রেজাল্ট
আজ থেকে ঠিক এক বছর
আগে, ২০১২-র নভেম্বর মাস নাগাদ আমি ২০১৪ সালের জন্য রেসলিউশনের লিস্ট বানাতে শুরু
করেছিলাম। ভেবেছিলাম, সবার সামনে নাককানমুলে প্রতিজ্ঞা করলে প্রতিজ্ঞাপালনে সুবিধে
হবে। অনেকটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস মেসেজে “কমিটেড” ঘোষণা করার মতো। ঘোষণা করা হয়ে
গেছে, ঘোষণার নিচে হাজারখানেক ‘লাইক’-ও পড়ে গেছে---তখন আবার ‘কমিটেড’ কেটে নামের
পাশে ‘সিংগল’ লেখে এমন মাথা বেশি লোকের ঘাড়ে নেই। তখন যাই ঘটুক না কেন, “প্রেম যার
সঙ্গেই করি না কেন কম্প্রোমাইজ তো সেই সবার সঙ্গেই করতে হবে” নিজেকে এইসব
ভুজুংভাজুং দিয়ে প্রেম টিকিয়ে রাখতে হবে।
আমারও মতলবটা
সেইরকমই ছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে কমিট করে ফেললাম, এবার চক্ষুলজ্জার তরী বেয়ে সে
কমিটমেন্টের বৈতরণী পেরোবো, এমনই উচ্চাশা ছিল মনে।
শপথের লিস্টের
আয়তনের ব্যাপারেও আমি অ্যাম্বিশন লাগামছাড়া হতে দিইনি। আইটেম রেখেছিলাম মোটে
পাঁচখানা। ২০১৩-র রেসলিউশন আমি কতখানি রক্ষা করতে পারলাম, এখন তার হিসেব নেওয়ার
আদর্শ সময় এসেছে। আসুন দেখা যাক রেজাল্ট কী হল।
শপথ #১---বলেছিলাম রান্না শিখব। বাঙালি রান্না। “উঁহু, চিতল মাছের মুইঠ্যা বা কই
মাছের গঙ্গাযমুনা নয়, আমার ভারি ইচ্ছে আলুবেগুনকপিরডাঁটা দিয়ে যে ধুন্ধুমার চচ্চড়িটা মা বানান সেইটা শিখি। বা একটু বেশি তেলে
হিং ফোড়ন আর বড়িভাজা দিয়ে মেজমামির বেগুনের তরকারিটা শিখলেও মন্দ হয় না। তবে
শেখবার লিস্টে আমার বড়জেঠির হাতের সব রান্নাই থাকবে। তেতোশুক্তুনি থেকে শুরু করে, পাঁচরকম
শীতের তরকারি দিয়ে মাখামাখা মুগের ডাল, ঝাঁঝালো সর্ষের তেল দিয়ে মাখা
পোস্তবাটা . . .”
রেজাল্টঃ
ডাহা ফেল। বাঙালি রান্না শেখার শপথরক্ষা হয়নি আমার। তবে কেন হয়নি সে বাবদে আমার
তূণে অজস্র অজুহাত আছে। রাঁধার টাইম পেলাম কখন যে শিখব? বছরের প্রথমটা ঢাকেশ্বরী
বস্ত্রালয় আর বিউটি পার্লারের দরজায় মাথা কুটে কেটে গেল, শেষটুকু কেটে গেল “খেপ”
আর “খোয়াসঁ”র দেশে ঘুরে ঘুরে। বাংলায় (বা সি. আর. পার্ক---ওই
একই হল) থাকলে তবে না বাঙালি রান্না? রান্না করার সদিচ্ছার অভাব যে আমার ছিল না
তার প্রমাণ শনিরবির ছবি খুলে দেখিয়ে দিতে পারি। লক্ষকোটি পাস্তা আর স্যুপ, ‘ফ্রম-স্ক্র্যাচ’
রেঁধে খেয়েছি আমি দু’বেলা। কাজেই রান্নার শপথভঙ্গের পেছনে দোষ আমার নয়, দোষ আমার
পরিস্থিতির।
শপথ
#২---বলেছিলাম ঘুমোব। ঘুমের মতো ঘুম। কে কতক্ষণ একে অপরের দিকে চোখের পাতা না ফেলে
তাকিয়ে থাকতে পারে, নীল মনিটরের সঙ্গে সে কম্পিটিশন দিতে দিতে রণক্লান্ত হয়ে চোখ
বুজব না, দিনের কাজ সাঙ্গ করে কাচাকাপড়ে শুদ্ধমনে নিদ্রাদেবীর সাধনা করতে করতে ঘুমোতে
