রাজধানী
সারা পৃথিবীর মধ্যে আমার প্রিয়তম পরিবহন
ব্যবস্থা হল গিয়ে অটো। সাইজে ছোট, চটপটে, ট্র্যাফিক জ্যামে বাসলরির ফাঁক গলে
প্রত্যেকবার বিজয়ীর মতো বেরিয়ে আসতে পারে। তাছাড়া অটোর যেখানেই বসো না কেন, গায়ে
হাওয়া লাগবেই। কিন্তু এত সুবিধে হলে হবে কী, ভগবানের রসবোধ প্রখর। আমি অটো এত
পছন্দ করি, এদিকে অটোওয়ালারা আমাকে দু’চক্ষে দেখতে পারেন না। খালি দেখ না দেখ পায়ে
পা বাধিয়ে ঝগড়া করার মতলবে থাকেন।
অটোর পরেই আমার চড়তে ভালো লাগে দু’চাকার সাইকেল।
অটোর থেকে সাইকেলের সুবিধের জায়গাগুলো হলঃ সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি, সাইকেলে চাপলে
গায়ে হাওয়া বেশি লাগে, আর সাইকেলের আমাকে পছন্দ হল কি না সে নিয়ে মাথা ঘামাতে হয়
না। একমাত্র অসুবিধের দিকটা হচ্ছে, খাটুনির দিকটা।
আর অটো আর সাইকেলের পরেই আমার যেটা চড়তে সবথেকে
বেশি ভালো লাগে সেটা হচ্ছে ট্রেন। লোকে বলে, প্রক্সিমিটি ব্রিডস কনটেম্পট, সে
যুক্তি মানলে এতদিনে আমার ট্রেন দেখলে গা গুলিয়ে বমি আসার কথা, কিন্তু যত দিন
যাচ্ছে ট্রেনের প্রতি আমার টান, ভালোবাসা বেড়েই চলেছে, বেড়েই চলেছে।
“চলেছে, চলেছে, চলেছে...”
সিনেমার নাম বলতে পারলে হাততালি।
আমি জীবনে অগুন্তিবার ট্রেনে চড়েছি। ছ’বছর বয়স
থেকে একুশ বছর বয়স পর্যন্ত, রবিবার আর ছুটির দিন আর পুজোপার্বণ আর সর্দিগর্মি বাদ
দিলে, রোজ। ডেলিপ্যাসেঞ্জার যাদের বলে, জীবনের একটা সময়ে আমি ছিলাম তাঁদেরই একজন।
আমি ট্রেনে রানিং-এ উঠেছি, দরজায় ঝুলেছি, অবরোধের সময় সারাদিন কলেজ ঠ্যাঙানোর পর তৃষ্ণার্ত
অভুক্ত অবস্থায় হাওড়া স্টেশনে রাত দশটা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থেকেছি, কলেরার হুমকি
অগ্রাহ্য করে ছালছাড়ানো নুনমাখানো শশা হাপুসহুপুস করে খেয়েছি, ভিড়ের ফাঁকে ছুঁয়ে
দিতে চাওয়া অসভ্য হাতের মালিকের গাল চড়িয়ে লাল করে দিয়েছি, পকেটমারের হাতে সর্বস্ব
খুইয়েছি, সারা জীবনের মতো কিছু সম্পর্কের খোঁজ পেয়েছি।
লোকাল ট্রেন আমাকে হাতে ধরে মানুষ করেছে বললেও
বাড়িয়ে বলা হয় না।
কিন্তু আজকে আমি আপনাদের যে গল্পগুলো বলব বলে
বসেছি সেগুলো একটাও লোকাল ট্রেনের নয়। সব দূরপাল্লার।
একদিক থেকে দেখতে গেলে আমার দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ার গল্পের মধ্যে দিয়ে ভারতের
মধ্যবিত্ত সমাজের অর্থনৈতিক ক্রমোন্নতির গতিপথের একটা খোঁজ পাওয়া যায়। সমাজ বলছি
এই কারণেই যে আমার বন্ধুদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা আমার সঙ্গে মিলে গেছে। আমরা
