কে না ভালোবাসে শৈশব



মাসে একদিন মাস্টারমশাই একটা করে গান শেখাতেন। সত্যিকারের গান। বাদবাকি মাসের মতো বিজাতীয় ভাষায় চারলাইন পদ্য সহকারে হাঁ করে আ আ আ আ চিৎকার নয়। লোকে যাকে গান বলে চিনতে পারে এমন গান। ঠাকুমা সন্ধেবেলা মশা মারতে মারতে যে সব গান গেয়ে শোনাতে ফরমাস করতে পারেন। আত্মীয়স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশীর কাছে পেখম মেলার সময় যে গানগুলো গাওয়া যায়। অনেকসময় তাঁরাই আগেভাগে বলে দেন, আমরা বুঝব এমন গান গাস বাপু।

সে রকম গানের সাপ্লাই কম ছিল বলেই হয়তো শেখার উৎসাহও বেশি ছিল। যেদিন সেরকম গান শেখার সম্ভাবনা থাকত,, ক্লাসে যাওয়ার আগ্রহ উত্তুঙ্গ থাকত। গানের আয়তন বড় হলে আর কারিকুরি থাকলে একদিনে পুরো শেখা হত না। এ মাসে অর্ধেক, ও মাসে অর্ধেক।

প্রথমার্ধের গান শেখার দিনে মাস্টারমশাইয়ের মেজাজ ভালো থাকলে বলতেন, যাঃ এবার এইটুকু কাউকে শিখিয়ে আয়, পরেরটুকু আবার নেক্সট মাসে শিখে গিয়ে শেখাবি।

ক্লাসের বড় দাদাদিদিরা, যারা মাস্টারমশাইয়ের রসিকতায় শব্দ করে হাসার কনফিডেন্স অর্জন করেছে, হাসত। স্পষ্টতই, কটাক্ষটা কোনও চেনা গায়ক-শিক্ষকের প্রতি, যাঁর নিজে যথেষ্ট না শিখেই গান শেখাতে বেরোনর দুর্নাম আছে।

এইসব কটাক্ষ তখনই আসে যখন লোকে বিশ্বাস করে যে শেখাতে গেলে আগে শিখতে হবে। লিখতে হলে পড়তে হবে। বলার আগে শুনতে হবে। যে কোনও রকম কাজে দক্ষতা অর্জনের আগে তার চর্চায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিমগ্ন থাকতে হবে। কারা যেন আবার কোয়ানটিফাইও করেছে - কোনও বিষয়ে মাস্টারি অর্জন করতে গেলে নাকি তার পেছনে ন্যূনতম দশহাজার ঘণ্টা খরচ করা বাধ্যতামূলক। সাহিত্যসৃষ্টিতে তো বটেই। সকালে দাঁত মাজতে মাজতে মাথায় আসা বিবিধ মহার্ঘ ভাবনা কীবোর্ডে উগরে দিলাম, দিয়ে হাততালির আশায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় পেজ রিফ্রেশ করতে লাগলাম, তাহলে হবে না। হলেও উৎরোবে না।

আমি বুঝি না, দু’দিনের তো জীবন, এর মধ্যে দশহাজার ঘণ্টা যদি প্র্যাকটিসেই চলে যায় তো পারফর্ম করব কখন? তার থেকেও বড় সমস্যা হচ্ছে, আর যে প্র্যাকটিস করার দরকার নেই এইবার প্রকাশ্যে খেলা দেখানোর যোগ্যতা অর্জন করেছি, সেটাও তো বোঝার ফুলপ্রুফ কোনও রাস্তা আছে বলে মনে হয় না। তার থেকে শুরু থেকেই মাঠে নেমে পড়া বুদ্ধিমানের কাজ।

একটা ছোটগল্প লেখা হয়ে পড়ে ছিল অনেকদিন। প্রায় আট মাস। মহাকালের হিসেবে তুশ্চু, মানুষের জন্মের হিসেবেও তেমন কিছু না। কিন্তু লেখামাত্র ছাপা হওয়ার এই চট-পাবলিকেশনের যুগে? অনন্তকাল। গল্পটা কোথাও ছাপা হওয়ার আপাতত সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি না। কুছ পরোয়া নেহি, অবান্তর তো আছে।

