দিল্লি মেট্রো


একটা মানুষকে যেমন এক কথায় বর্ণনা করে দেওয়া যায় না, তেমনি একটা শহরকেও যায় না। অথচ আমরা দুটো ক্ষেত্রেই এই ভুলটা করি। এ ন্যাকা, ও বোকা, সে পরিশীলিত। এই শহর কসমোপলিট্যান, ওই শহর বুদ্ধিজীবী, সেই শহর গামবাট কোনও কোনও শহরের প্রতি আমরা ভালোবাসায় অন্ধ হই, আবার কোনও শহরের নাম শুনলেই মনে হয়, ম্যাগো ওখানে মানুষ থাকে?

তবে আমরা যেহেতু মানুষ, আমাদের পক্ষে এসব ভুল করাই স্বাভাবিক। আমিও করেছি। দক্ষিণ ভারতের যে শহরটায় কলকাতার অর্ধেক ছেলেমেয়ে থাকে আজকাল, সেই শহরের প্রতি অন্ধ বিরূপতা অনেকদিন মনে পুষে রেখেছি। কোনও কারণ ছাড়াই।

বান্টি কি-বোর্ড থেকে মাথা তুলল।

-কোনও কারণ ছাড়াই?

-আহা, কারণ ছাড়া কি কার্য হয়। একটা না একটা ছোট্ট কারণের চারা তো ইটকাঠকংক্রিটের তলায় চাপা পড়েই থাকে। আচ্ছা আচ্ছা মানছি, ওই শহরটায় একজন থাকে যে একসময় আমার মাথা হাফন্যাড়া করে, ঘোল ঢেলে, উল্টো গাধার পিঠে চাপিয়ে আমাকে প্রেমের রাজ্য থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়েছিল।

এই সব বলতে গিয়ে আবার সেই মান্ধাতার আমলের প্রায় মিলিয়ে আসা ক্ষতটার দিকে নজর পড়ে গেলআঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে দেখলাম, জায়গাটায় এখনও সাড় আছে নাকি।

নেই। বাঁচা গেছে।

বান্টি বলল, তুমি হেবি নেমকহারাম কিন্তু। ধাক্কাটার কথাই মনে রইল, ধাক্কার পর যে জীবনে কতগুলো ভালোভালো জিনিস ঘটল সেগুলোর কথা তো দাঁতের ফাঁক দিয়ে উচ্চারণ কর না? কীসের থেকে কী হয় কেউ কি বলতে পারে?

তা ঠিক। ধাক্কাটা না খেলে আমার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস কমিটেড-ই থেকে যেত, অর্চিষ্মানের সঙ্গে দেখাটা হাইহ্যালোর থেকে আর বেশি এগোত না, আর বিশ্বের বাছাই করা পাগলদের বাসা হওয়া সত্ত্বেও নিউ ইয়র্ক সিটি আমার ‘ফেভারিটেস্ট শহর অন আর্থ’ হয়ে উঠত না।

যা হয় সব ভালোর জন্য হয়।

যাই হোক। আজকের গল্পের হিরো বেঙ্গালুরুও নয়, এন ওয়াই সি-ও নয়। আজকের গল্প দিল্লিকে নিয়ে।

দিল্লি আমার পৃথিবীর সেকেন্ড ফেভারিটেস্ট শহর। তার লক্ষ লক্ষ কারণ আছে। সুমনের কলকাতা নিয়ে ‘প্রথম সবকিছু’ গানটার বেশির ভাগ লাইনই আমার ক্ষেত্রে দিল্লির জন্য খেটে যায়প্রথমবার বাড়ির বাইরে থাকা, প্রথমবার মায়ের নাগালের বাইরে থাকা, প্রথমবার পরীক্ষায় একশোয় দেড় পাওয়া (হায়েস্ট উঠেছিল তিন), প্রথমবার প্রেম, প্রথমবার ব্রেকআপ।

তাই দিল্লি নিয়ে যখন কেউ ফস্‌ করে খারাপ কথা বলে বসে, আমার ভালো লাগে না। এই কিছুদিন আগে যখন গ্যাংরেপ নিয়ে সারাভারত উত্তাল হয়েছিল তখন কোথায় দেখি কে একজন দিল্লিকে “স্পার্ম সিটি” বলে লিখেছে।

পিত্তি জ্বলে গিয়েছিল।

বাকি সব শহরের মতো দিল্লিরও প্রচুর খারাপ দিক আছে, প্রচুর ভালো দিকও আছে। প্রচুর ভীষণ-ভালো দিকও আছে। যেমন দিল্লি মেট্রো।