যাব। “নিশ্ছিদ্র নিটোল নিবিড়” ঘুম
ঘুমোতে শিখব আমি। আবার নতুন করে।
রেজাল্টঃ
ওয়েল, ফেল আর পাশের মাঝামাঝি যদি কিছু থেকে থাকে, আমার এই শপথরক্ষার স্ট্যাটাস হবে
সেইটা। ঘুমের বড়ির বিজ্ঞাপনে যেমন দেখায়---জিরো সাইজ মডেল, মাছি পিছলোনো ত্বক আর
স্মিতহাসি নিয়ে, শরতের মেঘের মতো ফুরফুরে বিছানায় ঢুকে বেডসুইচ নিভিয়ে দিলেন আর
অমনি জানালার বাইরে থেকে জোছনা এসে তাঁর চোখবন্ধ কিন্তু হাসিহাসি মুখের ওপর পড়ল---সেরকম
ঘুমোনোর স্টেজে এখনও পৌঁছইনি ঠিকই, কিন্তু অন্তত অফলাইন হওয়া গেছে। একবছর আগের
আমাকে চিনলে এ ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে আপনাদের সুবিধে হবে। বেশ অনেকদিন হল
হেডমাস্টারের মতো বেত হাতে দাঁড়িয়ে থেকে নিজেকে দিয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করাই। ফোন, আইপড
ইত্যাদি আধুনিক সভ্যতার যতরকম উপদ্রব সব নাগালের বাইরে বিদায় করি। তারপর একখানি বই
হাতে বিছানার ভেতর সেঁধোই। মিথ্যে বলব না, এ ঘটনা সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছ’রাত ঘটে।
বাকি একটা রাত এখনও এঁকেবেঁকে হাত ছাড়িয়ে দৌড়ে পালায়। সে ব্যাটাকে বাগ মানাতে
পারলেই আমার জয় সম্পূর্ণ। অতএব এই শপথটাকে ওয়ার্ক অফ প্রোগ্রেস বললেই সবদিক থেকে ন্যায্য
হবে।
শপথ
#৩---বলেছিলাম ফাঁকিবাজির ভূতকে গলা টিপে মারব। সময় নষ্ট করার খোক্কসকে কুলোর
বাতাস দিয়ে তাড়াব। এক্সপেকটেশনের ল্যাজামুড়ো ছেঁটে আমার সাইজে নামাব না, নিয়মিত
ব্যায়াম করে মগজের গুলি ফুলিয়ে নিজেকে এক্সপেক্টেশনের মাপে তুলে নিয়ে যাব।
রেজাল্ট---আমি
জানি পাঠক জানেন আদালতের রায় কী হতে চলেছে। কিন্তু অত তাড়াহুড়ো করলে চলবে না।
সাতপাঁচ ভেবে তবে সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে।
কম
কথায় সারতে গেলে এই শপথরক্ষায় আমি আগাপাশতলা ফেল। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গাড্ডু। ফাঁকি
আমি এখনও মারি, সময় নষ্ট আমি এখনও করি। এই মুহূর্তেও করছি। আগের প্যারাগ্রাফটা শেষ
করে “জল খেতে” উঠে ফিরে এসে ফের লেখা শুরু করতে গিয়ে দেখি মাঝখানের পাক্কা চল্লিশ
মিনিটের টিকিটিও আর দেখা যাচ্ছে না। আমার বেশিরভাগ উচ্চাশাই এখনও আকাশের গায়ে আঁকা
প্রাসাদসৌধ হয়ে ঝুলে আছে, হাত বাড়িয়ে তাদের ছোঁয়ার চেষ্টাটাই করে উঠতে পারিনি আমি
এখনও পর্যন্ত।
কিন্তু
দয়া করে আমাকে যদি একটু বেশি কথা বলার সুযোগ দেন তাহলে আমি অন্য একটা ছবি আপনাদের
দেখাতে পারি। গত পাঁচ মাসে একটিও ডেডলাইন মিস না করার ছবি। কাজ জমা দেওয়ার দিন “আমার
আরও চব্বিশ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক” বলে কান্নাকাটির অনুপস্থিতির ছবি। হ্যাঁ, ডেডলাইন
