কাজের জিনিস
চেয়ারে বসে ল্যাপটপের ডালা খোলামাত্র ঠন্ন্ন্। চার সেকেন্ড আগে ল্যাপটপের পেছন ঘেঁষে ভর্তি চায়ের কাপটা রেখেছিলাম বটে। মাঝের ঘরের খাটে কিছু রাখলে - প্লাস্টিক, মাধ্যমিকের মার্কশিট, মুদির দোকানের ফর্দ - ফ্যান চলুক না চলুক, হাওয়া দিক না দিক, উড়ে গিয়ে খাট ও দেওয়ালের মধ্যবর্তী আধ মিলিমিটার ফোঁকর গলে পড়ে যেত। হাত ঢুকিয়ে উদ্ধার করা অসম্ভব, গুঁড়ি মেরে খাটের তলায় ঢুকতে হত। ট্রাংক। সুটকেস। অকেজো প্রেশার কুকার। জাস্ট সিটি বদলালেই চালু হয়ে যাবে বলে গত দশ বছর ধরে পুরোনো শাড়ি পেঁচিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। একদা সবুজ ঢাকনা পরানো তারছেঁড়া তানপুরা। প্রেশার কুকারের সেম যুক্তিতে শুয়ে আছে। একটাই পজিটিভ, প্রত্যেকবার অপ্রত্যাশিত একটা কিছু প্রাপ্তি। মাধ্যমিকের মার্কশিটের সঙ্গে ফাউ চুলের ক্লিপ। হারিয়েছে যে সেটাই টের পাইনি। প্রেসক্রিপশনের সঙ্গে একপিস সোনার দুল। নিজের পয়সায় কিনে মা নিজেই হারিয়েছিলেন, আরও একটা দোষ বেরিয়ে পড়ার ভয়ে হায়হায়টুকু পর্যন্ত প্রাণ খুলে করতে পারেননি। হৃতবস্তু, ফাউ এবং মাথায় ঝুলসহ বেরিয়ে এসে মা বলতেন, একটা জিনিস খেয়াল করেছিস সোনা? গোটা ঘটনাটার দ্বিতীয় এবং শেষ পজিটিভ ব্যাপারটা ছিল ভারতে...