কুসংস্কার প্রসঙ্গে
সকালবেলা অফিসে ঢুকে দুম দাম দড়াম খটাস ধুপ ধাপের মধ্যে পড়তে হল। এমনিতে আমার অফিসে শ্মশানের স্তব্ধতা বজায় থাকে। আমি তা নিয়ে খুশি। নতুন অফিসের পরিবর্তিত শৈলীতে আমার লটারি লেগেছে, আশেপাশে যত মুখচোরা আর অপ্রাণবন্ত সহকর্মীরা জায়গা পেয়েছেন। ঘটনাটা আবিষ্কার করে তিন সেকেন্ডের জন্য অবিশ্বাস সরিয়ে রেখে মনে মনে ভগবানকে থ্যাংক ইউ জানিয়েছিলাম।
তবু সেদিনের আওয়াজটায় অবাক হলাম না, কারণ ক’দিন আগে আরেকটা আওয়াজ পেয়েছিলাম যার মাঝে এর ভবিষ্যদ্বাণী লুকিয়ে ছিল।
সে আওয়াজ ছিল এই শব্দকল্পদ্রুমের তুলনায় ঢের মৃদু এবং নম্র।
ওহ। মাই। গড।
শ্বাসের নিচে প্রায় চাপা পড়ে যাওয়া তিনটি সংক্ষিপ্ত শব্দ। তার মধ্যেই যা আতংক, ত্রাস ও হতাশা ঠাসা, রাগী লিবারালদের ফেসবুক পোস্টও ফেল পড়বে।
ভেবেছি আরশোলা বা মাকড়সা বা ওই জাতীয় কিছু হবে। উঠে যেতে হল। নিজের থেকে সাইজে ছোট জীব দেখলেই অনেকের প্রথম ইনস্টিংক্ট হয় অ্যাটাক। চটি তুলে চপেটাঘাত।
গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আরশোলা বা টিকটিকি বা মাকড়সা যেটুকু যা নড়াচড়া করছে তা প্রাণ নিয়ে পালানোর জন্যই। আমি মানুষ হয়েও মানুষ দেখলে পালাই, ওদের গা ঘেঁষাঘেঁষি করতে চাওয়ার কোনও কারণ নেই। পালাতে গিয়ে যেটুকু যা ছোটাছুটি, ওড়াউড়ি তারই মধ্যে চটাস, পটাস, ফ্যাট।
মার্ডার। কালপেব্ল হোমিসাইড।
একবার সন্দেহ হল যদি ইঁদুর হয়? উৎসাহে সামান্য ভাঁটা পড়ল, কিন্তু ছ’মাস আগে তৈরি হওয়া একটা ঝাঁ চকচকে সাততলা বাড়িতে ইঁদুরের আমদানি হওয়াটা একটু বাড়াবাড়ি।
ইঁদুর নয়। আরশোলা নয়। মাকড়সা, টিকটিকি কিচ্ছু নয়।
স্টিল, আই কান্ট ওয়ার্ক হিয়ার।
ঘরের চেয়ার নাকি উত্তরমুখো রাখা।
একটা আবছা গল্প যুগযুগান্ত পাড়ি দিয়ে মাথার ভেতর ঘাই মেরে উঠল। গণেশের মুণ্ডু কাটা পড়ার পর যখন মুণ্ডুর খোঁজে হইচই তখন কে যেন একটা (সম্ভবত শনিঠাকুর) হাতির মুণ্ডু কেটে এনে গণেশের মাথায় বসিয়ে দিয়েছিলেন। দোষের মধ্যে হাতি উত্তরদিকে মাথা দিয়ে আরাম করে নিদ্রা যাচ্ছিল। দেবতারা রাক্ষসদের থেকে অনেক বেশি রাক্ষস প্রকৃতির, এটা আমি চিরদিন বলে আসছি। উত্তর দিকে মাথা রেখে শোওয়ার পরিণতি বেচারা হাতি নিশ্চয় জানত না, জানলে কেন যেচে ওদিকে মাথা দিয়ে শোবে, কিন্তু সে অজ্ঞানতার হাঁড়িকাঠে আত্মবলিদান দিয়ে আমাদের সাবধান করে গেছে কাজেই আমাদের শোওয়া মানা।