দিল্লি মেট্রো আমাকে মুগ্ধ করেছে। ওরকম ঘনঘন ফ্রিকোয়েন্সিতে ট্রেন, ঝকঝকে কামরা, তকতকে প্ল্যাটফর্ম, খেলানো দোতলাতিনতলা স্টেশন, ছড়ানো নেটওয়ার্ক। একবার একটা কাজে জনকপুরীর দিকটায় যেতে হয়েছিল। যাওয়ার সময় ঠিকানা জানা ছিল না, খোঁজখবর নিয়ে যে যাব তার সময় ছিল না। ট্যাক্সির মিটার পাঁচশো টাকা উঠেছিল। ফেরার পথে একেতাকে জিজ্ঞাসা করে কাছের মেট্রোস্টেশন বার করলাম। বাড়ির কাছের স্টেশনে নেমে দেখি সময় লেগেছে যাওয়ার তুলনায় অর্ধেক, টিকিটের ভাড়া লেগেছে তেইশ টাকা।

বুঝুন।

আর সবের ওপর যে ব্যাপারটা সবথেকে বেশি ভালো লাগে সেটা হল মেট্রোর গায়ের সরকারি ছাপটা। মিলিওনেয়ার ব্যবসায়ীই হও কি উত্তরপ্রদেশ বা হায়দ্রাবাদের গ্রাম থেকে আসা নিরক্ষর চাষি, গুচ্চির হ্যান্ডব্যাগশোভিত ললনাই হও কি মাথায় বস্তা নিয়ে ছুটে আসা নোংরা শাড়ি পরা খেটে খাওয়া মহিলা, মেট্রোর লাইনে সবাই সমান। মেট্রোর সিটের ওপর তারই অধিকার যার কনুইয়ের জোর বেশি। টাকার গরম ফলানোর কোনও জায়গা নেই মেট্রোয়

রোজ অফিস থেকে ফেরার পথে আমাকে একটা লাইন বদলাতে হয়। হলুদ লাইন থেকে বেগুনি লাইনকোনও কোনওদিন কপাল ভালো থাকলে এই লাইন বদলানোর মাঝে একটুও সময় নষ্ট হয় না। ওই ট্রেন থেকে নেমে দৌড়ে এই ট্রেনে এসে উঠি। এই দৌড়ের ব্যাপারটাও খুব মজার। দুটো প্ল্যাটফর্মের মধ্যে একটা বিরাট দেওয়াল, কিছুতেই দেখার উপায় নেই ওদিকে ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে কি না। তাই সবাই এমনিই দৌড়োয়। ট্রেন আছে কি নেই না জেনেইসামনের জন দৌড় শুরু করে, তাকে দেখে পেছনের জন দৌড়োয়, তাকে দেখে তার পেছনের লোক। এই করে গোটা প্ল্যাটফর্মশুদ্ধু লোক দৌড়তে থাকে। কোনও কোনও দিন দৌড় কাজে লাগে, দেখি ওই প্ল্যাটফর্মে সত্যি একটা ট্রেন চুপটি করে দাঁড়িয়ে আছে, সিকিউরিটি প্রাণপণে বাঁশিতে ফুঁ দিচ্ছে আর কলকাতার বাসের কন্ডাক্টরের মতো হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে লোকজনকে জলদিজলদি ট্রেনে ওঠার আদেশ দিচ্ছে।

আবার কোনওদিন সব পরিশ্রম বৃথা যায়, ধাঁইধাঁই দৌড়ে এসে দেখি ফক্কা প্ল্যাটফর্ম। তখন সবাই ঘ্যাঁচ করে দৌড়ে ব্রেক কষে গুটিগুটি লাইন দেয়। আমিও দিই। কানে গান গুঁজে এদিকওদিক লোক দেখি। দেওয়ালের পাশে দাঁড়ালে ঘাড় উঁচু করে হিন্দিতে লেখা নির্দেশাবলী থেমে থেমে, বানান করে করে পড়ি। কোন্‌ কোন্‌ অপরাধে কী কী জুর্মানা হতে পারে সেসবে চোখ বোলাই। চোখ বোলাই আর একাএকাই হাসি। ব্যান্ডেল লোকালে এই নিয়মাবলী চালু করলে রেলকোম্পানি কত টাকা রোজগার করতে পারত ভেবে মাথা চুলকোই। ট্রেনের ভেতর ঝগড়া করলে দুশো টাকা ফাইন আর সিকিউরিটিকর্তৃক পরের স্টেশনে ঘাড়ধাক্কা। ঘাড়ধাক্কা খেয়ে পরের স্টেশনে নামতে রাজি না হলে, আরও দুশো।

