ফুচকা



অটো থেকে নেমে ব্যাগ থেকে পার্স বার করে বেছে বেছে ন্যাতানো নোটগুলো অটোওয়ালাকে চালান করছি, পেছন থেকে একজন হর্ন দিয়ে দিয়ে কানের পোকা নড়িয়ে ফেলল।

“সরছি রে বাবা, সরছি” মনে মনে বলে আমি কাঁধ থেকে খসে পড়া ব্যাগ পিঠের দিকে ঠেলে দিয়ে তাড়াতাড়ি মাঝরাস্তা থেকে বাজারের দিকে আসার চেষ্টা করলাম।

আমার দোষ নেই। অটোওয়ালারও নেই। দিল্লিতে সবাই মাঝরাস্তায় থামে। শত হলেও নবাবদের শহর, নবাবিয়ানাটা এ শহরের মানুষের রন্ধ্রেরন্ধ্রে ঢুকে গেছে। আমি এই এইখানে আপনাকে নামিয়ে দিলাম, এইবার অগ্রপশ্চাৎএপাশওপাশ থেকে রে রে করে ছুটে আসা গাড়ির চাকার তলায় থেঁতলে না গিয়ে রাস্তা পেরোনোর দায়িত্ব আপনার। অটো, বাস, প্রাইভেট কার, ফটাফট্‌ সার্ভিস, সকলেরই একই ভঙ্গি।

ফটাফট্‌ কী? ওহ্‌, ওটা হচ্ছে একটা শাটল সার্ভিস, মেনলি মেট্রোস্টেশনগুলোর মধ্যে দৌড়োদৌড়ি করে। সার্থকনামা। চেহারায় না বাস, না অটো। দিল্লির রাস্তায় ফটাফটের দাপট দেখলে আপনি হাঁ হয়ে যাবেন। বাস লরি থেকে শুরু করে স্কোডা মার্সিডিস বি এম ডবলিউ সবাই ফটাফট্‌কে সাইড দেয়। আমার খুব শখ গাড়িটায় একবার চড়ি, কিন্তু আমাদের রুটে আবার ফটাফট্‌ চলে না। লোকাল অটো ইউনিয়ন শাসিয়ে রেখেছে বোধহয়। এদিকে নাক গলিয়েছ কি আরেকখানা হস্তিনাপুর নামিয়ে দেব।

জিপ খোলা ব্যাগ, পার্স, গাড়িঘোড়া সামলে রাস্তা পেরোচ্ছি, লোকটা তখনও হর্ন দিয়ে চলেছে। কে বস্‌। আমি আর ঘাড় না ঘুরিয়ে পারলাম না। আর ঘুরিয়েই চক্ষু চমৎকার। গাড়ির ভেতরে মাথায় টুপি আর চোখে গগল্‌স্‌ পরে, সারা মুখে একখানা তিরিক্ষে ভাব মেখে আমাদের ফুচকাওয়ালা বসে আছেন। আর মিনিটপাঁচেক পরেই আমি যাঁর সামনে শালপাতার বাটি ভিক্ষার ভঙ্গিতে পেতে দাঁড়ানোর প্ল্যান করছি।

এইবেলা একটা কথা পরিষ্কার করে রাখা দরকার। আমি অটো ঠেঙাচ্ছি আর আমার ফুচকাওয়ালা গাড়ি চাপছেন, এইটা কিন্তু কোনওভাবেই আমার মনে কোনও বিদ্বেষের জন্ম দেয়নি। আমি সেফ খেলে বাবামায়ের ঘাড়ে চেপে খানকয়েক পাশ দিয়ে চাকরি জুটিয়েছি, আর উনি গায়ের রক্ত জল করে শূন্য থেকে শুরু করে একটা রমরমা ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। কোনওরকম ব্যাকিং ছাড়া। আমাদের দুজনের মধ্যে গাড়ি চাপার যোগ্যতা যদি কারও থাকে, তাহলে সেটা যে ওঁরই আছে এ নিয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। আর আমার যে সন্দেহ নেই, সেটা নিয়ে আপনাদেরও কোনও রকম সন্দেহ থাকুক আমি তা চাই না।

এই লেখাটা যত না ওঁকে নিয়ে তার থেকে অনেক বেশি ফুচকাকে নিয়ে।

আর সেজন্যই আমার বাবার কথাটা মাথার ভেতর তখন থেকে ঘুরে চলেছে।

আমার বাবা বিশ্বাস করেন পয়সা হওয়া আর উচ্ছন্নে যাওয়া আসলে একই কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। আরও পরিষ্কার করে বললে, বাবামার পয়সা হওয়া আর ছেলেমেয়ের উচ্ছন্নে যাওয়া। আমার বাবা মনে করেন বাচ্চার বড় হওয়ার রেসিপিতে কৃচ্ছসাধনা একটা অপরিহার্য উপকরণ। বাবামা ভালোবাসা দেখিয়ে তাকে ডিজাইনার জামা ব্র্যান্ডেড জুতো কিনে দিতে পারেন, সপ্তাহে তিনদিন ক্যান্ডেললাইট ডিনারে নিয়ে যেতে পারেন, মাধ্যমিক পাশ করলে পাড়াকাঁপানো পালসার কিনে দিতে পারেন, কিন্তু এগুলো চরিত্রগঠনের কফিনে একের পর এক পেরেক ছাড়া আর কিছু না।