আমাদের খাটটা আবার ছিল লম্বাটে ধরণের। আড়াআড়ি অর্থাৎ পুবেপশ্চিমে মাথা দিয়ে শোওয়া গেলেও টায়টায়। বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে পিসি, কাকিমা, জেঠিমার সংখ্যাধিক্য হলে সবাই মিলে খাটে ওইভাবে শোওয়া হত। এমনি দিনে আরাম করে শুতে হলে উত্তরদক্ষিণে মাথা দিতে হত। দক্ষিণে খোলা জানালা। জানালার ওপাশে বাগান, স্পষ্টবক্তারা যাকে বলবেন জঙ্গল। মাথা করে শুলে পাছে চোরডাকাতে এসে মাথার চুল, কানের দুল ধরে টানাটানি করে সেই ভয়ে আমরা উত্তরে মাথা করেই শুতাম। যতদিন না গণেশের মাথা ফের কাটা পড়ছে, ততদিন অন্তত।
কিন্তু উত্তরদিকে মুখ করে বসে কাজ করা যাবে না, এমন নিদান সেদিনের আগে শুনিনি কখনও। সম্ভবত উত্তর দিকে মুখ করে পেপার লিখলে পাবলিকেশন হবে না, হলেও ফার্স্ট অথরশিপ বার বার চিলে নিয়ে যাবে।
ঘাঁটালাম না বেশি, যত কম কথায় সারা যায়। কিন্তু এ জিনিস কুসংস্কার ছাড়া আর কিছু মনে হল না।
আমি আবার নিজেকে মারাত্মক বিজ্ঞানমনস্ক মনে করি। কারও শরীরে কুসংস্কারের চিহ্ন দেখলে তাকে জাজ করি। কেউ জ্যোতিষীর কাছে যাচ্ছে শুনলে বা টি শার্টের হাতার তলা থেকে মাদুলির ল্যাজের দুলদুল দেখলে বা আঙুলে পাথর ধারণ করে ঘুরছে দেখলে, সে যতই এম পি জুয়েলার্স থেকে চব্বিশ ক্যারাটের সোনা বাঁধানো হোক না; অস্বীকার করব না, মনের মধ্যে মানুষটা সম্পর্কে একটা ধারণা জন্মায়।
ধারণাটা সুবিধের নয়।
এটা আমার কুসংস্কার হতে পারে। মাদুলিতে কাজ দেয় কি না আমি গবেষণা করে দেখিনি। যাঁরা দেখেছেন তাঁদের মতামতও শুনতে যাইনি। বেড়ালের রাস্তা পেরোনো আর পথদুর্ঘটনার সংযোগের এমপিরিক্যাল স্টাডি নিজে করিনি, কেউ করেছেন কি না জেস্টোরে খোঁজার প্রয়োজন বোধ করিনি। আমাকে বলা হয়েছে ওটা কুসংস্কার, আমি অন্ধের মতো মেনে নিয়েছি ওটা কুসংস্কার। একই ব্যাপার জ্যোতিষের ব্যাপারেও খাটে। অনেকেই দাবি করেছেন, জ্যোতিষ ব্যাপারটা ধাপ্পা নয়। আসল জ্যোতিষী তো দেখনি, দেখলে বুঝতে। সে জিনিস টিভিতে স্টিকার সাঁটা ল্যাপটপের সামনে বসে ধড়িবাজি নয়, সে সব সাধক জ্যোতিষ। স্রেফ মুখের দিকে তাকিয়ে, হুড়হুড় করে সব বলে দেবে। একই দাবি হোমিওপ্যাথির ক্ষেত্রেও শুনেছি। আসল হোমিওপ্যাথি তো খাওনি, খেলে বুঝতে। তোমার হোমিওপ্যাথিতে কাজ দেয় না, কারণ সেটা চিনি গোলা জল, আমার হোমিওপ্যাথি স্রেফ ম্যাজিক। বাড়িয়ে কমায়।