রক্ষার কাজটা আমি “গ্রেসফুলি” করতে পারিনি ঠিকই---রাতে ঘুম বাদ পড়েছে,
রৌদ্রকরোজ্জ্বল উইকএন্ডে সবাই যখন নিজের কাজ সময়মতো শেষ করে হল্লা করতে করতে
পিকনিকে গেছে, তখন আমাকে বন্ধ ঘরে বসে নিজের ফাঁকিবাজির গুষ্টির পিণ্ডি চটকাতে
চটকাতে ঝড়ের বেগে টাইপ করতে হয়েছে। কিন্তু জিভ বার করে ধুঁকতে ধুঁকতে হলেও, বাঁশি
বেজে ওঠার আগে ফোটোফিনিশে আমি চকের দাগ ছুঁয়েছি।
আর
ছুঁয়ে একচিমটে গর্বও যে বুকের ভেতর অনুভব করিনি তেমন নয়। গর্বের থেকেও বেশি হয়েছে
স্বস্তি। আবার সেই এক গোষ্পদে ডুবে না মরার স্বস্তি। জানি মহাকালের নিরিখে পাঁচ
মাস তুশ্চু। তার ওপর সেই পাঁচ মাস যদি একেবারে অচেনা পরিবেশে, অপরিচিত মানুষদের
মাঝখানে কাটে। নিজের রাজত্বে ফিরে গিয়ে আবার সব যেমনটি তেমন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি যে
ষোলোআনা বর্তমান, সে কথাটা আমার মাথায় আছে। কিন্তু তার সঙ্গে এটাও মাথায় আছে যে চাইলে
পরিস্থিতি বদলানোর ক্ষমতাও আছে আমার। সে প্রমাণ আমি স্বচক্ষে দেখেছি।
শপথ
#৪---গতবছরটা মিনিম্যালিজম্ প্র্যাকটিস করার ব্রত নিয়েছিলাম আমি। বলেছিলাম বাড়িতে
রাখার জায়গা নেই বলে ক্যামেরা কেনা আটকে রয়েছে। বলেছিলাম, "২০১৩র রেসলিউশনের লিস্টে আমার চার নম্বর
আইটেম হচ্ছে, বাড়িতে কাজের জিনিসের জন্য জায়গা বার করা। আর এই রেসলিউশনের করোলারি
হচ্ছে বাড়ি থেকে অকাজের জিনিস টান মেরে বিদায় করা।”
রেজাল্টঃ এক্ষেত্রেও সেই অজুহাতটা ঝুলি থেকে বের করার সুবিধে আছে---বাড়িতেই
যদি না থাকি তাহলে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র টান মেরে বিদায় আর করি কী করে। যদিও আমি
সেটা করছি না। কারণ অন্য যে বাড়িগুলোয় ঘুরে ঘুরে থাকলাম এই ক’টা দিন, সেগুলোতে
আমার আচরণ মোটেই বুক ফুলিয়ে বলার মতো নয়। আমার টেবিলের ওপর এই মুহূর্তে আমি একটা
ইউস্ অ্যান্ড থ্রো পেন এবং পাঁচটা প্রিন্ট আউট দেখতে পাচ্ছি যাদের সবকটারই ইউস্
বহুদিন হল ফুরিয়েছে। রোজ ভাবি ফেলব, রোজ যত্ন করে গুছিয়ে রাখি। অফিসের টেবিলের
ওপরেও বেকারির পলিথিন আর অব্যবহৃত ন্যাপকিনের পাহাড় জমিয়েছি। আগামীকাল থেকে পৃথিবীর
সব ন্যাপকিন কারখানায় লক-আপ হয়ে গেলে যাতে দু-মাস অন্তত কোনও অসুবিধেয় পড়তে না হয়।
ফেল। জঘন্য।
শপথ #৫---শপথ করেছিলাম মনের কথা মুখ ফুটে বলার। “. . . আমি ঠিক করেছি এবার থেকে মনের কথা
খুলে বলব। কোন জিনিসটা আমার ভালো লাগছে, কোনটা ভালো লাগছে
না, সেটা সময় থাকতে থাকতে ঠাণ্ডা মাথায় প্রকাশ করব।”
রেজাল্টঃ সুখের কথা, এ
শপথ আমি রক্ষা করেছি। এই মুহূর্তে অন্তত তিনটে পরিস্থিতি আমার মনে পড়ছে, যেখানে
