বেত্রবতীর তীরে/ ওরছা ২
এ যাবৎ যাঁদের ওরছা যেতে দেখেছি সকলেই বিদেশী। আমাদের ধারণা ছিল এত বিদেশী যে জায়গায় যায় সেটা আর কত ইন্টারেস্টিং হবে। তাঁরা ফিরে এসে পজিটিভ রিভিউ দেওয়ায় সংশয় জোরদার হয়েছিল। ওরছা নির্ঘাত বিদেশীদের মন ভোলানোর মতো ভারতবর্ষ। যেন সেটা কিছুতেই আমাদের মন ভোলানোর মতো হতে পারে না। ওরছা যাওয়ার সপক্ষে যুক্তি ছিল একটাই। ভীষণ সোজা রাস্তা। দিল্লি থেকে হাবিবগঞ্জ শতাব্দী ছাড়ে সকাল ছ'টায়, ঝাঁসিতে থামে দশটা পঁয়তাল্লিশে। ঝাঁসি থেকে ওরছা অটোতে যেতে লাগে তিনশো টাকা আর তিরিশ মিনিট। সুবিধের মুখ চেয়ে, মনের সংশয় মনে চেপে চলে গেলাম ওরছা। বুক করলাম মধ্যপ্রদেশ ট্যুরিজমের বেতোয়া রিট্রিট, সকলেই চেনে, অটোওয়ালা শামসুদ্দিন সাঁ করে বাঁক নিয়ে গেটের ভেতর ঢুকে ব্রেক কষলেন। অভ্যর্থনা জানাতে ম্যানেজারবাবু বেরিয়ে এসেছিলেন, তাঁকেও এ তল্লাটে সকলেই চেনেন, শামসুদ্দিন শুদ্ধু। পরস্পর পরস্পরকে হাত তুলে নমস্তে জানালেন। বেতোয়া রিট্রিটের ম্যানেজারবাবু অতি করিৎকর্মা লোক। সাধারণতঃ সরকারি লোকেদের প্রোঅ্যাকটিভ হতে দেখা যায় না। ইনি উজ্জ্বল উদ্ধার। বা ‘সরকারি’র চরিত্র বদলাচ্ছে, এখন আর চোখ উল্টে থা...