কোলোন



আমাদের দ্বিতীয় সাপ্তাহিক এক্সকার্শনের গন্তব্য ছিল কোলোন। জার্মানির চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বন থেকে মোটে আধঘণ্টার ট্রেনের রাস্তা। শুক্রবার অ্যালফন্‌স্‌ সবাইকে টিকিট দিয়ে দিয়েছিল। দুপুর দেড়টার ট্রেন। আমরা ঠিক করলাম একটা নাগাদ সবাই ইনফো পয়েন্টের সামনে জড়ো হব।


সকলে এসে যাওয়ার পর কমলা রঙের বাক্সে টিকিট পাঞ্চ করে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম। কাঁটায় কাঁটায় দেড়টার সময় ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকল। উঠে দেখি বেশ ভিড়। আমি আমার লোকালট্রেনের বিদ্যে কাজে লাগিয়ে গোড়াতেই একটা সিট বাগিয়ে আরাম করে বসে পড়লাম। তবে জানালার ধার পেলাম না এই যা দুঃখ। জানালার পাশে বসে একটা ছেলে সারারাস্তা ম্যাকনাগেট্‌স্‌ খেতে খেতে চলল।

কোলোনেই অ্যালফন্‌সের বাড়ি। কথাই ছিল অ্যালফন্‌স্‌ কোলোন সেন্ট্রাল স্টেশনে দুপুর দুটো নাগাদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে। সেন্ট্রাল স্টেশনের কোথায়? ঠিক ধরেছেন, ইনফো পয়েন্টের সামনে।

আপনাদের মনে নেই হয়ত, কিন্তু এই কোলোনেই আমি দিন চোদ্দ আগে প্রথম এসে নেমেছিলাম। নিয়ম মেনে যাত্রার শুরুতেই আমি নিজের একটা ফোটো তুলিয়ে নিলাম। দেখুন তো কেমন দেখাচ্ছে।


তারপর একটা বাসে চেপে শুরু হল আমাদের কোলোন ভ্রমণ। দেখা গেল যাত্রীর তুলনায় বাস বেঢপ রকমের বড়, কাজেই জানালার ধার পাওয়া নিয়ে কোনও চিন্তা রইল না।


কোলোন শহরেরও যাত্রা শুরু প্রায় বনের সঙ্গে সঙ্গেই। যিশুখ্রিস্টের জন্মের সামান্য আগে, রোমানদেরই হাতে। রাইন নদের বাঁধারে ছোট্ট সেনাছাউনি ঘিরে। শুনলাম কোলোন শুরু থেকেই তীর্থস্থান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছিল। বহুদিন পর্যন্ত কোলোন ক্যাথিড্র্যাল ছিল ইউরোপের বৃহত্তম চার্চ। এখনও এখানে প্রায় আড়াইশোটি চার্চের এক মস্ত সংঘ আছে।


আমাদের বাস এঁকেবেঁকে চলল শহরের রাস্তা ধরে। ছবির মত সাজানো শহর। শান্ত, ফাঁকা, রাস্তার দুপাশে গাছের ছায়াঢাকা। মাঝে মাঝে খেলার মাঠে বাচ্চাদের ছোটাছুটি। গাছপালার আড়ালে টুকটাক স্থাপত্যও চোখে পড়ল। গোটা রাস্তা জুড়েই বাসের ভেতর পুরোদমে জার্মান প্র্যাকটিস চলছিল। ওয়াস ইস্‌ট্‌ ডাস্‌? ডাস্‌ ইস্‌ট্‌ আইন্‌ হাউস্‌। ওহহহহ, ডাংকে শোন্‌, ডাংকে শোন্‌।


আদিতে কোলোন ছিল রাইনের ধারে এক কিলোমিটার বাই এক কিলোমিটারের একটা বিন্দু। লোক যত বাড়ল, শহরও ছড়াল। কিন্তু জার্মান শহর কি না, ছড়ালও একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। জলের এধারে একটা অর্ধবৃত্ত তৈরি হল, ওধারে আরেকটা। সে রকম একটা অর্ধবৃত্তের পরিধি বরাবর চলতে চলতে ব্রিজ পেরিয়ে আমরা নদীর ধারের একটা জায়গায় এসে নামলাম।


