ম্যাকলয়েডগঞ্জ ২
Hipster [hip-ster]
Noun, Slang.
A usually young person who is trendy, stylish, or progressive in an
unconventional way; someone who is hip.
ম্যাকলয়েডগঞ্জ হিপস্টারদের শহর। আসল হিপস্টার, নকল
হিপস্টার, হয়ে ওঠা হিপস্টার, হতে চাওয়া হিপস্টার। তাদের গায়ে কাফতান, পায়ে ঘাসের
চটি, মাথায় জটা, কবজিতে রুদ্রাক্ষ, অভিবাদনে নমস্তে, গ্লাসের জায়গায় হরলিকসের শিশি।
দিল্লিতেও আজকাল অনেক দোকানে এই শিশিতে পানীয়
পরিবেশনের চল শুরু হয়েছে, কিন্তু দুঃখের বিষয়, দিল্লি ব্যাপারটা ঠিক ম্যানেজ করতে
পারেনি। এই রাস্তার ধারের ক্যাফেতে বসে, পাহাড় ঘেরা উপত্যকার ভিউ দেখতে দেখতে, ঝুপসো
লোমে ঢাকা মুশকো কুকুরের গলায় রুদ্রাক্ষের মালা জড়ানো হাত বুলোতে বুলোতে, আর্ট অফ হ্যাপিনেস পড়তে পড়তে, হরলিকসের
শিশিভরা হার্বাল চায়ে চুমুক দেওয়ার গ্ল্যামারটা ম্যাকলয়েডগঞ্জকে যত সহজে মানিয়ে
গেছে, দিল্লিতে ঠিক ততটাই বেখাপ্পা হয়ে জেগে রয়েছে।
দিল্লির দোষ নেই। দিল্লিতে না আছে রাস্তার ধার, না
আছে ভিউ, না আছে হ্যাপিনেস। আছে শুধু বোম্বেটে শপিং মলের গামবাট দোকান। সেখানে পকেটফুটো
করা দাম দিয়ে বাটার চিকেন আর তন্দুরি সুশির সঙ্গে স্ট্রবেরি মিল্কশেক শিশি থেকেই খেলাম না কুঁজো থেকে,
কিছু এসে যায় না।
ইন্টারনেটে মুনপিক ক্যাফের খাবারদাবারের ছবি দেখে বেশ
ভালো লেগেছিল। টেম্পল থেকে বেরিয়ে সোজা সেখানেই গেলাম। আমি খেলাম একটা গোটা আইস টি, অর্চিষ্মান খেল একটা গোটা চকোলেট কফি, আর একটা টুনা স্যান্ডউইচ আর একটা লেমন টার্ট দু’জনে খেলাম ভাগ
করে।
না খেলেও চলত কিন্তু না ঘুমোলে আর সত্যিই চলত না। খেয়েদেয়ে হোটেলে ফিরে লম্বা
দিলাম। ঘুম যখন ভাঙল তখন কাংড়া উপত্যকায় পশ্চিমের পাহাড়চুড়োদের ছায়া দীর্ঘ হতে
শুরু করেছে। চটপট জামা গলিয়ে, চুল আঁচড়ে, কনভার্স বেঁধে বেরিয়ে পড়লাম।
ম্যাকলয়েডগঞ্জে রাস্তা মূলত দুটো। যোগীওয়ারা রোড আর টেম্পল রোড। টেম্পল রোড
যায় বাসস্ট্যান্ড থেকে টেম্পলে, ওই রাস্তায় বসেই আমরা সকালে খেয়েছি, আর যোগীওয়ারা
রোড কোথায় যায় জানি না, তবে সে রাস্তার ডানদিকে আমাদের হোটেল পড়ে। এই দুটো রাস্তা
এসে মেশে যেখানটায় সেটাই হচ্ছে ম্যাকলিওডগঞ্জের চৌরঙ্গী, আয়তনে আমাদের গুলিবাগান
রিকশাস্ট্যান্ডের মোড়ের সমান। সেখানে সর্বক্ষণ টুরিস্ট, লামা, কুকুর, গাড়ি, অটো
মিলিয়ে একটা মারাত্মক জট পাকিয়ে থাকে। ওই মোড়ে একটা কেক পেস্ট্রির দোকান আছে,
