulor kotha mone pore jachche, tarpor theke thesis er kaj-er bodole purono post poraar moto ekta interesting kaj peye gechi :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে আরে ধন্যবাদ ধন্যবাদ পরমা। এত ভালো ভালো প্রশংসা করার জন্য আর অবান্তরকে এত মনোযোগ দেওয়ার জন্য। ঝালমুড়ি খেতে খেতে গল্প করার সত্যি কোন বিকল্প হয়না তাইনা? আশা করি তোমার আর অবান্তরের বন্ধুত্ব দীর্ঘ ও গভীর হবে।

      বাই দ্য ওয়ে, রান্নাটা এখনও করা হয়নি। দেখি এই উইকএন্ডে শপথরক্ষা হয় কিনা।

      Delete
  2. কাঞ্চননগরটা কোথায়?

    ReplyDelete
  3. aamio bong mom er blog theke ei blog e ashi aar K'r swacha shundor lekhar "fan" hoye jai.

    ekhon AP pora amar ekta nesha hoye dnariyechey. seta ei porjay gechey je K vacation e gele ritimoto goj goj korte
    thaki..."seki etodin er janne chole jachhe, tahole aamra ki porbo" gocher!

    K'r purono post er madhe amar fave koyekta link dilam, pore dekho.
    http://abantor-prolaap.blogspot.in/2012/05/blog-post_13.html
    http://abantor-prolaap.blogspot.com/2011/08/mini-mittir.html
    http://abantor-prolaap.blogspot.com/2012/01/protishruti.html

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে S, নতুন লোকেরা প্রশংসা করলে তাও একরকম, পুরনো লোকেরা করলে লজ্জায় মুখ কোথায় লুকবো বল দেখি। কী যে বল। বেড়াতে গেলে গজগজানির পার্টটা তোমার সাথে আমারও মিলেছে। আমারও অবান্তর ছেড়ে কোথাও যাওয়ার কথা হলেই মনে হয়, "সেকি এতদিন তাহলে নতুন লেখা কী করে হবে, অবান্তরের পাঠকরাই বা কী পড়বেন, আর নতুন কিছু না পেয়ে তাঁরা যদি রাগ করে চলে যান, আর কোনোদিনও অবান্তরে ফিরে না আসেন...OMG!!!" এই ভেবে ভেবে আমার রাতে ঘুম আসে না জান?

      তবে তুমি যে অবান্তরকে মন থেকে এতখানি ভালোবাসো সে জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা রইল। প্রার্থনা করি এ ভালোলাগা চিরস্থায়ী হোক।

      Delete
  4. Kuntalar mater sathe sampurno ekmat.

    ReplyDelete
  5. Ummm. Eita bodh hoy individualer opor depend kore, tai na? Amar dui kachher bondhu hoi hoi kore pnaach bochhor prem korar pore, ekhon break up kore abar notun somporko patiyechhe. Kintu joddur dekhte pachchi, oder bondhutwo ta shesh hoyni moteo. Aager moto roj roj kotha hoytoh hoy na. Kintu hoptay ekdin adda toh badha.

    Jodio, sotyi kotha bolte ki, amar current prem ta jodi kneche jay, tahole sei chheletir songe bondhutwo ta ami bodh hoy rakhte parbo na. Ah well. Each to his own, na?

    ReplyDelete
    Replies
    1. সে তো বটেই বিম্ববতী। লোক তো একরকমের হয় না। তবে আমার বিশ্বাস বেশিরভাগ লোকেই প্রেম-পরবর্তী-বন্ধুত্ব হ্যান্ডল করতে পারেনা। সেটা ভুল বিশ্বাস হতে পারে আবার নাও হতে পারে। কে জানে।

      Delete
    2. আমারও এটা খুব বেশি রকম বিশ্বাস কুন্তলাদি। ব্যাপারটা বেশ জটিল হয়ে দাঁড়ায় ।অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। যারা পারে তাদের অভিনন্দন! এবং আমার তরফের সতর্কবার্তা-ও।বন্ধুত্ব থেকে প্রেমে যাওয়াটা যত সহজ সরল,উল্টোটা অতটাও নয় বোধহয়।

      Delete
    3. একমত একমত।

      Delete
  6. sotti sotti sotti - teen sotti + (theek)^3
    amar ex amake fb te delete kore block korechilo bole ami hebby dukkho peye kede kete ek korechilam :|
    pore amar notun fb profile e ami oke block korechi.. (poishachik hasi)
    bondhutter promotion hote pare, but premer kono demotion hoyna...

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক রু, কেউ একজন আমার কথাটায় এরকম বুক ঠুকে সমর্থন জানাচ্ছে দেখে খুব খুশি হলাম। তোমার প্রতিহিংসা সফল হোক, এই আশীর্বাদ করি।

      Delete
  7. ছাঁচ ভেঙ্গে নতুন করে মূর্তি হয়না . সময় নষ্ট হয় শুধু. "নাও উই আর ফ্রেন্ডস " অনেক দেখলুম. ভবিষ্যত এ কেমিস্ট্রি জটিল করা ছাড়া জীবনে তার আর কোনো ভূমিকা থাকেনা . বরং দুর্লভ কিছু বন্ধুত্ব থাকে চিরকাল যা প্রেমে আর্দ্র কিন্তু "প্রেম" নয় . সোনার ডিমের লোভ ত্যাগ করতে পারলে তা জীবনের সম্পদ. (উক্ত গব্যঘৃত সবার পৌষ্টিকতন্ত্রের জন্যে নহে ).