কালকেও এইসব করে টাইমপাস করছিলাম। ভিড় ক্রমেই বাড়ছিল। পরের ট্রেনটা যখন এল, যুদ্ধের জন্য আমি ততক্ষণে তৈরি। সামনের লোকের গায়ে সেঁটে না গিয়ে যতখানি এগোনো যায় ততখানি এগিয়ে ছিলাম, দুই হাত যতখানি দুদিকে ছড়ালে পাগলের মতো দেখায় না অথচ পেছনের লোককে লাইন ভেঙে সামনে আসা থেকে প্রতিহত করা যায় ততখানিই ছড়িয়ে রেখেছিলাম।

ট্রেন প্ল্যাটফর্মে ঢুকলওদিক থেকে পুরীর সমুদ্রের মতো একটা ঢেউ এলএদিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের মতো আর একটা ঢেউ তুলে আমরা হা রে রে রে করে ট্রেনের ওপর গিয়ে পড়লাম। লোক সব নামতে না নামতেই দরজার কোণা দিয়ে সবাই ছুটে উঠে গিয়ে ফাঁকা সিটগুলো ধপাধপ দখল করতে লাগল। আমিও উঠছি...ট্রেনের ভেতর এক পা দিয়ে ফেলেছি...ওই যে ওই সিটটা ফাঁকা...চোখের কোণা দিয়ে দেখছি একই সিটকে তাক করে ওপাশ থেকে একটা চ্যাংড়া মতো ছেলে ছুটে আসছে...আমি মরিয়া হয়ে ভিড় ঠেলে পুরো শরীরটাকে ট্রেনের ভেতর তুলে আনার চেষ্টা করছি...পেছনে কীসের যেন একটা বাধা...একটা হ্যাঁচকা টান...আমি ফাইন্যালি ট্রেনের ভেতর।

মাইক্রোসেকেন্ডের ব্যবধানে ছেলেটা আমার আগে ডাইভ মেরে সিটটার ওপর শরীর ফেলে দিল।

ছোট একটা দীর্ঘশ্বাসকে বুকের মধ্যে ফেরত পাঠিয়ে স্টিলের রডে হেলান দিয়ে দাঁড়াতে যাব, ঠিক তক্ষুনি চোখে পড়ল।

আমার হেডফোনটার যে অন্তটা যন্ত্রে গোঁজা থাকে, সেটা জিনসের পকেটের বাইরে দোল খাচ্ছে। সাদা কেসিং-টা ছিঁড়ে ভেতরের সরু তারগুলো বেরিয়ে এসেছে।

যন্ত্রটা নেই।

প্রথম দু’সেকেন্ড গেল ব্যাপারটা বুঝতে। তারপর ছিটকে পেছন ফিরে দরজা দিয়ে নামতে যাব, কেন যাব জানি না, যে নিয়েছে সে নিশ্চয় আমার অপেক্ষায় এখনও প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে নেই, তবু। প্রতিবর্ত ক্রিয়া। যদি মাটিতে পড়ে থাকে? পা-টা প্ল্যাটফর্মে রাখতে যাব, সিকিউরিটি “অন্দর যাইয়ে ম্যাডাম!” বলে গর্জন করে উঠল আর আমার নাকের ঠিক এক সেন্টিমিটার দূরত্বে ঠাণ্ডা সাদা দরজাদুটো একে অপরের সঙ্গে এসে খাপেখাপে জুড়ে গেল।

চোখকান জ্বালা করে উঠল আমার। জিনিস যাওয়ার দুঃখের থেকেও অনেক বেশি বোকা বনে যাওয়ার দুঃখে। এইভাবে ঠকিয়ে দিল? এতক্ষণ ধরে আমি যখন গান শুনছিলাম, লোক দেখছিলাম, ওই লোকটা আমাকে আড়াল থেকে মাপছিল আর মনে মনে ভাবছিল, এই মহিলা বেশ সহজ শিকার?

