কিটক্যাট
ছোটবেলার ওপর থেকে কতদিক থেকে যে কতভাবে আঘাত
আসে আজকাল। ভাবা যায় না। আমার পুরোনো, ধুলোপড়া, মলিন, বেচারা ছোটবেলাটার ওপরেই
সবার যত রোষ। এই কালকেই সন্ধ্যেবেলা মা ফোন করে হুমকি দিলেন, “আমি আর তোমার
গুচ্ছগুচ্ছ গ্রিটিংস কার্ডের বোঝা সামলাতে পারছি না সোনা। হয় এসে সব নিজের বাড়িতে
নিয়ে যাও, নয় আমাকে সের দরে বিক্রি করার অনুমতি দাও।”
ভাবুন। আমার অত সাধের গ্রিটিংস কার্ডগুলো।
জন্মদিন, নববর্ষ, বিজয়া, ফ্রেন্ডশিপ ডে-র কাঁদোকাঁদো আবেগমথিত বাণীতে ঠাসা। তখন
যেগুলো পড়ে গলাটলা বুজে চোখে জল চলে আসত, আর এখন যেগুলো পড়লে চোখকানবুজে সোজা
মাটির ভেতর সেঁধিয়ে যেতে ইচ্ছে করে, সেসব অমূল্য কার্ডগুলোই হয়েছে মায়ের চক্ষুশূল।
এদিকে মা নিজের হাতে তাঁর তিনমাসের মেয়ের জন্য
যে সব ছোট্ট ছোট্ট লালনীল রঙের মোজা আর টুপি আর মাফলার আর সোয়েটার বুনেছিলেন,
সোয়েটারের গোলাপি বুকে নীল রঙের হাতির ছানা যত্ন করে ফুটিয়েছিলেন, সেগুলো প্রাণ
থাকতে ফেলতে রাজি নন। আলমারির একটা গোটা তাকের একটা গোটা সাইড ওই জঞ্জালগুলো
লক্ষলক্ষ বছর ধরে অধিকার করে রয়েছে।
“সে বেলা?” বলে অন্যায়টা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে
দিলে মা চুপ করে থাকেন। এমন ভাব করেন যেন কানে শুনতে পাচ্ছেন না।
কিন্তু কাল যে ঘটনাটা ঘটল তার পাশে মায়ের এসব
ছোটখাট অনাচার তুশ্চু।
আমি সাধারণত দুপুরবেলা টিফিন খাওয়ার পর এককাপ
কফি খাই। দুটো কারণে। প্রথমত, “আরও খাব আরও খাব” ভাবটা কাটে আর দ্বিতীয়ত, ঘুম পায়
না। আমার আবার কফির কোয়ালিটি নিয়ে বিশেষ প্যাকনা নেই, ইনস্ট্যান্ট নেসক্যাফেতেই
দিব্যি চলে যায়। ঘন দুধে হালকা চিনি দিয়ে চিকু বানিয়ে দেয়। সবশেষে আবার যত্ন করে
কাপের ওপর গুঁড়ো কফি ছড়িয়ে নিয়ে আসে।
বেশ চকোলেট কফির মতো দেখতে লাগে।
উৎস গুগল ইমেজেস
গতকাল হঠাৎ কী কারণে লাঞ্চের পর আমার মনে চকোলেট
খাওয়ার বাসনা প্রবল হয়ে উঠল। এমন প্রবল যে আমি আর সিটে বসে থাকতে পারলাম না।
গুটিগুটি পায়ে পাশের আঙ্কলজীর ফ্রুটজুসের দোকানে গিয়ে উপস্থিত হলাম।
দোকানের সামনে অনেকরকম চকোলেট সারি দিয়ে রাখা
ছিল। খুচরো পার্ক, মাঞ্চ থেকে শুরু করে মহার্ঘ বোর্নভিল। আমি কোনটা কিনব ঠিক করতে
করতে শেষে এমন একটা চকোলেটের দিকে হাত বাড়ালাম, যেটার কথা একসেকেন্ড আগেও আমার
মাথায় ছিল না।
কিটক্যাট।
কিটক্যাট কোনওদিনই আমার তেমন প্রিয় ছিল না।