প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়ে, ঘরের কোণে বসে কল্পনায় গোটা
ঝগড়াটা না করে আমি ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ঠাণ্ডা মাথায় একটা সভ্য কথোপকথন চালানোর
কনফিডেন্স দেখাতে পেরেছি। (সঙ্গে সঙ্গেই আর একটা পরিস্থিতি মনে পড়ছে যেখানে আবার
সেই ল্যাজ গুটোনোর পুনরাবৃত্তি হয়েছে, কিন্তু আমরা সেই সংখ্যালঘু পরিস্থিতিটাকে
ইগনোর করব।)
ফাইন্যাল
স্কোর
শপথ
#১ = ০
শপথ
#২ = ১/২
শপথ
#৩ = ১/৩
শপথ
#৪ = ০
শপথ
#৫ = ১
অর্থাৎ
পাঁচটি শপথের জন্য এগ্রিগেট পাঁচ নম্বরের মধ্যে আমি পেয়েছি মোটে ১+(৫/৬)। দুই-ও ছুঁতে পারিনি। লজ্জায়
আমার মাথা কাটা যাচ্ছে। জঘন্য।
রেসলিউশনের
ব্যাপারে আপনাদের পারফরম্যানস্ কী রকম ২০১৩-য়? পাশ করুন ফেল করুন, বলতে লজ্জা
পাবেন না। সারদা-মা’র কথাটা মনে রাখবেন, “লজ্জা ঘৃণা ভয়, তিন থাকতে নয়”। আর তাছাড়া শেকস্পিয়রও
বলেছেন “ফেলিওর ইস দ্য মাদার অফ সাকসেস”। ২০১৩-র ফেলিওরের ওপর আমরা মহাসমারোহে
২০১৪-র সাকসেসের ভিতপুজো করব, কিচ্ছু ভাববেন না। (আর যদি অলরেডি না করে থাকেন, এ
বছরের সাকসেস-ফেলিওরের কথা ভাবতে ভাবতে আগামী বছরের রেসলিউশনগুলোও এইবেলা ঠিক করে
ফেলুন কারণ আগামীকাল সেই নিয়েই কথা হবে।)
Bha...potropat nijeke number dia dilen dekchi...Kal robibasorio adday bondhuder modhhe thik eta nia alochona uthechilo...ami e tulechilam..kichu chara,kichu ankre dhora, kono jiniser obhhes gore tolar modhhe dia manosik shanti pawa....pass/fail mile moter upor utre gechi mone holo...letter marks diachi ekta subject e...For not to get involved with some feeling to find emotional escape...
ReplyDeletetobua aaj o eta sotti...
taar ghor pure geche okal anole
taar mon vese geche proloyer jole.
tabu akhono se mukh dekhe chomkay.
akhuno se mati pele pratima banay....
বাহ্ কী সুন্দর কবিতা লিখেছেন সৌমেশ। উতরে যাওয়ার জন্য কনগ্র্যাচুলেশনস্। ইমোশনাল এসকেপের মুখ চেয়ে ইনভলভড্ না হয়েও খুব বুদ্ধির কাজ করেছেন, ও পরিণতি কদাচ সুখের হয় না। পরের বছর রেজাল্ট আরও ভালো হবে, সেই শুভকামনা রইল।
Deleteota Antaheen e chilo...:)
Deleteoh.
Delete'রেসলিউশনের' kotha ami moneo ante chaina , o kotha bhablei bhoi kore. sotti bolte ki ajkal ar oi pothi maraina. :-D.
ReplyDeleteChhobita tobe darun hoechhe, dhnoata besh dhora gachhe.
IchchhaDana, bhaloi koren. sustho thakte gele osob poth marano uchit-o na.
Deleteare dhoyar totkata sedin-i kothay porlam. Backlight thakle dhnoya bojha jay. tai potropath shikkhata kaje lagiye phellam.