আমি বাবার মনোভাবটা বুঝতে পারি, কিন্তু পুরোটা যে সমর্থন করি এমন নয়। পয়সা হওয়াটা তো পাপ হতে পারে না, আর পয়সা হলে জীবনযাত্রার মান একই জায়গায় থেমে থাকবে সেটাও অসম্ভব। ইকনমিক্সের থিওরির মতে থাকা উচিতও নয়। আর আমার পয়সা হয়েছে, আমি হোন্ডা সিটি থেকে সিভিকে আপগ্রেড করে গেলাম, আর আমার সন্তান সেই লজঝড়ে হিরো সাইকেলে আটকা পড়ে রইল, এটাও খুব একটা এথিক্যাল বলে আমার মনে হয় না।

আমার খুব দুঃখ হলেও বলতে হচ্ছে আমাদের ফুচকাওয়ালার ক্ষেত্রে বাবার কথাটা একেবারে অক্ষরেঅক্ষরে ফলেছে। তিনি ফুলেফেঁপে উঠেছেন, তাঁর ফুচকা গোল্লায় গেছে।

ফুচকা নিয়ে আমার খুঁতখুঁতুনির কথা স্বীকার করতে আমার কোনও লজ্জা নেই। ফুচকার আকার আয়তন, তেঁতুলজলের তাপমাত্রা, আলুমাখার টেক্সচার থেকে শুরু করে প্রত্যেক ব্যাচে অপটিমাম কত জন খাইয়ে থাকা উচিত, সব নিয়ে আমার অত্যন্ত কড়া মতামত রয়েছে। যদিও শেষের ব্যাপারটা ফুচকাওয়ালার স্পিডের ওপর নির্ভরশীল, তবু বিগত প্রায় কুড়ি বছরের নিরলস রিসার্চের পর আমি এই সিদ্ধান্তে এসেছি যে একটা ফুচকার ব্যাচে চার থেকে ছয় জন খাইয়ে থাকলেই সবথেকে ভালো। চারের কম থাকলে ফুচকা মুখে পুরে, চিবিয়ে, গিলে, শালপাতার জলটুকু শান্তি করে খাওয়ার সময় পাওয়া যায় না। আর ছয়ের বেশি হলে একখানা ফুচকা খেয়ে হাঁ করে চাতকপাখির মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। দুটো পরিস্থিতিই সমান বিরক্তিকর।

কিন্তু আমাদের মতো ফুচকা-শুদ্ধতাবাদীদের পক্ষে সময় দ্রুত খারাপ হয়ে আসছে। এই ঘোর বাঙালি ঘেটোতে পর্যন্ত, তেঁতুলজলের চকচকে স্টিলের পিপেটার পাশে সামান্য ছোট আরেকটা পিপে জাঁকিয়ে বসেছে। ওতে নাকি “মিষ্টি জল” থাকে। কিছু লোক দেখি নিয়মিত তেঁতুলজলের বদলে ওই মিষ্টি জল দিয়ে ফুচকা খায়। খেয়ে আবার “আআআহ্‌” বলে তৃপ্তিসূচক আওয়াজও করে। আমি নিশ্চিত সেদিনের আর বেশি দেরি নেই যেদিন কেউ এসে ফুচকায় কাবলিছোলার টপিং দাবি করবে।

যাকগে মরুকগে। করলে করবে। আটকাতে যখন পারব না, তখন ভেবে লাভ নেই।

গত কয়েক মাস ধরে আমাদের এই ফুচকাওয়ালা ভদ্রলোকের ব্যবসা দেখার মতো বেড়েছে। বাড়াই উচিত, কারণ সত্যিই এত ভালো ফুচকা আমি কলকাতাতেও দু-এক জায়গা ছাড়া খাইনি। তাই রোজ যখন ছয়ের জায়গায় বারোজনের সঙ্গে কনুইয়ের ধাক্কাধাক্কি করে ফুচকা খেতে হচ্ছিল তখন আমি নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম যে, ফুচকার নাম বিশ্বে যত প্রচার হবে বাঙালি হিসেবে আমার গর্ব তো বাড়বে বই কমবে না। তার জন্য এটুকু কষ্ট না হয় সইলামই।

কিন্তু কষ্টের ধাতটাও ওই পয়সার মতো। বাড়তে শুরু করলে আর কমার জো নেই। খাইয়েদের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য ভদ্রলোক কিছু অল্পবয়সী অ্যাসিস্টান্ট আমদানি করলেন। যাদের একজনও বাঙালি নয়।