ডেয়ারি মিল্ক না পাওয়া গেলে, আর পার্কের স্টক শেষ হয়ে গেলে, তবেই আমি কিটক্যাটের
দিকে হাত বাড়াতাম। পছন্দের না হলেও, কিটক্যাটের মধ্যে একটা ব্যাপার ছিল যেটা আর
কোনও চকোলেটের মধ্যে ছিল না।
লালসাদা প্যাকেটের ভেতরের রুপোলি মোড়কটা। যেটা
দিয়ে গোটা চকোলেটটাই মোড়া থাকত কিন্তু যেটার ওপর দিয়ে চকোলেটের চারটে আলাদা আলাদা
বার স্পষ্ট বোঝাও যেত। দু’হাতে সাবধানে ধরে, ডানহাতের বুড়ো আঙুলের নখ আলতো করে
চালিয়ে, মোড়ক ছিঁড়ে, একটা একটা করে চকোলেটের বার আলাদা করে খেতে হত। শুনতে সোজা,
কিন্তু নিখুঁত করে করতে গেলে একশো শতাংশের একচুল কম মনোযোগ দিলে চলত না। গানের
স্কুল বা ওই রকম কোথাও থেকে ফেরার পথে মা কিনে দিতেন, আর তারপর বাজারের ভিড়ভাট্টা,
লরি-গাড়ি পেরিয়ে রিকশাস্ট্যান্ড পর্যন্ত পথটুকু আমি কিটক্যাটের রুপোলি মোড়কে মগ্ন
হয়ে থাকতাম। মা বকতেন। বলতেন, “আঃ সোনা, বাড়ি গিয়ে এইসব করলে হয় না? এখন রাস্তার
দিকে তাকিয়ে চলো।”
মা কোনওদিনও আমাকে বুঝলেন না। জঘন্য।
গতকাল কিটক্যাটের লালসাদা প্যাকেটটা খুলে আমি
খানিকক্ষণ হাঁ করে থাকলাম। রুপোলি মোড়ক কোথায়? এ যে দেখছি একটা মোটা বিশ্রী খ্যাসখেসে কাগজ দিয়ে গোটা চকোলেটটাকে যেমনতেমন করে মুড়ে রেখেছে। আমি প্রথমটা
ভাবলাম, নকলটকল নাকি? প্যাকেটের এদিকওদিক দেখে সেরকম কিছু মনে হল না। শেষে কাগজ টান মেরে খুলে এককামড় চকোলেট খেয়ে বুঝলাম, ভেতরের জিনিস একই আছে, বদলেছে শুধু
বাইরেটা।
বদলেছে কিটক্যাটের সবথেকে অন্যরকম, সবথেকে ভালো
জিনিসটা। আর সেই সঙ্গে আমার ছোটবেলার আরও একটা অংশ ঘোর বাস্তব থেকে স্রেফ স্মৃতি
হয়ে গেছে।
বান্টি বলল, “ছোটখাট বিষয় নিয়ে এত নাটক করা
পোষায় তোমার? বুকে হাত দিয়ে বল তো? টায়ার্ড লাগে না?”
আমি আঁতকে উঠে বললাম, “ছোটখাট কী রে? এটা যদি
ছোটখাট হয় তাহলে তো কোন্দিন বলবি ফেলুদাও আর এমন কী...”
বান্টি তবু এঁড়ে তর্ক করতে লাগল। কিটক্যাটের
প্যাকেটের মহিমা কিছুতেই স্বীকার করতে চাইল না। বলল, এসব নাকি স্রেফ পচা
সেন্টিমেন্ট। ও নাকি ছোট থেকেই এসব বোকাবোকা ব্যাপার থেকে মুক্ত। ও নাকি কিটক্যাটে
যে ওরকম একটা মোড়ক থাকে সেটাই কোনওদিন নোটিস করেনি। খচমচ করে প্যাকেট খুলে রাস্তার
মাঝখানে ছুঁড়ে ফেলে, গপগপ করে চকোলেট খেয়ে ফেলেছে।
আমার বুকের ভেতর রীতিমতো চিনচিনে ব্যথা শুরু হয়ে
গেল। কোনওমতে জিজ্ঞাসা করলাম,
“তুই ক্যাডবেরি কী করে খাস আমাকে একটু বলবি?”