গল্পটা শৈশবসংক্রান্ত, কিন্তু ফিলগুড নয়। জিয়া-নস্ট্যাল মার্কা হিয়া-ধুকপুক পার্টিতে এ জীবনে যে হইহই করে অংশগ্রহণ করতে পারলাম না তার কারণ এই গল্পটায় নিহিত আছে।

*****

কে না ভালোবাসে শৈশব

লাল রঙের পেটমোটা অ্যালবাম। প্লাস্টিকের পাতায় দুই দুই চার খোপ। খোপে খোপে আমাদের লালনীল ছোটবেলা।

ওই সময়টাই সবথেকে ভালো ছিল। চিন্তা নেই, ভাবনা নেই। স্কুলে যাচ্ছি, বাড়ি ফিরছি। খেলতে যাচ্ছি, পড়তে বসছি। বেদনা বলতে টুকটাক কানমলা আর যখনতখন পড়ে গিয়ে হাঁটু ছড়ার জ্বলুনি।

ছবিগুলো ঝাপসা। তখন আমাদের ক্যামেরায় অত মেগাপিক্সেল থাকত না। মেগাপিক্সেল শব্দটাই শুনিনি তখন। এখন যেমন ফোনের দিকে তাকাও আর ছবি তোল, অত সোজা কিছুই ছিল না আমাদের সময়। আমাদের ছিল বড়দের থেকে ঝোলাঝুলি করে আদায় করা সস্তা ক্যামেরা। বেশিরভাগ সময় তাও জুটত না। আমরা দাঁত বার করে হেসে পোজ দিতাম, বড়রা ছবি তুলে দিত।

এই ছবিটা যেমন। মৌয়ের বাবা তুলে দিয়েছিলেন ওর জন্মদিনের পার্টিতে। আমাদের বেশিরভাগের বাড়িতেই তখন জন্মদিনে পার্টির চল ছিল না। বড়জোর মায়ের হাতের পায়েস আর স্থানীয় কালীমন্দিরে দেওয়া পাঁচটাকার পুজোর প্রসাদ। মৌদের বাড়ি আমাদের বাড়ি থেকে অন্যরকম ছিল। ওদের নিজেদের গাড়ি ছিল, ওর বাবা ঘনঘন বিদেশে যেতেন। আর ছিল একটা খাড়া খাড়া কানওয়ালা ইয়া মোটা অ্যালসেশিয়ান, যেটা আমরা যাওয়ামাত্র ঘাড়ের ওপর এসে ফোঁস ফোঁস করে এসে নিঃশ্বাস ফেলত আর আমরা চোখ বুজে চিৎকার জুড়তাম। মৌ হাসত। আরে কিচ্ছু করবে না, টফি ইজ আ গুড গার্ল। বলে টফিকে ডেকে নিত। আমরা সোফায় বসে পা দুলিয়ে ওদের বাড়ির রাঁধুনির হাতে বানানো অমৃতের মতো মোহনভোগ খেতাম, ধপধপে প্লেট থেকে।

সেদিন মৌদের বসার ঘর বেলুন আর রংচঙে কাগজের শিকলি দিয়ে সাজানো হয়েছিল। মৌয়ের ছোটকা ঝকমকে কাগজে চুমকি বসিয়ে 'হ্যাপি বার্থডে মৌ!' লিখে টাঙিয়ে দিয়েছিল দেওয়াল জুড়ে। মৌ একটা ভীষণ সুন্দর গোলাপি জামা পরে ঝকঝকে মুখে ঘুরছিল। আমরাও সবাই যে যার সেরা জামা পরে গিয়েছিলাম, যাওয়ামাত্র আমাদের মাথায় ভীষণ মজার চোঙা টুপি পরিয়ে দিয়েছিলেন মৌয়ের মা। একটা গোল উঁচু কেক কিনে আনা হয়েছিল বাজার থেকে, তার গন্ধে আমাদের পেট চুঁইচুঁই করছিল।