সেকেন্ড ক্লাসে চড়েছি, চেয়ার কারে চড়েছি, তারপর একদিন হঠাৎ নিজেদের রাজধানীর এসি
থ্রি টায়ার কামরায় আবিষ্কার করেছি। ইদানীং স্পাইসজেট আর ইন্ডিগো আসার পর সেটাও
আমাদের অনেকের কাছেই ইতিহাস হয়ে গেছে।
সেকেন্ডক্লাসে চড়ার অভিজ্ঞতা আমার খুব বেশি মনে নেই। প্রথম যে জিনিসটা মনে
আছে, সেটা হচ্ছে, আমি জানালার গরাদ দিয়ে
যতখানি পারা যায় মুখ বার করে বসে আছি, হুহু করে হাওয়া লাগছে, মা বারবার ঝামেলা
করছেন, সোনা ঠাণ্ডা লেগে যাবে ঠাণ্ডা লেগে যাবে বলে, আর আমি যতক্ষণ পারা যায় মায়ের
কথা এককান দিয়ে ঢুকিয়ে আরেক কান দিয়ে বার করে দিচ্ছি। শেষে অবশ্য মায়েরই জয় হত আর
আমাকে হয় মুখ ভেতরে ঢোকাতে হত, নয় একগাদা গরমের মধ্যে মাথায় টুপি চাপাতে হত।
জানালার হাওয়া খাওয়ার একটাই খারাপ দিক ছিল, ট্রেন থেকে নামার আগে চুল আঁচড়ানোর
ব্যাপারটা। এতক্ষণ ধুলো খেয়ে মাথার চুল ততক্ষণে জটা পাকিয়ে গেছে। মা ক্রমাগত
বকছেন আর চুলের দুর্ভেদ্য জটা ভেদ করে চিরুনি চালানোর চেষ্টা করছেন, আর আমার চোখ
থেকে ব্যথার চোটে টপটপ করে জল পড়ছে, এ দৃশ্য আমার স্পষ্ট মনে আছে।
সেকেন্ডক্লাসের দ্বিতীয় ভালো স্মৃতিটা হচ্ছে লুচি আর আলুরদমের স্মৃতি। ট্রেনে
আর কিছু করার থাকে না বলেই হয়তো, অত্যন্ত ঘন ঘন অত্যন্ত বেশি রকম খিদে পায়। মা গোল
টিফিনবাক্স ব্যাগ থেকে বার করলেই অস্পষ্ট হলুদ আলোজ্বলা কামরাটা নিমেষে জানুয়ারি
মাসের রোদঝলমলে গড়ের মাঠের চেহারা নিত। দুপুরের ভাজা লুচি ততক্ষণে ঠাণ্ডা হয়ে
নেতিয়ে গেছে, আলুর তরকারিও ঠাণ্ডা, তবুও অসুবিধেজনক ছোটছোট প্লেট আঁকড়ে ধরে, ট্রেনের
দুলুনি সামলে, লুচি দিয়ে তরকারি মুড়ে মুখে পুরতে কী যে মজা লাগত, যে জানেনা সে
জানেনা। আনন্দে সবাই খুব উদার হয়ে যেত মনে আছে। একে অপরের প্লেটে বেশি করে তরকারি
তুলে দিতে চাইত। আর একটা লুচি খাও, প্লিজ? লুচির শেষে ব্যাগ থেকে মিষ্টির প্যাকেট
বেরোত। অন্যান্য জিনিসের ভারে চেপটে যাওয়া সন্দেশ আলতো করে বার করে চেটেপুটে খেতাম
সবাই।
এই এতযুগ বাদে লিখতে গিয়েই সে আনন্দের ছোঁয়া পাচ্ছি, তার মানে আসল আনন্দটা
কতখানি হত ভাবুন একবার।
বড় হয়েও ট্রেনে চেপে আনন্দ পেয়েছি অবশ্য। তবে সে আনন্দ অন্যরকমের আনন্দ। জে এন
ইউ থেকে প্রথম শীতের ছুটিতে পূর্বা এক্সপ্রেসে করে ফিরেছিলাম মনে আছে। ছ’জন বার্থ
বুক করেছে, আর তাদের সঙ্গে ‘পাইল অন’ করেছে আরও পাঁচজন। ‘পাইল অন’ করা মানে হচ্ছে,
শোয়ার জায়গা নেই, কিন্তু টিকিট আছে। অর্থাৎ কি না, একটা কামরায় মোট এগারো জন,
