Posts

Showing posts from October, 2015

হাঁটা মানে বাঁচা

Image
Walking is man's best medicine. -Hippocrates Meandering leads to perfection.   -Lao Tzu All truly great thoughts are conceived while walking.   -   Friedrich Nietzsche   If I could not walk far and fast, I think I should just explode and perish. -   Charles Dickens Every walk is a sort of crusade. - Henry David Thoreau My father considered a walk among the mountains as the equivalent of churchgoing.   - Aldous Huxley I understood at a very early age that in nature, I felt everything I should feel in church but never did. Walking in the woods, I felt in touch with the universe and with the spirit of the universe. - Alice Walker When you have worn out your shoes, the strength of the shoe leather has passed into the fiber of your body. I measure your health by the number of shoes and hats and clothes you have worn out.   -Ralph Waldo Emerson The best remedy for a short temper is a long walk.   -Jacqueline Schi...

খ্যাতি

মূল গল্পঃ Fame লেখকঃ Arthur Miller ***** সেই দেওয়ালে স্লোগান লেখা ঢিকিয়ে চলা ট্রামগাড়ি , সেই বাসের জানালা থেকে উড়ে আসা থুতু আর পানের পিকের ছোপ ধরা রাস্তা , সেই রাস্তার পাশে বন্ধ শাটারের সারি। সেই সিগন্যালে সিগন্যালে দামি গাড়ির বন্ধ জানালার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া ভিখিরি শিশুর দল , সেই পিৎজার দোকান , সেই লেটেস্ট ফ্যাশনের জামা পরা ন্যাড়ামুণ্ডি , অন্ধ পুতুলের প্রদর্শনী। সব একই রকম থাকে , তবু বছরের এই সময়টা সবকিছুর ওপর একটা আলগা চটকের আচ্ছাদন পড়ে। রোদ নরম হয়ে আসে , হাওয়ার সঙ্গে কোথা থেকে একটা মৃদু অথচ তীব্র গন্ধ ভেসে আসে। তিরিশের ওপর যাদের বয়স তারা জানে ওটা ছাতিমের গন্ধ। সব মিলিয়ে মনে হয় শহরটা বোধহয় এখনও পুরো মরে যায়নি। এখনও প্রাণ আছে কোথাও। অবশ্য এসব কথা অমৃত খেয়াল করছিল না। ছ ’ লাখ পঁচিশ হাজার টাকার ব্যাপারটা ওর মাথায় ঘুরছিল। রিসেন্ট উপন্যাসটার ফিল্ম রাইটস্‌ পঞ্চাশ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে তার। নিয়মমতো সাড়ে তেরো পার সেন্ট হিসেবে ছ ’ লাখ পঁচিশ হাজার পাওয়ার কথা সুব্রতর। সুব্রত অমৃতর এজেন্ট , যে এই সব বিক্রিবাটা দেখাশোনা করে। প্রথমবার টাকার অংকটা শুনে চমকে গিয়েছিল অমৃত। ওর মুখ দেখে সুব্...

পুজো ২০১৫

Image
জে ব্লকের ঠাকুর এক নম্বর থেকে দু ’ নম্বর মার্কেটের দিকে আসা রাস্তাটা ধরে হেঁটে হেঁটে আসছি পঞ্চমীর সকালে , দেখি উল্টোদিক থেকে লরি চেপে দুর্গাঠাকুর আসছেন।   প্রথম লরিটায় দশ হাত বিছিয়ে মা , পরের লরিটায় গাদাগাদি করে ছেলেমেয়েরা। বছরের প্রথম ঠাকুরটা দেখা হয়ে গেল। অর্চিষ্মান বলল , দেখা হল কোথায় , মুখে আনন্দবাজার চাপা দিয়ে রেখেছিল তো ? তাতে কী ? মুখ ঢাকা ছিল কিন্তু দশ হাত , জরি বসানো লালরঙের  শাড়ি, মুকুট , মুকুটের পেছনে পরচুলার আড়াল থেকে বেরিয়ে পড়া মাটির পুতুলের মাথা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল তো।   ছোটবেলায় এর থেকে ঢের কম জিনিস দেখে , যেমন প্যান্ডেলের চুড়ো কিংবা টিউবলাইট , আমরা ‘ দেখা ’ ঠাকুরের গুনতি বাড়িয়ে নিতাম , তার সঙ্গে তুলনা করলে এ ঠাকুর শুধু দেখেছি নয় , এর সঙ্গে রীতিমত হ্যান্ডশেক করেছি বলা যেতে পারে। পঞ্চমীতে বেরোনোর ইচ্ছে ছিল না , আফটার অল পুজো শুরু ষষ্ঠী থেকে , কিন্তু সারাদিন ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থেকে থেকে সন্ধ্যে নাগাদ দুজনেরই মাথা ঘুরে উঠল। বললাম , চল একটু হেঁটে আসা যাক। ঝটপট জিনস জামা গলিয়ে যেই না বাড়ির পেছনের অন্ধকার গলিটুকু পেরিয়েছি , চিত্ত চমৎকার।...