আর্য নিবাসে আটচল্লিশ ঘণ্টা
কুন্তলা, মিড-জুলাই থেকে লুল্লু ভুত, বলেছিল অর্চিষ্মান। ক্রমাগত ঘোরাঘুরি। পয়েন্ট এ থেকে বি হয়ে সি। ফিরেই ডি, ই, সম্ভবতঃ এফ-ও। মাঝখানে নো বাড়ি-ছোঁওয়া। লুল্লু ভুত আমাদের সেই অবস্থার কোড ওয়ার্ড, যেখানে কর্তৃপক্ষ আমাদের পিষে তেল বার করার ফন্দি এঁটেছেন। লুল্লু ভুত হওয়ার আগে ম্যাক্সিমাম চিল করে নিতে হবে, কুন্তলা। চেনারা বলবে তোমাদের চিল তো অলরেডি ওভারফ্লোয়িং। সেদিন গুড়গাঁওয়ায় এক বন্ধুর বাড়ি গেলাম। দরজা খোলামাত্র একটি গোল্ডেন রিট্রিভার এসে আমার দুই কাঁধে পা রেখে মুখের ওপর হাঁপাতে লাগল আর একটি তিন, একটি দেড়ের দুই শিশু গলা সপ্তমে তুলে পাক খেয়ে ঘুরতে লাগল। আর তাঁদের পঁচিশশো স্কোয়্যার ফিটের ঝিংচ্যাক ফ্ল্যাট? ঠুকে ঠুকে বাবাইয়াগার নোড়া দু’খান হয়ে যাবে; এক কোণা থেকে এক বিন্দু ধুলো বেরোবে না। কিন্তু যার যেটা বেঞ্চমার্ক। ও সব সংসারের লোকজনের কাছে দশ মিনিট স্থির হয়ে বসে থাকাই চিল, আমাদের কাছে দরজায় ছিটকিনি তুলে ফোন সাইলেন্টে রেখে হইচইতে নতুন কিছু রিলিজ করেনি বলে একেনবাবুর টুংকুলুং রহস্য সাড়ে সতেরোতমবার দেখতে হওয়াও স্ট্রেস। তবু মিলিয়ে নিলাম। অর্চিষ্মান ম্যাক্সিমাম চিল বলতে কী মিন করছে। রাদ...