আসল জ্যোতিষী খুঁজতে বেরোনোর মতো বিপদে পড়িনি (যেন না পড়ি ঠাকুর), যেটুকু দেখেছি খবরের কাগজের খোপকাটা বিজ্ঞাপনে আর লেডিস কামরার দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে আর অটোতে উড়ে আসা আড়াই ইঞ্চি বাই চার ইঞ্চি কার্ডে। জীবনের যত জটিল সমস্যা, যথাক্রমে প্রেম, বিয়ে (না হওয়া), হয়ে গেলে ডিভোর্স, পুরুষ হলে কেরিয়ারে উন্নতি, মহিলা হলে স্বামীর পরনারীতে আসক্তি (নারী না পাওয়া গেলে নেশা) থেকে ছুটকারা পেতে গেলে বাবা বংগালির চরণতলে আশ্রয় নিন। নিচে ভিন্ন ফন্টে বড় বড় করে লেখা, রিজনেবল প্রাইস।
টিভির জ্যোতিষ চ্যানেল তো আছেই। ক্যান্ডি ক্রাশের লাইফ শেষ হয়ে গেলে মাঝে মাঝে চ্যানেল ঘোরাতে ঘোরাতে জ্যোতিষ চ্যানেলে থেমেছি। দেখেছি, ফোন ইন অনুষ্ঠানে লোকজন নিজেদের সমস্যার কথা বলে প্রতিকার চাইছেন। তাঁদের জন্মতারিখ আর জন্মক্ষণ জেনে জ্যোতিষমশাই গড়গড় করে তাঁদের ভূতভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছেন।
ইমপ্রেসড হইনি।
কারণ ওটা আমিও পারি। আর যেটা আমিও পারি সেটা অন্য কাউকে পারতে দেখলে ইমপ্রেসড হওয়া যায় না। অন্তত আমি পারি না। শুধু জ্যোতিষের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য শিল্পকলার ক্ষেত্রেও এটা ঘটে। ধরুন আপনি খুব অন্যরকম একটা সিনেমা বানালেন আর ক্যারেকটার বিল্ডিং-এর হেস্তনেস্ত করে হিরোর মুখে বাংলা আধুনিক কবিতার মেলা বসিয়ে দিলেন। বিনয় মজুমদারের চাকা আর ভাস্কর চক্রবর্তীর সেই সুপর্ণা আর শীতকালের লাইনটা। মুশকিল হচ্ছে এই দিয়ে আপনার হিরোর বা আপনার বাংলা কবিতায় বুৎপত্তি প্রমাণ করতে গেলে বিপদ। কারণ ওই লাইনগুলো আমারও মুখস্থ। যে আমি বিনয় মজুমদার আর ভাস্কর চক্রবর্তীর গোটা একটা করে কবিতাও পড়ে উঠিনি (এমনকি ওই লাইনগুলো যে কবিতার সেগুলোও), চোখে দেখিনি। আপনি যে দেখেছেন, বিশ্বাস করি কী করে বলুন দেখি?
জ্যোতিষী হওয়াও, অন্তত টিভির জ্যোতিষী, জলের মতো সোজা ব্যাপার। ধরুন আমি জ্যোতিষী আর আপনি আমাকে ফোন করলেন। আমি হ্যালো বললাম। আপনি বললেন, আপনি আপনার ছেলের সম্পর্কে চিন্তিত। আমি ছেলের নাম জন্মসাল আর সময় জানতে চাইলাম। বেরোলো ছেলের বয়স চোদ্দ থেকে ষোলর মধ্যে। আমি বললাম, দাঁড়ান দাঁড়ান, আপনি আর কিছু বলবেন না, আমি যা বলছি দেখুন সেগুলো মেলে কি না।
কলার আজুবা দেখার আশায় চুপ করলেন। আমি হুম করলাম। হুম্ম্ম্ম্। রাহু কেতু শনির যা অবস্থান দেখছি (এই নামগুলো আরেকটু বিশ্বাসযোগ্যভাবে বলতে হবে, টিভিতে জ্যোতিষীগিরি করতে গেলেও একটু প্র্যাকটিস লাগেই, পরিশ্রমের বিকল্প নেই।) তারপর হাতা গুটিয়ে, রুদ্রাক্ষে, যেটা আমার গলা থেকে দুলছে, হাত বোলাতে বোলাতে বললাম, পড়ায় মন নেই তো? মুখে মুখে চোপা? বেলা পর্যন্ত পড়ে পড়ে ঘুমোয়?
