Posts

Showing posts from November, 2013

সাপ্তাহিকী

Image
শিল্পীঃ Toni Demuro ক্রিমিন্যালস্‌। আর্টবোদ্ধা হিসেবে নাম কিনতে চান? এই নিন চিট-শিট। অফ কোর্স, টেকনোলজি ইস কিলিং ইয়োর মেমোরি। পাশবালিশ আমার ভালো লাগে না, তবে এই রকম দেখতে পাশবালিশ হলে ভেবে দেখতে পারি। এর মধ্যে কটা ভুল ধারণা আপনার ছিল? হগওয়ার্টস্‌ স্কুল কোথায় বলতে পারেন? মিডল আর্থ? না পারলে এই ম্যাপটা দেখে নিন। লোকে কতরকম করে পয়সা রোজগার করে। এই ওয়েবসাইটে রেজিস্টার করলে এরা আপনারা রোজ একটু একটু করে গল্পের বই পড়তে পাঠাবে। যাতে বেশি সময় নষ্ট না হয়, আবার সাহিত্যচর্চাও ঘটে।  আইসল্যান্ডে এখনও ডাইনোসর পাওয়া যায়, জানতেন না? আপনি কি এখনও আনস্মার্ট অ্যালার্ম ক্লক ব্যবহার করেন নাকি? ছো ছো। আইফোন আছে কী করতে? বালিশের তলায় রেখে ঘুমোতে যাবেন, বুদ্ধিমান আইফোন আপনার এপাশওপাশ করার ফ্রিকোয়েনসি ইত্যাদি দেখে বুঝে ফেলবে যে আপনার ঘুম থেকে ওঠার সময় হয়েছে না হয়নি।       ব্যালে ভালো লাগে? নিউ ইয়র্ক সিটি ব্যালে স্কুল নিয়ে এই ডকুমেন্টারিটা দেখতে পারেন। একটু লম্বা, কিন্তু উইকএন্ড তো, একটু সময় না হয় খরচ হলই। হেনরির কেরামতি। এই সপ্তাহ...

Canal St. Martin

Image
২০০১ সালের ব্লকবাস্টার সিনেমার নায়িকা আমেলি-র কী কী করতে ভালো লাগত মনে আছে? সব মনে না থাকলেও হবে, শুধু সেন্ট মার্টিন ক্যানালের জলে পাথর ছোঁড়ার খেলা খেলতে যে ভালো লাগত সেইটা মনে থাকলেই হব। কারণ আজ আমরা সেই সেন্ট মার্টিন ক্যানালের ছবি দেখব। গত না তার আগের রবিবার ভুলে গেছি, সেন্ট মার্টিন ক্যানাল দেখতে বেরিয়েছিলাম। দেখা মানে ক্যানালের তীর ধরে হাঁটা। ক্যানালের গা বেয়ে বয়ে চলা বাঁদিকের রাস্তাটার নাম Quai de Valmy আর ডানদিকের রাস্তাটার নাম Quai de Jemmapes । দেখেশুনে আমার Quai de Valmy -কেই বেশি পছন্দ হল আর আমি ওইটা ধরেই হাঁটতে শুরু করলাম। সেন্ট মার্টিন ক্যানাল আজকের ব্যাপার নয়। ১৮০২ সালে খোদ নেপোলিয়ন এই খাল খননের আদেশ দিয়েছিলেন। পারির জনসংখ্যা তখন বাড়তে শুরু করেছে। তাদের চাহিদা মেটানোর জন্য, আর হাইজিনঘটিত কারণেও শহরের ভেতর একটা টাটকা জলের উৎসের দরকার ছিল।      Quai de Valmy । রবিবার এই রাস্তায় খালি পথচারী আর সাইকেল-চড়িয়ে ছাড়া আর কারও ঢোকা নিষেধ। যাতে লোকে শান্তি করে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করতে পারে। এই-বুঝি-গাড়ি-চাপা-পড়ে-মরলাম ইত্যাদি অকার...