সাইডের বার্থ দুটো ছেড়ে দিয়ে। সারারাত গল্প গান খেলা হয়েছিল। জানালা দিয়ে হাত
বাড়িয়ে কানপুর না কোথা থেকে শালপাতায় করে পুরিভাজি ডিনার কেনা হয়েছিল। অনবদ্য কিছু
ইনডোর গেম্স্ও শিখেছিলাম মনে আছে।
তারপর অবশ্য সবসময় একাই যাতায়াত করেছি। মানে ভারতবর্ষের রেলগাড়ির কামরায়
যতখানি একা হওয়া সম্ভব ততখানি একা।
সেরকম এক যাত্রায় কী হয়েছিল শুনুন। ঘটনাটা ঘটেছিল প্রায় বছর আটেক আগে, অথচ
জনাদুয়েক ভয়ানক কাছের লোক ছাড়া এই প্রথম আমি ঘটনাটা কাউকে বলছি। কাজেই ঘটনার
গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন আশা করি।
রাজধানী চেপে দিল্লি ফিরছি। রাতের খাওয়া হয়ে গেছে, আমার সিট পড়েছে আপার
বার্থে। আপার বার্থ আমার চিরকালের পছন্দের সিট। নির্জনতা বেশি, দুলুনি বেশি, বাড়ির/হোস্টেলের
খাটের তুলনায় অ্যাডভেঞ্চার কোশেন্ট বলেবলে অন্তত একশো পয়েন্ট বেশি। যতবার ট্রেনে
চেপে যত জায়গায় গেছি, আপার বার্থের কোনও সিট আমাদের ভাগে পড়লে আমিই সবসময় সেটাতে
শুয়েছি। শুরুর দিকে বাবা কোলে করে তুলে দিতেন, তারপর নিজেই রেলিং ধরে তরতরিয়ে ওঠা
রপ্ত করে নিয়েছিলাম।
সেজন্যই বোধহয় আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশি রকমের বেশি হয়ে গিয়েছিল।
খেয়েদেয়ে, মুখ মুছে, আইসক্রিম “নেহি চাহিয়ে ভাইসাব” বলে আশেপাশের সকলের গোলগোল
দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমি তো টঙে চড়ব বলে রেডি হলাম। এখনও মনে আছে, সবুজ রঙের
সিন্থেটিক একটা সালোয়ার কামিজ পরে ছিলাম। সুতির পরে থাকলে হয়তো দুর্ঘটনাটা এড়ানো
যেত বলেই মনে আছে।
আমি লোয়ার বার্থের ভদ্রলোকের গা বাঁচিয়ে বাঁপায়ের আঙুল রেখে, বাঁ হাত দিয়ে
রেলিংটা ধরে একঝটকায় শরীরটা শূন্যে তুলে এনে ডানপায়ের আঙুলটা রেলিঙের একটা ধাপে
রাখলাম। নেক্সট স্টেপ হচ্ছে সিট থেকে বাঁপাটা তুলে এনে রেলিং-এর ওপরের ধাপে রাখা
আর সঙ্গে সঙ্গে বাঁ হাতটা তুলে নিয়ে গিয়ে বার্থের সঙ্গে লাগানো রডটা ধরা। সেটা
নির্বিঘ্নে হয়ে গেল। এবার আর মাত্র একটা ধাপ বাকি। বাঁহাঁটুটা ভাঁজ করে বার্থের
ওপর এনে রাখা আর তার ভরসায় বাকি শরীরটাকেও পুরোটা বার্থের ওপর তুলে নিয়ে আসা। এর
পর কুঁজো হয়ে বসে ব্রাউন প্যাকেটের ভেতর থেকে বিছানা বার করে পেতে, কম্বলের তলায়
ঢুকে গেলেই নিশ্চিন্ত।
কোথাও যে একটা গোলমাল হয়েছে সেটা আমি প্রথম টের পেলাম বাঁহাঁটু বার্থের ওপর
তুলে আনার পর। গোলমালটা আর কিছুই না, দেবশ্রী টেলার্স পাকামো করে পাতিয়ালা কাটিং পায়জামা