জায়গাটা অনেকটা চন্দননগরের স্ট্র্যান্ডের মত। লোকজন চওড়া পাঁচিলের ওপর শুয়ে বসে আছে, প্রেমিকপ্রেমিকারা একে অপরে মগ্ন হয়ে আছে, বাচ্চারা এর মধ্যেই সিঁড়ির রেলিং-এর একটা অংশকে টেম্পোর‍্যারি স্লিপ বানিয়ে গড়গড়িয়ে সেটা দিয়ে নামছে, আছাড় খাচ্ছে, খেয়ে হাঁটু ঝেড়ে উঠে পড়ে আবার স্লিপ খেতে দৌড়চ্ছে। 

আধঘণ্টা মত নদীর ধারে ঘোরাঘুরি করার পর আমরা আবার বাসে চেপে চললাম। আবার ব্রিজ পেরিয়ে অর্ধবৃত্ত ধরে চলা। যেদিকেই যতদূরেই চল না কেন, ক্যাথিড্র্যালের পাথুরে চূড়ার দৃষ্টির বাইরে যেতে পারবে না।


ভালো কথা, অনেকদিন আপনাদের কুইজ ধরা হয়নি। বলুন তো এই ছবিটা কীসের?


পারছেন না? হিন্ট চাই? সেকি, এত সোজা প্রশ্নেরও? ছো ছো। আচ্ছা দাঁড়ান হিন্ট দিচ্ছি।

উৎস গুগল  ইমেজেস

ইয়েস সার, ওপরের বাড়িটা হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত সেন্টের কারখানা। ও-ডা-কোহ্‌লোন। আমরা বাঙালিরা যাকে ওডিকোলন বলি। আর ফোর সেভেন ওয়ান ওয়ান হল সব ওডিকোলনের সেরা ওডিকোলন। কিন্তু এর নাম ফোর সেভেন ওয়ান ওয়ান কী করে হল সেটা জানতে গেলে আমাদের একটু ঝট্‌ করে ইতিহাসে ঘুরে আসতে হবে। বেশি দূর না, এই নেপোলিয়ানের আমল পর্যন্ত গেলেই হবে। নেপোলিয়নের আগে পর্যন্ত এ তল্লাটে নাকি বাড়িঘরদোরের নম্বর ছিল না। নেপোলিয়ন সিস্টেম্যাটিক মানুষ ছিলেন, এমন অরাজকতা তাঁর সহ্য হল না। তাই তিনি নির্দেশ দিয়ে সেনা পাঠালেন যেন অবিলম্বে সব বিল্ডিং-এর নম্বর বসানোর ব্যবস্থা হয়।

নেপোলিয়নের নির্দেশ, কাজেই কেউ ট্যাঁফোটি না করে ঝট্‌পট্‌ নম্বর বসাতে লেগে গেল। বসাতে বসাতে আমাদের এই বাড়িটির ভাগে নম্বর উঠল ফিয়ের্‌ সিবেন্‌ আইন্‌ আইন্‌ অর্থাৎ কি না ফোর সেভেন ওয়ান ওয়ান। তারপর নেপোলিয়ন সব হারিয়ে সেন্ট হেলেনায় নির্বাসিত হলেন, রাইন দিয়ে কত জল গড়িয়ে গেল, কোলোনের ওপর কত বোমা পড়ল, কত বাড়ি গুঁড়োল, নতুন করে কত বাড়ি গজাল, সে সব বাড়ির কতবার নতুন নতুন নম্বরীকরণ হল---কিন্তু এই জায়গার এই বাড়িটার নম্বর রয়ে গেল সেই ফোর সেভেন ওয়ান ওয়ান। আর এই বাড়িটা থেকে তৈরি হওয়া যে সুগন্ধী বিশ্বজয় করল তার নামও।


ওডিকোলন কথার অর্থ হল ওয়াটার অফ কোলোন। এককালে নাকি এই জল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হত। লোকে গায়ে মাখতটাখত। গাইড বললেন তিনি শুনেছেন “সাম্‌ পিপ্‌ল্‌ ড্র্যাংক ইট অ্যান্ড সারভাইভ্‌ড্‌।” কিন্তু দোহাই আপনাদের, পরীক্ষা করে দেখার জন্য এক্ষুনি ছুটে গিয়ে যে যার ওডিকোলনের বোতলের ছিপি খুলে গলায় ঢালবেন না।

