Posts

Showing posts from July, 2015

The Weird Questionnaire

মার্সেল প্রুস্তের কোয়েশ্চেনেয়ারের কথা সকলেই জানে। তুলনায় E ric Poindron -এর কোয়েশ্চেনেয়ার কম পরিচিত। Poindron একজন লেখক, সমালোচক, সম্পাদক। তিনি বেশ কিছু রেডিও অনুষ্ঠানেরও সঞ্চালক।   প্রুস্তের সঙ্গে Poindron -এর কোয়েশ্চেনেয়ারের বেশ অনেকগুলো তফাৎ আছে। এক, আয়তনের। প্রুস্ত-এর প্রশ্নপত্রে আছে মোটে খানতিরিশ প্রশ্ন, Poindron -এর প্রশ্নপত্রে প্রশ্নের সংখ্যা ষাটের কাছাকাছি। দুই, প্রুস্তের প্রশ্নপত্র আপনি কতক্ষণ ধরে সমাধান করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। Poindron আশা করেন তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনার বেশি সময় লাগবে না। ইন ফ্যাক্ট, তিনি চান যে উত্তরদাতা বেশি মাথা না ঘামান। যা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মনে আসছে সেটাই লিখুন। তিন নম্বর তফাৎটা হল, প্রুস্ত-এর প্রশ্নপত্রের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল তাঁর নিজের মনের তল খোঁজা, Poindron প্রশ্নপত্র বানিয়েছিলেন “রাইটিং প্রম্পটস” হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। আমি কোয়েশ্চেনেয়ারটির উত্তর দিলাম। আপনারাও নিজেদের উত্তর দেবেন এই আশা রইল। ***** 1.       1. Write the first sentence of a novel, short story, or book of the weird yet to be written. ...

জাদুঘর

Image
আমার বাবামায়ের যখন আমার মতো বয়স ছিল তখন তাঁরা আমার তুলনায় কত বেশি কাজ করতেন এটা আমার একটা নিত্য অপরাধবোধের উৎস। আমি নিজেকে সামলাতেই অস্থির, তাঁরা নিজেদের সঙ্গে সঙ্গে বয়স্ক বাবামায়ের দেখাশোনা করতেন, সন্তানের ভরণপোষণ করতেন। অফিসটা আমার সঙ্গে তাঁদের কমন ছিল কিন্তু আমার অফিস করা আর তাঁদের অফিস করায় আকাশপাতাল পার্থক্য ছিল। আমি যেমন অটোতে চড়ি আর গল্পের বই পড়তে পড়তে কুড়ি মিনিট পর (ফেরার পথে জ্যাম থাকলে চল্লিশ) অফিসের গেটে এসে নামি, তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অত সহজ ছিল না। তাঁরা নিজেরা রেডি হতেন, আমাকে রেডি করাতেন, দৌড়ে ট্রেন ধরতেন, হাওড়ায় নেমে দৌড়ে সাবওয়ে পেরোতেন, দৌড়ে লঞ্চ কিংবা বাস ধরতেন । ফেরার পথে গোটা ঘটনাটা পুনরাবৃত্তি হত। এবং এই পুরো ব্যাপারটা করতে হত আরও লাখখানেক ছুটন্ত লোকের সঙ্গে কম্পিটিশন করে। আমার বাবামা আমার থেকে কত উন্নততর জীবন যাপন করতেন সেটা আমার দ্বিতীয় এবং প্রথমটার থেকে গভীরতর অপরাধবোধের উৎস। সপ্তাহের পাঁচদিন ওই অমানুষিক পরিশ্রম করার পর শনিরবি ছুটিতে তাঁরা বাড়ির কাজ করতেন, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের বাড়ি সৌজন্য করতে যেতেন, আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদের নিজেদের বাড়িতে...