পৃথিবীর আর কোনও দোকানে ওই দোকানের থেকে বেশি বিক্রি হয়ে বলে আমার মনে হয় না। আগের
বার, এবার, সকালে, বিকেলে, সন্ধ্যেয়, ভরদুপুরে – যখনই আমি ওখান দিয়ে গেছি দেখেছি
অন্তত পঞ্চান্নজন লোক ছড়িয়েছিটিয়ে কাগজের প্লেট হাতে ধরে দাঁড়িয়ে কেক পেস্ট্রি
প্যাটিস কিছু না কিছু চিবোচ্ছে।
সেই পেস্ট্রি শপের ঠিক উল্টোদিকেই এই ম্যাকোলো রেস্টোর্যান্ট। পিয়ার্স ব্রসন্যান
দলাই লামার সঙ্গে দেখা করতে এলে নাকি এই দোকানে ছাড়া খান না।
আমি দেখিনি, কিন্তু আমার ধারণা মহাকাশ থেকে দেখলে ম্যাকলিওডগঞ্জের মানচিত্রটা
একটা স্টারফিশের মতো দেখাবে। মধ্যিখানে পেস্ট্রির দোকান, আর তার চারদিক থেকে কতগুলো
আঁকাবাঁকা রাস্তা বেরিয়েছে। যোগীওয়ারা আর টেম্পল এই দুটো রাস্তার কথা তো আগেই
বললাম, তাছাড়া আরও তিনটে মোটামুটি বড় রাস্তা ওখান থেকে বেরিয়েছে। একটা রাস্তা গেছে
ধরমশালার দিকে, ওই রাস্তা দিয়েই আমরা এসেছি, একটা রাস্তা গেছে ভাগসুনদের দিকে, আর
তিন নম্বর রাস্তাটা গেছে ধরমকোটের দিকে।
অর্চিষ্মান বলল, “ইজরায়েল কবে যাওয়া হয় না হয়, ধরমকোটটাই দেখে আসি আগে চল।”
ম্যাকলয়েডগঞ্জ যদি মিনি লাসা হয় তবে ধরমকোট মিনি তেল আভিভ। ম্যাকলয়েডগঞ্জের
দু’কিলোমিটার ওপরে এই ছোট্ট গ্রামটিতে ইজরায়েলের অতিথিদের জমজমাট বাসা। ধরমকোট যাওয়ার রাস্তাটাও চমৎকার। পাহাড়ি রাস্তার এটা
বেশ মজার ব্যাপার। কষ্টমষ্ট করে পাঁচশো পা ফেললেই হয়তো আপনি তিনতলা বাড়ির উচ্চতা
অতিক্রম করে ফেলবেন আর দেখবেন যেখান থেকে শুরু করেছিলেন সেখানটা একটা মস্ত বড়
খাদের ওপারে চলে গেছে। ধরমকোট যাওয়ার পথেও তেমনটাই হল। হাঁটা শুরু করতে না করতেই
দেখি গাড়ির হর্নটর্ন সব হাওয়া, ডানদিকে একটা খাদের ওপারে ম্যাকলয়েডগঞ্জের লালসাদা বাড়িগুলোকে ঠিক পুতুলের বাড়ির মতো
দেখাতে লাগল, কোথাও কোনও আওয়াজ নেই, মাঝে মাঝে দুয়েকটা পাহাড়ি পাখি ট্যাঁ ট্যাঁ করে উড়ে যাচ্ছে, চারদিকে শালোম, থুড়ি, শান্তি।
হঠাৎ শান্তিটান্তি ভঙ্গ করে একটা তীক্ষ্ণ বাঁশির মতো আওয়াজ কানে এল, চমকে
উঠে এদিকওদিক তাকালাম, কিছুই দেখতে পেলাম না। তখন অর্চিষ্মান আমার মুণ্ডুতে টোকা
দিয়ে বলল, "নিচের দিকে।"
ঘাড় নামিয়ে দেখি মাটির সঙ্গে প্রায় মিশে থাকা একটা গোল বল। তারপর দেখি সেই বলটার দুটো হাত দুটো পা, গায়ে লেস, বো আরও নানারকম
বাহারি ব্যাপারস্যাপারওয়ালা একটা হলুদ রঙের জামা, কুচকুচে কালো ক’গাছি