এরপর এল আমাদের শেষ স্টপ, ক্যাথিড্র্যাল। বানানো শুরু হয়েছিল বারোশো আটচল্লিশে, শেষ হয়েছে এই সেদিন, আঠেরোশো আশিতে। আমার জন্মের মোটে একশো বছর আগে। হাঁটতে হাঁটতে অ্যালফন্‌সের মুখে ক্যাথিড্র্যালের নানারকম মহিমার কথা শুনলাম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বোমা পড়ে যখন গোটা শহরটা ধুলো হয়ে গেছে তখনও নাকি ক্যাথিড্র্যালের গায়ে টুকটাক ফুটো হওয়া ছাড়া আর কোনও বড় ক্ষতি হয়নি।


আগেই শুনেছিলাম কোলোনে সেদিন কী সব বিক্ষোভটিক্ষোভ হবে। ব্রাজিল, তুর্কি আর ইজিপ্টের লোকজন তাদের নিজেদের দেশের অভ্যন্তরীণ দুরবস্থার প্রতিবাদে কোলোন সেন্ট্রাল স্টেশনে জড়ো হয়েছিল। আমরা বিক্ষোভে নামিনি কিন্তু ছবি তুলে এনেছি। এই দেখুন।


ব্যস্‌ কোলোন ঘোরা শেষ। আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন সারাদিন উপোস দিয়ে এ কেমন ঘোরাঘুরি। ভাববেন না, ক্যাথিড্র্যালের কোলে ছবির মত ক্যাফে রাইখার্ডে বসে আমরা কফি আর কেক দিয়ে পেটপুজো করে এসেছি। আমি নিয়েছিলাম সিটোহ্‌হ্‌নে (Zitrone = lemon)  টি আর চিজকেক উইথ ক্রিম। বড় ভালো খেতে। চামচে করে কেটে মুখে পুরলে আপনা থেকে চোখ বুজে আসে।


কিন্তু রাইখার্ডের বেস্ট ব্যাপারটা কেক নয়। কেকটেক খাওয়া হচ্ছে, এমন সময় মেক্সিকোর টেরেসা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল, “ইউ মাস্‌ত্‌ গো তু দা বাথরুম, মাস্‌ত্‌ মাস্‌ত্‌ মাস্‌ত্‌।” আমি বলার চেষ্টা করলাম যে আমার তখন বাথরুম যাওয়ার দরকার নেই, মেয়ে কোনও কথা শুনবেই না। অগত্যা চিজকেক ফেলে রেখে বাথরুম যেতে হল। সিঁড়ি দিয়ে নেমে দেখি বেসমেন্টে ঝাড়লণ্ঠন ঝোলানো ঝিংচ্যাক বাথরুম। ভীষণ সুন্দরী মেমসাহেবেরা পাথরের মত মুখ করে হাঁটাহুটি করছেন। আমি ভয়ে ভয়ে তাঁদের পাশ কাটিয়ে একেবারে কোণের স্টলটায় ঢুকতে গিয়ে একেবারে থ।

ইকি, এ তো একেবারে স্বচ্ছ কাঁচের দরজা! ভেতরে সবকিছু একেবারে হাই রেসলিউশন ছবির মত পষ্ট দেখা যাচ্ছে।

ইউরোপ লিব্যারাল শুনেছিলাম, তাই বলে এতটা লিব্যারাল সিরিয়াসলি ভাবিনি। টেরেসা এই বাথরুম ব্যবহার করে গেল নাকি? কী সাহসী মহিলা বাস্‌ রে।

দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এইসব ভাবছি আর দেখছি এপাশে ওপাশে মেমসাহেবরা গট্‌গট্‌ করে বাথরুমে ঢুকছেন বেরোচ্ছেন। আমার কী রকম একটা সন্দেহ হল। দেখাই যাক না ভাব করে স্টলের ভেতরে ঢুকে কালো রঙের নব ঘুরিয়ে দরজা লক করতেই, ভু-উ-উ-শ্‌!, দরজা নিমেশে ঝাপসা। কেবল আমার ছায়া ছাড়া আর কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না।

বাড়ি ফিরে স্কাইপে অর্চিষ্মানকে পাকড়াও করে ভীষণ উত্তেজিত হয়ে বাথরুমের দরজার গল্প শোনালাম। তারপর ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “কেমন বুঝলে?”