“কেন, বেগুনি প্যাকেট ছিঁড়ি, ভেতরে আরেকটা যে
ফিনফিনে কাগজ দেয় সেটা ছিঁড়ি, তারপর চকোলেট বারটা মুখের কাছে নিয়ে এসে যত বড় সম্ভব
একটা কামড় বসাই।”
“মানে! চৌকোগুলো আলাদাআলাদা করে ভেঙে খাস না?!”
বান্টি কাঁধ শ্রাগ করে মাথা নাড়ল, “কেন খাব?”
আমার ইচ্ছে করল ওর সঙ্গে সেই মুহূর্তে সমস্ত
সম্পর্ক ছিন্ন করে, ফোনের মেমোরি থেকে নাম ডিলিট করে, চ্যাটলিস্টে ব্লক করে, কানদুটো
আচ্ছা করে মুলে, গালে ঠাসঠাস করে দুটো থাপ্পড় মেরে আমার জীবন থেকে দূর করে দিই।
কিন্তু চাইলেই যদি সব করা যেত, তাহলে তো জীবনটা
এত দুঃখের হত না।
কাজেই আমি মাথাঠাণ্ডা করে বান্টির সঙ্গে কথোপকথন
চালিয়ে যেতে লাগলাম। চালিয়ে যেটা জানা গেল, ও নাকি জেমস খাওয়ার সময়ও আগে সবকটা
ব্রাউন, তারপর সব সবুজ, তারপর সব নীল, তারপর সব হলুদ, আর সবশেষে সব লাল গোলগুলো
খেত না। যেটা হাতের কাছে আছে, সেটাই ছুঁড়ে মুখের ভেতর পাঠিয়ে খেলখতম করত।
একটা ডানদিকের দাঁত, তারপরেরটা বাঁদিকের দাঁত,
তারপরেরটা আবার ডানদিকের দাঁত দিয়ে চিবিয়ে খেত কি না, সেটা আর জিজ্ঞাসা করলাম না।
কেন যেন মনে হল উত্তরটা আমি অলরেডি জানি, আর সেটা আবার নতুন করে শুনলে আমার খুব
মনখারাপ হবে।
একটা ডিপ ব্রেথ নিয়ে আমি প্রশ্ন চালু রাখলাম।
-বিস্কুটের বয়ামের ভাঙা টুকরোগুলো আগে বেছেবেছে
খাস না?
-উঁহু।
-দেশে যে রাস্তায় ভুট্টা সেঁকে বিক্রি করে,
সেটার দানাগুলো বাইরের দিক থেকে খেতে শুরু করে ক্রমে হ্যান্ডেলের দিকে যাস না?
-খেপেছ? যেখানে ইচ্ছে সেখানে খাপচাখাপচা কামড়
বসাই।
-মুড়ি, চিঁড়ে বা কর্নফ্লেক্স দিয়ে দুধ খাওয়ার
সময় শেষে পড়ে থাকা দুধটা, যত সময়ই লাগুক না কেন, চামচ দিয়ে খেয়ে শেষ করিস না?
-কেন, বাটিটা উপুড় করে গলায় ঢেলে দিলে অনেক
তাড়াতাড়ি খাওয়া হয়ে যায় তো। ট্রাই করে দেখতে পারো।
আমি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারি না। বলি, “এটা
কিন্তু স্বাভাবিক নয় বান্টি, মাথার ডাক্তার দেখা, থেরাপি জয়েন কর, যা হোক, কিছু
একটা কর।”
হতভাগা ছেলে, উল্টে বলে কি না, “আমিই তোমাকে সেই
সাজেসশনটা দিতে যাচ্ছিলাম। অলরেডি অনেক দেরি হয়ে গেছে, শিগগিরি সাইকায়াট্রিস্ট
দেখাও। বল তো আমিই অ্যাপয়েন্টমেন্ট করে দিই। কী, দেব? লজ্জা না করে বল...”