    আর এই প্রমোসন-ডিমশন এর ব্যাপারটা মানি না . দুটো আলাদা সেট . আলাদা স্টেট . কেও ওপর-নীচে নয়. প্রেম যা দেয় তা বন্ধুত্ব দিতে পারেনা . বন্ধুত্ব যা দেয় তা প্রেম ভাবতেও পারেনা . এক ই জীবনে বান্ধবীর কাছ থেকে চুলের মুঠি ঝাঁকানো "খুন করে ফেলবো শালা " চাই আবার প্রেমিকার কাঁপা চোখের "ও , তাই বুঝি ?" ও চাই .
    একটাই আফসোস . জীবন মাত্র একটা .

    ReplyDelete
    Replies
    1. আপনার মতের সাথে মত মিলেছে অলর্ক কিন্তু আরেকটা জায়গা মেলেনি। আমার কখনই কোনো খুব ঘনিষ্ঠ পুরুষ বন্ধু হয়নি। হয় সাধারণ বন্ধু হয়েছে নয় প্রেমিক। ইন ফ্যাক্ট আমি ওই বোকা কথাটাও খানিকটা বিশ্বাস করি যে ছেলেমেয়েতে বন্ধুত্ব হয় না। তবে বাকিদের হয় আমার হয়না, ঘটনাটা সেরকমও হতে পারে। তাই আমি এব্যাপারে তর্ক উঠলে মুখ বুজে থাকি।

      Delete
  8. Depend kore individual er opor. Khub serious kono relationship, especially onek jhamela hoye bhangle pore tar sange ar bondhutwo rakhar kono mane hoy na. Karon tar theke onek tiktota toiri hoy. Tobe chhotobelar (read teenage er) sweet kono boyfriend thakle tar sange abar biyer por samporko rakha ta oto kichu difficult noy. Borong mojar lagey sei teenage boyesh er katha gulo bhebe. Tobe hya, ei puro byapar tar pre-requisite holo nijer spouse er sange kholakhuli katha bole neya ar nijeder sompurno bhabe bishwas kora. After all marital samporko is more important than ex- samporko. Tai ei case e spouse apotti janale tar mot ta shona uchit bolei amar mone hoy.

    ReplyDelete
    Replies
    1. একদম একমত রিয়া।

      Delete
  9. "ছেলেমেয়েতে বন্ধুত্ব হয় না" এটা আমি নিজে অনেকদিন বিশ্বাস করতুম . এখনো যে পুরো অবিশ্বাস করি তা নয় কিন্তু কিছু বন্ধুত্ব তৈরী হয়েছে যা আমার নিজের ধারণা সম্বন্ধে সন্দেহ জাগিয়েছে. আসলে আগে বন্ধু বল্লে ওই টিপিকাল ছেলেদের দঙ্গল বেঁধে হুল্লোর-ট্রেকিং-পার্টি-নেশা -মুখের আগল না রেখে লেভেলহীন ভাট এইরকম একটা জগৎ ছিল. যার পাশাপাশি রেখে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব টাকে দেখতুম. তাপ্পর তো সব জ্ঞানপাপী পাখি ঘরে ফিরলো . বে-থা হলো ছেলে বন্ধু দের .এখন আর মাঝরাত্তিরে ফোন করে "আমি আসছি, রেডি হ. কোনো প্রশ্ন করিসনা, দিন তিনেকের মতো জামাকাপড় নিবি " - টাইপ এর হুরুদ্দুর বেড়িয়ে পরাও নেই .

    অর্থাত এক কথায় আমরা ভদ্র ,সভ্য, সামাজিক স্বখাতসলিলে ডুবে মরিচি. এখনকার "বন্ধুত্ব" যাপনের নিরিখে দেখলে বরং সব না হলেও কয়েকজন মেয়ে বন্ধু অনেক বেশি বন্ধু . বয়েস হলে মেয়েরা দুরন্ত হয় আর ছেলেরা ল্যাদস . সেরকম কিছু কি ? কে জানে :D :D

    ReplyDelete
    Replies
    1. Amar mone hoy "chhele meye te bondhutwo hoy na" byapar ta thik na. Problem ta holo onyo lokera shuru thekei mathay dhukiye daye je "arey durr, o ki emni emni tor best friend hotey pare?" Seikhan theke shuru hoy jhamela. Amar besh koyekta bhalo chhele bondhu ache, keu school er class 6 theke, keu university'r abar keu office ero. Tader sange golpo korte bhalo lagey, bhaat bokteo besh bhaloi lagey. Arekta byapar holo ei involved party'r mentality'r opor. Ami nije khanikta tomboyish bole chhele der sange khela dhulo korte (cricket theke car racing) amar bhaloi lage tai chhele rao freely mishte pare. Nyaka meyeder case, ba bhishon dainty-duchess der case gulo different hoy etao sotyi.

      Delete
    2. হাহা ডেইন্টি ডাচেস কথাটা আগে শুনিনি তো? দুর্দান্ত।

      Delete

Post a Comment