চোরের থেকেও নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল আমার বেশি। দুঃসহ রাগ। নিজের অপদার্থতা নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ততক্ষণে আশেপাশে গুনগুনিয়ে “কেয়া হুয়া?”, “ফোন গয়া কেয়া?” শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একটাদুটো হালকা মন্তব্য। আজকালকার ছেলেমেয়েদের অন্যমনস্কতা নিয়ে আরও হালকা একটাদুটো হাওয়ায় ভাসা কথা।

তারপর আবার সব চুপচাপ। অন্ধকারের বুক চিরে গমগমিয়ে মেট্রো চলতে লাগল। ট্রেনের ভেতর সবাই মৃদুমন্দ দোল খেতে খেতে চলতে লাগলাম। সবই একরকম রইল।

শুধু দিল্লি মেট্রো আমাকে জীবনের প্রথম দাগাটা দিয়ে গেল।

*****

তাই বলে কি আমি দিল্লির ওপর, দিল্লির মেট্রোর ওপর রেগে গেছি? মোটেই না। অত বোকা নেই আর যে চোরের ওপর রাগ করে মেট্রো ছেড়ে অটো চড়ব। একটা শিক্ষা হয়ে গেল। ট্রেনে ওঠার সময়, সে ব্যান্ডেল লোকালই হোক বা বদরপুর মেট্রো, নিজের ধনসম্পত্তি যে এক্সট্রা সাবধান হয়ে বুকের কাছে জাপটে ধরে উঠতে হয় সেই শিক্ষাটা। যতদিন না আবার বোকা বনছি, ততদিন সেটা মনে করে রাখার চেষ্টা করব। 

Comments

  1. আর বোলো না। কলকাতায় তো মেট্রো থেকে নামবার সময় (ধর্মতলা বা চাঁদনী চক এ বিশেষ করে) দু হাতে যতগুলো সম্ভব পকেট চেপে ধরে নামতাম। তাতে মাঝে মাঝে হত কি, আমার স্কন্ধে লম্বায়মান ব্যাগটি আমায় ছেড়ে পিছনে অন্য কাউকে আশ্রয় করতে চাইত। তাতে সেই যাত্রীর রাগ হত, হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি নিজের জিনিসই সামলাতে পারছেন না, আবার একটা এক্সট্রা জিনিস জুড়লে তো রাগ হবেই, নাকি? আর সঙ্গে মোবাইল না থাকুক, ছাত্রজীবনে তো পকেটে অন্তত গোটা কুড়ি টাকা থাকত। কেন জানি মনে হত, শিয়ালদহের যত নামীদামী চোর আমার ঐ কুড়ি টাকার প্রতিই নজর দিয়েছে। সেই ভয়ে শিয়ালদহ দিয়ে বাড়িই ফিরলাম না কখনও। অবিশ্যি এসব দিক দিয়ে হাওড়া খুব ভদ্র। বাই দ্য ওয়ে, এবার একটা স্মার্টফোন নামিয়ে ফেলো।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহাহা আবির, আমি তোমাকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, ভয়ানক সতর্ক হয়ে, পকেটটকেট সামলেসুমলে মেট্রো থেকে নামছ। আর তোমার পেছন পেছন নামা তিতিবিরক্ত ভদ্রলোককেও।

      চোরেরা সবসময় আমাদের মতো চুনোপুঁটিদের দিকেই নজর দেয়, এটা আমিও দেখেছি।

      আমি ভেবেছি স্মার্টফোনটা অন্যকে দিয়ে কেনাব। তাহলে নিজের ইমেজও রক্ষা হবে আবার স্মার্টফোনের লোভও মিটবে।

      Delete
    2. তত্ত্ব নাকি? হেঁহেঁ!

      Delete
    3. ওরে বাবা, না না। এমনি। যে ইমেজের মুখ চেয়ে ফোন কিনতে পারছি না, তত্ত্ব নিলে সেটার দিকে আর তাকানো যাবে না।

      Delete
  2. Amar purono dukhyo mone korie dile je, Mumbai jabar pothe Gyaneshwari express -e ek chor amar ki ki je sokher jinish nie chole gechhilo thik ei-rakomi boka banie. Oi boka bone jabar rag ta amar ekhono achhe, jeta jinish haranor dukhyer theke onek beshi mone hoi.

    ReplyDelete
    Replies
    1. সিরিয়াসলি। জিনিস তো আবার কেনা যায়, কিন্তু হৃত সম্মান কি আর ফেরে বলুন?

