দৈববাণী
গত শনি কিংবা রবিবারে হবে, (সোমবারেও
যে হতে পারবে না সেটা দিব্যি গেলে বলতে পারছি না) সকালবেলা প্রথম চোখ মেলে (নাকি
চোখ না মেলতেই?) যে কথাটা মাথায় এল, সেটা হচ্ছে,
‘নিকুচি করেছে।’
অদ্ভুত। আশ্চর্য।
অত্যাশ্চর্য। কীসের নিকুচি, কেন নিকুচি? বিছানায় শুয়ে শুয়েই মনে করার চেষ্টা
করলাম, কিছুতেই মনে এল না।
‘ধুত্তোর, নিকুচি করেছে মনে
আসার’ এই বলে দড়াম করে গায়ের ওপর থেকে লেপ সরিয়ে উঠে পড়লাম। ছিমছাম সাদাহলুদ
ডোরাকাটা ওয়াড়-পরানো লেপ, গায়ে দিলেই মন ভালো হয়ে যায়। গা থেকে সরাতে গেলেই আবার
মনখারাপ। একে মনখারাপ, তায় শীত। দুঃখের চোটে মেঝের ওপর সোজা দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই
শরীর বেঁকে ফার্স্ট ব্র্যাকেটের মতো হয়ে গেল। কাঁধদুটো কানের কাছে উঠে গেল, হাতদুটো
বুকের কাছে উঠে এসে স্বামী বিবেকানন্দ স্টাইলে একে অপরের কনুইয়ে মুখ লুকোল। সেই
ভঙ্গিতেই কোনওমতে শোয়ার ঘর থেকে বেরিয়ে বাথরুমের দিকে রওনা দিলাম। রাস্তায় যতগুলো
রেডিয়েটর পড়ল, সবগুলোর কান মুলে হিট ম্যাক্সিমামে তুলে দিতে ভুললাম না।
কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা একটু
কমলে, ফার্স্ট ব্র্যাকেট থেকে দাঁড়িচিহ্ন হয়ে, শাওয়ারের ধোঁয়া-ওঠা গরম জলের তলায়
দাঁড়িয়ে অতি আরামের স্নান সেরে বেরিয়ে দেখি ঘড়ি ঘোড়া হয়ে গেছে। কোনওমতে আধভেজা গায়েই
শার্টপ্যান্ট চড়িয়ে, চুল খামচে বেঁধে, ব্যাকপ্যাক কাঁধে তুলে, পায়ে জুতো হাফ-গলিয়ে
দরজা দিয়ে ছুটে বেরোতে যাব, এমন সময় কে যেন মাথার ভেতর আবার বলে উঠল,
‘নিকুচি করেছে।’
কী সাংঘাতিক। হলটা কী? ঘোর
দিবালোকে দৈববাণী শুনতে শুরু করলাম নাকি? বিয়ের মাসছয়েক পর লোকের পাগলামো তো কেটে
যেতে শুরু করে শুনেছি, আমার এখন শুরু হলে তো বিপদ। দরজার সামনে ভেবলুর মতো দাঁড়িয়ে
দাঁড়িয়ে এইসব ভাবছি, এমন সময় গলাটা আগের থেকেও তিরিক্ষি গলায় বলে উঠল,
‘নিকুচি করেছে অফিস লেটের।
আমি ব্রেকফাস্ট না করে বেরোচ্ছি না, এই বলে দিলাম।’
যাকে দেখা যাচ্ছে না তার
সঙ্গে তো তর্ক করা চলে না, তাই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পিছু ফিরলাম। ব্যাকপ্যাক আর জুতো
ছেড়ে রেখে রান্নাঘরে গিয়ে ফ্রিজের দরজা খুলে ডিমের বাক্স খুলে একটা ডিম তুলে যেই
না দরজা বন্ধ করতে যাব, এমন সময় গলাটা বলল,
‘নিকুচি করেছে পরিমিত
আহারের।’
দু’দু’খানা ডিম সেদ্ধ হল,
আমি ততক্ষণ ডাইনিং টেবিলে বসে বসে পড়া বইখানার পাতা মাঝখান থেকে উল্টে উল্টে আবার
পড়লাম। ঘড়ির দিকে ভয়ে তাকাচ্ছিলাম না, কারণ জানতাম তাকালেই মাথার ভেতর গলাটা আবার
খেঁকিয়ে উঠবে। কী বলে খেঁকাবে সেটাও আন্দাজ করতে কষ্ট হচ্ছিল না। ডিমসেদ্ধর খোলা
ছাড়িয়ে, প্লেটের ওপর রেখে, ছুরি দিয়ে দু’ফালি করে কেটে নুন-গোলমরিচ ছড়িয়ে খেলাম
বসে বসে। ডিমের কুসুমগুলোর দিকে তাকিয়ে মনটা উদাস হয়ে যাচ্ছিল। এখন, এই নভেম্বরের
