আনন্দের দাম
ফ্রি জিনিসপত্র পছন্দ করি। ফ্রি পেন, ফ্রি ফোল্ডার, ফ্রি উপদেশ। অনেকের শেষের আইটেমটায় অসুবিধে হয়। আমার হয় না। প্রথমত, ফ্রি-তে উপদেশ যিনি দিচ্ছেন গোটা পরিশ্রমটা তাঁরই। আমার কাজ খালি মুখ বুজে মাথা নাড়া। তাছাড়া দেওয়ার সময় দাতার সর্বাঙ্গে ফোটা ঐশ্বরিক দীপ্তির আঁচ পোয়ানোও আরামদায়ক। ফ্রি খাবার বরং ততটাও ভালোবাসি না। বিশেষ করে প্রসাদজাতীয় খাবার। আমাদের প্রতিবেশীরা অনেকেই ভক্তিমান এবং আমাদের গুডবুকে রাখেন। তাঁদের বাড়িতে মাসে অন্তত দু’বার ঘটা করে পুজো হয় এবং আমার বাড়িতে প্রসাদের থালা আসে। সে থালা প্রথমদিন এক হাতে ধরতে গিয়ে ফেলে দিচ্ছিলাম আরেকটু হলে। আপেল, বেদানা, কলা, মুসাম্বি, কালাকাঁদ, গুজিয়া, নাড়ু, লুচিসুজি, পায়েস। অনেকদিন ভেবেছি দু’পক্ষেরই সুবিধের জন্য একটা নিয়মাবলী বানাই। কাটা ফল বাদ দিলেই বেস্ট, যদি দিতেই হয় আলাদা প্যাক করবেন। সন্দেশ আলাদা, লুচি আলাদা, সুজি আলাদা। লুচির খাঁজ চেঁছে বার করা গলা কলা তো খাবই না, লুচিটাও নির্দ্বিধায় ফেলে দেব। ভোগের লাইনেও এই কারণেই দাঁড়াই না। ঠেকাঠেকি হওয়ার ভয়ে পাতে ডালের সঙ্গে পটলভাজা পর্যন্ত একসঙ্গে নিই না। ডাল খাওয়া শেষ করে পটলভাজা দিয়ে শুধু শুধু...