ছবিতে সেই কেকের সামনে ছুরি হাতে দাঁড়িয়ে কেকে গোঁজা মোমবাতিতে মৌ গাল ফুলিয়ে ফুঁ দিচ্ছে, আমরা ওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছি।

সকলের মধ্যে একজনের মুন্ডুটা কেউ ব্লেড দিয়ে নিখুঁত গোল করে কেটে দিয়েছে! কে এমন ধ্বংসলীলা কে চালিয়েছে এমন সুন্দর ছবিটার ওপর? কার মুখে?

মনে নেই? ভুলে গেছিস?

আবছা একটা নাম, একটা মুখ, যেন মনে পড়েও পড়ে না। চালশে চোখের থেকে অ্যালবামখানা যথাযথ দূরত্বে নিয়ে ভালো করে পরীক্ষা করি মুণ্ডুহীন ধড়খানা।

সিল্ক আর সাটিনের ভিড়ে সুতি। সাদা ফ্রকের ওপর বেগুনি ফুলছাপ। রোগা কবজিতে বেগুনি চুড়ি। সব মনে পড়ে যায়। উড়ে যাওয়া মুণ্ডুর দুপাশে দু’খানা ঝুঁটিতে বেগুনি সুতির ফিতে বাঁধা ছিল নিশ্চয়।

সরস্বতী পুজোয়, বাড়ির জামা পরে আসার অনুমতিওয়ালা জন্মদিনে, ক্লাসমেটের জন্মদিনের নেমন্তন্নে, রাজদ্বার থেকে শ্মশানে একই সাজ। সেই বেগুনি ফুলছাপ সুতির ফ্রক, বেগুনি চুড়ি, সুতো সরে সরে জ্যালজেলে হয়ে যাওয়া বেগুনি ফিতে।

আর কোনও জামা নেই তোর?

উত্তর আসেনি কখনও। খালি হাসি।

কিন্তু মুখ কেটে দেওয়া হয়েছিল কেন?

আরে ছোটবেলার বদমাইশি। মৌকে গিফট দেওয়ার জন্য চাঁদা তোলা হয়েছিল মনে নেই? ওর কাছে চাইতেই বলেছিল, কাল বাড়ি থেকে নিয়ে আসব।

এসেছিল?

সেটাই তো। পরদিন এসে মিনমিন করে বলেছিল, আমি আলাদা গিফট দেব ভাই। হাতে এঁকে একটা গ্রিটিংস কার্ড দিয়েছিল বোধহয়। তখনই কে একটা বলেছিল, আমাদের সঙ্গে গিফট যদি নাই দেয়, তাহলে আমাদের সঙ্গে ছবিতেই বা থাকবে কেন? বলে...

কী মারাত্মক ন্যায়বিচার! যে রকম নিষ্পাপ চেহারা, সে রকম ছিলাম না মোটেই।

নিষ্পাপ? বদের বাসা ছিলাম একেকটা।

কয়েকটা ছবি বাতাসের অভাবে ঘেমে উঠে প্লাস্টিকে সেঁটে গেছে। ইস, এত দামি স্মৃতি এই ভাবে নষ্ট হচ্ছে? রাগ হয় নিজেদের ওপর। জীবনের সোনালি সময়টার প্রমাণ এমন অযত্নে নষ্ট করে ফেলার জন্য। তখনও তো জানি না এর পর কী আসতে চলেছে। অকূল পাথার। এই দিনগুলো কেঁদেও ফিরে পাব না। অন্তত ছবিগুলো থাক।

এই তো সেই ছবিটা! মনে আছে? রেললাইনের ওপারের হাইস্কুলে বিজ্ঞানমঞ্চের উদ্যোগে সায়েন্স একজিবিশন হয়েছিল। পিচবোর্ড, সুতো, মায়ের সেলাই বাক্সের বোতাম দিয়ে টেলিফোন বানিয়েছিলাম। কী একটা প্রাইজও পেয়েছিলাম না?