শুরুতে, প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ দিল্লিতে সূর্যটাকে অবিকল এ’রকম দেখতে লাগে।
কবে বাড়ি যাব, ভগবান। আর যে ভালো লাগে না।
প্যারিসে বেশ ঠাণ্ডা পড়েছে
এখন। টেম্পারেচার খুব কম নয়, তবে সারাদিনই ঝুপঝুপ বৃষ্টি হয়, তাই ফিল্স্-লাইক
টেম্পারেচার আসল টেম্পারেচারের থেকে বেশ নিচে থাকে। আমার বাড়ির পাশের, পাশের
বাড়িটা হচ্ছে একটা বাচ্চাদের স্কুল। একেবারে গেঁড়ি বাচ্চাদের। যখন অফিস যাই আর
ফিরি, ওরাও স্কুলে আসে আর ফেরে। ওই দুটো সময়ে রাস্তায় ফ্লুরোসেন্ট রঙের জামা পরা
একজন ট্র্যাফিক পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকেন। গাড়িঘোড়া সামলাতে যত না, তার থেকেও বেশি
বাচ্চা সামলাতে। লাখোলাখো বাচ্চা, ক্যাঁচরম্যাচর করতে করতে রাস্তা পেরোয়।
চাপা-টাপা পড়ার মতো তুচ্ছ বিষয়ে তাদের তখন হুঁশ থাকে না। সে খেয়াল রাখার দায় মা,
বাবা, ঠাকুরদা, দিদিমা আর পুলিশকাকুর।
ব্রেকফাস্ট, আর তারপর
ফুটপাথে শিশুর জটলা। এমনি দিন হলে সে জটলা পেরিয়ে আমার ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটার কথা।
কিন্তু মর্নিং দেখেই বোঝা গেছে যে সে দিনটার এমনি দিনের সঙ্গে কোনও মিল নেই। হেলেদুলে হাঁটলাম।
অবশ্য চোখকান খোলা রাখতে হল। ভোরবেলা পাড়ার সব কুকুর-পুষিয়েরা তাঁদের কুকুরদের
প্রাতঃকৃত্য সারাতে বেরিয়েছিলেন, তার চিহ্ন তখনও ফুটপাথে জ্বলজ্বল করছিল। সেসব
বাঁচিয়ে, গুনগুন করে গান গাইতে গাইতে চললাম মেট্রোর দিকে।
প্যারিসের যে জিনিসটা আমাকে
সবথেকে মুগ্ধ করেছে সেটা হচ্ছে মেট্রো। মিনিটে-মিনিটে কথাটা এতদিন শুধু রং চড়িয়ে
বলার সময় ব্যবহারই করেছি---মিনিটে-মিনিটে চা, মিনিটে মিনিটে মিস্ড্ কল (শেষেরটায়
অবশ্য খুব বেশি রং খরচ করার দরকার নেই, মিনিটে না হলেও, দেড়-দু’মিনিটের ব্যবধানে
মিস্ড্ কল দেওয়া লোকদের সঙ্গে একসময় আমি রীতিমত ওঠাবসা করেছি), চোখে দেখলাম
এখানে এসে। অফিসটাইমের প্যারিসে মেট্রো আক্ষরিক অর্থেই ‘মিনিটে-মিনিটে।’
গোটা ব্যাপারটা আরও
ইমপ্রেসিভ এই কারণে যে ষাট সেকেন্ড অন্তর অন্তর আসা প্রতিটি গাড়িতেই গাদাগাদি ভিড়।
ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের শৌখিন ভিড় নয়, সত্যিকারের ভিড়। ভিড়ের কৌলীন্যে হাওড়া, শেয়ালদার
সঙ্গে এরা যে কোনওদিন পাল্লা দিতে পারবে, তফাৎ খালি যে এরা চেঁচায় না আর প্রকাশ্যে
কনুই চালায় না। চোরাগোপ্তা চালায়। এই সেদিন অফিস থেকে ফেরার পথে আমাকে তিনখানা
মেট্রো ছাড়তে হয়েছে। ভিড়ের চোটে। চারনম্বর ট্রেনটার জন্য অপেক্ষা করতে করতে
ভাবছিলাম শেষ কবে ভিড়ের ছুতোয় ট্রেন ছেড়েছি। ভাবতে ভাবতে বছর বারো পেছোতে হল। তার
পর কিছুতেই নয়।
কিন্তু সে তো অফিস থেকে
ফেরার সময়। তখন সারাদিন খাটাখাটনির পর আমার গায়ে, গায়ের থেকেও মনে, জোর বলে আর
কিছু অবশিষ্ট থাকে না, তখন ট্রেন ছাড়ার ব্যাপারটা জাস্টিফাই করা এমন কিছু শক্ত নয়।
তাই বলে অফিস যাওয়ার সময়? কোথাকার কোন দৈববাণী শুনে ট্রেন ছেড়ে দেব?