চুল মাথার ঠিক মধ্যিখানটায় চুড়ো করে ঝুঁটি বাঁধা, সে ঝুঁটিতে আবার জামার
সঙ্গে ম্যাচিং করে হলুদ রঙের প্রজাপতির মতো ফিতে বাঁধা হয়েছে।
বল নয়, একটা আস্ত মানুষ! মায়ের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে চলেছে।
চলেছে বললে অবশ্য ভুল বলা হবে, কারণ রাস্তায় কুকুর দেখলেই সে প্রচণ্ড এক
উল্লাসসূচক চিৎকার দিয়ে হাত ছাড়িয়ে
টলমলিয়ে দৌড়ে গিয়ে কুকুরের গলা জাপটে ধরছে। মা গিয়ে সাধ্যসাধনা করে তাকে ছাড়িয়ে
আনছেন। ম্যাকলয়েডগঞ্জের রাস্তায় কুকুরের অভাব নেই কাজেই ব্যাপারটা অত্যন্ত ঘনঘন
ঘটছে। সাদা, বাদামি, কচি, বুড়ো, স্বাস্থ্যবান, ঘেয়ো (ঘেয়ো বলতে আমরা যা বুঝি
ম্যাকলয়েডগঞ্জে সে রকম কুকুর একটাও নেই, তবে ম্যাকলয়েডগঞ্জের অন্য সব বাড়াবাড়ি
রকমের স্বাস্থ্যবান কুকুরের তুলনায় ঘেয়ো) কোনও বাছবিচার নেই, কুকুর হলেই হল। আমরা
বলাবলি করলাম, লম্বা হয়ে এ নির্ঘাত পেটার ম্যাকলয়েডগঞ্জ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট হবে।
এগিয়ে চললাম। খাড়া পথ, কিন্তু যেহেতু কোথাও পৌঁছনোর তাড়া নেই তাই চলতে
কষ্ট হচ্ছিল না। পথের পাশে নানারকম ইন্টারেস্টিং নামওয়ালা ক্যাফে পড়ছিল, যেমন ‘ক্যাফে
বাই অ্যাকসিডেন্ট’। আমাদের দুপুরের স্যান্ডউইচ তখনও হজম হয়নি, তার ওপর রাতের
খাবারের সময় ঘনিয়ে আসছে। তাই লোভ হওয়া সত্ত্বেও আমরা থামলাম না।
ম্যাকলয়েডগঞ্জে খাবার সময় এগিয়ে আসাটা বেশ ভয়ের ব্যাপার। অবশ্য আপনি যদি খিদে-পেয়েছে-অতএব-সামনে-যে-খাবার-দোকানটা-দেখা-যাচ্ছে-সেখানে-ঢুকে-খেয়ে-ফেললাম
নীতিতে বিশ্বাসী (অর্থাৎ কি না আমার বাবার মতো) হন তাহলে ভয় নেই। লক্ষ লক্ষ
ক্যাফে/হোটেল/রেস্টোর্যান্টের একটায় ঢুকে পড়লেই আপনার সমস্যা শেষ। কিন্তু আপনি
যদি আমাদের মতো হন, আর আপনার যদি রিভিউ পড়ে খাবার জায়গা বাছার বাতিক থাকে তাহলে
বিপদ।
কারণ ম্যাকলয়েডগঞ্জে রেস্টোর্যান্টের যেমন অভাব নেই, রেস্টোর্যান্টের
রিভিউরও তেমনি অভাব নেই। ট্রিপঅ্যাডভাইসর, লোনলি প্ল্যানেট, ভার্চুয়াল টুরিস্ট,
ইক্সিগো, টাটাবাইবাই, ঘুমক্কড়, টাইমস সিটি, হাইওয়ে অন মাই প্লেট, আরও যত রকম যা
কিছু আছে, সবাই একটা করে লিস্ট ছেপে রেখেছে। টপ টেন রোম্যান্টিক রেস্টোর্যান্টস
ইন ম্যাকলয়েডগঞ্জ, টপ টেন ইন্টারেস্টিং প্লেসেস টু ইট ইন ম্যাকলয়েডগঞ্জ, টপ টেন
প্লেসেস উইথ টপ টেন বেস্ট ভিউস ইন ম্যাকলয়েডগঞ্জ, টপ টেন প্লেসেস ফর ব্রেকফাস্ট/