বানাতে গিয়ে মাইলখানেক কাপড় খরচ করেছে আর তারই কিয়দংশ আমার ডানপায়ের তলায় আটকা পড়ে
গিয়ে একটি অপ্রত্যাশিত বাধার সৃষ্টি করেছে। যার ফলে বাঁহাঁটু অলরেডি বার্থে পৌঁছে
যাওয়ার পরেও শরীরের বাকি অংশটুকু আটকে আছে সেই রেলিং-এই।
কবি বলে গেছেন, যারে তুমি পিছে ফেল সে তোমারে টানিছে পশ্চাতে। গুরুদেব বলে
কথা, কাজেই তাঁর বাণী সত্যি করে আমার ডানপা সহ বাকি শরীরটা বার্থের ওপর থেকে বাঁপা
আর বাঁহাতকে টেনে নামিয়ে আনল। সিনথেটিক কাপড়, বার্থের মসৃণ নীল আবরণের ওপর দিয়ে
সড়াৎ করে বিনাবাধায় নেমে এল, আর আমি তিনতলা বার্থ থেকে ভাদ্রমাসের পাকা তালের মতো রাজধানীর
থ্রি টায়ার কামরার নোংরা মেঝের ওপর এসে পড়লাম।
একেবারে চিৎপাত হয়ে।
তারপর দেড় সেকেন্ড যে কী হল আমার ঠিক মনে নেই। ঘোর ভাঙল সহযাত্রী মহিলাদের
চিৎকারে। “মাগো কী হল গোওওওও...”
বিশ্বাস করুন, আমি তাঁদের দোষ দিই না। তাঁরা খেয়েদেয়ে দাঁত খুচিয়ে হেলেদুলে
বিছানা পেতে আলো কমিয়ে আরাম করে শুতে যাচ্ছেন, হঠাৎ করে বাইশ বছরের একজন ধেড়ে
মহিলা ওপর থেকে বলা নেই কওয়া নেই ঘাড়ের ওপর নেমে এলে, ভয় লাগারই কথা।
আমি বিদ্যুৎবেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়া হাতপা গুটিয়ে উঠে পড়ে রেকর্ড স্পিডে
তিনতলায় উঠে এলাম। এবার আর কোথাও কিচ্ছুটি গোলমাল হল না, রেলিং-পায়জামা-পায়ের
ত্র্যহস্পর্শ একেবারে ঠিকঠিক ঘটল, কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গেছে। পুরো
কামরার লোক সচকিত হয়ে উঠল। যাঁরা শুতে যাব যাব করছিলেন তাঁরা ছুটে এলেন, যাঁরা
অলরেডি শুয়ে পড়েছিলেন তাঁরাও কেউকেউ খচমচ করে বার্থ থেকে উঠে/নেমে পড়ে, পরনের
আলুথালু কাপড় সামলাতে সামলাতে “কী হল কী হল” বলে ছুটে এলেন।
তারপর অন্তত মিনিট পাঁচেক ধরে প্রত্যক্ষদর্শীরা বাকিদের ঘটনাটা হাত পা নেড়ে
অভিনয় করে দেখাতে লাগলেন, আশেপাশে থেকে “দিদি একটু দেখে চলবেন তো, কোথায় কী লেগে
কী হয়ে যাবে বলা যায়? যা দিনকাল পড়েছে” ইত্যাদি ভালোভালো উপদেশ ভেসে আসতে লাগল, আর
আমি কম্বলের তলায় শুয়ে শুয়ে প্রাণপণে ভগবানের কাছে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার প্রার্থনা
করতে লাগলাম।
তারপর? তারপর আর কী। পরদিন সকালে আমাকে নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও নিচে নেমে
আসতে হল, আগের দিন রাতে যিনি চেঁচিয়ে কামরা মাত করেছিলেন, সেই বৌদির “গায়ে
ব্যথাট্যথা হয়নি তো?” প্রশ্নের উত্তরে মিষ্টি হেসে ঘাড় নেড়ে না-ও বলতে হল। কিছুক্ষণ
বাদে শুকনো যমুনার ওপর দিয়ে ঘটাং ঘটাং করে ট্রেন এসে দিল্লি স্টেশনে ঢুকে গেল, আর