আমাকে ভুল বুঝবেন না। আমি জানি কলকাতায় যাঁদের হাতের ফুচকা খেয়ে আমরা সম্মোহিত হয়ে থাকি, তাঁদের নব্বই শতাংশের নাম হয় পাপ্পু নয় রাজিন্দর। কিন্তু তাঁরা রোজ বাংলাদেশের ধুলো খান, গড়ের মাঠের হাওয়া খান, দক্ষিণাপনের গেটে দাঁড়িয়ে ফুচকা বিলি করতে করতে পাঞ্জাবি কিংবা বুটিক শাড়ির আঁচলে ছাপা জীবনানন্দের কবিতার ছত্রে তাঁদের নিয়মিত চোখ পড়ে, মাথায় ফুচকাভর্তি কাঁচের বাক্স আর বগলে বিরাট মোড়া নিয়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকার সময় দেবব্রত বিশ্বাসের রবীন্দ্রসংগীত না শুনে তাঁদের পালাবার জো নেই। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সুস্মিতা সেন কিংবা সৌরভ গাঙ্গুলির থেকে ওঁরা ঢের বেশি বাঙালি।

এই অ্যাসিস্ট্যান্ট বেচারারা জীবনানন্দ তো দূরে থাক, ফুচকা ব্যাপারটাই আগে কখনও চোখে দেখেনি। গোলগাপ্পা হয়তো খেয়েছে এদিকসেদিক, কিন্তু সেটাকে ফুচকার সিভিতে অভিজ্ঞতা হিসেবে ঢোকাতে গেলে আমাকেও পাশ্চাত্য মার্গসংগীতের একজন দিক্‌পাল বলে চালিয়ে দেওয়া যায়।

হয়তো একদিন শিখে যাবে, কিন্তু এখন সে ছেলের হাতে ফুচকা খাওয়া যে কী কঠিন ব্যাপার সে ভুক্তভোগীই জানে। ধরুন প্রথম ফুচকাটা খেয়ে আমি তাকে বললাম, ভাই আমাকে আরেকটু ঝাল দিয়ো তো প্লিজ। আলুতে ঝাল বেশি থাকুক বা কম, আমি এই অনুরোধটা করি। কেন করি কে জানে। আমার বিশ্বাস এর পেছনেও মায়ের হাত আছে। ছোটবেলায় যখন মা খেতে বসিয়ে বাকি সবার দিকে চোখ টিপে “বাব্বা, আমাদের সোনা কত বড় হয়ে গেছে, বড়দের ঝাল তরকারিও খেয়ে ফেলতে পারে” মার্কা ভুজুং দিতেন, আমার বুকটা গর্বে তিনহাত ফুলে উঠত। সেই আবেগটাই এখনও কাজ করে নিশ্চয়। আমি বেশি ঝালওয়ালা ফুচকা খাচ্ছি, আর আমার আশেপাশের লোকজন তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে, এইটা আমার একটা চরম দুর্বলতার জায়গা।

এ ছেলে ওসবে কর্ণপাতই করে না। আমি “ঝাল দাও ঝাল দাও” বলে গলা ভেঙে ফেলি, সে পাথরের মতো মুখ করে ফুচকা দিয়ে যেতে থাকে। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম ঠ্যাঁটা, কিছুদিন পর একটা সন্দেহ হওয়ায় ঝালের বদলে যেই না বলেছি, “থোড়া মিরচি ডালনা প্লিজ”, অমনি দেখি সে ব্যাজার মুখে একখাবলা লংকা আলুতে মিশিয়ে দিল।

কাল ফুচকা খেতে গিয়ে দেখি পরিস্থিতি একটু বেশি খারাপ। বারোর বদলে বাইশজন লোক ফুচকার টেবিল ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ছেলেটা একজনকে বিনা মিরচি, তার পাশের জনকে মিঠা পানি, তার পাশের জনকে “ও মাই গড, নো ডার্টি ওয়াটার প্লিজ” ফুচকা দিতে গিয়ে গলদঘর্ম। এদিকওদিক তাকিয়ে দেখি মালিক ততক্ষণে গাড়ি পার্ক করে ভিড়ের থেকে খানিক তফাতে দাঁড়িয়ে আরাম করে বিড়িতে টান দিচ্ছেন। চলে আসাই উচিত ছিল, কিন্তু কাল অফিসেও একটা বিশেষ খারাপ মিটিং-এ ঝাড়া দুঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছিল, কাজেই মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে আমি দুর্গা বলে ভিড়ের ভেতর ঢুকে পড়লাম।