লাঞ্চ/ ডিনার/ ব্রাঞ্চ/ মোমোস/ থুকপাস/ ইনার পিস। দেখেশুনে আমাদের ইনার পিস ছারখার
হওয়ার উপক্রম। তারপর আমরা ঠিক করলাম, মোটামুটি ঘুরে ফিরে যে সব দোকান সবক’টা লিস্টে প্রথম
পাঁচের মধ্যে থাকছে সেসব জায়গাতেই খেতে যাওয়া হবে।
তাতে বেরোলো নরলিং রেস্টোর্যান্টের নাম।
নরলিং দোকানটা দেখতে ঠিক সুবিধের নয়। এর থেকে ঝাঁ চকচকে এবং লিস্টে নাম ওঠা
দোকান নরলিং-এর আশেপাশেই অন্তত গোটা পাঁচেক আছে। তবু আমরা বুক বেঁধে ঢুকে পড়লাম।
ঢুকে দেখলাম কোণে দু’জন লামা বসে ডিনার করছেন। আমি বললাম, “যাক বাবা, তার মানে
ভালো দোকান।”
আমার কথা সত্যি প্রমাণিত হতে পাঁচ মিনিটও লাগল না। যখন এসে গেল লেমন কোলা,
মাটন মোমো আর চিকেন, মাটন, চিংড়ি, গাজর, ক্যাপসিকাম ঠাসাঠাসি স্পেশাল থুকপা।
লেমন কোলাতে তো নরলিং-এর কিছু কারিকুরি করার নেই। মাটন মোমো জীবনে এই প্রথমবার
খেয়ে আমরা চমৎকৃত হয়ে গিয়েছিলাম (যদিও
আর চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে এর থেকেও ভালো মাটন মোমো আমরা খেতে চলেছি) কিন্তু বলতে যদি
হয় তবে বলতে হয় থুকপার কথা।
এর থেকে ভালো থুকপা আমি আমার জীবনে আর খাইনি। থুকপাটা খেয়ে আমি আমার পুরোনো তত্ত্বটা
সম্পর্কে আরও একবার নিশ্চিত হলাম। মাংসটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে
মাংসের সঙ্গটা। সে সৎসঙ্গে পড়ে আমাদের ঝোল আর আলু যে স্বর্গীয়তা প্রাপ্ত হয়, এই থুকপার
ঝোল আর গাজর ক্যাপসিকামও তা পেয়েছে। বাটিভর্তি নুডলস পড়ে রইল, এমনকি মাংসের টুকরোগুলো
নিয়েও “তুমি খাও তুমি খাও” ঠেলাঠেলি করতে হচ্ছিল, খালি ঝোল আর তরিতরকারি নিশ্চিহ্ন
হতে একটুও সময় লাগল না।
খাওয়া শেষ করে বেরোলাম যখন তখন রাস্তা ফাঁকা হতে শুরু করেছে। দিনভর রাস্তার
পাশে পশরা সাজিয়ে বসে থাকা তিব্বতি মহিলারা দুল, মালা, রংচঙে টুপি, নকল
ক্যালভিন ক্লাইনের সম্ভার মস্ত কালো ব্যাগে ঠেসে ঠেসে ভরছেন। আজকের মতো বিক্রিবাটা
শেষ। সপরিবার টুরিস্টের দল পালে পালে হোটেলের দিকে ফিরতে শুরু করেছে, চিপসের
প্যাকেট শক্ত করে আঁকড়ে বাবার চওড়া পাঞ্জাবি কাঁধে মাথা রেখে শিশু ঘুমিয়ে কাদা। ইয়ংস্টারেরা
ভিড় করেছে ব্ল্যাক ম্যাজিক বারের সামনে। দেখেশুনে আমারও শিং ভেঙে বাছুরের দলে
ভেড়ার ইচ্ছে হল। অর্চিষ্মানকে বললাম, “ধুৎ, এখনই হোটেলে ফিরব কি, চল আরেকটু ঘুরি। তাছাড়া পেমা থাং-এর
নোটিসবোর্ডে লেখা আছে রাতের বেলা নো রুম সার্ভিস, আমাদের নাইটক্যাপ চায়ের কী
ব্যবস্থা হবে?”