আমি নেক্সট চব্বিশঘণ্টার জন্য বান্টির সঙ্গে কথা
বন্ধ করে দিয়েছিলাম বটে, কিন্তু খটকাটা বুকের ভেতর সেই যে ঢুকে গেল, এখনও বেরোয়নি।
তাই আপনাদের দ্বারস্থ হয়েছি।
আমিই পাগল নাকি? আপনাদের কারও কি এরকম স্পেশাল
খাবার স্পেশাল করে খাওয়ার অভ্যেস নেই? কোনওদিন ছিল না? আমি মরে গেলেও বিশ্বাস করি
না।
আপনাদের খাওয়াসংক্রান্ত বাতিকগুলো আমাকে শিগগিরি
বলুন, আর এই যমযন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিন। কথা দিচ্ছি, কেনা হয়ে থাকব।
কর্ন ফ্লেকস ছাড়া বাকিগুলো মিলেছে আপনার সঙ্গে। ডাক্তারটা বান্টিরই দেখানো উচিত।
ReplyDeleteওহ, আমি তো আবার ফ্রায়াম্স খাবার সময়ে বিভিন্ন অংশ একটু একটু করে কামড়ে নানা রকম প্যাটার্ন ও বানাই। মানে ধরুন রথের চাকার মতন ফ্রায়াম্স টার "রিম" টা আগে খেতে হবে, স্পোক আর মাঝখানটাকে না ভেঙে। তারপর স্পোক গুলোকে খেতে হবে মাঝের ছোট গোল টা কে না ভেঙে। সেটাকে খাওয়া হবে শেষে। এর উল্টোটা করতে পারলে, অর্থাত বাইরের গোল টা কে না ভেঙে ভেতর দিকটা খেতে পারলে এক্সট্রা ক্রেডিট।
Deleteযাক, আমার মাথার সুস্থতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হলাম। ফ্রায়াম্স্ খাওয়াটা শুনে খুব হাসছি। একটা ফ্রায়াম্সের পেছনে এত সময় নষ্ট করা, ভাবতেই ভালো লাগছে।
DeleteBiscuit er boyam er bhanga tukrogulo beche ki kore khao ? Boyam upur kore ki age shob biscuiy bar kore nao ? Oi rokom korte gele aro bhenge jai na ?
ReplyDeleteআরে আমার বয়ামগুলোর মুখ বেশ বড় বং মম, হাত ঢোকানো যায়। হাত ঢুকিয়ে, বিস্কুটগুলো এদিকওদিক করে একেবারে তলা থেকে ভাঙাগুলো উদ্ধার করে আগে খাই। পরে ভালোগুলো খাব বলে। আঙুরটাঙুর খেতে গেলেও ওই একই পন্থা। আগে দাগ লাগা, অ্যাঁকাব্যাঁকাগুলো, তারপর পুরুষ্টু নিখুঁতগুলো ভক্ষণ।
DeleteAr oi orange cream biscuit bhenge age cream chhara dik ta kheye tarpore aste aste cream ta khaoa? Cream ta sesh hole Tobei baki biscuit ta?