Thanksgiving

১. আমি থ্যাংকফুল যে আমি অ্যামেরিকান নই বা অ্যামেরিকায় থাকি না বা আমার কোনও অ্যামেরিকান বন্ধু নেই। থাকলে আজকের দিনে বছরের মোস্ট ওয়ান্ডারফুল ডিনারের নামে আলুনি টার্কি, বিনের মশলাহীন তরকারি, দুধে গোলা আলুসেদ্ধর লেই আর কুমড়োর পিঠে খেতে হতে পারত । ২. আমি থ্যাংকফুল যে আমার ঠাকুমা আমার নাম কুন্তলা রেখেছিলেন। মৌমিতা বা সুদেষ্ণা রাখেননি। মৌমিতা বা সুদেষ্ণাদের বিরুদ্ধে আমার কিছুই বলার নেই, আমি যে ক’কোটি মৌমিতা এবং সুদেষ্ণাকে চিনি তারা প্রত্যেকেই ভীষণ ভালো, ভীষণ বুদ্ধিমান আর ভীষণ ভালো দেখতে। কিন্তু তাদের মধ্যে সবথেকে বড় মিল হচ্ছে যে তাদের কেউই নাম ধরে ডাকে না। ডাকা সম্ভবও নয়। আমাদের ছত্রিশটি মেয়েওয়ালা পুঁচকে সেকশনেই মৌমিতা বলে হাঁক পাড়লে চারজন সাড়া দিত, সুদেষ্ণা বলে হাঁকলে দু’জন। কাজেই হাঁকতে হলে সবাই হাঁকত, “অ্যাই লম্বু, অ্যাই চাটুজ্জে, অ্যাই ব্যাটাচ্ছেলে গাঙ্গুরাম”। এই গাঙ্গুরামের সঙ্গে মণ্ডামিঠাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই বলাই বাহুল্য, এই গাঙ্গুরাম হচ্ছে গিয়ে গাঙ্গুলির অপভ্রংশ। আমাদের ক্লাসে একজন (মৌমিতা) ব্যানার্জিও ছিল। কাজেই আমিও যদি মৌমিতা হতাম তাহলে নেহাত বাধ্য হয়েই লোককে আমাকে “হাই-পা...

আপনার ব্রেনঃ ডানপন্থী না বামপন্থী?

Image
উৎস গুগল ইমেজেস একবার দেখলে সে মুখ আর ভোলেন না? মনের কথা পড়তে পারেন? কেম্ব্রিজ-ব্লু আর অক্সফোর্ড-ব্লু রঙের ফারাক খালি চোখে ধরতে পারেন? কবিতা লিখতে পারেন? কবিতা বুঝতে পারেন? সব প্রশ্নের উত্তর যদি “হ্যাঁ” কিংবা “অফ কোর্স” হয়, তাহলে বলতে হবে আপনার “রাইট ব্রেন” দারুণ শক্তিশালী। আর যদি আপনি টপাটপ ভাষা শিখে নিতে পারেন, ফ্রাইডে নাইটের তর্কে বাকি সবার কান কেটে নিজের পকেটে পুরতে পারেন, মাসকাবারি বাজার করতে গিয়ে দোকানির থেকে তাড়াতাড়ি মুখে মুখে যোগ করে টোটাল দাম বার করে ফেলতে পারেন (তাও আবার উল্টোদিক থেকে দোকানির বিতিকিচ্ছিরি হাতের লেখায় লেখা ফর্দ পড়ে) তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার “লেফট্‌ ব্রেন” ধুন্ধুমার। আপনার কোনদিকের ব্রেন ডমিন্যান্ট সেটা জানতে হলে নিচের  খেলাটা খেলুন। মোটে তিরিশ সেকেন্ড লাগবে খেলতে, কাজেই সময়নষ্টের দুশ্চিন্তা করবেন না। আর বলাই বাহুল্য, খেলার রেজাল্ট আমাকে এবং অবান্তরের অন্যান্য পাঠকদের জানাতে ভুলবেন না। এদের রেজাল্ট বলছে, আমি দু’দিকের ব্রেন একেবারে নিক্তি মেপে একেবারে ফিফটি-ফিফটি ব্যবহার করি। অর্থাৎ আমার লেফট্‌ এবং রাইট, কেউই কাউকে জমি ছাড়তে রাজি নয়। ...