তারপর শুরু হল ঘণ্টায় একটা করে আলুনি, আঝাল ফুচকার দীর্ঘ বোরিং মিছিল। একবার তো পাশের ভদ্রলোকের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে ছেলেটা আরেকটু হলেই একটা মিঠাপানির ফুচকা আমার শালপাতার ওপর ধপ্‌ করে ফেলছিল, আমি প্রাণের দায়ে চিৎকার করে ওঠায় কোনওমতে শেষরক্ষা হল। কিন্তু চেঁচানির চোটে ওর হাত চলকে ফুচকার অর্ধেক জল ছিটকে আমার কুর্তার হাতা ভিজিয়ে দিল।  

মনটা একদম তেতো হয়ে গিয়েছিল জানেন। ভিড় থেকে বেরিয়ে এলাম। ডাস্টবিনে শালপাতা ফেলে হাতের আঙুলগুলো জিনসে ঘষে মুছলাম। ব্যাগ খুলে পার্স থেকে একটা দশ টাকার নোট বার করতে যাব এমন সময় পেছন থেকে কাঁধে একটা টোকা পড়ল। ঘুরে দেখি মালিক ভদ্রলোক। একটা শেষ টান দিয়ে বিড়িটা ছুঁড়ে ফেলে ভদ্রলোক বললেন, “একটু দাঁড়ান দিদি।”

ব্যাপারটা কী হচ্ছে বোঝার আগেই দেখি বাইশের ব্যাচ ভেঙেছে। ব্যাচের লোকজন ধীরে ধীরে ছত্রাকার হয়ে যাওয়ার পর ভদ্রলোক টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলেন। ছেলেটাকে বললেন, “তু অব থোড়া আলুকাবলি দেখ, ম্যায় ইধার দেখ রহা হুঁ।” বলে স্টিলের লম্বা চকচকে হাতাটা দিয়ে তেঁতুলজলের পিপেটা দুবার ঘুলিয়ে দিয়ে ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, “আসুন দিদি।”

আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো গুটিগুটি এগিয়ে গেলাম। দেখি এদিকসেদিক থেকে আরও জনাচারেক লোক এসে আমার আশেপাশে দাঁড়ালেন। একজন মাঝবয়সী মা-মা দেখতে মহিলা, একজন কাঁচাপাকাচুলো প্রৌঢ় ভদ্রলোক, একটা বছর ষোলোর চশমা পরা লিকপিকে ছেলে, আর একটা ওই বয়সেরই মিষ্টিমতো মেয়ে। বোঝাই যাচ্ছে ছেলেটার সঙ্গী।

আমি কিছুতেই চিহ্নিত করতে পারছিলাম না জিনিসটা কী, কিন্তু চেহারা বয়সের সব অমিল ছাপিয়ে আমাদের পাঁচজনের মধ্যে একটা কিছু কমন ছিল। ওঁরা পাশে এসে দাঁড়ানো মাত্র আমি সেটা টের পেয়েছিলাম। ওঁরাও পেয়েছিলেন নিশ্চয়। ফুচকাওয়ালা ভদ্রলোকের হাত থেকে শালপাতার প্লেট নিতে নিতে আমরা সবাই একে অপরের দিকে তাকিয়ে অল্প হাসলাম।

তারপর ভদ্রলোক শার্টের আস্তিন গুটিয়ে আচ্ছা করে আলুভাতে চটকে চটকে মাখলেন। চিমটি করে নানারকম মশলা মেশালেন, ছ্যাত করে বেশ খানিকটা তেঁতুলের জল ছেটালেন। আমি অনেক দ্বিধা কাটিয়ে সবে মুখ খুলতে যাব, অমনি দেখি উনি একটুখানি আলু আলাদা করে নিয়ে বেশ বড় একখাবলা ঘন সবুজ কুচো লংকা মিশিয়ে দিলেন।

তারপর শুরু হল ফুচকার পালা। ফুচকা তো নয়, ওয়ার্ক অফ আর্ট। নিটোল, নিখুঁত, একবারে মুখে পোরার জন্য একেবারে মাপমতো সাইজের। পারফেক্ট ঝাল, পারফেক্ট নুন, পারফেক্ট মশলা। আলু, ফুচকা আর জলের অনুপাতের পারফেক্ট মিশ্রণ।

ভদ্রলোক কোনওদিকে না তাকিয়ে একমনে ফুচকা দিয়ে যেতে লাগলেন। আমরা ঘোরের মতো খেয়ে যেতে লাগলাম। আর খেতেখেতেই আমার মাথায় বিদ্যুতের মতো খেলে গেল যে আমার চারপাশে এঁরা কারা দাঁড়িয়ে আছেন।

ফুচকাকে যাঁরা সত্যিসত্যি ভালোবাসেন, এঁরা সেই লক্ষলক্ষ বাঙালির প্রতিনিধি। সময় সমাজ পরিস্থিতি যতই বদলাক না কেন, কোনও মিঠাপানির সাধ্য নেই এঁদের গলা টিপে মারে, কোনও কলেরার বাবার সাধ্য নেই এঁদের শরীরে ছুঁচ হয়ে ঢোকে।

একসময় ভদ্রলোকের বিনীত কণ্ঠস্বরে আমার ঘোর ভেঙে গেল।

“চার প্লেট হয়েছে, আর দেব কি?”