ওই নামেই। ফোর্থ প্রাইজ। আমরা টেলিফোন বানিয়ে নিজেদের সাক্ষাৎ আলভা এডিসন ভাবছিলাম, গিয়ে দেখি বাকি সব স্কুল থেকে আস্ত আস্ত জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বানিয়ে এনেছে।

হাহা।

কী গর্বিত মুখে ওই অ্যাঁকাব্যাঁকা ফোন ঘিরে দাঁড়িয়ে আছি দ্যাখ। মাথায় লিটারখানেক তেল মেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছি। কী রোগা সবাই। এই তো আমি, আর তুই, আর ওরা যারা এখন ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডে আছে। একজন কেটে গেছে খালি ফ্রেম থেকে।

কেটে যায়নি। কেটে দেওয়া হয়েছে। কাকে, বুঝেছিস নিশ্চয়?

কেন আবার কী করেছিল?

আরে খুব ঝুলোঝুলি করছিল টেলিফোন বানানোর টিমে নেওয়ার জন্য। আমাদের তখন টিম তৈরি হয়ে গেছে, বলছি জায়গা হবে না, তাও। বাধ্য হয়েই বলা হয়েছিল, টিমে তারাই থাকবে যাদের বাড়িতে টেলিফোন আছে। তখন বলে কি, আমাদের বাড়িতে আছে তো টেলিফোন।

ছিল নাকি?

পাগল? মাসের পর মাস বিল দিতে পারেনি বলে কারেন্টের লাইন পর্যন্ত কেটে দিয়েছিল ইলেকট্রিসিটি অফিসের লোকেরা এসে, ফোন থাকবে কী? কিন্তু এ সব তথ্য জানা গিয়েছিল একজিবিশনের পর। তখন মিথ্যে কথা বলার শাস্তি হিসেবে ছবি থেকে ওকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

ভয়ানক। পাতা উল্টোই। আহ, এই ছবিটা। আমার, আমাদের অনেকেরই শৈশবের প্রিয়তম ছবি।

ছবিটা খুব সুন্দর উঠেছিল সত্যি। অনেকসময় ছবি দেখে বোঝা যায় না ছবির মানুষগুলো ভালো আছে না মন্দ আছে। অনেক দুঃখে থাকা মানুষও মিষ্টি হেসে ছবি তুলতে পারে, কিংবা দিব্যি ফুর্তিতে থাকা লোকেরও পেঁচার মতো ছবি উঠতে পারে, কিন্তু এই ছবিটার ক্ষেত্রে সে রকম গোলমাল হয়নি। টেস্ট পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, জীবনে প্রথমবার বড়দের তত্ত্বাবধান ছাড়া বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ, উত্তেজনা, থ্রিল। সব যেমনকে তেমন ধরে রেখেছে।

গিয়েছিলাম মুকুটমণিপুর। কোনও বিশেষ কারণে যে জায়গাটা বাছা হয়েছিল তেমন নয়, ওই সময় ওই মুকুটমণিপুরের বাজার তেজি ছিল। একসময় যেমন ম্যাকলাক্সিগঞ্জের ছিল, একসময় মন্দারমণির, সেই সময় লোকে দুদিনের ছুটি পেলে মুকুটমণিপুর যেত। বাড়ি থেকে বেশি দূরে না, বেলাবেলি পৌঁছে যাওয়া যায়। আমরাও গিয়েছিলাম। বড়দের একটা ক্যামেরা ধার নিয়ে।

ড্যামের কিনারায় বাঁধা নৌকোয় পাশাপাশি বসে আছি, কারও লম্বা বিনুনিতে, কারও ঘাড়ছাঁটা বয়কাট চূলে পথ থেকে কুড়িয়ে আনা পলাশফুল। সবাই হাসছি, বাঁধনছাড়া হাসি। সেই দিনটার মতোই নির্মল আর নিষ্পাপ।