ReplyDeleteআমার আসলে আবার ক্রিম বিস্কুট পোষায় না। মানে চকোলেট পোরা থাকলে, যেমন কি না বরবন বিস্কুট, অসুবিধে হয় না, কিন্তু কমলালেবুর গন্ধটা, কমলালেবু ছাড়া আমি আর কিছু থেকে পেতে চাই না। তবে রুচিরা, তোমার কমেন্টটা পড়ে আমার চেনা লোকেরা বলেছে, এটা নাকি তারা সবাই করে।
Delete:-) ei Orange cream biscuit ta amaro Ruchira r songe mele :-)
Deleteক্রিম বিস্কুট খাওয়ার এটা ভয়ানক জনপ্রিয় কায়দা মনে হয়, ইচ্ছাডানা।
Deleteekdom :-) even Bourbon er khetreo kaidata ek
Deleteamio kitkat ta adverstisement taar moto khetam, first-e 2 half e bhenge tarpor first half ta aro half kore, die ekta ekta finger keo dutukro kore, "have a break have a kit kat" ei montro ta uchcharon kore khetam :) haha
ReplyDeleteare khawa nie amar o onek nijoshyo "signature style" jaake bole sheta aache, jemon dhoro prawn chowmein/fried rice hole prawn gulo alada kore baar kore nie, last e khawa; jim-jam biscuit ta circumference dhore baire theke khete khete last e majhkhaner jam part ta khawa; feast icecream-er baireta aage kheye nie, last e majhkhaner chocolate ta ektu ektu kore ; gems er abaar blue gulo aage khetam ami, aam-er aanti ta first e kheye teye porishkar kore last-r chakla khawa (mainly saving the best for the last trend ta bojae rakhchi); cadbury amio bhenge bhenge khai, khali konodin jodi barite onek gulo cadbury jome gie thakto(jeta khoob e kom) tokhon splurge kore ekta gota cadbury-r rangta chariye chariye puro ta khetam "kuch swad hai zindagi mein" ei gaan ta mone kore :P
আমি ডিপার্টমেন্ট সেমিনারের কুকিগুলো নিয়ে ঐরকম করি, মানে মাঝখানে জেলির ফোঁটা দেওয়াগুলোকে চারদিক থেকে খেয়ে শেষে জেলিটা খাই, আর ক্রিম দেওয়া গুলোকে খুলে খাই। এতদিন ভাবতাম আমি বুঝি পাগলামি করি, এখন ভরসা পাচ্ছি যে এটা পাগলামি হলে অন্তত আমার মতন পাগল আরো আছে।
Deleteপরমা, তুমি আমার মনের মতো লোক। তবে ফিস্ট আইসক্রিমে আমার বাতিকটা আবার উল্টো। আমার আবার বাইরের চকোলেটের খোলস আর ভেতরের ভ্যানিলা, দুটো একেবারে নিক্তি মেপে একসঙ্গে খেতে হবে। সেটা যে কী শক্ত কাজ, যে না করেছে জানে না। একের বেশি দুটো কামড় দিলেই চকোলেটের খোলা আলগা হয়ে আসে, আর পড়ে যেতে চায়। করে গোটা আইসক্রিমটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেটাকে নিজের জায়গায় রেখে খাওয়া...সেজন্যই আমি ফিস্ট খাওয়ার সময় কারও সঙ্গে কথা বলি না। ওই সময় মাল্টিটাস্কিং অসম্ভব।
Deleteসুগত, ভাগ্যিস আছে।
আমার প্রত্যেকটা মিলেছে! হ্যাদ্দেহোয়া!!
ReplyDeleteহাহা, যাক। গ্রেট মাইন্ডস্ আবারও প্রমাণ হল।
Deletehmm khub sundar likhechho. ekdom suru rtei je kakimar dhomki ta bolle, amar ma o thik ei kotha guloi bole amay bari gochhanor somoy! exact same kotha :(
ReplyDeletehmm batik gulor anek gulo millo, tobe biscuit er guro gulo aage khai na. ogulo seshe ekdin guchiye bose khai :P. echara o amar anek batik ache khawar, special bhabe. segulo bolle abar hyata kore debe tomra :D, tai r likhlam na!
r hyan, kitkat amar priyo chilo na kokhonoi, ajo nei :P.
dairy milk ta holo best!
ইয়েস! ডেয়ারি মিল্ক কা জবাব নেহি। বেগুনি র্যাপারটা দেখলেই আমার মন ভালো হয়ে যায় আত্রেয়ী।
DeleteDairy Milk er sottii jobab hoina :-)
Deleteহাই ফাইভ, ইচ্ছাডানা।
Deleteআমি ক্যাডবেরির চৌকোগুলো আলাদা না করে আর বোর্বন বিস্কুটের দুটো দিক আলাদা না করে (ছোটবেলায় তো ক্রিমটাও আলাদা করে নিতাম) খাওয়ার কথা ভাবতেও পারিনা ...