আমরা সবাই মাথা নেড়ে না বললাম। যে যার পকেট থেকে পয়সা বার করতে লাগলাম। ভদ্রলোক আমাকে একটা জলছাড়া শুকনো ফুচকা বিটনুন ছড়িয়ে দিলেন, ছেলেমেয়ে দুটোর শালপাতায় একএক হাতা করে তেঁতুল জল ঢেলে দিলেন, বয়স্ক ভদ্রলোকের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতে তিনি বললেন, “না না আমাকে আর কিছু দিয়ো না, বাড়িতে একগাদা রান্না হয়েছে, সেগুলোও তো খেতে হবে নাকি?” আর গোলগাল মায়ের মতো মহিলা দু-সেকেন্ড ভেবে ‘ধুস্‌ যা হয় হবে’ টাইপের মুখ করে একখানা শুকনো ফুচকা চেয়ে মুখে পুরে দিলেন।  

আমার আশীর্বাদের যদি জোর থাকে, তাহলে ফুচকাওয়ালা ভদ্রলোক অচিরেই অল্টো ছেড়ে মার্র্সিডিসের মালিক হবেন। কেউ আটকাতে পারবে না।   

Comments

  1. Tui tor blog-e niyomito feature gulo bondho kore de ebar. Shudhu lekh. Shudhu lekh.

    I'm sure amateur blogger-der modhye tor theke bhalo Bangla keu lekhe na.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বাঃ দিল বেশ গার্ডেন গার্ডেন হয়ে গেল। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।

      Delete
    2. Dhyatterika. Dil garden-garden kore boshe thakish na. Aro lekh. Mane, take it to the next level.

      Delete
    3. ekdom thik! amar roj sokal kintu times of india, telegraph aar abantar die shuru hoe, sotti bolchi. Tai jedin erom goppe post thaake shedin kya baat! aar jedin chobi tobi die chele/meye bholao shedin ektu dukkhu dukkhu mon kore uthe pori. Ami onek por theke tomar blog pora shuru korleo archive theke purono shob post o jhere puche saaf kore diechi. Ki darun je laage, thik amar moner kotha guloi jeno tomar keyborad theke sheje guje beriye aashe .... biye hoe gele beshi lekhar somoe pabe kina janina, kintu post kom post hole archisman da bechara bishom kheye kheye sara hobe eta bole dichi!

      Delete
    4. bishom khabe na jibh kamrabe? ninde korle konta jeno hoe?

      Delete
    5. I second Abhishek babu. Apni shudhu lekha dhorun.

      Delete
    6. পরমা, সুগত, থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। আপনাদের পরামর্শ মনে রাখব।

      পরমা, বিষম আর জিভ কামড়ানো নিয়ে আমারও কনফিউশন আছে। দুটোই ঠিক বোধহয়।

      Delete
    7. হক কথা- লেখার লোভে প্রতিদিন আসি, (মনের কোণে আশাও থাকে, এবার বোধহয় গোয়েন্দা উপন্যাস লেখা শুরু হয়েছে জানতে পারবো) তার বদলে দিস অর দ্যাট দেখে আবার নেট চষতে যাই(ভুল বুঝবেন না, ওগুলো করতে আপনাকে কি ভীষণ খাটতে হয়- অল্প ধারণা আছে, কিন্তু ঐ যে, ভাল লেখার লোভ...)
      একটা ভাল সিনেমা দেখলাম এখুনি- http://www.imdb.com/title/tt1675434/
      ওটা দেখে আর তারপর লেখাটা পড়ে বেজায় আরাম হলো- ভাল ঘুম হবে :)

      Delete
    8. মতামতের জন্য ধন্যবাদ সুনন্দ।

      Delete
  2. :-) sotti Abantor e e dhoroner ekta post porlei next tar jonye tor soina.

    ReplyDelete
    Replies
    1. Ar tar modhye shaptahiki, ShoniRobi, quiz, Dis or Dat, aro hajarta jinish dhukiye dilute kore.

      Or uchit duto parallel blog maintain kora.

      Delete
    2. থ্যাংক ইউ ইচ্ছাডানা।

      Delete
    3. Abhishek babu-r kothata bhebe dekho. Tomar onyano post o amar khub bhalo lage, tobe ei je tumi moja kore doinondin jiboner ghatona nie eto sahoj -sabolil bhasai likhe phalo, pore mone hoi 'are eito etato amari songe ghotechhilo', kimba 'arre egulo to amari moner kotha..' eigulo jano oder sobbaike chhapie jai, tai ei post gulor jonye chatok pakhir moton boshe thaki. Duto alada Blog hole kintu mondo hoina, karon onek porisrom kore tumi oi Quiz gulo toiri koro, ogulor jonyeo onekei opekhai thake, ar tomar Soni-robir chhobio prosongshar dabi rakhe , This or that o darun, tai oi post guloro proyojon bhisonbhabe achhe.