তাই দিলাম। ‘নিকুচি করেছে
ভিড় ট্রেনে ওঠার’, মাথার ভেতরের গলা বলল। আমি কিছু বললাম না। কারণ এক, বললেও কাজ
দেবে না। দুই, ততক্ষণে আমার বেশ একটু কৌতূহলও জেগেছে। গোটা ব্যাপারটা কোনদিকে গড়ায়
সেটা দেখার।
বললে বিশ্বাস করবেন না,
ভালো দিকেই গড়াল। পরের ট্রেনটা এল, আগের ট্রেনের তুলনায় অনেক ফাঁকা, আর ট্রেনে
উঠেই আমি দেখলাম জানালার পাশে একটা সিট ফাঁকা। আশেপাশের সিটগুলোয় অবশ্য লোকজন বসে
আছে। অর্থাৎ কি না, ফাঁকা সিটে পৌঁছতে গেলে আমাকে অনেক ক্ষমা চাইতে চাইতে, লোকের
চোয়ালে যাতে ধাক্কা না লেগে যায় সে জন্য ব্যাকপ্যাক পিঠ থেকে খুলে বুকের সামনে
জাপটে ধরে, লোকের পা যাতে না পাড়িয়ে ফেলি সেই জন্য বকের মতো এক্সট্রা সাবধানে পা
ফেলে এগোতে হবে। তার থেকে ঢের বেশি ভদ্রতা হবে দরজার কাছের ফাঁকা জায়গাটায় দাঁড়িয়ে
থাকলে। ক’টাই বা আর স্টেশন।
গলা গর্জন করে উঠল, ‘নিকুচি
করেছে ভদ্রতার।’ সাত সেকেন্ড পর আমি নিজেকে জানালার পাশের সিটে গ্যাঁট হয়ে বসা
অবস্থায় আবিষ্কার করলাম। কী আরাম, আহ্। এখনও সাত-সাতখানা স্টেশন বাকি। এতক্ষণ বসে
বসে গল্পের বইয়ের কতগুলো পাতা পড়া হয়ে যাবে।
অবশ্য না পড়ে জানালার বাইরে
তাকিয়ে থাকলেও হয়। সুড়ঙ্গের দেওয়ালে দু’হাত পরপর আলো লাগানো আছে। সাদা টিউব, হলুদ
বাল্ব। তাদের টিমটিমে আলোয় সুড়ঙ্গের দেওয়ালের সাদা গ্রাফিতিগুলো স্পষ্ট দেখা
যাচ্ছে। পৃথিবীতে যে ক’টা সত্যি ইউনিভার্সাল ব্যাপার আছে, রেললাইনের পাশে দেওয়াল
দেখলে আঁকিবুঁকির ইচ্ছেটা তার মধ্যে একটা। বইয়ের পাতায় তর্জনী গুঁজে রেখে এইসব
ভাবতে ভাবতে চললাম। একবার আমার মাথা সাজেস্শন দিল, এই যে এতশত গভীর কথা মাথায়
আসছে, ব্যাগ থেকে নোটবুক বার করে টুকে রাখবে নাকি? অবান্তরের পোস্টে গুঁজে দিতে
পারবে?