অর্চিষ্মান মুখ ভেচকে বলল, “বিতিকিচ্ছিরি। যত্তসব গিমিক। খারাপ হয়ে গেলে বুঝবে মজা। বাথরুম যাওয়াই বন্ধ।”

উৎসাহে এই ভাবে ঠাণ্ডা জল ঢেলে দিলে কেমন রাগটা ধরে বলুন? আমি হার না মেনে বললাম, “এ সব জার্মান টেকনোলজি বুঝলে, অত সহজে খারাপ হয় না।”

বললাম বটে, কিন্তু কথাটা অর্চিষ্মান ভুল কিছু বলেনি। আমার বাড়িতে বাথরুম বানানোর সময় আমি দরজা দেওয়া বাথরুমই বানাবো। যেটার ভেতর ঢুকে পরিষ্কার ছিটকিনি তুলে দেওয়া যাবে।

Comments

  1. Porlam..khub sundor bornona..r cake ta dekhe e chokh juria jachhe...khele to chokh buje asbe e..

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ সৌমেশ। কেকটা সত্যি অপূর্ব ছিল। যেমন দেখতে, তেমন খেতে।

      Delete
  2. ah ki sundar chobi :-) ki bhalo cake !

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ। অজন্তা ইলোরা কেমন ঘুরলি?

      Delete
    2. This comment has been removed by the author.

      Delete
    3. darun darun ,chobi dekhish :-)

      Delete
  3. Darun ghurlam, ar chhobi to darun.cake er kotha ar ki boli, dekhei lobh. Cup ar tea pot to osadharon.

    ReplyDelete
    Replies
    1. টি পটের ছবি দেওয়ার সময় আমার আপনার কথা মনে পড়েছিল ইচ্ছাডানা।

      Delete
  4. Sob bolle, kintu 4711-er dokantay kemon jhor jhor kore Cologne pore, haat pete neoa jay, seta to bolle na! :)

    ReplyDelete
    Replies
    1. হ্যাঁ হ্যাঁ, ওটা বলা হয়নি। থ্যাংক ইউ শীর্ষ।

      Delete
  5. Chhobi ar lekha dutoi khub sundor. Bathroom ta load shedding hole cholbe to? achchha orakom na hoye ultota hole kemon lagto bolun to? Mane eirakom?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এ রকম বাথরুমে আমি প্রাণ থাকতে ঢুকতে পারব না।

      Delete
  6. ছবি প্লাস লেখা প্লাস ওডিকোলন প্লাস রিকশা... আহা! কত আর ধন্যবাদ দেব, তার চেয়ে ধন্যবাদের একটা ইসিএস করে ফেললে হয় না? প্রতি সোমবার আর বুধবারে দেবাশিসের পক্ষ থেকে কুন্তলাকে দুটো করে থ্যাঙ্ক ইউ! ওহ, রিকশা চেপেছেন কি? লন্ডনে অক্সফোর্ড স্ট্রিটে রিকশা চলে, চালকরা সবাই ঢাকা, খুলনা, সিলেট এসব জায়গার মানুষ... মানে আমার আর আপনার পুরনো পাড়া আরকি! কিন্তু পাড়াতুতো সম্পর্কের মুখে ছাই দিয়ে তাঁরা নন্দন থেকে সেন্ট পলস -এর দুরত্বের জন্য দশ পাউন্ড চার্জ করেন... আধমাইল রাস্তার জন্য নশো টাকা!