ফোনের ওপাশে উত্তেজনার বাঁধ ভাঙল। ঠিক বলেছেন গুরুদেব/গুরুমা। আমার মুখে মিটিমিটি হাসি খেলা করতে লাগল। পাশে বসা সঞ্চালক এমন মুখ করলেন যেন জয়কৃষ্ণ লাইব্রেরির গঙ্গার জলে সূর্য প্রথম আঙুল ছুঁইয়েছে আর বিসমিল্লাও ভৈরবীতে ফুঁ দিয়েছেন।
আমি ভুরু কোঁচকালাম। রাহু কেতু শনির যা অবস্থান দেখছি চট করে কমার আশা তো দেখছি না (অন্তত হরমোনের ক্ষরণ যতক্ষণ না নামছে)।
আমার ছেলেটা এমন ছিল না জানেন…
বলতে হবে না। স্পষ্ট দেখছি, জন্মের মাহেন্দ্রক্ষণে গ্রহতারা সব লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। সম্ভাবনার ভারে নতমস্তক। কিন্তু তারপর পাড়ার, না না, স্কুলের, হুম্ম্ম্, দুই জায়গারই বখাটেদের পাল্লায় পড়ে...
যা বলেছেন। আপনি ধন্য, গুরুদেব/গুরুমা।
সঞ্চালক মাথায় হাত ঠেকালেন। সাধনা, সাধনা।
ওই বখাটেগুলোর জন্মসাল, জন্মতারিখ এমনকি মুখও দেখাতে হবে না, আমি এই বলে দিলাম, ওদের জন্মের সময়ে স্রেফ রাহু কেতু আর শনি আর যত সব কুগ্রহ নিগ্রহের উৎপাত হয়েছিল।
প্রতিকার কী বাবা?
প্রতিকারের নিদান দেওয়ার আগেই টাইম শেষ হয়ে যাবে। সঞ্চালক গলা ঝেড়ে জোরে জোরে রিডিং পড়তে শুরু করবেন। স্ক্রিনের নিচে যে সব আগামী সেন্টারে জ্যোতিষীশ্রেষ্ঠ বসবেন এবং রিজনেবল মূল্যে প্রতিকার বাতলাবেন তাদের ঠিকানা ভেসে ভেসে যাবে। স্ক্রিনে গোটা বিশ্বের মানচিত্র ভেসে উঠবে। এক কোণে তিনটি বিন্দু দপদপাবে। শিলিগুড়ি, কন্টাই এবং কাঁচরাপাড়া - পরের মাসের তিনটি সেন্টারের ভেনু। অনুষ্ঠান শেষ। এবার রূপচর্চা শুরু হবে।
এবার অবস্থা বুঝে স্ক্রিপ্টের সামান্য রদবদল। চব্বিশ থেকে আঠাশের মধ্যে পুরুষ হলে সমস্যা নিশ্চিত ভাবে চাকরির। অ্যাংগার ইস্যুটা চোদ্দ থেকে ষোলোর সঙ্গে কমন পড়বে। চব্বিশ থেকে আঠাশের মধ্যে নারী হলে, একটু সাবধানে খেলতে হবে। কী সমস্যা, বিয়ে তো? বলে সবজান্তা হাসিটা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিতে হবে। বিয়ে না হলে তো হয়েই গেল। হলে সমস্যা ডেফিনিটলি শ্বশুরবাড়িঘটিত। হান্ড্রেড পার সেন্ট কেসে স্বামী হীরের টুকরো, যত দোষ শালী শাশুড়ির। বেটি বদের বাসা।