দৈববাণী নিমেষে প্রস্তাব
নাকচ করে দিল। ‘নিকুচি করেছে।’
সারাদিন এই চলল। অবান্তরের
নিকুচি, আলগা ভদ্রতার নিকুচি, অবোধ্য সেমিনারের নিকুচি। বাড়ি ফিরে চা খেতে খেতে
স্কাইপে আড্ডা মেরে, বেশ করে সসেজ-টসেজ দিয়ে পাস্তা রেঁধে খেলাম। মাথার ভেতর বিবেক
ঘ্যানঘ্যান করেই যাচ্ছিল, ‘সোনা, এইভাবে নষ্ট করার সময় কিন্তু তোমার নেই। শিগগিরি
কাজে বস।’
দৈববাণীকে এবার আর ওস্তাদি
করার সুযোগ দিলাম না আমি। সে ব্যাটা মুখ খোলার করার আগেই আমি নিজেই চেঁচিয়ে উঠলাম,
‘নিকুচি করেছে সময়ের।’ রাতে ঘুমোনোর আগে মোবাইলের অ্যালার্ম সেটিং-টা নিয়ে খেলা
করা সাধারণত আমার স্বভাব। ঠিক কতখানি রাত বাকি থাকতে ঘুম থেকে উঠলে আমার সব কাজ
সারা হবে (কিংবা আলটিমেটলি হবে না), সেটা ডিসাইড করতে করতে মিনিট দশেক আরামসে
কাটিয়ে দেওয়া যায়। তারপর আরও পাঁচমিনিট ফোনের লোকেশন ঠিক করতে। খাট থেকে
কতখানি দূরত্বে রাখলে অ্যালার্মের আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যাবে, অথচ হাত বাড়িয়ে স্নুজ
টিপে দেওয়াও যাবে না।
নিকুচি করেছে অ্যালার্মের।
ফোনটা ডাইনিং টেবিলে ইচ্ছে করে ফেলে রেখে এসে বেডরুমের দরজা সশব্দে বন্ধ করে
দিলাম। এবার গল্পের বই নিয়ে সোজা বিছানায়। যখন ঘুম আসবে তখন ঘুমোব, যখন ঘুম ভাঙবে
তখনই উঠব। তার একটি সেকেন্ডও আগে নিজেকে টেনে তুলব না।
পরদিন ঘুম ভাঙল যখন তখনও
জানালার বাইরে অন্ধকার। লেপ সরিয়ে কাঁপতে কাঁপতে ঘরের দরজা খুলে বেরোলাম। চারদিকে
নৈঃশব্দ্য জমাট বেঁধে রয়েছে। আমার মাথার ভেতরেও। টেবিলে পড়ে থাকা ফোনটার দিকে
তাকিয়ে হাসি পেল, অল্পঅল্প মায়াও হল। আহা রে, সারারাত একা একা পড়ে থেকে বেচারা ভয়
পেয়েছে নির্ঘাত। বাথরুমে ঢুকে আলো জ্বালালাম। চেনা মুখটা আয়নায় ফুটে উঠল। সেই
খাঁদা নাক, গোল গাল, চশমার আড়ালে ছাগলের মতো ঘোলাটে চোখ, চোখের তলায় গ্র্যান্ড
ক্যানিয়নের মতো খাদ, আর সে খাদে অমাবস্যার...
