বান্ধবগড় ২ঃ জঙ্গল জঙ্গল পতা চলা হ্যায়
এমন কোথাও থাকতে পারবে যেখানে বাজার বলতে বড় রাস্তার এদিকে একটা গন্নে কা জুসের ঠেলা, ওদিকে ফালুদার, হাবিব খানের চিকেন এবং (অ্যান্ড নয়) মাটন সেন্টার আর বান্ধবগড় রয়্যাল স্টেশনারি স্টোরস? রয়্যাল ইজ ওপেন টু ইন্টারপ্রিটেশন। চারটে দোকানই ছ’টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। পুলিস শুনেছি এমন কোনও প্রশ্ন করে না যার উত্তর পুলিসের অলরেডি জানা নেই। যদি পুলিস আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কাল রাত দশটা চার থেকে দশটা সাতের মধ্যে কোথায় ছিলেন, তাহলে শিওর হতে পারেন যে নামধাম কন্ট্যাক্ট নম্বর এমব্রয়ডারি করা যে রুমালটা সকাল থেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না, সেটা ডেডবডির পাশে ড্যাবড্যাব করে পড়ে ছিল। সিসিটিভি খারাপ ছিল তো কী হয়েছে, পাশের বাড়ির ফুড ব্লগার ভন্টু মাকে ঘামিয়ে ঠাকুরবাড়ির টেংরি রাঁধিয়ে, সে টেংরিতে কামড় বসানোর সময় ক্যামেরার কোণায় আপনাকে স্পষ্ট দেখা গেছে। ভিকটিম দুই হাত তুলে পড়ে যাওয়ার ভঙ্গি করছে আর আপনি ছোরা নিয়ে বাঘের মতো লাফিয়ে পড়ছেন। ভিকটিম ফ্রেমের বাইরে চলে গেছে কিন্তু আপনি আছেন। আপনার ছোরাও। নামছে আর উঠছে। আবার নামছে। নিজের ফিংগার প্রিন্টটিন্ট শুদ্ধু ছোরা (বেরোনোর সময় তাড়াহুড়োয় গ্লাভস খুঁজে পাননি সে দায় পুলিসের না...