গেলাম স্নো লায়ন হোটেলের নিচের ওই একই নামের রেস্টোর্যান্টে। তিব্বতের জাতীয়
প্রাণীর নামের এই রেস্টোর্যান্টটি ম্যাকলিওডগঞ্জের বহু পুরোনো দোকান। বেশিরভাগ টপ
টেন লিস্টে এর নাম তো আছেই, বিকেলে বেরোনোর আগে আমাদের হোটেলের রিসেপশনিস্টকে ভালো
কফি খাওয়ার জায়গার কথা জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনি এককথায় স্নো লায়নের নাম করেছিলেন।
আমরা অবশ্য কফি খাব না। আমরা খাব হানি লেমন জিঞ্জার টি। কলকাতায় যেমন ফুচকা,
জুহু বিচে যেমন বড়া পাও, নিউ ইয়র্ক সিটিতে যেমন হট ডগ, রিষড়ার স্টেশন রোডে যেমন
বাপির রোল, দু’নম্বর মার্কেটে যেমন দাদুর দোকানের আলুর চপ তেমনই ম্যাকলয়েডগঞ্জের
হানি লেমন জিঞ্জার টি। গেলে খেতে হয়, না হলে ভগবান পাপ দেন।
চায়ের সঙ্গে টা। লেমন চিজকেক।
হোটেলে ফিরে এসে বারান্দার দরজা খুলে দাঁড়ালাম। অন্ধকারে আকাশ মাটির সীমানা
বোঝা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে আকাশের তারাগুলোই যেন নেমে এসে উপত্যকা জোড়া টিমটিমে আলো
হয়ে গেছে। একটা ফিতের মতো জায়গা জুড়ে আলোগুলো চলছে, ওটা নির্ঘাৎ ধরমশালা যাওয়ার
রাস্তা।
বেশ শীত করছিল। মিনিমাম টেম্পারেচার দশের কাছাকাছি থাকবে জানা ছিল। সেই বুঝে
হালকা গরম পোশাক আনাও হয়েছে, কিন্তু কে আবার পরবে। ঘরে ফিরে এসে টিভি চালিয়ে
কম্বলের তলায় ঢুকলাম। দুপুরে ঘুমিয়েছি বলে কিংবা টিভিতে হিন্দি ডাব করা দক্ষিণী
ছবির রোমহর্ষক অ্যাকশন চলছিল বলেও হতে পারে, ঘুম আসছিল না। অন্ধকার ঘরে টিভির আলো
নাচানাচি করে বেড়াচ্ছিল। মোবাইল তুলে সময় দেখলাম, সাড়ে এগারোটা বেজে গেছে।
তখন তো জানা ছিল না, এখন জানি। এখন মনে হচ্ছে বলি, "সোনা, টিভি বন্ধ করে ঘুমোও এবার। কাল কী হতে চলেছে তো জানো
না। এইবেলা ঘুমিয়ে যতখানি পার এনার্জি সঞ্চয় করে নাও।"
(চলবে)
ম্যাকলয়েডগঞ্জ ১
Khub bhalo lekhe apni..Amar toh Pete bom Marley o erom lekha berobe nah..abhik
ReplyDeleteবিশ্বাস করুন, অভীক, অত হিংস্র কিছু করতে হবে না, এমনিই এর থেকে ভালো লেখা আপনার বেরোবে। আপনার কমেন্ট দেখেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। যাই হোক, লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আর এত ভালো একটা কমেন্ট পেয়ে খুব খুশি হলাম। থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ।
DeleteAmi ei jaygatay jokhon jabo ei lekhatar print out niye jabo... Nxt part ta dao joldi...
