পছন্দসই পাঁচ
শমীক আর প্রদীপ্তর কমেন্ট পড়ে মনে পড়ল যে একসময় অবান্তরে বেড়াতে যাওয়ার পোস্ট লেখা হত বটে। আরও আশ্চর্যের কথা, একসময় বেড়াতেও যেতাম। অবান্তরজাতীয় ব্লগিং-এর ট্রেন্ড উঠে গেছে। ওঠাই উচিত। যতসব পার্সোন্যাল প্যাঁচাল। কিন্তু প্যাঁচালের একটা উপযোগিতা আছে। পাবলিক ডায়রি হলেও ডায়রি তো। ডায়রির মতোই সময় ধরে রাখে। অর্চিষ্মান দাবি করেছে ও মাঝেমাঝেই আমাদের বেড়াতে যাওয়ার পোস্টগুলো পড়ে। ছবি দেখে। কী করেছিলাম, কী খেয়েছিলাম, কেমন ফুর্তি হচ্ছিল। উদয়পুরের অটোওয়ালাকর্তৃক ঠকা প্রতিরোধের ব্যর্থ চেষ্টা করছিলাম, পাঞ্জিম টু পালোলেম বাসের জানালা থেকে গ্রামীণ গোয়ার গোধূলির মায়ায় চোখ ভাসিয়ে কান ও মন খাড়া করে সহযাত্রী বাঙালি দম্পতির ঝগড়ার প্রতিটি অক্ষর গিলছিলাম, পিচোলা লেকে ভাসছিলাম, চন্দ্রশীলা চড়তে জিভ বার করছিলাম, স্বর্ণমন্দিরের জলের ধারে হাঁটুতে চিবুক রাখছিলাম। শেষ বোধহয় গিয়েছিলাম ওর্ছা। ছবিগুলো দেখছিলাম। জাহাঙ্গির মহল আর বেতোয়ার স্রোতের থেকে নিজেদের ছবি দেখতে উৎসাহ বেশি ছিল। ছবির মেয়েটা নির্ঘাত আমিই, কিন্তু আবার আমিও কি? ওই মুহূর্তের আমি হয়তো জলের স্রোতের মতো বয়ে গেছে চিরদিনের মতো। অর্চিষ্মানকে দেখলাম। সে জ...