সামবডি'জ আউট
আমার আর অর্চিষ্মানের একটা ঐকমত্যের জায়গা হচ্ছে মানুষ লাফেবলি, পিটিফুলি ট্রান্সপারেন্ট। একটা লোকের সঙ্গে পনেরো মিনিট কথা বললে তার পনেরোটা ইনসিকিউরিটি ধরে ফেলা সম্ভব। আমরা ভাবছি চমৎকার ঢাকাঢুকি দিয়ে রেখেছি নিজেকে, আসলে উদোম ঘুরছি। তেমনি দুটো লোককে - যদি না তারা একেবারে অচেনা হয়, যদি দূরতম সম্পর্কের সুতো দিয়েও একে অপরের সঙ্গে গাঁথা থাকে - নিজেদের মধ্যে ইন্টারঅ্যাকট করতে বা পাশাপাশি চুপ করে বসে থাকতে দেখলেও প্রায় পুরো গল্পটা পড়ে ফেলা সম্ভব। আড়চোখে তাকাতে দেখলে তো হয়েই গেল। সবথেকে সহজপাঠ্য স্বামীস্ত্রীর সম্পর্ক। কারণ এই একটা সম্পর্কে নাতিশীতোষ্ণ বলে কিছু হয় না। হয় তুন্দ্রা, নয় থর। আঁচ গায়ে লাগবেই। অর্চিষ্মান বলবে, ভ্যাট। সব স্বামীস্ত্রীর মধ্যে অত আঁচটাচ থাকে না। প্লেন অভ্যেস। অ্যাপাথি? অনাগ্রহ? উদাসীনতা? রাইট। সেটা ধরা তো আরও সহজ। উদাসীনতা, প্রেম ও ঘৃণা দুইয়ের থেকেই তীব্র কাজেই প্রকটতর। * আমরা একটা বাংলা ভ্লগিং চ্যানেল দেখি মাঝে মাঝে। এই সব চ্যানেলে যা দেখায় - চিকেনমটন খাওয়া, শপিং মলে গিয়ে মশলার কৌটো ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পছন্দ করা আর জরিদার বেসবল ক্যাপ উল্টো করে পরে ভি দেখিয়ে ডাকফেস। একটা পোষা পাগ...