ও-ও গিয়েছিল। কী করে গিয়েছিল জানি না, ওর বাবামা মেয়ের স্কুলজীবনের শেষ আনন্দের জন্য হয়তো টাকাপয়সা জোগাড় করে দিয়েছিলেন। ও-ও হাসছিল ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে।

তারপরের ঘটনাটা ভুলতে পারিনি আমরা কেউ।  ছবিগুলো ডেভেলপ হয়ে আসার পর, যে য'টা ছবি নেবে সেই বুঝে টাকা এনেছিল। ভাগবাঁটোয়ারার সময় একটা ছবির একখানা কপি খুঁজে পাওয়া গেল না। হারায় যে নি পরিষ্কার। ছাত্রীদের নৈতিক চরিত্রের এতদূর অবনতি দেখে শিক্ষিকারা সার্চ পার্টি নিয়োগ করেছিলেন। সবার ব্যাগ বইখাতা হাঁটকে অবশেষে ছবি বেরিয়েছিল। ওর সস্তা, ভাঙা পেনসিলবাক্সের ভেতর, ঘুচিমুচি ভাঁজ করা। এটাই সেই কপিটা, ভাঁজগুলো এখনও হালকা বোঝা যাচ্ছে। ওর হাসিমুখের ওপর দিয়ে আমাদের পেন দিয়ে লিখে দেওয়া চোর শব্দটাও।

ও কোথায় রে এখন? জানিস?

নাঃ।

কেন? তোর পাড়াতেই থাকত না? তুই-ই তো এসে খবর দিয়েছিলি যে ওর বাড়িতে ফোন নেই।

বাহ, আর ও যে তোর বাবার কাছে অংক দেখাতে যেত? কোচিং ছেড়ে দিয়েছিল বাবা মারা যাওয়ার পর। তারপর তো বাড়ি বিক্রি করে চলেই গেল ওর মা আর ওর ভাইবোন দুটো।  মামাবাড়ি ছিল শ্যামনগরে না কোথায়। সেখানেই গিয়েছিল নিশ্চয়।

ছবিটা কেন চুরি করেছিল ও? চারপাশের দামি খাতা পেন পেনসিলবাক্স, ভালো ভালো টিফিন, কোনওদিন কিচ্ছু ছুঁয়ে দেখেনি; এই ঝাপসা ছবিটা কেন চুরি করেছিল?

ওরও যে একটা হাসিতে উজ্জ্বল ছোটবেলা ছিল, তার প্রমাণ রেখে দিতে? অনেক না পাওয়ার মধ্যে হঠাৎ পাওয়া একটা সব-পেয়েছির সকাল সবার থেকে লুকিয়ে নিজের কাছে জমিয়ে রাখতে?

এতদিন চোখে পড়েনি, ভাঁজের দাগগুলো আমাদের হাসিগুলোকে বেঁকিয়েচুরিয়ে দিয়েছে। ছবি থেকে আমাদের ভেংচি কাটছে আমাদের ছোটবেলা।

ছোটবেলা ভালো ছিল। আর আমরা?

অ্যালবামটা বন্ধ করে দিলাম। ধুস, যতসব নস্ট্যালজিয়া।

*****





Comments

  1. আপনার লেখার হাত সুন্দর।

    লেখাটা পড়ে মনটা কেমন খারাপ হয়ে গেল।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ, আরাফ। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগল।

      Delete
  2. Bhishon bhalo laglo lekha ta pore. Chapiye deoa samajik concept bapar ta besh golmele. Eto sundor kore misti kathay seta dekhiye deoar jonno hattali!

    Belated happy anniversary, ager lekha ta kom kore 10 bar porechhi ar bhebechhi comment korbo, kora hoyni. Bhalo theko, bhalobasay theko :)
    -Aparajita

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, অপরাজিতা। লেখাটা ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। আর শুভেচ্ছা পেয়ে তো ভালো লাগলই। থ্যাংক ইউ।

      Delete
  3. Khub mon kharap hoye gelo. :/

    ReplyDelete
    Replies
    1. সেটা ভালো না খারাপ?