আমিও লটবহর নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।
অটো r byapare ekmot ar Train er byapareo. ar oi train er khaoa daoa.
ReplyDeleteTobe oi 'Debosree' tailor er kotha mone korie dile je tumi, XI XII e porar somoi ma-ke onek kore bujhie phelechhilam je kolkatar nami dami tailor er theke koto bhalo Rishra r oi tailor.ar sujog moton jamar kapor knadhe kore okhane die astam.upri paona thakto okhane masir barite theke masir ador jatno ar bhalo mondo kheye asha.chakri join korar por somoi-er obhabe oi tailor ke tyag korechhilam. Khabor pelam oi bhadrolok ekhono achhen ar oi dokan o.
আপনি দেবশ্রী টেলার্স চেনেন!! কী ভালো যে লাগছে শুনে ইচ্ছাডানা। মনে হচ্ছে, ওই জায়গাটা, দোকানটার অবস্থানটা, দোকানের উল্টোদিকে সিদ্ধেশ্বরী অয়েল মিলটা, আমি ছাড়াও আরেকজন হুবহু একই ভাবে প্রত্যক্ষ করেছে...ভাবতেই মন খুশি হয়ে যাচ্ছে।
Deleteএখনের কথা জানি না, একসময় কিন্তু দেবশ্রী সত্যিই খুব ভালো দোকান ছিল, বলুন? আমার তো একটা গর্বই আছে যে ছ'মাস বয়স থেকে আমি দেবশ্রীর বানানো জামা পরেছি।
:-) amari ki kom bhalo lagchhe? eke to Train nie post. Relgari amar ekhono je ki bhison akorshon, bisesato oi rater train, katorakomer obhignota je oi rel-jatrate amar achhe.Flight e oi hat pa murie (jehetu oto samortho ekhono hoeni je sue sue jabo) boshe boshe 2 ghonta jetei ami je ki klanto ar birokto hoe pori.
Deleteei post er upri paona 'Debosree' tailor pore to ami ekebare khusiiii khusiii .
আমিও ইচ্ছাডানা।
Deletedur pallar train aar luchi torkari...eta ekta "horir loot" post hoyechey!
ReplyDeletepost ta pore khub nostalgic lagchey....frontier mail, toofan mail (kanan dei tow ekta gaan o geye fellen), himgiri express, jammu tawi express up na down train....amar ichhe je ekbar himsagar express e jammu tawi to kanyakumarika aar vivekananda express e dibrugarh to kanyakumarika trip gulo korbar.
শম্পা, এই কমেন্টটা পড়লে আমার বদলে আমার বাবা তোমার সঙ্গে হাই ফাইভ দেবেন। কারণ ক'মাস আগেই বাবা ওই জম্মু তাওয়াই টু কন্যাকুমারিকা, হিমসাগর এক্সপ্রেসে চেপে গেছেন। কোনও কাজে নয়, স্রেফ কেমন লাগে দেখার জন্যই।
Deleteohhh! eita porei aami chirodiner janne tomar baba'r fan hoye gelam!