      Delete
    4. bhul bujhona kintu, amar ekanto nijer motamot janalam. :-) , 'Abantor' e tumi jai post koro tai agroho nie pori .

      Delete
    5. ইচ্ছাডানা, ভুল বোঝার কোনও অবকাশই নেই। আপনারা যে অবান্তর এত সিরিয়াসলি পড়েন এবং তার ভালোমন্দের কথা ভাবেন, সেটা শুধুই আমার সৌভাগ্য ছাড়া কিছু না।

      তবে আমার কী মনে হয় জানেন ইচ্ছাডানা, আমি অবান্তরে একের পর এক নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখে যাচ্ছি, আর পাঠকেরা শুধু এসে "বাঃ কী ভালো লিখেছেন/ আপনার লেখা ছেড়ে সংসার করা উচিত" গোছের মন্তব্য করে যাচ্ছেন---এটা আমার এবং অবান্তরের পাঠক, দুদলের কাছেই প্রাণঘাতী হবে। ওই কুইজ-মুইজগুলো দেখে পাঠকদের হাসি পায় হয়তো, কিন্তু সত্যি বলছি আমার মুখ বদলায়। সেটা আপনাদের ক্ষমাঘেন্না করে সহ্য করে নিতে হবে আরকি।

      আপনিও আমাকে ভুল বুঝবেন না আশা করি। আপনাদের প্রতিটি কথার অসম্ভব দাম আছে আমার কাছে, এটা নিশ্চয় বলে বোঝাতে হবে না।

      Delete
    6. Na na kono bhul bujhchhina, tomar swad bodol ta to bujhtei pari :-), barong etuku jene khoma ghenna kore nio je Abantorer pathok bolei hoito etota sahos jutie nijer motamot janiechhi, onya kono blog e to amar motamot janonor sahostukuo thakena, etao 'Abantor' er guun :-)

      Delete
  3. Ei post ta shottiy darun. Print out niye, frame kore protyek ti existing phuckawalar ba future phuckawalar, ei lekha ta tetul joler pashe rakha uchit.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ বং মম। লেখাটা এত কাজের হয়েছে জেনে খুশি হচ্ছি।

      Delete
  4. Satyi K tomar lekha eto bhalo..samanya ekta phuchka khawa setao ki bhalo lagchey porte....this truly is the bestest bengali blog in blogosphere.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আরে ধুর কী যে বল শম্পা। অবান্তরের পাঠকেরাও truly is the bestest in blogosphere।

      Delete
  5. Osadharon. PoRte poRte jeno amio oi fuchkawalar samner line-e dhuke gechhilam. Haate alumakhar texture, jibhe tok-jhal swad ar haat diye tentul jol goRiye poRar anubhutigulo sob ei lab e boseo peyechhi, biswas korun. Erakom lekha aro chai. Amateur-der modhye sotyi apnar theke bhalo keu lekhena.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ সুগত। লেখাটা এত ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হয়েছি।

      Delete
  6. fuchka khabo ar abantor porbo ,ki anander byaper :-)

    ReplyDelete
  7. bhalo laglo pore...kintu baba dhukia,fotafot dhukia boddo tenechen..blog lekha e apnar protibha ache thik e...ghote jawa ghotona apni khub sajia guchia poribeshon korte paren...kintu short story te imaginative ability nia aag baria ekhun e kichu ami bolbo na..
    r haan...poisa hole-e sobai 'উচ্ছন্নে' jai na... :-)

    ReplyDelete
  8. amar phuchka bhalo laage na, jhaal holo du chokkher bish tai oi byapartaye relate kora mushkil. kintu lekhata dibyi hoyechhey.

    ReplyDelete
  9. সাধু সাধু। কি লেখা, দি! পড়ে দারুন আরাম হল, বিশেষত এই কারনে যে আমি সেই মুষ্টিমেয় বাঙালীদের একজন যে ফুচকা নিয়ে হেদিয়ে মরে না। কিন্তু লেখার গুণে, মনে হচ্ছে একটু ফুচকা পেলে মন্দ হত না।
    সে তুমি কাকুর মতের সাথে একমত না হলেও ওনাকে বলে দিও আমি ওনার সাথে আছি। একটু বিশদে বললে এরকম। পয়সা হতেই পারে, সৎপথে। কিন্তু পয়সা হলেই ব্র্যান্ডেড জুতো ইত্যাদি কিনে দিতে হবে এটা আমি মনে করি না। মানে বাচ্চাকে বোঝাতে হবে বাবার পয়সা আছে বলেই প্রাকৃতিক নিয়মে ছেলে বা মেয়ে এটা-সেটা পাবে এটা ঠিক নয়। তাকে সেসব অর্জন করতে হবে। আর বাচ্চারা তো শেষপর্যন্ত বাচ্চা, তাই তাদের মনে যাতে লোভ না জাগে তার জন্য বাবা-মা একটু কৃচ্ছসাধনাই না হয় করলো। কি যায় আসে তাতে। অন্তত চারিদিকে সারদা-টারদা নিয়ে যা সব হচ্ছে তাতে বাবা-মা এইধরনের কৃচ্ছের সাধনা একটু করলে মা সারদা সগ্‌গে একটু শান্তিতে থাকতে পারবেন।