বলেছিলাম, জ্যোতিষী সাজা অতি সোজা। অন্তত আমার মতো লোকেদের সঙ্গে যে সব জ্যোতিষীদের হরদম মোলাকাত হয়। সাধক জ্যোতিষী দেখিনি কখনও, না দেখলে আর সাজব কী করে বলুন।
যাই হোক, উত্তরমুখো টেবিলচেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ল। আর অভিযোগটা যেহেতু মইয়ের ওপরের ধাপ থেকে এসেছে, চেয়ারের মুখ উত্তর থেকে দক্ষিণে ঘুরলও। শুধু তো চেয়ারটেবিল না, সেই সঙ্গে ইলেক্ট্রিক্যাল সকেট, সি পি ইউ, ফোনের কানেকশন, সব । তারই পরিণতি ওই দুম দাম খটাস দড়াম ধুপ ধাপ।
অবশেষে দিক ঠিক হয়েছে। ঘর দোষমুক্ত হয়েছে। অসুবিধের মধ্যে সূর্যের আলো মাথার পেছন থেকে সোজা স্ক্রিনে পড়ছে। প্রতিফলনে এক অক্ষরও পড়া যায় না। কাজেই ব্লাইন্ড পাটে পাটে বন্ধ, গ্রিন বিল্ডিং-এর অত গাছ, ফুল, পাতা, পাখি, সব মাটি।
এতকিছুর পর সেদিন খেয়াল করলাম দরজার বাইরের প্লেটে নামের বানানে বাড়তি অক্ষর। অর্থাৎ কি না নিউম্যারোলজির উপদ্রবও আছে। সম্ভবত প্রগতি বা প্রতিকারের আশায়।
বসে বসে ভাবলাম। বাইরে থেকে কিচ্ছুটি টের পাওয়ার জো নেই। একেবারে ঝকঝকে। নো ঘুনসি, নো তাবিজ, নো আংটি।
কিন্তু ভেতরটা?
সব সমান। সব এক। খোলসের পালিশটাই যা আলাদা আলাদা।
Ekdom. Ekdom.
ReplyDeleteদেখেশুনে কেমন একটা বিতৃষ্ণা ধরে যাচ্ছে।
DeleteJyotishi, I mean "BHALO" Jyotishi, onekta bhuter moton. sobai suneche je acche naki, kintu keu dekheni :D
ReplyDeleteBhalo hoyeche lekhata :)
হাহা, হায়েস্ট ফাইভ, অরিজিত।
Deleteকি ভয়ানক ব্যাপার কুন্তলা, এর চেয়ে তো তাগা তাবিজ পরাও ভালো | শুধু নিজের না, সবার চেয়ার টেবিল এর ওরিয়েন্টেশন পাল্টে গেল আর জানলা বন্ধ করতে হলো| খুব দুঃখ্যের ব্যাপার| দেবতারা যে অনেক বেশি রাক্ষস প্রকৃতির সে তো বহুদিন থেকেই বুঝতে পেরেছি| একদম একমত সব বিষয়ে এই লেখাটার| কাউকে দেখে কোনো রকম ধারণা আর না করাই ভালো
ReplyDeleteনা না, অমিতা, সবার বদল হয়নি। খালি একজনের নিজস্ব ঘরে। না হলে এত রসিকতা করে লিখতে হত না।
Deleteদারুণ, দারুণ, কুন্তলা, মোক্ষম জায়গায় ঘা মেরেছ। নিজের অনেক অভিজ্ঞতা মনের ভিতরে কিল্বিলিয়ে উঠল।
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, মালবিকা।
DeleteBaah khub bhalo bishoy aar bhalo lekha...