ReplyDeleteনা পারাই উচিত পিয়াস। জেনে ভালো লাগল যে তুমিও আমাদের দলে।
DeleteKhub chotobelay dimer kusum ber kore sobar pore khawa...etai ja mone porche...boyos barle sada onsher sathe kushum khele ro bhalo lage buje setao lop pay...ai ek khawar obhhes chilo...baki ektao saibhabe millo na...r amar mone hoy sobkoti e typical meyeder obhhes...chelera khawa nia oto kayda kore na... :P
ReplyDeleteami bantir dol-e :D
এটা আমি জাস্ট বিশ্বাস করতে পারছি না, ওপরে লক্ষলক্ষ পুরুষ এসে বলেছেন যে তাঁরাও এগুলো করেন। তবে আপনি যে বান্টির দলে তাতে ভালোই হয়েছে। বেচারা বড্ড একলা পড়ে যাচ্ছিল।
DeleteBari guchanor somoi sob ma-erai bachhaderke eki kotha bole mone hoi. ami amar ma-er kachhe shuntam ekhon meyeke boli :-D
ReplyDeleteওই যে বলে, দ্য মোর থিংস চেঞ্জ, দ্য মোর দে স্টে দ্য সেম...এর থেকে বেশি সত্যি কথা আমি খুব কম শুনেছি।
Deletethik thik :-)
Deletetomar songe cadbury khawa, ar corflakes kahwa ta milechhe. oi biscuit er moton kore ami Chips khai. ar dimer poach, sada part ta age kheye pore kusum part ta eksathe mukhe puri, oi je mukher modhye thin cover ta fete liquid nucleus ta beriye ashe... heavenly lage. aro achhe.. segulo not in public..
ReplyDeleteসোহিনী...ডিম খাওয়াটা যা বর্ণনা করলে না, আমার হইহই করে খিদে পেয়ে গেল, কী হবে...লাঞ্চ হতে এখনও কত দেরি...আর আগে ভাঙা চিপসগুলো খেয়ে, পরে বড় গোটাগুলো খেতে কী অসম্ভব তৃপ্তি হয় না? খুব খুশি হলাম এক্ষেত্রে প্রায় সব মিলেছে দেখে।
Deletecaker cherry sabtheke pore khawa,eta amar akhono bhul hay na...cadbury ta nikhut kore bhenge thik thik duto chouko ami ar bhai khabo,etao anekdin parjanto chilo...ar tar sange akdik sonali ar anyadik rupoli oi mahamulyoban kagojtao pawa jeto... :-) chotobelay haansh sandesh bole akta jinish pawa jeto,ami khub jato kore akdom seshe tar munduta khetam,majhkhane bhenge gele seta bejay kashter byaper ..tobe chips,biscuit,bhutta egulo bantir sangei besi milche,khapcha kamortai die thaki ..:-P
ReplyDeleteডাক সন্দেশ! আমি ছাড়া যে ও সন্দেশের কথা কারও মনে আছে, ভেবেই আমার শিহরণ হচ্ছে। আমাকে তখন ডগ, ক্যাট, কাউ, টাইগার ইত্যাদির পাঠ দেওয়া হচ্ছিল কি না, তাই হাঁস সন্দেশটা আমার কাছে চিরজীবনের জন্য 'ডাক' সন্দেশ হয়ে গেছে। চোখের জায়গায় দুটো কালো মতো ফুটকি দেওয়া থাকত মনে আছে? আর ঠোঁটটা উজ্জ্বল কমলা?