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি আবির। আমার তো এখন একটা ধারণাই বদ্ধমূল হয়েছে যে মনীষী-টনীষীর নাম নিয়ে কিছু একটা ফাঁদা মানেই ধাপ্পাবাজির সম্ভাবনা একশোগুণ বেড়ে যাওয়া।

      আর বাবার মত সম্পর্কে বলি, বাবার মত অনেকেরই পছন্দ হয় না। সে জন্য আমিও একটু ডিফেন্সিভ খেলে আগে থেকেই বাবার মতের ছ্যাঁদাগুলো আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছিলাম। কিন্তু মোটের ওপর কথাটা খুব একটা ভুল নয় বলেই আমার মনে হয়। কৃচ্ছসাধনা ব্যাপারটা অতও ফেলনা নয়। কোনও কোনও জায়গায় সত্যিই তার দরকার আছে। তুমি একদম ঠিক বলেছ।

      Delete
    2. তোমার বাবার সঙ্গে আমি একমত ।

      মিঠু

      Delete
    3. বাবা শুনলে খুশি হবেন মিঠু।

      Delete
    4. দি, বাবা-মা এর ব্যাপারে কখনো ডিফেন্সিভ্‌ খেলবে না। পুরো সেহবাগীয় স্টাইলে সপাটে চালাবে। কেউ কিছু বলতে এলে আমরা আছি। কোমর বেঁধে নেমে পরব সমালোচকদের ক্রিকেট বোঝাতে।
      আর আমারও তোমার কুইজ, দিস্‌ অর দ্যাট এইসব নিয়মিত ফিচারগুলো বেশ ভালো লাগে। ওটা জানাতে ভুলেই গেছিলাম।

      Delete
    5. এটা একটা অসাধারণ কথা বলেছ আবির। মনে করে রাখব।

      অবান্তরের ফিচারগুলো ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  10. কুন্তলাদি, আমার কিন্তু আপনার সাপ্তাহিকী, কুইজ বা দিস অর দ্যাট গুলোও বেশ ভাল লাগে ... আর নিজের পড়াটড়া, অফিসের চাপ ও আরো হাজারটা কাজ সামলে রোজ অমন বড় বড় গল্পগাছা লেখা অসম্ভব বলেই আমার ধারণা ... তাছাড়া কোয়ালিটি আর কোয়ান্টিটির মধ্যে চিরকালীন একটা বিরোধ তো আছেই ... কয়েকদিন পর পর আপনার বড়সড় গপ্পগুলো পড়লে মনটা যেমন ভাল হয়ে যায় রোজরোজ সেগুলো পেলে ওই হঠাত খুশিটা থাকত কি? ... আর বলতে ভুলেই গেছি যে আজকেরটাও যথারীতি দারুণ ... ফুচকা প্রসঙ্গ এবং অন্যান্য detour গুলো - সব মিলিয়েই ....

    ReplyDelete
    Replies
    1. পিয়াস, মন ভালো করে দিলে। আমারও ওই সব ছেলেমানুষি জিনিস লিখতে ভয়ানক ভালো লাগে। একজন পাঠকেরও ভালো লাগে দেখে শান্তি হল।

      থ্যাংক ইউ।

      Delete
  11. lekhata daruun hoyeche kuntaladi..akdom tok-jhal tetuljol dewa nirbhejaal bangali fuchkar motoi lobhoniyo :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ স্বাগতা। দিল্লি এলে বোলো, তোমাকে নির্ভেজাল বাঙালি ফুচকা খাওয়াব।

      Delete
  12. amaro saptahiki ,quiz,this or that bhalo lage..ogulo bad gele bejay dukhyo pabo :-(

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাই ফাইভ তিন্নি, আমিও বেজায় দুঃখ পাব।

      Delete
  13. খুব ভালো লাগল । এবার একটা খেরোর খাতা না হলে নয়...।
    ভেবে দেখো।
    মিঠু

    ReplyDelete
  14. Amar to tomar abantor er sobkichui valo lage....tomar deya sosa ,rosogolla r photo gulo o amar chokh k aram dei.........ar sotti kotha bolte ki soptahe 3 din tomar valo lekha porlei mon valo hoye jai.........Tumi tomar moto....ami sei peyei khusi.Abantor k amader sathe share korar jonno onek dhonyobad.