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ, সুস্মিতা।
Deleteবাপরে! একে বাস্তুতে রক্ষে নেই, নিউমেরোলজি দোসর? এর চেয়ে সত্যিই তাগা তাবিজ ভাল। অবশ্য ধারনের আংটি দেখলেই লোকজনকে জাজ করবেননা, অনেকে বাড়িতে শান্তি বজায় রাখার জন্যেও পরে। সেয়িং ফর এ ফ্রেন্ড।
ReplyDeleteতবে ওপর মহলের থেকে অফিস ঘোরানোর নির্দেশ এসেছে শুনে এই গল্পটা মনে পড়ল। তাও ভাল আপনাদের সারা অফিসের এরকম হয়নি। (https://yellowhammernews.com/read-one-sailors-incredible-response-whats-laziest-thing-youve-ever-done/)
হাহা, গল্পটা ভালো, সুগত। পড়ানোর জন্য থ্যাংক ইউ।
Deleteআমি না খুব অবাক হয়ে ভাবছি, দুনিয়াটা কি সত্যি দিন কে দিন আরো পিছিয়ে যাচ্ছে? ছোটোবেলায় একতা কাপুরের সিরিয়ালের এত নিন্দে করতাম। কদিন আগে কোনো পদের সিনেমা খুঁজে না পেয়ে বাংলা চ্যানেল ঘোরাচ্ছিলাম। একটা চ্যানেলে মা মঙ্গল চন্ডী, কিসব অভিশাপ, প্রতিকার হচ্ছিল, আরেক চ্যানেলে বেদের মেয়ে জোৎস্না সিরিয়ালে মাথায় সাপের মুকুট মহিলা শয়তানি হাসি হাসছিলেন। আরেক চ্যানেলে স্বামী পূর্ণিমার রাতে বাঘ হয়ে যায় বলে, বিয়ে না হওয়া বউ পাগলী বুড়ির কাছে নিদান শুনছিল। সবচেয়ে প্রোগ্রেসিভ দেখা গেল সেই সিরিয়াল, যেখানে বিভিন্ন চরিত্রের মুখ বদল, নকল মৃত্যু এবং মুখ বদলে, বা না বদলে পুনরাবির্ভাব এবং আরো অনেক অনেক লোমহর্ষক ঘটনার পরে দাপুটে উকিল হিরোইন মিথ্যে খুনের অভিযোগের উত্তরে দোষী দের নিজেই খুঁজে বার করছে।
ReplyDeleteএগুলো নিশ্চয় দেখতে ভালো লাগে, বৈজয়ন্তী। কারণ সকলেই জানে খারাপ, কিন্তু আমার ধারণা যারা জানে তারাও দেখে, না হলে আর টিভি কোম্পানি চলবে কেন।
DeleteBhalo topic.. ami nije jodio lokjon ke onek somoy e judge kori kusangskar mana niye.. tao besirbhag Kusangskar manusher moner durbalata er opor bhishon depend kore.. amar nijer e dekha.. tomar office e chair position paltano accepted howa ta sadharon bapar .. amader desher sceince institution e satellite charar age narkol fatano hoy ... :)
ReplyDeleteআসলে এগুলো অনেক শুরু থেকে শুরু হয়, ঊর্মি। আমরা যারা সারাজীবন স্কুলকলেজে সরস্বতী পুজো করে বড় হয়েছি, অফিসে গিয়ে নারকেল ফাটালে তাদের দোষ সত্যিই দেওয়া যায় না।
Deleteamio erokom SPAJS (Surreptitious Pathor-Angti Judgemental Syndrome) e bhugtaam, ekhono ektu bhugi hoyto. tobe ekhon ei bhabi je, jar ja bhalo lage, ba bhalo bojhe, koruk na. majhrattire bikot volume e damama to aar bajacche na re baba. ke jaane, hoyto kaj hoy, ami thorai oto bujhbo...! tachhara, amader aajker dharona/bigyan to kalker hashir khorak hotei pare.
ReplyDeleteaar, onno ekta dik: jiboner dori tar kichhuta ongsho-o jodi kono 'oporer ajana shakti'-r opor chhere deyoa jay, tahole moner shanti ta paoya ektu sohoj hoy.
হাহা, মাঝরাত্তিরে দামামা বাজালেই বা কী, রাজর্ষি, বছরে এক দু'দিন বই তো বাজাচ্ছে না।
Deleteami ajkal ar torko na kore sontorpone pash katiye jai
ReplyDeleteটাইমপাস করতে চাইলে তর্ক ঠিক আছে, না হলে কোনও মানে হয় না।
Delete