      Delete
  3. আইপড গেছে মানে আপদ গেছে। যাকগে, ওসব নিয়ে মন খারাপ করবেন না। চোরছ্যাঁচড় পৃথিবীতে কোথায় নেই, প্যারিস মেট্রো স্টেশনে আমার সাধের ওয়ালেটটা পকেটমার হয়ে গেল। টাকা যা ছিল তা ছিল, তার চেয়ে বড় কথা রাজ্যের ক্রেডিট কার্ড ব্লক করো, প্যান কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করো, আরও কত্ত কি। উফফফ।

    যাই হোক, মর‍্যাল অফ দ্য স্টোরি হল যে বাজনাটা অফিস থেকে বেরোবার সময় পকেটে ঢোকাতে হবে, ট্রেনের ভেতরে ঢুকে পকেট থেকে বের করতে হবে, ট্রেন থেকে নামার আগে পকেটে ঢোকাতে হবে, বাড়ি পৌঁছে পকেট থেকে বের করতে হবে। দিন সাতেক প্র্যাকটিস করলে কি আর আয়ত্ত হবে না?

    ReplyDelete
    Replies
    1. মা-ও এক্স্যাক্টলি এই কথাটা বলল। তবে ওয়ালেট হারানোর থেকে খারাপ কিছু হয় না। আপনার নাকাল হওয়াটা আমি বেশ কল্পনা করতে পারছি। তবে ফ্রেঞ্চ পকেটমারে পকেট কেটেছে, এইটা সান্ত্বনা হিসেবে নিয়ে খুশি হতে পারেন।

      প্র্যাকটিসে কী না হয়? এটাও হবে নিশ্চয়।

      Delete
    2. একে বলে ফ্রেঞ্চকাট।

      Delete
    3. হাহা, এইটা ভালো বলেছ।

      Delete
  4. তুই আমার মত স্ফীতোদর হলে চোর ভয়ে ঘেঁষত না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. যাব্বাবা। চোরের দোষ নেই, আমার খ্যাংরাকাঠি হওয়ার দোষ? আচ্ছা বিপদ তো।

      Delete
    2. আলবাৎ। আমার দশাসই চেহারা আর মোটা গোঁফ দেখে ওরা কাছে ঘেঁষে না। মোটা হ'; জীবনের মানে বদলে যাবে। গোঁফ রেখেও দেখতে পারিস্‌।

      Delete
  5. Buri chowa chuye beria gelen haan? :)
    ক্ষত-er sar onubhob na kora kintu sotti boro achievement...kintu bhebe dekhar bisoy.. sotti ki sar ta jay?
    jai hok...apnar songitnirgolon chepta jontrotir biyog bethay ami soman somobethi.. :P

    ReplyDelete
    Replies
    1. সারে সারে সৌমেশ। একেবারে ভোলা হয়তো যায় না, সে তো পার্ট ওয়ানের নম্বরও ভোলা যায় না, কিন্তু দুঃখটা সেরেই যায়।

      Delete
    2. It depends on the type of ক্ষত..and the number of ক্ষত...
      :D

      Delete
  6. aneksamay emon jinish-o jay ja ar paysa dileo replaced hobe na-...churir byapere sabar upore bombay local...pray 6-7 bachar age dadar station theke navratrir din amar sadher purseti hariye jay traine uthte gie...,tar modhye chilo kayeksho taka ar thakumar laal pathorer dul...prachanda sokher....o dukhyo konodin jabe na ..pratigya korechilam ar konodin kete felleo, local-e uthbo na..tobe chorerao bodhhay bokader chene!sobi body language!!
    oi ar ki sikkha hoyecche..practice kore kore akhon sudhrechi

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেই, বোকা হওয়ার বড় অসুবিধে।

      Delete
  7. না মশাই, এই টেলিপ্যাথি মোটেই ভালো জিনিস নয়। নাহয় কয়েকটা স্বভাব পছন্দ-অপছন্দ মেলে বলে আমরা একটু কুম্ভমেলা বলে মাথায় তুলেছি, তা বলে একেবারে আইপড? তাও আবার সেই মেট্রোতেই? যদিও আমারটা আইফোন ছিল, আমার এবার নিজেকে গিল্টি লাগছে। সহানুভূতি রইল :(
    আর আপনি নিউ ইয়র্কে পাগলের বাসা বলে যে খোঁচাটা মেরেছেন সেটা যথাস্থানে লেগেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. এ মা, নিউ ইয়র্কে তো সত্যিই পাগলের বাসা। আপনিই বলুন? ওটা আমি একেবারেই খোঁচা মেরে বলিনি, অন্তত বলতে চাইনি। প্রশ্রয়মিশ্রিত আদরের সুরে বলেছি।

      নাঃ আইপড হারানো ব্যাপারটা মেলা উচিত হয়নি। ঠিকই বলেছেন।

      Delete
  8. চোর-কে চুরি পড়ানো কি অতই সোজা?? হু হু বাবা!

    ReplyDelete
    Replies
    1. যা বলেছেন স্মৃতিলেখা।

      Delete

Post a Comment