ReplyDeleteসত্যি সত্যি? তাহলে আমার ভয়ানক গর্ব হবে, ঊর্মি। নেক্সট পার্ট আসছে কাল বা পরশু। মোস্ট প্রব্যাবলি, পরশু।
DeleteAmi berate jawar age bhraman portal r net to achei.... Ekhon bhraman ta khub niros mone hocche... Tomar Lekha "bhraman" k bole bole 20 goal debe... Tumi travel mag suru korteo paro...
Deleteম্যাকলয়েডগঞ্জ যাব ,শুধু খেতে । ভালভাবে ডিটেইল দিও
ReplyDeleteমিঠু
খেতে ম্যাকলয়েডগঞ্জ যাওয়াটা অ্যাকচুয়ালি ভালো আইডিয়া, মিঠু।
DeleteTandoori sushi ... hahahaha. Amar shotti abar jete icche korche. Porer din ki holo janar jonne boshe roilam hnaaaa kore.
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, শর্মিলা।
Deletesandwich er pasher salad ta jataa sundor dekhte. accha tomra Mcllo te khele na knao, ota ki khub expensive? ta tomra Dharamkot ta ki seidin gele naki porer din? oi pahari rastar o kichu chobi dite parte.
ReplyDeleteদলাই লামার রাজ্যে কোনও কিছুই খুব এক্সপেনসিভ নয়, কুহেলি। ম্যাকোলো একটু পুরোনো দোকান, ওর থেকে আগ্রহোদ্দীপক খাওয়ার জায়গা ম্যাকলয়েডগঞ্জে এখন অনেক আছে, তাই ওটাকে তালিকার বাইরে রেখেছিলাম।
Deletebujhlam. 007 er priyo restaurant shune ektu bhorke gechilam.
Deleteঘাবড়ানোরই কথা, কুহেলি।
Deleteঅসাধারণ! এত সুন্দর ছবির মতন বর্ণনা, আবার এমন ভাবে শেষ করেছেন যে পরেরটার অপেক্ষায় হাতের নখ খেয়ে ফেলতে হবে। ওপরে অভিক ঠিকই লিখেছেন, কি করে যে এমন লেখেন, আমার হাত দিয়ে কিছুতেই এমন লেখা বেরোবেনা।
ReplyDeleteকী যে বলেন, সুগত।
DeleteTui sudhu ekta kotha bol , tui ki kore ato bhalo likhis ??? Ki kore ??
ReplyDeleteওই যে কী যেন বলে, বিউটি লাইস ইন দ্য আইস অফ দ্য বিহোল্ডার, সেই করে।
Deleteউফফ আবার cliffhanger ! এদিকে নখগুলো কেটে ফেলেছি, কি যে করি....
ReplyDeleteকিন্তু horlicks এর শিশিতে করে ড্রিংক খাওয়াটা বুঝি hipster ? আমার সর্বক্ষণ hipster হওয়ার প্রচেষ্টারত ছেলেকে এটা জানাতেই হচ্ছে!
also tandoori sushi!!! sushir sorbonash!
Deleteএটা হিপস্টার হওয়ার একটা শিওর শট টোটকা, কাকলি।
Deleteতন্দুরি সুশিটা একটু বাড়িয়ে লিখেছি বোধহয়, আমি খাইনি তবে নিশ্চয় কোথাও না কোথাও বানানো হয়। আমি তন্দুরি মোমো খেয়েছি।
Ek kothay osadharon... osombhob lobh lagchhey golpota pore...kothao ebar berate jabar plan korte hobe.