রেসলিউশন্‌স্‌ ২০১৪

আমার ২০১৩-র রেসলিউশনের রেজাল্ট দেখে বান্টি বলল, “কিচ্ছু হয়নি।” আমি চোখেমুখে আহত ভাব ফুটিয়ে বললাম, “কানাকে কানা, খোঁড়াকে খোঁড়া বলতে নেই, শেখায়নি তোদের স্কুলে?” “না বললেই কি কানা কানা থাকবে না, নাকি খোঁড়া হঠাৎ টগবগিয়ে ছুটতে শুরু করবে? তাছাড়া কানাখোঁড়া শব্দদুটোয় নেগেটিভ কনোটেশন জুড়ছ তুমি, আমি না। যাই হোক, আমি তোমার পারফরমেন্‌স্‌ নিয়ে কিছু বলিনি, আমি বলেছি যে তোমার রেসলিউশন সেট করাতেই সিরিয়াস গোলমাল রয়ে গেছে।” “কী রকম?” “তোমার রেসলিউশন সব প্রোসেস-ভিত্তিক, কাজেই তাদের ইভ্যালুয়েট করা অলমোস্ট ইমপসিব্‌ল্‌। ‘আমি কাল থেকে আর ফাঁকি দেব না’ বলা, ‘কাল সকাল থেকে আমি জীবে প্রেম প্র্যাকটিস করব’ বলার মতোই ভেগ। তার বদলে যদি তুমি বলতে এ বছরে আমি তিনটে পাবলিকেশন নামাব বা চারটে বাঁদরছানা অ্যাডপ্ট করব তাহলে প্রতিজ্ঞাটা আউটকাম-ভিত্তিক হত, এবং একই সঙ্গে অনেক জোরালোও হত।” বান্টির কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে আমি লোকটা একেবারেই আউটকাম-ভিত্তিক নই। আদ্যোপান্ত প্রোসেস-ভিত্তিক। ‘কী হল’-র থেকেও ‘কীভাবে হল’---সেই প্রশ্নের উত্তর জানতেই আমার যত কৌতূহল। তিনটে পেপার নামানো খুবই ভালো কথা, কি...

রেজাল্ট

Image
আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে, ২০১২-র নভেম্বর মাস নাগাদ আমি ২০১৪ সালের জন্য রেসলিউশনের লিস্ট বানাতে শুরু করেছিলাম। ভেবেছিলাম, সবার সামনে নাককানমুলে প্রতিজ্ঞা করলে প্রতিজ্ঞাপালনে সুবিধে হবে। অনেকটা ফেসবুকে স্ট্যাটাস মেসেজে “কমিটেড” ঘোষণা করার মতো। ঘোষণা করা হয়ে গেছে, ঘোষণার নিচে হাজারখানেক ‘লাইক’-ও পড়ে গেছে---তখন আবার ‘কমিটেড’ কেটে নামের পাশে ‘সিংগল’ লেখে এমন মাথা বেশি লোকের ঘাড়ে নেই। তখন যাই ঘটুক না কেন, “প্রেম যার সঙ্গেই করি না কেন কম্প্রোমাইজ তো সেই সবার সঙ্গেই করতে হবে” নিজেকে এইসব ভুজুংভাজুং দিয়ে প্রেম টিকিয়ে রাখতে হবে। আমারও মতলবটা সেইরকমই ছিল। ঢাকঢোল পিটিয়ে কমিট করে ফেললাম, এবার চক্ষুলজ্জার তরী বেয়ে সে কমিটমেন্টের বৈতরণী পেরোবো, এমনই উচ্চাশা ছিল মনে। শপথের লিস্টের আয়তনের ব্যাপারেও আমি অ্যাম্বিশন লাগামছাড়া হতে দিইনি। আইটেম রেখেছিলাম মোটে পাঁচখানা। ২০১৩-র রেসলিউশন আমি কতখানি রক্ষা করতে পারলাম, এখন তার হিসেব নেওয়ার আদর্শ সময় এসেছে। আসুন দেখা যাক রেজাল্ট কী হল। শপথ #১ ---বলেছিলাম  রান্না শিখব। বাঙালি রান্না।  “ উঁহু , চিতল মাছের মুইঠ্যা বা কই মাছের গঙ্গাযমুনা নয়, ...