    সুগতর বাথরুমটা একটু কেমন কেমন না? মানে আপনি ভেতর থেকে সবাইকে দেখতে পাচ্ছেন... কেমন একটু মনে হয় না যে বাইরে থেকে ওরাও হয়তো...? একটু ক্রিপি ভাবনা কিন্তু। তারচেয়ে ওই ছিটকিনিওলা বাথরুমই ভালো... যেখানে ঝপাস ঝপাস করে চান করা যায়, তারপর গিন্নির মুখনাড়া খাওয়া যায়... ইশ, তুমি চান করে জলটুকুও মুছে আসতে পারো না?

    পাঠিকারা হয়তো দুরছাই বলবেন, কিন্তু পাঠকদের পক্ষ থেকে একটা রিকোয়েস্ট করব? একুশে সেপ্টেম্বর থেকে ছয়ই অক্টোবর মিউনিখে অক্টোবরফেস্ট চলবে। একটা "দিস ইজ কুন্তলা অন বিহাফ অফ অবান্তর, লাইভ ফ্রম মিউনিখ" গোছের একটা রিপোর্ট দিতে পারবেন? আসলে ওই সিএনএন, বিবিসির রিপোর্টে আপনার মত ব্যাপারটা নেই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ দেবাশিস। আমারও তাই মত, ছিটকিনি তোলা বাথরুম যুগ যুগ জিও। আপনি বুদ্ধিটা ভালো দিয়েছেন অবশ্য, ওই সময় মিউনিখে থাকা যায় কি না, দেখা যেতে পারে।

      Delete
  7. kano eka ekai tumi sabche bhalo khabargulo khabe?, kano, dada ki dosh korechhe?

    ReplyDelete
    Replies
    1. Quiz: balo to ami ke? :)

      Delete
    2. হাহা, এটা মনস্বিতা না হয়ে যায় না।

      Delete
  8. দিব্য হয়েছে ।
    মিঠু

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ মিঠু।

      Delete
  9. church ar cheese cake dutoi darun..kintu sudhu cha ar cake die ki pet bhare naki? akta full course meal er chabi chai :P
    tomar duto chabi e besh sundar hayechhe...okhankar kono street art dekhle naki?
    take care.

    ReplyDelete
    Replies
    1. বিশ্বাস কর সায়ক, এখানের কেক খেলে পেট ভরে। অসম্ভব বড় আর অসম্ভব রিচ। ফুল কোর্স মিলের ছবিও দেব, আসলে অফিসে লাঞ্চ খাই তো, হঠাৎ ভরা ক্যান্টিনে ক্যানন দাগিয়ে ছবি তুললে সবাই ভয় পেয়ে যেতে পারে। কিন্তু আমি তুলবই। একটু সাহস হতে দাও শুধু।

      স্ট্রিট আর্ট যা দেখেছি সবই আমাদের রেলস্টেশনে বালক ব্রহ্মচারীর বাণী গোছের। মিউজিয়াম একটা গেছি, আরও যাব, তার ছবি দেখাব তোমাদের।

      Delete
  10. oi chobita te tomake khub bhalo dekhachhe. aar lal jama tao daroon!

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ শম্পা। ওই জামার পিসটা আমাকে আমার শাশুড়ি মা দিয়েছিলেন। তখনও তিনি শাশুড়ি মা হননি অবশ্য। প্রথমদিন সবে দেখা হয়েছিল, স্বভূমিতে। আমরা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি সেদিন কে বেশি নার্ভাস ছিল, আমি না মা।

      Delete
    2. impeccable taste kintu tomar shasuri maa'r. je kota jinis er chobi deklam shob kotai daroon. golar haar, haater goyna ta aar ei jamar piece ta!

      Delete
    3. তবে? আর আমার টেস্টের কথাটাও একটু বল শম্পা, বেছে বেছে কী রকম শাশুড়িমা পছন্দ করেছি?

      Delete
  11. Ei je eta dekho e byata tomar lekha churi korechhe

    https://www.facebook.com/Ebela.newspaper/posts/437966662944983

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাক, এতদিনে আমার লেখা সার্থক হল। থ্যাংক ইউ মনস্বিতা।

      Delete
  12. oho awho. cha kek cologne hevvy ekta kurti - durdanto byapar shob!ta Blackforest kobe jabe?

    ReplyDelete
    Replies
    1. এখনও ঠিক করিনি গো শকুন্তলা। দেখি কবে সুযোগ হয়।

      Delete

Post a Comment