      Delete
  4. Mon chhunye jaoa mon kharap kora boro bhalo golpo. Tabe prelude ti porteo besh legechhe.

    Ei COVID-19 er din e cyclone aachhre porai Banglai bhaloi londobhondo abastha hoyechhe. Ashakori appnar poribarer lokera sokole ei kothin somoye sustho aachhen.

    ReplyDelete
    Replies
    1. থ্যাংক ইউ, সুস্মিতা। আমাদের রান্নাঘর ভেসে গিয়েছিল। ভাবুন। ভাগ্যিস কালকেই বাবা বাড়ি পৌঁছেছে (গত দু'মাস দিল্লিতে আমার বাড়িতে আটকে ছিল ল্যান্ডোর থেকে ফেরার পথে), তাই সারারাত জেগে বালতি করে জল বাইরে ফেলেছে, না হলে কী যে হত... তবে দ্রুত জল নেমে গেছে, এই বাঁচোয়া। বাবা বলছে, বাবার জীবনে এমন ঝড় দেখেনি।

      Delete
  5. খুব সুন্দর লেখাটা, তবে বড় মন কেমন করা। তবে ছোটবেলার ওই "পয়সা দেয়নি তাই ছবি থেকে মুখ কেটে দেব" গোছের সোজাসাপ্টা মনোভাবের থেকে বড়বেলার হাসি-হাসি মুখে পিঠে ছুরি মারার মনোভাবটা বেটার কিনা সেটা নিয়ে তর্ক চলতে পারে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওই ছোটরাই তো বড় হয়, সুগত, এর থেকে বেশি আর কীই বা আশা করা যেতে পারে।

      Delete
  6. "এইসব কটাক্ষ তখনই আসে যখন লোকে বিশ্বাস করে যে শেখাতে গেলে আগে শিখতে হবে। লিখতে হলে পড়তে হবে। বলার আগে শুনতে হবে। যে কোনও রকম কাজে দক্ষতা অর্জনের আগে তার চর্চায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিমগ্ন থাকতে হবে। " বাহ ।

    ReplyDelete
    Replies
    1. হাহা, জ্ঞানপাপী যাকে বলে আরকি, অন্বেষা।

      Delete
  7. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  8. খুব মন খারাপ হয়ে গেলো। লেখাটা যে একদম ঠিক জায়গায় গিয়ে ধাক্কা দিয়েছে... তাই লেখা যে কি ভালো হয়েছে তা আর আলাদা করে বললাম না।

    সাইক্লোনের পর সবাই ভালো আছেন উপরে পড়লাম। খুবই দুর্যোগ গেলো। - ইচ্ছাডানা

    ReplyDelete
    Replies
    1. লেখার শুরুতে গান শেখার যে বর্ণনা আছে সেটা আমার ছোটবেলার হুবুহু বর্ণনা। :-)

      Delete
    2. থ্যাংক ইউ, ইচ্ছাডানা। আমাদের ছোট, বড়, বুড়ো, সব বেলাই আসলে ভীষণ একে অপরের মতো।

      Delete
  9. যদিও এই post টার সঙ্গে পুরোপুরি irrelevant, কিন্তু একটা অভিযোগ/অনুযোগ করছি। আপনার "বানানভীতির প্রতি" post টার link কাজ করছে না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. Sorry!

      Only the link in নিজ ঢাক অগত্যা নিজেই is not working, the independent link is fine.

      Most probably it is because of `in` vs `com` in the link:

      https://abantor-prolaap.blogspot.com/2012/07/blog-post_3652.html (correct)
      https://abantor-prolaap.blogspot.in/2012/07/blog-post_3652.html (linked)

      Delete
    2. ওহ, আমার তো কাজ করল এক্ষুনি।

      Delete
    3. তবে আপনার পরামর্শ মনে থাকবে, যদি কখনও অসুবিধে হয় নিশ্চয় প্রয়োগ করে দেখব। থ্যাংক ইউ।

      Delete

Post a Comment