Posts

Showing posts from July, 2024

আর্য নিবাসে আটচল্লিশ ঘণ্টা

Image
কুন্তলা, মিড-জুলাই থেকে লুল্লু ভুত, বলেছিল অর্চিষ্মান। ক্রমাগত ঘোরাঘুরি। পয়েন্ট এ থেকে বি হয়ে সি। ফিরেই ডি, ই, সম্ভবতঃ এফ-ও। মাঝখানে নো বাড়ি-ছোঁওয়া। লুল্লু ভুত আমাদের সেই অবস্থার কোড ওয়ার্ড, যেখানে কর্তৃপক্ষ আমাদের পিষে তেল বার করার ফন্দি এঁটেছেন। লুল্লু ভুত হওয়ার আগে ম্যাক্সিমাম চিল করে নিতে হবে, কুন্তলা। চেনারা বলবে তোমাদের চিল তো অলরেডি ওভারফ্লোয়িং। সেদিন গুড়গাঁওয়ায় এক বন্ধুর বাড়ি গেলাম। দরজা খোলামাত্র একটি গোল্ডেন রিট্রিভার এসে আমার দুই কাঁধে পা রেখে মুখের ওপর হাঁপাতে লাগল আর একটি তিন, একটি দেড়ের দুই শিশু গলা সপ্তমে তুলে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগল। আর তাঁদের পঁচিশশো স্কোয়্যার ফিটের ঝিংচ্যাক ফ্ল্যাট? ঠুকে ঠুকে বাবাইয়াগার নোড়া দু’খান হয়ে যাবে; এক কোণা থেকে এক বিন্দু ধুলো বেরোবে না। কিন্তু যার যেটা বেঞ্চমার্ক। ও সব সংসারের লোকজনের কাছে দশ মিনিট স্থির হয়ে বসে থাকাই চিল, আমাদের কাছে দরজায় ছিটকিনি তুলে ফোন সাইলেন্টে রেখে হইচইতে নতুন কিছু রিলিজ করেনি বলে একেনবাবুর টুংকুলুং রহস্য সাড়ে সতেরোতমবার দেখতে হওয়াও স্ট্রেস। তবু মিলিয়ে নিলাম। অর্চিষ্মান ম্যাক্সিমাম চিল বলতে কী মিন করছে। রাদ

দুঃখের বদলে

দুঃখের বদলে প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত দুঃখ আরো বড় হলে তাকে নিয়ে ঘর করা যায়। কিন্তু এইসব ছোট ছোট যন্ত্রণার ছুঁচ শুধুই বিরক্ত করে, তার বেশি নয়, আমাকে কিছুই দেয় না, আমার শুধুই ক্ষতি করে –– পাঁচ-সাতদিন আর মানুষ, পৃথিবী নিয়ে ভাবতে পারি না, বাগান করতে গেলে, হাত থেকে খুরপি খসে যায়। দুঃখ, আরো বড় হও, আমাকে প্লাবিত করো, আমার সর্বস্ব ঢেকে দাও –– আমি ঠিক তোমার ভেতর থেকে বৃষ্টির আকাশ খুঁজে নেব, মাঝরাত্রে জেগে উঠে, লেখার টেবিলে ঝুঁকে পড়ে আমি যে তখনো তৈরি, সেই কথা তোমাকে জানাব। দুঃখের বদলে শুধু ছোট ছোট যন্ত্রণার ছুঁচ শুধুই বিরক্ত করে, ক্লান্ত করে, তার বেশি নয় ।

শেষার্ধ

Image
ড্রাইভারদাদা জিজ্ঞাসা করলেন হাওড়া নতুন প্ল্যাটফর্ম না পুরোনো? বললাম পুরোনো। অর্চিষ্মান বলল শিওর? কী বলব। গাড়ি থেকে নেমে টিকিট কাউন্টার। আমার সব পাঁচশো। অর্চিষ্মান পকেট থেকে একশোর নোট বার করে দিল। দিদি বললেন দশ টাকা দিন। অর্চিষ্মান বলল দশ দশ কুড়ি? আমি বললাম পাঁচ পাঁচ দশ। বড় বড় বোর্ডে ট্রেনের নাম জ্বলছে। পাঁচে বর্ধমান দিয়েছে। কর্ড। অর্চিষ্মান বলছে কর্ড যাবে না রিষড়ায়? কোনদিন জানতে চাইবে সূর্য পশ্চিমদিকে উঠবে না? একে বর্ধমান মেন ঢুকছে। গ্যালপিং। শিওর রিষড়া ধরবে না। অর্চিষ্মান মুচকি হাসছে। রিষড়া তেমন জরুরি স্টেশন নয় বুঝি? পাঁচ মিনিট কাটতে না কাটতেই অধৈর্য। এতগুলো ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে কোনওটা রিষড়া যাবে না? হতে পারে? তুমি গোলমাল করছ নির্ঘাত। আমাকেই দেখতে হবে। বললাম মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া না ক্যানাডায় একবার প্রতিযোগীদের চোখ বেঁধে, ডমিন্যান্ট হাত পিঠে সেলোটেপ দিয়ে সেঁটে রান্না করতে দিয়েছিল মনে আছে? তুমি যদি আমার চশমা খুলে নিয়ে, দু’কানে তুলো গুঁজে, দু হাত পিছমোড়া করে . . . অর্চিষ্মান বলল বুঝেছি কুন্তলা, নাও কী বলছে শোনো। মহিলাকণ্ঠে দৈববাণী হল, তারকেশ্বর ঢুকছে তিনে। ইয়েস। চলে এস। অর্চিষ্ম