ReplyDeleteপ্ল্যান করে ফেল, চুপকথা। তারপর বেড়িয়ে এসে গল্পটা লিখে ফেল, আমরা পড়ি।
Deletehaat die akasher tara chhnute parbo eirakom akash ekbar Mussoorie te dekhechhilam, Milky way ke oto spasto kore tar age kothao dekhini... tomar lekhata pore sei kotha mone pore galo. eto bhalo likhechho je lekha porte porte oikhanei pouchhe gechhi... ar beranor songe songe kheyeo aschhi .. :-) eta upri paona... paroborti ongsher jonye tor soichhena.. seshta khub bhalo hoeche
ReplyDeleteধন্যবাদ, ইচ্ছাডানা। আপনি যে রকম বললেন, সে রকম আকাশ আমি শিমূলতলায় দেখেছিলাম। জীবনে একবারই ছায়াপথটাকে অত পরিষ্কার দেখতে পেয়েছিলাম।
Deletekuntala di,
ReplyDeleteArdhek ghurie diccho.... erpor baki ardhek sotti sotti gie ghure asbo..
নিশ্চয় অরিন্দম, ম্যাকলয়েডগঞ্জ ঘোরার মতোই জায়গা।
Deleteআহা, ম্যাকলয়েডগঞ্জ ! আমার দারুণ প্রিয় পাহাড় । প্রিয় হওয়ার কারণ একাধিক, তবে অসাধারণ খাবারের আধিক্য তার মধ্যে অন্যতম (আমি খুব নির্লজ্জ হ্যাংলা পর্যটক) ।
ReplyDeleteক্যাফে ম্যাকলো তে একাধিকবার গিয়েছি । লাইভ অ্যাক্ট হয় মাঝেমাঝে । একবার এক আম্রিকান বন্ধুকে ওল্ড মঙ্ক চাখাতে (সে তার টু-ডু লিস্টে এটা লিখে এনেছিল) নিয়ে গিয়ে এক স্থানীয় তিব্বতির মজাদার পারফরমেনস দেখেছিলাম । সে সাদা আলখাল্লা পরে সামুরাই সেজে বিভিন্ন ইংরিজি গানের কভার গাইছিল । নিজের পরিচয় দিচ্ছিল "সামুরাই সুজুকি"। ভারতীয় পাহাড়ে জাপানি সামুরাইকে গিটার বাজিয়ে ইউ-টু'র গান গাইতে শুনে বেচারা সাহেব এত অবাক হয়েছিল যে বলে বোঝান মুশকিল ।
আপনার ব্লগে আমি নিয়মিত উঁকি দিই । আজ আমার প্রিয় পাহাড়ি ঢুঁ নিয়ে লিখেছেন দেখে কমেন্টটাও করে ফেলছি বুক ঠুকে ।
Arre, tui-o regularly porchhish?! Bhaba jay? :P
Deleteসত্রাজিৎ, অবান্তরে আত্মপ্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ম্যাকলোর এই জলসার কথা জানতাম না, পরেরবার নিশ্চয় যাব।
Deleteas usual khub sundor lekha.. amar honey lemon ginger tea khete ekkhuni ichhe korchhe r han thukpa o. tomar lekhar jore amar to-do ghurte jabar list kromoborddhoman :) by the way hipster boltei ei video ta mone porlo: https://www.youtube.com/watch?v=O8T2-FVYPMA, samay pele dekho ... Bratati.
ReplyDeleteহাহা, চমৎকার ভিডিও, ব্রততী। অনেক ধন্যবাদ, লিংক দেওয়ার জন্য। হানি লেমন জিঞ্জার টি তো বানানো খুবই সোজা, নামেই উপকরণের তালিকা দেওয়া আছে, ওটা আমিও সামনের শনিরবি সকালে বানাবো ঠিক করে রেখেছি। অর্চিষ্মান ভয়ে ভয়ে আছে।
Delete