জয়পুর ৩ঃ সিটি প্যালেস
সিটি প্যালেসের এন্ট্রি ফি মাথাপিছু পাঁচশো টাকা। মিউজিয়াম আর লাইট অ্যান্ড শো মিলিয়ে। টিকিট কেনার পর থেকেই থানে থানে সাদা জামা, লম্বা ল্যাজওয়ালা লাল পাগড়ি পরা অপেক্ষারত কর্মচারীরা ন্যাভিগেশনে সাহায্য করবেন। মিউজিয়ামটিয়াম, আমার মতো লোকের কাছে অপচয়। কত দেখার জিনিস, কত মূল্যবান জিনিস, নব্বই শতাংশই স্মৃতি থেকে বেরিয়ে যায়। বা তেমন করে দেখাই হয় না। এক সপ্তাহও হয়নি (না হয়েছে, আট দিন) সেভাবে কিছু মনে পড়ছে না। খালি মনে পড়ছে প্রাসাদের বিরাট চাতাল পেরিয়ে প্রথম যে ঘরটায় গেলাম তার সিলিং থেকে ঝুলছিল বিরাট ঝাড়লণ্ঠন। চারদিকের দেওয়াল ঘিরে প্রমুখ সোয়াই সিংদের ছবি। আমিআপনি যদি একখান একখান মানুষ হই তাহলে এঁরা সোয়াখান। সেই থেকে সোয়াই। সিংটাও পয়দায়েশি না। আকবরের দেওয়া। অধিকাংশই বাঁ দিকে মুখ ফিরিয়ে, কেউ সোজা দাঁড়িয়ে, কেউ চেয়ারে বসে। নিচে তাঁদের কর্মকাণ্ডের বিবরণ। সোয়াখানই বটে। শহর গড়েছেন, লাইব্রেরি খুলেছেন, কত বই কত ভাষা থেকে কত ভাষায় অনুবাদ করেছেন, গলফ কোর্স বানিয়েছেন, আর পোলো তো খেলেইছেন। পোলো হল গিয়ে জয়পুরের রাজাদের একটা লক্ষক। পাগড়িধারী ভাইসাবের তর্জনী অনুসরণ করে চাতাল পেরিয়ে ঢুকলাম আরেকটা প্রাসাদে। প্...