Deleteবাবাকে বলব, বাবা খুশি হয়ে যাবে।
Delete“চলেছে,চলেছে,চলেছে...”-টা কি 'মহাপুরুষ'-এ ছিল?
ReplyDeleteপরিচালক ঠিক, সিনেমা ভুল পিয়াস। ওটা সোনার কেল্লায় ছিল। মনে নেই, সেই যে জটায়ু বলছেন যে উট নিজের ওয়াটার সাপ্লাই নিজের পাকস্থলীর ভেতর নিয়ে, "চলেছে, চলেছে, চলেছে..."
Deleteডায়লগটার থেকেও, ডায়লগটা বলার সময় সন্তোষ দত্তের চোখমুখ আর হাতের ভঙ্গিমাটা বেটার, বলাই বাহুল্য।
এহ ... এটা ঘেঁটে ফেললাম ... আসলে ওই বাবাজীর বাক্যের শেষ কথাটা তিনবার করে বলার অভ্যাস ছিল যে ... সেইযে "সূর্যবিজ্ঞান আয়ত্ত না থাকলে কালস্তম্ভ করা যায়না, যায়না, যায়না ..."
Deleteeta amar golay ese atke gechilo...nayak er train er modhhe karor dialogue bhabchilam...
Deletetobe bhalobasha bere chola r jol nia hete cholar modhhe beparta ghete gachilo bhabte gia...apnar comment r clue er prekhhapot je sompurno bhinno chilo...huh!
পিয়াস, আরে নো প্রবলেম, ওরকম হয়েই থাকে।
Deleteহাহাহাহা, সৌমেশ, আপনি ভাবছিলেন কারও প্রতি ভালোবাসা বেড়ে "চলেছে চলেছে চলেছে..." এরকম ভালোবাসা পাওয়া ভাগ্যের কথা কিন্তু।
train er uporer birth..amar sopner jayga..ami oi akla rajdhani jatra gulo khub enjoy kortam..ghori ghori bhalo bhalo khabar ar uporer bunk e komboler tolay aram kore agatha cristie, ah, sworgo! ami oi patiyalar bipod ta anch korei sombhoboto jeans ba cargo pant pore nitam :)
ReplyDeleteage age beranor somoy oi khabar niye jawa ta akta must chhilo..mar kachhe thakto sob luggage er opor akta bigshopper..tar theke raat holei beriye asto luchi alurdom aro koto bhalo bhalo jinis..akbar ak kakimar haater kima-porota kheyechilam se puro sworgiyo bapar!
হাহাহাহা বিগশপারটা মোক্ষম বলেছ স্বাগতা। আচ্ছা সব বাড়িতেই একগাদা করে বিগশপার থাকত কেন বল দেখি? আর খাবারদাবার নেওয়ার সময়, সত্যি ওগুলোরই খোঁজ পড়ত।
Deleteআপার বার্থ + আগাথা ক্রিস্টি = মাটিতে স্বর্গ।
"চলেছে, চলেছে চলেছে ..." এটা সেই নিজের পাকস্থলী তে নিজের ওয়াটার সাপ্লাই নিয়ে উটের চলার বর্ণনা না?
ReplyDeleteগল্পটা নিয়ে কি বলব ভেবে পেলামনা। অনবদ্য লেখা, কিন্তু আপনার অবস্থাটা পড়ে দুঃখও হলো। ট্রেন আমারও প্রিয়তম যান। দুরপাল্লার ট্রেন তো বটেই।
ঠিক ঠিক। হাততালি, হাততালি।
Deleteট্রেনলাইনের লোক হয়ে যদি বলতেন যে ট্রেন ভালো লাগে না, তাহলেই অকৃতজ্ঞতার চূড়ান্ত হত। ভাগ্যিস বলেননি। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।