    ReplyDelete
    Replies
    1. তুমি আমাকে ধন্যবাদ দেবে কী কুহেলি, আমারই তো তোমাকে ধন্যবাদ দেওয়ার কথা। তোমার মতো পাঠকেরা আছে বলে, নাহলে কবেই উবে যেতাম। আশা করি অবান্তর তোমার আরও অনেকদিন মন ভোলাতে পারবে। সত্যি খুব ভালো লাগল তোমার কমেন্ট পেয়ে।

      Delete
  15. hyan hyan, bhalo bhalo lekhar sange shoni-robi'r shosa rossogolla chirer pulao, abantor "garden" photo, season er phol, phool, trofola/chirota'r jol...ei shob chara abantor hoy naki!!! shob kichui ektu ektu chai!

    ReplyDelete
    Replies
    1. গুড। থ্যাংক ইউ শম্পা।

      Delete
  16. Dhush ki je poRale. sunei Delhi jete ichhe korche. Bombay-r ei, ekmatro jinish amar kharap lage. misti jol, thanda pudina pata..aar oi je kabli chola, ta o. sei kheye jobe theke pisi-r meye oooh aah korlo, sei sedin thekei or upor ami sob ashtha hariyechi :(

    ReplyDelete
  17. Aager comment gulo poRlam. amar kintu quiz ta darun lage. khub excited hoye seriously kori.

    ReplyDelete
    Replies
    1. আহা তোমার পিসির মেয়ের দোষ নেই, বেচারা কলকাতার ফুচকা খায়নি বোধহয়।

      কুইজ ভালো লাগে? যাক। তাহলে নেক্সট কুইজটা নিয়ে ভাবতে শুরু করে দিই, কী বল সুমনা?

      Delete
  18. এরম করলে খেলবনা। জানি কুন্তলা ভাল লেখে, দুর্দান্ত লেখে; জানি তার অসাধারণ পর্যবেক্ষণ শক্তি এবং বর্ণনার ক্ষমতা, তার কলম থুড়ি কীবোর্ড-এ সাক্ষাৎ সরস্বতীর অধিষ্ঠান। কিন্তু তাই বলে ফুচকা নিয়ে এমন লিখবে, এত মনোগ্রাহী একটা লেখা? প্রচণ্ড হীনমন্যতায় ভুগে ভুগে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে গেলাম প্রথমে। তারপরই অবশ্য সম্বিত ফিরল, বলা যায় - ছাই থেকে ফিনিক্স-পাখির মত বেরিয়ে এলাম, ডান কাঁধের দেবদূত বাঁ কাঁধের হিংসুটে শয়তানকে একটা সাধারণ প্রশ্ন করল, যখন নবনীতা দেবসেন-এর লেখা পড়ি, তখন কি হিংসা হয় আদৌ - নাকি শুধু অনাবিল আনন্দেই উপভোগই করি ওনার লেখনীমাধুর্য? ব্যস! সব পারুষ্য অচিরেই উধাও হয়ে গেল, রয়ে গেল একটা চমৎকার লেখা পড়ে ওঠার আবেশ। ওঃ, আমি আগে কখনও বলিনি? কুন্তলার লেখায় আমি নবনীতাদিদির ছায়া পাই যে! (বাকি কথা, এইখানে - http://hawjawbawrawlaw.wordpress.com/2013/04/26/eleventh/)

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ কৌশিক।

      Delete
  19. dekhechho kuntala, ami kobe tomay bolechhilum, ei type of lekha gulo tomar forte... aaj sobai kintu ek i kotha bolchhe.. KINTU tar mane ei noy je amar oi Dis or Dat, quiz etc. bhalo lage na. ami khub kom i answer dite pari kintu bhabte ar part nite darun lage.. kono parallel blog fog noy.. tumi abantor ei chaliye jao.. roj roj biriyani khele ki ar tar kodor thakbe !

    ReplyDelete
    Replies
    1. এটা একেবারে আমার মনের কথা বলেছ সোহিনী (মানে বিরিয়ানির অংশটা বাদ দিলে, অফ কোর্স), খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  20. Replies
    1. Amar biyer din technical upobashe, ar post-biye "jak baba hoye geche" phase e ami bodhay ek dojon phuchka kheye khunnibritti korechilam. Anniversary manei special phuchka dibosh.

      Delete
    2. বাঃ, ফুচকা খেয়ে উপবাস পালন, এটা বেশ ভালো আইডিয়া শকুন্তলা।

      Delete
  21. Cheshta kore dekhte paro - phuchka to ar "khabar" noy, ota holo "dabar"

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, এইটা ঠিক বলেছ।

      Delete
  22. jio..eta pore mon bhalo hoye gelo..amio mairi fuchka niye changramo..mane oi doi toi meshano,,badam dewa misti chatni..etyadi chotolokmi sayo korte pari na...ami ekebare classic fuchka loyalist..ami delh te khai ni..kintu Bombay te kheye kanna peyechilo..

    ReplyDelete

Post a Comment