চোখের কালিটা কমে গেছে নাকি
হঠাৎ? ভালো করে দেখতে বেসিন ডিঙিয়ে আয়নার আরেকটু কাছে এগিয়ে গেলাম আমি। চশমা খুলে
চোখ কুঁচকে ভালো করে দেখলাম। ইয়েস, কালি যে কমেছে যে তাতে সন্দেহ নেই। চিবুকের
তিনটে ব্রণও হাপিস হয়ে গেছে। তর্জনী বুলিয়ে কনফার্ম করে নিলাম একবার। নেই, সত্যিই।
গত সপ্তাহ থেকে মায়ের হুকুমে মাখতে শুরু করা ল’রিয়লের নাইটক্রিমের এফেক্ট শুরু
হয়েছে মনে হচ্ছে? গুড। পয়সাটা যতখানি নষ্ট হবে ভেবেছিলাম ততটাও হয়নি।
দৈববাণী আর শুনিনি। কিন্তু
তাতে যে আমি খুব খুশি হয়েছি তেমন নয়। সেদিনটা যে বেশ অন্যরকম কেটেছিল সেটা
অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই আমি এখন নিজেই নিজেকে মনে করে ‘নিকুচি করেছে’ বলছি। মানে,
যখন বলার কথা মনে থাকছে তখন। সর্বক্ষণ মনে রাখতে গেলে অনেক প্র্যাকটিস করতে হবে।
তবে আমি প্র্যাকটিস করছি। কারণ কথাটা বলে মন্ত্রের মতো কাজ পাচ্ছি। নিমেষে
পার্সপেকটিভ ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
Darun !!!!
ReplyDeleteথ্যাংক ইউ ইচ্ছাডানা।
Deletekhub bhalo laglo pore
ReplyDeleteজেনে খুশি হলাম তিন্নি। থ্যাংক ইউ।
Deleteআই নীড দিস্ দৈববাণী থিঙ্গি ইন মাহ্ লাইফ।
ReplyDeleteএই থিঙ্গি-টা আমাদের সবারই কমবেশি চাই।
Deleteভালো করেছেন। ওই নিকুচি করেছে দৈববাণীটা আমিও মাঝে মাঝে শুনতে পাই। তখন ভুল-ভাল খেয়ে ওজন বেড়ে যায় কয়েক পাউন্ড। তবে ইয়ে, দৈববাণী যাই বলুক, কলকাতায় ভুলেও ভিড় ট্রেনে জানালার ধারের সিট খালি দেখলে বসতে যাবেননা। ওখানে নির্ঘাত কিছু নোংরা থাকবে।
ReplyDeleteএটা মোক্ষম বলেছেন সুগত। ব্যান্ডেল-বর্ধমান-তারকেশ্বরে অফিসটাইমে ফাঁকা সিট মানেই গোলযোগ।
Deletedarun alternative lifestyle kintu eta: "nikuchi koreche" lifestyle :P
ReplyDeleteলাইফস্টাইল বলে লাইফস্টাইল, স্বাগতা? 'নিকুচি করেছে' একটা আস্ত জীবনদর্শন।
Deletehaha .. Credit ta ami ki ektu holeo daabi korte pari ?? :) .. shei tomake lekha prothom comment ta , jekhane tomar mona lisa dekhar darun golpo ta pore bhalo mone scroll korte giye dekhi , ke besh ek quintal antlemo likheche .. oi ta dekhei je nikuchi koreche comment ta likhlam .. okhan theke mathaye ei kotha ta ghurpak khawar kono chance ache ki ??
ReplyDeletetobe ekta kotha bolbo .. beshi beshi raag kore likhechilam .. nikuchi bepar ta shob shomoy korle kichu bhalo jinish o miss hoye jete pare .. :P
একেবারেই ঠিক, ক্রেডিটটা একেবারেই তোমার, কিন্তু কী নামে ডেকে সেটা তোমাকে দেব, সেটা বুঝতে পারিনি বলে দিইনি। লিখতে লিখতে তোমার কথা মনে পড়ছিল, অন গড ফাদার মাদার।
Deleteসে তো মিস্ হয়ই। কিন্তু ঝামেলাও অনেক কমে। কখনও কখনও ঝামেলা কমানোর জন্য আমি ভালো জিনিস মিস করতেও রাজি আছি, সত্যি বলছি।
আরে জিও, এই নিকুচিবাবু তোমাকেও ভর করেছেন জেনে দিব্যি লাগল। আমার সাথে ওনার অনেক আগেই আলাপ হয়ে গেছে। মাঝে মাঝেই এসে দেখা করে, সারাদিন থেকে আড্ডা মেরে যান। কিন্তু এখনো একদিনের বেশি আতিথ্য নিতে রাজি হচ্ছেন না। এটাই দুঃখের, ওনাকে আমি বেশ ভালবেসে ফেলেছি।
ReplyDeleteভালোবাসার ব্যাপারটায় হাই ফাইভ প্রিয়াঙ্কা। আমারও নিকুচিবাবুকে খুব মনে ধরেছে।
Delete