Deleteএকেবারে নস্ট্যালজিক করে দিলি, তাই তোর খাপচা কামড় ক্ষমা করে দিলাম, যা।
khete icche korche,tai na?? :-)
Deleteসে আর বলতে।
DeleteAmaro tomar sathe protyek ta mileche. ebong dekhchi anekeri eirokom obhyes ache. r amake sobai OCD OCD bole churanto nakal korlo etodin dhore! Ami praay protyek ta kaj e ekta pattern e kori. na hole amar khub asubidhe hoy. jemon ekhane font bodlabar upaay thakle ami ei font ta byabohar kortam na. :D
ReplyDeleter haan, ami amar chhotobela'r greetings card gulo sob nijer kachhe niye esechi maa er kachh ek e rokom humki peye. ekhane ota ke ami palte palte dewal e tangiye rakhi. Free te Wall decor! :)
Deleteওসিডি বললেই হল, টিনা? ওসিডি কি গাছে ফলে? প্যাটার্ন না হলে আমারও খুব অসুবিধে হয়। আর তোমার নিখরচায় ওয়ালডেকরের আইডিয়াটা খুবই ভালো। ডেকরও হল, মা-ও কুপিত হলেন না।
Deleteamio font style ar colour er byapare OCD-grosto. ekhane nehat upay nei tai..
Deleteওহ, আমার খুব জানতে ইচ্ছে করছে, তোমার কোন ফন্টটা পছন্দ...
Deletegmail er khetre georgia with purple colour [2nd/3rd from the right], emni cambria/ blue highway in reports.
Deleteবুঝলাম।
Deletemane bolchilam ki je amio kintu Banti r e dole...:P..khawa niye ekdom e matha ghamai na.khide pele samne pochonder kichu thakle gopgop kore kheye felte parlei banchi..r dairy milk tao nehat kauke vag dewar thakle tukro tukro kori nahole nijer ichemoto kamor bosai...r haan biscuit er kotha sorbosomokhye bolte lojja lagleo boli ami cha khaina tai dudh khai tao 2-3 packet parle G jatiyo biscuit sohokare.hahahaha.
ReplyDeleteযাক বান্টির দলে লোক বাড়ছে, রাখী। তুমি চায়ের বদলে দুধ খাও শুনলে আমার মা আনন্দে অজ্ঞান হয়ে যাবেন।
Delete1. Aage shingara/ pattyr baire ta kheye tarpor bhetor ta khete hoy.
ReplyDelete2. Aage dimer kusum ta kheye, tarpor sada ta khete hoy.
3. Burger sobsomoy alada alada khawa uchit. Prothome oporer bun. Tarpor lettuce,tomato, mayo cheese. Tarpor neecher bun. Sobsheshe mangsho ta.
4. Dimer poach ar jimjam khawa ta oporer loker songe mile gachhe. Onyorokom bhabe manushe khay na.
5.Machhtuku kheye niye, sheshpaater jonyo dim/ tel ta bnachiye rakhte hoy.
Khide peye galo mairi. :(
সেকি গো বিম্ববতী, আমরা সবাই তো আগে সাদা খেয়ে কুসুম লাস্টে খাই, তুমি তো পুরো উল্টো দেখছি। আমি আবার শিঙাড়ার ভেতরটার থেকে বাইরেটা বেশি পছন্দ করি, তবে খাওয়ার সময় দুটো একসঙ্গেই খাই। ডিমের পোচ নিয়ে সবাই একমত দেখা যাচ্ছে।
Deletenah!!! aamio dekhchi bunty'r dole....hurmur ba gopgop kore shob kheye feli.
ReplyDeleteamaar joto baatik goyenda uponyash pora kalin. dhoro besh uttejonar ekta jayga...thik sheikhane aami boi ta rekhe barir madhe du baar ghure...ek cup cha boshiye, ada elach diye seta baniye, dhire dhire khabo. tarpor besh ektu roye shoye abar oi boi te phirbo.