আমার শপথ ছিল প্রধানত দুটো:
ReplyDelete১. গাড়ি চালাতে শিখব: এতে আমি নিজেকে ১ দেব, যদিও আমি ৩ বারের চেষ্টায় পাস করেছি। যখন ডি এম ভি কবারে পাস করলাম তাই নিয়ে মাথা ঘামায়না তখন আমি কেন মাথা ঘামাই? এখন গাড়ি চালিয়ে অফিস যাতায়াত দোকান বাজার সবই করতে পারি, যদিও মাঝে মধ্যে পিছনের ড্রাইভার হর্ন বাজায়।
২. গ্র্যাজুয়েট করব: এটাও অনেক বাধা-বিপত্তির পর করতে পেরেছি তাই এটাতেও নিজেকে ১ দিচ্ছি।
এছাড়া ছিল মিনিমালিজ্ম এর শপথ। সেটায় বসে বসে ডাহা ফেল করতাম, শুন্যই পেতাম, কিন্তু মাঝখানে হঠাত শহর পাল্টে চলে আসতে হল , তাই জমে থাকা জঞ্জালের সিংহভাগ ফেলে দিতে বাধ্য হয়েছি। তাই এটায় ১/২
এছাড়া আমার নিজের কাছে নিজের কিছু শপথ ছিল: আরও বেশি ব্লগ লেখা, আরও বেশি ছবি আঁকা, আরো বেশি ঘুমোনো, আরও বেশি গল্পের বই পড়া এবং আরও বেশি ভাল সিনেমা/টিভি সিরিজ দেখা। পাঁচ নম্বরটা হয়ত আজব লাগতে পারে, কিন্তু তার আগে একটা সময়ে আমি সেটাও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম। তা আমার বাংলা আর ইংরেজি ব্লগ মিলিয়ে ধরলে ১/৪ পাওয়া যাবে, কারণ ২০১২র থেকে ২০১৩র পোস্টের সংখ্যা সামান্য হলেও বেশি। ছবিটায় আমি ১/৪ দেব, কারণ সব রকম ছবি আঁকার সময় না পেলেও ছবি সামান্য বেশি এঁকেছি। গল্পের বইতে আর সিনেমায় দুটোতেই ১/২-১/২, কারণ আমি অনেক বাড়িয়েছি, কিন্তু আরও বাড়াতে চাই। ঘুমনোয় শুন্য।
তাহলে হিসেব দাঁড়াল ১+১+১/২+১/৪+১/৪+১/২+১/২+০ = ৪/৮. অর্থাৎ কিনা ৫০%.
জঘন্য।
barir baire theke likhchhi, kajei Avro nei. ingriji horof marjona korben.
Deleteapni khub bhalo korechhen ei bochhor porikkhay. Fifty per cent ei bajare star marks-er theke kono angshe kom noy. samner bochhor jolpani peye pass korben ei shubhokamona roilo Sugata.
এরকম ক্ষেত্রে gmail ব্যবহার করে টাইপ করতে পারেন। ইন ফ্যাক্ট, আমার তো অভ্র আদৌ নেই।
Deleteektai resolution chhilo - blog-take bnachiye tulbo. holo na.
ReplyDelete2014-y ota hoye jabe, ami manaschokkhe dekhte pachchhi Somnath.
DeleteBaba go!blog ta porei chap kheye gelam:(
ReplyDeleteBachor bachor eto fail merechi...je aajkal Resolution namak jinish takei aar dhare kache gheNshte di na.Tate jibone stress namok jinish ta anek kam thake:)
seta khubi buddhimaner kaaj koren Kathakali. Resolution maana ar stress barano duto eki coin-er epith-opith. oboshyo resolution-er list banalam kintu kichhui manlam na, manar cheshtatuku porjonto korlam na (amar method arki), se rokom korle onyo kotha. tokhon resolution bananor shokh-o mitlo, resolution rokkhar porishrom-o holo na. sonay sohaga jake bole.
DeleteGari chalate shekha : Fail
ReplyDeleteYoga shuru kora : Fail
Cycle chalate shekha : Fail
Nose piercing korano : Pass
Masher mainer kichhuta ontoto save kora : Semi-pass
Chakri bodlano : Pass
Coke/Pepsi khawa bondho kore dewa, nidenpokkhe hoptay ekta kore khawa : Daha fail
Daralo giye 2.5/7.
Jachchhetai.
are bah, tomar resolution-gulo to jhingchyak chhilo Bimbabati, tumi sekhanei distinction peye pass korechho. abar ki chai? Cycle-ta ebochhorer list-eo rakhchho nishchoy? ota shikhe phelo, ami paaye dhorchhi. dekhbe eto aaram jiibone paoni.
Deletehahaha eita darun hoyeche, ekkhuni realize korlam ami amar resolution guloi bemalum bhule mere diyechi :D ebong eta realize korei ami 2014 r resolution ta niye fellam, ar ei resolution er chokkore jabo i na...
ReplyDeletetumi nijeke boddo kom kom nombor diyecho, khub kora porikkhok to!
আরে আমিও ভুলেই যেতাম স্বাগতা, কিন্তু ঢাকঢোল পিটিয়ে লিখে রেখেছি কাজেই আর ভুলে যাওয়া গেল না। কম নম্বরটা চক্ষুলজ্জার খাতিরে। নিজেই নিজেকে হাত খুলে নম্বর দিলে লোকে যদি ছি ছি করে?
Delete