হাহাহাহা, সাসপেন্স যতটা বাড়ানো যায়, ততটা বাড়িয়ে নেওয়া্, তাই তো? খুব ভালো। এরকম ভালো যদি সবাই গোয়েন্দাগল্পকে বাসত, পৃথিবীতে যুদ্ধবিগ্রহ আর থাকত না, আমি শিওর।
DeleteBritannia Milk Bikis-er majhkhan diye "Britannia" lekha thakto. ekhono thakey hoyto. anyway...chhotobela-y ami khub jotno korey biscuit-er charpaash-ra ektu ektu korey kurey kurey khetam jaatey puro lekhata intact thakey. tarpor last-e lekha-ta ekdom thikthak order- maaney B, tarpor R ...- ei bhabey shesh kortam. er cheye beshi paglami tumi-o korechho bole mone hoy na :(
ReplyDeleteeita amio kortam, tobe high school er age. sundor kore pasher pattern ta khetam tarpor aste aste letters gulo. Marie te abar futo gune gune khetam. Boro hoy korini, tokhon keu etake OCD bolto o na, onekei ei rokom kore kheto, onekkhon dhore time pass korar jonyo kortam kina jani na
Deleteহাহাহা, সোমনাথ, বং মম, আমাদের সবার মধ্যে মিল যে কত বেশি, সেটা ভেবে খুশি না হয়ে পারছি না। আমিও ব্রিটানিয়ার পরিধির ডিজাইনটা আগে পরিষ্কার করে খেয়ে তারপর বাকি বিস্কুটে কামড় বসাতাম।
Deleteক্যাডবেরি টুকরো আলাদা করে না খাওয়াটা বোকামো, কারণ তাতে ভাগ করে বিশেষ খাওয়া যায় না। আর ভাগ করে খেলে ও জিনিসের স্বাদ বাড়ে। ছোটবেলায় বদভ্যেস ছিল, জেমস খাওয়ার সময় প্রবল বেগে চুষে আগে রঙটা খেয়ে ফেলতাম, তারপর একবার জিভের ডগায় নিয়ে চোখ টেরিয়ে দেখে নিতাম পুরো সাদা হয়েছে কিনা, তারপরের স্টেপ ছিল, উপরের খোলাটাকেও উবিয়ে শুধু ভেতরের চকোলেটটা রাখা, তারপরে কামড়।
ReplyDeleteডিমের কুসুম আস্ত না রেখে ডিম ভাঙার কথা ভাবতেও পারতাম না। ক্রিম বিস্কিটের ক্রিম আলাদা করে খেতে না পারলে জীবন বৃথা মনে হতো, এক্সট্রা চাপ নিয়ে গোটা ক্রিমটা একবারে চাকতির মতো তুলে ফেলতে পারলে তো অসীমানন্দ!
তবে কিনা, যত বয়স বাড়ছে, বান্টির মতো হয়ে যাচ্ছি। বছর দুয়েক আগে প্রথম ভীত বিস্ময় নিয়ে খেয়াল করলাম, হাঘরের মতো কামড় দিয়ে গোটা ডিমসেদ্ধ খেয়ে ফেলছি... তারপর থেকে ডাউনওয়ার্ড স্পাইরাল। :(
সুনন্দ! জেমসটা আমিও ঠিক এ রকম করে খেতাম!!! ভুলেই গিয়েছিলাম, তুমি মনে করিয়ে দিলে। ইসস, কী ভালো লাগছে মনে পড়ে গিয়ে। থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ।
Deleteসত্যি বলতে কী, লোক সামনে থাকলে আমিও আজকাল ডিমের সাদা আর কুসুম একসঙ্গে খাই, মনে হয়, আলাদা করে খেলে যদি হ্যাংলা ভাবে...তবে একা থাকলে ডেফিনিটলি কুসুম লাস্টে।
Kuntala...isss..puro moner kotha gulo likhecho...ahaa ..ami ekhon to amr cheletakeo dudh-cornflakes khawale joto somoyi lagukta keno chamoch diyei khawai..r cadbary to tukro kore kore bhenge..ekebare kheye nile ki kore bujhbo:Kya swad hai jindegiika"
ReplyDeleteতবে? জীবনমরণের প্রশ্ন বলে কথা, খপ করে ধরে গপ করে গিলে ফেললেই হল? বল সুমনা?
Delete